৭০০ ইঞ্জিন! উৎপাদনের এভারেস্টে চিত্তরঞ্জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ এপ্রিল:: সদ্য শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে উৎপাদনের এভারেস্টে চড়লো চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। একটি আর্থিক বছরে ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদন বিশ্বের বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন উৎপাদনকারী সংস্থা হিসেবে সিএলডব্লুর স্বীকৃতিকে আবারও প্রতিষ্ঠিত করলো। কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল বলেছেন রেকর্ড ইঞ্জিন উৎপাদন দেশের রেল চলাচলের ক্ষেত্রে মসৃণতা আনার পাশাপাশি জ্বালানির খরচ কমানো এবং বাতাসে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমিয়ে পরিবেশকে নির্মল রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করবে। উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরের শেষ কাজের দিন ৩০ মার্চ সাতশোতম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার । তিনি বলেছেন এই সংস্থা প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর এবং দেশে রেল চলাচলে বৈদ্যুতিকীকরণের ১০০ বছরকে যথাযথভাবে উদযাপিত করার ক্ষেত্রে একটি আর্থিক বছরে ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদন বিশেষ বার্তাবহ হয়ে রইল। উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে চিত্তরঞ্জনে ৫৮০ টি রেল ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়েছিল, সেখানে এ বছর আরও একশো কুড়িটি বেশি ইঞ্জিন উৎপাদন সম্ভব হল। এরমধ্যে চিত্তরঞ্জনে ৫৪৪ টি এবং ডানকুনিতে ১৫৬ টি ইঞ্জিন উৎপাদিত হয়েছে। আজ ১ এপ্রিল এই বিষয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সিএলডব্লুর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এ কে মাইতি , জেনারেল ম্যানেজারের সেক্রেটারি, জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের উত্তর দেন। সেইসব বিস্তারিত রিপোর্ট ৫ এপ্রিল প্রান্তভূমির মুদ্রিত সংস্করণে পাওয়া যাবে।@প্রান্তভূমি
সিঁড়ির নিচে রিজার্ভার তৈরির সময় বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু দুই কর্মীর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৩১ মার্চ।।
বাড়ির সিঁড়ির নিচে পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরির কাজ করতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসের প্রকোপে দুই কর্মীর মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল ইসমাইল এলাকায়। হীরাপুর থানার অন্তর্গত ইসমাইল ৬০ ফুট রাস্তার হোমিওপ্যাথি কলেজ সংলগ্ন অঞ্চলে প্রকাশ বার্নোয়ালের বাড়িতে আজ ৩১ মার্চ সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রকাশ বাবু এই বাড়িটি অন্যের কাছ থেকে কিনেছিলেন। আগে থেকে ঐ বাড়িতে থাকা জলের ট্যাঙ্কটিকে এখন সেপটিক ট্যাংকে পরিবর্তিত করার পাশাপাশি সিঁড়ির নিচে নতুন একটি রিজার্ভার তৈরির কাজ চলছিল। আজ সকালে আসানসোল কর্পোরেশনের ৯৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দুই ব্যক্তি সেখানে কাজে নামেন। কিন্তু সেই সময়েই দুই কর্মী অজ্ঞান হয়ে রিজার্ভারের মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির মালিক এবং ঠিকাদার স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। তারা সকলে মিলে অচৈতন্য ওই দুজনকে সেখান থেকে বের করে আনার চেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে হীরাপুর থানার পুলিশ এবং ফায়ার ব্রিগেড সেখানে পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা পর ওই দুজনকে রিজার্ভার থেকে বের করে আনতে সমর্থ হয়। এরপর দ্রুত তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কাজের জায়গায় বিষাক্ত গ্যাসের উপস্থিতিতেই এমন অঘটন বলে সাধারণভাবে সংশ্লিষ্ট মহল আশঙ্কা করছে। যদিও পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে , এজাতীয় অঘটনের বিষয় বার বার সামনে এলেও প্রাথমিক সতর্কতার বিষয়টি কেন মাথায় রাখা হয় নি সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন।@প্রান্তভূমি
পাঁচ দফা দাবি নিয়ে জাতীয় কনভেনশন চিত্তরঞ্জনে:: ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক সর্বভারতীয় সিটু নেত্রী হেমলতার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ মার্চ::
সরকারি নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে সর্বস্তরে ছোট বড় বাইশটি আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই আন্দোলনে রেল শ্রমিক সংগঠনগুলির কোন ভূমিকা ছিল না। এই বক্তব্য সিটু'র সর্বভারতীয় সভাপতি কে হেমলতার। তিনি এখানেই থেমে না থেকে মনে করিয়ে দিলেন ৭৪' এর রেল আন্দোলনের পর সরকারের নীতির বিরুদ্ধে আর বড় আন্দোলন হয়নি। এটা আমাদের মনোবলে আঘাত করেছে। তিনি সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নের উদ্যোগে জাতীয় কনভেনশনে অংশ নিয়ে আজ, ৩০ মার্চ বক্তব্য রাখছিলেন। তার বক্তব্যে উঠে আসে কর্মী সংকোচনের প্রসঙ্গ। তিনি বলেন এই মুহূর্তে রেলে ৩ লক্ষ শূন্য পদ রয়েছে। নতুন কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় সব থেকে ক্ষতি হচ্ছে ট্রেন পরিচালনার ক্ষেত্রে, সিগন্যালিং, লাইন রক্ষণাবেক্ষণে। ভেঙে পড়েছে লোকো পাইলট পরিকাঠামো। লোকো পাইলটদের ১৫-২০ ঘন্টা কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাজের চাপে অনেক ক্ষেত্রেই আত্মহত্যার ঘটনা পর্যন্ত ঘটে যাচ্ছে। নিরাপত্তার দিকে সরকারের কোন নজর নেই। ফলে ক্রমশ দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ঠিকা শ্রমিকদের কাজে লাগানো হচ্ছে। তিনি বলেন উদারীকরণ বেসরকারিকরণ শুরু হয়েছিল ১৯৯১ সাল থেকে। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেটা তীব্র আকার নিয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় কালা কানুন লেবার কোড পাস করিয়ে নিয়েছে, এপ্রিল থেকে যা লাগু হতে চলেছে। তিনি বলেন সিটু দাবি জানিয়েছে ঠিকা শ্রমিকদের ন্যূনতম কুড়ি হাজার টাকা মাসে বেতন সরকারকে দিতে হবে। হেমলতা আরো বলেন বর্তমান সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে ইউনিয়নগুলি যখন সংঘবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিচ্ছে, তখন কৌশলে সরকার বিভাজনের তাস খেলছে। ক্ষমতাবলে আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে। যদিও তিনি বলেন শ্রমিকরাই পারবে সরকারের তুঘলকি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে। তবে এজন্য সবচেয়ে আগে সংগঠনগুলিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজ কনভেনশনের শুরুতেই সিটুনেত্রী কে হেমলতা পতাকা উত্তোলন করেন । শহীদ বেদীতে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক রাজীব গুপ্ত পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে আলোচনা করেন। দাবিগুলি হল - সমস্ত শূন্যপদ পূরণ, এন পি এস এবং ইউপিএস বাতিল করে ও পিএস চালু করা, ভারতীয় রেলে বেসরকারিকরণ/কর্পোরেটাইজেশন বন্ধ করা, ঠিকা শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন দেওয়া এবং কর্মী-অনুকূলে অষ্টম বেতন কমিশন চালু করা। এদিন সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা শুরু করেন লেবার ইউনিয়নের সভাপতি আর এস চৌহান। কনভেনশন পরিচালনা করেন শ্রী চৌহান এবং অভিরূপ চৌধুরী। কনভেনশনে ৯ টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন। কনভেনশনে সিটুর সর্বভারতীয় সভাপতি কে হেমলতা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্টেশন মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের এস কে জয়সওয়াল, আইসিএফ / ইউ ডব্লু ইউ গার্ডস কাউন্সিলের রাজা রামন, ডি আর ই ইউ সাধারণ সম্পাদক বি হরিলাল সহ ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কে সি জেমস, নির্মল বড়ুয়া নির্মল মুখার্জি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত শ্রমিক প্রতিনিধিরা।@প্রান্তভূমি
মোথাবাড়ির ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির পথ অবরোধ সালানপুর ব্লকের আল্লাডি মোড়ে

#প্রান্তভূমি ২৯ মার্চ।।
মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সালানপুর ব্লকের আল্লাডি মোড়ে পথ অবরোধ করলো বিজেপি। অবরোধকে কেন্দ্র করে বিজেপি সালানপুর ব্লক মণ্ডল-৪'এর নেতা সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের বচসার সৃষ্টি হয়। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করার ফলে তৈরি হওয়া যানজটের হাত থেকে এলাকাকে মুক্ত করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেন বিজেপির লোকজন। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই বুঝিয়ে সুজিয়ে পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়। এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে বিজেপি মণ্ডল-৪ সভাপতি চিন্ময় তেওয়ারি বলেন, মালদায় হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে ছিল; কিন্তু এখানে সেই ঘটনার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের সরাতে বল প্রয়োগ করছে পুলিশ। তিনি বলেন, হিন্দুরা আক্রান্ত হলে বিজেপি কোনভাবেই চুপ থাকবে না - এটা বুঝতে হবে রাজ্য সরকারের পুলিশকে।@প্রান্তভূমি
গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র সহ যুবক গ্রেপ্তার হোটেল থেকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে সংবাদ এসেছিল ঝাড়খন্ড থেকে এ রাজ্যে ঢুকে নাশকতার ছক কষেছে দুষ্কৃতীরা । এরপরই অত্যন্ত সন্তর্পণে ২৮ মার্চ রাতে 19 নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে দামাগড়িয়া এলাকার একটি লাইন হোটেলে অভিযান চালিয়ে এক যুবককে গ্রেফতার করলো কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। হোটেল থেকে ওই যুবককে আটক করার পর তার কাছ থেকে গুলি ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম রেহান রাজা (২২), বাড়ি ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এলাকায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় বড়সড় কোন দুষ্কর্মের উদ্দেশ্যেই সে লাইন হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল। আজ ২৯ মার্চ তাকে আসানসোল আদালতে তুলে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেবে পুলিশ বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
দিনের আলোয় ছিনতাইবাজের কবলে মহিলা, রূপনারায়ণপুরে বেপরোয়া বাইকবাহিনী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: আর রাতের অন্ধকারে নয়, একেবারে দিনের আলোয় সকাল পৌনে দশটায় রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজের কাছে বাইকবাহী ছিনতাইবাজের কবলে পড়লেন এক মহিলা। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কে ওই মহিলা সহ তার স্বামী ও শিশুপুত্র। জানা গেছে সালানপুর কালীতলা এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু মন্ডল তার স্ত্রী টুম্পাদেবী এবং পুত্র বুম্বাকে বাইকে বসিয়ে রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলে আসছিলেন। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ তারা যখন আল্লাডি মোড় পেরিয়ে রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজে পৌঁছান ঠিক সেই সময় পিছন থেকে দ্রুত গতিতে একটি বাইকে দুই যুবক তাদের কাছাকাছি এসে হঠাৎই টুম্পা দেবীর গলার হারে টান মারে। এসময় চকিতে টুম্পাদেবী তার গলার হার হাত দিয়ে চেপে ধরেন। এদিকে ঝন্টু বাবু কোনক্রমে তার বাইক ঠিক রেখে চিৎকার শুরু করেন। বাধা পেয়ে ছিনতাইকারীরা রূপনারায়ণপুরের দিকেই ঊর্ধ্বশ্বাসে পালিয়ে যায়। একেবারে প্রকাশ্য দিবালোকে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন প্রধান সড়কের উপর এই হামলায় অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তারা। এরপর রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি থেকে ঝন্টু বাবুদের সালানপুর থানায় দেখা করার কথা জানানো হয়েছে বলে ঝন্টু বাবু জানান। পুলিশ সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। জানা গেছে হোন্ডা সাইন বাইকে দুই যুবক দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় টুম্পা দেবীর গলা থেকে হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেছিল। তবে সেই হারটি ছিল নকল সোনার। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছিনতাইবাজদের বেপরোয়া মনোভাব সামনে আসায় এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্তেরা। তারা বলছেন দিনের আলোতেই যদি প্রকাশ্য রাস্তায় তাদের ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হয়, তাহলে কোন ভরসায় সন্ধ্যা বা রাতে তারা স্ত্রী পুত্রদের নিয়ে বাইরে বের হবেন। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে দ্রুত তদন্তে নেমেছে বলে জানিয়েছে এবং দুষ্কৃতীদের ধরা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছে।@প্রান্তভূমি
পালিতা কন্যার মতো মানুষ হলেও পরিচারিকার মেয়েই জড়িয়ে গেল বিরাট অঙ্কের চুরিতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: পরিচারিকার মেয়ে হলেও বাড়িতে তাকে পালিতা কন্যার মতোই দেখা হতো। ১১ বছরের কিশোরী থেকে ২২ বছরের যুবতী হয়ে ওঠা সেই কন্যাই ছক কষে বড়সড়ো চুরির ঘটনা ঘটালো বাড়িতে। তবে পুলিশের তৎপরতায় ধরাও পড়ে গেল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে। এই ঘটনা ঘটেছে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার এলাকার আলাউদ্দিন খাঁ বীথিতে। এখানেই থাকেন ইঞ্জিনীয়ার সঞ্জীব কুমার শর্মা। তবে কর্মসূত্রে তাকে ভিন রাজ্যে থাকতে হয়। দুর্গাপুরের বাড়িতে থাকেন সঞ্জীব বাবুর স্ত্রী নাগমণি শর্মা এবং সঞ্জীব বাবুর বাবা-মা। এই বাড়িতেই ১১ বছরের কিশোরী দীপা শর্মা তার মায়ের সাথে কাজে ঢোকে। ছোট্ট দীপাকে সঞ্জীববাবুর পরিবার পালিতা কন্যার মতই আপন করে নেন। আর যাবতীয় শখ আহ্লাদ মেটানোর পাশাপাশি তাকে মানুষ করার উদ্যোগ নেন। বড় হয়ে দীপা দিল্লিতে কাজে নিযুক্ত হয়। তবে নিজের পরিবারের মতই যোগাযোগ থাকে দুর্গাপুরে সঞ্জীব বাবুর বাড়ির সাথে। ২৭ মার্চ দীপা দুর্গাপুরে ছিল। সেই সময় নাগমণি দেবী দুপুর দুটো নাগাদ কেনাকাটা করার জন্য বাড়ির বাইরে যান। ফিরে এসে দেখেন আলমারি থেকে টাকা পয়সা, গয়নাগাটি, মোবাইল সবকিছু উধাও হয়ে গেছে। বিষয়টি দীপাকে জানালে দীপা কোন কিছু জানে না বলে উল্লেখ করে। এরপরই নাগমণি দেবী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন এবং জানান আলমারি থেকে পঁচিশ ভরি সোনার গয়না, এক কেজি রুপোর গয়না এবং নগদ দু লক্ষ টাকা গায়েব হয়ে গেছে। দুর্গাপুর থানা ও সিটি সেন্টার পুলিশ তদন্তে নেমে বাড়ির কাজের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। আটক করে দীপাকেও। দীপার মোবাইল কল রেকর্ড ঘেঁটে দেখে। তাতেই পুলিশ সন্ধান পায় দীপা যাদব নামে আর একজন মেয়ের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে এই চুরির সঙ্গে দীপা যাদবের যোগাযোগ আছে। এরপর অত্যন্ত দ্রুততার সাথে দীপা যাদবের মোবাইল ট্র্যাক করে তাকে দুর্গাপুর রেলস্টেশনের তিন নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে আজ ২৮ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলনে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান রেলস্টেশনে দীপা যাদবের ব্যাগ থেকে গয়না টাকা উদ্ধার হয়। তবে বেশ কিছু টাকা সে এটিএম ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে জমা করে দেওয়ায় পুরো টাকা তার ব্যাগে ছিল না। আর কিছুক্ষণ দেরি হলে কালকা মেলে দীপা যাদব দিল্লি চলে যেত বলে পুলিশের আশঙ্কা। জানা গেছে পরিচারিকার মেয়ে দীপা শর্মা দিল্লিতে কাজের সূত্রে দীপা যাদবের সাথে পরিচিত হয়। দিন চারেক আগে দিল্লি থেকে দীপা যাদবকে দুর্গাপুরে ডেকে পাঠায় দীপা শর্মা। সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে এসে ওঠে দীপা যাদব। 27 মার্চ দুপুরে চুরির পর যাবতীয় গয়না টাকা দীপা শর্মা ওই হোটেলে গিয়ে দীপা যাদবের কাছে দিয়ে আসে, তাকে কালকা মেলের টিকিটও কেটে দেয়। পুলিশ দুই বান্ধবীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতার আঁচ পেয়েছে বলে জানা গেছে। সিটি সেন্টারের মত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এই ধরনের হাই প্রোফাইল চুরি আগে হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে ঘটনার কিনারা যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে পুলিশ করেছে এবং সমস্ত চুরির মালপত্র উদ্ধার করেছে তা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে ডিসি জানিয়েছেন। এদিকে আজ ২৮ মার্চ অভিযুক্ত দুজনকে আদালতে তুললে তাদের দু'দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।@প্রান্তভূমি
হিন্দুদের ধর্মান্তরিত করার অভিযোগকে ঘিরে সালানপুর ব্লকে চাঞ্চল্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্য ধর্মে রূপান্তরিত করার চেষ্টা হচ্ছে এই অভিযোগকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল সালানপুর ব্লকের সামডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। যদিও স্থানীয় মানুষের বিক্ষোভে শেষ পর্যন্ত ধর্মান্তরকরণের বিষয়টি রূপ পায়নি এবং অভিযুক্তদের স্থানীয় পুলিশ এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। ঘটনা সূত্রে প্রকাশ যে আজ 28 মার্চ দুপুরের দিকে আসানসোল থেকে ২ জন মহিলা ও একজন পুরুষ সামডি বাউরি পাড়া এলাকায় এসে পৌঁছান এবং সেখানকার কয়েকটি পরিবারকে বিশেষ একটি ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হওয়ার জন্য নানান কথাবার্তা বলেন। অভিযোগ যে ওই পরিবার গুলিকে নানান প্রলোভন দেখানো হয়েছিল হিন্দু ধর্ম থেকে ভিন্ন ধর্মে রূপান্তরিত করার জন্য। যদিও শেষমেষ পাহাড়গোড়া ক্যাম্পের পুলিশ অভিযুক্তদের এলাকা থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। এ প্রসঙ্গে সামডি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জনার্দন মন্ডল বলেন হিন্দুদের জোর জবরদস্তি করে কিংবা প্রলোভন দেখিয়ে অন্য ধর্মে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে শুনেছি, যা একেবারেই উচিত নয়। তিনি বলেন ভালোবেসে স্বেচ্ছায় যে যার নিজের ধর্ম পালন করবেন এটাই কাম্য। অন্যদিকে সামডি পঞ্চায়েত এলাকার সমাজকর্মী স্বপন মন্ডল বলেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন, তবে গভীরে খোঁজ নিয়ে জানাবেন সঠিক কি ঘটেছিল। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল। তিনি বলেন প্রায় দিনই এমন ঘটনার কথা তার কানে আসে, তবে আজ তিনি বাইরে থাকায় বিষয়টি সঠিকভাবে জানতে পারেননি। অন্যদিকে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন সামডিতে হিন্দুদের ধর্মান্তরকরণের একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগের কথা তিনি শুনেছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তবে জানাতে পারবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য পাহাড়গোড়া পুলিশ ক্যাম্প এবং সালানপুর থানায় একাধিকবার ফোন করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি। যদিও ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন অভাবের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই জাতীয় ঘটনা বিভিন্ন এলাকায় ঘটানো হয়। সামডিতে প্রকৃতই কি ঘটেছে তা জানা বিশেষ প্রয়োজন। এই ঘটনার পিছনে রটনা কিংবা রাজনীতির প্রসঙ্গও থাকতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
৩০ বলে ৯৪! মনোরঞ্জনের দাপটে বিডিও ইলেভেন হারিয়ে দিল শিক্ষকদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: মনোরঞ্জন একাই হারিয়ে দিলেন প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্রিকেট দলকে। আজ হিন্দুস্তান কেবলস ময়দানে বিডিও ইলেভেন বনাম প্রাইমারি টিচার্স ইলেভেন ক্রিকেটে প্রথমে ব্যাট করে ১২ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে বিডিও ইলেভেন। তাতেই মাত্র ৩০ বল খেলে ৯৪ রান করেন মনোরঞ্জন। এর মধ্যে তিনি হাঁকিয়েছেন ৯ টি ছয় এবং ৮ টি চার। মনোরঞ্জনের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েন প্রাইমারি টিচার্স ইলেভেনের বোলাররা। পরে ব্যাট করতে নেমে ১২ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রাইমারি ইলেভেন মাত্র ১০৫ রানেই আটকে যায়। ফলে ৪৭ রানে জয়ী হয় বিডিও ইলেভেন। খেলায় আম্পায়ার ছিলেন অশোক, নিশান্ত এবং সুরজ। প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল। বিডিও ইলেভেনের পক্ষে খেলোয়াড় ছিলেন - বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, বিডিএমও মুকেশ ভগৎ, এডিএ রাজর্ষি ব্যানার্জি সহ রাজেশ সিং, তমাল সেন, জয়ন্ত সাধু, রূপনারায়ণ পাত্র, অবিনাশ দাশগুপ্ত, মনোরঞ্জন, মনু, অনীশ, রাহুল।। অন্যদিকে প্রাইমারি টিচার্স ইলেভেনের পক্ষে ছিলেন - শিক্ষক মোহন মণ্ডল, মনোজিৎ আশ, অজয় মাহাতো, পরিতোষ ভান্ডারী, বিপ্লব মন্ডল, সন্দীপ চার, সমীর কুমার, দেবদাস মাজি, সায়ন্তন সরকার, অভিষেক রায়, সুমন দত্ত, প্রকাশ।@প্রান্তভূমি
গ্রেফতার তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর, থানায় বিক্ষোভ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: গ্রেফতার হয়ে গেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে কুলটির ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে। জানা গেছে আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অন্তর্গত কুলটির ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেন ২৬ মার্চ একটি ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। কুলটির মাজদিয়া পার্কে একটি মেলায় ৫০ ফুট উঁচু নাগরদোলা বসানোর বিষয় নিয়ে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। এরপর প্রাক্তন কাউন্সিলর আখতার হোসেন সহ তিন জনকে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি স্থানীয় মানুষজন। আজ ২৭ মার্চ স্থানীয় মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে কুলটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। যদিও পুলিশ বিষয়টিকে সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করে প্রাক্তন কাউন্সিলারকে আদালতে পেশ করে।@প্রান্তভূমি
ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় ঢোকার মুখে গ্রেফতার তিন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: প্রায় ছয় কেজি গাঁজা পচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ঝাড়খণ্ডের তিন যুবক। তারা আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত বারাবনি থানার পুলিশের হাতে ২৬ মার্চ রাতে ধরা পড়ে। আজ ২৭ মার্চ আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন। জানা গেছে গৌরান্ডি থেকে অজয় নদের দিকে যেতে বিন্দুডি মোড়ের কাছে বারাবনি থানার পুলিশ নাকা চেকিং চালাচ্ছিল। সে সময় ঝাড়খণ্ডের নলা থেকে একটি বাইকে ৩ যুবক আসানসোলের দিকে আসছিল। বিশেষ সূত্রে পুলিশের কাছে আগাম সংবাদ ছিল যে এদিন নিষিদ্ধ কিছু পাচার করা হতে পারে। পুলিশ ওই বাইকটি থামিয়ে তল্লাশি করতেই ব্যাগের মধ্যে থাকা ৫ কেজি ৮০০ গ্রাম গাঁজা পেয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে পৌঁছান বারাবনি থানার ওসি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। গ্রেফতার করা হয় অভয় বাউরি, গণেশ রায় সহ আরো একজনকে।@প্রান্তভূমি
অলীক কুনাট্যরঙ্গে... আজ বিশ্ব থিয়েটার দিবস

মৃদুল শ্রীমানি।।
আজ সাতাশ মার্চ বিশ্ব থিয়েটার দিবসে মনে পড়ুক দীনবন্ধু মিত্রের লেখা নীলদর্পণ নাটকে নীলকর সাহেবের অত্যাচারকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন অধীর মুস্তফী, আর নাটক দেখতে দেখত নাটক দেখছি ভুলে গিয়ে নীলকর সাহেববেশী অভিনেতাকে চটিজুতা ছুঁড়ে মেরেছেন বিদ্যাসাগর। সেই চটি মাথায় নিয়ে অভিনেতা বলছেন, এ আমার সর্বোত্তম পুরস্কার।
বাংলার নাটক দেখতে গিয়ে হাহাকার করে মাইকেল বলছেন, অলীক কুনাট্যরঙ্গে মজে লোক রাঢ়বঙ্গে, নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়। তারপর নিজেই লিখে দিলেন নাটক, শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবতী, কৃষ্ণকুমারী। বাঙালির নাট্যসাহিত্যে একটা পালাবদল ঘটে গেল।
নাটকের আরেক পালাবদল ঘটিয়ে দিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রক্তকরবী নাটকে সমাজবদলের এক অসাধারণ বার্তা রইল। ভূমিকম্পদুর্গত মানুষের জন্য ত্রাণসংগ্রহে নামল নাটক রক্তকরবী।
নবান্ন নাটকে বিজন ভট্টাচার্য দেখিয়ে দিলেন ভারতীয় ব্যবস্থায় দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্বটাকে। কালোবাজারিরা জজ ম্যাজিস্ট্রেটদের ট্যাঁকে পুরে রেখেছে।
আরেকটি পালাবদল বাদল সরকারের হাতে। নাটক কি করে দেখাতে পারে, দেখালেন তিনি। আর রাস্তায় নেমে নাটক করতে গিয়ে রাজনৈতিক গুণ্ডাদের হাতে নিহত হলেন সফদর হাশমি। নাটক হল্লাবোল। বোল মজুরে হল্লাবোল। নাটক যদি সমাজবদলের লড়াইয়ে ভূমিকা না নিল, তেমন নাটকে আমার কী প্রয়োজন?
শ্রীরামকৃষ্ণ মঞ্চে উঠে আশীর্বাদ করছেন অভিনেত্রী বিনোদিনীকে। বলছেন নাটকে লোকশিক্ষা হয়। সাধারণ মানুষের উত্তরণের পথ আঁকা হোক নাটকে।
চর্যাপদের কবি আমার কানে কানে বলছেন, নাচন্তি বাজিল গায়ন্তি দেবী/ বুদ্ধ নাটক বিষমা হোঈ।
বিশ্ব থিয়েটার দিবস সার্থক হোক।@প্রান্তভূমি
কেবলসের পরিত্যক্ত আবাসন থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

#প্রান্তভূমি ২৭ মার্চ।।
হিন্দুস্তান কেবলস অফিসার্স কলোনির পরিত্যক্ত আবাসন থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল আজ ২৭ মার্চ সকালে। ওই ব্যক্তির বয়স ৬৮ বছর। পাতলা দোহারা চেহারার ওই ব্যক্তির পরনে নীল রঙের জামা এবং কালো প্যান্ট ছিল। নিজের পরনের লুঙ্গি দিয়ে ওই আবাসনের পাখার হুক থেকে তিনি গলায় দেন বলে অনুমান। এই আবাসনটি ডিএভি স্কুল সংলগ্ন হিন্দুস্তান কেবলস ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের ডানদিকে যেখানে এলাকার যাবতীয় আবর্জনা জমা হয় সেই এলাকায়। এক সময় ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে উর্বশী হলের দিকে যাতায়াতের অন্যতম আকর্ষণীয় রাস্তা ছিল এখানেই। আজ সকালে আবর্জনার স্তূপ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে কিছু মহিলা মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে সংবাদ পেয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এদিকে মৃতের পকেটে একটি আধার কার্ড পাওয়া গেছে । আধার কার্ড অনুযায়ী মৃতের নাম মন্টু পাল। তাতে ঠিকানা লেখা রূপনারায়ণপুর সীমান্ত পল্লী। তবে পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মন্টু বাবু তার পরিবারের লোকজনদের নিয়ে বৃদ্ধাশ্রম লাগোয়া একটি কোয়ার্টারে থাকতেন। তার পুত্র গোবিন্দ পাল পেশায় অটোচালক। তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে ২৫ মার্চ ভোরের দিকে মন্টুবাবু বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
দুরন্ত অভিযানে গ্রেফতার আসানসোলের পাখি ব্যবসায়ী, উদ্ধার একাধিক আফ্রিকান মিউট সোয়ান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ মার্চ:: বাড়িতে নিষিদ্ধ পাখি রেখে গ্রেফতার হয়ে গেলেন এক যুবক। এই অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগের হেডকোয়ার্টার কলকাতা থেকে দক্ষ আধিকারিকেরা আসানসোলে এসেছিলেন। সঙ্গে নিয়েছিলেন আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের নির্বাচিত কিছু আধিকারিককে। তারা একযোগে আজ দুপুরে পুলিশের সহযোগিতায় আসানসোলের বুধা গ্রামে একটি বাড়িতে অভিযান চালান। সেখানেই উদ্ধার হয় ৮ টি আফ্রিকান মিউট সোয়ান প্রজাতির পাখি। এই পাখি ধরা বা বাড়িতে রাখা কিংবা কেনা বেচা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে আসানসোল রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে। পাখি গুলিকে উদ্ধার করে বর্ধমানের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হয়েছে। এগুলি রাখার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন সৈকত হাজরা (২৬) নামের এক যুবক। তাকে আজ আসানসোল আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করেন এবং জেল হেফাজতে পাঠান। বন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আসানসোল বুধা গ্রামের সৈকত লাইসেন্স নিয়ে অন্যান্য পাখি পালন ও ব্যবসা করেন। কিন্তু আফ্রিকান মিউট সোয়ান প্রজাতির পাখি রাখার ক্ষেত্রে কোনো রকম লাইসেন্স তার ছিল না, থাকার কথাও নয়। বিষয়টি গোপনে রাজ্যের বন্যপ্রাণ বিভাগ জানতে পারে। এরপরই কলকাতা থেকে আসানসোলে অভিযান চালানোর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হয়। অভিযানের কথা যাতে ফাঁস না হয়ে যায় সেজন্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচিত কর্মী আধিকারিকদের এতে সামিল করা হয়। শেষ পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং নিষিদ্ধ প্রজাতির পাখিগুলিকে উদ্ধার করতে পারা বন দপ্তরের বিশেষ সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
বিদ্যুৎ উৎপাদনে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ডিভিসির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ মার্চ:: বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রণী সংস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। আন্তর্জাতিক মানের আই এস ও ২৭০০১ শংসাপত্র অর্জন করল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা। ডিভিসি তার কার্য পরিচালনায় সুসংহত নেতৃত্ব, মজবুত সুরক্ষা ব্যবস্থা, ইনফরমেশন টেকনোলজির উন্নতি এবং সহায়তা ও সঠিক নীতি অনুসরণ করে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ এই শংসাপত্র লাভ করেছে বলে জানা গেছে। কলকাতায় সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিভিসির চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমারের হাতে ২৪ মার্চ এই আইএসও শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ছ'টিরও বেশি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাধ্যমে ডিভিসি নিরন্তর বিদ্যুৎ উৎপাদন করে চলেছে। উৎপাদনের ক্ষেত্রে যাবতীয় সুসংহত পদ্ধতি মেনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধির চেষ্টা করে চলেছে এই সংস্থা। সম্প্রতি কোডার্মা এবং রঘুনাথপুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এবার আন্তর্জাতিক আইএসও ২৭০০১ শংসাপত্র ডিভিসির সার্বিক সুনামকে আরও সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
ইস্পাত উৎপাদনে দেশের সেরা বার্ণপুর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ মার্চ:: দেশের সেরা ইন্টিগ্রেটেড স্টিল প্ল্যান্টের সম্মান পেল বার্নপুরের সেল আইএসপি। স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের কর্পোরেট এক্সিলেন্সি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বার্নপুরকে এই সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেওয়া হল আজ নতুন দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে উৎপাদন থেকে শুরু করে লাভ প্রদান সব ক্ষেত্রেই শ্রেষ্ঠত্বের নজির রেখেছে বার্নপুর আই এস পি। এই পুরস্কার প্রদানের ক্ষেত্রে যে গুণমানগুলির বিষয় নজরে রাখা হয় তার সব কটিতেই এই কারখানা অত্যন্ত উচ্চ মান তুলে ধরেছে। বিশেষ করে উচ্চ গুণমানের ইস্পাত উৎপাদন এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত শক্তির সঠিক ব্যবহার নজির সৃষ্টি করেছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নতুন দিল্লিতে স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেডের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই পুরস্কার সংস্থার কর্মী ও আধিকারিকদের কর্মদক্ষতা ও ইতিবাচক পদক্ষেপের সম্মিলিত অবদান বলে উল্লেখ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
পেট্রোল পাম্পে গুলিতে মৃত্যু এক কর্মীর, ছিনতাই টাকা ভর্তি ব্যাগ:: বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে উত্তেজনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: পেট্রোল পাম্পে গুলি চালিয়ে এক কর্মীর কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে পালিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। গুলিতে ওই কর্মীর মৃত্যু ঘটেছে। ভয়ানক এই কান্ড ঘটেছে আজ ২৪ মার্চ রাতের দিকে। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ ঘেঁষা ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার ফতেপুর থানা এলাকার গোবিন্দপুর-সাহেবগঞ্জ রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত চৌকুন্ডা অঞ্চলের নায়রা পেট্রোল পাম্পে। জানা গেছে আজ রাতের দিকে দুষ্কৃতীরা একটি টিভিএস অ্যাপাচে বাইকে চড়ে পেট্রোল পাম্পে আসে। বাইকে পেট্রোল ভরার বাহানায় সেখানকার কর্মী জনার্দন মাঝিকে কাছে ডাকে । এরপরই জনার্দনের সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হতে হতেই দুষ্কৃতীরা তার উপর গুলি চালিয়ে দেয়। অন্ততপক্ষে তিন রাউন্ড গুলি চলে বলে জানা গেছে। গুলি সরাসরি জনার্দনের পেটে লাগে। এরপরই জনার্দনের কাছে থাকা টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ৩, এবং তাদের সকলেরই মুখ ঢাকা ছিল। ঘটনার পরেই পাম্পের অন্যান্য কর্মীরা পুলিশকে এবং পাম্পের মালিককে বিষয়টি জানান। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলিবিদ্ধ জনার্দনকে প্রথমে ফতেপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামতাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলেও সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, জনার্দন বিন্দাপাথর থানা এলাকার চড়কাদহ গ্রামের বাসিন্দা। বাড়ির একমাত্র ছেলে। মৃত জনার্দনের খুড়তুতো ভাই সমীর মাঝি বলেন কয়েকদিন আগেই জনার্দনের অতি নিকট আত্মীয় সতসাল গ্রামের মহেন্দ্র মাহাতো তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল। এদিকে জামতাড়া সদর হাসপাতালে পুলিশের কাছে জনার্দনের পরিবারের লোকেরা সেখানে মহেন্দ্রকে ডেকে আনার দাবি জানাতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের ডাকে মহেন্দ্র জামতাড়া সদর হাসপাতালে পৌঁছালে জনার্দনের পরিজনেরা তার সঙ্গে মারপিটে লিপ্ত হন। এরপরই পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামে এবং অভিযুক্ত মহেন্দ্রকে নিজেদের আয়ত্ত্বে নেয়। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এই গুলি ছিনতাই কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে, খতিয়ে দেখছে এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ।@প্রান্তভূমি
ইঞ্জিন উৎপাদনে ইতিহাস ডানকুনির:: সিএলডব্লুও দাঁড়িয়ে রেকর্ডের দোরগোড়ায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার একটি ইউনিট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ডানকুনি ইলেকট্রিক লোকো এসেম্বলি এন্ড এ্যনসিলারি ইউনিট উৎপাদনের নিরিখে চলতি আর্থিক বর্ষে ইতিহাস গড়লো। ২০২৪- ২৫ আর্থিক বছরে ডানকুনি থেকে দেড়শোটি বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন উৎপাদিত হল। আজ ২৪ মার্চ দেড়শোতম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু করলেন সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার। দেশের প্রতি এই ইঞ্জিনটি উৎসর্গ করে শ্রী কুমার বলেন এখানকার কর্মীদের দক্ষতা এবং কর্মনিষ্ঠা প্রত্যেকের কাছে উদাহরণ হয়ে রইল। তিনি বলেন সিএলডব্লু প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর এবং দেশে রেলের বৈদ্যুতিকরণের ১০০ বছরের ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখল ডানকুনি ইউনিট। উল্লেখ্য, গত আর্থিক বছরে ডানকুনি ইউনিট ১০১ টি বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন উৎপাদন করেছিল। সেখান থেকে এ বছর একেবারে ১৫০ টি রেল ইঞ্জিন উৎপাদন এই সংস্থার কাছে অত্যন্ত গৌরবের। ডানকুনি ইউনিট প্রতিষ্ঠার পর থেকে এত বেশি ইঞ্জিন উৎপাদন অন্য কোন বছরে সম্ভব হয়নি। এদিকে জানা গেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা চলতি আর্থিক বছরে সর্বমোট ৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চলেছে। চলতি মার্চ মাসের ৩০ তারিখ ৭০০- তম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথ চলা শুরু হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
৬ বছর পর আবার চিত্তরঞ্জন বইমেলা এবার শ্রীলতায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। গৌরাঙ্গ ঘোষ:: ২৩ মার্চ:: চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ৩৪-তম চিত্তরঞ্জন বইমেলা শুরু হল। ২৩ থেকে ২৭ মার্চ বইমেলা চলছে। শ্রীলতা হলে এই বইমেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চিত্তরঞ্জনের চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (ট্রাকশন মোটর) দীনেশ প্রসাদ শা। পদাধিকার বলে তিনি এই ইনস্টিটিউটের সভাপতিও। সম্মানীয় অতিথি ছিলেন সহ-সভাপতি তথা চিত্তরঞ্জনের ডেপুটি চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এস বি ত্রিপাঠি। চলতি বছরে উড প্যাকার, ছায়া পাবলিকেশন, সঞ্চয়ন প্রকাশন, চৌধুরী ডিস্ট্রিবিউটর, বুক জাংশন, অধ্যয়ন পাবলিকেশন, চিত্রলেখা, রেনু প্রকাশনী, ন্যাশনাল বুক এজেন্সি সহ স্থানীয় দুটি প্রকাশনী সংস্থা মিলিয়ে মোট 11 টি সংস্থা হাজির হয়েছেন তাদের বইপত্রের পসরা নিয়ে। মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে দুটি বুটিক স্টল এবং ছয়টি ফুড কোর্ট। ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস নন্দী এবং সাহিত্য সম্পাদক সুরজিৎ লোধ জানান বইমেলা মঞ্চে পাঁচ দিনই থাকছে এলাকার খ্যাতনামা শিল্পীদের নানান অনুষ্ঠান, হিন্দি ও বাংলা স্বরচিত কবিতা পাঠ। তারা বলেন বইমেলায় পাবলিশার্সদের আসার সংখ্যা কমে গেছে। হিন্দি বুক স্টলের জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সম্ভব হয়নি। আগামী দিনে ব্যবস্থা করা হবে। গতবার প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। প্রসঙ্গত এর আগে ৩৩-তম বইমেলা হয়েছিল ২০১৮ সালে বাসন্তী ইনস্টিটিউটে। তার আগে ২০১৭ সালে শ্রীলতায়। মাঝে করোনা এবং বিভিন্ন কারণে বন্ধ ছিল বইমেলা। ১৯৭৯ সালে কলকাতার বাইরে প্রথম চিত্তরঞ্জনে বইমেলা শুরু হয়েছিল। তখনকার সঙ্গে এখন তফাৎ অনেক। মোবাইল দূরদর্শনের সাথে পাল্লা দিয়ে কমেছে বই প্রেমীর সংখ্যা বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
ট্রেলারের ধাক্কায় ভেঙে পড়লো রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স কাউন্টার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ মার্চ:: ট্রেলারের ধাক্কায় চুরমার হয়ে গেল টোল ট্যাক্সের টিকিট কাউন্টার। ঘটনা আজ ২৩ মার্চ দুপুর একটা নাগাদ বাংলা- ঝাড়খন্ড সীমান্তে রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স কেন্দ্রে। এদিন কলকাতা থেকে উচ্চ বাতিস্তম্ভ নিয়ে একটি ট্রেলার ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। এই সময় ট্রেলারের পিছনের দিকের অংশ টোল ট্যাক্স আদায়ের কাউন্টারের সঙ্গে কোন কারনে আটকে যায়। এরফলে কাউন্টারটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। তখন ভেতরে টোল সংগ্রহের কর্মীরা ছিলেন। কিন্তু দুর্ঘটনার কারণে তাদের কোন চোট লাগেনি বলে জানা গেছে। জানা গেছে এই ট্রেলারের ( নং এন এল ০১ জি ৮৭৭৫) মালিক টাটার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে রূপনারায়ণপুর পুলিশ সেখানে যায় এবং ট্রেলারটিকে চালকসহ ফাঁড়িতে আটক করে নিয়ে আসে।@প্রান্তভূমি
আপাতত স্থগিত সোম মঙ্গলের ব্যাঙ্ক ধর্মঘট

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: আগামী ২৪ ও ২৫ মার্চ অর্থাৎ সোম এবং মঙ্গলবার প্রস্তাবিত ব্যাংক ধর্মঘট আপাতত স্থগিত হয়ে গেল। এরফলে আজ শনিবার থেকে পরপর চার দিন ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা থেকে অব্যাহতি পেলেন গ্রাহকেরা। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি প্রবীর মজুমদার বলেন এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে পুনরায় বৈঠক হবে এবং তাতে ধর্মঘটের সমর্থনে যেসব দাবি রাখা হয়েছিল তা নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস পাওয়ায় ধর্মঘট স্থগিত হয়ে গেল। তিনি বলেন ধর্মঘটের জন্য দেশব্যাপী অফিসার এবং কর্মীরা সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়েছিলেন। জানা গেছে ২১ মার্চ সকাল থেকে এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাসোসিয়েশন বা আইবিএ, ডিএফএস পদাধিকারীরা অংশ নেন। সেন্ট্রাল লেবার কমিশনার নিজে দাবি-দাওয়াগুলি সম্পর্কে নজর রাখার আশ্বাস দেন। বিশেষ করে ব্যাংকগুলিতে মারাত্মক কর্মী সংকট মেটাতে নতুন নিয়োগ এবং সপ্তাহে পাঁচ দিন কর্ম দিবস চালুর বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়। দিনভর আলোচনা শেষে সরকার পক্ষের ইতিবাচক মনোভাবের আশ্বাসে ধর্মঘট থেকে বিরত থাকার আপাতত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ধর্মঘট স্থগিত হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে গ্রাহকদের মনে।@প্রান্তভূমি
সাংসদ তহবিলের অর্থে কলেজে নতুন ভবনের উদ্বোধন করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: সাংসদ কোটার টাকায় চিত্তরঞ্জনে দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের ভাষা ভবনের দ্বিতল বর্ধিত হল। নতুন এই ভবনের উদ্বোধন করলেন আসানসোল লোকসভার সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। 22 মার্চ এই আয়োজন উপলক্ষে সাংসদদের সাথে উপস্থিত ছিলেন কলেজ পরিচালন সমিতির সভাপতি মুকুল উপাধ্যায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, জেলা পরিষদ সদস্য বেবি মন্ডল, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, ব্লক মহিলা তৃণমূল সভাপতি অপর্ণা রায়, ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি ভোলা সিং প্রমুখ। এদিন ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দশটি শ্রেণিকক্ষ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক দুটি আধুনিক শৌচালয়ের উদ্বোধন করা হয়। এই উপলক্ষে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন এই মুহূর্তে শিক্ষার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, তাই সাংসদের দ্বারস্থ হতে হয়েছে কলেজকে। তবে রাজ্য সরকারের থেকে প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। সাংসদ শ্রী সিনহা বলেন পাশে ছিলাম, পাশে আছি, আগামী দিনেও পাশে থাকব - যে কোনো প্রয়োজনে। কলেজে এই উদ্বোধনী কার্যক্রমের মধ্যেই চিত্তরঞ্জনের আই এন টি ইউ সি/ এন এফ আই আর/ সি আর এম সি শ্রমিক সংগঠনের নেতা ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের সাথে বৈঠক হয় সাংসদের। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে কয়েক মিনিটের এই বৈঠকে ইন্দ্রজিৎ বাবু এবং নেপাল চক্রবর্তী চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার হাল হকিকত সাংসদ তথা রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহাকে জানান। অবিলম্বে চিত্তরঞ্জনে নতুন নিয়োগ, বেসরকারি সংস্থার বরাত কমানো সহ বেশ কিছু দাবি তার কাছে রাখা হয়। সাংসদ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আশ্বাস দেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনগামী ট্রেলারের ধাক্কায় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়লো গাড়ির ওপর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ।। আজ সকাল ১০টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর বাউরি পাড়ার সামনে মূল রাস্তায় ইলেকট্রিক পোল ভেঙে চলন্ত গাড়ির উপরে পড়ে। গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও আরোহীরা সুস্থ আছেন। এদিন দুর্ঘটনা ঘটে সি এল ডব্লুর ইঞ্জিন বগি বহনকারী ট্রেলারের জন্য। ট্রেলারের ওপরে রেল ইঞ্জিনের বগি চিত্তরঞ্জনে আসছিল। ডাবর মোড় আসার একটু আগে বাউরি পাড়ার সামনে রাস্তার ওপর দিয়ে যাওয়া ইলেকট্রিক তারে ঐ ট্রেলারের ওপরে থাকা ইঞ্জিনের অংশ আটকে যায়। তারে জোরালো টান পড়ায় ইলেকট্রিক পোল ভেঙে পড়ে। ঐ সময় ট্রেলারের পেছনে নিজেদের গাড়ি নিয়ে রূপনারায়ণপুরে দত্ত জুয়েলার্সের সুনীল দত্ত ও তার ছেলে সৈকত দত্ত আসছিলেন। ইলেকট্রিক পোলটির মাথার দিক সরাসরি এসে পড়ে গাড়ির সামনে। গাড়িটির সামনের কাঁচ ভেঙে যায়। মূল রাস্তায় এই দুর্ঘটনার ফলে বেশ কিছুক্ষণ জ্যাম হয়। দুই দিকের চলাচল থেমে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও চলে আসেন।
টানা বৃষ্টির মধ্যেই ৭৬ জন রক্ত দান করলেন সম্প্রীতি উৎসব মঞ্চে

#প্রান্তভূমি ২১ মার্চ।।
সালানপুর ব্লক সম্প্রীতি উৎসবের দ্বিতীয় দিনের সকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। সকাল থেকে টানা বৃষ্টির মধ্যেই এই শিবিরে ৭৬ জন রক্ত দান করলেন। রক্ত দিলেন ব্লকের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, পঞ্চায়েতের কর্মী সদস্য, গৃহবধূ এবং সমাজের অন্যান্য ক্ষেত্রের মানুষজন। উৎসব কমিটির আয়োজনে এই শিবির সফল করতে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বহু স্বেচ্ছাসেবী অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। রক্তদাতাদের উজ্জীবিত করতে শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জি, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায়, ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি ভোলা সিং সহ বহু বিশিষ্টজন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও সম্প্রীতি উৎসবের এই রক্তদান শিবির অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠল বলে তারা মন্তব্য করেন। শিবিরে একাত্তর জন পুরুষ এবং পাঁচজন মহিলা রক্তদান করেন। উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো এদের মধ্যে ১৮ জন দাতা প্রথমবার রক্ত দিলেন। বাকি ৫৮ জন আগেও রক্ত দিয়েছেন। উৎসব কমিটির সম্পাদক দুর্গাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন সকাল থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি না হলে রক্তদাতার সংখ্যা ১০০ অতিক্রম করে যেত। তবুও এর মধ্যে যারা শিবির সফল করতে সরাসরি এগিয়ে এসেছেন তাদের সকলকে উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে তিনি ধন্যবাদ জানান।@প্রান্তভূমি
সালানপুর ব্লক সম্প্রীতি উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: চারদিনব্যাপী সালানপুর ব্লক সম্প্রীতি উৎসবের বর্ণাঢ্য উদ্বোধন হলো আজ সন্ধ্যায়। উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের প্রতিনিধি স্থানীয় ব্যক্তিরা। এছাড়াও ছিলেন সালানপুর ব্লকের 11 টি পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীরা। ছিলেন এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু গুণীজন। বিকেলে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই আদিবাসী নৃত্য বাদ্য রণপা সহ শোভাযাত্রা রূপনারায়ণপুর এলাকা পরিক্রমা করে। এরপর ইউথ ক্লাব ময়দানের মূল মঞ্চে উদ্বোধনী পর্বে পতাকা উত্তোলন করেন শ্রী উপাধ্যায়। উৎসব কমিটির সম্পাদক দুর্গাশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এই সম্প্রীতি উৎসব আয়োজনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। মূল বক্তব্যে বিধান উপাধ্যায় বলেন মানুষে মানুষে সম্প্রীতির ভাব স্বাধীনতার আগে থেকেই বজায় আছে। তা যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম একই রকম বয়ে চলে - সেই উদ্যোগের অংশই হল এই সম্প্রীতি উৎসব। তিনি বলেন ব্যস্ত জীবনে এই উৎসব প্রাঙ্গণ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হোক। এদিন সালানপুর ব্লকের একাধিক পড়ুয়ার হাতে শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন
ক্ষেত্রের গুণীজনদের সংবর্ধনা, মেধাবী পড়ুয়াদের সম্মান জ্ঞাপন, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদদের সংবর্ধনা জানানোর পাশাপাশি কৃতি পড়ুয়াদের সম্মান জানানো হয়। উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন বিধায়ক সহ অন্যান্য অতিথিবর্গ। এরপর সংগীত, নৃত্যানুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ২৩ মার্চ পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। আগামীকাল সকালে উৎসব প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, বিকালে কবি সম্মেলন সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় খ্যাতনামা শিল্পী গঙ্গাধর তুলিকার সঙ্গীত পরিবেশন হবে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে চুরি আটকে হিরো 'ভালু'

#প্রান্তভূমি ২০ মার্চ।। গৌরাঙ্গ ঘোষ::
কোনও সুরক্ষা বলয় নয়, চিত্তরঞ্জনের আর সাইট এলাকার ৪ নম্বর রাস্তার ৮/বি আবাসনটিকে চুরির হাত থেকে বাঁচালো একটি পথ-কুকুর' ভালু'। ১৭ মার্চ ৮৫ নম্বর রাস্তার ১১/ বি আবাসনের সর্বস্ব চুরি করার পর দুষ্কৃতিরা আর সাইট এলাকার ৪ নম্বর রাস্তার ৮/বি ফাঁকা আবাসনে চুরির উদ্দেশ্যে আসে। সে সময় পাশের ৮/ এ আবাসনের বাসিন্দা সোমা সরকারের কুকুর 'ভালু' অস্বাভাবিক চিৎকার করে দুষ্কৃতিদের দিকে তেড়ে যায়। তার অনবরত চিৎকারে বেরিয়ে আসেন সোমা দেবী। এরমধ্যেই দুষ্কৃতিরা পাশের কোয়ার্টার্সের সামনের দরজার তালা ভাঙার চেষ্টা করছিল। সোমা দেবী তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় তারা আই ও ডব্লুর লোক, কাঠের কাজ করে। কিন্তু বাড়ির মালিকের অনুপস্থিতিতে কেন তারা ঢুকছে সে প্রশ্নের কোন সদুত্তর তারা সোমাদেবীকে দিতে পারেনি। সোমা দেবী বলেন, দুষ্কৃতিরা সংখ্যায় চারজন - দুটি বাইকে চেপে এসেছিল। প্রত্যেকেরই মাথা ঢাকা ছিল হেলমেটে। ভালুর ক্রমাগত চিৎকার এবং মুহুর্মুহু আক্রমণে দুষ্কৃতিরা এ সময় পিছু হটতে শুরু করে। রাস্তার উপর একজন বাইক স্টার্ট করেই রেখেছিল। ভালুর চিৎকার এবং সোমাদেবীর প্রশ্নে অস্বস্তিতে পড়ে এরপর দ্রুত বাইকে চেপে এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতিরা। বড়োসড়ো চুরির হাত থেকে রক্ষা পায় ৮ /বি আবাসনটি।
সোমাদেবী প্রান্তভূমির প্রতিনিধিকে জানান, কুকুরটিকে তারা ৯ বছর আগে রাস্তা থেকে তুলে এনে বড় করেছেন। এখন সে তাদের পরিবারেরই একজন।
৮/বি আবাসনের মালিক গৌতম মহান্তি বলেন, 'আমি গড়বেতা গিয়েছিলাম সপরিবারে, যাকে থাকতে বলেছিলাম সে তার দায়িত্ব পালন করেনি। এক্ষেত্রে কুকুরটি না থাকলে কোনওমতেই চুরি আটকানো যেত না'।@প্রান্তভূমি
হিলটপে গাছ কাটায় বড়ো জরিমানা চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের::বন ও সাধারণ প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: বন দফতরের অনুমতি না নিয়েই গাছ কাটার খেসারত দিতে হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষকে। শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান বন জঙ্গলে ঘেরা হিলটপ অঞ্চল থেকে শাল শিশু সোনাঝুরি ইত্যাদি বহু গাছ বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই কেটে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ৮ ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই শুরু হয়। রেলের মত সরকারি একটি সংস্থার পক্ষে এই ধরনের অনৈতিক কাজকে সংশ্লিষ্ট মহল একেবারেই সমর্থন করেনি। নানাভাবে গাছ কাটার ঘটনা দুর্গাপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার ডঃ অনুপম খানের কাছে পৌঁছালে তিনি আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রূপনারাণপুরস্থিত রেঞ্জ অফিসারকে সরেজমিনে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও আশানুরূপ পদক্ষেপ না হওয়ায় আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরে ডিএফও শ্রী খানকে সক্রিয় হওয়ার জন্য বলেন। এরপর চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের কাছ থেকে চিঠি আসে। এবং শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কাছে প্রায় লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য হন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৬০ টির মত নানা ধরনের গাছ ৮ ফেব্রুয়ারি হিলটপ অঞ্চল থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল। অনেক গাছের গুঁড়িশুদ্ধ উপড়ে ফেলা হয়েছিল, অনেক গাছকেই গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়েছিল। শীতের বিকেলে সেখানে ঘুরতে গিয়ে মানুষজন নির্বিচারে গাছ কাটার সেই দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন এবং তারা বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে ভবিষ্যতে এই একই ঘটনা ঘটালে তখন আর জরিমানা দিয়ে ছাড় পাওয়ার বিষয় থাকবে না, আইনের আওতায় আরো কড়া শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে রেলকে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল বলেন বিষয়টি উচ্চ কর্তৃপক্ষ জানেন। এরপর সংস্থার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করলেও তাকে পাওয়া যায়নি, তার ফোন থেকে সিস্টেম জেনারেটেড প্রত্যুত্তর 'আই উইল কল ইউ ব্যাক' পাওয়া যায়। বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার চিরঞ্জীব সাহা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান ১৮ মার্চ রেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু অর্থ বনবিভাগকে এজন্য দিয়েছেন। অন্যদিকে আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য পরিবেশ রক্ষায় সাধারণ মানুষ থেকে সরকারি বেসরকারি সমস্ত সংস্থার সদর্থক উদ্যোগ প্রার্থনা করেছেন।@প্রান্তভূমি
আতঙ্কের শহর চিত্তরঞ্জন:: কোয়ার্টার্সে পড়লো বোম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১৯ মার্চ।।
ক্রমশ আতঙ্কের শহরে পরিণত হচ্ছে চিত্তরঞ্জন। বন্ধ ঘরে চুরি, শুনশান রাস্তায় ছিনতাই সহ নানান ঘটনার পর এবার একেবারে কোয়ার্টার্সের ছাদে বোম ছোঁড়ার মত ঘটনা সামনে এলো। ১৮ মার্চ রাত পৌনে দশটা নাগাদ শহরের ছয়েরপল্লী এলাকায় ৩৭ নম্বর রাস্তার ৪৯ / বি কোয়ার্টার্সে এই ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ওই রেল কর্মীর পরিবার। জানা গেছে এখানে থাকেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ১৯ নম্বর শপের কর্মী সুশান্ত কুমার ঘোষ। ১৮ মার্চ সুশান্ত বাবু নাইট ডিউটিতে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ছিলেন তার স্ত্রী, পুত্র এবং ৭৮ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা বেলি ঘোষ। সিসিটিভির ছবিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে দুটি কম বয়সী ছেলে একটি বাইকে চড়ে ঐ কোয়ার্টার্সের সামনে দিয়ে পার হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ওই ছেলে দুটি হেঁটে সেখানে ফিরে আসে এবং আগুন জ্বালিয়ে একটি বোম কোয়ার্টার্সের দিকে ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। বিকট শব্দ করে বোমটি ফাটে এবং তীব্র কটূ গন্ধ ও ধোঁয়ায় এলাকা ঢেকে যায়। হঠাৎ এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কোয়ার্টার্সের ভেতরে থাকা লোকজন। ভয়ে তারা বাইরেও বেরিয়ে আসতে সাহস পাচ্ছিলেন না। ইতিমধ্যে রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ সুশান্ত বাবু ডিউটি থেকে ফিরে এলে সমস্ত ঘটনা শুনে ছয়ের পল্লীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস ওয়ার্ডেন বাপ্পা কুন্ডুকে ঘটনার কথা জানান। বাপ্পা বাবু সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছান এবং চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ও আরপিএফকে বিষয়টি জানান। জানা গেছে বোমের আঘাতে কোয়ার্টার্সের সামনের দিকের অ্যাসবেসটস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দুষ্কর্মের অভিযোগে গ্রেপ্তার চিত্তরঞ্জনের টোটো চালক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের এক টোটো চালককে গ্রেফতার করেছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। যে টোটোয় চাপিয়ে এই দুষ্কর্ম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সেই টোটোটিকেও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে গেছে। চিত্তরঞ্জন পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে অভিযুক্ত টোটো চালক পকসো আইনের আওতায় আপাতত আড়াই মাস জেল হেফাজতে গেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার কন্যাকে এক পরিচিত টোটো চালক নিয়মিত স্কুল এবং টিউশনিতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা করতেন। ওই টোটো চালককে রেল কর্মীর পরিবার যথেষ্ট ভরসা ও বিশ্বাস করতেন। কিন্তু এরই মধ্যে একদিন বিকেল তিনটে নাগাদ টিউশনি নিয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর সাথে টোটো চালক দুষ্কর্ম করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির শরীরের বিশেষ জায়গায় কিছু অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয় এবং তারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই পুলিশকে জানালে চিত্তরঞ্জন পুলিশ দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে এবং ১৬ মার্চ অভিযুক্ত ওই টোটো চালককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত টোটো চালক বিবাহিত। সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না ছাত্রীর পরিবারের কেউই। এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মহঃ ইসমাইল আলি বলেন পরিচিত মানুষের গন্ডির মধ্যেই বিশ্বাসহীনতার এই কাজ সমাজের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। তিনি বলেন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ সক্রিয় হয় এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন এসব ক্ষেত্রে অযথা মুখ লুকিয়ে না থেকে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সেই সহযোগিতা এক্ষেত্রে পাওয়ায় তিনি ওই পরিবারটিকে ধন্যবাদ দেন। ওই পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে দুষ্কর্মের অভিযোগে গ্রেপ্তার টোটো চালক, চিত্তরঞ্জন পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপে হাজতে অভিযুক্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের এক টোটো চালককে গ্রেফতার করেছে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। যে টোটোয় চাপিয়ে এই দুষ্কর্ম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ সেই টোটোটিকেও পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে গেছে। চিত্তরঞ্জন পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের ফলে অভিযুক্ত টোটো চালক পকসো আইনের আওতায় আপাতত আড়াই মাস জেল হেফাজতে গেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগে প্রকাশ, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার কন্যাকে এক পরিচিত টোটো চালক নিয়মিত স্কুল এবং টিউশনিতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা করতেন। ওই টোটো চালককে রেল কর্মীর পরিবার যথেষ্ট ভরসা ও বিশ্বাস করতেন। কিন্তু এরই মধ্যে একদিন বিকেল তিনটে নাগাদ টিউশনি নিয়ে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীর সাথে টোটো চালক দুষ্কর্ম করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির শরীরের বিশেষ জায়গায় কিছু অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয় এবং তারা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই পুলিশকে জানালে চিত্তরঞ্জন পুলিশ দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ করে এবং ১৬ মার্চ অভিযুক্ত ওই টোটো চালককে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত টোটো চালক বিবাহিত। সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না ছাত্রীর পরিবারের কেউই। এ প্রসঙ্গে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মহঃ ইসমাইল আলি বলেন পরিচিত মানুষের গন্ডির মধ্যেই বিশ্বাসহীনতার এই কাজ সমাজের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর। তিনি বলেন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ সক্রিয় হয় এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। তিনি বলেন এসব ক্ষেত্রে অযথা মুখ লুকিয়ে না থেকে অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার জন্য বাড়ির লোকজনের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সেই সহযোগিতা এক্ষেত্রে পাওয়ায় তিনি ওই পরিবারটিকে ধন্যবাদ দেন। ওই পরিবারের পক্ষ থেকেও পুলিশের সক্রিয় সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
এলেন পিএমজি, দীর্ঘ প্রচেষ্টায় স্থানান্তরিত হলো হিন্দুস্তান কেবলস পোষ্ট অফিস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: ভগ্নদশার ঘর থেকে একেবারে ঝাঁ চকচকে অফিসে উঠে এলো হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিস। সুদীর্ঘকাল ঘরে এই পোস্ট অফিস কেবলস নিউ কলোনির একটি কোয়ার্টার্সে চলছিল। কিন্তু কেবলস কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই পোস্ট অফিসটিকে সেখান থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সেই উদ্যোগ আজ ১৯ মার্চ ফলপ্রসূ হলো। পোস্ট অফিসটি উঠে এলো দেশবন্ধু পার্কে হিন্দুস্তান কেবলস রোডের উপর যমুনা টুইন্স আবাসনের নিচ তলায়। হাজার বর্গফুটের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সহ এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন পোস্টমাস্টার জেনারেল দক্ষিণবঙ্গ ঋজু গাঙ্গুলি। ছিলেন আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিসেস অংশুমান বেদান্তি, ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত সামন্ত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সমাজসেবী বিজয় সিং সহ অন্যান্যরা। আজ থেকেই পুরনো বিল্ডিংয়ের পরিবর্তে নতুন এই জায়গায় পোস্ট অফিসের কাজকর্ম চালু হয়ে গেল। এই প্রসঙ্গে পোস্টমাস্টার জেনারেল শ্রী গাঙ্গুলি বলেন জনসাধারণকে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই পোস্ট অফিস আগের চেয়ে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তিনি এদিন সুকন্যা সমৃদ্ধি, মহিলা সম্মান প্রকল্প সহ অন্যান্য প্রকল্পে যারা এই পোস্ট অফিসের মাধ্যমে লগ্নি করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের হাতে পাস বই, স্মারক ইত্যাদি তুলে দেন। কথা প্রসঙ্গে প্রান্তভূমির সম্পাদক অভয় মন্ডলকে পোস্টমাস্টার জেনারেল শ্রী গাঙ্গুলি বলেন, শীঘ্রই হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিসে আধার পরিষেবা শুরু করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, যাদের কোন অ্যাকাউন্ট নেই সেই সব ব্যক্তিদের কাছে পোস্ট অফিস পৌঁছে যাবে এবং তাদের অন্তত একটি সেভিংস একাউন্ট পোস্ট অফিসে খোলার উদ্যোগ নেবেন। পোস্ট অফিসে এটিএম চালুর বিষয়েও এ বছরের জুন মাসের পর ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে তিনি আশ্বাস দেন। এছাড়াও তাকে প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের যে তিনটি গ্রাম - ধাঙ্গুড়ি, ডোমদহ, কাশিডাঙ্গা ঝাড়খন্ড রাজ্যের মিহিজাম পোস্ট অফিসের অন্তর্ভুক্ত রয়ে গেছে সেগুলি কখন এ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হবে? এর উত্তরে পোস্টমাস্টার জেনারেল বলেন অতিশীঘ্রই বিষয়টি ইতিবাচক রূপ পাবে। তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আসানসোল ডিভিশনের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট শ্রী সামন্তকে এর জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র তার কাছে দ্রুততার সাথে পাঠানোর নির্দেশ দেন। যদিও এ বিষয়ে শ্রী সমন্ত বলেন ইতিমধ্যেই বিষয়টি অনেক দূর এগিয়েছে, কেন্দ্রীয় ডিরেক্টরেট থেকে কলকাতায় কিছু কাগজপত্র চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে । পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কাছ থেকে সেই সব কাগজপত্র পিএমজি অফিসে পাঠানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। এ বিষয়ে কলকাতার এক আধিকারিক নিরন্তর চেষ্টা করছেন বলেও ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট আশ্বস্ত করেন পোস্টমাস্টার জেনারেলকে। এ বিষয়ে পোস্টমাস্টার জেনারেল উদ্যোগী হবেন বলে আশ্বস্ত করেন। হিন্দুস্তান কেবলস, রূপনারায়ণপুর, সালানপুর পোস্ট অফিসে স্থায়ী পিয়ন নিয়োগের বিষয়ে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও এদিন জানা যায়। সবশেষে পোস্টমাস্টার জেনারেল সকলের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন তারা আরো বেশি বেশি করে এই পোস্ট অফিসকে তাদের কাজে ব্যবহার করুন, চিঠি পার্সেল পাঠানোর পাশাপাশি সরকারের নানান লাভজনক প্রকল্পে অর্থ রাখুন। পোস্টমাস্টার জেনারেল ঋজু গাঙ্গুলির ইতিবাচক কথাবার্তা উপস্থিত সকলকেই মুগ্ধ করে।@প্রান্তভূমি
স্তন প্রতিস্থাপন করে নজির আসানসোল জেলা হাসপাতালের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ মার্চ:: চিকিৎসা ক্ষেত্রে দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করল আসানসোল জেলা হাসপাতাল। এই প্রথম জেলা হাসপাতালে এক মহিলার স্তন প্রতিস্থাপনের মতো জটিলতর অপারেশন সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হল। কলকাতার বাইরে কোনো জেলা হাসপাতালে এই ধরনের জটিল ও ব্যয়বহুল অপারেশন সফলতার সঙ্গে শেষ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে বিশেষ আশার সঞ্চার হয়েছে। জানা গেছে সালানপুর ব্লকের এক মহিলা তার স্তনে টিউমারের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসকেরা যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে টিউমারটিকে অপারেশনের মাধ্যমে বাদ দেন। এরপর নিয়মমাফিক বায়োপসি করতে গিয়ে জানতে পারেন সেখানে ক্যান্সারের জীবাণু বাসা বেঁধেছে। এইসব ক্ষেত্রে মহিলার সুস্থতার জন্য স্তন কেটে বাদ দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হন চিকিৎসক মহল। কিন্তু এক্ষেত্রে মহিলা তার স্তন বাদ না দিয়ে অন্য উপায় খোঁজার জন্য অনুরোধ করেন। এরপর বিষয়টি নিয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসা বিভাগ কলকাতার পিজি হাসপাতালের বিশিষ্ট চিকিৎসক স্তন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দীপ্তেন্দ্র সরকারের সাথে আলোচনা করেন। তিনি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে জানান যে এক্ষেত্রে ব্রেস্ট ট্রান্সপ্লান্ট বা স্তন প্রতিস্থাপন সম্ভব হবে। কিন্তু এই অপারেশন যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তবে আসানসোল কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এই ব্যয়বহুল অপারেশনের আর্থিক দায় বহন করতে রাজি হয়। এবং শেষ পর্যন্ত আজ ১৮ মার্চ ডাক্তার দীপ্তেন্দ্র সরকার, এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক ডাক্তার রণিত রায় ও জেলা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক দলের সার্বিক প্রয়াসে এই অপারেশন সম্পন্ন হয়। বিষয়টিকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। তার কারণ স্তন একেবারে বাদ না দিয়ে প্রতিস্থাপন করার মধ্য দিয়ে ক্যান্সারের মতো রোগের চিকিৎসায় জেলা হাসপাতালের এই সাফল্য অন্যান্যদেরও উৎসাহিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ব্যয়বহুল এই অপারেশন যাতে জেলায় সরকারি ব্যয়ে করা যায় সেই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
দিন দুপুরে চিত্তরঞ্জনে দুষ্কৃতি তাণ্ডব

#প্রান্তভূমি ১৭ মার্চ।।
এবার দিনে দুপুরে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে চোরেদের তাণ্ডব দেখা গেল। আজ ১৭ মার্চ একই দুপুরে দুটি রেল আবাসনে হানা দিল তারা। এরমধ্যে একটি আবাসনের তালা ভেঙে লুটপাট চালাতে পারলেও আরেকটিতে বিফল হতে হয়েছে দুষ্কৃতীদের। তবে এই ঘটনা আধুনিক এই রেল শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড়ো প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল আবারও। এখানে রাজ্য পুলিশের পূর্ণাঙ্গ থানা, আরপিএফের নজরদারি আইজি পদমর্যাদার আধিকারিকের অধীনে তবুও কি করে দুষ্কৃতীরা এই দুঃসাহস পাচ্ছে তা নিয়েই বিস্ময় দেখা দিয়েছে।
আজ দুপুর দুটো নাগাদ জানা যায় যে চিত্তরঞ্জন শহরের সিমজুড়ি এলাকার ৮৫ নম্বর রাস্তায় ১১/ বি আবাসনের তালা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে খাট আলমারি তছনছ করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে। এই আবাসনে থাকেন রেল কর্মী বিচিত্র কুমার সিং। তিনি জিএম অফিসে কর্মরত। একসময়ে তিনি আরপিএফে কর্মরত ছিলেন । জানা যায় বিচিত্র বাবু ৮ মার্চ থেকে ছুটিতে আছেন। তিনি তার আবাসন তালা বন্ধ করে পাশের ৮৪ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা রাজেশ সিংকে সেটি দেখাশোনার ভার দিয়ে গিয়েছিলেন। আবাসনের চাবিও দিয়ে গিয়েছিলেন রাজেশ বাবুর কাছে। কিন্তু জানা যায় যে রাজেশ বাবু নিজে না থেকে ওই আবাসন দেখভালের দায়িত্ব কুশবেদিয়া ডাঙ্গালের বাসিন্দা মহেশ গিরিকে দেন। যদিও আরপিএফ এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে যে আবাসন তালা বন্ধ থাকার বিষয়টি বিচিত্র বাবু তাদের কাছে জানিয়ে যান নি। এদিকে চুরির সংবাদ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে আরপিএফ। সক্রিয় হয় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশও। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে শহরের ৪ নম্বর রাস্তার ৮/ বি আবাসনেও হানা দেয় চোরেরা। এখানে থাকেন রেল কর্মী গৌতম মহান্তি। এই আবাসনটিও তালা বন্ধ ছিল। তবে পাশাপাশি মানুষজনের তৎপরতায় এবং পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয়তায় এখানে চোরেরা ঢুকলেও বিপদ আঁচ করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় রেল শহরের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শহরের বাসিন্দারা। তারা বলেন একেই রেল কর্মীর সংখ্যা কমছে, দোকান বাজার ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ফলে রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কম হয়েছে। এই অবস্থায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা না হলে নিত্যদিন চুরি ডাকাতি হতেই থাকবে। শুধু রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি না করে দিনেও রেল শহরের শুনশান রাস্তায় পুলিশের অতিরিক্ত টহলদারির দাবী জানিয়েছেন তারা।@প্রান্তভূমি
ডাবর ডিসপেনসারি সংলগ্ন পাহাড়ে আগুন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ মার্চ:: সালানপুর ব্লকের সামডি অঞ্চলে ইসিএলের ডাবর ওসিপি ডিসপেনসারি সংলগ্ন পাহাড়ে আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক ছোট বড় গাছ। স্থানীয়দের অভিযোগ কিছু ছেলে আজ ১৫ মার্চ সকাল থেকে এখানে ঘোরাফেরা করছিল সম্ভবত কয়লা চুরির উদ্দেশ্যে। তারাই বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এখানে আগুন ধরিয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে কোলিয়ারির শ্রমিক নেতা দীনেশলাল শ্রীবাস্তব কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজারকে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং ঘটনাস্থলে গিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। ঐ এলাকায় বহু শিশু গাছ সহ নানা ধরণের গাছ প্রাকৃতিক উপায়েই বেড়ে উঠেছে। তার অধিকাংশই আজ পুড়ে গেল বলে
স্থানীয়রা জানান। বর্তমান সময়ে বিশ্ব উষ্ণায়ন যেভাবে বেড়ে চলেছে তাতে পৃথিবীকে রক্ষা করতে আরো অনেক গাছ লাগানোর প্রয়োজন। কিন্তু হচ্ছে উল্টো । তারা আরও বলেন জমি মাফিয়াদের জমি প্লটিংয়ের উদ্দেশ্যে গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ আমরা প্রায়শই দেখি। কিন্তু এইভাবে আগুন লাগিয়ে যদি জঙ্গলকে ধ্বংস করা হয় তবে কোটি কোটি টাকা দিয়েও পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না বলে তারা আক্ষেপ করেন। তারা বলেন, সরকারের সাথে জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে ফাঁকা জমিতে গাছ লাগিয়ে, জঙ্গল সৃষ্টি করে প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য।@প্রান্তভূমি
রং খেলার পর বন্ধুদের সঙ্গে স্নানে গিয়ে ডুবে মৃত্যু ডিএভি স্কুল-ছাত্রের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। বি প্র ।। ১৫ মার্চ:: আজ সকাল 11টা নাগাদ বছর ১৪'র কিশোর শুভময় তেওয়ারি ( পিতা সুব্রত তেওয়ারি, বাড়ি তেঁতুলিয়া-কন্যাপুর) দোল খেলার পরে কৈলাসধাম নামক পুকুরে স্নান করতে গিয়ে জলে ডুবে মারা যায়। সাথে থাকা বন্ধুরা সকলেই তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে কিন্তু কেউ সাঁতার কাটতে না জানায় তারা জলে নামার সাহস পায়নি। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে এসে বাড়িতে বড়দের খবর দেয় এবং বড়রা গিয়ে দেখেন শুভময় জলে ডুবে গেছে । সেই সময় তারা সেনরালে ফাঁড়িতে খবর দিলে ফাঁড়ির বড়বাবু সাথে সাথে সেখানে পৌঁছান। পুলিশ জেসিবি মেশিন ও স্থানীয়দের চেষ্টায় শুভময়কে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাড়ির একমাত্র পুত্র সন্তানকে হারিয়ে তেওয়ারি পরিবার সহ পুরো পাড়া শোকোস্তব্ধ। শুভময় আসানসোল ডিএভি মডেল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন স্টেশনে রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন স্টেশনে রেলে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই অঘটন ঘটে। রাত আটটা কুড়ি নাগাদ চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে তাকে আনা হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে দু'নম্বর প্ল্যাটফর্ম ও ডাউন রেল লাইনের মাঝে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হওয়ার পর আরপিএফ তাকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে কেজি হাসপাতালে আনার পথেই তার মৃত্যু হয়। তার নাম কালাচাঁদ মন্ডল, বাড়ি মিহিজাম কেলাহীতে। সম্ভবত তিনি জামতাড়া থেকে আসছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
দোলের সন্ধ্যায় বাইপাস জাতীয় সড়কে মৃত্যু রূপনারায়ণপুরের যুবকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: বাইপাস জাতীয় সড়কে ভয়ানক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রূপনারায়ণপুরের এক যুবকের। মৃতের নাম সৌমিত্র দাস ওরফে অজয় (৩০)। তার বাড়ি রূপনারায়ণপুর জয়া রিসেপশনের বিপরীত দিকে ইন্ডিয়ান অয়েল পাইপ লাইনের গলি সংলগ্ন এলাকায়। অজয় এবং তার বোন নিশা প্রতিদিনই একই বাইকে রানীগঞ্জে ডিউটিতে যান, আবার একসঙ্গেই ফিরে আসেন। কিন্তু আজ ডিউটি শেষে অজয় তার বোনকে বাসে তুলে দেন এবং নিজে অন্ডাল অঞ্চলে আত্মীয়ের বাড়িতে দেখা করতে যান। সেখান থেকেই রূপনারায়ণপুরে ফেরার পথে জুবিলি মোড় সংলগ্ন গীতাঞ্জলি হোটেলের কাছাকাছি জাতীয় সড়কে তার বাইকে চলন্ত ট্রাক ধাক্কা মারে বলে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন। রক্তাপ্লুত অবস্থায় অজয়কে হাইওয়ে অ্যাম্বুলেন্স উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আজ দোল পূর্ণিমার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনায় রূপনারায়ণপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রূপনারায়ণপুর থেকে তাদের বাড়ির লোকজন আসানসোল জেলা হাসপাতালে পৌঁচেছেন বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
দুষ্কৃতিদের প্রকাশ্য রাস্তায় প্যারেড করালো পুলিশ, জনসাধারণের মন থেকে ভয় দূর করতে অভিনব পদক্ষেপ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: ব্যাপারটা সিনেমার মতো মনে হলেও আসলে কিন্তু সত্যিই ঘটালো পুলিশ। কুখ্যাত দুষ্কৃতিদের গ্রেফতার করার পর সাধারণের মধ্যে তাদের নিয়ে যে ভয় আছে তা খতম করার জন্য শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে তাদের প্যারেড করালো। বিস্ময়ের সঙ্গে রাস্তা দুধারে দাঁড়িয়ে মানুষজন সেই দৃশ্য উপভোগ করলেন। তারা দেখলেন যাদের ভয়ে এতদিন তারা মুখ লুকিয়ে থাকতেন আজ সেই দুষ্কৃতিরাই জনগণের কাছ থেকে নিজেদের মুখ লুকানোর চেষ্টা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচি শহরে। ১৩ মার্চ রাঁচি পুলিশ আমন সাউ গ্যাংয়ের তিন কুখ্যাত দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে। এরপর তাদের জেলে পাঠানোর আগে মেন রোডে প্যারেড করায়। পুলিশের একমাত্র উদ্দেশ্য, এইসব দুষ্কৃতিদের নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় আছে তা দূর করা। সেজন্যই প্রকাশ্য দিবালোকে তাদের হাঁটানো হয়। পুলিশ রাঁচি এবং অন্যান্য থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে অজয় সিং, সমীর বাগচী ওরফে কাল্লু বাঙালি এবং ওয়াসিম আনসারিকে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলায় জড়িত অজয়ের বিরুদ্ধে রাঁচিতেই ১৪ টি মামলা দায়ের হয়েছে। কাল্লু বাঙালি এবং ওয়াসিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত চারটি করে মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল গুলি বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে রাঁচি পুলিশ। এ প্রসঙ্গে পুলিশের একটি মহল বলছে অপরাধীদের আইনত শাস্তির পাশাপাশি তাদের প্রকাশ্যে এইভাবে হীনবল করে দিতে পারলে দুষ্কর্মের মাত্রা অনেকটাই কম হবে। এদের নিয়ে মানুষের মনে যে ভয় আছে তাও উধাও হবে। এমন পদক্ষেপ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এলাকাগুলিতেও হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে অনেকেই মনে করেন।@প্রান্তভূমি
.

.
যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে আসানসোল মেন মার্কেট থেকে সরে যাচ্ছে হোলসেল বাজার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ মার্চ:: শীঘ্রই আসানসোল হোলসেল মার্কেটের তীব্র যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন স্থানীয় মানুষজন। প্রতিদিন রাত ন'টা থেকে পরের দিন সকাল ন'টা পর্যন্ত জিটি রোডের ধারে আসানসোল মেন মার্কেটের মধ্যে এই হোলসেল বাজার পথচারী, সমস্ত ধরনের গাড়ি ঘোড়ার চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি করে। রাতভর হৈচৈ, দূষণে জেরবার হয় এলাকা। নিত্য যানজটে নাভিশ্বাস ওঠে । এবার এই হোলসেল বাজার কালিপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল জেলা প্রশাসন। বিষয়টিতে সম্পূর্ণ সহমত হলো আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। আজ ১২ মার্চ এই বিষয়ে জেলাশাসক এস পোন্নামবলমের সভাপতিত্বে জেলাশাসক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের সঙ্গেই অংশ নেন আসানসোল কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক এবং মেয়র পারিষদ গুরুদাস চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপে ৩০ জন ফল ব্যবসায়ীকে পাইকারি বাজার থেকে কালিপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করার জন্য লটারি করা হবে। ২০ এপ্রিলের মধ্যে এই ৩০ জনকে আসানসোল মেন মার্কেট এলাকা থেকে কালীপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করা হবে। পরবর্তী ধাপে সবজি ও মাছের পাইকারি বাজারকে কালীপাহাড়িতে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করা হবে। আগেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিলেও তা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন এবং আসানসোল কর্পোরেশন যৌথভাবে এই বিষয়টিকে চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকা করেছেন। আসানসোল মেন মার্কেট অঞ্চলে কোনভাবেই এইসব পাইকারি বাজার আর চলতে দেওয়া হবে না বলে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
ওসির আবাসন, মহিলা ব্যারাক গড়ে উঠলো রূপনারায়ণপুরে:: রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে নবনির্মিত ভবনের সূচনায় পুলিশ কমিশনার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন:: ১২ মার্চ।।
এতদিন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে ওসির দায়িত্ব নিয়ে কোনো আধিকারিক এলে তার প্রথম কাজ হতো একটি মনের মত বাসস্থানের খোঁজ করা। সব সময় যে তা পাওয়া যেত তেমনটাও নয়। কারণ রূপনারায়ণপুর ওসির নিজস্ব কোন আবাস এতদিন গড়ে ওঠেনি। ফলে স্থানীয় এলাকাতেই কোন ঘর বা ফ্লাট তাকে ভাড়ায় নিতে হতো। এছাড়াও সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে থানার পাশাপাশি ফাঁড়িতেও ২৪ ঘন্টা ডিউটিতে থাকতে হচ্ছে মহিলা পুলিশ কর্মীদের। পুরুষ পুলিশ কর্মীদের জন্য ফাঁড়ি চত্বরে ব্যারাক থাকলেও মহিলা কনস্টেবলদের থাকার জন্য ভরসা ছিল বাইরের ভাড়া নেওয়া ঘর। এই অসুবিধা বুঝে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি এবং রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য। বিষয়টিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ যোগান এসিপি পশ্চিম সন্দীপ কাররা। এরপর খুব কম সময়ের মধ্যেই সার্বিক উদ্যোগে ফাঁড়ি চত্বরেই তৈরি হলো মহিলা কনস্টেবলদের থাকার জন্য ব্যারাক এবং ওসির নিজস্ব আবাসন। আজ ১২ মার্চ এই পরিষেবার উদ্বোধন করলেন আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার আইপিএস সুনীল কুমার চৌধুরী। ছিলেন ডেপুটি কমিশনার পশ্চিম সন্দীপ কাররা এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কুলটি জাবেদ হোসেন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ট্রাফিক কুলটি জোন সৌরভ চৌধুরী, চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ মহঃ ইসমাইল আলি, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি ও রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, কল্যানেশ্বরীর ওসি লাল্টু পাখিরা। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পুলিশ কর্মী, আধিকারিক, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং সংশ্লিষ্টদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে এই ব্যারাক এবং ওসির আবাসনের উদ্বোধন হলো। যাকে সাধুবাদ জানিয়ে পুলিশ কমিশনার শ্রী চৌধুরী বলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই সামাজিক প্রয়োজনে সব সময় পুলিশ সরাসরি এগিয়ে আসে, আজকের রক্তদান শিবির তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি বলেন সকলে মিলেমিশে ভালো কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িকে থানায় রূপান্তরিত করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুলিশ কমিশনার বলেন বিষয়টি উচ্চ স্তরে বিবেচনাধীন আছে। এদিন শিবিরে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংকের ইনচার্জ ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জি। তিনি পুলিশের এই ভূমিকার প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুব্রত দাস।
জমি টাকার বিবাদেই সবক শেখাতে গুলি বিনয়কে:: বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্ত এখন দুষ্কর্মের মুক্তাঞ্চল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম কানগোই মেন রোডে গুলি চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। চলন্ত বাইক থেকে ৭ মার্চ দুপুরে পিছন থেকে গুলি করা হয়েছিল বিনয় যাদবকে (৪৫)। পিঠের দিক থেকে গুলি লেগে পাঁজরে আটকে গিয়েছিল বিনয়ের, সে এখন দুর্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছে। এই ঘটনার সঙ্গে জমি এবং টাকার বিবাদ জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ধরা পড়েছে শান্তনু মাহাতো (৩২), রাহুল রাজ (১৮) এবং সুমিত গুপ্তা (২০)। জামতাড়ার ডি এস পি আনন্দ বিকাশ লঙ্গুরি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন এরা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছে। পুলিশকে তারা জানিয়েছে বিনয় শান্তনুর কাছ থেকে নেওয়া এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা শোধ করছিল না। অন্যদিকে রাহুলকেও নানান অছিলায় গালিগালাজ করত বিনয়। এই সব ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই তারা একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র রচনা করে এবং সবক শেখানোর জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বিনয়ের উপরে হামলা চালায়। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি তাজা কার্তুজ, মোবাইল এবং পালসার বাইক বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অভিযুক্ত এক নাবালকের নবনির্মিত বাড়ির সামনের ঝোপে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এছাড়াও পালসার বাইকটিকেও সেই ঘরে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনার পরেই ৭ মার্চ বাইক নিয়ে সুমিত গুপ্তা এবং রাহুল রাজ মুখ ঢেকে ফেরার হয়ে যায়। সেই ছবি এলাকার সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, সুমিতের নামে মিহিজাম থানায় আগেও অস্ত্র আইনে মামলা (১০/২০২৫) রুজু হয়েছিল। এদিকে, ৩০ জানুয়ারি হাসিপাহাড়ি রেল গেটের কাছে ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজে যুক্ত রাহুল সিংকে (২৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত গোবিন্দ যাদবকেও (২৫) পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে। অভিযুক্ত গোবিন্দর অস্থায়ী ঠিকানা রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন হলুদকানালিতে। তবে তার স্থায়ী ঠিকানা বিহারের জমুই জেলার মল্লেপুরে। ধৃত অন্যান্যরা মিহিজাম এবং রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে থাকলেও তাদেরও স্থায়ী ঠিকানা বিহারের নালন্দা, ছাপরা ও জমুই জেলায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্ত অঞ্চল দুষ্কৃতিদের মুক্ত ক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এর আগে মিহিজাম শাস্ত্রী নগরের বাসিন্দা নন্দলাল যাদব (৪০ )কে তার ঘরে ঢুকে দুষ্কৃতিরা গুলি করে হত্যা করেছিল। তার শরীরে তিনটি গুলি লাগে। সেই ঘটনার কিনারা এখনো হয়নি। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, কড়া পুলিশি পদক্ষেপের অভাবে দুষ্কর্ম ঘটিয়ে সহজেই দুই রাজ্যে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অভিযুক্তরা। ভীতিজনক এই অবস্থা থেকে এলাকাকে মুক্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তারা।। @প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে এই প্রথম জটিল অপারেশন করা হল আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: বিশেষ পদ্ধতিতে জটিল অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন করল চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতাল। এই প্রথম শিল্পাঞ্চলের অন্যতম উন্নত এই হাসপাতালে ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে এক রোগিনীর ইউটেরাস এবং ওভারি শরীর থেকে বাদ দেওয়া হল। ৫২ বছর বয়সী ওই মহিলা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন এবং দিন কয়েক পরেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে আগেও ইউটেরাস ওভারি বাদ দেওয়ার জন্য অপারেশন এই হাসপাতালে হত কিন্তু সেই সবই ওপেন সার্জারি বা শরীর কেটে করতে হতো। কিন্তু এবারই প্রথম ওপেন সার্জারি না করে ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতে তা করা হলো। জানা গেছে রূপনারায়ণপুর নিবাসী এক রেল কর্মীর স্ত্রী রক্তক্ষরণ জনিত নানান উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কেজি হাসপাতালে ডাক্তার মানিক কুমারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ডাক্তার বাবু বুঝতে পারেন অপারেশন ছাড়া সুস্থতার পথে ফেরা যাবে না। এরপর সমস্ত দিক বিবেচনা করে তিনি অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ওপেন সার্জারি না করে ল্যাপারোস্কপিক পদ্ধতিতে তা করার জন্য উদ্যোগী হন। এবং এই প্রথম কেজি হাসপাতালে এই অপারেশন সফল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই অত্যন্ত আনন্দিত। ফলে ১০ মার্চ ২০২৫ তারিখটি চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের ইতিহাসে একটি মাইল ফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রইল।@প্রান্তভূমি
গ্রামের ঝোপে নীল গাই! হরিণ ভেবে মানুষের ব্যাপক উৎসাহ, সতর্ক বন বিভাগ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১০ মার্চ।।
শহর লাগোয়া গ্রামের ছোটখাটো ছায়াঘেরা জঙ্গলে একটি হরিণের মতো প্রাণীকে ঘুরতে দেখে এলাকার মানুষের মধ্যে উল্লাস দেখা দিয়েছে। তারা প্রাণীটির ছবি মোবাইল বন্দী করার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন। তবে বন বিভাগের কর্মীরা বলছেন সেটি সম্ভবত হরিণ নয়। বড় চেহারার এই প্রাণীটি নীল গাই হতে পারে বলে তাদের অনুমান। ৯ মার্চ দুপুরে এটিকে দেখা যাওয়ার পর বন বিভাগের কর্মীরা ধরার চেষ্টা করছেন। ধরা পড়লে তার উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে বন বিভাগ। সম্ভবত এই প্রাণীটি ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে কোন ভাবে চলে এসেছে বলে তারা মনে করছেন। কিছুদিন আগে সালানপুর ব্লকের মাইথন জলাধার সংলগ্ন শেষ গ্রাম ধাঙুড়ির কাছাকাছি এই প্রাণীটিকে দেখা গিয়েছিল বলে বন বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন। ৯ মার্চ দুপুরের দিকে এই প্রাণীটিকে কুলটি নিয়ামতপুরের ডেডি গ্রামে দেখা যায়। তারপর থেকেই এলাকার মানুষের ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়েছে প্রাণীটিকে ঘিরে। তবে কোথা থেকে একক এই প্রাণীটি এখানে এসে উপস্থিত হলো সে বিষয়ে বিশেষ কিছু এখনো জানা যায়নি। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে তৃণভোজী এই প্রাণী মানুষের কোন ক্ষতি করে না। আবার কিছুটা বড় চেহারার হওয়ায় শেয়াল বা হায়না জাতীয় প্রাণীও এর কোন ক্ষতি করতে পারে না। সাধারণ মানুষ যাতে অত্যুৎসাহী হয়ে প্রাণীটির কোন ক্ষতি না করেন সে বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে বন বিভাগ। উল্লেখ্য, ডিভিসি কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মাইথন ড্যাম সংলগ্ন হাইডেল এলাকায় হরিণ প্রতিপালনের বড়সড় ব্যবস্থা আছে। প্রথমে স্থানীয় মানুষজন মনে করেছিলেন কোনোভাবে সেখান থেকে কোন হরিণ বাইরে চলে এসেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে বন বিভাগের অনুমান গ্রামের ঝোপঝাড়ে ঘুরে বেড়ানো এই প্রাণীটি হরিণ নয়, নীল গাই।@প্রান্তভূমি
.

.
বিয়ে বাড়িতে বর-কনে পক্ষের মারপিটে মৃত্যু, পন্ড অনুষ্ঠান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মার্চ:: বিয়ে বাড়িতে বরপক্ষ এবং কনে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এক আত্মীয়ের মৃত্যু ঘটলো। অভিযোগ উঠেছে যে তাকে বরপক্ষের লোকেরা গুলি করে হত্যা করেছেন। বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত একাধিকজন গুলি করার বিষয়টি উল্লেখ করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে এবং বলেছে ধারালো কোন অস্ত্রের আঘাতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত সঠিক করে কিছু বলা যাচ্ছে না বলে তারা জানিয়েছেন। ঘটনা ৭ মার্চ রাতের। এদিন অনেক রাতে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার ভামবে কলোনিতে বিয়ে উপলক্ষে বরাকর থেকে বরযাত্রীরা গিয়ে পৌঁছান। সে সময় দুর্গাপুরের কনে বাড়িতে ডান্স প্ল্যাটফর্মে একটি গান বাজছিল। বরপক্ষের লোকেরা সেই গান পরিবর্তন করতে বলেন। যদিও বর পক্ষের এই আবদার মেনে নেন নি কনে পক্ষের লোকেরা। এরপরই বচসা থেকে হাতাহাতি এমনকি লাঠালঠি পর্যন্ত শুরু হয়ে যায়। প্যান্ডেল সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়। গোলমালের মধ্যেই সেখানে উপস্থিত কনে বাড়ির আত্মীয় আর্টিস্ট বেদ (২০) আক্রান্ত হন এবং তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গুরুতর এই ঘটনায় বিয়ে বাড়ির যাবতীয় অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছায়। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। আজ আদালত তাদের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। এ প্রসঙ্গে কনের বাবা জাদুকর বেদ জানিয়েছেন তার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে তাদের আত্মীয় আর্টিস্ট তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তাকে বরপক্ষের লোকেরা গুলি করে মেরেছেন। ঘটনার জেরে তার মেয়ের বিয়ে ভেস্তে যায়। বরাকর থেকে যাওয়া বরপক্ষের এক ব্যক্তি এই প্রসঙ্গে বলেন তিনি সকলকে নিষেধ করেছিলেন মারপিট না করতে। কিন্তু তার কথা কেউ শোনেননি। তাদের সঙ্গেই ঝাড়খন্ড থেকে আসা ৫ ব্যক্তির মধ্যে কেউ হয়তো ওই যুবককে গুলি করেছেন বলে তার আশঙ্কা। সকলেই দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন। যদিও এই বিষয়ে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ বলেছে ঘটনা একটি ঘটেছে, সে বিষয়ে পুলিশ যথাযথ তদন্ত করছে। গুলি চলেছে কিনা জানতে চাইলে ওসি নাসরিন সুলতানা কোন মন্তব্য করেন নি।@প্রান্তভূমি
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অনুষ্ঠানে ৮৭ জন মহিলা রক্তদান করলেন, সফল হল উজ্জীবনের প্রয়াস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মার্চ:: বৃদ্ধাশ্রমের মহিলা আবাসিকদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সকাল শুরু করে স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতি উজ্জীবন। সম্মানিত হন পুরুষ আবাসিকেরাও। তাদেরও শুভেচ্ছা জানানো হয়। ৮ মার্চ দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে রক্তদান সচেতনতা সম্পর্কিত পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন ৭০-এর অধিক মহিলা। এই পদযাত্রা দেশবন্ধু পার্ক থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় উজ্জীবন কার্যালয়ে। এরপর শুরু হয় অন্যান্য বছরের মতই মহিলা রক্তদান শিবির। সাথে ছিল আবৃত্তি সংগীত নৃত্য সহ দীর্ঘ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবের আকারে অনুষ্ঠিত এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমস এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট ভারোত্তোলক সীমা দত্ত চ্যাটার্জী। বিশিষ্ট অতিথি ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ ডাক্তার অনন্যা মুখার্জি। এছাড়াও সমাজের বিভিন্ন স্তরের গুণীজনদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছিল। ছিলেন বিভিন্ন রক্তদাতা সংগঠনগুলির স্বেচ্ছাসেবকেরা। উজ্জীবনের মঞ্চ থেকে স্থানীয় মুষ্টিযোদ্ধা পূরবী কর্মকার, ফুটবল খেলোয়াড় রুপালী বাউরী সহ অভাবের সংসার থেকে লড়াই করে জীবন সংগ্রামে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা শুক্লা ঘোষ, চন্দনা ঘোষকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। মহিলা রক্তদান শিবিরের চতুর্থ বর্ষে এবার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন ৮৭ জন মহিলা। দেরি হওয়ায় অনেকে এদিন রক্ত দিতে না পেরে ফিরে যান। গত বছর মহিলা রক্তদাতার সংখ্যা ছিল ৭৩। প্রতিবছর এই সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বিষয়টিতে সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি হওয়ায় উৎসাহিত উজ্জীবনের কর্মকর্তারা। রক্তদানকে উপলক্ষ করে মহিলাদের সাংগঠনিক দক্ষতা বাড়ছে বলে বিভিন্ন বক্তারা এদিন উল্লেখ করেন। এদিন অত্যন্ত হার্দিক বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সি এম ও এইচ অনন্যা মুখার্জি। তিনি ব্যক্তিগত জীবনের উদাহরণ টেনে সামাজিক উদ্যোগে সকলকে সামিল হওয়ার আবেদন রাখেন। সীমা দত্ত চ্যাটার্জী বলেন শুধু নারী দিবস নয়, ৩৬৫ দিনই মহিলাদের দিন। কারণ নারী ছাড়া কিছুই চলবে না। তিনি বলেন আমাদের এগোনোর ব্যাপার নেই, আমরা ইতিমধ্যেই এগিয়ে আছি। পুরুষ নারী একে অপরের পরিপূরক মন্তব্য করে তিনি বলেন সমাজে নারী-পুরুষ সমান সমান। টিম উজ্জীবনের এই আয়োজন অত্যন্ত সুচারু এবং সুসংগঠিত ছিল। এই শিবিরকে সফল করার জন্য মাসাধিক কাল তারা নিবিড় পরিশ্রম করে গেছেন।@প্রান্তভূমি
.

.
রেল শহরে রাতের অতিথি বুনো শুয়োরের পাল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ৭ মার্চ।।
চিত্তরঞ্জন রেল শহরে গভীর রাতের অতিথি এখন বুনো শুয়োরের পাল। শুনশান রাতে এইসব বুনো শুয়োর এক জঙ্গল থেকে আর এক জঙ্গলে যাতায়াত করছে পালের সব সদস্যকে নিয়ে। ৬ মার্চ রাত্রে এমনই এক পাল বুনো শুয়োরের দেখা মিলল কারখানা সংলগ্ন এলাকায়। এ বিষয়ে এক পশুপ্রেমী বলেন গভীর রাতে এবং শুনশান দুপুরে এরা খাবারের খোঁজে একদিক থেকে আর একদিকে যাতায়াত করে। চিত্তরঞ্জন রেল শহরে মানুষজনের সংখ্যা যত কমছে ততই প্রাকৃতিক গাছপালা বৃদ্ধির সঙ্গেই জীবজন্তুর সহজ গতিবিধিও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন কোন কারনে এদের সামনে পড়ে গেলে কোনরকম চিৎকার চেঁচামেচি বা দৌড় লাগানোর কোন প্রয়োজন নেই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলে এরা সাধারণত মানুষের কোন ক্ষতি করে না। তবে কোনভাবে এরা বিপদের সম্মুখীন হলে দলবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ায়। সেজন্য কেউ যেন এদের উৎপাত না করেন সে বিষয়ে তিনি সকলের কাছে আবেদন রেখেছেন। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় বুনো শুয়োরের যথেষ্ট অবদান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এরা প্রকাশ্যে খুব একটা বের হয় না, ঝোপ জঙ্গল এবং জলার ধারে খাবারের সন্ধানে দিন কাটিয়ে দেয়। চিত্তরঞ্জনে এদের দেখা পাওয়া যথেষ্টই প্রকৃতি-সহায়ক বলে তিনি উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
বিদেশে যাবে চিত্তরঞ্জনের রেল ইঞ্জিন::৭০০ ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সামনের আর্থিক বছরে:: সিআরএমসি'র সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক জিএম-এর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মার্চ:: আন্তর্জাতিক বাজারে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা থেকে নতুন ধরনের অত্যাধুনিক ইঞ্জিন উৎপাদন করে সরবরাহ করার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল। এ বিষয়ে রেল বোর্ড ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে সিএলডব্লু'র জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার সিআরএমসি/এন এফ আই আর/ আইএনটিইউসি'র প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন বলে জানান শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। আজ, ৭ মার্চ এই প্রতিনিধি দল শ্রীকুমারের সাথে দেখা করে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করেন। সেখানেই চিত্তরঞ্জনের তৈরি রেল ইঞ্জিন বিদেশের বাজারে রপ্তানি করার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এছাড়াও ব্যাটারি চালিত শান্টিং রেল ইঞ্জিন তৈরি করার ক্ষেত্রেও চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে বলে এদিন উল্লেখ করা হয়। এ প্রসঙ্গে সিআরএমসি'র সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন যে, যেকোনো ধরনের নতুন উদ্যোগকে এখানকার কর্মীরা সাদরে গ্রহণ করবেন বলে তারা জেনারেল ম্যানেজারকে আশ্বাস দিয়েছেন । কারণ তারা চান না উৎপাদনে বৈচিত্র্য না এনে সিএলডব্লু রুগ্ন হয়ে পড়ুক, কিংবা তার অবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া হিন্দুস্তান কেবলসের মতো হোক। আজকের এই বৈঠকের মাধ্যমে জানা যায় যে, 2025- 26 আর্থিক বছরের জন্য ৭০০ রেল ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে দিয়েছে রেলবোর্ড। এরমধ্যে অন্তত ৬০০টি ইঞ্জিন চিত্তরঞ্জনেই তৈরি করতে হবে, তাহলে এখানকার কর্মীরা ৭০ শতাংশ ইনসেন্টিভ লাভ করবেন। কিন্তু তা না পারলে ইনসেনটিভ ৫০ শতাংশে স্থির থাকবে। এ বিষয়ে ইন্দ্রজিৎ বাবুরা জেনারেল ম্যানেজারকে বলেন চলতি আর্থিক বছরে সর্বোচ্চ ৫৩৫টি ইঞ্জিন চিত্তরঞ্জনে উৎপাদিত হবে। সেখানে এত বেশি পরিমাণে বর্ধিত ইঞ্জিন উৎপাদন করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের। কারণ এই বছর খানেকের মধ্যেই চিত্তরঞ্জনের প্রায় 800 কর্মী অবসর নিলেও তাদের জায়গায় নতুন কর্মী নিয়োগ করা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেনারেল ম্যানেজার তাদের জানিয়েছেন কর্মীদের আরো সক্রিয় হয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সম্পূর্ণ নিয়োজিত হতে হবে, এছাড়া দ্বিতীয় কোন উপায় নেই। এই বৈঠকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালের বেশ কিছু ডাক্তারের খামখেয়ালী ব্যবহার নিয়ে কথা ওঠে। এক চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করেই জেনারেল ম্যানেজার শ্রমিক নেতাদের জানিয়েছেন এরপর আর কোন অভিযোগ পেলে তিনি সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে রেল বোর্ডে কড়া বার্তা পাঠাবেন। এদিন জেনারেল ম্যানেজার শ্রী কুমার ইন্দ্রজিৎ বাবুদের আশ্বাস দিয়ে বলেন খুব শীঘ্রই কেজি হাসপাতালে চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে। হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক অত্যাধুনিক করা ও সিটি স্ক্যান মেশিন বসানো হবে বলে তিনি জানান। এছাড়াও সম্পূর্ণ হাসপাতাল কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করার জন্য ১২০ টি এসি মেশিন লাগানো হচ্ছে বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন। এছাড়াও শহরের কমিউনিটি হলগুলি সংস্কারের দাবি জানালে জেনারেল ম্যানেজার ৫০ লক্ষ টাকা করে ব্যয়ে মোট দেড় কোটি টাকায় আপাতত তিনটি কমিউনিটি হলের আধুনিক সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন।@প্রান্তভূমি
চলন্ত বাইক থেকে গুলি, বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে ভরদুপুরে রোমহর্ষক কান্ড

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: ভরদুপুরে শুট আউটের ঘটনা এবার বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমানা ঘেঁষা কানগোইয়ে। রূপনারায়ণপুরের দিক থেকে মিহিজামের দিকে চলে যাওয়া ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে কানগোই এলাকার জেএমএম কার্যালয়ের পাশে ভয়ংকর এই ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রাষ্ট্রীয় জনতা দলের জামতাড়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি ভোলা যাদবের ছোট ছেলে বিনয় যাদব (৪৪)। আত্মীয়তার সূত্রে বিনয় পুলিশ আধিকারিক প্রণয় সত্যমের ঘনিষ্ঠ। চলন্ত বাইকে পিছনের দিক থেকে বিনয়কে গুলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অত্যন্ত সঙ্গীন অবস্থায় বিনয় এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পিঠের দিক থেকে পাঁজরে গুলি ঢুকে আটকে আছে। আজ দুপুর ২ টো নাগাদ বিনয় তার রয়্যাল এনফিল্ড বাইকে (জেএইচ০১ইএ১৫২২) চড়ে বাড়িতে খাবার খাওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুষ্কৃতীরা এ সময় বিনয়ের পিছু নেয় এবং গুলি ছুঁড়তে থাকে। গুলি খেয়ে বিনয় বাইক থেকে পড়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গের দিকে পালিয়ে যায়। এদিকে রাস্তার উপরেই পড়ে থাকা বিনয়কে স্থানীয় লোকজন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে বিনয় জানিয়েছেন একটি বাইকে দুই আরোহী পিছনের দিক থেকে তার চলন্ত বাইকে গুলি করে। দুষ্কৃতীদের তিনি চিনতে না পারলেও আশঙ্কা করছেন যে, দিন কয়েক আগে সামান্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার সঙ্গে কয়েকজনের বিবাদ হয়েছিল। সম্ভবত তারাই তাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে । পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। মিহিজাম থানার ওসি বিবেকানন্দ দুবে এবং জামতাড়ার এসডিপিও বিকাশ কুমার লঙ্গুরি বড় পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় পৌঁছেছেন এবং সবদিক খতিয়ে দেখছেন। পুলিশ সন্দেহভাজন এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের আয়ত্ত্বে নিয়েছে। এদিকে গুরুতর জখম বিনয়কে প্রথমে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে থাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
দেখা করছেন না প্রিন্সিপাল, গেট টপকে ভেতরে গেলেন অভিভাকেরা

#প্রান্তভূমি ৬ মার্চ::
অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই হঠাৎ করে প্রায় তিন হাজার টাকা রি-এ্যডমিশন ফি বৃদ্ধি, বইয়ের মুদ্রিত মূল্যের ওপর অতিরিক্ত দাম লিখে কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠলো একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল প্রাঙ্গণ। বিষয়গুলি নিয়ে স্কুলের প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করতে চাইলে তিনি দেখা তো করেনই নি, উল্টে স্কুলের গেট বন্ধ করে রেখেছিলেন এই অভিযোগে অভিভাবকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। রোদের মধ্যে সকাল দশটা থেকে এক দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সাথে দেখা না করায় শেষ পর্যন্ত অভিভাবকেরা স্কুলের গেট টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তেজনাকর হওয়ায় সেখানে ছুটে যায় নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ। দুর্গাপুর বিধান নগরের এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ যে, গত বছরের তুলনায় এ বছর রি-এ্যডমিশন ফি প্রায় তিন হাজার টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘুর পথে বইয়ের দাম অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। এর ফলে অনেক অভিভাবক অসুবিধায় পড়ছেন। বিশেষ করে যাদের একাধিক ছেলে-মেয়ে এখানে পড়াশোনা করছে। এ বিষয়ে অভিভাবক বিউটি মণ্ডল, নবনীতা বোস সহ অন্যান্যরা বলেন তারা প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির মিটমাট চেয়েছিলেন। তারা লিখিত আবেদনপত্রও সঙ্গে এনেছিলেন। কিন্তু প্রিন্সিপাল ম্যাডাম কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে দেখা করছেন না। এই অভিযোগের পাশাপাশি তারা দেখান একটি বইয়ের মুদ্রিত মূল্যের উপর ৪৮০ টাকা দাম লিখে কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বইটির প্রকৃত মুদ্রিত মূল্য অনেক কম। এইভাবে অভিভাবকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ তোলেন। তাদের সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
সরকারি মেলায় আগুন, পুড়ে ছাই একাধিক দোকান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: আগুন লাগার মরশুম শুরু হয়ে গেল আসানসোলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলায় একাধিক স্টল পুড়ে যাওয়ার ঘটনা দিয়ে। সরকারি উদ্যোগে ১ মার্চ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত এই মেলার বিস্তার। পোলো গ্রাউন্ডের এই মেলাতেই ৫ মার্চ দুপুরের দিকে হঠাৎই আগুন লেগে যায়। পুড়ে নষ্ট হয় বেশ কিছু খাবারের দোকান এবং হাতে তৈরি বেত মাদুর কাঠের আসবাব ইত্যাদির দোকান। কিন্তু এত বড় উদ্যোগে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা যথাযথ না থাকায় হাওয়ার দাপটে কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ভয়ংকর চেহারা নেয়। দুপুর ১: ১৫ নাগাদ এই ঘটনা ঘটলেও কম করে ৪০ মিনিট পর সেখানে দমকল পৌঁছায় বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। ততক্ষণে ছ'টি খাবারের দোকান এবং একটি আসবাবপত্রের দোকান আগুনে নষ্ট হয়। ব্যবসায়ীরা বলেছেন একটি খাবারের দোকান থেকে জ্বলন্ত অবস্থায় গ্যাস সিলিন্ডার সহ ওভেন বাইরে নিয়ে আসার সময়ই এই অঘটন ঘটে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মেলার মাঠে থাকা অস্থায়ী জলের কল থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন উপস্থিত মানুষজন, কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। এ সময় সহযোগিতা চেয়ে কার কাছে ব্যবসায়ীরা যাবেন সেই বিষয়টিও তাদের কাছে পরিষ্কার ছিল না। নিরাপত্তা রক্ষীদেরও পাওয়া যায়নি বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট পরে দমকল আসে কিন্তু ততক্ষণে ওইসব দোকানগুলি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মহল প্রশ্ন তুলেছে কেন মেলার মাঠে সব সময়ের জন্য দমকল মোতায়েন করা হয়নি, সব দোকানেই অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র দেয়া হলেও সেগুলি কেন কাজ করেনি। ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরেই মেলার মাঠে যান জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, মহাকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য প্রমুখ উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকেরা। তারা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়গুলি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
৭ মাসে ৭০০ অপরাধী জেলের ভিতর::জামতাড়া এখন সাইবার অপরাধীদের কাছেই আতঙ্ক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মার্চ:: একসময়ে সাইবার অপরাধীদের স্বর্গ এখন তাদের কাছেই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন, গত সাত মাসে ৭০০'র বেশি সাইবার অপরাধে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের অধিকাংশই রয়ে গেছে জেলের ভেতরে। গুটিকয় মাত্র জামিন পেয়েছে। এই অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া দেওঘর ক্রমশ সাইবার অপরাধীদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে আর পরিচিত হচ্ছে না বলে দাবি সেখানকার পুলিশ প্রশাসনের। আজ ৫ মার্চ সাঁওতাল পরগনার আইজি ক্রান্তি কুমার জামতাড়ায় এসে এই কথাগুলি বললেন। তিনি বলেন ৭০০'র বেশি সাইবার অপরাধী গ্রেফতার হলেও অধিকাংশেরই জামানত না মেলা পুলিশের দক্ষতাকেই প্রমাণ করে। সাইবার অপরাধ নির্মূল করতে জামতাড়া, দেওঘরের পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়ার সুফল পুলিশ প্রশাসন পাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিন পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন আইজি। তিনি বলেন ন্যায় বিচার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে পুলিশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে পুলিশ। কোনভাবেই একজন অপরাধীও যাতে ছাড়া না পায় সেজন্য পুলিশের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা জারি থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে সবচেয়ে তিনি খুশি হয়েছেন সাইবার অপরাধীদের গড় হিসেবে চিহ্নিত জামতাড়াকে অনেকটাই নিরাপদ স্থান হিসেবে গড়ে তোলার যে সাহসী পদক্ষেপ পুলিশ করে চলেছে সেই বিষয়টির জন্য। যে কোন অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে আদালতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এখানে করে চলেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
বেসামাল ট্রাক্টরের ধাক্কায় ভাঙলো বিদ্যুতের খুঁটি, মৃত্যু চালকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ:: মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক ট্রাক্টর চালকের। ঘটনাটি ঘটেছে সালানপুর ও বারাবনি ব্লকের মধ্যস্থল বাদরাডি মোড়ের কাছে। মৃতের নাম সঞ্জয় বাউরী (২০)। তার বাড়ি বারাবনি ব্লকের ছোটকর গ্রামে। জানা গেছে সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত জিতপুর-উত্তররামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কীর্তনশোলায় ময়রাপুকুর নামের একটি পুকুর কাটানো হচ্ছিল সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে। পুকুরের মাটি ট্রাক্টরে চাপিয়ে স্থানীয় ফাঁকা জমিতে ফেলা হচ্ছিল। আজ বিকেল চারটে নাগাদ সঞ্জয় ট্রাক্টরে করে মাটি নিয়ে যাওয়ার সময় বেসামাল হয়ে রাস্তার পাশে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারে। ট্রাক্টরের ধাক্কায় মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎবাহী তার সহ কংক্রিটের খুঁটি ভেঙে পড়ে। বাদরাডি মোড়ের কাছে একটি ক্রেশারের পাশে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ট্রাক্টর চালক সঞ্জয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ সঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান পঞ্চায়েতের প্রধানসহ অন্যান্য কর্মীরা। জানা গেছে ছোটকরের নৃপেন বাউরির পাঁচ ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সঞ্জয়। বিবাহিত সঞ্জয়ের একটি শিশুকন্যা আছে। স্থানীয় মানুষজন বাদরাডি মোড় অঞ্চলে জমায়েত হয়েছেন।@প্রান্তভূমি
সিসিএস ভোট-কাণ্ড পৌঁছাল হাইকোর্ট পর্যন্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ মার্চ:: শেষ পর্যন্ত সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি বা সিসিএস-এর বিষয়টি পৌঁছে গেল কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেও হঠাৎ করে নতুন পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে তার কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সিসিএস পরিচালন সমিতি ও এখানকার স্টেক হোল্ডার গ্রাহকেরা। দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পরিচালন সমিতি গঠন করে রাজ্যের অন্যতম সমৃদ্ধ এই আর্থিক সমবায়ের কাজকর্ম মসৃণ রাখার বিষয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তারই সুষ্ঠু সমাধান চেয়েছেন তারা। এ বিষয়ে লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন তারা চাইছেন অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে এখানে ভোট গ্রহণ করা হোক। চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীদের আর্থিক ভিত্তির এই প্রতিষ্ঠান সমস্ত রকম অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত হোক। অন্যদিকে সিআরএমসির সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেছেন ভোট হবেই, গ্রাহকেরা যাদের চাইবেন তারাই ক্ষমতায় আসবেন। উল্লেখ্য, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর সিসিএসের পরিচালন সমিতি নির্বাচিত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার আগেই ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন স্থির হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত দিক বিবেচনা করে ভোট গ্রহণের দিন স্থির হলেও এবং ভোট নেওয়ার আগে মনোনয়নসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেলেও হঠাৎ করে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয় মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে। তারপরেই এই সমবায়ের পরিচালনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। আশঙ্কা করা হয় যে নির্বাচনের বাইরে গিয়ে পছন্দমত প্রশাসক বসিয়ে এই সমবায় পরিচালনা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যদিও আপাতত এই সমবায়েরই দুই সিনিয়র অফিসারকে সর্বসম্মতিতে মনোনীত করে সিসিএস পরিচালনার কাজ চালানো হচ্ছে। যাতে সীল-মোহর দিয়েছেন কো-অপারেটিভ সার্কেল ইন্সপেক্টর অমৃতা ঘোষ। এখন সিসিএস পরিচালনার ভার ঋণ বিভাগের ও এস আশুরঞ্জন দে এবং কর্মী বিভাগের ও এস মহঃ ফয়জল সইদের ওপর।@প্রান্তভূমি
.

.
মাছ আনতে যাওয়ার পথে মর্মান্তিক মৃত্যু নেতাজি কলোনির যুবকের:: মৃত্যু ঘিরে বড়ো অভিযোগ পরিবারের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ মার্চ:: নিজেই পিক আপ ভ্যান চালিয়ে নিয়মিত কলকাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাছ এনে চিত্তরঞ্জনের বাজারে সরবরাহ করতেন সোমনাথ প্রামানিক (২৯)। সালানপুর ব্লকের নেতাজি কলোনিতে বাবা-মা নিয়ে তার পরিবার। কিন্তু সেই মাছ আনতে গিয়েই প্রাণ গেল সোমনাথের। ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর তিনটে নাগাদ দুর্গাপুরের ওয়ারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত ভিরিঙ্গি মোড়ে তার গাড়ির সঙ্গে পুলিশের টহলদারি গাড়ির সংঘর্ষ হয় এবং তাতেই সোমনাথের মৃত্যু হয় বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। ঐদিন রাত বারোটার পর সোমনাথ গাড়ি নিয়ে নেতাজি কলোনি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন বলে তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোর নাগাদ এই সংঘর্ষ হলেও ২৮ তারিখ দুপুর বারোটা নাগাদ সোমনাথের বোন সীমার কাছে ওয়ারিয়া পুলিশের ফোন আসে যে সোমনাথ দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়টি সালানপুর থানা সূত্রে তাদের জানানো হয়েছিল বলে সীমা উল্লেখ করেন। কিন্তু এই দুর্ঘটনা নিয়ে বড় অভিযোগ তুলেছেন সোমনাথের পরিজনেরা। তার বাবা বিজেন্দ্র প্রামানিক এবং বোন সীমা অভিযোগ করে বলেন পুলিশ তাদের ফোন করে ডাকলো কিন্তু তারা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলের দিকে তার দাদার দেহের ময়নাতদন্ত পুলিশ করিয়ে নিল। এমনকি পুলিশ তার দাদার পরিচয় পাওয়ার পরেও অজ্ঞাত পরিচয় দেহ হিসেবে ময়নাতদন্ত করিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পুলিশের টহলদারি গাড়ির সঙ্গে তার দাদার গাড়ির সংঘর্ষ হলেও পুলিশের টহলদারি গাড়ির কোন হদিস তাদের দেওয়া হয়নি জানিয়ে সীমা বলেন তার দাদার মৃত্যু রহস্যজনক। সেজন্যই তারা দ্বিতীয়বার দেহের ময়নাতদন্ত করানোর দাবি জানিয়ে এবং মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে চেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে ই-মেলে আবেদন জানিয়েছেন। মৃত সোমনাথের বাবার অভিযোগ যে তার ছেলের মৃত্যু ঘিরে রহস্য আছে । পুলিশ নিশ্চয়ই কিছু লুকনোর চেষ্টা করছে, না হলে তাদের জানানোর পরও কেন তারা হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই দেহের ময়নাতদন্ত করিয়ে নিল পুলিশ। তবে, এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সাফাই যে ময়নাতদন্তের জন্য সময়মতো পরিবারের সদস্যরা না আসায় সেটা করতে হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত তারা করাতে পারেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াই ময়নাতদন্ত করানো যায় যদি পুলিশ দায়িত্ব নেয় বলে উল্লেখ করেছেন বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ ধীমান মণ্ডল। তবে, বিশেষ সূত্রে জানা গেছে মৃত সোমনাথের শ্বশুরবাড়ি দুর্গাপুরে। স্ত্রীর সাথে বনিবনার অভাবে খোরপোষের মামলা চলছে। এই টানাপোড়েনে সেই বিষয়টির প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করছে একটি মহল। এদিকে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে যে, সোমনাথের দেহ এখনও মর্গেই আছে। ২ মার্চ তার বাবা মা বোনের হাতে দেহ তুলে দেবে পুলিশ বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুরের কেন্দ্রস্থলে আবার চোরের হানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ ফেব্রুয়ারি:: তালাবন্ধ বাড়িতে চোরের হানা আবার। রূপনারায়ণপুরের জনবহুল এলাকায় ২৮ ফেব্রুয়ারি (২৭ ফেব্রুয়ারি রাত শেষে) বন্ধ বাড়িতে চোরের দল হানা দিয়ে মনের আনন্দে লণ্ডভণ্ড করে যা পায় তাই নিয়ে চম্পট দেয় নির্বিঘ্নে। রূপনারায়ণপুর ইউথ ক্লাবের পাশে, নান্দনিক হলের পিছনে বাড়ি এলাকায় শুভ নামে জনপ্রিয় জয়দীপ সাহা পোদ্দারের। শুভবাবু জানান, ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মা-কে নিয়ে আসানসোলে যান। বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে কাজের মেয়ে বাগানের গেট খুলে দেখে বাড়ির দরজার তালাগুলো জড়ো করে একজায়গায় রাখা। সাথে সাথেই সে ফোন করে শুভবাবুকে একথা জানায়। আসানসোল থেকে শুভবাবু তড়িঘড়ি এসে দেখেন ঘরে সব লণ্ডভণ্ড। তিনি জানান, আলামারি খোলা, সেখানে সোনার হার , দুল ইত্যাদি রাখা ছিল। এছাড়াও এদিক ওদিকে চার পাঁচ হাজার টাকা ছিল। সবই চোরের দল নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, সম্ভবত বাড়ির পেছনে পাঁচিল ডিঙিয়ে চোর এসেছিল। আশেপাশে কিছু সি সি ক্যামেরা আছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। @প্রান্তভূমি
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বৈঠক মহকুমা স্তরে::সালানপুর ব্লকে বসছে ৫০১ জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ফেব্রুয়ারি:: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়গুলি নিয়ে আজ মহাকুমাস্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সমস্ত বিডিও, কনভেনার, জয়েন্ট কনভেনার, স্বাস্থ্য বিভাগ, বন বিভাগ, ফায়ার ব্রিগেড সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের প্রতিনিধিরা যোগ দেন। পরীক্ষা ব্যবস্থা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়ে যাবতীয় প্রস্তুতির বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁটিয়ে দেখা হয়। ৩ মার্চ সোমবার থেকে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। মূল বিষয়গুলির পরীক্ষা নেওয়া হবে সকাল ১০ টা থেকে বেলা ০১ঃ১৫ পর্যন্ত। যদিও ইনভিজিলেটরেরা সকাল পৌনে ন'টার মধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন। কোনভাবেই কেউই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতরে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। এবার সালানপুর ব্লকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ৫০১ জন। এদের মধ্যে মেয়ে ২৬০ এবং ছেলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৪১ জন । ব্লকে পরীক্ষায় বসছে আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনে ছেলে ৮১ , মেয়ে ৫৮; আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষায় বসছে ৫৮ জন মেয়ে, চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী বিদ্যালয়ে পরীক্ষায় বসছে ১০৪ জন মেয়ে, এছাড়া চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাই স্কুলে পরীক্ষায় বসছে ১৬০ জন ছেলে।@প্রান্তভূমি
সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত বাবলু ইউপি থেকে পানাগড়ে এসে অল্পদিনেই হয়ে উঠেছিল 'বস'

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ফেব্রুয়ারি:: অবশেষে গ্রেফতার বাবলু যাদব। রাজ্যে আলোড়ন ফেলে দেওয়া মৃত্যুর ঘটনায় অভিযোগের তীর এই বাবলুর দিকেই। চন্দননগরের নৃত্যশিল্পী তথা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার সুতন্দ্রা চ্যাটার্জির পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই মূল অভিযুক্ত বাবলুর খোঁজে ছিল কাঁকসা থানা তথা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ। নিরন্তর খোঁজ চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিহার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা। গ্রেফতারের পর বাবলুকে ২৭ ফেব্রুয়ারি কাঁকসা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সাদা গাড়িতে থাকা বাবলুর আরো চার সঙ্গী এখনো বেপাত্তা। এদিকে ধৃত বাবলুর বিভিন্ন কর্মকান্ড ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। জানা গেছে বছর দশেক আগে সে উত্তর প্রদেশ থেকে পানাগড়ে এসেছিল। পানাগড়ের কাওয়ারি মার্কেট - যেখানে পুরনো গাড়ি কাটাই করে যন্ত্রাংশ পৃথক করার পর সেগুলিকে বিক্রি করা হয়, আবার গাড়ির বডি লোহার দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এখানেই এক ব্যক্তির দোকানে কর্মী হিসেবে সে নিযুক্ত হয়। কিন্তু এখানে কাজ করতে করতেই বাবলু নিজেই লোহার যন্ত্রাংশ কেনা বেচায় যুক্ত হয়ে পড়ে। কাটাই গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রির সাথে সাথে ছোট বড় গাড়ির স্প্রিং পাতির ব্যবসাতেও সে হাত পাকায়। এমনকি গাড়ির স্পেয়ার পার্টস কেনাবেচাতেও সে যুক্ত হয়। এই কারবারে থাকতে থাকতেই বাবলুর সাথে যোগাযোগ গড়ে ওঠে বাংলাদেশের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর সাথে। গাড়ির যন্ত্রাংশ অবৈধভাবে বাংলাদেশে পাঠানো হতো বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পায় পুলিশ। ইতিমধ্যে ভিন রাজ্য থেকে একটি ট্রাক পানাগড়ে এনে পানাগড় বাইপাসের ধারে ফাঁকা জায়গায় কাটাই করার সময় বুদবুদ পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে বাবলু ও তার সঙ্গীরা। পরে আদালত তাদের জামিন দিয়ে দেয়। তার আগেই অবশ্য মাত্র কয়েক বছরে বাবলুর ব্যবসা বিরাট আকারে ফুলেফেঁপে ওঠে। সামান্য একজন দোকানের কর্মী থেকে সে পানাগড় কাওয়ারি মার্কেটের বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এ হেন বাবলু ২৩ ফেব্রুয়ারি সুতন্দ্রাদের গাড়িটিকে গভীর রাতে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ ওঠে। বাবলু নিজেই সেই গাড়ি চালাচ্ছিল এবং তাতে আরও চার সঙ্গী ছিল বলে পুলিশ জানতে পারে । যদিও দুর্ঘটনার পরের দিন সন্ধ্যায় পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুটি গাড়ির রেষারেষিতে সুতন্দ্রার গাড়ি রাস্তার পাশে দোকানের জমিয়ে রাখা লোহার সামগ্রীতে ধাক্কা মারে এবং তাতেই সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়। কিন্তু পুলিশের এই মত মেনে নিতে পারেননি সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী দেবী। তিনি বরাবর অভিযোগ করতে থাকেন যে তার মেয়েকে উত্যক্ত করার ফলে সে ভয় পেয়ে যায় এবং গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়। সুতন্দ্রার সঙ্গে থাকা আরও তিন সঙ্গী আহত হন। তারা গয়ায় একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে চন্দননগর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। এখন দেখার ধৃত বাবলু যাদব পুলিশকে কি কথা বলে!
পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে মৌমাছির আক্রমণে জখম বাবা ছেলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ফেব্রুয়ারি:: মৌমাছির আক্রমণে গুরুতর জখম বাবা ও ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ। চিত্তরঞ্জন সেন্ট জোশেফস কনভেন্ট স্কুলের ছাত্র দিব্যাংশ শ্রীবাস্তবের দ্বাদশ বোর্ড পরীক্ষার আসন পড়েছে বিআরএস স্কুলে। সেখানেই আজ কেমিস্ট্রি পরীক্ষা দিয়ে বাবার সাথে বাইকে বাড়ি ফিরছিল সে। পথে ফতেপুর বাজার সংলগ্ন রাস্তায় হঠাৎই ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি তাদের আক্রমণ করে। মৌমাছির হুলের তীব্র যন্ত্রণায় বাইক থেকে তারা রাস্তায় পড়ে গিয়ে ছটফট করতে থাকেন। এ সময়ও অগুন্তি মৌমাছি তাদের উপর হুল ফোটাতে থাকে। বিষয়টি লক্ষ্য করে স্থানীয় মানুষজন দ্রুত আগুন জ্বালিয়ে মৌমাছি তাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং চটের বস্তা দিয়ে তাদের ঢেকে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। ওই সময় পথ চলতি এক ব্যক্তি তার গাড়িতে করে দিব্যাংশ ও তার বাবাকে সেখান থেকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। দিব্যাংশের তুলনায় তার বাবার শারীরিক অস্বস্তি অনেক বেশি বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুর-গৌরাংডি রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ ফেব্রুয়ারি:: বহু প্রতীক্ষিত গৌরাংডি রোড সংস্কারের কাজ শুরু হলো আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। এদিন এই সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান। শ্রী আরমান জানান রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা মোড় থেকে গৌরাংডি হাটতলা পর্যন্ত ৯ কিলোমিটার 150 মিটার দীর্ঘ রাস্তাটির পূর্ণ সংস্কারের জন্য ৫ কোটি 32 লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকা মঞ্জুর হয়েছে। জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আইআরডিএফ তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ সড়ক যোজনার অন্তর্ভুক্ত এই রাস্তার কাজ এক বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে। রাস্তাটির দেখভালের দায়িত্ব পরবর্তী পাঁচ বছর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বহন করবেন। রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই পি এইচ ই যাতে জলের পাইপ বসানোর কাজ এই রাস্তার ধারে সম্পূর্ণ করে নেয় সেই বিষয়ে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে শ্রী আরমান এদিন উল্লেখ করেন। এবার আর রাস্তা সংস্কারের কাজে কোন গড়িমসি হবে না জানিয়ে তিনি বলেন ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গেছে, তহবিল এসে গেছে; ফলে মানুষজন এই রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে যে অসুবিধা ভোগ করছিলেন তা থেকে তারা খুব শীঘ্রই রেহাই পাবেন।@প্রান্তভূমি
কুম্ভ-পথে আবার দুর্ঘটনা বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে, গুরুতর জখম ১৫ যাত্রী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৫ ফেব্রুয়ারি::
গাড়ি ছাড়ার কথা ছিল বিকেল তিনটেয় , কিন্তু দেরি হতে হতে সেটাই পৌঁছে যায় রাত এগারোটায়। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পাহাড়পুর এলাকা থেকে পুণ্যার্থী বোঝাই বাস রওয়না দেয় প্রয়াগরাজ কুম্ভের উদ্দেশ্যে। সেই বাসটি আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার সম্মুখীন হল বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তের চেকপোস্টে। দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেলারের পিছনে বাসটি সজোরে ধাক্কা মারে। কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এলাকার ডুবুরডি চেকপোষ্টে এই দুর্ঘটনা ঘটে । তীব্রগতির বাসটি ট্রেলারের পিছনে ধাক্কা মারায় বাসের ১৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হন। কুলটি থানা ও চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ এবং কুলটি ট্রাফিক গার্ড তাদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে বাসের দুই যাত্রী রবীন কর এবং সমীর রায় জানিয়েছেন বাসের চালক এবং খালাসি দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। বাস ছাড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তীব্র গতিতে চলতে শুরু করে এবং রাস্তার মধ্যে এর আগেই দুটি জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। যাত্রীদের নিষেধ না শুনেই অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চলছিল বলে তাদের অভিযোগ। শেষমেষ বাসের ব্রেক ফেল করে এবং দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেলারের পিছনে সেটি সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে বলে তারা উল্লেখ করেন। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
জাতীয় সড়কে ধাওয়া:: মৃত্যু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কর্ণধার যুবতীর:: পুলিশ বলছে রেষারেষির পরিনাম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ ফেব্রুয়ারি::
গভীর রাতে জাতীয় সড়কে মদ্যপ যুবকদের কটূক্তির হাত থেকে রেহাই পেতে গিয়ে নিজের জীবনটাই খোয়াতে হলো অত্যন্ত প্রতিভাবান এক শিল্পীকে। যদিও আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী এই ঘটনাকে দুটি গাড়ির রেষারেষির পরিনাম বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেই তত্ত্ব মৃতার পরিবার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা মেনে নিতে পারছেন না। ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার পর এই অঘটন ঘটেছে। চন্দননগরের বাসিন্দা একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কর্ণধার সুতন্দ্রা চ্যাটার্জি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে গয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সেখানে একটি অনুষ্ঠান আয়োজনের উদ্দেশ্যে। বুদবুদের আগে একটি পেট্রোল পাম্পে তাদের গাড়ি তেল ভরার পর আসানসোলের দিকে এগোতে থাকে। কিন্তু কয়েকজন যুবকের একটি সাদা গাড়ি তাদের গাড়িকে ধাওয়া করতে থাকে। অভিযোগ যে সাদা গাড়ির যুবকেরা সুতন্দ্রার উদ্দেশ্যে কটূক্তি এবং অশ্লীল ইঙ্গিত করতে থাকে। এই অবস্থায় তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে গিয়ে সুতন্দ্রের গাড়ি পানাগড়ে রাস্তার পাশে একটি দোকানে ধাক্কা মারে। এরফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি রাস্তার ধারে একটি শৌচাগারে গিয়ে টক্কর মারার পর রাস্তার পাশে ব্যবসায়ীদের জমিয়ে রাখা লোহার যন্ত্রাংশে ধাক্কা খায়। এই দুর্ঘটনার পরেই সাদা গাড়ির যুবক আরোহীরা তাদের গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর সুতন্দ্রাসহ ঐ গাড়ির অন্যান্য যাত্রীদের দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সুতন্দ্রাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাঁকসা থানায় পুলিশ কমিশনার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন এই দুর্ঘটনার পিছনে কটূক্তি বা অন্য কোন বিষয় নেই, দুটি গাড়ির রেষারেষির কারণেই এই অঘটন ঘটেছে। কিন্তু কমিশনারের এই মতকে মেনে নিতে পারছেন না মৃতার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জি। তিনি অভিযোগ তুলে বলেছেন অভিযুক্ত গাড়ির নম্বর থেকে তার মালিকের নাম পাওয়া গেল অথচ ১৮ ঘণ্টা পরও ২৪ তারিখ সন্ধ্যা ছ'টা পর্যন্ত ওই গাড়ির মালিক বা আরোহীদের কাউকেই আটক করতে পারলো না পুলিশ। এদিন বিকেলে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহের ময়না তদন্তের পর মৃতার মা ও তার পরিজনেরা চন্দননগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমান থেকে তারা দেহ নিয়ে কাঁকসা থানায় ফিরে আসেন এবং বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তনুশ্রী দেবী অভিযোগ করেন তার মেয়ের মৃত্যু হল, গাড়িতে যারা তার সঙ্গী ছিল তারা আহত হল। কিন্তু, তাদের সকাল থেকে আটকে রেখেছিল পুলিশ, অন্যদিকে অভিযুক্তদের কাউকেই ধরা হলো না। পরে কাঁকসা থানা থেকে তনুশ্রী দেবী ও অন্যান্যদের পুলিশ বুঝিয়ে সুজিয়ে চন্দননগরের উদ্দেশ্যে রওনা করিয়ে দেয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তনুশ্রী দেবীর সঙ্গে আরজিকর ঘটনায় মৃত চিকিৎসকের মা ফোনে কথা বলেন এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তনুশ্রী দেবী এদিন থানায় বলেন এতক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও পুলিশ অভিযুক্তদের কেন ধরতে পারল না সেই প্রশ্ন তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। তিনি বলেন ৮ মাস আগে তার স্বামী মারা গেছেন, মেয়েই তাদের পরিবারের এখন একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। তার মেয়ে বিহার, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, উড়িষ্যা সহ বিভিন্ন রাজ্যে অনুষ্ঠানের জন্য যেতেন। সেইসব রাজ্যে কোথাও অসুবিধায় পড়তে হয়নি। কিন্তু নিজেরই রাজ্যে নিরাপত্তার অভাবে তার মেয়ের মৃত্যু হল। ভয়ংকর এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দৃঢ়সংকল্প হয়েছে বাংলা পক্ষ। তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।@প্রান্তভূমি
অবরোধ বাংলা-ঝাড়খন্ড রোডে:: দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে রূপনারায়ণপুরে আটক একাধিক ট্রাক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ ফেব্রুয়ারি:: মালবাহী ট্রাক থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে আবার রাস্তা অবরোধে সামিল হলেন রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দারা। আজ সকাল ৯ টা থেকে বহুক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স সংলগ্ন ঝাড়খন্ড রোড। বাংলা-ঝাড়খন্ড যোগাযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় এর ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত একাধিক ট্রাক রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর অবরোধ উঠে যায়। ঝাড়খন্ড রোডের বাসিন্দারা এ বিষয়ে বলেন মাস দুয়েক আগে তারা এই অভিযোগ এনে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সে সময় কথা দেওয়া হয়েছিল এই রাস্তা দিয়ে দূষণ ছড়ানোর মত জিনিসপত্র নিয়ে ট্রাকের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। তারা বলেন প্রতিরাতেই পুরুলিয়া সহ ভিন জেলা থেকে বড় বড় ট্রাক ছাই মাটি স্ল্যাগ ইত্যাদি নিয়ে ঝাড়খন্ডে যায়। কিন্তু সেই সব সামগ্রী রাস্তায় যেমন পড়ে, তেমনই রাস্তার দুদিকের বাড়ি ঘরদোর ধুলোয় ঢেকে যায়। অবস্থা এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে মাস দুয়েক আগে ছাই ভর্তি রাস্তা জল দিয়ে ধুতে হয়েছিল এলাকার বাসিন্দাদের। আজ সকালে একাধিক ট্রাক যখন ঝাড়খন্ডে মালপত্র নামিয়ে ফিরে আসছিল সেই সময় খালি ট্রাকগুলিকে আটক করা হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থার মালিকের সঙ্গে বাসিন্দারা ট্রাকচালকদের মোবাইলের মাধ্যমে কথা বললেও এই রাস্তায় ট্রাক চলাচল বন্ধের বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস না পাওয়ায় বাসিন্দারা ট্রাকগুলিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন জাতীয় সড়ক ধরে অন্য পথে এই ট্রাক গুলির যাতায়াত করার কথা, কিন্তু সেই পথে না গিয়ে লোকালয়ের মধ্য দিয়ে রূপনারায়ণপুর হয়ে ট্রাকগুলি ঝাড়খণ্ডে যাচ্ছে - যার ফলে এলাকার মানুষ দূষণে অতিষ্ঠ হচ্ছেন। কোনভাবেই যাতে ঝাড়খন্ড রোড হয়ে এইসব ট্রাক চলাচল না করে তা দেখার অনুরোধ জানান তারা। পুলিশ যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে।@প্রান্তভূমি
পুলিশের দ্বারস্থ হিন্দুস্তান কেবলসের প্রাক্তন কর্মীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২১ ফেব্রুয়ারি::
বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার জন্য এবার পুলিশের দ্বারস্থ হলেন হিন্দুস্তান কেবলস কারখানার প্রাক্তন কর্মীরা। সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন। ২০ ফেব্রুয়ারি কেবলসের প্রাক্তন কর্মীরা পুলিশের সহায়তা দাবি করে লিখিত চিঠি তুলে দিয়েছেন ওসির হাতে। তাতে তারা উল্লেখ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী হিন্দুস্তান কেবলসের বহু কর্মী বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার যোগ্য, কিন্তু তারা কেবলস কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য অত্যন্ত কম হারে পেনশন পাচ্ছেন । এখন এখানকার অবসৃত কর্মীরা মাসে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পেনশন পান, কিন্তু বর্ধিত হারে সেই পেনশনের পরিমাণ দাঁড়াবে কম করেও ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এজন্য দুর্গাপুরের রিজিওনাল পিএফ কমিশনারের অফিসে নির্দিষ্ট তথ্য সম্বলিত নথিপত্র জমা করতে হবে । আর এখানেই গোলমাল দেখা দিয়েছে। কারণ বন্ধ হয়ে যাওয়া হিন্দুস্তান কেবলস কারখানায় এখন সাকুল্যে একজন স্থায়ী আধিকারিক (সিএমডি)'র সঙ্গে দুজন অস্থায়ী আধিকারিক কাজে নিযুক্ত আছেন। এদের মধ্যেই এক অস্থায়ী আধিকারিক পিএফ সংক্রান্ত বিষয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত। কিন্তু অভিযোগ যে এই আধিকারিক দিনের পর দিন পিএফ অফিসে সেই নথি জমা দিচ্ছেন না - যে নথির ভিত্তিতে এখানকার প্রাক্তন কর্মীরা বর্ধিত হারে পেনশন পেতে পারেন। বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই ৪১৯ জন কর্মী আবেদন করেছেন। তারা একাধিকবার হিন্দুস্তান কেবলসের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে সঠিক নথি জমা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, আবার দুর্গাপুরের প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসেও বারংবার তদারকি করেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই এগোয়নি। এই অবস্থায় পুনরায় ২০ ফেব্রুয়ারি ৬০-৭০ জন প্রাক্তন কর্মী হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ইউনিটের অফিসে গেলে সেখানে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের দেখা পান নি। এরপরই তারা রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পৌঁছান এবং বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সহযোগিতা দাবি করেন। এদিকে পিএফ অফিস থেকেও হিন্দুস্তান কেবলসের সিএমডির কাছে চিঠি পাঠিয়ে সুনির্দিষ্ট নথি জমা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়। গত বছরের ২৬ ডিসেম্বরের একটি চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে যে, হিন্দুস্তান কেবলস কর্তৃপক্ষ পিএফ অফিসে যে নথি জমা দিয়েছেন তা বহু পুরনো। সেটি ১৯৭৬-৭৭ সালের। কিন্তু ১৯৯৫-৯৬ সালের নথি জমা না দিলে বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার বিষয়টিকে স্থির করা যাচ্ছে না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে বারংবার চিঠি চাপাটি হলেও হিন্দুস্তান কেবলসের সংশ্লিষ্ট সেই আধিকারিক পুরনো নথি পুনরায় জমা দেওয়া ছাড়া অন্য কোন অগ্রগতি ঘটাতে পারেন নি। এই অবস্থায় দ্রুত নথি জমার বিষয়টি যাতে সম্পন্ন হয় সেজন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ইউনিটের আধিকারিক আর এন ওঝা বলেন বর্ধিত হারে পেনশন পাওয়ার বিষয়টি সম্বন্ধে তিনিও ওয়াকিবহাল কিন্তু এই সংস্থার জমিজমা, মামলা-মোকদ্দমার বিষয়গুলি তার এক্তিয়ারে আছে, পেনশনের বিষয়টি তিনি একেবারেই দেখেন না। শান্তিপূর্ণভাবে এই বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া বাঞ্ছনীয় বলে তিনি মনে করেন।@প্রান্তভূমি
কুম্ভ-পথে গাড়ি দুর্ঘটনায় চৌরঙ্গী মোড়ে মৃত ২, গুরুতর আহত ৬

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ফেব্রুয়ারি:: গাড়িতে প্রয়াগ রাজ কুম্ভে যাওয়ার পথে সালানপুর নিমতলার কাছে চৌরঙ্গী মোড়ে ভয়ানক দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হল। এছাড়াও গুরুতর জখম হয়েছেন চার মহিলা সহ আরো ছজন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। কুলটি থানার অন্তর্গত চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এলাকার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের এই চৌমাথা সবসময়ই দুর্ঘটনা প্রবণ। জানা গেছে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর অঞ্চলের অযোধ্যা গ্রাম থেকে দুই পরিবারের আট জন সদস্য একটি জাইলো গাড়িতে আগের রাতে রওনা দেন প্রয়াগরাজে কুম্ভ স্নানের উদ্দেশ্যে। গাড়িটি যখন চৌরঙ্গী মোড়ে এসে পৌঁছায় সেই সময় একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাতে ধাক্কা মারে, এই সংঘর্ষের চোটে জাইলো গাড়িটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে। পরপর এই ধাক্কায় গাড়ির ভেতরে থাকা যাত্রীরা ভয়ানক জখম হন। সংঘর্ষের তীব্রতায় স্থানীয় মানুষজন সেখানে ছুটে যান, দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশও। এরপর তাদের উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা জানান মৃত্যু হয়েছে শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৬৫) এবং শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০)-এর। আহত হয়েছেন শান্তনু বাবুর স্ত্রী মনসাদেবী, পুত্র সৌরভ এবং পুত্রবধূ অনন্যা। এছাড়াও আহত হয়েছেন শৈলেন বাবুর স্ত্রী রুম্পাদেবী, তাদের আত্মীয় শিউলি কর্মকার এবং গাড়ির চালক সোমনাথ চক্রবর্তী। এদের মধ্যে শিউলির আঘাত অত্যন্ত গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জাইলো গাড়ির চালক সোমনাথ জানিয়েছেন তাদের গাড়ি ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে চলছিল। হঠাৎই একটি ট্রাক তাদের গাড়িতে ধাক্কা মারলে গাড়িটি টাল সামলাতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কন্টেনারে ধাক্কা মারে, এর ফলেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। তারা ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম থেকে রওয়না দিয়েছিলেন বলে তিনি জানান।@প্রান্তভূমি
ঠিকাদারদের বিপুল পাওনা বাকি::ঘোর অনিশ্চয়তায় জেলার জল প্রকল্প

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: সংকটের মুখে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্প। জেলায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার যে কাজ চলছে তা এবার অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হল বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ২০০ ঠিকাদার তাদের প্রাপ্য টাকা না পাওয়ার কারণে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন । আজ আসানসোলে ইসমাইল এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি অফিসে অল বেঙ্গল পি এইচ ই কন্ট্রাক্টর ওয়ার্কার্স এ্যসোসিয়েশনের ব্যানারে ঠিকাদারেরা বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ইঞ্জিনিয়ারকে একটি স্মারকলিপি তুলে দেন এবং সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিকদের তারা বলেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় 200'র বেশি ঠিকাদার জল জীবন মিশন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও তারা টাকা পাচ্ছেন না এবং বকেয়া টাকার পরিমান প্রায় 500 কোটি টাকা। টাকা না পাওয়ার ফলে ঠিকাদারদের অধীনে কর্মরত সহস্রাধিক কর্মীকে মাসিক বেতন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় মুখোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন এই প্রকল্পে কর্মরত ঠিকাদারেরা ২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট মাস থেকে টাকা পাচ্ছেন না। আগের চালু কাজের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রাপ্য টাকাও বছর দুয়েক ধরে বকেয়া রয়ে গেছে। এই চরম পরিস্থিতিতে কর্মীরা ধর্মঘটে নামলে পানীয় জল সরবরাহ চরম সংকটের মুখে পড়বে। এই প্রকল্পে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের অংশীদারিত্ব রয়েছে, কিন্তু ঠিকাদাররা তাদের প্রাপ্য অর্থ থেকে দীর্ঘদিন বঞ্চিত থাকার ফলে কাজের অগ্রগতি নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তারা বলেন, কর্মীদের বেতন দেওয়া যেমন সম্ভব হচ্ছে না, সেই রকমই তাদের পিএফ, ই এস আই বাবদ অর্থও জমা করা যাচ্ছে না - ফলে সংকট ঘোরতর হচ্ছে। পানীয় জলের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা এই কাজ বন্ধ রাখতে চান না, কিন্তু অর্থ না পেলে কোন কিছুই যে করা সম্ভব নয় তা উল্লেখ করেন। তারা আরো বলেন, জল জীবন মিশন প্রকল্পে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের অংশীদারিত্ব থাকায় কোনভাবেই তারা রাজনৈতিক বক্তব্যে যেতে চান না। কিন্তু তাদের একটাই দাবি - প্রাপ্য অর্থ যেন দিয়ে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে এক ঠিকাদার বলেন, রাস্তা খুঁড়ে জলের পাইপ বসানোর পরে ঠিকাদাররা সেই রাস্তা মেরামত করছেন কিন্তু এ বাবদ অর্থ তারা পাচ্ছেন না। ফলে নিজস্ব মূলধন সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে। এক কর্মী বলেন জানুয়ারি মাসের বেতন দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তাকে বলেছেন অর্থের অভাবে আর বেতন দেওয়া সম্ভব নয়, এই অবস্থায় সংসার চালাতে তিনি হিমশিম খাবেন বলে উল্লেখ করেন। ঘটনা প্রসঙ্গে পি এইচ ই'র সহকারি ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুন্ডু বলেছেন ঠিকাদারদের পাওনা বকেয়া আছে। তবে কত টাকা সেই হিসাব অর্থবিভাগ বলতে পারবে। কি কারনে টাকা বকেয়া আছে সে সম্বন্ধেও তার স্পষ্ট ধারণা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে ঠিকাদার ও তাদের কর্মীরা ধর্মঘটে গেলে অবশ্যই পানীয় জল সরবরাহে প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট সব মহলই। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় জল জীবন মিশন প্রকল্পের কাজ ৬৮ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে সন্দীপবাবু জানান। তিনি বলেন আরও সামান্য কিছু কাজ শেষ হলেই জেলার অন্তত চারটি ব্লকে পানীয় জল সরবরাহ সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব হবে । ঠিকাদারদের পাওনার বিষয়ে এর আগেও চিফ ইঞ্জিনিয়ার সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল, আবারো জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়।@প্রান্তভূমি
১০ বছরের বালিকাকে পাশবিক অত্যাচার করে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: তরকারি রান্নার জন্য প্রতিবেশীর বাড়িতে সিম তুলতে গিয়েই মৃত্যু হল ১০ বছরের এক বালিকার। তাকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে এই অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বছর চল্লিশের অভিযুক্তকে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মদন ওরফে মানিক বাউরি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে, বেশ কিছুদিন ধরেই সে ওই বালিকার প্রতি কুনজর দিয়েছিল। দুটি বিয়ে করলেও সংসারে তার অশান্তি লেগেই ছিল। প্রায়ই অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় সে বাড়িতে গোলমাল বাধাতো। প্রথম স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ভুনি বাউরি নামের এক মহিলাকে সে বিয়ে করে, তাদের দুটি সন্তানও আছে। কিন্তু স্বামীর অত্যাচারের মাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সেও প্রায়ই বাপের বাড়িতে গিয়েই থাকতো। এই অবস্থায় বাড়িতে একা থাকার সুযোগ নিয়ে দশ বছরের প্রতিবেশী ওই বালিকার সঙ্গে সে কুকর্ম করে। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে অভিযুক্ত মদন পুলিশকে জানিয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালের দিকে ওই বালিকা তাদের বাড়িতে সিম তুলতে এসেছিল। সে সময় মদন তাকে সিম পেড়ে দেয় এবং হাতে পাঁচটি টাকাও দেয়। এরপর বালিকাকে নিয়ে পাশেই একটি দোকানে গিয়ে তাকে কুড়কুড়ের প্যাকেট কিনে দেয়। ভুলিয়ে-ভালিয়ে এরপর বালিকাকে নিয়ে সে শুনশান পলাশ জঙ্গলে পৌঁছে যায়। এরপরই তার উপর পাশবিক অত্যাচার করে। কিন্তু এই কথা বালিকাটি পাড়ায় ফিরে অন্যদের জানিয়ে দেবে এই ভয় থেকে বালিকাটির খুলে নেওয়া পায়জামা দিয়েই তার গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। এবং দেহটি ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে সে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। এদিকে 16 ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সূত্রে সংবাদ পেয়ে পুলিশ পলাশ জঙ্গল থেকে দেহটি উদ্ধার করে। কিন্তু পরের দিন সকাল থেকে ক্ষুব্ধ মানুষজন নলা-দুমকা প্রধান রাস্তা অবরোধ করেন, স্থানীয় দোকানদানি বন্ধ করে দেন। তারা দাবি জানাতে থাকেন অবিলম্বে দোষীকে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ এবং ঘটনার তাৎপর্য মাথায় রেখে নলার এসডিপিও মনোজ কুমার মাহাতোর নেতৃত্বে পুলিশের চারটি পৃথক দল ঘটনার তদন্তে নামে। খোদ জামতাড়ার পুলিশ সুপার বিষয়টির নজরদারি করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত গোপন সূত্র মারফত অভিযুক্তের খোঁজ পেয়ে পুলিশ তাকে ফতেপুর থানার কেন্দুয়াটাঁড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মদনের বাড়ি জামতাড়া জেলার নলা থানা এলাকার ডাবর গ্রামে। জঘন্য এই ঘটনায় দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।@প্রান্তভূমি
কুয়ো থেকে দেহ উদ্ধার রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: ঝাড়খণ্ডের ফতেপুর থানা এলাকার শিমুলডাঙ্গা থেকে রূপনারায়ণপুরে কাজ করতে এসে মৃত্যু হল বছর ৩৮- এর সঞ্জিত মির্ধার। তিনি এখানে ঠিকাদারের অধীনে রাস্তার পাশে পাইপ বসানোর জন্য যেসব কাজকর্ম হচ্ছে তাতে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। আজ বিকেলে রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা সংলগ্ন বিরেন্দর সিংয়ের বাড়ির কুয়ো থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। সঞ্জিত এখানেই ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। জানা গেছে দিন তিনেক আগে থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। চারিদিকে খোঁজখবর করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় গ্রাম থেকে তার স্ত্রী ফুলদেবী আজ রূপনারায়ণপুরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য এসেছিলেন। তার আগেই আজ সকালে ওই কুয়ো থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন সেখানে একটি দেহ ভেসে থাকতে দেখতে পান। এরপরই রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফুলে ফেঁপে ওঠা দেহটি উদ্ধার করে। এই ঘটনায় একেবারে স্তম্ভিত হয়ে তার স্ত্রী বলেন সঞ্জিত রাতের দিকে চোখে কম দেখতেন। হয়তো কোন কারনে রাতের বেলায় কুয়ো থেকে জল তুলতে গিয়ে কিংবা কুয়োর পাড়ে বসতে গিয়ে তিনি কুয়োতে পড়ে গেছেন। কিন্তু সেটা কেউ বুঝতে পারেন নি। ঘটনার কথা জানতে পেরে তৃণমূল নেতা ভোলা সিং সেখানে যান এবং মৃতের পরিজনদের সাময়িক সহযোগিতা করেন। তিনি বলেন প্রয়োজনীয় আরো সহযোগিতা তারা করবেন।@প্রান্তভূমি
রেল লাইন থেকে উদ্ধার বিবস্ত্র মহিলার দেহ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: রূপনারায়ণপুর এবং কানগোইয়ের মাঝে রেললাইন থেকে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র মধ্যবয়সী এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল আরপিএফ। মহিলার দেহে একাধিক ক্ষত দেখা গেছে। মুখ সহ শরীরের একাধিক অংশ
ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। রেল লাইনের পাশেই লাল- হলুদ শাড়ি, লাল ব্লাউজ এবং একটি ধুপের প্যাকেট পাওয়া গেছে। দেহটি পড়ে ছিল আসানসোল থেকে দিল্লির দিকে যাওয়া আপ লাইনে। আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ লোকাল ট্রেনের চালক দেহটি দেখে চিত্তরঞ্জন স্টেশন আরপিএফ পোস্টে সংবাদ দেন। এরপর সংবাদ যায় সীতারামপুর আরপিএফের কাছে। তারপর সীতারামপুর আরপিএফের এস আই নরেন্দ্র কুমার, হেড কনস্টেবল উমেশ কুমার ভগত, মিহিজাম থানার এসআই বিজন রাম, এ এস আই সোনালাল কিস্কু ডোমের সহযোগিতায় দেহটিকে রেললাইন থেকে সরিয়ে জামতাড়া জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠান । লোকাল ট্রেনের চালক জানিয়েছিলেন যে 227 এবং 229 নম্বর খুঁটির মাঝে দেহটি দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোন পরিচয় পত্র বা মোবাইল কিছুই পাওয়া না যাওয়ায় ওই মহিলার কোন পরিচয় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।@প্রান্তভূমি
আর্ত চিৎকার করে যুবতী ঢুকল অপরিচিত রেল কোয়ার্টার্সে:: প্রতারণার নতুন ফাঁদ চিত্তরঞ্জনে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ফেব্রুয়ারি:: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি তখন সন্ধ্যা ৭ টা বেজে ১০। হঠাৎ করেই
চিত্তরঞ্জন ডি ভি গার্লস বিদ্যালয়ের দিকে ২ নম্বর রাস্তার শেষের দিকের এক রেল আবাসনে এক যুবতী দৌড়ে এসে বাগানের গেট খুলে সটান ভিতরে ঢুকে দরজা ঠক ঠক করে আড়ালে চলে যায়। রেলকর্মী ভদ্রলোক দরজা খুলে দেন। ভাবলেন পরিচিত কোন বন্ধু বান্ধব হবে। তারপরেই যুবতী ভিতরে ঢুকে গিয়ে আবাসিকের হাত ধরে বলে - আমাকে বাঁচান, ওরা আমাকে তাড়া করেছে। ঐ আবাসনে ভদ্রলোক একাই থাকেন। তিনি অপরিচিত যুবতীকে দেখে হকচকিয়ে গিয়ে বলেন - তুমি আগে বাইরে চল। তারপর কোনো রকমে যুবতীকে দরজার বাইরে বের করে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেন। এবং পাশের কোয়ার্টার্সে ফোন করে পড়শি দাদা বৌদিকে সব বলেন। গোলমাল আঁচ করে তারা তৎক্ষণাৎ বাইরে বেরিয়ে ঐ কোয়ার্টার্সে চলে আসেন। তখনও যুবতীটি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল। এরপর তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে দৌড়ে বেরিয়ে যায় এবং কাছেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি মোটর সাইকেলে চড়ে পালিয়ে যায়। অদূরেই একটি টাটা সুমো গাড়িও দাঁড়িয়ে ছিল, সেটিও তখন চলে যায়। এধরনের ঘটনায় সকলেই অবাক। কোয়ার্টার্সে ভদ্রলোক এখন একাই থাকেন। তাঁর স্ত্রী ও পুত্র পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকেন।
তিনি এরপর আর পি এফ অফিসে ফোন করলে দ্রুত আরপিএফ সেখানে পৌঁছে যায় এবং কোয়ার্টার্সের সি সি টি ভি ফুটেজের সব ছবি খতিয়ে দেখেন। সব দেখে শুনে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেয় আরপিএফ। উপস্থিত বুদ্ধির জোরে ঐ রেলকর্মী একটি বড় দুষ্ট চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে আরপিএফ মনে করছে। এরপর তারা আশ্বাস দিয়ে বলেন, আর ভয়ের কিছু নেই। দুস্কৃতিদের তাঁরা খুঁজে বের করবেনই।@প্রান্তভূমি
ইঞ্জিন উৎপাদনে সর্বকালীন রেকর্ড চিত্তরঞ্জনের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ ফেব্রুয়ারি:: ইঞ্জিন উৎপাদনে সর্বকালীন রেকর্ড গড়লো চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা গড়ে ওঠার ৭৫ বছরে এই প্রথম কোনো একটি আর্থিক বছরে 581 টি বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন উৎপাদন সম্ভব হল। চলতি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের এখনো ৪১ দিন বাকি থাকলেও এরই মধ্যে এই পরিমাণ ইঞ্জিন উৎপাদন করে নজির গড়লো সিএলডব্লু। গত ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে সর্বমোট ৫৮০ টি ইঞ্জিন উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছিল। ১৮ ফেব্রুয়ারি সেই সংখ্যাকে অতিক্রম করে ৫৮১-তম ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হল। কারখানার জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে যে, কারখানা শুরুর পর থেকে কোনো একটি আর্থিক বছরে এখনো পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ ইঞ্জিন উৎপাদনের সংখ্যা। ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই দক্ষতার জন্য টিম সিএলডব্লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংস্থার মহাপ্রবন্ধক বিজয় কুমার।@প্রান্তভূমি
অদ্ভুত প্রতারণার শিকার কেবলস নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী::সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ল ছবি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ ফেব্রুয়ারি:: বদলির চাকরি তাই চিত্তরঞ্জন ছেড়ে চলে যেতে হবে। কিন্তু এখানকার ফ্রিজ ইনভার্টার কুলার ইত্যাদি বৈদ্যুতিক সামগ্রি নিয়ে যাওয়ার অসুবিধা, তাই কম দামে বিক্রি করে দেবেন। এই বিষয়টি জানাতে দুপুরের দিকে হিন্দুস্তান কেবলস নিউমার্কেটে হাজির হন এক ব্যক্তি। পরনে তার খাকি প্যান্ট, আরপিএফের মত জুতো। যদিও জামাটি সাধারণ। নিজেকে আরপিএফ পরিচয় দিয়ে তিনি নিউমার্কেটের দীর্ঘদিনের এক ব্যবসায়ীকে বিষয়টি জানান। প্রাথমিকভাবে ওই ব্যবসায়ী বলেন তার কাছে অত টাকা নেই, না হলে নিয়ে নিতেন। কথায় কথায় ওই আরপিএফ ব্যবসায়ীটির সঙ্গে ভাব জমান। এমনকি আশেপাশের দোকানদারদের সাথে এমন ভঙ্গিতে কথাবার্তা বলেন যেন তারা কতদিনের পরিচিত। এইসব দেখে ওই ব্যবসায়ী নিশ্চিত হন যে কম দামে মূল্যবান জিনিস পাওয়া যাবে। শেষ পর্যন্ত একটি ফ্রিজ, ইনভার্টার এবং কুলার ১২ হাজার টাকায় দিয়ে দেবেন বলে ওই আরপিএফ বলেন। এরপরই ওই ব্যবসায়ী যোগাড় যন্ত্র করে নগদ টাকা আরপিএফের হাতে তুলে দেন। জিনিসপত্রগুলি হিন্দুস্তান কেবলস অফিসার্স কলোনি সংলগ্ন ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের কাছে গাড়িতে রাখা আছে বলে জানিয়ে সেখানে ওই ব্যবসায়ীকে যেতে বলেন আরপিএফ ব্যক্তিটি। এরপর ইলেকট্রিক স্কুটিতে চড়ে ওই আরপিএফ সেখান থেকে রওনা দেন। বলেন , তিন নম্বর গেটের ডিউটি থেকে এসেছেন, তাই ঝট করে সেখানে সই করেই তিনি ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসছেন। ভারি ভারি জিনিস আনতে হবে বলে ব্যবসায়ীটি তখন একটি ছোট গাড়ি ডেকে ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গিয়ে কারো দেখা পাননি। কোন গাড়িও দেখতে পাননি যার মধ্যে সেই সব জিনিসপত্র বোঝাই করা আছে বলে তাকে জানানো হয়েছিল। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও সেই আরপিএফ বাসস্ট্যান্ডে না পৌঁছানোয় গতিক গোলমাল বলে বুঝতে পারেন ব্যবসায়ীটি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিউমার্কেটে ফিরে এসে অন্যদের বিষয়টি জানালে তারা ওই আরপিএফের খোঁজে চিত্তরঞ্জন তিন নম্বর গেটে আরপিএফ পোস্টে পৌঁছান। কিন্তু সেখানে গেলে তারা জানতে পারেন ওই নামে কোন আরপিএফ চিত্তরঞ্জনে নেই। কারো ট্রান্সফারও হয়নি। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে এরপর নিউমার্কেট সংলগ্ন হলুদকানালি সহ একাধিক জায়গায় ওই প্রতারকের সন্ধানে খোঁজ চালাতে থাকেন তারা। যদিও তার টিকিটি পর্যন্ত ছোঁয়া যায়নি। চেহারায় কিছুটা বেঁটে খাটো, মাথায় অল্প টাঁক সহ এই ব্যক্তির ছবি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে নিউমার্কেটেরই অন্য এক ব্যবসায়ী বলেন কিছুদিন আগে আরপিএফের পোশাক পরে এক যুবক তার কাছে হঠাৎই এসেছিল। বলেছিল তাদের সাহেব চিত্তরঞ্জন থেকে বদলি হয়ে অন্য রাজ্যে চলে যাচ্ছেন কিন্তু সাহেবের কাছে চল্লিশটি গ্যাস সিলিন্ডার রয়ে গেছে, যেগুলি তিনি দিয়ে যেতে চান। সেগুলির দাম বাবদ শেষ পর্যন্ত ৮০ হাজার টাকা নির্ধারিত হয়, কিন্তু সিলিন্ডার হাতে পাওয়ার আগেই পয়সা মিটিয়ে দিতে হবে। এমন শর্তে ওই ব্যবসায়ী রাজি হননি। তিনি বলেছিলেন আগে বৈধ কাগজপত্র, সিলিন্ডার নিজের চোখে দেখবেন তারপর ওই অর্থ তিনি দেবেন। এরপরই ওই ব্যবসায়ীকে জেমারিতে "যেখানে মাংস বিক্রির দোকান আছে তার কাছাকাছি একটি গোডাউনের" কথা বলা হয়, সেখানে গেলেই নাকি সিলিন্ডার দেখা যাবে; সেখানেই অর্থ দিতে হবে বলে জানানো হয়। ওই ব্যবসায়ী এরপর জেমারিতে নির্দিষ্ট জায়গায় গেলে কিছুই দেখতে পাননি। তার সঙ্গেই যাওয়া সেই আরপিএফ ব্যক্তিটি রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ে কিছু জরুরী জিনিস কেনার অছিলায় গা ঢাকা দেয়। সেই ব্যক্তিটিই আবার নিউমার্কেটে এসে অন্য এক ব্যবসায়ীকে ঠকিয়ে গেল বলে তিনি মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
আসানসোল-কল্যাণেশ্বরী এসবিএসটিসি বাস চালু:: রাণীগঞ্জ মেজিয়া হয়ে বাঁকুড়া পর্যন্তও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ ফেব্রুয়ারি:: রাজ্যের অন্যতম পর্যটনক্ষেত্র কল্যাণেশ্বরীতে যোগাযোগের জন্য এতদিন সরাসরি কোন সরকারি বাস পরিষেবা ছিল না। এবার সেই অভাব মিটলো। ১৪ ফেব্রুয়ারি আসানসোল থেকে কল্যাণেশ্বরী এসবিএসটিসি বাস চলাচলের সূচনা হলো। বাসটি আসানসোল কালীপাহাড়ি থেকে সালানপুর দেন্দুয়া হয়ে কল্যাণেশ্বরী মাইথন পর্যন্ত যাতায়াত করবে। এরফলে অপ্রচলিত এই রুটে নিয়মিত যাতায়াত সহজ হবে বলে উল্লেখ করেন উদ্বোধক রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক এস পোন্নামবলম, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, এসবিএসটিসি'র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল প্রমুখ। এদিন আরও একটি রুটে নতুন বাস পরিষেবা চালু করা হয়। সেটি হল আসানসোল থেকে রাণীগঞ্জ মেজিয়া হয়ে বাঁকুড়া পর্যন্ত। এদিন এসবিএসটিসি'র চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল জানান রাজ্যে প্রায় ৭০০টি রুটে নিয়মিত এসবিএসটিসি'র বাস চলছে । এই রুট ১০০০ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। এদিকে আসানসোল ও দুর্গাপুর কর্পোরেশন এলাকায় সরকারি বাস পরিষেবা আরও বাড়ানোর জন্য নতুন করে ১৫ টি বাস নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সুভাষ বাবু।@প্রান্তভূমি
আসানসোল জেলা হাসপাতালে ব্যথা নিরাময় বিভাগের সূচনা চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: আজকাল সামান্য ব্যথা হলেই ডাক্তারি পরামর্শ না নিয়ে ওষুধ খাওয়ার একটা চল শুরু হয়েছে। কিন্তু এই ব্যথার উৎস এবং প্রকৃত নিরাময় না হলে সেই ব্যক্তির শারীরিক অসুবিধার সঙ্গেই মানসিক অশান্তি শুরু হয়। তাই যে কোনো ব্যথার প্রকৃত চিকিৎসা প্রয়োজন। এই উদ্দেশ্যেই আজ আসানসোল জেলা হাসপাতালে সূচনা হলো ব্যথা নিরাময় বিভাগের। এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার ডাক্তার নিখিল চন্দ্র দাস ও ডাক্তার অনন্যা মুখোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সুপার ভাস্কর হাজরা সহ বহু চিকিৎসক নার্স এবং কর্মী। আপাতত প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার এই বিভাগটি খোলা থাকবে। এখানে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, মনোবিজ্ঞানী, ফিজিওথেরাপিস্ট, জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং বিশেষজ্ঞ কর্মীদের নিয়ে একটি টিম কাজ করবে। তারা ব্যথার কারণ নির্দিষ্ট করে তার নিরাময়ের পরামর্শ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেন শারীরিক কারণে ব্যথার পাশাপাশি মানসিক যন্ত্রণাতেও ব্যথার উদ্রেক হয়। তাই শরীরের যে কোনো ব্যথার উৎস আগে নির্ধারণ করতে হবে এবং তারপর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে তার নিরাময় করতে হবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যথা উপশমের এই অত্যাধুনিক ব্যবস্থা আসানসোল জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি চালু হচ্ছে হুগলি, চাঁচল, গার্ডেনরিচ, সিউড়ি, খড়গপুর এবং এম আর বাঙ্গুরে।@প্রান্তভূমি
বিধানসভায় গেল দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পড়ুয়ারা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ ফেব্রুয়ারি:: দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় (চিত্তরঞ্জন)-এর
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ১১ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গ আইনসভা তথা বিধানসভার অধিবেশন পরিদর্শন এবং শিক্ষামূলক ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সমন্বয়কারী অধ্যাপিকা সঞ্চিতা হাজরা এই পরিদর্শনের উদ্যোগ ও ব্যবস্থা গ্রহন করেন। তিনি জানান যে এই পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য হলো, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের আইন প্রণয়নের বিষয়ে অভিজ্ঞতা প্রদান করা, সংসদীয় গণতন্ত্র এবং শাসনব্যাবস্থা সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া বৃদ্ধি করা। কিভাবে এটা সম্ভব হল জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, এই পরিদর্শনের জন্য প্রথমে কলেজের অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে প্রোটোকল অনুসারে স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের সুপারিশ চিঠি বিধানসভার স্পীকারের কাছে পাঠানো হয় । সবদিক বিবেচনা করে স্পীকার অনুমতি দেন । এরপর 13 জন ছাত্র ছাত্রী এবং 3 জন বিভাগীয় অধ্যাপকের নাম নথিভুক্ত করা হয়। ঐ দিন সকলে বিধান সভার উদ্যেশ্যে রওনা দেন আসানসোল থেকে অগ্নিবীণা ট্রেন ধরে। সেদিন ছিল রাজ্য বাজেটের আগের দিন। কড়া নিরাপত্তায় সকলকে বিধান সভায় প্রবেশ করানো হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বিধানসভায় রীতিমেনে প্রবেশ করেন মাননীয় স্পিকার। তার বক্তব্যের মাধ্যমে সে দিনের অধিবেশন শুরু হয়। তিনি প্রথমেই ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী প্রয়াত ডক্টর মনমোহন সিংয়ের প্রতি শোক প্রকাশ করেন এবং তার জীবনীসহ ভারতের অর্থনীতি উদারনীতিকরণের অবদানের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকার ভুয়সী প্রসংশা করেন। এরপর সরকার পক্ষের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়া ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য এবং বিরোধী পক্ষের শঙ্কর ঘোষ, নৌশাদ সিদ্দিকী প্রমুখ সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব তুলে ধরেন ও গভীর শোক প্রকাশ করেন। এরপর উপস্থিত সকলে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উদ্যেশ্যে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয় । সরাসরি অধিবেশন ও আইন বিভাগের কার্যাবলী প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়ে ছাত্র ছাত্রীরা অত্যন্ত খুশি । বিধানসভা পরিদর্শনের পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের পশ্চিমবঙ্গের সাংবিধানিক প্রধান মাননীয় রাজ্যপালের বাসভবন ও কার্যালয় রাজভবন দেখানো হয়, রাজ্যের সর্বোচ্চ বিচারালয় হাইকোর্ট ঘুরিয়ে দেখানো হয়। রানী ভিক্টোরিয়ার ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধও দেখানো হয়।সাথে উপরি পাওনা হিসাবে পাওয়া যায় ছাত্র ছাত্রীদের অত্যন্ত প্রিয় ক্রিকেট খেলা দেখার সুযোগ। ইডেন গার্ডেনে রঞ্জি ট্রফি দেখার সুযোগ হয় সেদিন। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাতে পা রাখলো। ভ্রমণটির শেষে তারা প্রত্যেকেই খুশি। সমগ্র ভ্রমণটির তত্ত্বাবধান করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপিকা সঞ্চিতা হাজরা, অধ্যাপক তীর্থ মন্ডল এবং অধ্যপক প্রাণকৃষ্ণ বিশ্বাস। এই শিক্ষামূলক ভ্রমণটির ক্ষেত্রে সর্বত সহযোগিতা করেছেন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড: ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু, স্থানীয় বিধায়ক তথা আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র বিধান উপাধ্যায় এবং আসানসোল উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। এনাদের গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।@প্রান্তভূমি
রাধাকৃষ্ণ পল্লী:: পিঠাকিয়ারির নতুন পাড়া

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১৩ ফেব্রুয়ারি::
জনপদ গড়ে উঠছিল ২০১০ সাল থেকেই, কিন্তু এতদিন নির্দিষ্ট কোন পরিচিতি ছিল না রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারির এই বসতি অঞ্চলটির। পিঠাকিয়ারি জল ট্যাংকি এবং জীবন বীমা অফিস সংলগ্ন এই পাড়া আজ থেকে নতুন নামে অভিহিত হল। প্রায় ২৫ টি বাড়ি নিয়ে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলের নাম হলো রাধাকৃষ্ণ পল্লী। মূলত চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়ে এখানে গড়ে উঠেছে পাড়াটি বলে জানালেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা সমাজকর্মী অসীম ঘোষ। তিনি বলেন পরিচিতির অভাবে এখানকার মানুষ জনের সঙ্গে যোগাযোগের অসুবিধা ঘটছিল। সেই অসুবিধা আজ মিটলো। এখানে যোগাযোগের রাস্তা, আলো, নর্দমার ব্যবস্থা আধুনিক মানের বলে তিনি উল্লেখ করেন। পাড়াটির নামকরণের এই মুহূর্তে এলাকাবাসীর মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, দেবদাস চ্যাটার্জি, রানু রায়, অপর্ণা দাস, সন্তোষ চৌধুরী প্রমুখ। নিজেদের পাড়ার উপযুক্ত নামকরণ হওয়ায় অত্যন্ত খুশি বাসিন্দারা।@প্রান্তভূমি
৬১-তম মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলার সূচনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১১ ফেব্রুয়ারি।। দীনবন্ধু মণ্ডল::
শিল্পাঞ্চলের অন্যতম আকর্ষণীয় মেলা শ্রী শ্রীশ্রী মা মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলার অনুষ্ঠানিক সূচনা হয়ে গেল আজ ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি শোভাযাত্রা মেলার প্রবেশদ্বার থেকে শুরু হয়ে নাম সংকীর্তন সহযোগে মেলার নাটমঞ্চে এসে উপস্থিত হয়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলনে অংশ নেন বিশিষ্ট অতিথিবর্গ। ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্যা বেবি মন্ডল, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের প্রতিনিধি ভোলা সিং, সমাজকর্মী বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, ইসিএল প্রতিনিধি বিনোদ সিং প্রমুখ। ৮ দিনব্যাপী এই আয়োজনকে সফল করতে সকলের সাথে মিলেমিশে উদ্যোগী হয়েছেন মেলা কমিটির সভাপতি দীপক কুমার মাহাতা, সম্পাদক প্রশান্ত গোপাল ভান্ডারী, সহ-সম্পাদক গৌরাঙ্গ তেওয়ারি, কোষাধ্যক্ষ তাপস উকিল সহ তপন মাহাতা ও অন্যান্যরা। এদিন মেলা উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয় । মেলা উপলক্ষে প্রতিদিনই থাকছে নানান অনুষ্ঠান। লীলা কীর্তন, সাহিত্য আসর, রাসলীলা গান, কুঞ্জ মিলন গান, নরনারায়ণ সেবা, বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান শিবির, বাউল গান, কুইজ, আইনি সচেতনতা শিবির, সংগীতানুষ্ঠান সহ নানান আয়োজন এই মেলাকে বিভিন্ন দিনে সমৃদ্ধ করবে।@প্রান্তভূমি
নজর কাড়লো পরীক্ষাকেন্দ্রের গাইডলাইন ম্যাপ, ব্লকে মাধ্যমিক শুরু নির্বিঘ্নে, প্রথম দিন অনুপস্থিত ২৭, ফুল কলমে শুভেচ্ছা পরীক্ষার্থীদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ ফেব্রুয়ারি:: মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন নির্বিঘ্নে শেষ হলো সালানপুর ব্লকে। তবে , প্রথম দিনেই পরীক্ষা দিতে এলো না ২৭ জন পরীক্ষার্থী। এদিন চিত্তরঞ্জনের একমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলে নজর কাড়লো পরীক্ষা কক্ষের গাইডলাইন ম্যাপ। এই স্কুলের কর্মী কমল দাস এই ম্যাপ এঁকেছেন। ম্যাপটি পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে ঢোকার মুখেই পরীক্ষার্থীরা দেখে নিতে পারছে তাদের নির্দিষ্ট রুম কোন দিকে, একতলায় নাকি দোতলায় সবকিছুই। এর ফলে অত্যন্ত কম সময়ে তারা নিজেদের পরীক্ষার রুমে পৌঁছে যেতে পারছে। এবার কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলে পরীক্ষার্থী আছে ৩৬৬ জন মেয়ে। তাদের জলের বোতল, কলম এবং ফুল দিয়ে প্রথম দিন অভ্যর্থনা জানান চিত্তরঞ্জন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি তাপস ব্যানার্জি এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি মিঠুন মন্ডল। হাজির ছিল পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালের মেডিকেল টিম। সুশৃংখল ব্যবস্থাপনায় রেল সুরক্ষা বল ও চিত্তরঞ্জন পুলিশের সহযোগিতায় কোনরকম বিঘ্ন ছাড়াই পরীক্ষা শুরু হয়। অন্যদিকে আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুল এবং আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনের বাইরে পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই উপস্থিত হয়েছিলেন রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, আছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী পাল, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত প্রধান অপর্না দাস, শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায় সহ বিভিন্ন জন। তারা পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কলম, ফুল ও জলের বোতল তুলে দেন। যাতায়াত জনিত যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এবার আছড়া যজ্ঞেশ্বরে পরীক্ষার্থী ৩৭৫, রায় বলরামে 320 জন। এছাড়াও ব্লকের আরেকটি পরীক্ষা কেন্দ্র সালানপুর কালীতলায় কল্যাণেশ্বরী হাই স্কুলে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১২ জন। সর্বত্রই পরীক্ষা নির্বিঘ্নে হয়েছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
পুকুর ভরাট রুখতে মহকুমা শাসকের তৎপরতা, নড়েচড়ে বসলেন সালানপুর বিএলএলআরও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ ফেব্রুয়ারি:: আসানসোল- চিত্তরঞ্জন প্রধান সড়কের দুই পাশে দেন্দুয়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় প্রকাশ্যে দুটি বড় পুকুর ভরাটের ঘটনায় নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। আজ আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের তৎপরতায় সালানপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর ভরাট বন্ধে উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গেছে। ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আজকেই নোটিশ জারি করার বিষয়ে ভূমি দপ্তর কার্যকরী পদক্ষেপ করছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। দেন্দুয়া মোড় থেকে আসানসোলের দিকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই বাঁদিকে একটি পুকুরে পানিফলের চাষ হয়। বিপরীত দিকে আরও একটি বড় পুকুর আছে। দিন কয়েক ধরে এখানে পুকুরের ধারে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে বলে পথচারীরা দেখতে পান। বিষয়টি নানা মাধ্যমে আসানসোল মহকুমা প্রশাসনের কাছে পৌঁছায়। এরপরই আজ পুকুর ভরাট বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানা যায় । এ বিষয়ে মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেছেন তিনি সংশ্লিষ্ট বি এল এল আর ও -কে অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে বি এল এল আর ও তাকে জানিয়েছেন পুকুর ভরাটের বিষয়টি সঠিক। কিন্তু কারা, কিভাবে এমন কাজে উদ্যোগী হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে ভূমি দপ্তর। তবে আইন অনুযায়ী কোনভাবেই এইসব জলাশয় ভরাট করা যায় না বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে জনসভায় বাম নেতা আভাস রায়চৌধুরী বললেন -লুট রুখতে লড়াই একমাত্র পথ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ ফেব্রুয়ারি:: লড়াইয়ের মধ্যে যদি থাকা যায় তাহলে জয় নিশ্চিত - সেটা দেখিয়ে দিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় গোপন ব্যালটে ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে লেবার ইউনিয়ন (সিটু)-র জয়। ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন রবীন্দ্র মঞ্চ সংলগ্ন ময়দানে আয়োজিত জনসভায় এই কথা বললেন বাম নেতা আভাস রায়চৌধুরী। তিনি বলেন উদার অর্থনীতির ফলে চোখের সামনে হিন্দুস্তান কেবলস মহাশ্মশান হয়ে গেছে, ধীরে ধীরে লুটেরার দল সিএলডব্লুকে গ্রাস করছে। সারাদেশে লুট চলছে - ব্যাংক, জমি, বন্দর, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থায়; আর সবশেষে বীমা। আয়কর ছাড়ের প্রচার চলছে আর অন্যদিকে বিমায় ১০০% এফডিআই হয়ে গেল। নয়া উদারনীতির বিরুদ্ধে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে , মজদুর শক্তির কাছে শাসক শ্রেণীকে পরাস্ত হতেই হবে বলে এদিন তিনি মন্তব্য করেন। আভাস বাবু বলেন, ৪৪% মানুষের সমর্থন নিয়ে ভোটে জয় নিশ্চিত করলেই হবে না ১০০% মানুষের মন জয় করতে হবে। তিনি বলেন শাসকদল কখনোই চাইবে না লাল ঝান্ডা জয়ী হোক। এই রাজ্যে বামপন্থীরা ভোট পায় না, মানুষ তাদের ভোট দেন না - কিন্তু অন্য রাজ্যের মানুষ কি সত্যিই ভালো আছেন? এই প্রশ্ন তিনি ছুঁড়ে দেন। শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য ট্রেড ইউনিয়নের সংগ্রামই একমাত্র পথ বলে তিনি উল্লেখ করেন। শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ জীবনের স্বার্থে অবিলম্বে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনার ডাক দেন আভাস বাবু। সিসিএস নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে এই সভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত। তিনি বলেন, এত সহজে উদ্দেশ্য সফল হতে দেব না; শ্রমিকদের অর্থের উপর কোনরকম আঘাত আসতে দেব না। এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আরএস চৌহান, এন বি সাহা। সভায় সংগীত পরিবেশন করেন সহযাত্রীর শিল্পীরা।@প্রান্তভূমি
সাবাড় হয়ে যাচ্ছে চিত্তরঞ্জনের হিলটপ:: নির্বিচারে কাটা হচ্ছে অসংখ্য গাছ, ক্ষুব্ধ ভ্রমণার্থীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিলটপ থেকে শয়ে শয়ে গাছ কেটে নেওয়ার দৃশ্য দেখে ক্ষুব্ধ সেখানে প্রকৃতির মধ্যে ঘুরতে যাওয়া মানুষ জন। কারা কোন উদ্দেশ্যে এই গাছগুলি কেটে নিয়ে যাচ্ছে সেই বিষয়ে কোন রকম তথ্য না থাকলেও মনোরম এই পরিবেশকে এইভাবে গাছহীন করে দেওয়ার চেষ্টাকে অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন তারা। হিলটপের চার ধারে অসংখ্য শাল শিশু সোনাঝুরি সহ বিভিন্ন গাছের সমাহার মানুষজনকে যে আনন্দ দিত তা যেন একলহমায় উধাও হয়ে গেছে। আজ হিলটপ প্রায় একটি নেড়া পাহাড়ে পরিণত হয়েছে। দেখা গেছে বহু গাছের গুঁড়ি সহ উপড়ে নেওয়া হয়েছে, বহু গাছ গোড়া থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে; আবার বেশ কিছু গাছকে এমনভাবে মাঝামাঝি ছাঁটা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে সেগুলি আর কোনমতেই বেঁচে থাকতে পারবে না। এমন ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভ্রমণার্থীদের চোখে জল এনেছে। তারা বলছেন পরিবেশবান্ধব চিত্তরঞ্জন রেল শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য স্বর্ণ ময়ূরী পুরস্কার পেয়েছে। একাধিক বড়ো জলাশয়, হাজার হাজার গাছ এই শহরের গর্ব। কিন্তু আরপিএফ, পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে হিলটপের মত এলাকা থেকে এসব গাছগুলি কাটা হচ্ছে তা নিয়ে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গাছ কাটা বা ছাঁটার জন্য বন বিভাগের অনুমতি প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে বন বিভাগ নির্দিষ্ট করে দেয় কোন বেড়ের গাছ কতটা ছাঁটা যেতে পারে। শিল্পাঞ্চলের অন্যতম পর্যটন স্থল হিলটপ এইভাবে গাছহীন হয়ে পড়ায় এলাকার পরিবেশ আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, গ্রীষ্মে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তারা মনে করছেন। তাছাড়া, এই অঞ্চল বহু পাখি, জীব জন্তুর নিশ্চিন্ত আশ্রয় ছিল। সেসবও ধ্বংস হয়ে যাবে। ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরের দিকে সংঘটিতভাবে বেশ কিছু মানুষ এসব গাছ কাটায় নিযুক্ত আছেন বলে ভ্রমণার্থীরা দেখতে পান। তারা আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রূপনারায়ণপুরস্থিত রেঞ্জ অফিসে যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি দুর্গাপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার অনুপম খান জানার পরেই সরেজমিনে দেখার জন্য রেঞ্জ অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বন বিভাগের তরফ থেকে এই বিষয়ে এখনও খোঁজখবর নেওয়া বা গাছ কাটা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে মহকুমা শাসকের বৈঠক::সালানপুর ব্লকে ৪টি কেন্দ্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ ফেব্রুয়ারি:: নির্বিঘ্নে মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করার লক্ষ্যে আজ, ৫ ফেব্রুয়ারি আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে মহাকুমা স্তরের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। এই বৈঠকে ডিআই, সমস্ত বিডিও, পুলিশ, ফায়ার, ফরেস্ট, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের পদস্থ আধিকারিকেরা অংশ নেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো সহ যাবতীয় বিষয়গুলিতে কোনভাবেই যাতে পরীক্ষার্থীরা অসুবিধায় না পড়ে সে বিষয়ে সর্বোচ্চ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন মহাকুমা শাসক। তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ গুলির প্রস্তুতির বিষয়ে খুঁটিনাটি খোঁজখবর নেন। এবার 10 ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা, শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। ১০ তারিখ সোমবার বাংলা, ১১ তারিখ মঙ্গলবার ইংরাজি, ১৫ তারিখ শনিবার গণিত, 17 তারিখ সোমবার ইতিহাস, ১৮ তারিখ মঙ্গলবার ভূগোল, ১৯ তারিখ বুধবার জীবনবিজ্ঞান, ২০ তারিখ বৃহস্পতিবার ভৌতবিজ্ঞান এবং ২২ ফেব্রুয়ারি ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সালানপুর বিডিও রুশালি ক্লের বলেন ব্লকে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারি সবকটি বিভাগ পরীক্ষার দিন গুলিতে সক্রিয় থাকবে। তিনি বলেন ব্লকে চারটি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সেগুলি হল আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন (মূল কেন্দ্র), আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুল, সালানপুরের কল্যানেশ্বরী হাই স্কুল এবং চিত্তরঞ্জনের কস্তুরবা গান্ধি বিদ্যালয়। সালানপুর ব্লকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মোট সংখ্যা ১৩৭৩ জন। এর মধ্যে ছেলে ৫৮৬ এবং মেয়ে ৭৮৭ জন। অর্থাৎ ছেলেদের তুলনায় মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২০১ জন বেশি। পরীক্ষার সময় শিক্ষক সংগঠন পরীক্ষার্থীদের যে কোন অসুবিধায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের বরিষ্ঠ নেতা প্রাক্তন শিক্ষক অর্ধেন্দু রায়। তিনি বলেন প্রতিবছরই দেখা যায় কোন না কোন পরীক্ষার্থী ভুল কেন্দ্রে গিয়ে উপস্থিত হয় কিংবা রাস্তায় কোনোভাবে আটকে পড়ে । এসব ক্ষেত্রে দ্রুত তাদের নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এবারও সেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন অর্ধেন্দু বাবু। এছাড়াও বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা পরীক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে ফুল, জলের বোতল এবং কলম তুলে দেবেন বলে জানান সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি ভোলা সিং। প্রথম দিনসহ অন্যান্য দিনগুলিতে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে স্বেচ্ছা সেবকদের নিয়ে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ আরমান।
দুর্ঘটনায় মৃত্যু অলিম্পিয়ান তীরন্দাজ চিত্তরঞ্জন কর্মী সাগরের::২১ ফেব্রুয়ারি ছিল বিয়ে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ ফেব্রুয়ারি:: ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকে ভারতীয় তীরন্দাজ দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সাগর চোপড়া। এছাড়াও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় তিনি ছিলেন ভারতের অন্যতম তীরন্দাজ। অত্যন্ত প্রতিভাবান এই খেলোয়াড় ছিলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মী। থাকতেন চিত্তরঞ্জন রেল শহরের আবাসনে। ১ ফেব্রুয়ারি রাত্রে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হল। জানা গেছে এদিন মিহিজামের কুর্মিপাড়া এলাকার ডাক বাংলো সংলগ্ন অঞ্চলে ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে তিনি চিত্তরঞ্জনের কোয়ার্টার্সে ফিরছিলেন। সে সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয় মানুষজন দুর্ঘটনার পরেই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ওই রাতে সাগর তার নীল রঙের স্কুটি (নম্বর জে এইচ ২১ এম ১১৮৯) চড়ে কানগোইয়ের দিকে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। চলতি ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখে তার বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল। সেজন্য এক বন্ধুকে স্কুটিতে চড়িয়ে বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্র বিলি করার জন্য বেরিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পরেই তার বন্ধু সেখান থেকে চলে যান বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে সাগরের পরিবার। তারা বলেন অত্যন্ত মিশুকে প্রকৃতির সাগর পরিবারের প্রতি খুবই যত্নশীল ছিলেন। তিনিই ছিলেন পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী যুবক। সাগরের পরিবার-পরিজন থাকেন উত্তরপ্রদেশ গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ এলাকার ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায়। এই ঘটনায় পুরো পরিবার চরম দুরবস্থার সম্মুখীন হল। এদিকে এই ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন পুলিশ প্রশাসনের উপর তাদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন রূপনারায়ণপুরের দিক থেকে ঝাড়খন্ডে যাওয়ার ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে উঠেছে বেপরোয়া গতির যানবাহনের জন্য। কড়া হাতে তীব্রগতির গাড়ি-ঘোড়া নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা।@প্রান্তভূমি
ন্যাশনাল স্কুল গেমসে জাতীয় বিচারক রূপনারায়ণপুরের ঋত্বিকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ ফেব্রুয়ারি:: ক্রীড়া ক্ষেত্রে আসানসোল শিল্পাঞ্চল তথা রূপনারায়ণপুরকে গর্বিত করলেন ঋত্বিকা চৌধুরী। তিনি হাওড়া ডুমুরজোলা সাই কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত ৬৮-তম ন্যাশনাল স্কুল গেমস চ্যাম্পিয়নশিপে জাতীয় বিচারকের দায়িত্ব পালন করলেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে। রূপনারায়ণপুর মহাবীর কলোনির মেয়ে ঋত্বিকা রিদমিক আর্টিস্ট্রি বিভাগে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ২৮ জানুয়ারি থেকে এই প্রতিযোগিতা চলছে, শেষ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। জিমনাস্টিকসের অনূর্ধ্ব ১৪-১৭-১৯ বিভাগে ছেলে এবং মেয়েরা এখানে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। রূপনারায়ণপুরের গর্ব ঋত্বিকা সিনিয়র বিভাগের বিচারক হয়েছেন। এর আগে তিনি দুবার বাংলার প্রশিক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন। এবার জাতীয় বিচারকের গুরু দায়িত্ব দেওয়া হল তাকে। এই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত ঋত্বিকা বলেন অত্যন্ত উচ্চ স্তরের ব্যবস্থাপনায় এই প্রতিযোগিতা চলছে। বাংলার দলও দক্ষতা দেখিয়ে নজর কেড়েছে একাধিক বিভাগে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিভাগে বাংলার দল 'টিম চ্যাম্পিয়নশিপ গোল্ড' অর্জন করেছে। ঋত্বিকার পিতা কুন্তল চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন মফঃস্বলের একটি অঞ্চল থেকে নিজের অদম্য জেদে যেভাবে ঋত্বিকা জাতীয় স্তরে পৌঁছেছে তা অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা। জাতীয় স্তর থেকে তিনি আন্তর্জাতিক স্তরেও যেন পৌঁছান এবং নিজের পারদর্শিতা দেখাতে পারেন সেই ইচ্ছা প্রকাশ করেন কুন্তলবাবু।@প্রান্তভূমি
রাহুল হত্যাকাণ্ডে আল্লাডি থেকে ধৃত রণবিজয় সহ আরও এক, ফেরার অন্যরা:: উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ ফেব্রুয়ারি:: কানগোই রেল গেটের কাছে হাসিপাহাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তার ১০০ মিটারের মধ্যে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল রাহুল সিংকে। ৩০ জানুয়ারি রাতের সেই ঘটনায় আজ, ২ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ল রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত আল্লাডি এলাকার বাসিন্দা রাজপাল সিংয়ের ছেলে রণবিজয় সিং এবং মিহিজাম কুর্মিপাড়া পাইপ লাইন অঞ্চলের রামবাবু সাউয়ের ছেলে রাজেশ কুমার সাউ। ধৃত রাজেশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে পুলিশ একটি দেশি পিস্তল এবং দুটি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে। এছাড়াও রাহুলকে হত্যা করার পর তার স্কুটি গাড়িটিকে ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতিরা সেটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ওই হত্যাকাণ্ডে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রের প্রয়োগ হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। উল্লেখ্য, ধৃত রণবিজয় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত মালবহালের বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার ঠিকেদার বলরাম সিংয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিল। ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মী রাহুল সিং ওরফে লেফটির হত্যাকাণ্ডে মিহিজাম পুলিশ এ পর্যন্ত যে সাফল্য পেয়েছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের কাছে মৃত রাহুলের বাবা, রাজেশ কুমার সিং লিখিত অভিযোগ (কেস নম্বর ১০/ ২৫) দায়ের করেছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে এই হত্যাকাণ্ডে মার্টিন, সুমিত সহ আরও কয়েকজন ছিল যারা এখন ফেরার। তবে রণবিজয় এবং রাজেশ ধরা পড়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে মৃত রাহুলের স্ত্রী শ্রেয়ার সাথে অভিযুক্তদের সম্পর্কের সন্দেহকে ঘিরে গোলমালের সূচনা হয়। অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা শ্রেয়ার সাথে এই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক যুবকের সাথে ফোনে দীর্ঘ কথোপকথন এবং টাকার লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় পুলিশের নজরে এসেছে। ঘটনার দিন অভিযুক্তরা ৩ লক্ষ টাকা পাওয়ার লোভে ষড়যন্ত্র রচনা করে এবং রাহুলকে ফোন করে তার বাড়ি থেকে ডেকে গুলি করে হত্যা করে বলে পুলিশের কাছে ধৃতরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শীঘ্রই এই হত্যাকাণ্ডের যাবতীয় রহস্য মিহিজাম পুলিশ উন্মোচিত করবে বলে আশা প্রকাশ করছে।@প্রান্তভূমি
পাখি শুমারিতে চমক::বার্ণপুরের ভুতাবুড়িতে পাওয়া গেল দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে প্রথম ডুবডুবি'র সন্ধান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ ফেব্রুয়ারি:: এবারের শীতে পাখি শুমারি করতে গিয়ে যারপরনাই চমকে গেলেন দুর্গাপুর বন বিভাগ এবং উইংস-এর পর্যবেক্ষকেরা। দক্ষিণবঙ্গে এই প্রথম শীতের দেশ থেকে উপস্থিত হয়েছে অতি সুদৃশ্য কমন মার্গেনসার বা ডুবডুবি পাখি। এই শীতের আগে কোনদিনই দক্ষিণবঙ্গের কোথাওই এই পাখির সন্ধান পাওয়া যায় নি। এবার তার দেখা মিলেছে আসানসোল সংলগ্ন বার্নপুরের ভুতাবুড়িতে। যাকে পরিযায়ী পাখির আনাগোনায় অত্যন্ত নতুন সংযোজন এবং খুশির বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন উইংস-এর যুগ্ম সম্পাদক মনীশ কুমার চট্টোপাধ্যায়। এই পাখির দেখা পাওয়া অত্যন্ত চমকপ্রদ বলেই তিনি মনে করছেন। তিনি বলেন এতদিন খুব বেশি হলে ৫-৬ টি ডুবডুবি শীতের সময় দেখা যেত তিস্তার আপার গাজোলডোবা অঞ্চলে। বেশি সংখ্যায় এদের উপস্থিতি পাওয়া যায় অরুণাচল প্রদেশ, আসামে। কিন্তু বাঁকুড়া পুরুলিয়া বর্ধমান বীরভূম মেদিনীপুর সম্বলিত দক্ষিণবঙ্গে কখনোই এই পাখির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সে দিক থেকে এবারের পাখি শুমারি তাদের খুশির কারণ হয়ে উঠেছে। উল্লেখ্য, প্রতিবছরই জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্গাপুর বন বিভাগ এবং উইংস-এর পর্যবেক্ষকেরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি গুলিতে পরিযায়ী পাখি ও স্থায়ীভাবে বসবাসকারী পাখিদের সংখ্যা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয় খুঁটিয়ে দেখেন। বার্ষিক এই পর্যবেক্ষণ জলাশয়গুলির পরিবেশগত অবস্থা এবং বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে একটি ধারণা পেতে সাহায্য করে। এ বছরও সেই পর্যবেক্ষণ চলাকালীন বিভিন্ন পরিযায়ী পাখি যেগুলি দশকের পর দশক ধরে এইসব অঞ্চলে আসছে তাদের সন্ধান তারা পেয়েছেন। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে এবার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সন্ধান তারা পেয়েছেন বার্ণপুর এলাকায় কমন মার্গেনসার বা ডুবডুবি পাখির উপস্থিতি। মনীশ বাবু বলেন এই পাখিটি বাংলায় এতটাই বিরল যে ইংরেজি থেকে বাংলায় এর নাম খুব একটা প্রচলিতই হয়নি। তবে আনন্দের এই সংবাদের সঙ্গেই তারা অশনি সংকেত দেখছেন চিত্তরঞ্জনের জলাশয় গুলিতে পরিযায়ী পাখির ক্রমশ কমতে থাকা সংখ্যায়। চিত্তরঞ্জন রেল শহরের জলাশয় গুলির মধ্যে সবচেয়ে করুণ অবস্থা কর্নেল সিং পার্ক জলাশয়ের। প্রতিবছরই তার আগের বছরের তুলনায় এখানে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কম হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে উইংস মনে করছে চিত্তরঞ্জনের জলাশয়গুলি এক সময় বছরের পর বছর ধরে কচুরিপানায় ভরে ছিল। সে সময় এখানে আসা পরিযায়ী পাখিগুলি জলের নিচে থেকে খাবার সংগ্রহ করতে পারছিল না। ফলে তারা অন্যত্র চলে যেতে থাকে। পরিযায়ী পাখিরা সাধারণত তাদের পূর্ববর্তীদের পথ অনুসরণ করে শীতের দেশ থেকে পাড়ি দেয়। বেশ কয়েক বছর পরিযায়ী পাখিরা চিত্তরঞ্জনমুখী না হওয়ায় তাদের পরবর্তী বংশধরেরা এই জলাশয়ে আর আসছে না। বিষয়টিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেন উইংসের যুগ্ম সম্পাদক মনীশবাবু। জলাভূমি সংরক্ষণ এবং বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় আরো উল্লেখযোগ্যভাবে প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।@প্রান্তভূমি
ঝুঁকে টমেটো কিনতে গিয়ে টান বুক পকেটে:: মোবাইল সমেত আটকে গেল কিশোর-চোর:: আরও তিন সঙ্গী ঘাপটি মেরেছে চিত্তরঞ্জনে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ ফেব্রুয়ারি:: একে রবিবার, তাই আবার সরস্বতী পুজো সিজানোর বাজার - ফলে চিত্তরঞ্জন আমলাদহি সবজি মার্কেট ভিড়ে ভিড়াক্কার। সবজি বিক্রেতারা বাজার ছাড়িয়ে বাইরে মিলন মন্দিরের রাস্তাতেও পসরা নিয়ে বসেছেন। সেখানেই এক ক্রেতা সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ ঝুঁকে টমেটো কিনছিলেন। সে সময়ই বুক পকেটে থাকা মোবাইল ফোনে টান মারে তক্কে তক্কে থাকা এক কিশোর। কিন্তু মোবাইলটি পকেট থেকে বের করে নেওয়ার আগেই ওই কিশোরের হাত চেপে ধরেন ক্রেতা। সঙ্গে সঙ্গে শোরগোল পড়ে যায় বাজারে। ছুটে আসেন ডিউটিরত চিত্তরঞ্জন থানার সিভিক ভলেন্টিয়াররা। তাদের হাতেই ধৃত কিশোরকে তুলে দেন বাজারের লোকজন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বছর দশকের ঐ কিশোর জানায় সে নিয়ামতপুর সংলগ্ন চিনাকুড়ি থেকে আজ সকালে চিত্তরঞ্জনে আসে। আমলাদহি বাজারেই তার সঙ্গে আরও তিনজন এসেছে বলে সে জানায়। সিভিক ভলেন্টিয়াররা ঐ তিনজনের খোঁজে বাজারে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তবে ঘটনার পর তারা বলেন বারবার ক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে ক্রেতারা যেন বুক পকেটে মোবাইল না রাখেন। রবিবারের বাজারে সতর্ক করে পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার সচেতনতা প্রচারও করা হয়। যদিও এলাকার বাইরে থেকে আসা এইসব ছোট ছোট ছেলেদের চুরির কাজে লাগানো গ্যাং লিডারকে ধরার জন্য পুলিশের কাছে দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।@প্রান্তভূমি
শতাধিক বছরের বহু কয়েন উদ্ধার সালানপুর ব্লকের কল্যা পঞ্চায়েত এলাকায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ ফেব্রুয়ারি:: ব্রিটিশ আমলের বহু কয়েন উদ্ধার হল সালানপুর ব্লকের কল্যা পঞ্চায়েত এলাকার পাহাড়পুর থেকে। এখানে আজ সকালে দত্তদের যৌথ পরিবারের একটি পুরনো বাড়ির ঢিবি থেকে এইসব কয়েন উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কয়েন গুলির মধ্যে ১৯১৪, ১৯১৯ সাল সহ বিভিন্ন সময়ের প্রায় ১০৯ টি কয়েন পুলিশ হেফাজতে নিতে পেরেছে।। এর মধ্যে বেশ কিছু এক রুপি, হাফ রুপি, চার আনার কয়েন আছে। প্রাথমিক অনুমান এগুলি সবই রুপোর তৈরি। আজ স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দত্ত রূপনারায়ণপুর পুলিশে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ সেখানে ছুটে যায়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন ওই সব কয়েন নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছিলেন, কিন্তু কয়েনগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব উপলব্ধি করে সেগুলি সবই পুলিশের কাছে তারা জমা করে দেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন ফাঁকা ওই জায়গায় স্থানীয় কয়েকজন ছেলে খেলাধুলা করছিল । সেই সময় মাটি খুঁড়লে কয়েনগুলি বেরিয়ে আসে। বাচ্চারা তার মধ্যে দু একটা নিয়ে স্থানীয় দোকানে জিনিস কিনতেও ছুটে যায়। এরপরই বাসিন্দাদের বিষয়টি নজরে আসে এবং সেগুলি রক্ষা করতে তৎপর হন। রূপনারায়ণপুর ওসি অরুনাভ ভট্টাচার্য এইসব কয়েন গুলিকে সযত্নে রেখে আপাতত মালখানায় জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে ব্রিটিশ আমলের এই সব দুষ্প্রাপ্য কয়েন এই এলাকার ইতিহাসের সঙ্গী বলে সংশ্লিষ্ট সকলে মনে করছেন। এগুলির আর্থিক মূল্যের চেয়েও ঐতিহাসিক গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি বলে তারা উল্লেখ করেন। বিষয়টি প্রান্তভূমির পক্ষ থেকে জানতে পেরে সালানপুর বিডিও রুশালি ক্লের বলেন ১০৯ টি রুপো এবং অন্যান্য ধাতুর কয়েন উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি রাতে তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসককে জানিয়েছেন। কয়েনগুলি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ জেলা প্রশাসন স্থির করবেন বলে বিডিও উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
সালানপুরের বিডিও পাঞ্জাব-কন্যা আইএএস রুশালি ক্লের গুরুত্ব দিচ্ছেন জল সমস্যায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ ফেব্রুয়ারি:: সালানপুর ব্লক প্রশাসনের সর্বোচ্চ আধিকারিক (বিডিও) হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এলেন পাঞ্জাব কন্যা রুশালি ক্লের। ২০২৩ ব্যাচের আইএএস অফিসার জেলা শাসকের থেকে দুই মাসের দায়িত্ব পেয়েছেন এই ব্লকের জন্য। স্বাধীনভাবে ব্লকের দায়িত্ব নিয়ে বিশেষ একটি সময়ের জন্য প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন আইএএস ক্যাডারের শিক্ষানবিশির অঙ্গ বলে জানালেন তিনি। আদতে জলন্ধরের বাসিন্দা রশালি দেবীর বাড়িতে বাবা মা ও ভাই আছেন। বাবা ব্যবসা করেন, ছোট ভাই দিল্লির কাছে গুরুগ্রামে চাকরি করছেন। তিনি একান্ত আলাপচারিতায় প্রান্তভূমির প্রতিনিধিকে জানান সব কাজেই খামতি আছে, তাই সর্বদা উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের অর্থ সঠিক মানুষ ঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা, দুয়ারে সরকারে উপভোক্তাদের পরিষেবা বন্টন ইত্যাদি বিষয়গুলি তিনি আগে দেখবেন বলে জানালেন। তবে ২০ জানুয়ারি কাজে যোগদানের পর এলাকার জল সমস্যার বিষয়টি তার বিশেষ ভাবে নজরে এসেছে। নির্ধারিত সরকারি সময় ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে না হলেও অন্তত প্রত্যেক গ্রামে জল পৌঁছাবার ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। প্রায় নির্জল এলাকায় পানীয় জল সরবরাহই প্রাথমিক গুরুত্ব পাচ্ছে বলে তার কাছ থেকে জানা গেল। উল্লেখ্য, সালানপুরের আগের বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসকে জেলায় বাংলার বাড়ি প্রকল্প পর্যবেক্ষণের বিশেষ দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে। রোশালি দেবী সালানপুর ব্লকের তৃতীয় আইএএস অফিসার যারা বিডিওর দায়িত্ব ভার নিয়েছেন। এর আগে আইএএস আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর এবং এজাজ আহমেদ এই ব্লকের বিডিও হিসেবে কাজ করে গেছেন। শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কাছে রুশালি দেবী অবশ্যই এক অনুপ্রেরণা। তিনি পাঞ্জাব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চন্ডিগড় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। করোনার কঠিন সময়ে ঘর থেকেই সেই প্রস্তুতি চলতে থাকে। প্রথমবার না হলেও দ্বিতীয়বারের ইউপিএসসি পরীক্ষাতেই তিনি বাজিমাত করেন এবং বেঙ্গল ক্যাডারের আইএএস অধিকারী হন। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরেও কেন আইএএস হওয়ার ইচ্ছা - সে প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন এই পেশায় মানুষের জন্য কাজ করার অনেক বেশি সুযোগ পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের জুন মাসে তিনি পশ্চিম বর্ধমান জেলার ডেপুটি মাজিস্ট্রেট তথা ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান। এরপর ২০ জানুয়ারি শিক্ষানবিশ হিসেবে সালানপুর ব্লকের বিডিওর দায়িত্ব নিয়ে আসেন। আপাতত দিন দশেকের কার্যকালের মধ্যেই তিনি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছেন, দুয়ারে সরকার শিবির গুলিতে নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছেন।@প্রান্তভূমি
রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া কুখ্যাত দুষ্কৃতি গ্যাংকে ধরলো রূপনারায়ণপুর পুলিশ:: গ্রেফতার বন্ধ ঘরে চুরির মূল মাথা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ ফেব্রুয়ারি:: রূপনারায়ণপুর পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া কুখ্যাত দুষ্কৃতি গ্যাংকে নাটকীয়ভাবে পাকড়াও করলো পুলিশ। ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্যের সক্রিয়তায় ধরা পড়ে যায় বন্ধ ঘরে চুরির অন্যতম মাথা নসিব খান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ হাতে পেয়ে যায় আরো দুই দুষ্কৃতি রাহুল হাঁড়ি ও বিশাল হাঁড়িকে। প্রত্যেকেরই বয়স ২০'র আশেপাশে। আজ ১ ফেব্রুয়ারি এদের আসানসোল আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে বলে রূপনারায়ণপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি রূপনারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত সাতটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওইসব বাড়িগুলি বন্ধ থাকা অবস্থায় রাতে চোরেদের নজরে পড়ে। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ আকারে জমা পড়লেও বেশ কয়েকটি ঘটনার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছিল পুলিশ। কিন্তু সেই সব ঘটনার কিনারা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল পুলিশকে। গতকাল ৩১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে এইসব ঘটনার মাথা নসিব রূপনারায়ণপুরে একটি দোকানে চপ কিনছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সেখানে পৌঁছে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে বাজারের ভেতরে ঢুকে যায়। যদিও পিছু নেওয়া রূপনারায়ণপুর পুলিশ তাকে সেখানেই ধরে ফেলে। এরপর নসিবকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার আরও দুই সঙ্গী রাহুল এবং বিশালকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নসিব স্বীকার করে যে, তারা ডিএভি স্কুলের পিছনে, মায়ের আশীর্বাদ লজের পিছনে, রূপনগরে, শ্রীগুরু পল্লীতে, শান্তশ্রীপল্লীতে এবং পিঠাকিয়ারির একাধিক বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। চুরির মালপত্র এবং টাকা কড়ি বিশালের বাড়িতে রাখা হয় বলে পুলিশকে সে জানায়। নসিবের বাড়ি রূপনারায়ণপুর ইয়ুথ ক্লাব সংলগ্ন শনি মন্দির এলাকায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই গ্যাংয়ের এক সদস্য রূপনারায়ণপুরের একটি সিমেন্ট দোকানেও কাজ করেছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে এরা চারচাকা গাড়িতে রাতের বেলায় এসে নামতো দেশবন্ধু পার্ক হাসি পাহাড়ির মাঝে ফাঁকা মাঠে। সেখানে গাড়িটি রেখে হেঁটে তারা ইয়ুথ ক্লাব মঞ্চে এসে ঘুমোনোর ভান করতো। এরপর আগেই দেখে রাখা ফাঁকা বাড়ির উদ্দেশ্যে একে একে রওনা দিত। নির্দিষ্ট বাড়িটিতে পৌঁছে তারা একত্রে চুরি সংঘটিত করে সোজা পালিয়ে যেত হাসিপাহাড়ির মাঠে। তারপর গাড়িতে চেপে অন্যত্র চলে যেত। ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন এই চোরের দলকে ধরতে পেরে পুলিশ অনেকটাই নিশ্চিন্ত হলো বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর তাদের হেফাজতে নিয়ে আরো তথ্য এবং চুরির মালপত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
সালানপুর স্টেশনে ট্রেনে আগুন, আতঙ্কে নেমে পড়লেন যাত্রীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১ ফেব্রুয়ারি :: আজ সকালে আসানসোল ডিভিশনের অন্তর্গত সালানপুর স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে আগুন দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে দেখে তারা কামরা থেকে হুড়মুড় করে বেরিয়ে আসেন। প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। এ বিষয়ে এক প্রাতঃভ্রমণকারী স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু দাস বলেন - 6-25 নাগাদ 17005 হায়দ্রাবাদ থেকে রক্সৌল যাওয়ার ট্রেনটি যখন সালানপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে উপর দিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখন ট্রেনের যাত্রীরা প্রাত:ভ্রমণরত কয়েকজনকে বলতে থাকেন (অবশ্যই হিন্দি তে) দাদা, একটু ফোন করে জানিয়ে দিন ট্রেন থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। তখন ট্রেনটি ধীরে ধীরে চলছিল এবং এক সময় থেমে গেল। দেখলাম এ/সি বি-3 কোচের সবকটি চাকার উপরের অংশ থেকে প্রবল ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। ট্রেন থামিয়ে গার্ড সাহেব এগিয়ে গেলেন বি-3 কোচের দিকে। ট্রেন থামতেই যাত্রীরা ঐ কামরা ছেড়ে লাগেজ সহ নীচে নেমে আসেন। ফায়ার ডিস্টিংগ্যুইশার দিয়ে চাকাগুলিকে ঠান্ডা করার চেষ্টা হয়। পরে আসানসোল থেকে টেকনিক্যাল সাপোর্টার ডাকা হয়। ট্রেনটি 7-20মিনিটের পর ও সালানপুর স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।@প্রান্তভূমি
হঠাৎই স্থগিত করা হল সিসিএসের নির্বাচন:: মাধ্যমিক পরীক্ষার দোহাই পুলিশের:: তীব্র প্রতিক্রিয়া চিত্তরঞ্জনে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জানুয়ারি:: সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের মাত্র 12 দিন আগে স্থগিত করে দেওয়া হলো সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিঃ'র নির্বাচন। চিত্তরঞ্জন শিল্পাঞ্চল তথা রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিতের কারণ হিসেবে মাধ্যমিক পরীক্ষাকে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও যেদিন এই ভোট গ্রহণের দিন ছিল সেই ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিকের কোন পরীক্ষা নেই। ১০ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হলেও পরের দিন ১১ তারিখে পরীক্ষা নেওয়ার পর ১৫ তারিখে পরের পরীক্ষার দিন ধার্য রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনের সময়ে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থা করা যাবে না ৩০ জানুয়ারি এই বিষয়টি চিত্তরঞ্জন থানার পক্ষ থেকে জানানো হলে আজ ৩১ জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমান রেঞ্জের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিখিত ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন এই নির্বাচন এখন স্থগিত করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কবে আবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বা আদৌ নির্বাচন না করে প্রশাসক বসিয়ে দেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে কোন স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এখানেই বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন প্রথম থেকে এই কো-অপারেটিভ সোসাইটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা লেবার ইউনিয়ন সমর্থকেরা। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেছেন একটি অশুভ শক্তি চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীদের অত্যন্ত ভরসার জায়গা তাদের "আর্থিক বন্ধু" সি সি এস-কে দখল করে নষ্ট করে দিতে চাইছে। তিনি বলেন হেরে যাওয়ার ভয়ে ঘুরপথে সিসিএসের দখল নিতে চাইছে বিরোধীপক্ষ। আজ নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানার পরেই তারা এ বিষয়ে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবাদ পত্র পাঠিয়েছেন । দ্রুত নির্বাচন করার দাবিতে তারা রেল কর্মী শেয়ার হোল্ডারদের নিয়ে গণ আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে সিসিএস দখলের অন্যতম দাবিদার আইএনটিইউসি সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন তারাও ভোটের পক্ষে, তবে শেয়ার হোল্ডারদের প্রকৃত তথ্য যাচাই করেই যেন ভোট গ্রহণ হয়। সেই দাবি তারা জানিয়েছেন। এদিকে যার চিঠিকে উল্লেখ করে ভোট গ্রহণ শেষ মুহূর্তে স্থগিত করে দেওয়া হলো সেই চিত্তরঞ্জন থানার আইসি ইসমাইল আলি বলেন আইএনটিইউসি এবং আরও একটি ইউনিয়ন এই ভোট নিয়ে দশ দিন মাইক সহ প্রচারের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার আবহে প্রচার এবং মিটিং মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়টি চিত্তরঞ্জন পুলিশের পক্ষ থেকে কো-অপারেটিভ রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন তারা প্রচারের জন্য অনুমতি চেয়ে কোন আবেদন পুলিশের কাছে করেননি। এ বিষয়ে সি সি এস-এর সাধারণ সম্পাদক অসীম ব্যানার্জি বলেন আজ ৩১ জানুয়ারি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তার আগেই অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার অভিজিৎ ঘোষ চিত্তরঞ্জনে এসে ভোট স্থগিত হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন। এদিকে 24 ফেব্রুয়ারি সিসিএসের বর্তমান পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে ভোট গ্রহণ না হলে এই কো-অপারেটিভ কিভাবে চলবে তা নিয়ে কোন দিশা নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বাইরে প্রচার ইত্যাদির বিষয়ে সিসিএস কর্তৃপক্ষ বলেন এই ভোট নিয়ে বাইরে প্রচার করা হয় না, রেল কর্মীদের মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ থাকে। সিসিএসের তরফ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন হিসেবে চিত্তরঞ্জন থানাকে জানানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, দীর্ঘ আলাপ আলোচনা বৈঠকের পর ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল সিসিএসের নির্বাচনের জন্য। এর পর একের পর এক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। চলতি ২৭, ২৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। আজ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণ দেখিয়ে আজকেই ১২ ফেব্রুয়ারির ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেওয়া হল।@প্রান্তভূমি
উড়িষ্যা থেকে আসানসোলে ঢোকার পথে বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ ৫ গ্রেফতার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জানুয়ারি:: বিপুল পরিমাণ গাঁজা সহ পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। আজ ৩১ জানুয়ারি ডেপুটি কমিশনার (পশ্চিম) সন্দীপ কাররা সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ২৩০ কেজি গাঁজা সহ ধরা পড়েছে পাঁচ অভিযুক্ত। তারা হলো আসানসোল রেলপারের মহঃ ফারহান আহমেদ, মহম্মদ ফৈজি, কাইফি হুসেন এবং আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত চাঁদমারির কাঞ্চন যাদব ও সাগর যাদব। ডেপুটি কমিশনার শ্রী কাররা বলেন গোপন সূত্রে মাদক পাচারের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পরেই এডিপিসি ডিডি এবং সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ ডিসেরগড় অঞ্চলে নাকা চেকিং শুরু করে। তারা ভোর পাঁচটা নাগাদ পুরুলিয়ার দিক থেকে দুটি গাড়িকে আসানসোলের দিকে আসতে দেখে আটক করে। পুলিশ দেখেই গাড়ির চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। এরপর মারুতি সুইফট ( ডব্লু বি ৩৮ এবি 1729 এবং বোলেরো পিকআপ ভ্যান (ডব্লু বি ৪৫ / ৪৯২৬ ) আটক করে ৫ অভিযুক্ত সহ 230 কেজি গাঁজা বাজেয়াপ্ত করা হয়। ধৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে উড়িষ্যা থেকে এই গাঁজা পুরুলিয়া হয়ে শিল্পাঞ্চলে আনা হচ্ছিল এবং এখানে বিভিন্ন জায়গায় সেগুলি পাচার করা হতো। তাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন। আগামীকাল ৮ ফেব্রুয়ারি তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হবে।@প্রান্তভূমি
গভীর রাতে ফোন করে ডেকেছিল বন্ধুরা, সকালে গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার ঝোপ থেকে, প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল রূপনারায়ণপুরের এক যুবক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জানুয়ারি:: আজ সকালে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত দেশবন্ধু পার্ক এলাকা সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের হাসিপাহাড়ি রেল গেটের কাছে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকায় আতঙ্কের আবহ দেখা দিয়েছে। মিহিজাম পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সম্ভবত গতকাল ৩০ জানুয়ারি রাতে ওই যুবকের কানের নিচে গুলি করে হত্যা করার পর তাকে সেখানে ঝোপের আড়ালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। মৃতের নাম রাহুল ওরফে লেফটি সিং (২৫)। সে মিহিজাম কৃষ্ণনগর ৬ নম্বর রাস্তায় তার দিদিমা ও ভাইয়ের সাথে থাকতো। রাহুলের বাবা-মা থাকেন পাটনায়। রাহুল ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজে যুক্ত ছিল। জানা গেছে বছর পাঁচেক আগে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে শ্রেয়া সিং-এর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল, তাদের আড়াই বছরের এক সন্তান আছে। শ্রেয়ার বাপের বাড়ি কল্যাণগ্রামে । ঘটনার দিন গভীর রাতে রাহুলের বন্ধুরা তাকে ফোন করে ডাকে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন শ্রেয়া। এই ঘটনার দিন তিনেক আগে রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় অঞ্চলের বাসিন্দা সুমিতের সাথে রাহুলের একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়েছিল বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। সেই সময় সুমিত রাহুলকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল বলেও শ্রেয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। রাহুল তার বন্ধুদের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এই পরিস্থিতিতে পড়ে বলে সে জানায়। রাহুলের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ তার দুই বন্ধুকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। এই দুই বন্ধুও ক্যাটারিং সার্ভিসের কাজ করতো। পুলিশ এদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে ফরেনসিক দল তথ্য প্রমান জোগাড় করছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামতাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মিহিজাম ওসি বিবেকানন্দ দুবে বলেছেন পুলিশ এই ঘটনায় সমস্ত সম্ভাব্য দিকগুলি খতিয়ে দেখছে, খুব দ্রুত অভিযুক্তরা ধরা পড়বে।@প্রান্তভূমি
হঠাৎই বদলির নির্দেশ সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুব্রত শিটের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৩১ জানুয়ারি::
কর্মীদের হতবাক করে হঠাৎই বদলির নির্দেশ এলো সালানপুর ব্লক পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালের মুখ্য অধিকর্তা ডাক্তার সুব্রত শিটের। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শিটের এই বদলির নির্দেশ এসেছে ৩০ জানুয়ারি বিকেলে। ডাঃ শিটকে বদলি করা হয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবার সরিষা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরিবর্তে সালানপুরে আসছেন কলকাতা স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিএমওএইচ পদমর্যাদার মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিনয় রায়। উল্লেখ্য, ২০১৪'র শেষ দিক থেকে টানা সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন ডাঃ শিট। নানা সময়ে তাকে নিয়ে বিতর্ক উঠলেও করোনার সময় তিনি যে পরিষেবা দিয়েছিলেন তা এলাকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। বদলির নির্দেশ পেয়ে আজ ৩১ জানুয়ারি ডাঃ শিট বলেন, নির্দেশ এসেছে, পরবর্তী পদক্ষেপ দ্রুত স্থির করবেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ইন্সপেক্টরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কলকাতা পুলিশ::১০ কোটি টাকা মূল্যের মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতারে সঠিক ইনপুট দিয়ে হিরো নরেন্দ্র সিংহ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জানুয়ারি:: ১০ কোটি টাকা মূল্যের ব্রাউন সুগার নিয়ে এক মাদক পাচারকারী ট্রেনে চড়েছিলেন। তাকে পশ্চিমবঙ্গের জিআরপি এবং আরপিএফের যৌথ দল গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু বিশাল পরিমাণ এই মাদক পাচারের সূত্র তারা পেয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিংহের কাছ থেকে। তারই দেওয়া নির্ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে ১৯ জানুয়ারি মালদা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কন্যাকুমারী- ডিব্রুগড় বিবেক সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস থেকে মাদকসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চিত্তরঞ্জন আরপিএফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইন্সপেক্টরের এই সহযোগিতার জন্য তাকে কলকাতা পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার ভি সোলেমান নেসাকুমার তার সরকারি প্যাডে চিঠি লিখে প্রশংসাপত্র পাঠিয়েছেন। এই প্রশংসাপত্র তিনি পাঠিয়েছেন পূর্ব রেলের আরপিএফ আইজির কাছে। এবং আইজিকে তিনি অনুরোধ করেছেন যেন নরেন্দ্র সিংহকে এই প্রশংশপত্রের বিষয়টি মর্যাদার সঙ্গে জানানো হয়। সেই মতো শ্রী সিংহকে আজ আরপিএফ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে অবগত করেন। কলকাতা পুলিশের এসিপি ভি সোলেমান নেসাকুমার তার প্রশংসাপত্রে লিখেছেন এক মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতারের বিষয়ে চিত্তরঞ্জন আরপিএফ সিআইবি ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিংহ যে ইনপুট তাদের দিয়েছিলেন তা অত্যন্ত কার্যকরী হয়। এজন্য তার সর্বোচ্চ প্রশংসা প্রাপ্য। যে নিষ্ঠা এবং একাগ্রতার সঙ্গে ইন্সপেক্টর এই কাজ করেছেন তা মাদক পাচারকারীদের কাছে যথেষ্ট ভীতি জনক। ভবিষ্যতেও মাদক কারবারের বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে চিত্তরঞ্জন আরপিএফ কর্তৃপক্ষ সহযোগী ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। এই প্রশংসা চিত্তরঞ্জন আরপিএফ কর্তৃপক্ষের দক্ষতাকেই স্বীকৃতি দিল বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
সিপিআইএম জেলা কমিটির সম্পাদক আবার গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি::সালানপুর এরিয়া থেকে একমাত্র যুবনেতা আবীর ঘোষ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জানুয়ারি:: সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হলেন গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি। এবার জেলা কমিটি থেকে অসীম ব্যানার্জিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি সালানপুর এরিয়া থেকে জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। এবার সালানপুর এরিয়ার যুব নেতা আবীর ঘোষকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই এরিয়া থেকে তিনিই একমাত্র জেলা কমিটির সদস্য রইলেন। অন্যদিকে বারাবনি এরিয়া থেকে জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বাইসি মাড্ডি এবং তপন দাস। উল্লেখ্য, ২৭ ও ২৮ জানুয়ারি সিপিআইএম পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৬-তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় পানাগড়ে। ২৬ জানুয়ারি বিকেলে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জি, বংশ গোপাল চৌধুরী, ফয়াজ আহমেদ খান এবং মীণাক্ষী মুখার্জি। সম্মেলনে সালানপুর ব্লকের চারজন মহিলা সহ ১৫ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি যোগ দেন। সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মোট ৩৪১ জন প্রতিনিধি। সমগ্র দেশ ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিআইএম দলের কাছে মানুষের আকাঙ্ক্ষা কি, সাধারণ মানুষ আন্দোলনের মধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টিকে দেখতে চান - এই বিষয়গুলি নিয়ে সম্মেলনে বিশদ আলোচনা হয়। সামনের 2026 বিধানসভা ভোটে মানুষের আকাঙ্ক্ষা যাতে মর্যাদা পায় সেজন্য বামপন্থীদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে বলে সম্মেলনে বলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এবারের সম্মেলনে মোট ৫৭ জন প্রতিনিধি আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে মহঃ সেলিম, আভাস রায়চৌধুরী, অমিয় পাত্র, অনাদি সাহু, জিয়াউল আলম, সৈয়দ হোসেন সহ একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন থেকে আগামী ২০ এপ্রিল শ্রমজীবীদের ব্রিগেড সমাবেশ সফল করা, জেলা জুড়ে কয়লা বালি জমি লুটের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্র করা সহ ১৬ টি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ২৬-তম এই সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে 50 জন সদস্যের নতুন জেলা কমিটি নির্বাচিত হয়েছে।@প্রান্তভূমি
বেপরোয়া গতিতে গাড়ি সমেত তিন যুবক ঢুকে পড়ল চিত্তরঞ্জন রেল কোয়ার্টার্সে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৯ জানুয়ারি::
বেপরোয়া গতির একটি স্কুটি ৩ আরোহীসহ সোজা ঢুকে পড়ল ঘরের ভেতর। ভয়ংকর এই অঘটন ঘটেছে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে। এই ঘটনায় কোনক্রমে রেহাই পেয়েছে বাড়ির দুই শিশু পুত্র সহ অন্যান্যরা। জানা গেছে চিত্তরঞ্জনের হিল টপের দিক থেকে একটি স্কুটিতে থাকা তিন আরোহী দুরন্ত গতিতে ৩৩/ বি রাস্তার ২৬ / এ কোয়াটার্সের বাগানের গেট ভেঙে সোজা ঘরের ভেতরে ঢুকে যায়। ওই গাড়ির গতিবেগ এতটাই তীব্র ছিল যে তার আঘাতে ঘরের আসবাবপত্র ছিটকে পড়ে। ভেঙে যায় দরজার লোহার গেট। হতচকিত রেল কর্মী রাজীব কুমার সঙ্গে সঙ্গে তিন আরোহীর মধ্যে একজনকে ধরে ফেলেন, কিন্তু অন্য দুজন রাজীব বাবুর সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাদের সঙ্গীকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্কুটি গাড়িটি রাজীব বাবুর কোয়ার্টার্সের ভেতরেই রয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি চিত্তরঞ্জন পুলিশে জানান। চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুটি গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া তিন যুবকের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে। এই ঘটনায় যারপরনাই আতঙ্কিত রাজীব বাবুর পরিবার। ২৮ জানুয়ারি রাত আটটা নাগাদ ঘটনার সময় কোয়ার্টার্সেই ছিলেন রাজীব বাবু, তার স্ত্রী নিধি এবং সাত ও তিন বছরের দুই শিশু পুত্র রৌনক ও রনিত। তীব্র গতির ওই স্কুটি ৩ আরোহীকে নিয়ে যেভাবে ঘরের ভেতর বাগানের গেট ভেঙে ঢুকে পড়েছিল তাতে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। যে স্কুটিতে চড়ে ওই তিন যুবক রাজীব বাবুর আবাসনে ঢুকে পড়েছিল সেই স্কুটি গাড়িটিও চুরি করা হয়েছিল বলে রাজীব বাবুর ঘনিষ্ঠরা আশঙ্কা করছেন। ক্রমশ ফাঁকা হতে থাকা চিত্তরঞ্জন রেল শহর এখন নিত্য দুষ্কৃতীদের তান্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে বলে তারা মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
আদিবাসী ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা:: প্রথম হল খেরওয়াল বীর ড্রামাটিক ক্লাব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ জানুয়ারি:: আদিবাসী ভাষায় একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা হয়ে গেল হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে। এই প্রতিযোগিতায় পাঁচটি দল যোগ দেয় , সেগুলি হল - জামগ্রাম মারাংবুরু রসিকা মহল, মার্শাল গায়ান গাঁওতা, খেরওয়াল বীর ড্রামাটি ক্লাব, মার্শাল গাঁওতা এবং আদিবাসী সুসৌর গাঁওতা। এগুলোর মধ্যে তিনটি বারাবনি, একটি দুর্গাপুর ও একটি সালানপুরের দল। প্রতিযোগিতা থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে খেরওয়াল বীর ড্রামাটিক ক্লাব জোনাল স্তরে বর্ধমানে যাওয়ার ছাড়পত্র আদায় করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় আঞ্চলিক স্তরের আদিবাসী ভাষায় অনুষ্ঠিত ৩০-তম এই একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতার শুরুতে প্রধান অতিথি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, বিশেষ অতিথি জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, সালানপুর বিডিও রশালি ক্লের, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এই প্রতিযোগিতার আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রান্তভূমির সাংবাদিক দীনবন্ধু মন্ডলকে সালানপুর ব্লক বি সি ডব্লু ইন্সপেক্টর শুভাশিস মিশ্র বলেন আদিবাসী ভাষার উন্নয়ন এবং তার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভূমিকা পালন করেন সুনীল চন্দ্র হাঁসদা, লক্ষীনারায়ণ হাঁসদা, বিজয় মুর্মু।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে চুরির অভিযোগে আরপিএফের হাতে গ্রেফতার ৪

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন শহরের গলফ গ্রাউন্ড এলাকা থেকে রেলের সম্পত্তি চুরির অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করলো আরপিএফ। তাদের বাড়ি সালানপুর ব্লকের আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কালীপাথর ও ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে। ধৃতরা হল রাহুল কুমার, তারকেশ্বর মাহালি, অরূপ মাহাতো এবং রাহুল বাউরী। রেলওয়ে অ্যাক্ট তথা আরপিউপি'র অধীনে তাদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। চিত্তরঞ্জন সানসেট এভিনিউ এলাকা থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু সম্পত্তিও উদ্ধার করেছে আরপিএফ। বাকি চুরি যাওয়া সামগ্রীর সন্ধানে তল্লাশি জারি আছে। জানা গেছে ৩ জানুয়ারি গলফ গ্রাউন্ড এলাকা থেকে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। এরপর চিত্তরঞ্জন আরপিএফ টাউন পোস্ট ইন্সপেক্টর পঙ্কজ কুমার এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইন্সপেক্টর নরেন্দ্র সিং-এর নেতৃত্বে আরপিএফ তদন্তে নামে। বিভিন্ন তথ্য এবং সূত্রকে কাজে লাগিয়ে আজ ২৮ জানুয়ারি সেই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ঐ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে অভিযান রূপনারায়ণপুরে:: প্রকাশ্যে ধূমপান করলেও জরিমানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ২৮।। জানুয়ারি::
তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রি ও প্রকাশ্যে প্রদর্শনের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলো পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর। আজ রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে এ বিষয়ে জেলা কনসালট্যান্ট রাজীব কুমার চৌধুরী ও সাইকোলজিস্ট মীণা দাস সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে দোকানে দোকানে তল্লাশি চালান। সহযোগিতা করে রূপনারায়ণপুর পুলিশ। ১৮ বছরের নিচে ছেলে বা মেয়ে কাউকে তামাকজাত কোন প্রকার দ্রব্য বিক্রি না করা, গুটকা পান মশলা জাতীয় মাদকদ্রব্য বিক্রি না করা, কোন প্রকার মাদক জাতীয় দ্রব্য প্রকাশ্যে টাঙিয়ে না রাখার মত বিষয়গুলিতে দোকানদারদের সচেতন করার পাশাপাশি সতর্ক করে দেওয়া হয়। এছাড়াও স্কুল সংলগ্ন এলাকার ১০০ মিটারের মধ্যে কোন দোকানেই কোন প্রকার তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। এই অভিযান আছড়া হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকাতেও চালানো হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিয়েছে জানিয়ে তাদের বলা হয় কোনো দোকানদারকে অবৈধভাবে এইসব বিক্রি করতে দেখা গেলে আইনত তার শাস্তির ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। এছাড়াও প্রকাশ্যে ধূমপান করা নিষিদ্ধ বলেও এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্য লোকালয়ে ধূমপানরত অবস্থায় ধরা পড়লে তার জরিমানা এবং শাস্তি দুইই হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই অভিযান যে আজ সকাল থেকে রূপনারায়ণপুর এলাকায় করা হবে তা আগামীকালই মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে অনেক বিক্রেতাই আজ দোকান খোলেননি, আর যারা খুলেছেন তারা আগেভাগেই তামাকজাত দ্রব্য, সিগারেট বিড়ি দোকানের সামনে থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এরপরও অনেককেই সেই সব দ্রব্য আজ বিক্রি করতে দেখে প্রশাসনিক আধিকারিকেরা যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা বলেন ক্ষতিকর এইসব জিনিস থেকে সমাজকে রক্ষা করার দায় প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও নিতে হবে। এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে বলে জানান রাজীববাবু।@প্রান্তভূমি
দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে জেলা শাসক এলেন সালানপুর ব্লকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জানুয়ারি:: জেলা জুড়ে চলছে দুয়ারে সরকার শিবির। শিবির গুলিতে নিজে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ নির্দেশ দিচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা শাসক এস পোন্নামবলম নিজে। আজ ২৭ জানুয়ারি তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত ফুলবেড়িয়া-বোলকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মুক্তাইচন্ডী কমিউনিটি হলের শিবিরে। জেলাশাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন)সঞ্জয় পাল, ডিপিআরডিও অনিমেষ কান্তি মান্না, সালানপুর বিডিও রুষালি ক্লের। শিবির পরিদর্শন করে জেলা শাসক সন্তুষ্ট বলে জানান। তবে তিনি নির্দেশ দেন যাতে শিবিরে জমা পড়া প্রতিটি আবেদন এদিনই যেন সিস্টেমে আপলোড করা হয়। যদিও এ বিষয়ে বিডিও শ্রীমতি ক্লের বলেন প্রতিটি শিবিরেই এমন নির্দেশ দেওয়া আছে, তা পালন করার বিষয়ে জেলাশাসক আরও একবার সকলকে মনে করিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, সালানপুর ব্লকের ১১ টি পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার শিবির ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়োজনের সূচি আগেই জারি করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
গ্রামে দেশীয় ফলের গাছ লাগিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের::৫টি গ্রামে উন্নত ভারত অভিযান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জানুয়ারি:: প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি থেকেই এক অন্য অভিযান শুরু করলো চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়। এদিন থেকে স্থানীয় অঞ্চলের পাঁচটি গ্রামে কলেজ কর্তৃপক্ষ উন্নত ভারত অভিযানের মাধ্যমে দেশীয় ফলের গাছ লাগিয়ে এই এলাকার কার্বন নিঃসরণ কম করার অতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিল। এদিন সালানপুর ব্লকের সামডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত লহাট গ্রামে কলেজের অধ্যাপক ও ছাত্রছাত্রীদের একটি দল পৌঁছে যায়। তারা "লহাট গ্রীন মিশন" নামের এই প্রকল্প সফল করার জন্য পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার সহযোগিতা নেন। এই মিশনে গ্রামের মানুষজনের পাশাপাশি কলেজের ৩২ জন এনএসএস স্বেচ্ছাসেবক এবং ৬ জন অধ্যাপক অধ্যাপিকা সরাসরি গাছ লাগানোয় নিযুক্ত হন। এইসব গাছ বেড়ে উঠে এলাকার বাতাসকে যেমন নির্মল রাখবে, তেমনই কার্বনডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করবে এবং দেশীয় ফল এলাকার মানুষজনকে সমৃদ্ধি দেবে। ফলে ওইসব এলাকার বাস্তুতন্ত্র যথেষ্ট পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে। পরিবেশ সংরক্ষণের দীর্ঘমেয়াদি এই উদ্যোগ কলেজ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করায় স্থানীয় মানুষজন অত্যন্ত খুশি। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু বলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এলাকার পাঁচটি গ্রামে বছরভর উন্নত ভারত অভিযানের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাবে। এদিন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কলেজ প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডক্টর আবুল হোসেন। কলেজের অধ্যক্ষ শ্রীকুন্ডু অসুস্থ থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি। কলেজের এনএসএস বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডক্টর জ্যোতির্ময় বাগের তত্ত্বাবধানে একটি মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান উপস্থাপিত হয়।@প্রান্তভূমি
ড্রোন ক্যামেরা, এআই প্রযুক্তিতে দক্ষ কুখ্যাত ৬ দুষ্কৃতি গ্রেফতার:: হাজার হাজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে লুটেছে বহু কোটি টাকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জানুয়ারি:: সাইবার অপরাধীদের অত্যাধুনিক এক চক্রকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের আয়ত্তে পেল পুলিশ। এক মাস ধরে এদের উপর নজরদারি রাখার ফলেই কোটি কোটি টাকা প্রতারণা চক্রের এই বিশাল গ্যাংকে ধরা সম্ভব হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল প্রযুক্তিগতভাবে এই সাইবার অপরাধীরা এতটাই উন্নত যে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষের সমস্ত তথ্য নিজেদের দখলে নিয়ে যে কোনো ধরনের দুষ্কর্ম ঘটাতে সক্ষম। আপাতত এই চক্রের কাছ থেকে ১৪ টি মোবাইল ফোন, ২৩ টি সিম কার্ড, ১০ টি এটিএম কার্ড, একটি ল্যাপটপ, দুটি চার চাকার গাড়ি, একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, একটি ড্রোন ক্যামেরা এবং নগদ ১ লক্ষ ৮ হাজার ৮০০ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অন্যান্য চক্রের সঙ্গে এদের তফাৎ এই যে এরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। এবং এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা অত্যাধুনিক ড্রোন ক্যামেরা এই সাইবার দুষ্কৃতিদের নতুন দিক বলে পুলিশ মনে করছে। এই চক্র পিএম কিষান যোজনা, পিএম ফসল বীমা যোজনা, ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, কানাড়া ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, এনপিসিআই ইন্টারন্যাশনাল সহ বিভিন্ন ব্যাংকের নামে নকল এ্যপ্লিকেশন তৈরি করত। এই অ্যাপ্লিকেশন এরপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকদের তারা পাঠিয়ে দিত। মধ্যে কেউ যদি এই এপ্লিকেশন তাদের মোবাইলে ডাউনলোড করত তখনই সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফোন হ্যাক হয়ে যেত। ফোন হ্যাক করার পাশাপাশি দুষ্কৃতিরা এসএমএস/ কল ফরওয়ার্ডিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক পাস বইয়ের যাবতীয় তথ্য, ওটিপি, জন্ম তারিখ পর্যন্ত হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। এমনই এক অত্যাধুনিক সাইবার চক্রের ছয় অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭ জানুয়ারি। তারা হল - মেহবুব আলম ওরফে ডিকে বস (২৫), শফিউদ্দিন আনসারী (২৮), আরিফ আনসারী ওরফে ডিকে বস (২৭) ; এই তিনজনের বাড়ি গিরিডি জেলার আহলিয়াপুর থানার অন্তর্গত বাঁকিকলা গ্রামে। এছাড়াও আছে ওই একই জেলার লক্ষণপুর গ্রামের জসিম আনসারী (30), গিরিডি জেলার গান্ডেয় থানা এলাকার মহুজোড়ি গ্রামের শেখ বিলাল ওরফে ডিকে বস (২৭) এবং জামতাড়া জেলার কারমাটার থানা এলাকার সিয়াটাঁড় গ্রামের অজয় মণ্ডল (২৮)। মজার ব্যাপার হলো এই ধরা পড়া ৬ অভিযুক্তের মধ্যে চারজনের ছদ্মনামই হল ডিকে বস। ছদ্মনাম ব্যবহার করেই এরা কাজ হাসিল করতো। এই সাইবার দুষ্কৃতিরা নকল এপ্লিকেশন তৈরি করে তার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণা করার পর সেই সব অ্যাপ্লিকেশন উঁচু দরে অন্য সাইবার চক্রের কাছে বিক্রি করে দিত। অন্যান্য সাইবার চক্রের কাছে এদের তৈরি নকল এপ্লিকেশন অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তল্লাশি চালানোর সময় এদের কাছ থেকে এরকমই 1০০ টিরও বেশি নকল মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এমনকি একটি সেন্ট্রাল প্যানেলও পাওয়া যায়, যার সাহায্যে হাজার হাজার প্রতারিত গ্রাহকের এসএমএস দেখে নেওয়া যায়। ভয়ংকর এই দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে প্রায় ২৭০০ প্রতারিতের যাবতীয় তথ্য, তাদের ফোনের প্রায় আড়াই লাখ মেসেজ, যার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ওটিপি, ফোনপে লগইন ওটিপি, ব্যাংকিং লেনদেনের যাবতীয় তথ্য মজুত আছে। এদের তথ্যভাণ্ডার থেকে পুলিশ পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের ২০০০ গ্রাহক এবং কানাড়া ব্যাংকের ৫০০ গ্রাহকের তথ্য উদ্ধার করেছে। এইসব দুষ্কৃতিরা এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে এক প্রকার বিশেষজ্ঞ বলা যেতে পারে । এরা ম্যালওয়্যার ডেভেলপমেন্টের জন্য চ্যাটজিবিটি প্রযুক্তি ব্যবহার করত। এই চক্রের আরও তথ্য পাওয়ার জন্য জামতাড়া পুলিশ ঝাড়খন্ড সিআইডি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও ভারতীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র (১৪সি)-র সহযোগিতা চেয়েছে। 14সি সমন্বয় পোর্টালের রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ জানতে পেরেছে ভয়ংকর এই সাইবার চক্রের বিরুদ্ধে এখনো পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন এলাকায় 415 টিরও বেশি মামলা রুজ হয়েছে, তাতে প্রায় ১১ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ আছে। এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে জামতাড়া সাইবার ক্রাইম থানা (কেস নম্বর ০৭ /২৫) মামলা রুজু করেছে।@প্রান্তভূমি
চোরের নিশানায় মন্দিরের দান পেটি:: গভীর রাতে তালা ভেঙে আবার চুরি রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ জানুয়ারি:: গভীর রাতে আবার রূপনারায়ণপুরে মন্দিরের দান পেটি ভেঙে টাকা চুরির ঘটনা ঘটলো। ২৫ জানুয়ারি রাত দেড়টা থেকে সাড়ে তিনটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান। রূপনারায়ণপুর রেলগেট সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড রোডে সৎসঙ্গ মন্দিরের পাশে অদ্বিতীয় ক্লাবের কালী মন্দিরে এই ঘটনা ঘটেছে । ক্লাবের সম্পাদক স্বপন দাঁ বলেন সিসিটিভিতে রেল গেটের দিক থেকে রাত একটা পনেরো নাগাদ এক যুবককে মন্দিরের দিকে আসতে দেখা যায়। সম্ভবত সেই যুবকই এই চুরির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন মন্দিরের কলাপসিবল গেট রাতে তালা বন্ধ করা থাকে। পাশেই ক্লাবের একটি ঘরে এক যুবক রাতে শুয়ে থাকেন। ঘটনার রাতে তার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়ে মন্দিরের তালা ভেঙে দুষ্কৃতি ভেতরে ঢোকে এবং দুটি দান পেটি ভেঙ্গে তার ভেতরে থাকা সমস্ত টাকা কড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে ক্লাব ঘরে শুয়ে থাকা যুবক বাইরে বেরিয়ে আসতে না পেরে বিষয়টি ফোনে তার বাড়ির লোককে জানান। বাড়ির লোক সেখানে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো আছে। এরপর তারাই দরজা খুলে তাকে বাইরে নিয়ে আসেন। চুরির বিষয়টি রূপনারায়ণপুর পুলিশে জানালে সকালেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে। রূপনারায়ণপুর পুলিশ সমস্ত সূত্র কাজে লাগিয়ে চুরির কিনারা করতে উঠে পড়ে লেগেছে।@প্রান্তভূমি
খেলনা পিস্তল, ধার করা বাইকেই কামাল দুষ্কৃতিদের:: চিত্তরঞ্জনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য:: গ্রেফতার ৩ অভিযুক্তই

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জনে ব্যবসায়ীকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিন দুষ্কৃতিই পুলিশের হাতে ধরা পড়ল। ধৃতদের মধ্যে কার্তিক ধীবরের বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক ভয়ঙ্কর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা অপহরণ লুটপাট ছিনতাই এবং অস্ত্র আইনে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ডে একাধিক অভিযোগ থাকায় সে পুলিশ প্রশাসনের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড ছিল। ১৯ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জনের ঘটনার কিছুদিন আগেই রাঁচির একটি হোটেলে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ভয় দেখানোর অভিযোগে সে ধরা পড়েছিল। এর আগে ২০১৮ সালে সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারির লস্কর হোটেলে কার্তিক ধরা পড়েছিল, অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ২০১৯ সালে চিত্তরঞ্জনের প্রভাস কুমারকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় কার্তিক জড়িত ছিল বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গে তার বিরুদ্ধে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরও ধুরন্ধর কার্তিক রেহাই পেয়ে যাচ্ছিল । তবে এবার আর তা সম্ভব হলো না। এদিকে চিত্তরঞ্জনে ছিনতাইয়ের ঘটনায় একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ১৯ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জনের নর্থ বাজারে মন্টু ঘোষের মিষ্টির দোকান বন্ধ করে রূপনারায়ণপুরের বাড়ি ফেরার পথে নর্থ ইলেকট্রিক অফিসের পিছনের রাস্তায় ছিনতাইবাজদের কবলে পড়েন জয়দেব চৌধুরী। তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে তার মোবাইল, নগদ টাকা এবং অ্যাক্টিভা স্কুটি গাড়িটি ছিনতাই করে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়। সেই ঘটনার দুদিনের মাথায় ২১ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জন সংলগ্ন কুশবেদিয়া থেকে রোহিত রামকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ গ্রেফতার করে। রোহিতকে আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই ঘটনায় যুক্ত আরও দুজনের হদিস পায় পুলিশ। ধরা পড়ে তারাও। তারা হলো কুশবেদিয়া ডাঙ্গালের কার্তিক ধীবর এবং মিহিজাম থানা এলাকার হিল রোডের বাসিন্দা গাড়িচালক অভিজিৎ দাস ওরফে গোলু। ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত বাইকটি (টিভিএস অ্যাপাচে জে এইচ ২১জে/২০০৬) কানগোই থেকে পুলিশ উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে 19 জানুয়ারি ঘটনার দিন সন্ধ্যায় গোলু কানগোইয়ের বাসিন্দা সুভাষ মন্ডলের বাড়িতে যায় এবং সুভাষের বাইকটি তার মায়ের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে আসে। সেই বাইকটি উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুভাষকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন জয়দেব চৌধুরীকে সেই রাতে তারা রাস্তায় আটকে ছিনতাই করল তা নিয়ে নানান মন্তব্য উঠে আসছিল। এ বিষয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে দুষ্কৃতিদের কাছে খবর ছিল যে জয়দেব নর্থ বাজারে তার একটি দোকান প্রায় তিন লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছেন। সেই টাকা লুট করার জন্যই তারা মতলব এঁটেছিল। জয়দেবের মাথায় সেদিন যে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করা হয়েছিল সেটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জয়দেবের স্কুটি এবং দুষ্কৃতিদের খেলনা পিস্তল উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মিহিজাম হিল রোডের বাসিন্দা ধৃত গোলু স্থানীয় একাধিক পুলিশ অধিকারী এবং রাজনৈতিক নেতার গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেছে।@প্রান্তভূমি
শুরু হলো দুয়ারে সরকার শিবির, জেলা শাসকের সাংবাদিক সম্মেলন আসানসোলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ জানুয়ারি:: সারা রাজ্যের সাথেই আজ থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও শুরু হল দুয়ারে সরকার শিবির। আজ এই বিষয়ে জেলাশাসক এস পোন্নামবলম আসানসোলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে জানান এবার ২৪ জানুয়ারি থেকে 1 ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলায় নবম সংস্করণের দুয়ারে সরকার শিবিরগুলি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সময়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মোট ২৭৪৪ টি শিবির আয়োজিত হবে, এর মধ্যে ৫০৪ টি স্থায়ী শিবির এবং ২২৪০ টি মোবাইল শিবির আছে। শিবির গুলিতে জেলার আটটি ব্লক এবং দুর্গাপুর মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকার মানুষজন রাজ্য সরকারের ৩৭ টি প্রকল্পের সরাসরি সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। জেলাশাসক জানান ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেসব আবেদন পাওয়া যাবে সেগুলি খতিয়ে দেখে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে। এবারও লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ সরকারি পরিষেবার অন্যান্য বিষয়গুলির সঙ্গেই দুয়ারে সরকার শিবিরে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি বিষয়ক টেবিল থাকছে অনেক জায়গাতেই। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা শাসকের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক সঞ্জয় পাল, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক আজিজুর রহমান।@প্রান্তভূমি
সিএলডব্লু পরিদর্শন করলেন রেল বোর্ডের সদস্য ব্রজমোহন আগরওয়াল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ জানুয়ারি:: দু'দিন ধরে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা পরিদর্শন করে গেলেন রেল বোর্ডের সদস্য (ট্রাকশন এবং রোলিং স্টক) ব্রজমোহন আগরওয়াল। ২২ এবং ২৩ জানুয়ারি তিনি এখানকার বিভিন্ন দ্রষ্টব্য স্থান পরিদর্শন করার পাশাপাশি কারখানার একাধিক বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার ও বিভিন্ন বিভাগের উচ্চ পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২২ জানুয়ারি তিনি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। ২৩ তারিখ গণপতি মেমোরিয়াল স্থলে গাছের চারা রোপণ করার পাশাপাশি কারখানার সেল, বগি ট্রাকশন মোটর এবং লোকো অ্যাসেম্বলি শপ ঘুরে দেখেন। তিনি দেশবন্ধু হেরিটেজ লোকো পার্কে সংরক্ষণ করে রাখা বিভিন্ন ধরনের রেল ইঞ্জিন পরিদর্শন করে অত্যন্ত খুশি ব্যক্ত করেন। এই দু'দিনে শ্রী আগরওয়াল সিএলডব্লুর অফিসার ও বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলেন। প্রাসঙ্গিক নানান দাবী দাওয়া সম্মিলিত স্মারকলিপি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে এই সংবাদ পাওয়া গেছে।@প্রান্তভূমি
তামিল ভাষায় প্রান্তভূমির সংবাদ:: মাদুরাইয়ে হকচকিয়ে গেলেন বঙ্গের পাঠক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ জানুয়ারি:: তামিলনাড়ু মাদুরাইয়ের বিখ্যাত মীণাক্ষি মন্দির দেখে যতটা বিস্মিত হয়েছিলেন তার চেয়েও বেশি বিস্মিত হলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকভুক্ত খুদিকা গ্রামের বিশিষ্ট লেখক তথা সমাজকর্মী মন্টু দাস - যখন তিনি সেখানকার হোটেলে ফিরে তার প্রিয় প্রান্তভূমি ডিজিটাল পেজটি মোবাইলে খুললেন। ঘুরতে গিয়ে সেখানে মোবাইলে সংবাদ পড়তে গিয়ে দেখলেন প্রান্তভূমির পুরো সংবাদটি সেখানকার ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। যদিও প্রান্তভূমির লোগো এবং তার নিচে ইংরেজিতে প্রান্তভূমি লেখাটি ছাড়া আর এক বর্ণও তার পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি। কারণ ঐ ভাষা মন্টু দাসের আয়ত্তে নেই। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রান্তভূমির সম্পাদককে স্ক্রীনশট সহ জানান। ঘটনাটিতে প্রান্তভূমি দফতরও যুগপৎ বিস্মিত এবং আনন্দিত হয়ে ওঠে। কারণ সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রান্তভূমি অনলাইন মাধ্যমের সংবাদ ভারতবর্ষের অন্য প্রান্তে সেখানকার মানুষের নিজস্ব ভাষায় অনূদিত হয়ে তাদের পাঠপোযোগী হচ্ছে এটা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।@প্রান্তভূমি
মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়িতে ঢুকে হামলা, গ্রেফতার ১

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ জানুয়ারি:: রাজ্যের প্রভাবশালী মন্ত্রী তথা আসানসোল শিল্পাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মলয় ঘটকের বাড়িতে হঠাৎ করে হামলার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে আজ ২২ জানুয়ারি বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ এক ব্যক্তি তার আপকার গার্ডেনের বাড়ির নিচের তলার অফিসে ঢুকে ইঁট নিয়ে হামলা করে, তার ফলে অফিসে থাকা টেবিলের কাচ ফেটে চৌচির হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তা রক্ষীরা এবং মলয় বাবুর অফিসের কর্মীরা তাকে জাপটে ধরেন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে ছুটে যায় আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এবং কমিশনারেটের ডিসি সেন্ট্রাল ধ্রুব দাস সহ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকেরা। পুলিশ এই ঘটনায় আসানসোল কুমারপুর এলাকার বাসিন্দা ভিকি কেওড়াকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানার চেষ্টা করছে কেন সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। তবে হামলার সময় ওই যুবক সার্টিফিকেট সার্টিফিকেট বলে চিৎকার করছিল বলে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন। ঘটনার সময় মন্ত্রীর স্ত্রী সুদেষ্ণা ঘটক ওই বাড়ির ওপর তলাতেই ছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও মন্ত্রী শ্রী ঘটক কলকাতায় আছেন। সাধারণত প্রতি শনি ও রবিবার তিনি আসানসোলের বাড়িতে থাকেন। তার বাড়ি ও কার্যালয়ের নিরাপত্তায় অন্ততপক্ষে চারজন পুলিশ মোতায়েন থাকেন। এছাড়াও গাড়ির চালক এবং দলীয় অনুগতরা থাকেন। এত কিছুর মধ্যেও এক ব্যক্তি কিভাবে একেবারে থান ইঁট নিয়ে তার অফিসে ঢুকলো এবং টেবিলের কাচ ভেঙে দেওয়ার মত গুরুতর অপরাধ সংঘটিত করতে পারল তাই নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনাকে মন্ত্রীর বাড়ি ও কার্যালয়ের নিরাপত্তায় বড়সড় গলদ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।@প্রান্তভূমি
দুষ্কৃতি দমনে দু'কদম এগিয়ে গেল সালানপুর থানা, বসলো অত্যাধুনিক এএনপিআর ক্যামেরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ জানুয়ারি:: অপরাধ ঘটিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সমস্ত রাস্তা একে একে বন্ধ করছে সালানপুর থানা। এবার থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলিতে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি বসানো হলো এএনপিআর ক্যামেরা। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরায় গাড়ির নাম্বার প্লেট ধরে তার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার এবং গাড়ির আরোহীদের সম্বন্ধে যাবতীয় তথ্য মুহূর্তের মধ্যে পুলিশের তথ্য ভান্ডারে জমা পড়ে যাবে। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে কিংবা ছিনতাই বা অপহরণ করে গাড়ি নিয়ে এই থানা এলাকার উপর দিয়ে গেলে তার যাবতীয় তথ্য পুলিশের নখদর্পনে এসে যাবে। অত্যাধুনিক এই নজরদারি ব্যবস্থার আজ আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার পশ্চিম সন্দীপ কাররা, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার কুলটি জাবেদ হুসেন। ছিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, কল্যাণেশ্বরী ওসি লাল্টু পাখিরা। এদিন সালানপুর থানায় নতুন সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম, মহিলা সহায়তা কেন্দ্র ও শিশুদের রাখার উপযোগী ব্যবস্থা এবং সাইবার সেলের অনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। থানা এলাকার নানা প্রান্তে ১৫৯ টি সিসি ক্যামেরা এবং চারটি এএনপিআর ক্যামেরার নজরদারির পাশাপাশি আজ নতুন করে আরও ৪০ টি উন্নত প্রযুক্তির সিসি ক্যামেরা এবং অতিরিক্ত একটি এএনপিআর ক্যামেরা বসানো হয়। আধুনিক জীবনে সাইবার প্রতারণার যে বাড়বাড়ন্ত ঘটছে তা থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার লক্ষ্যে পুলিশ নিরন্তর কাজ করে চলেছে বলে ডেপুটি কমিশনার মন্তব্য করেন। তিনি বলেন পুলিশকে নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাইবার বিভাগের কাজে উপযুক্ত করে তোলা হচ্ছে। সালানপুর থানায় মহিলা সহায়তা কেন্দ্রের পাশাপাশি শিশুদের রাখার উপযোগী যে ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলো তাতে থানায় আসা মহিলাদের সঙ্গে বাচ্চারা যাতে কোনরকম অস্বস্তিকর অবস্থায় না পড়ে, তারা যাতে স্বাভাবিক সময় থানায় কাটাতে পারে সেজন্য বিশেষ এই ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকেরা এইসব ব্যবস্থা এদিন পরিদর্শন করেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত এক দুষ্কৃতি গ্রেফতার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ জানুয়ারি:: দুষ্কর্মের আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। মিহিজামের বাসিন্দা রোহিত রাম (২৬)-কে ২১ জানুয়ারি গভীর রাতে চিত্তরঞ্জন শহরের নর্থ অঞ্চল থেকে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে। রোহিত নর্থ বাজারের খ্যাতনামা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী প্রয়াত মন্টু ঘোষের আত্মীয় জয়দেব চৌধুরীর কাছ থেকে টাকা, মোবাইল, স্কুটি ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে। ১৯ জানুয়ারি রাতে মিষ্টির দোকান বন্ধ করে জয়দেববাবু চিত্তরঞ্জনের নর্থ বাজার থেকে রূপনারায়ণপুরের বাড়িতে ফেরার পথে নর্থ ইলেকট্রিক অফিসের কাছাকাছি রাস্তায় তিন বাইক আরোহী ছিনতাইবাজের পাল্লায় পড়েন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে জয়দেব বাবুর সঙ্গে থাকা নগদ ১১শো টাকা , রেডমি এন্ড্রয়েড মোবাইল এবং অ্যাক্টিভা স্কুটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই চিত্তরঞ্জন পুলিশ এবং আরপিএফ ঘটনার তদন্তে নামে। শেষ পর্যন্ত ২১ জানুয়ারি গভীর রাতে রোহিতকে গ্রেফতার করে। রোহিতের সঙ্গে আরও দুজন এই ঘটনায় জড়িত ছিল বলে আক্রান্ত জয়দেববাবু জানিয়েছিলেন। তারাও খুব দ্রুত ধরা পড়বে বলে পুলিশ আশাবাদী।@প্রান্তভূমি
জলের পাইপলাইন বসাতে গিয়ে মৃত্যু তিন কর্মীর::সালানপুরে বিভৎস ঘটনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২১ জানুয়ারি:: ঘরে ঘরে জল পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন দিকে পাইপ বসানোর কাজ চলছে সালানপুর ব্লকে। আর এই কাজ করতে গিয়েই এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল সালালানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডালমিয়া অঞ্চলে । আজ ২১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন কর্মীর, একজন গুরুতর ঘায়েল হয়েছেন। মর্মান্তিক এই পরিণতি ঘটেছে যখন মাটির গভীরে গিয়ে জল নিয়ে যাওয়ার পাইপ ওয়েল্ডিং করে জোড়া দেওয়ার কাজ চলছিল। সে সময় হঠাৎ করেই ওপর থেকে বিশাল পরিমাণ মাটি ধসে ওই চার কর্মী চাপা পড়ে যান। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন রজ্জাক শেখ (২২), রোহিত উদ্দিন শেখ (১৮) এবং নীতেশ পাশওয়ান (২৫)-কে। এছাড়াও গুরুতর জখম শামসুল শেখ (২০)। এদের মধ্যে রজ্জাক, রোহিত ও শামসুলের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় অঞ্চলে; নীতেশের বাড়ি নিয়ামতপুর সংলগ্ন চিনাকুড়িতে। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে যান এই কাজের দায়িত্বে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুন্ডু, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সদ্য সালানপুর বিডিও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রুষালি কালের, সালানপুর পঞ্চায়েতের সমাজকর্মী ফুচু বাউরি প্রমুখ। এ প্রসঙ্গে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকুন্ডু বলেন আসানসোলের মহঃ আমির খানের এজেন্সির কর্মীরা এখানে পাইপলাইন জোড়ার কাজ করছিলেন। এর আগে সাড়ে সাতশো ডায়ার হিউম পাইপ ওই এলাকায় পাতা হয়েছিল। আজ সেই পাইপের ভেতর দিয়ে জল নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পাইপ ওয়েল্ডিং করে জোড়া দেওয়ার কাজ চলছিল। এই কর্মীরা ওয়েল্ডিংয়ের কাজে দক্ষ। মাটি কাটার ক্ষেত্রে এদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে আজ কোন মাটি কাটার কাজ চলছিল না, আগে কেটে রাখা মাটি হঠাৎ করে ধসে পড়ে। এই মাটি কোলিয়ারির ওভার বার্ডেন এবং রেলের রাইটসের যে কাজ চলছিল তার জন্য বিশাল পরিমাণে জড়ো হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। মহকুমা শাসক শ্রী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক, পরবর্তী সময়ে যেন কোন রকম অঘটন না ঘটে সে বিষয়ে পিএইচই কর্তৃপক্ষ যাতে সতর্ক থাকেন তা নিশ্চিত করা হবে। ফুচুবাবু বলেন তিনি খবর পেয়েই এলাকায় ছুটে যান এবং উদ্ধারের কাজ তদারকি করেন। এই পাইপ এথোড়ার জল ট্যাংকির সঙ্গে সংযোগের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। সালানপুর বিডিও রুষালি কালের বলেন ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে উচ্চ প্রশাসন। অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকুন্ডু বলেন কলকাতা থেকে দফতরের একাধিক পদস্থ আধিকারিক ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে সালানপুরে আসছেন। মৃত ব্যক্তিদের পরিবার যাতে উপযুক্ত সহযোগিতা পান তা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন। তবে, একে কলিয়ারি এলাকা; তাই আবার ধসপ্রবণ অঞ্চল - তবু কেন আগাম নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয় নি সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে এ্যসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, মাটির নীচের অংশ আগেই সোলিং করা হয়েছিল, পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়ার জন্য খুব বেশি মাটিও তারা কাটেন নি। তবে, পাশেই রেলের সংস্থা রাইটসের কাজ চলছে । যদিও এই বড়ো অঘটন কেন ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভয়ংকর এই দুর্ঘটনায় আপাতত এখানে পাইপলাইনের কাজ থমকে গেল।@প্রান্তভূমি
সালানপুর ব্লকে ২৪-৩১ দুয়ারে সরকার শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২১ জানুয়ারি::
নবম দফার দুয়ারে সরকার এবং পাড়ায় সমাধান শিবির সালানপুর ব্লকে আয়োজিত হতে চলেছে ২৪ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ব্লকের ১১ টি পঞ্চায়েতে নির্দিষ্ট দিনগুলিতে এই শিবির আয়োজিত হবে। দেখে নেওয়া যাক সালানপুর ব্লকে কবে কোথায় শিবির হবে:: #আল্লাডি পঞ্চায়েতে ২৪ জানুয়ারি ধাঙ্গুড়ি ইউপি স্কুল, ২৯ জানুয়ারি আল্লাডি কমিউনিটি হল, ৩১ জানুয়ারি বরাভুই। #সালানপুর পঞ্চায়েতে ২৪ জানুয়ারি সালানপুর কমিউনিটি হল, ২৭ জানুয়ারি খুদিকা কমিউনিটি হল, ৩১ জানুয়ারি মেলেকোলা দূর্গা মন্দির। #জিৎপুরউত্তররামপুর পঞ্চায়েতে ২৭ জানুয়ারি নামোকেশিয়া এফ পি স্কুল, ২৯ জানুয়ারি জিৎপুর কমিউনিটি হল, ৩১ জানুয়ারি নীললোহিত কমিউনিটি হল। #সামডি পঞ্চায়েতে ২৪ জানুয়ারি সামডি দুর্গা মন্দির, ৩১ জানুয়ারি কমিউনিটি হল। #কল্যা পঞ্চায়েতে ২৭ জানুয়ারি চয়নপুর ক্লাব গ্রাউন্ড, ২৮ জানুয়ারি কালিসাঁকো রয়্যাল ক্লাব ময়দান, ২৯ জানুয়ারি মল্লাডি এসএসকে, ৩০ জানুয়ারি কেশবডিহি এম এস কে। #ফুলবেড়িয়াবোলকুণ্ডা পঞ্চায়েতে ২৭ জানুয়ারি মুক্তাইচন্ডী কমিউনিটি হল, ৩১ জানুয়ারি পর্বতপুর হেলথ সেন্টার। #বাসুদেবপুরজেমারি পঞ্চায়েতে ২৮ জানুয়ারি বাসুদেবপুর জেমারি কমিউনিটি হল, ৩১ জানুয়ারি বাসুদেবপুর জেমারি কমিউনিটি হল। #দেন্দুয়া পঞ্চায়েতে ২৮ জানুয়ারি নাকড়াজোড়িয়া এফপি স্কুল ময়দান, ৩১ জানুয়ারি বাঁশকেটিয়া কমিউনিটি হল। #এথোড়া পঞ্চায়েতে ২৮ জানুয়ারি পুইতণ্ডী পাড়া শেড, ৩১ জানুয়ারি এথোড়া লাইব্রেরী ময়দান। #আছড়া পঞ্চায়েতে ২৯ জানুয়ারি কর্মতীর্থ ময়দান, ৩১ জানুয়ারি জোড়বাড়ি সংকট মোচন মন্দির ময়দান। #রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতে ২৮ জানুয়ারি নান্দনিক হল ৩১ জানুয়ারি পিঠাকিয়ারি দুর্গা মন্দির।@প্রান্তভূমি
.

.
হারিয়ে যাওয়া ৮২ টি মোবাইল ফিরিয়ে দিল পুলিশ :: খুশির হাওয়া জামুড়িয়ায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ জানুয়ারি:: 'ফিরে পাওয়া'র আনন্দে উদ্বেলিত হলেন জামুড়িয়া থানা এলাকার ৮২ জন ব্যক্তি। এডিপিসি'র অন্তর্গত এই থানা এলাকার ৮২ জন মানুষের হাতে তাদের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফিরিয়ে দিল পুলিশ প্রশাসন। আজ, ২০ জানুয়ারি জামুড়িয়া থানায় আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রাপকদের হাতে মোবাইলগুলি তুলে দেন ডেপুটি কমিশনার ধ্রুব দাস। উপস্থিত ছিলেন ওসি সৌমেন্দ্রনাথ সিংহ ঠাকুর সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। প্রকৃত মালিকদের হাতে মোবাইলগুলি তুলে দেওয়ার আগে ডিসিপি বলেন এখন মোবাইল শুধু কথা বলার জন্যই ব্যবহার করা হয় না, মোবাইল হল তথ্যের ভাণ্ডার। মোবাইলে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মজুত রাখা হয়। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নথি চটজলদি মোবাইল থেকে পাওয়ার সুবিধা থাকে। তাই মোবাইলগুলি প্রত্যেকে যেন সযত্নে রাখেন সেই পরামর্শ দেন তিনি। উল্লেখ্য, জামুড়িয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা সময়ে এই মোবাইলগুলি হারিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ সেসব অভিযোগ পেয়ে মোবাইল নম্বর ধরে ধরে খোঁজ নিতে শুরু করে। এবং একে একে সেগুলিকে উদ্ধার করে আনে। এর আগেও প্রায় একশোটি হারিয়ে যাওয়া মোবাইল জামুড়িয়া থানার প্রচেষ্টায় ফিরে পেয়েছিলেন সেগুলির মালিকেরা।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনের শুনশান রাস্তায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন এক প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরের শুনশান রাস্তায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের পাল্লায় পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন এক প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। রোমহর্ষক এই ঘটনা ঘটেছে ১৯ জানুয়ারি রাতে। প্রতিদিনের মতোই এদিনও চিত্তরঞ্জন রেল শহরের নর্থ মার্কেটে খ্যাতনামা মিষ্টান্ন বিক্রেতা প্রয়াত মন্টু ঘোষের আত্মীয় জয়দেব চৌধুরী দোকান বন্ধ করে রূপনারায়ণপুরের বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি যখন বাজার থেকে বেরিয়ে নর্থ ইলেকট্রিক অফিসের পিছনের রাস্তায় পৌঁছান সে সময় হঠাৎই পিছন থেকে অন্ধকার ফুঁড়ে একটি বাইকে ৩ আরোহী তীব্র গতিতে তার সামনে এসে পথ আটকায়। তারা প্রত্যেকেই মুখ ঢেকে রেখেছিল। জয়দেব বাবু বলেন তিনি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই বাইক থেকে তিন দুষ্কৃতী নেমে একজন তার দিকে পিস্তল উঁচিয়ে ধরে । অন্য দুজন তার ব্যাগ, পকেট তল্লাশি করতে থাকে। এরপর দুষ্কৃতীরা তার কাছে থাকা ১১০০ টাকা, একটি রেডমি মোবাইল নম্বর (৭০৪৭৭৬৮৪৪৮ ও ৯৪৩৪১৪৭৩৪৬) ছিনিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তিনি যে হোন্ডা অ্যাক্টিভা ১২৫ স্কুটি (নম্বর ডব্লু বি ৩৮/ বিবি ৬৫৫১) চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন সেই একটিভা গাড়িটিও নিয়ে পালিয়ে যায়। লুটপাট শেষ করে তাকে চিৎকার করলে গুলি করে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে রাস্তার পাশে ঠেলে ফেলে দেয় তারা। এরপর অজয় নদের দিকে কুশবেদিয়া ডাঙ্গালপাড়াগামী রাস্তা ধরে তারা চম্পট দেয়। জায়গাটি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকায় তিনি দুষ্কৃতীদের চেহারা বা বাইকের নম্বর ঠাহর করতে পারেননি। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পর জয়দেববাবু কোনক্রমে বাজারে ফিরে আসেন এবং উপস্থিত দোকানদারদের ঘটনাটি জানান। সঙ্গে সঙ্গেই আরপিএফ এবং চিত্তরঞ্জন থানায় সংবাদ দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিন অবস্থা খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলী জানিয়েছেন পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে, শীঘ্রই তারা পুলিশের জালে ধরা পড়বে।@প্রান্তভূমি
কল্যাণেশ্বরীতে আধুনিক অতিথি নিবাস আসানসোল কর্পোরেশনের উদ্যোগে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ জানুয়ারি:: বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন ক্ষেত্র মা কল্যানেশ্বরী মন্দির এলাকায় পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের উপযোগী একটি অতিথি নিবাসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো আজ ২০ জানুয়ারি। সমস্ত রকম সুবিধাযুক্ত এই অতিথি নিবাসের সূচনা করলেন আসানসোল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক। কল্যানেশ্বরী মন্দির থেকে ডানদিকে লেফট ব্যাংক কলোনি বা মাইথন জলাধারের দিকে যাওয়ার পথে কিছুটা এগিয়েই রাস্তার ধারে বিশাল জায়গায় এই অতিথি নিবাস গড়ে উঠেছে। এখানে ১৬ টি রুম, কটেজ, ম্যারেজ হল, সুইমিং পুল সহ নানান ব্যবস্থা থাকছে। কল্যানেশ্বরী মাইথন অঞ্চলে ঘুরতে এসে পর্যটকেরা যেমন এই অতিথি নিবাসে সহজেই থাকতে পারবেন তেমনই সাধারণ মানুষ বিয়েবাড়ি বা যে কোনো অনুষ্ঠান এখানে আয়োজন করতে পারবেন। দীর্ঘদিন পড়ে থাকা এই জমিটি আসানসোল কর্পোরেশন স্থানীয় এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগানোর মনস্থ করে। স্থানীয় ব্যবসায়ী রামচন্দ্র সাউয়ের বড়ো আর্থিক ব্যয়ে দ্রুত এই পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ শ্রী সাউকে আগামী ৪০ বছরের জন্য এই অতিথি নিবাস লিজের মাধ্যমে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন। ৪০ বছর লিজের মেয়াদ শেষে অতিথি নিবাসের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব আবার কর্পোরেশনের হাতে ফিরে যাবে। তবে সে সময় নতুন করে লিজ পাওয়ার ক্ষেত্রে রামচন্দ্র বাবুর পরিবারের সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে জানা গেছে। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ সদস্য গুরুদাস চ্যাটার্জি ও অন্যান্যরা। কল্যানেশ্বরীর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় কর্পোরেশন অতিথি নিবাস তৈরীর ব্যবস্থা করায় স্থানীয় মানুষজন খুশি।@প্রান্তভূমি
শ্রীলতা ইনস্টিটিউটে চলছে ৫২-তম তুলসী লাহিড়ী স্মৃতি একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ জানুয়ারি:: আজ, ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হল চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ইনস্টিটিউট আয়োজিত ৫২-তম তুলসী লাহিড়ী স্মৃতি একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা । আজ সন্ধ্যায় প্রথম নাটক মঞ্চস্থ করে চিত্তরঞ্জনের আন্তরিক। এদিন নাটক শুরুর আগে সুসজ্জিত শ্রীলতা প্রেক্ষাগৃহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার পদস্থ আধিকারিক দীনেশ প্রসাদ শা, প্রদীপ টপ্পো। তাদের হাত দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে নাট্য প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অতিথিগণ বক্তব্য রাখেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নীলাদ্রি মন্ডল । উদ্বোধনী পর্ব সঞ্চালনা করেন বরেন্দ্রনাথ কর্মকার। প্রথম দিন আন্তরিক ছাড়াও নাটক মঞ্চস্থ করছে চিত্তরঞ্জনের পরবাস এবং কলকাতার বিভাব নাট্য একাডেমি। আগামীকাল দ্বিতীয় দিন ২০ জানুয়ারি নাটক মঞ্চস্থ করবে গয়েশপুরের মঞ্চসেনা, আগরপাড়ার কালপুরুষ, রূপনারায়ণপুরের বিকল্প। তৃতীয় দিন ২১ জানুয়ারি চন্দননগরের রঙ্গপীঠ, চিত্তরঞ্জনের নাট্যরূপা ও অযান্ত্রিক। চতুর্থ ও শেষ দিন ২২ জানুয়ারি কাঁচরাপাড়ার ফিনিক এবং বর্ধমান গ্রাফ সোসাইটি। শেষ দিন এই দুটি নাটকের পর হবে আলোচনা এবং পুরস্কার বিতরণী পর্ব।@প্রান্তভূমি
আসানসোল জেলের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এই প্রথম বন্দীদের মধ্যে হচ্ছে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা:: নতুন জেল সুপার চন্দ্রেয়ী হাইত এনেছেন খোলা হাওয়া

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ জানুয়ারি:: আসানসোল জেলের সুদীর্ঘ ইতিহাসে এমনটা আগে কোনদিন ঘটেনি। যা ঘটছে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে সদ্য এখানে জেল সুপারের দায়িত্ব নিয়ে আসা চান্দ্রেয়ী হাইতের হাত ধরে। নতুন জেল সুপারের বয়ান অনুযায়ী এখন বন্দিদের জন্য এগুলি আর জেল নয়, সংশোধনাগার - তাই প্রত্যেককেই সঠিক সংশোধনের পথে নিয়ে যেতে যা কিছু ভালো তাই করতে হবে এবং সেটাই তিনি চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের বন্দীদের নিয়ে এই প্রথম অনুষ্ঠিত হলো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। এখন এই জেলে ভিন রাজ্যের একাধিক ব্যক্তি সহ প্রায় 400 বন্দী আছেন। কিন্তু জেল চৌহদ্দির মধ্যে থাকা মাঠ ছোট। সেজন্য প্রতিটি দলে ৬ জন করে ক্রিকেটার নিয়ে আটটি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে। যার চূড়ান্ত খেলাটি হবে ২৩ জানুয়ারি নেতাজী সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিনে। আর ২৬ জানুয়ারি বিজয়ী দল ও সেরা ক্রিকেটারদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক এস পোন্নামবলম স্বয়ং। এ বিষয়ে জেল সুপার চন্দ্রেয়ী হাইত জেলাশাসকের সহযোগিতার জন্য অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন বন্দীদের লেখাপড়া খেলাধুলা ইত্যাদির বিষয়ে জেলাশাসক তাকে যে উৎসাহ যুগিয়েছেন তা অতুলনীয়। বন্দীদের মধ্যে নানান ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য জেলাশাসক ক্রিকেট ব্যাট বল ব্যাডমিন্টনের সরঞ্জাম ভলিবল ইত্যাদির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। বন্দিদের নিয়ে ভলিবল প্রতিযোগিতাও হয়েছে। এছাড়াও বন্দিদের নিয়ে অন্য নানা ধরনের খেলার আয়োজন নতুন জেল সুপার করতে চলেছেন বলেও জানা গেছে। মহিলা বন্দীরা যাতে সহজে খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন সেজন্য মিউজিক্যাল চেয়ার, চামচ-গুলি ইত্যাদির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। খেলাধুলার সাথে সাথেই পড়াশোনা এবং প্রতিভার বিকাশে অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন - যেখানে একাধিক বন্দী তাদের মনের ভাবনাকে রং তুলিতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কেউ এঁকেছেন সবুজ ধানের জমি, কেউ গাছের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেওয়া সূর্য, কেউ এঁকেছেন নিটোল মাটির বাড়ি । এইভাবে বন্দীদের একঘেয়েমি কাটানোর পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন জেল সুপার। বন্দীদের মধ্যে এখানে একাধিক মাদকাসক্ত ব্যক্তি আছেন। তাদের আসক্তি থেকে মুক্ত করতে মানসিক পরিবর্তনের জন্য উপযুক্ত মানোবিদের খোঁজ করছেন মানবিক এই জেল সুপার। তার হাত ধরে আসানসোল জেল এখন পরিবর্তনের পথে।@প্রান্তভূমি
পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু বাইক আরোহীর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১৯ জানুয়ারি::
নিয়ামতপুর বাজারের যানজট এড়াতে তৈরি হয়েছে বাইপাস। সেই ইস্কো বাইপাস রাস্তাতেই বেলাগাম গতির গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক বাইক আরোহীর। আজ ১৯ জানুয়ারি বেলা বারোটা নাগাদ এই দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং রাস্তা অবরোধে নামেন। তারা একযোগে দাবি জানাতে থাকেন অবিলম্বে এই রাস্তায় কড়া হাতে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, বেলাগাম গতির গাড়িগুলিকে ধরে উপযুক্ত শাস্তির আওতায় আনতে হবে, নিয়মিত ট্রাফিক পুলিশ রাখতে হবে। শেষ পর্যন্ত কুলটি থানার অন্তর্গত নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের আশ্বাসে আধঘন্টা পর অবরোধ উঠে যায়। জানা গেছে একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে ওই বাইক আরোহীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটির ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেছে।@প্রান্তভূমি
হাসপাতালে চলছে কোলিয়ারির এজেন্ট অফিস::ইসিএলের কাছে চিকিৎসা বিদ্যুৎ সহ নানান দাবি দেন্দুয়া-বাসীদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন :: ১৮ জানুয়ারি।।
হাসপাতালে উঠে এসেছে কোলিয়ারির পুরো এজেন্ট অফিস। ফলে এলাকার মানুষজন চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোলিয়ারির কার্যালয় থাকুক কিন্তু তার সঙ্গেই এলাকাবাসীর জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাও যাতে এখান থেকে পাওয়া যায় সেই দাবি সহ একগুচ্ছ সামাজিক বিষয় তুলে ধরে আজ ১৮ জানুয়ারি সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত দেন্দুয়ার শতাধিক বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখালেন। বিক্ষোভ শেষে তারা ই সি এল সালানপুর এরিয়ার বনজেমারি কলিয়ারির এজেন্ট অফিসে স্মারকলিপি তুলে দেন। যে অফিসটি দেন্দুয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছাকাছি বনজেমারি কোলিয়ারি চত্বরে দীর্ঘকাল ছিল, সেটিকেই দেন্দুয়া- কল্যানেশ্বরী রাস্তার ধারে ইসিএলের এরিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ফলে এখন হাসপাতাল-পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে । চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করার দাবি সহ অন্য যে বিষয়গুলি এদিন তুলে ধরা হয় তার মধ্যে অন্যতম হলো দেন্দুয়ার প্রতিটি বাড়িতে বিনামূল্যে ইসিএলকে বিদ্যুৎ দিতে হবে। প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পাশাপাশি এলাকার সমস্ত রাস্তা এবং গলিতে পথবাতির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও গ্রামের একমাত্র শ্মশান ঘাটের পূর্ণ সংস্কার করে সেখানকার আগাছা পরিষ্কার এবং স্থায়ী আলো ও জলের বন্দোবস্ত ই সি এলকে করে দিতে হবে। দেন্দুয়ার খেলার মাঠটি উপযুক্ত করে সেখানে যাতে নিয়মিত খেলাধুলা করা যায় তার ব্যবস্থা, ছোটদের জন্য একটি পার্ক তৈরীরও দাবি জানানো হয়। এরই সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরও একটি জ্বলন্ত সমস্যার দিকে ইসিএল কর্তৃপক্ষের নজর আকর্ষণ করেন। সেটি হল প্রতিদিন দেন্দুয়া মোড়ে নজিরবিহীন যানজট। যে জটের জন্য মূলত দায়ী ইসিএলের কয়লাবাহী ডাম্পার। গ্রামবাসীরা দাবি জানান ডাম্পার চলাচলের জন্য বিকল্প কোন রাস্তার ব্যবস্থা ই সি এল যেন করে। তাছাড়া প্রতিদিন শত শত ডাম্পার চলাচলের জন্য দেন্দুয়া অঞ্চলে যে দূষণের সৃষ্টি হচ্ছে তার থেকে রেহাই দেওয়ার জন্য দিনে দু'বেলা করে রাস্তায় জল ছেটানোর দাবি জানানো হয়। এই দাবিপত্র কোলিয়ারির এজেন্টের অনুপস্থিতিতে গ্রহণ করেন ম্যানেজার সুজন মাহাতো, সঙ্গে ছিলেন পার্সোনেল ম্যানেজার আদিত্য কুমার। ম্যানেজার শ্রী মাহাতো এই দাবিপত্র ইসিএলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেবেন বলে তাদের জানান। কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে এই বিষয়গুলিতে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ সদর্থক পদক্ষেপ না করলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন গ্রামবাসীরা। এদিন বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুপ্রকাশ মাজি, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জন দত্ত সহ বিশ্বজিৎ মাজি, ইন্দ্রনারায়ণ দত্ত, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, সত্যনারায়ণ দত্ত, রাজু মাজি, সুমিত দত্ত, ক্ষুদিরাম মন্ডল, রাহুল সেন, সাধন মুখার্জি, অভিজিৎ বাউরি, প্রদ্যুৎ ব্যানার্জি প্রমুখ।@প্রান্তভূমি
ম্যারেজ হল থেকে গ্রেফতার দুই আন্তঃরাজ্য পাচারকারী, উদ্ধার লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর বহুমূল্য দেহাংশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ জানুয়ারি:: শিল্পাঞ্চলে কয়লা বালি পাথরের পর আর যে ক্ষেত্রটিতে মাফিয়ারা নজর দিয়েছে তা হল বন্যপ্রাণীর বহুমূল্য দেহাংশ পাচার। ফলে নড়ে চড়ে বসেছে বন বিভাগ। এবং তারই ফলশ্রুতিতে এবার বড়সড় সাফল্য মিললো দুর্গাপুর ডিভিশনের আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জে। লুপ্তপ্রায় সম্বর হরিণের শিং ও প্যাঙ্গলিনের আঁশ চোরাচালান করতে গিয়ে গ্রেফতার হল দুই আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতি। তাদের কাছ থেকে ১১ টি হরিণের প্রায় তিন কেজি শিং এবং সাতটি প্যাঙ্গলিনের আঁশ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধরা পড়েছে ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার টিরলা থানার অন্তর্গত বরিদারী গ্রামের গণেশ প্রসাদ (৫৪) এবং ধানবাদ জেলার নিরসা থানার অন্তর্গত কেলিয়াশোল কাঁটাজানির সুকুমার বাউরি ( ৪৫)। আজ তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হয়। জানা গেছে চলতি জানুয়ারি মাসের শেষ দিনে এই মামলা আবার আদালতে উঠবে। জানা গেছে, বন বিভাগের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গোপন সূত্রে জানতে পারে নিয়ামতপুর সংলগ্ন চলবলপুরের একটি ম্যারেজ হলে পাচারকারীরা ঘাঁটি গেড়েছে। তাদের ধরার জন্য রূপনারায়নপুরস্থিত আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দের নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল ১৬ জানুয়ারি দুপুরে চলবলপুরের ঐ ম্যারেজ হলে হঠাৎই হানা দেয়। পাচারকারীরা কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন বিভাগের হাতে আটক হয় অভিযুক্তেরা। প্রথম দিকে তারা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ঘরে তল্লাশি চালানোর পর হরিণের শিং এবং প্যাঙ্গোলিনের আঁশ উদ্ধার হলে আর রা-টি কাড়তে পারেনি পাচারকারীরা। যদিও বন বিভাগের আধিকারিকদের অনুমান এর আগে আরো অন্যান্য জিনিস তারা পাচার করতে সক্ষম হয়েছে। কারণ ধরা পড়ার কয়েকদিন আগে থেকেই তারা এখানে ঘাঁটি গেড়ে ছিল বলে অনুমান বনবিভাগের। ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ১৯৭২-এর ৫০, ৫১ আর/ডব্লু অন্তর্গত ৩৯,৪৪, ৪৯ / বি ইত্যাদি ধারায় অভিযোগ রুজু করা হয়েছে। চোরা চালান রোধে দুর্গাপুর ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার অনুপম খান অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিয়েছেন। অভিযুক্তেরা যাতে সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সে বিষয়ে তৎপর হয়েছেন রেঞ্জ অফিসার। উল্লেখ্য, আগেও এই ধরনের একাধিক ঘটনায় বন বিভাগ তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তদের বামাল সহ গ্রেফতার করেছিল; তবে আইনি প্রক্রিয়ার ফাঁকে খুব বেশি শাস্তি তাদের পেতে হয়নি। এবার দেখার, অভিযুক্তরা কি শাস্তি ভোগ করে আদালতের মাধ্যমে।@প্রান্তভূমি
দূষণ ছড়ানোর অভিযোগে রূপনারায়ণপুরে আটক ভিনরাজ্যগামী একাধিক ডাম্পার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ জানুয়ারি:: মালবাহী ষোলো চাকার ডাম্পার থেকে বেরিয়ে আসা ছাই গলিত খড়িমাটি ইত্যাদির দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে রূপনারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন আজ সকালে সেগুলিকে আটক করেন। দূষণের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য নিজেরাই রূপনারায়ণপুর রেল লাইন সংলগ্ন ঝাড়খণ্ড রোডে জল ছেটান। পিছল খড়িমাটি থেকে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পাইপের জল দিয়ে রাস্তা ধুয়ে দেন তারা। রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স সংলগ্ন এই রাস্তা দিয়ে যাতে ডাম্পারগুলি চলাচল না করে সেই দাবি জানান পুলিশের কাছে। জানা গেছে, ১৬ চাকার বড় এই ডাম্পারগুলি পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শিল্প তালুক থেকে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় কয়লার গুঁড়ো ছাই অন্যান্য রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ খড়ি মাটি ইত্যাদি বহন করে নিয়ে যাচ্ছে। আটকে পড়া এক ডাম্পারচালক মুন্না ধীবর বলেন চালান সহ অন্যান্য বৈধ নথিপত্র তাদের কাছে আছে। তারা গোড্ডায় জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের যে কাজ চলছে তার জন্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন। আগে তারা আসানসোল জুবিলী মোড় হয়ে অন্য রাস্তায় যেতেন, কিন্তু এখন রূপনারায়ণপুর টোল ট্যাক্স হয়ে যাতায়াত করছেন। এতে সময় কিছুটা কম লাগছে যাতায়াতে। দূষণের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েও তিনি বলেন ঢাকা ঢুকি দিয়েই তারা এইসব সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু রাস্তার গর্তে চাকা পড়লে যে ঝাঁকুনি হয় তাতে এবং ঢাকা দেওয়া ত্রিপল সরে গিয়ে কিছুটা তো ছাই গলিত খড়িমাটি আশেপাশে পড়েই। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধ করেন যাতে এই বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কাছে তারা তুলে ধরেন। যদিও রাস্তার দুদিকের বাসিন্দারা দূষণের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে একাধিক ডাম্পারকে আটকে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের দাবি এই রাস্তা দিয়ে এমন ডাম্পার চলাচল তারা করতে দেবেন না।@প্রান্তভূমি
হাসপাতালে রোগিনীর মৃত্যুকে ঘিরে চিত্তরঞ্জনে হাঙ্গামা::আক্রান্ত চিকিৎসক, রক্ষী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ জানুয়ারি:: চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে রোগিনীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগ তুলে আজ ১৭ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে উত্তেজিত মানুষজন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নিরাপত্তা রক্ষীদের উপর হামলা করেন বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সব সময় সতর্ক ছিলেন এবং প্রয়োজনমতো ওই রোগীর চিকিৎসা করেছেন। এমনকি রাতের বেলায় অন্তত তিনবার তিনি 'কল' পেয়ে রোগীর অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও ফিমেল ওয়ার্ড-২ বিভাগে ভর্তি রোগীর শারীরিক অবস্থা বিশেষ ভালো নয় বলে একাধিকবার তার পরিজনেদের জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে মৃতার পরিজনেদের অভিযোগ রাতের বেলায় বারবার ডাকা সত্ত্বেও সিস্টারদের পাওয়া যায়নি। জানা গেছে ১৫ জানুয়ারি রাত প্রায় সাড়ে ন'টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন রেল কর্মী ছয়ের পল্লী ৪১ / এ রাস্তার বাসিন্দা অজয় কুমারের ২১ বর্ষীয়া কন্যা ছোটি কুমারীকে জি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অন্যান্য অসুবিধার সঙ্গেই তার হৃদযন্ত্রের সমস্যাও ছিল বলে জানা গেছে। ১৬ জানুয়ারি রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তার পরিজনেরা হাসপাতালে ঠিকঠাক চিকিৎসা হচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে তর্ক বিতর্ক করেন। সে সময় আরপিএফ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কিন্তু আজ ১৭ জানুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছোটি কুমারীর হাসপাতালে মৃত্যু হলে অজয় বাবুর পরিজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা কর্তব্যরত চিকিৎসক শৌভিক বিশ্বাসের সঙ্গে তর্কাতর্কি এমনকি হাতাহাতি ধস্তাধস্তি পর্যন্ত করেন বলে অভিযোগ। স্যালাইনের বোতল ছুঁড়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডাক্তার বিশ্বাসের নাকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে গোলমাল আটকাতে গিয়ে দুই নিরাপত্তা রক্ষী বান্টি এবং পঙ্কজ আহত হন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত সেখানে আরপিএফ ছুটে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছায় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। এরপর অবস্থা শান্ত হয়। আরপিএফ আহত চিকিৎসকের বয়ান নথিভুক্ত করেছে, অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে। অজয় বাবুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে কিছুদিন আগে অসুস্থতা জনিত কারণে ছোটি কুমারীকে আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখান থেকে ছুটি হয়ে যাওয়ার পর বাড়িতে এলে তিনি আবার অসুস্থ হন এবং ১৫ জানুয়ারি তাকে কেজি হাসপাতালে ভর্তি করান। তবে তার মৃত্যুকে ঘিরে যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা কাম্য নয় বলেই সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
পার্সেল আটকে কাস্টমসের হাতে - প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে প্রতারককেই ঘোল খাওয়ালেন রূপনারায়ণপুরের যুবক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ জানুয়ারি:: ফোনটা পেয়ে হৃদকম্প হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উল্টে প্রতারককেই ঘোল খাইয়ে ছাড়লেন রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা জয়ন্ত পাল। কারণ ফোনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা হাতানোর চক্র সম্বন্ধে যথেষ্টই ওয়াকিবহাল জয়ন্ত বাবু। প্রতারক যদিও নিজের ফাঁদেই নিজে পড়ে যায় এদিন। কারণ জয়ন্ত বাবু কোন সময়েই মুম্বাইয়ে যাননি এবং সেখান থেকে কোন পার্সেলও বুক করেননি। অথচ আজ, ১৬ জানুয়ারি বিকেল ৩ টে ৪৭ মিনিটে তার কাছে ফোন আসে +১৮৬৬২৫৮৯৭২ নম্বর থেকে। বলা হয় জয়ন্ত পাল তার ফোন নম্বর ব্যবহার করে একটি পার্সেল মুম্বাই থেকে দুবাইয়ে পাঠানোর জন্য ডি এইচ এল ইন্টারন্যাশনাল কুরিয়ার সার্ভিসে বুক করেছিলেন। কিন্তু সেই পার্সেলে অবৈধ জিনিস থাকায় মুম্বাই কাস্টমস আটক করেছে। এই বিষয়ে বিশেষ কিছু জানার থাকলে মোবাইলের নির্দিষ্ট নম্বর টেপার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু জয়ন্ত বাবু সেটি না করে জানতে চান কে এই কথা বলছেন। তখন ফোনের অপর পার থেকে বলা হয় কুরিয়ার সার্ভিসের কাস্টমার কেয়ার বিভাগ থেকে রাজ আনন্দ কথা বলছেন। জয়ন্ত বাবুকে তিনি মুম্বাইয়ের আন্ধেরি পুলিশ স্টেশনে যাওয়ার নির্দেশ দেন। তা না হলে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে এই কেস চলে যাবে বলেও ভয় দেখানো হয়। জয়ন্ত বাবু বলেন, তিনি মুম্বাইয়ে থাকেন না। এতকিছুতেও জয়ন্ত বাবু ঘাবড়ে না যাওয়ায় প্রতারক শেষ পর্যন্ত বলেন তিনি বিষয়টির মিটমাট করিয়ে দেবেন কিন্তু তার জন্য জয়ন্ত বাবুর আধার কার্ডের জেরক্স পাঠাতে হবে। এ সময় জয়ন্ত বাবু বলেন তার আধার কার্ড হারিয়ে গেছে। এইভাবে প্রতারকের সঙ্গে সমানতালে কথার খেলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ন্ত বাবু বলেন আপনার যা করার আছে করুন, আমি লোকাল থানায় যাচ্ছি বিষয়টি জানানোর জন্য। এবং শেষ পর্যন্ত আরও তিনি বলেন আমার আগে আর কতজনকে এইভাবে বুদ্ধ বানিয়েছেন? শুধু শুধু আমাকে ফোন করে সময় নষ্ট করবেন না, অন্য মুরগা খুঁজুন। তবে এমনটা করবেন না, এখন মানুষ অনেক সচেতন; তারা আপনাদের ফাঁদে পা দেবেন না। এই কথা শুনে যথেষ্ট শান্তভাবেই প্রতারক ফোন রেখে দেন।@প্রান্তভূমি
লোকালয়ে দলছুট ২টি বন্য হাতি:: ঘরের উঠোনে ঢুকে খেয়ে গেল পুইশাক::চরম আতঙ্ক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ জানুয়ারি:: দুটি দলছুট হাতি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় হুলস্থুল বেধেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা গোপালপুর অঞ্চলে। আজ সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাতি দুটি শুঁড় উঁচিয়ে একেবারে ঘরের উঠোনে ঢুকে পড়ে। এরপর মাচা ভেঙ্গে পুইশাক খাওয়ার পাশাপাশি ধান সিদ্ধ করার কড়াই ভেঙে ফেলা, পাঁচিল ভেঙে ফেলার মত কাণ্ড ঘটিয়ে সেগুলি গ্রামের পাশে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশ দিয়ে মাঠ পেরিয়ে আবার গভীর জঙ্গলেই চলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু গোপালপুর মুনেরকোঁদা, ধোঁয়াডাঙ্গা ইত্যাদি এলাকার মানুষজন বন্য এই হাতির আতঙ্কে একেবারে ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। কারণ হাতে দুটি দলছুট এবং বন্য হওয়ার কারণে যেকোনো সময় সেগুলি খাবারের সন্ধানে গ্রামে ফিরে আসতে পারে এবং তার ফলে মাটির বাড়ি ভেঙে বড় ক্ষয়ক্ষতি এমন কি প্রাণহানিও হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন বিভাগ এ বিষয়ে দ্রুত মাঠে নেমেছে। তারা ইতিমধ্যেই এলাকায় মাইকিং করে সমস্ত মানুষকে জঙ্গলে যেতে নিষেধ করেছে। গোপালপুর অঞ্চলের বিট অফিসার কিশালয় মুখোপাধ্যায় এবং অন্যান্যরা এলাকায় পৌঁছে হাতে দুটির গতিবিধি সন্ধান করে সেগুলিকে অন্যত্র তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় লেগেছেন। বন বিভাগ মনে করছে নভেম্বর মাসে দলছুট হয়ে পড়া এই হাতি দুটি ১৫ জানুয়ারি রাতে দামোদর পেরিয়ে রাজবাঁধ হয়ে গোপালপুরের জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। আজ একেবারে সক্কালে ঘরের জানালা খুলতেই উঠোনের মধ্যে বিশালদেহি হাতি দেখে চক্ষু চড়ক গাছ মালদা সরেনের। তিনি জানিয়েছেন তাদের উঠোনের সেই হাতেটির সঙ্গেই পাশে আরও একটি হাতি শুঁড় উঁচিয়ে খাবার খোঁজ করছিল। পরে পুইশাকের মাচা ভেঙ্গে তারা মাঠের দিকে চলে যায়। অন্যদিকে মঙ্গল হাঁসদা, রাম মুরমু বলেন ইতিমধ্যেই কিছু ক্ষয়ক্ষতি হাতি দুটি করেছে, কিন্তু রাতের অন্ধকারে তারা যদি আবার গ্রামে ফিরে আসে তাহলে ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যদিও সংশ্লিষ্ট বন বিভাগ স্থানীয় মানুষজনকে আশ্বস্ত করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বলে জানিয়েছে।@প্রান্তভূমি
ট্রেলারকে পাশ কাটাতে গিয়ে বাইক সহ চাপা পড়লেন আরোহী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ জানুয়ারি:: একটি চলন্ত ট্রেলারকে পাশ কাটাতে গিয়ে সেই ট্রেলারের ওপর থেকে গড়িয়ে পড়া বিশাল লোহার পিলারের নীচে চাপা পড়লেন এক বাইক আরোহী। ঐ অবস্থায় বাইক সহ বেশ কিছুক্ষণ তিনি চাপা পড়ে থাকেন যন্ত্রাংশটির নীচে। তাকে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কোনক্রমে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কাঁকসার বামুনাড়া শিল্প তালুকে। জানা গেছে দুর্গাপুর বেনাচিতির ধুনুরা প্লটের বাসিন্দা সোমনাথ গরাই বাইকে শিল্প তালুকের রাস্তা ধরে বাঁশকোপার দিকে যাচ্ছিলেন। সেসময় একটি ট্রেলারকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় এই মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন সোমনাথ। ট্রেলারের উপরে থাকা লোহার অতি ভারি যন্ত্রাংশ তার উপর পড়ে যায়। শিল্প তালুকের বেহাল রাস্তার জন্যই এই অঘটন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। রাস্তা সংস্কারে প্রশাসন উদ্যোগ না নেওয়ায় এই রাস্তায় হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তারা বলেন। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব বলছেন, টেন্ডার হয়ে গেছে, রাস্তা সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।@প্রান্তভূমি
আবার ভোটের দামামা চিত্তরঞ্জনে:: এবার লড়াই সিসিএস দখলের জন্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ জানুয়ারি:: আবার চিত্তরঞ্জন রেল শহরে ভোটের দামামা বাজলো। এবার সিএলডব্লু কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি(সিসিএস)-র নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। হাজার হাজার রেল কর্মী তথা শিল্পাঞ্চলবাসীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সিসিএসের নির্বাচন 12 ফেব্রুয়ারি। ঐদিনই ভোট গণনা এবং ফলাফল ঘোষণা করা হবে। এবার সিসিএসএর মোট ভোটার ৬৫৫০ জন। এদের মধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা মাত্রই ৪৯১ জন। এসটি ৩০২, এসসি ৭৫১ এবং জেনারেল ভোটার ৫৪৯৭ জন। উল্লেখ্য, প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শেষবার ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হয়েছিল তাতে মোট ডেলিগেট নির্বাচিত হয়েছিলেন ৪২ জন। তাদের মধ্যে লেবার ইউনিয়ন (সিটু) সমর্থিত ২৫ জন ডেলিগেট এবং অন্যান্যরা ১৭ জন ডেলিগেট সোসাইটির জন্য নির্বাচিত করতে পেরেছিলেন। এবার ডেলিগেট সংখ্যা ৪২ থেকে কমে ৩১ টি হয়েছে। প্রতি ২০০ জন ভোটার পিছু একজন ডেলিগেট নির্বাচিত হবেন বলে জানা গেছে। রাজ্যের কো-অপারেটিভ সোসাইটিগুলির মধ্যে অন্যতম পুরনো এবং বিত্তশালী এই সিসিএসএর পরিচালন ভার দখল করার জন্য লেবার ইউনিয়নের সঙ্গে টক্কর সিআরএমসি'র। এখন দেখার আসন্ন নির্বাচনে সোসাইটির সদস্যরা কাদের হাতে এই পরিচালনভার তুলে দেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গোপন ব্যালটে ইউনিয়ন স্বীকৃতির যে ভোট দেশের অন্যান্য রেলের সঙ্গেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায়ও অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে জয়ী হয়েছে লেবার ইউনিয়ন। সেই জয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি ভোট সামনে এসে গেল। এজন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ১৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দেওয়া হবে 27 এবং 28 জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ওই দুদিনই। মনোনয়নপত্র পরীক্ষা ৩০ জানুয়ারি এবং সেদিনই যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হবে। এরপর ৩১ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশিত হয়ে যাবে। প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী প্রতীক ৩১ জানুয়ারি দেওয়া হবে। এরপর ভোট গ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি এবং সেদিনই ফলাফল ঘোষণা হয়ে যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ কো-অপারেটিভ ইলেকশন কমিশনের এ্যসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার।@প্রান্তভূমি
পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে তৃণমূল কংগ্রেস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ জানুয়ারি:: পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধে সামিল হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন শাখার নেতা কর্মীরা। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে তারা প্রায় এক ঘন্টা অবরোধ করে রাখেন কুলটি সেল গ্রোথ ওয়ার্কসের মূল রাস্তা। সকাল ১১ টা থেকে অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় জি টি রোড এবং সংলগ্ন এলাকায়। এ বিষয়ে কুলটি ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত অভিযোগ জানিয়ে বলেন কুলটি সেল গ্রোথ ওয়ার্কস কর্তৃপক্ষ তার এলাকায় থাকা আবাসন গুলিতে দীর্ঘ প্রায় তিন মাস জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। এরফলে যারপরনাই সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। অবিলম্বে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল সরবরাহের দাবিতে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত স্তরের নেতা কর্মী এবং বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিরা এই অবরোধে শামিল হন বলে তিনি জানান। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যতক্ষণ পর্যন্ত না জল সরবরাহ স্বাভাবিক করা হচ্ছে ততক্ষণ তাদের এই অবরোধ কর্মসূচি চলবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে পৌঁছায় সিআইএসএফ এবং কুলটি থানার পুলিশ। শেষ পর্যন্ত ঘন্টাখানেক পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হলে অবরোধ উঠে যায় বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
ব্রাউন সুগার সহ আটক দুই ব্যক্তি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ জানুয়ারি:: প্রায় দেড়শো গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ ধরা পড়লো দুই ব্যক্তি। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরে, যিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করার পাশাপাশি সেখান থেকে মাদকদ্রব্য এনে আসানসোল অঞ্চলে নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে তুলে দেন বলে পুলিশ মনে করছে, তার নাম ফারকুল শেখ। অন্যজনের নাম আরশ বার্ণওয়াল, তিনি থাকেন নিয়ামতপুর সংলগ্ন আলডিতে। আজ ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আসানসোলের দিক থেকে নিয়ামতপুরের দিকে এই দুজন বাইক নিয়ে আসার সময় লছিপুর এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে পুলিশ তাদের আটকায়। এরপর তল্লাশি চালিয়ে ওই মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করে। পরে ধৃত দুজনকে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এই মাদকদ্রব্য এলাকার কোথায়, কার কার কাছে, কিভাবে তারা পৌঁছাত সেসব জানার চেষ্টা করছে কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং পুলিশ।@প্রান্তভূমি
ডাবর মোড় থেকে সমস্ত গাড়ি সরাতে নির্দেশ:: নতুন স্ট্যান্ড পরিত্যক্ত রেল লাইনের পাশে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ জানুয়ারি:: আগে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ফলপ্রসূ হয়নি। কিন্তু এবার রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় চত্বরকে যানজট মুক্ত করতে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ দেওয়া হলো প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলের যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে। আজ ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিনেই সালানপুর ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গাড়িচালকদের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। বৈঠকে বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা উপস্থিত ছিলেন। আজকের বৈঠক শেষে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে চূড়ান্তভাবে আগামী এক মাস অর্থাৎ ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সমস্ত অটো টোটো ট্যাক্সি সুমো পিকআপ ভ্যান সহ যাবতীয় বাহনকে ডাবর মোড় এলাকা ছেড়ে সরে আসতে হবে হিন্দুস্তান কেবলসের পরিত্যক্ত রেল লাইনের কাছে। বেঙ্গল ট্রেডার্সের পিছনের দিকের এই অংশের অসমান জায়গা ইতিমধ্যেই সমান করা হয়েছে অনেকটাই। আগে মৌখিকভাবে কালীপুজোর পর এখানে সকলকে সরে আসার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা পালন হয়নি, কিন্তু এবার 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে সকলে সরে না এলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া গাড়ি চালকদের প্রতিনিধিরা বলেন এখানে যাত্রী পাওয়ার সমস্যা দেখা দেবে। এছাড়াও জল এবং ছাউনির ব্যবস্থা না থাকায় অসুবিধায় পড়বেন যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা গাড়ির চালকেরা। বিষয়টিতে সহমত পোষণ করে জানিয়ে দেওয়া হয় ধাপে ধাপে সমস্ত ব্যবস্থাই এখানে গড়ে তোলা হবে। অবিলম্বে জলের কল, বাথরুম পায়খানার ব্যবস্থা সহ বর্ষার আগেই দুটি বিশ্রাম কক্ষের সুবিধা গড়ে তোলা যেতে পারে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়। এছাড়াও হিন্দুস্তান কেবলস রোডের উপর এই এলাকায় একটি বিধিবদ্ধ বাস স্টপ যাতে হয় তারও ব্যবস্থা করা হবে; তাহলে যাত্রী পেতে কোন অসুবিধা হবে না বলে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টিতে গাড়ি চালকেরা নিমরাজি হলেও সকলের স্বার্থে তারা এখানে সরে আসবেন বলে কথা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে ভোলা সিং বলেন আগে গাড়িচালকেরা ডাবর মোড় এলাকা থেকে এখানে সরে আসুন, তারপর সমস্ত উপযুক্ত ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হবে।@প্রান্তভূমি
টেন্ডার হাতবদল হতেই পুকুর জুড়ে ভেসে উঠলো শত শত মরা মাছ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ জানুয়ারি:: টেন্ডার শেষ, আর তারপরেই পুকুরের জলে ভেসে উঠলো শয়ে শয়ে মৃত মাছ; এমনকি বিষক্রিয়ার তীব্রতায় মৃত্যু হল সমস্ত সাপ, ব্যাঙেরও। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে শিল্পাঞ্চল জুড়ে। ঘটনা দুর্গাপুর কর্পোরেশন এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের জলখাবার গলির একটি পুকুরে। পৌর নিগমের আওতাভুক্ত এই পুকুরটি মাছ চাষের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়েছিলেন তৃণমূল নেতা বিপ্লব বিশ্বাস। তার টেন্ডারের মেয়াদ ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার পর নতুন করে টেন্ডার ডাকা হয়। এবং তাতে পুকুরটির দায়িত্ব পান বেনাচিতির এক ব্যবসায়ী ভোলা ভগৎ। ঘটনাচক্রে নতুন করে এই টেন্ডার প্রক্রিয়ার পর আজ ১৩ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন পুকুরের জলে তৈলাক্ত একটি পদার্থের স্তর ভাসছে এবং পুকুরে শত শত মাছ মরে ভেসে উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্থানীয় মানুষজন এবং দুর্গাপুর কর্পোরেশনের আধিকারিকেরা সেখানে যান। বিষক্রিয়ার ফলেই যে এত বড় কাণ্ড ঘটেছে তা সকলেই মেনে নেন। স্থানীয় মানুষজন দ্রুত তদন্ত করে অপরাধীর কঠিন শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন টেন্ডারের মাধ্যমে পুকুরের হাত বদল হতেই পারে কিন্তু তাই বলে মাছ সহ পুকুরের জলে থাকা অন্যান্য জীবগুলিকে এইভাবে প্রাণ দিতে হবে তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। যদিও অভিযোগের তীর যার দিকে সেই বিপ্লব বিশ্বাস বলেছেন তিনি কোনভাবেই এই ঘটনার জন্য দায়ী নন। তার অনুমান পুকুরের পাড়ে থাকা হোটেলের নোংরা থেকে এমন অঘটন ঘটে থাকতে পারে। এখন দেখার, প্রশাসন পুকুরের জল পরীক্ষা করে এবং আনুষঙ্গিক তথ্য সংগ্রহ করে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।@প্রান্তভূমি
.

.
ভ্রমণ সারাদিনে চিত্তরঞ্জনে উঠে এল সাইবেরিয়া থেকে সতোপন্থ:: সংবেদনার ২০-তম আয়োজন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ জানুয়ারি:: পায়ে পায়ে পথ পেরিয়ে পথিক-সংবেদনার কুড়িতম বছরে 'ভ্রমণ সারাদিন' হয়ে গেল। যেখানে সাধারণ মানুষের জন্য পথের চিহ্ন বাতুলতা মাত্র, অনাস্বাদিত সেই পথ, সাথে অপরূপ নিসর্গ প্রকৃতির ডালি নিয়ে দর্শকদের সমক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংবেদনার সদস্যবৃন্দ। ১২ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জনের চারের পল্লী কমিউনিটি হলে প্রক্ষেপণের মাধ্যমে দর্শকরা উপলব্ধি করলেন পাহাড় ঝর্ণা জঙ্গল নদী বরফমোড়া পর্বত সবকিছু। এদিন থাকুম ভ্যালি উপস্থাপনা করলেন সুমন চট্টোপাধ্যায়। কেউটজালি পলাশ উৎসব এবং মাউন্ট গুরিচেন অভিযান উপস্থাপনায় ছিলেন যথাক্রমে জিতেন দে এবং পার্থ লায়েক। মাইনাস ৬৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় সাইবেরিয়ার বৈকাল হ্রদের জমে যাওয়া বরফের অপূর্ব দৃশ্য উপস্থাপনা করলেন রেশমি পাল। পান্ডবদের স্বর্গ যাত্রার পথে সতোপন্থ তালের উপস্থাপনা করলেন ডাক্তার জয়দীপ মিত্র। জঙ্গল, পান্না ও খাজুরাহোর ভাস্কর্য উন্মোচন করলেন তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ভুইন্দর খাল ও গুপ্ত খালের উপস্থাপনা করলেন সুমন কুন্ডু। রাউন্ড মাইথন, মিশর এবং লাদাখের সৌন্দর্য উপস্থাপনা করেন যথাক্রমে দিবাকর দাস, সৌরেন্দ্রনাথ মিত্র এবং অভিষেক ঘোষাল। শেষে রূপকুণ্ড উপস্থাপনা করেন তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবেদনার সম্বাৎসরিক কার্যকলাপ ব্যাখ্যা করেন সাধারণ সম্পাদক অশোক দাস। অনুষ্ঠানের প্রথমে সংবেদনার পতাকা উত্তোলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন সভাপতি ডাক্তার জয়দীপ মিত্র।@প্রান্তভূমি
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের জন্মমহোৎসব উদযাপন চিত্তরঞ্জন সৎসঙ্গ বিহারের উদ্যোগে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ জানুয়ারি, গৌরাঙ্গ ঘোষ:: "নিজেকে প্রাণনে, ব্যাপনে ও বর্ধনে নিয়ন্ত্রিত করিতে পারে এমনতর মঙ্গলপ্রসূ অভিসমাগমকেই উৎসব বলে,"- এই উক্তি শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের। সেই উৎসব হয়ে গেল ঠাকুরের ১৩৭-তম শুভ জন্মমহোৎসব উপলক্ষে। চিত্তরঞ্জন সৎসঙ্গ বিহারের উদ্যোগে ১২ জানুয়ারি হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে নিষ্ঠার সাথে উদযাপিত হল দিনটি। এদিন ব্রাহ্ম মুহূর্তে বেজে ওঠে মাঙ্গলিক নহবৎ, প্রত্যুষে ঊষা কীর্তন সহকারে শ্রমিক মঞ্চ এলাকা ও চত্বর প্রদক্ষিণ করেন ভক্তবৃন্দ, প্রাতে সমবেত প্রার্থনায় শ্রীশ্রী ঠাকুর রচিত গ্রন্থাদি পাঠ, পূজারতি, ইস্টপ্রসঙ্গ আলোচনার সাথে ছিল সঙ্গীতাঞ্জলি। সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য বর্ধমান ও সোদপুর থেকে এসেছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা ও মৌমিতা বসুরায়। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আসানসোল থেকে উপস্থিত ছিলেন সহপ্রতি ঋত্বিক হেমচন্দ্র তেওয়ারি এবং দেওঘরের তপোবন স্কুলের শিক্ষক কৃতিসুন্দর চক্রবর্তী, শ্রীমন্ত প্রতিহার এবং মনোহর গরাই। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, সমাজসেবী বিজয় সিং প্রমুখ। এদিন সৎসঙ্গ পরিচালিত ভান্ডারায় প্রসাদ গ্রহণ করেন ছয় হাজার ভক্ত। দীক্ষা গ্রহণ করেন ষোল জন ব্যক্তি।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে রেল বোর্ডের মেম্বার ফিনান্স:: কারখানার আধুনিকীকরণ সহ বিভিন্ন দাবি ইউনিয়নের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা পরিদর্শন করলেন রেল বোর্ডের মেম্বার ফিনান্স রুপা শ্রীনিবাসন। আজ ১২ জানুয়ারি তার এই পরিদর্শনকালে ২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষে এই কারখানা থেকে উৎপাদিত ৫০০-তম বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন তিনি। এছাড়াও দিনভর কারখানার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শনের সঙ্গেই দেশবন্ধু লোকো পার্ক, কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতাল, প্রশাসনিক ভবন, হেরিটেজ মিউজিয়াম গ্যালারি ঘুরে দেখেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে সিএলডব্লু কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন তিনি। এরপর সংস্থার বিভিন্ন উচ্চ পদাধিকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিভিন্ন পদাধিকারীদের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার, মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অংশুমান সরকার প্রমুখ। এদিন শ্রীমতি শ্রীনিবাসন কারখানার বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকে লেবার ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দিয়ে নতুন পেনশন প্রকল্প বাতিল করে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা, কেজি হাসপাতালে পূর্ণ সময়ের জন্য পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডাক্তার নিয়োগ, চিত্তরঞ্জন রেল কারখানা এবং আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ মঞ্জুর ইত্যাদির দাবি জানানো হয়। স্টিল ফাউন্ড্রি বিভাগকে বাঁচিয়ে তোলার জন্যেও প্রয়োজনীয় আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানানো হয়। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তার হাতে স্মারকলিপি দিয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গঠন, সপ্তম বেতন কমিশনের বাকি থাকা এরিয়ার প্রদান, পুরনো পেনশন প্রকল্প একান্তই ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হলে সেই পেনশন প্রকল্পের মতোই সুবিধা যাতে ইউপিএস-এ দেওয়া হয় সেই দাবি জানানো হয়। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় সমস্ত শূন্য পদ পূরণে নতুন নিয়োগ, কারখানার আধুনিকীকরণ এবং সেজন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেওয়া সহ একগুচ্ছ দাবি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।@প্রান্তভূমি
.

.
রূপনারায়ণপুরে স্বামীজীর ১৬৩-তম জন্মদিন উদযাপনে লায়ন্স ক্লাব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১১ জানুয়ারি::
স্বামী বিবেকানন্দের ১৬৩-তম জন্ম দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ ১১ জানুয়ারি রূপনারায়ণপুর নান্দনিক হলে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে লায়ন্স ক্লাব। লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২২ সি-৩ রিজিয়ন-২ অঞ্চলভুক্ত ক্লাব গুলির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জামতাড়া রামকৃষ্ণ মিশন মঠের অধ্যক্ষ স্বামী সনকানন্দজি মহারাজ। তিনি স্বামীজীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কুইজ, প্রবন্ধ এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কুইজে স্থানীয় এলাকার একাধিক স্কুলের ৫০ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেয়। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ছাত্ররা সামাজিক পরিবর্তনের অনুঘটক। বিতর্ক সভা হয় "কারিগরি শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় না" এই বিষয়ে। এছাড়াও পোস্টার তৈরীর প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ডিএভি পাবলিক স্কুল ও গুরুকুল সংগীত আশ্রমের শিক্ষার্থীরা সংগীত পরিবেশন করে। নৃত্য পরিবেশন করে নূপুর ড্যান্স একাডেমির শিক্ষার্থীরা। এদিন বিশিষ্ট লায়ন রমেশ কুমার পাণ্ডে সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লায়ন অমিত ব্যানার্জি।@প্রান্তভূমি
জমি জরিপে বাধার অভিযোগে চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর সালানপুর ভূমি দপ্তরের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ জানুয়ারি:: সরকারি খাস জমি ঘিরে ফেলা হয়েছে এমন অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়লেন সালানপুর ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকেরা বলে থানায় এফআইআর দায়ের করা হলো। ভূমি দপ্তরের পক্ষে এই অভিযোগ করা হয়েছে সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলের বাসিন্দা চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে নাম জড়িয়েছে আছড়া তৃণমূল কংগ্রেসের আঞ্চলিক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সদস্য তপন তেওয়ারির। এছাড়াও অভিযুক্ত হয়েছেন তার পুত্র পল্লব তেওয়ারি এবং দোলন মন্ডল ও কমল মন্ডল। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তপন তেওয়ারি বলেন তিনি গুরুতর অসুস্থ। জমি সার্ভে করতে এসে ভূমি দপ্তরের লোকজন তার এলাকার বাসিন্দা দোলন মন্ডলকে গালাগালি করছিলেন, সেজন্যই দোলন ও তার স্বামী কমলের আবেদনে সাড়া দিয়ে তিনি ভূমি দপ্তরের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। এ সময়ই কথা কাটাকাটির জেরে তিনি বলেন "আমি নির্বাচিত, সদস্য আমাকে এলাকার মানুষের ভালো-মন্দে পাশে দাঁড়াতে হবে। কি ঘটেছে সেটি জানার জন্য আমি সেখানে যাই।" সেখানে বাগবিতণ্ডার বিষয়টি স্বীকার করলেও হুমকি দেওয়ার কথা তিনি মেনে নেন নি। যদিও বিষয়টি নিয়ে সালানপুর বিএলএলআরও সুমন সরকার বলেন ৬ জানুয়ারি তাদের আধিকারিকেরা সামডি রোড সংলগ্ন একটি অভিযুক্ত জায়গা পর্যবেক্ষণে গেলে তাদের ঘিরে ধরে হুমকি দেওয়া হয়, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। গায়ে হাত তোলার উপক্রম করেন। শেষ পর্যন্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তারা ঐ এলাকা ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হন। এরপর আসানসোল এসডিও, এডিএম(এলআর), সালানপুর বিডিও সহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় বাধা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয় বলে বি এল এল আর ও বলেন। এরপর ৭ জানুয়ারি ওই চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। বি এল এল আর ও বলেন সেখানে আরো অনেক মারমুখী ব্যক্তি জড়ো হয়েছিলেন, তাদের সবাইকে তার অফিসের লোকজন চেনেন না - কিন্তু তপন তেওয়ারি নিজেই এগিয়ে এসে নিজের পরিচয় দেন। জানা গেছে, সামডি রোডের ধারে আছড়ায় কর্মতীর্থের কাছে একটি জায়গা পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে , সেখানে বেশ কিছুটা সরকারি খাস জমিও ঢুকে গেছে। এই বিষয়টি সরেজমিনে দেখার জন্য ভূমি দপ্তরের আধিকারিকেরা সেখানে গেলে তাদের বাধার মুখে পড়তে হয়। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও তারা বুঝিয়ে দেন খাস জমি দখল করার বিষয়ে তারা কারও পাশে দাঁড়াবেন না। মুখ্যমন্ত্রীও এ বিষয়ে জেলাশাসকদের কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন একাধিকবার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত হওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনের ড্যাম থেকে উঠছে বস্তা-বস্তা ওষুধ, মারা পড়লো বহু লক্ষ টাকার মাছ:: সঙ্কটে পরিযায়ী পাখি, বিপর্যস্ত বাস্তুতন্ত্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বিশাল জলাশয়ে অত্যাশ্চর্য অঘটন। জল থেকে উঠে আসছে লক্ষ লক্ষ টাকার ফেলে দেওয়া ওষুধের শিশি, সিরাপ, ট্যাবলেটের পাতা গজ ব্যান্ডেজ সহ নানান সামগ্রী। এবং এইসব ওষুধের রাসায়নিক জলে মিশে যাওয়ার ফলে বহু লক্ষ টাকার মাছ মারা পড়েছে। একই সঙ্গে শীতের সময় রেল শহরের জলাশয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিদের দল সেইসব মাছ খেয়ে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে বিপুল পরিমাণ এই ওষুধ কারা কেন জলাশয়ে ফেলল তাই নিয়েই বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। ৯ জানুয়ারি সকালের দিকে বিষয়টি নজরে আসে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে জলাশয়গুলি লিজে নেওয়া ঠিকাদার অভিষেক সিংয়ের। তার অনুমান কম করেও 15 লক্ষ টাকার মাছ মরেছে এইসব রাসায়নিকের প্রভাবে। অনুভব অ্যান্ড কোম্পানির কর্ণধার অভিষেকবাবু বলেন ৫৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিন বছরের জন্য তিনি এই জলাশয় চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিজে নিয়েছেন। জলের অন্যান্য ব্যবহারের সঙ্গেই প্রধানত মাছ চাষের জন্য জলাশয়গুলি ব্যবহৃত হয়। মাস তিনেক আগেই তিনি ২২ লক্ষ টাকার চারা মাছ এই জলাশয়ে ছেড়েছেন বলে জানান। ফেলে দেওয়া ওষুধের কুপ্রভাবে সেই সব মাছের অধিকাংশই মরে গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। শহরের ফতেপুর থেকে সিমজুড়ি যাওয়ার পথে এই বিশাল জলাশয়। যার আয়তন প্রায় এক লাখ বর্গমিটার। অভিষেকবাবু বলেন এইসব মরা মাছ খাওয়ার জন্য সাইবেরিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাখিদের ভিড় দেখে ৯ তারিখ সকালে মাছ চাষের সঙ্গে যুক্ত তার সংস্থার কর্মীরা তাকে বিষয়টি জানান। এরপরই তিনি অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে দেখেন জলাশয়ের মধ্যে বস্তা-বস্তা ওষুধ পড়ে আছে। জলে ভাসছে অসংখ্য মরা মাছ। তারপরই তিনি কর্মীদের জলাশয়ে নামান এবং একের পর এক উঠে আসতে থাকে ওষুধের নানান শিশি ট্যাবলেটের পাতা সিরাপ ইত্যাদি। এই ঘটনায় বিরাট ক্ষোভ এবং চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন দু নম্বরি ওষুধ নষ্ট করার জন্য এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এর ফলে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বাস্তুতন্ত্র যেমন বিপর্যস্ত হবে, তেমনই এখান থেকে সরবরাহ করা জল বিপদজনক হয়ে পড়া ও পরিযায়ী পাখিদের জীবন বিপন্ন হওয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তা অত্যন্ত ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনবে। এরই সঙ্গে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মরে যাওয়ার ফলে প্রচন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি। এ বিষয়ে অভিষেকবাবু প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার কথা বিবেচনা করছেন। কিন্তু কোটি টাকার প্রশ্ন হল - এত বড় অবিবেচকের মত কাজ কিভাবে কারা করল? এই বিপুল পরিমাণ ওষুধই বা এলো কোথা থেকে? @প্রান্তভূমি
ট্রাই-এর নাম করে প্রতারণা-ফোন:: অবৈধ কাজে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহৃত হওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ জানুয়ারি:: সকাল 11 টা বেজে দশ। বেজে উঠলো মোবাইল ফোন। বলিষ্ঠ সুরেলা নারী কন্ঠে বাংলা হিন্দি এবং ইংরেজিতে ক্রমাগত বলা হলো টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি থেকে এই ফোন করা হচ্ছে। আপনার এই মোবাইল নম্বরটি অবৈধ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই আগামী দু'ঘণ্টার মধ্যে এই মোবাইল নম্বরে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে কিছু জানার থাকলে 'শূন্য' টিপতে হবে, আর পরিষেবা চালু রাখার জন্য অনুরোধ জানাতে গেলে 'নয়' টিপতে হবে। বারবার এই একই কথা বলতে থাকা হলো। একেবারে সরাসরি ট্রাই বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটির নাম নিয়ে এইভাবে মোবাইল গ্রাহককে ভয় দেখানোর জন্য যে ফোন নম্বরটি থেকে কল আসে তা হল ৭৫০১৯৫৮৩৭৬। ট্রুকলারে এই নম্বরটিকে 'স্প্যাম' হিসেবে দেখানো হচ্ছে। এই ধরনের প্রতারণা থেকে দূরে থাকার জন্য ট্রাই বারংবার সচেতনতা বার্তা জারি করছে। কোনভাবেই কেউ যেন ভুল করে প্রতারকদের নির্দেশ অনুযায়ী কোন নম্বর না টেপেন, বা কোন লিংকে ক্লিক না করেন সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। কারণ এইভাবে ফোন করে মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেওয়ার কোন পরিকল্পনা ট্রাই গ্রহণ করেনি বলে তারা জানিয়ে দিয়েছে। আজ ১০ জানুয়ারি সকালে প্রতারণা চক্রের এই ফোনটি এসেছিল সংবাদ পত্রের দপ্তরেই।@প্রান্তভূমি
দুই মহিলা সহ ১০ প্রতারককে গ্রেফতার করলো আসানসোল সাইবার থানা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ জানুয়ারি:: আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানার ১৮ জনের একটি দল কলকাতা সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গা থেকে ধরে আনলো 10 কুখ্যাত সাইবার অপরাধে অভিযুক্তকে। এরা টাওয়ার বসানোর নাম করে ফোনের মাধ্যমে আসানসোলের হিরণ মাজি নামের এক ব্যক্তিকে প্রতারিত করেছেন বলে অভিযোগ। আজ, ৯ জানুয়ারি ডেপুটি কমিশনার হেডকোয়ার্টার অরবিন্দ কুমার আনন্দ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন ২০২৩ সালের ৫ মার্চ হিরণ বাবু আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন রাণা মুখার্জি নামের এক ব্যক্তি তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করে একটি নামি কোম্পানির টাওয়ার বসানোর বিষয়ে তাকে বলেন। তার জায়গায় টাওয়ার বসাতে দিলে একজনের চাকরি, লোভনীয় ভাড়া ইত্যাদির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এরপর দফায় দফাই বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ লক্ষ টাকারও বেশি তার কাছ থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু টাওয়ার বসানো হয়নি। এরপর তিনি রাণা মুখার্জি নামের ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তা আর সম্ভব হয় নি। রানা মুখার্জিও তাকে ফোন আর করেন নি। এরপরই প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে পুলিশ এর তদন্তভার তুলে দেয় সাইবার থানার হাতে। সাইবার থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিশ্বজিৎ মুখার্জি এবং অন্যান্যরা বিষয়টিতে তৎপর হন। এরপর ৮ জানুয়ারি ১৮ জনের একটি দল হাবড়া মধ্যমগ্রাম দমদম শ্যামনগর বাগুইআটি অঞ্চলে তল্লাশি চালান। তাতেই দুই মহিলা সহ ১০ জন গ্রেফতার হয়। এই চক্রের মূল মাথা সন্দীপ পাল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তল্লাশিতে পুলিশ ২২টি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ, একটি ডায়রি এবং বহু নকল ডকুমেন্ট উদ্ধার করে। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি হুগলিতে, বাকি সকলেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা। ডেপুটি কমিশনার শ্রী আনন্দ জানিয়েছেন মোবাইল টাওয়ার বসানোর নাম করে এরা এই রাজ্য ছাড়াও অন্যত্র বহু কোটি টাকার প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।@প্রান্তভূমি
বিহার থেকে ট্রেনে চড়ে এলো ডাকাতদল, দুষ্কর্মের আগেই অস্ত্রশস্ত্র সহ ধরা পড়লো পুলিশের হাতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ জানুয়ারি:: বিহার থেকে সোজা ট্রেন ধরে রাতে দুর্গাপুর স্টেশনে নামে কুখ্যাত দুষ্কৃতি -গ্যাং। তবে তার আগে বার দুয়েক এলাকায় রেকি করে গিয়েছিল তারা। স্থানীয়ভাবে সহযোগিতার জন্য একজন নিযুক্তও হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, ডাকাতির আগেই কোক ওভেন থানার পুলিশ সশস্ত্র এই ডাকাত দলকে ধরে ফেলল। ঘটনা ৮ জানুয়ারি রাতের। দুর্গাপুর স্টেশনে ডাকাত দল নামার পর তারা পৌঁছে যায় দুর্গাপুর স্টেশন বাজারে। যেখানে তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল স্থানীয় লিঙ্ক ম্যানের। কিন্তু কোন কারনে সেই লিঙ্ক ম্যান এসে না পৌঁছানোই ডাকাত দল ফিরে যাওয়ার মনস্থ করে। এ সময়ই তারা নজরে পড়ে যায় কোক ওভেন থানার পুলিশের। টহলদার পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানান ওসি মইনুল হককে। মইনুল বাবু সময় নষ্ট না করে সেখানে পৌঁছে যান। পুলিশ দেখে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সরাসরি তাদের সংঘাত বাধে। এমনকি পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও শুরু হয়ে যায়। এদিকে পুলিশের আরও বড় বাহিনী সেখানে পৌঁছালে ডাকাত দল বিপর্যস্ত হয় এবং ধরা পড়ে সকলেই। এরা হল ঝাঁঝা বিহারের বাসিন্দা রণজিত রবিদাস, সন্তোষ দাস, ভিকি শা, বিজয় শা এবং উত্তর ২৪ পরগণা মধ্যমগ্রামের দীপক দাস। ধৃতদের কাছ থেকে একটি ওয়ান শাটার পিস্তল, একটি নাইন এমএম পিস্তল, ১০ রাউন্ড কার্তুজ, মোবাইল সহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
মালদায় খুনের জেরে নিরাপত্তারক্ষী পেলেন তিন তৃণমূল নেতা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ জানুয়ারি:: লাগাতার বালির কারবার নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন অশোক রুদ্র। পথে নেমে আন্দোলনও করেছিলেন। তিনি তৃণমূলের কাউন্সিলর এবং প্রাক্তন শিক্ষক নেতা। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তার সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মালদহে তৃণমূল নেতার খুনের পর সারা রাজ্যেই নতুন করে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে সরকার। তারই ফলশ্রুতিতে এবার আসানসোল কর্পোরেশনের কাউন্সিলর অশোক রুদ্রের নিরাপত্তায় সশস্ত্র রক্ষী আবারও মোতায়েন করা হলো। এরই সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি বিষ্ণুদেব নুনিয়ার জন্যেও সরকারি নিরাপত্তা দেওয়া হল। তাছাড়াও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য রামকৃষ্ণ ঘোষের জন্যও একই ব্যবস্থা করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। রামকৃষ্ণ বাবু পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের বাসিন্দা হলেও তিনি যেহেতু এই কমিশনারেট এলাকার বুদবুদ থানা এলাকায় থাকেন সেজন্য তার নিরাপত্তাও দিচ্ছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। এই দুজনকে এবারই প্রথম সরকারি নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হল। @প্রান্তভূমি
সালানপুর ব্লকে ১৮ বিঘার বাঁধ ফিরে পাচ্ছে নতুন জীবন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ জানুয়ারি:: প্রায় মজে যাওয়া একটি 18 বিঘার পুকুরকে পুনরায় জীবন দান করার কাজ শুরু হল সালানপুর ব্লকে। মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের অধীনে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ব্লকের কল্যা পঞ্চায়েত এলাকায় "কল্যা বাঁধ" -এর পূর্ণ সংস্কারের কাজ শুরু হলো আজ ৮ জানুয়ারি। বিশাল আয়তনের এই বাঁধ দীর্ঘদিন ধরে পলি মাটি জমে প্রায় বুজে এসেছিল। বাঁধের জল ধারণ ক্ষমতা অত্যন্ত কমে গিয়েছিল। বিষয়টি এলাকার মানুষজন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়কে জানালে তিনি উদ্যোগ নিয়ে এটির সংস্কারের ব্যবস্থা করেন বলে পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীকান্ত পাতর বলেন। আজ এই সংস্কার কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূল নেতা ভোলা সিং এবং পঞ্চায়েতের কর্মকর্তারা। এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য উত্তম রায় বলেন বাঁধটির সংস্কার করতে তিন মাস সময় লাগবে। এর জল থেকে মাছ চাষ, স্থানীয় এলাকায় চাষের কাজে জল সেচ এবং পরিবেশের উন্নতি সাধন হবে। বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় মানুষজন অত্যন্ত খুশি। তারা বলেন এখান থেকে অনেকেরই দৈনন্দিন রুজি রোজগার জুটবে।@প্রান্তভূমি
একাধিক ফাঁকা বাড়িতে চুরি রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ জানুয়ারি::
ফাঁকা বাড়ি পেলেই রূপনারায়ণপুরের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে সাফ করে দিচ্ছে চোরের দল। সম্প্রতি একাধিক ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সাম্প্রতিক দুষ্কর্মের ঘটনাটি ঘটলো পিঠাকিয়ারী জল ট্যাংকি সংলগ্ন সমন্বয় ক্লাবের কাছাকাছি এলাকায়। এখানে একতলা বাড়িতে থাকেন ছায়া ঘোষ। তবে তিনি মাঝেসাজে বাড়ি বন্ধ রেখে অন্যত্র আত্মীয় পরিজনদের কাছে যান। কয়েকদিন আগে তিনি পান্ডুয়ায় আত্মীয়ের কাছে গিয়েছিলেন। বাড়িতে রাতে শোয়ার জন্য এক ব্যক্তিকে রেখে যান। কিন্তু ৭ জানুয়ারি রাতে সেই বাড়িতেই একাধিক তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানান। বিষয়টি জানতে পেরেই আজ ৮ জানুয়ারি বিকেলে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। পাশাপাশি থাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় পরিষ্কার দুই দুষ্কৃতীর ছবি ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে একজন পাঁচিল টপকে বাগানে ঢোকে। তাদের একজনের কোমরে অস্ত্র গোঁজা ছিল বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখানে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা জলের পাইপ ব্যবহার করে দরজার লোহার কব্জা ভাঙ্গা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। চুরির বিষয়টি জানতে পেরে পান্ডুয়া থেকে ফিরে আসছেন ছায়া দেবী। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে যে ব্যক্তিকে ঘরে শোয়ার জন্য তিনি দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি ৭ জানুয়ারি আসেননি। যদিও তিনি ঐ সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে রাত ৯ টা নাগাদ বেরিয়ে যান বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এই অঞ্চলে রাত পাহারার ব্যবস্থা আগে থাকলেও পাহারাদারের চোখ অপারেশনের কারণে তিনি কাজে অনুপস্থিত আছেন বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে এই ঘটনার কয়েকদিন আগে ২৫ ডিসেম্বর ওই পাড়াতেই দেবাশীষ বোসের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। তার বাড়ির বহু মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে বলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন। খবর পেয়ে এক্ষেত্রেও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এর আগে ১ জানুয়ারি রূপনারায়ণপুর শান্তশ্রী পল্লীর ১ নম্বর রাস্তায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। সেখানে আলমারি ভেঙ্গে খাট ওলট-পালট করে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায় চোরেরা। তার কয়েকদিন আগে ২২ ডিসেম্বর রূপনগর ৪ নম্বর রাস্তার একটি বাড়িতে চুরি হয়। এসব বাড়িগুলিতে ফাঁকা থাকার সুযোগে চোরেরা হানা দেয়। যদিও সবক্ষেত্রে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে পুলিশ এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে এবং দুষ্কৃতীদের ধরার ব্যবস্থা করছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
ই-হাউস সাবস্টেশন গড়ে সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবসায় নামলো ডিভিসি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ জানুয়ারি:: এবার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি ছোট শিল্প কারখানায় সরাসরি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ই-হাউস সাবস্টেশনের ব্যবহার করতে চলেছে ডিভিসি। এতদিন বিভিন্ন সংস্থাকে বিদ্যুৎ নিতে হতো বিদ্যুৎ পরিবহনকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে। যেমন পশ্চিমবঙ্গে ডব্লুবিএসইডিসিএল; সেরকমই ঝাড়খন্ড বা অন্য রাজ্যেও রাজ্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে। এবার ঝাড়খণ্ড ধানবাদের কান্দ্রায় ডিভিসির প্রথম ৩৩/১১ কেভি ই-হাউস সাবস্টেশনের উদ্বোধন করলেন সংস্থার চেয়ারম্যান এস সুরেশ কুমার। এই
খাতে ঝাড়খন্ডে ডিভিসি প্লান্ট এবং সাবস্টেশন গড়ে তুলতে কয়েক হাজার কোটি টাকা লগ্নি করবে বলে শ্রী কুমার উল্লেখ করেন। ৭ই জানুয়ারির এই অনুষ্ঠানে ডিভিসির উচ্চস্তরের পদাধিকারীরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বহু উদ্যোগপতি। এদিন তারা বলেন ১১ কেভি বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবসায় ডিভিসির প্রবেশ শিল্প ক্ষেত্রে এক নতুন দিকের উন্মোচন করবে। এই অত্যাধুনিক মডু্লার ই-হাউস সাবস্টেশন জিআইএস টেকনিক সম্বলিত এবং এর সুরক্ষা ব্যবস্থা সর্বাধুনিক বলে উল্লেখ করা হয়। বিদ্যুৎ পরিবহন ব্যবসায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই পদক্ষেপ ডিভিসির কর্ম ক্ষমতার স্বীকৃতি এবং উদ্যোগপতিদের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী বলে সকলেই স্বীকার করেন। এই পরিকল্পনা কার্যকরী করতে ঝাড়খন্ডে ২৫ টি ১১ কেভি সব স্টেশন গড়ে তুলছে ডিভিসি, যার মধ্যে বারটি ই-হাউস সাবস্টেশন। ধানবাদ কান্দ্রার ই- হাউস সাবস্টেশনের পাশাপাশি কল্যাণেশ্বরী এবং কোডারমাতে দুটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ গড়ে তুলছে ডিভিসি, যার মাধ্যমে সাবস্টেশনের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে যন্ত্রের মাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বলেন ৩৩ কেভি উচ্চ সংবাহী বিদ্যুৎকে ১১ কেভিতে রূপান্তরিত করে ট্রান্সফর্মারের মাধ্যমে ৪৪০ ভোল্ট-এর উপযুক্ত করে উপভোক্তাদের কাছে সরবরাহ করা হয় থ্রী ফেজ লাইনের মাধ্যমে। ডিভিসি ৩৩/১১ সাবস্টেশন গড়ে তুলে এবার বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবসায় সরাসরি নামলো।@প্রান্তভূমি
নেতাজির জন্মদিন হোক জাতীয় ছুটি-দাবি সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়নের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ জানুয়ারি:: এবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণার দাবী জানালো সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন, এই মহান দেশনায়কের জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। কিন্তু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা সহ দেশের অন্যত্র এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না, কর্মীদের ছুটি দিয়ে দিনটিকে উদযাপন করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না । তাদের দাবি, ২৩ জানুয়ারি সবেতন ছুটি ঘোষণা করতে হবে। সর্বভারতীয় রেল এবং দেশের সর্বত্রই যাতে তাদের দাবি মান্যতা পায় সে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তারা চিত্তরঞ্জনের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। এবছর চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটির যে তালিকা প্রকাশ করেছেন তাতে ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনটিকে ছুটির আওতায় রাখা হয়নি । এ প্রসঙ্গে রাজীব বাবু বলেছেন বছরের যে কোন একটি রবিবার কাজ করিয়ে ২৩ শে জানুয়ারি দিনটিকে সবেতন ছুটি হিসেবে ঘোষণা করুক রেল কর্তৃপক্ষ, এবং পরের বছর থেকে অতি অবশ্যই ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটির মর্যাদা দেওয়া হোক, ছুটির ক্যালেন্ডারে তার অন্তর্ভুক্তি করা হোক।@প্রান্তভূমি
৩১শে পা প্রান্তভূমির

নিজস্ব সংবাদদাতা।। দিনটি আজ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আজ ৭ জানুয়ারি। প্রান্তভূমির জন্মদিন আজ। ১৯৯৫ সালের ৭ জানুয়ারি সাপ্তাহিক প্রান্তভূমির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। ৩০ বছর পার!
কাজের চাপে দিনটির কথা মনে আসেনি। কিন্তু প্রান্তভূমি পরিবারের সদস্য বিপ্র দাস মনে পড়িয়ে দিল দিনটিকে। আজ রাত ন'টা নাগাদ হঠাৎ সুদৃশ্য কেক নিয়ে হাজির বিপ্র। হৈ হৈ করে বলে উঠলো, আরে আজ যে প্রান্তভূমির জন্মদিন! আরে তাই তো! একদম ভুলে যাওয়া এই বিশেষ দিন মনে পড়িয়ে দিল বিপ্র। বেশ খুশি খুশি মন নিয়ে মেতে উঠলাম। দিনের কাজ গুছিয়ে সবাই মিলে কেক কাটা হয়। প্রান্তভূমির স্মরণীয় দিনটিকে আরও স্মরনীয় করে রাখা গেল ।@প্রান্তভূমি
বাংলা পক্ষের হাতে অবরুদ্ধ চিত্তরঞ্জন শহরের প্রবেশ পথ:: নেতাজীর জন্মদিনের ছুটি বাতিল নিয়ে ধুন্ধুমার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ জানুয়ারি:: আজ সকাল এগারোটা থেকে বাংলা পক্ষের সদস্য সমর্থকদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে আছে চিত্তরঞ্জন রেল শহরে প্রবেশের প্রধান পথ তিন নম্বর গেট। এর ফলে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন যোগাযোগকারী প্রধান রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পড়েছে অসংখ্য গাড়ি বাইক। যদিও এমার্জেন্সি গাড়িগুলিকে পারাপারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারীরা কিছুটা অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। জানা গেছে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ দেশনায়ক নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনের ছুটি বাতিল করে দেওয়ায় বাংলা পক্ষ তার বিরুদ্ধে রেল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী গতকাল ৬ জনুয়ারি বাংলা পক্ষের তরফ থেকে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল তারা আজ ৭ জানুয়ারি সকাল 11 টায় জেনারেল ম্যানেজারের হাতে এই সংক্রান্ত স্মারকলিপি তুলে দেবেন। এজন্য আজ সকাল দশটার পর থেকেই জিএম অফিসের সামনে বাংলা পক্ষের সদস্য সমর্থকেরা জড়ো হতে শুরু করেন। কিন্তু বাংলা পক্ষের অভিযোগ এ সময়েই আরপিএফের পক্ষ থেকে তাদের সেখান থেকে জোরপূর্বক সরিয়ে দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয় কোনরকম জমায়েত করা যাবে না, স্মারকলিপিও দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি তাদের শহরের বাইরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আরপিএফের এই মূর্তি দেখে বাংলা পক্ষের সদস্য সমর্থকেরা তিন নম্বর গেটের বাইরে এসে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। বাংলা পক্ষের পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম কর্মকর্তা অক্ষয় ব্যানার্জি বলেন বাংলার বীর দেশের অগ্রণী স্বাধীনতা যোদ্ধা নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকে রেল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বাঙালি বীরকে পদে পদে অসম্মান করা হচ্ছে । তার অভিযোগ চিত্তরঞ্জন দাসকেও যথাযোগ্য সম্মান সিএলডব্লু দেয় না। ২৩ জানুয়ারি ছুটি বাতিলের বিরুদ্ধে এবং বাংলার মনীষীদের সম্মান রক্ষার দাবি জানিয়ে তারা একটি স্মারকলিপি জেনারেল ম্যানেজারের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন; কিন্তু সেটিও দিতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের হাত থেকে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ স্মারকলিপি গ্রহণ করছেন ততক্ষণ তারা অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরও অবরোধ চলছে।@প্রান্তভূমি
অজয়ে অস্থায়ী অবৈধ সেতু ভাঙলো প্রশাসন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ জানুয়ারি:: অজয় নদের উপর তৈরি অস্থায়ী অবৈধ সেতু ভেঙে ফেলল প্রশাসন। আজ ৬ জানুয়ারি সকালে বারাবনি ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশ এই উদ্যোগ নেয়। জানা গেছে জামগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অজয় নদের আমুলিয়া ঘাটে বাংলা ঝাড়খন্ড যোগাযোগকারী এই অবৈধ সেতু তৈরি করা হয়েছিল বালি পাথর দিয়ে। কিন্তু এই সেতু নিয়ে স্থানীয় মানুষ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন । অভিযোগ পাওয়ার পরেই অবৈধ সেতু ভাঙার উদ্যোগ নেন বারাবনির বিডিও। তারপর আজ বারাবনি থানার পুলিশ যন্ত্রের সাহায্যে সেতুটি ভেঙে ফেলে। তবে ঝাড়খন্ড অঞ্চলের মানুষজন অস্থায়ী এই সেতু দিয়ে আসানসোলে সহজে যাতায়াত করতেন বলে জানান। অজয় নদের দুপারের মানুষেরই দাবি এখানে একটি স্থায়ী সেতু তৈরি করুক সরকার, তাহলে বছরভর সহজে কম দূরত্ব অতিক্রম করে আসানসোলের মত বড় অঞ্চলে ঝাড়খণ্ডের মানুষ আসতে পারবেন।@প্রান্তভূমি
.

.
সামাজিক কর্মসূচীর মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালন সালানপুর ব্লকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ জানুয়ারি:: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষে আজ ৫ জানুয়ারি সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে একগুচ্ছ সামাজিক কর্মসূচি রূপায়িত হয়। যুব তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে আজ প্রথমে আল্লাডি কালীপাথরে মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত মিশনারিজ অফ চারিটিতে দুটি কেক কাটা হয়। উল্লেখ্য, আজকের দিনেই সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সহ-সভাপতি ভোলা সিংয়েরও জন্মদিন। এদিন এই কুষ্ঠ হাসপাতালের ৩৪০ জন আবাসিককে মিষ্টি এবং ফলমূল দেওয়া হয়। এছাড়াও সংলগ্ন কুষ্ঠ কলোনির 15 টি পরিবারকেও এই সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এরপর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মুচিডি কমিউনিটি হলে প্রায় এক হাজার আদিবাসী মহিলার হাতে শাড়ি উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া হয়। বাদনা পরব উপলক্ষে সালানপুর, আল্লাডি, দেন্দুয়া এবং বাসুদেবপুর-জেমারি পঞ্চায়েত এলাকার মহিলাদের হাতে এই সহযোগিতা তুলে দেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। শাড়ি বিতরণের এই কর্মসূচি ব্লকে ৮ জনুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। এরই সঙ্গে এদিন ব্লকের সাতটি ক্লাবকে ফুটবল উপহার দেওয়া হয়। জন্মদিনের এই সব কর্মসূচিতে বিশেষভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহম্মদ আরমান, সহ-সভাপতি ভোলা সিং, তৃণমূল নেতা মুকুল উপাধ্যায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, ব্লক যুব তৃণমূল নেতা শচীন নাগ, ব্লক আইএনটিটিইউসি সভাপতি মনোজ তেওয়ারি, মহিলা নেত্রী অপর্ণা রায়, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অপর্ণা দাস, উপপ্রধান সন্তোষ চৌধুরী, আল্লাডি প্রধান জয়শ্রী রায়, শশীভূষণ পান্ডে প্রমুখ।@প্রান্তভূমি
রেল-যাত্রায় নবযুগ; ২ ঘন্টার আগেই হাওড়া থেকে আসানসোল::সময় কমলো কোলফিল্ড ব্ল্যাক ডায়মন্ডেরও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ জানুয়ারি:: রেল লাইনের বিশেষ সংস্কার এবং সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের ফলে বহু ট্রেনের গতি বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে রেলে। তারই ব্যাপক সুফল লাভ করছেন শিল্পাঞ্চলের মানুষ। এখন দু'ঘণ্টারও কম সময়ে হাওড়া থেকে আসানসোল পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে । হাওড়া-গয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মাত্র ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে আসানসোল পৌঁছানো যাচ্ছে। এই ট্রেনটি হাওড়ায় ছটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে ছেড়ে আসানসোলে পৌঁছে যাবে আটটা চল্লিশে। এছাড়াও হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে তিনটে পঞ্চাশে ছেড়ে আসানসোল ঢুকবে পাঁচটা চুয়াল্লিশ মিনিটে। এই ট্রেনের ক্ষেত্রে সময় লাগছে মাত্র ১ ঘন্টা ৫৪ মিনিট। আবার হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে আসানসোলে আসতে সময় লাগছে মাত্র ১ ঘন্টা ৫৭ মিনিট। দ্রুতগতির এই ট্রেন গুলির সুবিধা ছাড়াও ধানবাদ আসানসোল রাণীগঞ্জ দুর্গাপুর ইত্যাদি অঞ্চলের নিত্যযাত্রীদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি ট্রেন ব্ল্যাক ডায়মন্ড এবং কোলফিল্ড এক্সপ্রেসের যাতায়াতের সময়ও আগের তুলনায় কম হয়েছে। চলতি জানুয়ারি থেকেই যে সময়সূচী পূর্ব রেল নির্ধারণ করেছে তাতে কোলফিল্ড এক্সপ্রেস হাওড়া থেকে বিকেলে ছেড়ে আসানসোলে পৌঁছাচ্ছে রাত ৮ টা ৪ মিনিটে। ফলে আগের চেয়ে দশ মিনিট আগে ট্রেনটি আসানসোলে ঢুকে যাচ্ছে। অন্যদিকে হাওড়া যাওয়ার পথে সকালে আসানসোলে আগে ট্রেনটি ছাড়তো সকাল সাতটায়, এখন দশ মিনিট আগে সকাল 6:50 মিনিটে ছাড়ছে। ব্ল্যাক ডায়মন্ড হাওড়া থেকে সকালে ছেড়ে আসানসোলে পৌঁছাবে ৯ টা 31 মিনিটে; আগে এই সময় ছিল ৯ টা ৪১। হাওড়া যাওয়ার পথে ট্রেনটি আসানসোল থেকে আগে বিকেল ৫ টা ৩৪ মিনিটে ছাড়তো, এখন 10 মিনিট আগে পাঁচটা চব্বিশ মিনিটে আসানসোল থেকে ছেড়ে যাবে ব্ল্যাক ডায়মন্ড। এছাড়াও আসানসোল হাওড়া রুটে যাতায়াতকারী দূরপাল্লার পূর্বা এক্সপ্রেস, শতাব্দী, জনশতাব্দী ও সুপারফাস্ট এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির যাতায়াতের সময়ও বেশ কিছুটা করে কমানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
মাইথন জলাধারে মহিলার দেহ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ জানুয়ারি:: মাইথন জলাধারের কালীপাথর সংলগ্ন এলাকায় এক মহিলার দেহ ভেসে আসে। দেহটি স্থানীয় নৌকা চালকেরা দেখতে পেয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেহটিকে জল থেকে তুলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৪ জানুয়ারি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সালোয়ার কামিজ পরিহিত মহিলার মৃত্যু কয়েকদিন আগেই হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান, কারণ দেহটি সম্পূর্ণভাবে ফুলে উঠেছিল। কিন্তু কিভাবে জলাধারের পাশে দেহটি এল তা কেউই বলতে পারছেন না। পুলিশও তার পরিচয় জানতে পারেনি।@প্রান্তভূমি
পিকনিকে দৃশ্য-ভোজ::মাইথনে ৪০ শিল্পী প্রকৃতি রক্ষায় হাতে তুলে নিলেন তুলি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ জানুয়ারি:: মাইথনে পিকনিকের তুমুল ভিড়ের মধ্যে এক অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন হাজার হাজার মানুষ। অন্যরা যখন খাওয়া-দাওয়া গান ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত, তখন ৪০ জন শিল্পী ১১০ ফুট লম্বা সাড়ে তিন ফুট চওড়া ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলছেন প্রকৃতিকে রক্ষা করার বার্তা। অরণ্যের অধিকার রক্ষার এই অভিনব আয়োজন সেখানকার সকলকেই অনুপ্রাণিত করে। ৩০ ডিসেম্বর এই প্রকৃতি পাঠশালার আয়োজন করেছিলেন পুরুলিয়ার বিশিষ্ট শিল্পী ভাস্কর ঘোষ। তার আয়োজনে এদিন পুরুলিয়া বর্ধমান দুর্গাপুর বাঁকুড়া ঝাড়খন্ড সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা শিল্পীরা একের পর এক সাদা ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতে থাকেন নানা ধরনের ছবি। সেই সব ছবি বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধের এক অমোঘ কাহিনী ধরে রাখছিল অন্যদের মনে। ভাস্করবাবু বলেন, যেখানেই বহু মানুষের সমাগম ঘটে সেখানেই তিনি শিল্পীদের নিয়ে পৌঁছে যান প্রকৃতি রক্ষার এই অভিযানে তাদের সামিল করতে। একদিকে উন্মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে শিল্পীদের শিল্প-কর্ম যেমন অন্য মাত্রা পায়, তেমনই সেই সব ছবি দেখে প্রকৃতিকে রক্ষা করার অনুপ্রেরণা পান সেখানে সমবেত হওয়া মানুষজন। ভাস্করবাবু বলেন, এমন উদ্যোগ শুধু ভারত নয় - বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা দুবাই সহ বিভিন্ন দেশে তারা ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন এই বিশ্বকে বর্ধিত তাপমাত্রার হাত থেকে রক্ষা করতে হলে শুধু একটি দেশেই এমন অভিযানকে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না, তাকে ছড়িয়ে দিতে হবে সমগ্র বিশ্বে। বিগত ৭ বছর ধরে তিনি এই উদ্যোগ নিয়ে চলেছেন। পুরুলিয়ার কেতকীতে তার স্টুডিওয় বসেও এই একই কাজে নিমগ্ন থাকেন তিনি ও তার সাথীরা। প্রকৃতি রক্ষায় ছবি মানুষের মনকে দোলা দেয় সহজেই , তাই ছবিকে ব্যবহার করেই তিনি এই অভিযানে নেমেছেন। এই উদ্যোগে প্রকৃতিমনস্ক সকল ব্যক্তিকে সামিল হওয়ার আবেদন জানান ভাস্কর বাবু।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ালো সিআরএমসি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ জানুয়ারি:: বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরকে নিয়ে সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অপমানজনক মন্তব্য করেছেন - এই অভিযোগে চিত্তরঞ্জন আমলাদহি বাজারে বিক্ষোভ ধরনা প্রদর্শন করলো চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস/ এন এফ আই আর/ আই এন টি ইউ সি'র এস সি এস টি সেল। আজ, ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এই সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ'র কুশপুতুল পোড়ানো হয়। সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে এবং ধিক্কার জানিয়ে বক্তব্য রাখেন আই এন টি ইউ সি এসসি এসটি সেলের সভাপতি মনীশ কুমার, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরূপ মন্ডল, জামতাড়া জেলা এস সি এস টি সেলের সভাপতি অরুণ কুমার সহ সজ্জনলাল হেমব্রম এবং মিঠুন মণ্ডল। সভায় শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং, এস কে শাহী সহ বহু বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।@প্রান্তভূমি
পথ নিরাপত্তায় এগিয়ে এলো কলেজ পড়ুয়ারা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৩ জানুয়ারি::
চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের এনএসএস বিভাগের উদ্যোগে এবং আরপিএফ-এর সহযোগিতায় ২ এবং ৩ জানুয়ারি স্থানীয় এলাকায় পথ নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা কর্মসূচি পালন করা হলো। মানুষ যাতে সাধারণ নিয়মগুলি মেনে গাড়ি চালানোর সময় সিটবেল্ট বাঁধা, বাইক স্কুটি চালানোর সময় হেলমেট জুতো পরা, অযথা ওভারটেক না করা এবং নির্দিষ্ট দিকে নিয়ন্ত্রিত গতিতে যাতায়াত করার মত বিষয়গুলি মেনে চলেন সেই বিষয়ে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কলেজের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু বলেন পথ নিরাপত্তার প্রথম পাঠই হল সচেতনতা, আর সেই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা শহরের জনবহুল এলাকা, রাস্তার মোড় ইত্যাদি অঞ্চলে এ বিষয়ে দু'দিন ধরে অভিযান করছে। কলেজে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি রাস্তায় নেমে সামাজিক এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং এনএসএস বিভাগকে সাধুবাদ জানান পথচারীরা। @প্রান্তভূমি
পায়ে পায়ে বরাকর নদীপথে

লেখা ও ছবি - সুমন চট্টোপাধ্যায় ।।
গত ৬ ডিসেম্বর রূপনারায়ণপুর সংবেদনার দশ সদস্য বেরোলাম বরাকর রিভার রাউন্ড ট্রেকের উদ্দেশ্যে। তিন দিনের এই রাউন্ড ট্রেক শুরু হবে ঝাড়খন্ডের জামতাড়া জেলার শ্যামপুর গ্রাম থেকে। শেষ করব বাংলার পশ্চিম বর্ধমান জেলার কালিপাথর গ্রামে। নদীর পাড় বরাবর হাঁটা। সাথে সাথে চলবে তাঁবু, রেশন, খাবার জলের ড্রাম, কাঁচা সবজি, আমাদের লাগেজ ইত্যাদি নিয়ে দুটো নৌকা। বিষয়টা হল ট্রেকপথে বাধাপ্রাপ্ত হলে সেই অংশটা নৌকা করে পেরনো।
রূপনারায়ণপুর থেকে সকাল সকাল গাড়ি ভাড়া করে চিত্তরঞ্জন, জামতাড়া পেরিয়ে চলে এলাম ৪২ কিমি দূরে শ্যামপুর গ্রামে। সেখান থেকে একটু হেঁটে নদী সীমান্তে। এটা বরাকর নদীর ব্যাকওয়াটার। সাথে আনা ডিম, পাঁউরুটি, কলা দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে নৌকায় চাপলাম সকাল ১০ টায়। নৌকায় দেড় ঘন্টার পথ অতিক্রম করে ব্রিজ পেরিয়ে পৌঁছে গেলাম বরাকর রিভার বেডে। এখান থেকেই ট্রেক শুরু। প্রথমেই নদীর পাড় ধরে চলা। পথে বড়বড় ঘাসের ঠাস বুনোট। ক্রমশ নদী থেকে অনেকটা দূরে চলে এলাম একটা গ্রামের কাছাকাছি। ধানখেতের আল পেরিয়ে ঘন্টা দুয়েক হেঁটে এসে পড়লাম সিনুয়া গ্রামের কাছে। গ্রামের মহিলারা ধান কাটছে। দুপাশে তালগাছের সারি। নদী থেকে অনেকটা ভিতরে গ্রাম। নদীর পাড়ে নৌকা নোংগর করে জলের ধারে ঘাস জমিতে খিচুড়ি , পাঁপড়ভাজা, আচার দিয়ে লাঞ্চের ব্যবস্থা। ১৮০° বিস্তীর্ণ জলরাশি। আরামদায়ক শীতল হাওয়া। তালগাছের আধিক্য চোখে পড়ার মত।
লাঞ্চ করে আবার ঘন্টা দেড়েকের হাঁটা। ধনুকের মত বাঁকা নদীর পাশ দিয়ে হেঁটে চলেছি। অনতিদূরে পাঁজানিয়া গ্রাম। খেতের আল দিয়ে নদীর দিক বরাবর চলা। আমাদের দেখে গ্রামের মহিলা, বাচ্চাদের চক্ষু ছানাবড়া। এভাবে তো এদিকে কাউকে কখনও আসতে দেখেনি। গ্রামের লোকেরা ভাবছে আমরা হয়ত ডি ভি সি-র লোক। নদী মাপতে এসেছি। সার দেওয়া তালগাছের ছায়ায় ছায়ায় বাঁদিকে জলরাশিকে রেখে চলতে চলতে এসে পড়লাম নদীর ধারে। সামনে এগোনোর কোনো পথ নেই। নৌকা সাথে সাথে চলছে। উঠে পড়লাম নৌকায়। একটা খাঁড়ির মধ্যে দিয়ে নেমে এলাম পাড়ে। জায়গাটার নাম কার্মা। মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম। ঝাড়খন্ডের জামতারা জেলার চালনা পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ছে। নদীর অনতিদূরেই কারমা গ্রাম। ধান, গম, মটরশুঁটি, বিনস, গাজর, টমাটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি ও স্থানীয় কিছু শাকসব্জীর চাষ হয়। নদীতে মাছ ধরা অন্যতম জীবিকা। সেগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয়। তাঁবু ফেলা হল নদীর ধারে। ধীরে ধীরে সূর্য নামে নদীবক্ষে। অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য। রাতের ডিনারে সাথে আনা মাটনের কষা আর ভাত।
ভোরে সূর্জোদয়ের দৃশ্য অভূতপূর্ব। ধীরে ধীরে মিঠে রোদ ছড়িয়ে পড়ল পুরো চরাচরে। তাঁবু শুকিয়ে এবার গোটানোর পালা। জেলেদের মাছ ধরতে নদীবক্ষে ডিংগি নিয়ে ভেসে পড়া। হালকা ঢেউয়ের মত ধীর লয়ে নদীর বয়ে চলা। আমাদের সামনে চালনা ও তারপর বেজরা গ্রাম। পিছনে ফেলে এসেছি শ্যামপুর।
প্রাতরাশ সেরে হাঁটা শুরু সকাল ১০ টায়। কিছুটা এগোতেই সামনে পড়ল একটা খাঁড়ি। উঠে পড়লাম নৌকায়। ২০ মিনিট চলার পর ডানদিকের চরে নামলাম। আবার হাঁটা শুরু। নদী বেড ধরে চলা। এদিকে একদম কোস্টাল ট্রেকের ফিচার। পথে ডানদিকে খানিক দূরে চালনা গ্রাম। এগিয়ে চললাম নদীর প্রবাহের উলটোপথে। নদী বেড থেকে দূরে সরে কখনও সাদা ও ধূসর বালির মধ্যে দিয়ে আবার কখনো ঘাস জমি পেরিয়ে প্রবেশ করলাম পলাশ গাছের নিবিড় অরণ্যে। অরণ্য পেরিয়ে উন্মুক্ত ক্ষেত জমি। তাতে পালং, মূলো, টমাটো, সর্ষে ইত্যাদির চাষাবাদ নজরে এল। অল্প অর্থের বিনিময়ে গ্রামের লোক ক্ষেত থেকে তুলে দিল বেশ অনেক পরিমাণে টাটকা মূলো। শিশু, পলাশ, সোনাঝুরি গাছের ঘন ছায়ায় লাঞ্চের বিরতি। বানানো হল ভাত, মূলোশাক ভাজা, আন্ডাকারি। লাঞ্চের পর খানিক বিশ্রাম। তারপর নৌকায় চেপে চলে এলাম নদীর অন্য পাড়ে। সেখান থেকে ট্রেক করে আরো কিছুক্ষণ চলার পর পেলাম একটা খাঁড়ি। আবার নৌকায় চাপা। খাঁড়ি পেরিয়ে ঢুকে পড়লাম নদীবক্ষে। সুবিশাল, বিস্তীর্ণ, প্রশস্ত বরাকর নদী। আদিগন্ত জলরাশি। প্রায় ঘন্টাখানেকের নৌকা বিহারে এসে পড়লাম এক নির্জন সবুজ দ্বীপে। সোনাঝুরি গাছের ঘন ছায়ার নিবিড় সান্নিধ্য। সূর্য অস্তগামী। নৌকা ভিড়ল সবুজ দ্বীপে। অনতিদূরেই পিছন দিকে একটা গ্রাম। নাম লেকারা পাহাড়ি।
সকাল হল সুন্দর। নদীবক্ষে সূর্যদয়, জেলেদের মাছ ধরতে জাবার তোড়জোড়। এক ছন্দে বয়ে চলা বরাকর নদীর বিস্তার। সকাল ১০ টায় নৌকায় প্রথমে একটা খাঁড়ি পেরোলাম। তারপর নেমে হাঁটা শুরু। ঘন্টা দেড়েকে রেপেটার গ্রাম। তারপর আবার নৌকায় চাপা। এলাম একটা ছোট্ট দ্বীপে। অপ্রশস্ত এক চিলতে জায়গায় খানিক জংগল পরিষ্কার করে রান্নার আয়োজন। ফুলকপির খিচুড়ি আর ডিম ভাজা দিয়ে পরম তৃপ্তিতে মধ্যাহ্নভোজন সারা হল। এখান থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার নৌকা সফরে সন্ধ্যের মুখে নামলাম কালিপাথর ঘাটে। শেষ হল আমাদের তিনদিনের বরাকর রিভার রাউন্ড ট্রেক।।@প্রান্তভূমি
অজয়ে পিকনিকের ভিড়ে বাইক চুরি রেল আধিকারিকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২ জানুয়ারি::
বছরের প্রথম দিনেই ক্ষতির মুখে পড়লেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার আধিকারিক রঞ্জিত কুমার বার্ণওয়াল। ১ জানুয়ারি চিত্তরঞ্জন অজয় নদ সংলগ্ন হনুমান মন্দির এলাকায় শ্রী বার্ণওয়াল তার হিরো সুপার স্প্লেন্ডার বাইক নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ তিনি বাইকটিকে হ্যান্ডেল লক করে নদীর পাড়ে রেখে জলে নামেন। কিছুক্ষণ জল বালিতে ঘোরাফেরার পর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফিরে এসে দেখেন তার বাইকটি (জেএইচ২১সি ৭৮২৪) উধাও। যদিও সেখানে ভিড় যথেষ্ট হয়েছিল, আরও অন্যান্য বাইক রাখা ছিল; এমনকি পুলিশের পাহারাদারিও ছিল বলে তিনি জানান। কিন্তু তার মধ্যেই চোরের দল তার লাল কালো রঙের বাইকটিকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় অত্যন্ত হতাশ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ইআরএস-৫৯ বিভাগের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার রঞ্জিত বাবু। তিনি চুরির ঘটনা জানিয়ে ১ জানুয়ারি রাতেই চিত্তরঞ্জন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।@প্রান্তভূমি
অবাক প্রতারণার মুখোমুখি বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ জানুয়ারি::
অদ্ভুত প্রতারণার ফাঁদে পড়লেন হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতি পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রমের এক আবাসিক। আজ ১ জানুয়ারি সকালে তিনি হেঁটে নিউ কলোনির দিক থেকে ওল্ড কলোনির বৃদ্ধাশ্রমে ফিরছিলেন। রাস্তায় এক বাইক আরোহী ওই আবাসিককে দেখতে পেয়ে দাঁড় করান। এরপর তাকে বলেন, তিনি কি পার্টি অফিস থেকে ফিরছেন? কিন্তু ওই আবাসিক তার উত্তরে বলেন, না তিনি সেখানে যাননি। এরপরই বাইক আরোহী তাকে বলেন পার্টি অফিসে আজ জন্মদিন উপলক্ষে সকলকে কেক খাওয়ানো হচ্ছে এবং নগদ ১০০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তিনি কি সেই টাকা নেবেন? এ সময় খানিকটা থতমত খেয়ে ঐ আবাসিক বাইক আরোহীকে বলেন, তার মত আরও অনেকেই বৃদ্ধাশ্রমে আছেন, তারা কেউই পার্টি অফিসে যাননি ফলে টাকাও পাননি। এরপরই প্রতারক ১০০ টাকার নোট বার করে তার হাতে দিতে যান এবং জানতে চান ঐ আবাসিকের কাছে অন্য কোন টাকা আছে কিনা। তাহলে তিনি খুচরো করিয়ে নেবেন। কারণ অন্যদেরও ১০০ করে টাকা দিতে হবে। এ সময় আবাসিক বলেন তার কাছে একটি ৫০০ টাকার নোট আছে। কিন্তু তিনি এই নোট ভাঙ্গাবেন না, প্রয়োজনে বাইক আরোহীকে তিনি বৃদ্ধাশ্রমে যেতে বলেন। এরপরই রাস্তায় অন্যান্য লোকজন দেখে বাইক আরোহী সেখান থেকে পালিয়ে যান। ঘটনাটি এরপর বৃদ্ধাশ্রমে ফিরে এসে তিনি তাদের অভিভাবকসম সুভাষ মহাজনকে বলেন। সুভাষ বাবু প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে বুঝতে পারেন বাইক আরোহী একজন প্রতারক এবং সে নকল টাকার নোট দিয়ে মানুষকে ঠকানোর চেষ্টায় নেমেছিল। তবে ঐ আবাসিকের উপস্থিত বুদ্ধি এবং লোভহীনতার কারণে তিনি প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পেয়ে যান। এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সজাগ থাকার আবেদন জানিয়েছেন শ্রী মহাজন।@প্রান্তভূমি
ক্লাব বাঁচাতে চিত্তরঞ্জনে জয়েন্ট ফোরাম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ জানুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন শহর থেকে সমস্ত ক্লাব উচ্ছেদ না করার জন্য এবার রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাল চিত্তরঞ্জনের জয়েন্ট ফোরাম অফ ক্লাবস। ৩০ ডিসেম্বর ক্লাব গুলির প্রতিনিধিরা আরপিএফ আইজির সাথে এ বিষয়ে দেখা করে কথা বলেন। তার আগে ২৬ ডিসেম্বর 4-এর পল্লী কমিউনিটি হলে এইসব ক্লাবের ৭১ জন প্রতিনিধি একত্রিত হয়ে বৈঠক করেন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনে তারা বলেন, ক্লাবগুলি শহরের সামাজিক কাজে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে। রক্তদান থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক সমস্ত দিকে তাদের কাজকর্ম শহরবাসীকে আশ্বস্ত করে। যে কোনো জরুরী প্রয়োজনে শহরবাসীর পাশে ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকেরা সর্বশক্তি নিয়ে দাঁড়ান। এই সমস্ত ক্লাব উচ্ছেদ করে দিলে শহরের সমন্বয় বিঘ্নিত হবে। আইজি তাদের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং বিষয়টি নিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজারের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন ক্লাব প্রতিনিধিদের বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনের খোঁয়াড় থেকে মোষ ছাড়াতে ভাঙা প্রাচীর গেঁথে দিতে হল খাটাল মালিককে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ ডিসেম্বর:: সংরক্ষিত শহর চিত্তরঞ্জনে মোষ ঢুকে পড়ায় অভিনব গুনাগার দিতে হলো খাটাল মালিককে। আরপিএফের হাতে ধরা পড়া মোষ গুলিকে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের খোঁয়াড় থেকে ছাড়ানোর জন্য শহর ঘিরে থাকা প্রাচীরের নির্দিষ্ট একটি ভাঙ্গা অংশ ইঁট সিমেন্ট দিয়ে গেঁথে দিতে হলো ঐ খাটাল মালিককে। জানা গেছে ২৭ ডিসেম্বর রেল শহরের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি মোষ ধরা পড়ে আরপিএফের হাতে। এগুলির মধ্যে আটটি মোষ ছিল রূপনারায়ণপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এক খাটাল মালিকের। দুগ্ধবতী মোষগুলিকে শহরের নির্দিষ্ট খোঁয়াড়ে রাখা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে পৌঁছান খাটাল মালিক। কিন্তু ২৭ তারিখ তিনি মোষগুলিকে ছাড়িয়ে আনার ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে জানান। এরপর ২৮ তারিখ ওই খাটাল মালিককে বলা হয়, কানগোই পাহাড় সংলগ্ন হাসিপাহাড়ি এলাকায় চিত্তরঞ্জন শহরের কংক্রিটের সীমানা প্রাচীর ভাঙ্গা আছে এবং সে দিক দিয়েই পশুদের যাতায়াত ঘটছে। তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাচীরের ওই ভাঙ্গা অংশ মেরামত করে দিতে হবে। মৌখিক এই নির্দেশের বিরুদ্ধে প্রাথমিক আপত্তি জানালেও খোঁয়াড়ে আবদ্ধ দুগ্ধবতী মোষগুলির দুরবস্থার কথা ভেবে খাটাল মালিক এই নির্দেশ পালন করতে রাজী হন। কারণ একদিকে মোষগুলির চেহারা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদিকে খাটাল থেকে যেসব মানুষ এবং দোকানে নিয়মিত দুধ পৌঁছানো হয় তাতেও বাধা পড়ছিল। এমনকি মোষ গুলিকে নিয়মিত না দোয়ানো হলে তাদের "মিল্ক ফিভার" হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এইসব কথা ভেবে খাটাল মালিক প্রাচীরের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করার কাজে লোক লাগান এবং ২৯ ডিসেম্বর সেই কাজ সম্পন্ন হয়। এজন্য হাজার দশেক টাকা তাকে খরচ করতে হয়েছে বলে খাটাল মালিক জানান। এরপর বিষয়টি খতিয়ে দেখে ৩০ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে খোঁয়াড় থেকে আটটি মোষকে খাটাল মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন খাটাল মালিক, স্বস্তির শ্বাস ফেলে অবলা পশুগুলি। চিত্তরঞ্জন রেল শহরকে গবাদি পশুর হাত থেকে মুক্ত রাখতে আরপিএফ ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু করেছে বহুদিন আগে থেকেই। দীর্ঘকাল বন্ধ থাকা খোঁয়াড়টিকেও পুনরায় চালু করা হয়েছে। আরপিএফ সূত্র বলছে কিছু ক্ষেত্রে প্রথমবার সর্তকতার পাঠ দিয়ে গরু মোষের মালিকদের রেহাই দিলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করা, নির্দিষ্ট হারে জরিমানা আদায় করা সহ সমস্ত আইনি ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে। তাই কোনভাবেই যাতে শহরের বাইরে থেকে চিত্তরঞ্জনে গরু-মোষ ইত্যাদি না ঢোকে সে বিষয়ে খাটাল মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শহর ঘিরে কংক্রিটের পাঁচিল তোলা হলেও কয়েকটি জায়গায় ফাঁক থেকে গেছে। কোথাও পুকুর কোথাও আবার যথেষ্ট নিচু জায়গা থাকায় সেখানে পাঁচিল তোলা যায়নি। কিছু ক্ষেত্রে আবার তৈরি পাঁচিল ভেঙে যাতায়াতের রাস্তা বার করার ঘটনা ঘটছে। সেই সব পথেই গরু-মোষ ঢুকছে শহরে। এ প্রসঙ্গে এক আরপিএফ আধিকারিক বলেন - অবলা পশুগুলির কোন দোষ নেই, কিন্তু তাদের পালকদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।@প্রান্তভূমি
.

.
.

.
দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ জাতীয় সড়কে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ ডিসেম্বর:: লোহা এবং কয়লা বোঝাই দুটি ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধলো জাতীয় সড়কে। ভয়ংকর এই দুর্ঘটনায় ট্রাক দুটির কেবিন দুমড়ে-মুচড়ে বিভৎস আকার নেয়। চালকেরা কেবিনের মধ্যেই আটকে পড়েন। তবে অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে ঘন্টা খানেকের চেষ্টায় গ্যাস কাটার দিয়ে কেবিনের দুমড়ে যাওয়া অংশ কেটে চালকদের সেখান থেকে বের করা গেছে। গুরুতর আহত দুই চালককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে পুলিশ। ক্রেনের সাহায্যে ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাক দুটিকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। আজ ৩০ ডিসেম্বর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে কুনুস্তরিয়া কলিয়ারির তিন নম্বর পিটের কাছে দুটি দশ চাকা লরির মুখোমুখি এই সংঘর্ষ বাধে। জানা গেছে লোহা ভর্তি লরিটি রানীগঞ্জ থেকে জামুড়িয়ার উদ্দেশ্যে এবং কয়লা বোঝাই লরিটি জামুড়িয়া থেকে রানীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, জাতীয় সড়কের উপরে থাকা কালভার্টের কাছে দৃশ্যমানতা কম হওয়ার জন্যই এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়া মাত্র রাণীগঞ্জ থানা, পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ ও ট্রাফিক গার্ড একযোগে উদ্ধার কাজে নামে।@প্রান্তভূমি
বিদ্যুতের খুঁটির আড়াল থেকে লড়াই চালানো ওসি মেঘনাদের হাতে এয়ারপোর্টে আটক কুখ্যাত গ্যাং

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ ডিসেম্বর:: বিদ্যুতের খুঁটির আড়াল থেকে গুলি চালিয়ে রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতিদের ছত্রভঙ্গ করেছিলেন তিনি। গুলি খেয়ে এক দুষ্কৃতি সেদিন দোকানের সামনে লুটিয়ে পড়েছিল। পরবর্তী সময়ে কুখ্যাত সেই গ্যাংয়ের ৫ ডাকাত পুলিশের হাতে ধরাও পড়েছিল। ৯ জুন এই অসম সাহসী লড়াই করেছিলেন পুলিশ অফিসার মেঘনাদ মন্ডল। পরবর্তী সময়ে তাকে শ্রীপুর ফাঁড়ি থেকে অন্ডাল থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়। এবার সেখানেও নিজের পারদর্শিতা দেখাচ্ছেন তিনি। আজ ৩০ ডিসেম্বর মেঘনাদ মন্ডলের নেতৃত্বে অন্ডাল এয়ারপোর্টে অতর্কিতে হানা দিয়ে দুষ্কৃতির একটি দলকে আটক করল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে নগদ প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহারের জন্য নানান সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে এদিন দুপুরে দুষ্কৃতির দলটি অন্ডাল এয়ারপোর্ট থেকে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেবে। এরপরই সমস্ত আটঘাট বেঁধে পুলিশ এয়ারপোর্টে হানা দেয়। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় চার যুবক। তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি বীরভূমে। সে এই দলের মূল মাথা বলে পুলিশের অনুমান। বাকি তিনজন অন্ডালের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে বছর 25-এর সাগর যাদব নামের এক যুবকের পরিচয় সামনে এসেছে। অন্যদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
বড়োদিনে তথাগত ট্রাস্টে শুরু কম্পিউটার পরিষেবা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৩০ ডিসেম্বর::
আধুনিক শিক্ষায় নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করতে তথাগত ট্রাস্ট পরিচালিত শিক্ষালয়ে কম্পিউটার পরিষেবা শুরু হলো বড়দিন থেকে। এর সূচনা করেন ডাক্তার সুস্নাত ভট্টাচার্য। এদিন সালানপুর ব্লকের আদিবাসী অধ্যুষিত বাঁশকেটিয়া গ্রামে তথাগত ট্রাস্টের উদ্যোগে এবং আসানসোল মুক্ত বিহাঙ্গের সহযোগিতায় স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে ৮০ জন পড়ুয়া অংশ নেয়। এদের মধ্যে দু'টি বিভাগের সেরা ৮ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়াও সকলকেই দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার। ট্রাস্টের ছাত্রী রবীনা টুডুর জন্মদিন ছিল ২৫ ডিসেম্বর। ২৪ ডিসেম্বর জন্মদিন ছিল মুক্ত বিহঙ্গের কর্ণধার অপর্না ভট্টাচার্যের। এই দুজনেরই জন্মদিন উদযাপিত হল বাঁশকেটিয়ায় বড়দিনের অনুষ্ঠানে। আন্তরিক এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবী ডক্টর সুজিত কর্মকার, সুজিত চ্যাটার্জি, সুব্রত সরকার, ট্রাস্টের অন্যতম কর্মকর্তা দুর্গাচরণ মন্ডল, শিবশংকর রুজ প্রমুখ। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে অনুসরণীয় বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের সভাপতি বাসুদেব মন্ডল, মুক্ত বিহঙ্গের অপর্ণা ভট্টাচার্য। সমগ্র আয়োজন সঞ্চালনায় ছিলেন ট্রাস্টের সম্পাদক রমাকান্ত মন্ডল।@প্রান্তভূমি
শিল্পের সমাধানে কার্যকরী শিবির আসানসোলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ ডিসেম্বর:: ডিসেম্বর মাস জুড়ে জেলায় শিল্পের সমাধানে ১৪০টি শিবির আয়োজিত হল। তার মধ্যে শেষ দিকের শিবিরটি ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হলো আসানসোল পোলো গ্রাউন্ড ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। এম এস এম ই বিভাগ আয়োজিত এই শিবিরে বিভিন্ন ক্ষেত্রের উদ্যোগপতিরা অংশ নেন। এক জানলা সুবিধার জন্য এমএসএমই, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়াটার সাপ্লাই বিভাগ, ফায়ার, ডব্লুবিএসইডিসিএল, পিডিআরডি বিভাগের আনন্দধারা, শ্রম বিভাগ, দূষণ বিভাগ, ব্যাংক সহ ১৯ টি ক্ষেত্রের শিবির ছিল। শিবিরে ২৯ জনকে সরাসরি বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য ঋণের অর্থ বাবদ চেক তুলে দেওয়া হয়। এরই সঙ্গে নানান প্রকল্পের রেজিস্ট্রেশন, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের আবেদন গ্রহণ, আর্টিজান ফিনান্সিয়াল বেনিফিট -এর অন্তর্গত হস্তশিল্পীদের চেক প্রদান করা হয়। এই শিবির পরিদর্শন করেন পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, এম এস এম ই অধিকর্তা ডিআইসি প্রবীর মহান্তি প্রমুখ। তারা শিল্প গড়তে আগ্রহী উদ্যোগপতিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলি শুনে যথাযথ পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। শিল্পের সমাধানে এই ধরনের শিবির বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তুলতে আগ্রহীদের জন্য যথেষ্ট কার্যকরী উদ্যোগ বলে সকলে উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
শহর থেকে সমস্ত ক্লাব উচ্ছেদের নির্দেশ চিত্তরঞ্জনের সংস্কৃতিতে আঘাত হানবে - সিআরএমসি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ ডিসেম্বর:: বড়দিনের আগে ২৪ ডিসেম্বর সিএলডব্লু আরপিএফ আইজি চিত্তরঞ্জন রেল শহরের ২৪ টি ক্লাব প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখলেন। চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ শহরের কোথাও অনুমতিহীন কোন ক্লাব ঘর না রাখার সিদ্ধান্ত জারি করার পর একেবারে নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে সেইসব ক্লাব ঘর ভেঙে ফেলার জন্য। এই দুই পদক্ষেপকে ঘিরে রেল শহরে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নানান সামাজিক কাজে সরাসরি ঝাঁপিয়ে পড়া ক্লাবগুলিকে উচ্ছেদ না করার দাবি জানিয়ে আইজির কাছে চিঠি দিল চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস। ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শহরের এইসব ক্লাব থেকে রক্তদান শিবির, দুঃস্থদের সহায়তা, আপদ বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো সহ নানান খেলাধুলার আয়োজন ও সাংস্কৃতিক কাজকর্ম করা হয়। করোনার সময় ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবকেরা শহরজুড়ে যে পরিষেবা দিয়েছিলেন তা ছিল অতুলনীয়। সর্বোপরি ক্লাবগুলি এলাকার মানুষের মধ্যে সংযোগ সাধন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার কাজ করে চলেছে। ফলে কোনভাবেই তাদের শহর থেকে উচ্ছেদ করে দেওয়া চলবে না বলে দাবি জানানো হয়েছে। তবে কোন ক্লাব বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে এমন আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে ক্লাব ঘর গুলিকে ভেঙে ফেললে শহরের সার্বিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে। চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে আবেদন জানিয়ে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে একান্তই যদি ক্লাব ঘর গুলিকে রাখা না হয় তাহলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বহু ফাঁকা আবাসন পড়ে আছে, সেগুলিকে ক্লাবের সামাজিক কাজকর্ম চালানোর কাজে ব্যবহার করতে দেওয়া হোক। ক্লাব গুলির সামাজিক কাজে খরচ খরচার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট তহবিল থেকে সহায়তা করুক। ২৮ ডিসেম্বর এই চিঠি আইজির কাছে দিয়ে ক্লাবগুলির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার অনুরোধ জানিয়েছেন সিআরএমসি কর্তৃপক্ষ। এখন দেখার অনড় রেল প্রশাসন শহরের সর্বত্র অনুমতিহীন নির্মাণ উচ্ছেদে যে আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়েছেন সেই একই মনোভাব ক্লাবগুলিকে উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রেও নেন, নাকি খানিকটা মানবিকতা দেখান।@প্রান্তভূমি
নেতাজির স্মৃতিকে মুছে ফেলার চেষ্টা সিএলডব্লুর অভিযোগে গর্জে উঠলো সিআরএমসি::২৩ জানুয়ারি ছুটি বাতিল বাঙালি-আবেগে আঘাত বলছেন ইন্দ্রজিৎ সিং

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ ডিসেম্বর:: এবারও (2025) 23 জানুয়ারি ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা প্রশাসন। যেমনটা করেছিলেন 2020 সালে। তখন ব্যাপক প্রতিবাদ আন্দোলনের জেরে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এরপর থেকে আর কোনদিনই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন ২৩ জানুয়ারি এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের জন্মদিন ৫ নভেম্বর ছুটির তালিকা থেকে বাদ যাবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আবার ২৩ জানুয়ারির নির্ধারিত ছুটি সিএলডব্লুর ক্যালেন্ডার থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এতেই আগুনে ঘি পড়েছে। চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং একে সরাসরি বাঙালি আবেগে আঘাত এবং মহান দেশপ্রেমিক স্বাধীনতা যোদ্ধা নেতাজির স্মৃতিকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা বলে দেগে দিয়েছেন। ছুটি ফিরিয়ে আনার দাবিতে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন তারা। সেই আবেদনে বলা হয়েছে যদি তাদের কথায় কর্ণপাত করা না হয় তাহলে ২২ জানুয়ারি কর্মীরা সকলেই কালো ব্যাজ পরে প্রতিবাদ জানাবেন এবং ২৩ তারিখ জিএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করবেন। ছুটি না দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি আরও মারাত্মক অভিযোগ এনে বলেছেন, একতরফা ভাবে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত কর্মীদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন। কারণ ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিয়ন স্বীকৃতি পেয়েছে রেলের কাছে। তারপরও স্বীকৃত ইউনিয়নের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা না করেই ছুটি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ নিয়েছেন - যা কর্মীদের আবেগ ও অধিকারকে খর্ব করেছে। তিনি বলেন কোনভাবেই জাতীয় বীর নেতাজিকে অসম্মান করা চলবে না।@প্রান্তভূমি
তিনটি ট্রেন পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেবেন ডিআরইউসিসির সদস্য বিশ্বদেব ভট্টাচার্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ ডিসেম্বর:: করোনার সময় থেকেই রূপনারায়ণপুর চিত্তরঞ্জন তথা এই শিল্পাঞ্চলের জন্য অতি উপযোগী তিনটি ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে ভারতীয় রেল। সেই কলকাতা-জশিডি, হাওড়া- অমৃতসর এবং শিয়ালদা সীতামারি (আগের বারাউনি) ট্রেনগুলি পুনরায় চালু করার জন্য চাপ দেবেন বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। যাকে সম্প্রতি দেশের রেলমন্ত্রী নিজে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়ে পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনে ডিভিশনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির (ডিআরইউসিসি) সদস্য নিযুক্ত করেছেন। পূর্ব রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার তথা এই কমিটির সেক্রেটারি বেদ প্রকাশের পাঠানো চিঠি পেয়েই এলাকার রেলের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্যোগী হয়েছেন বরিষ্ঠ সাংবাদিক তথা প্রাক্তন জেডআরইউসিসি মেম্বার বিশ্বদেব বাবু। এর আগে তিনি দু'বার জেডআরইউসিসি এবং দু'বার ডিআরইউসিসি মেম্বার হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তিনি ডিভিশনের রেলযাত্রাকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে বদ্ধপরিকর বলে জানান। এখন আসানসোল জশিডি ঝাঁঝা লাইনে প্রায় আট ঘন্টা অন্তর লোকাল ট্রেন চলাচল করছে, যার ফলে রূপনারায়ণপুর চিত্তরঞ্জন সালানপুর ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষের বড়ো অসুবিধা হচ্ছে। সময়ের এই অন্তর কমিয়ে অতিরিক্ত লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে তিনি রেলকে পরামর্শ দেবেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও রানীগঞ্জ থেকে মেজিয়া হয়ে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেললাইন সম্পূর্ণ করার জন্য বিশেষ চেষ্টা করবেন শ্রী ভট্টাচার্য। এই লাইনে মাত্র ত্রিশ কিলোমিটার রেল লাইন পাতা না হওয়ায় রানীগঞ্জ-বাঁকুড়া রেল যোগাযোগ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এই ৩০ কিলোমিটার রেল লাইন যাতে শীঘ্র পাতা হয় সেজন্য প্রথমেই তিনি রেলকে পরামর্শ দেবেন। এটি সম্পূর্ণ হলে আসানসোল রানীগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের মানুষকে আর পুরুলিয়ার আদ্রা হয়ে ঘুরে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে বাঁকুড়ায় পৌঁছাতে হবে না। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন রেল স্টেশনে যাত্রীদের ওঠা নামার জন্য র্যাম্প তৈরি, রূপনারায়ণপুর স্টেশনে শৌচালয় ও জলের সুবন্দোবস্ত, সালানপুর ও বরাচক স্টেশনকে আরো উন্নত করা এবং সীতারামপুর স্টেশনের মতো যেসব স্টেশনে এনকোয়ারি কাউন্টার নেই সেগুলি গড়ে তোলার জন্য জোর দেবেন। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ডিআরইউসিসির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিশ্বদেব ভট্টাচার্যকে অন্তর্ভুক্ত করেছেন রেলমন্ত্রী। তিনি নতুন স্টেশন, ট্রেনের সময় সারণি নির্ধারণ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনকে দেবেন। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে তিনি ভবিষ্যতে আরো উপযোগী পরামর্শ রেলকে দেবেন বলে জানা গেছে। এর আগেই রাজ্য বিধানসভার সুপারিশের ডিআরইউসিসির সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। শিল্পাঞ্চলের রেল ব্যবস্থা এদের হাত ধরে যাত্রীদের আকাঙ্ক্ষিত সুবিধাগুলি এনে দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে।@প্রান্তভূমি
পরপর ধাক্কা খেয়ে জাতীয় সড়কে মৃত্যু যুবকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ডিসেম্বর:: একটি দ্রুতগতির স্করপিও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জাতীয় সড়কের পাশের কালভার্টে ধাক্কা মারে। সেই ধাক্কায় গাড়িটি বেশ কয়েকবার উল্টে রাস্তার পাশে থেমে যায়। সেই সময় ওই রাস্তা পার হচ্ছিলেন এক যুবক। তিনি ওই স্করপিও গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। ঠিক সেই সময়েই পিছনের দিক থেকে আসা আরও একটি গাড়ি তাকে চাপা দিয়ে দেয়। এমনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো 19 নম্বর জাতীয় সড়কের ঘাগরবুড়ি মন্দির সংলগ্ন এলাকা। আজ, ২৭ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে এমন ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে। স্করপিও গাড়িটি দুর্গাপুরের দিক থেকে আসানসোলের দিকে আসছিল। আনুমানিক বছর ৪৫-এর ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি। দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । দুর্ঘটনার চোটে স্করপিও গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন জাতীয় সড়কের এই অংশে গাড়ির গতি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না করলে প্রতিদিনই এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটতে থাকবে। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই স্করপিও গাড়ির চালক ও গাড়িতে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ গাড়িটিকে আটক করে এবং ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ গাড়ির মালিক ও মৃত যুবকের খোঁজ করছে।@প্রান্তভূমি
আসানসোল শিল্পাঞ্চলকে নতুন জীবন দিয়ে গেছেন ডঃ মনমোহন সিং:: তাঁকে আবেগে শ্রদ্ধায় স্মরণ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ডিসেম্বর:: ২০০০ সালের শুরুর দিকে আসানসোল শিল্পাঞ্চলে অর্থনৈতিক অস্থিরতা ব্যাপক হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলের সর্ববৃহৎ সংস্থা ইস্কোর বার্নপুর প্ল্যান্টের বিআইএফআরে চলে যাওয়া অত্যন্ত হতাশাজনক চিত্র হয়ে উঠেছিল শিল্পাঞ্চলের জন্য। কিন্তু তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের উদ্যোগে শুধু এই কারখানা পুনরুজ্জীবন পেয়েছে তাই নয়, শিল্পাঞ্চলও নতুন ভাবে তার আর্থিক ভিত্তিকে মজবুত করতে পেরেছে। ডঃ মনমোহন সিং ২০০৬ সালের ২৪ অক্টোবর বার্ণপুর প্ল্যান্টের আধুনিকীকরণের সূচনা করেছিলেন। তার আগে ওই বছরেরই ১৬ই ফেব্রুয়ারি বি আই এফ আর-এর তালিকা থেকে মুক্ত করে সেইলের সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই সংস্থাকে। শিল্পাঞ্চলের জন্য সেই গৌরবজনক অধ্যায়ের ঐতিহাসিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসোয়ান, তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং সেইলের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেদিনের সেই আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পের শীলান্যাস বিফলে যায়নি। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সেইল আইএসপি বার্ণপুর আজ আড়াই মিলিয়ন টন উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ডক্টর মনমোহন সিংয়ের প্রয়াণে তাই শোকাচ্ছন্ন শিল্পাঞ্চল ব্যথিত হৃদয়ে তাঁকে স্মরণ করছে। শ্রমিক নেতা অজয় কুমার রায় এবং হরজিৎ সিং তাকে আবেগঘন শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন শিল্পের উন্নয়নে সেদিন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ডঃ মনমোহন সিং। বার্ণপুর আসানসোল তথা সমগ্র শিল্পাঞ্চলের মানুষ তাঁকে চিরদিন স্মরণ করবেন তাঁর সাহসী পদক্ষেপের জন্য। তিনি ইস্কো বার্ণপুরকে শেষ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে উদ্ধার করে নতুন জীবন দিয়েছেন। শিল্পাঞ্চলের খয়িষ্ণু আর্থিক পরিস্থিতিকে মজবুত ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর ৯২ বছর বয়সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং প্রয়াত হন। তারপর থেকেই আসানসোল সহ সমগ্র দেশে তাঁকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে গভীর শোক প্রকাশ করা হচ্ছে। জাতীয় স্তরে ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
রেলকে পরামর্শ দেবেন বিধান উপাধ্যায়::গুরুত্ব বাড়লো বারাবনির বিধায়কের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ডিসেম্বর:: আরও গুরুত্ব বাড়লো বিধান উপাধ্যায়ের। বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল কর্পোরেশনের মেয়র শ্রী উপাধ্যায় এবার রেলের পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য নিযুক্ত হলেন। তিনি পূর্ব রেল আসানসোল ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ইউজার্স কনসালটেটিভ কমিটির (ডিআরইউসিসি) সদস্য মনোনীত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার ওএসডি ডিআরইউসিসির সদস্য হিসেবে বিধান উপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লেখেন জোনাল রেলওয়ে ইউজারস কন্সাল্টেটিভ কমিটির সেক্রেটারি তথা পূর্ব রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে। সেইমতো শ্রী উপাধ্যায়ের নাম পূর্ব রেলের তরফে অনুমোদিত হয়েছে বলে বিধান উপাধ্যায়কে জানিয়েছেন পূর্ব রেলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বেদ প্রকাশ। আসানসোল ডিভিশনের এই কমিটির মেয়াদ ২০২৬ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত। ডিআরইউসিসির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বিধান বাবু রেল যাত্রীদের সুবিধার্থে নানান পরামর্শ রেলকে দিতে পারবেন। তারমধ্যে চলতি ব্যবস্থার পরিবর্তন বা সংশোধন করা, নতুন স্টেশন গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া, ডিভিশনের মধ্যে চলাচলকারী লোকাল ট্রেন সহ অন্যান্য ট্রেনের টাইম টেবিল নির্ধারণ করা এবং রেল পরিষেবা ভালো করার বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারবেন।@প্রান্তভূমি
পিকনিকে গিয়ে মাইথনে ড্রোন ওড়ালেই কড়া শাস্তি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ ডিসেম্বর:: মাইথনে পিকনিক করতে এসে ফুর্তির বশে জঙ্গলে ড্রোন ওড়ালেই কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমনকি বন দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করলে কিংবা ক্যামেরায় ছবি তুললেও আইনগত ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। ভরা পিকনিকের মরশুমে প্রকৃতিকে রক্ষা করতে এমনই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করল বন বিভাগ। পিকনিকের হুল্লোড়ে যাতে কোনোভাবেই জীবজন্তুদের ক্ষতি না হয় সেজন্য উচ্চস্বরে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পিকনিক শেষে অতি অবশ্যই উনুনের আগুন ঠিকমতো নিভিয়ে ফেলা, জঙ্গল এলাকার মধ্যে কোনোভাবেই প্লাস্টিক বা থার্মোকলের প্লেট ব্যবহার না করার বিষয়ে আগেই সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। এছাড়াও জঙ্গলের ভেতরে পশু পাখিকে উত্তেজিত না করা এবং কোনোভাবেই কোন প্রাণীকে হত্যা না করার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে প্রশাসন। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ মাইথনকে রক্ষা করতে এখানে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে আগেই। অনেক ক্ষেত্রেই জ্বলন্ত বিড়ি সিগারেট দেশলাইয়ের টুকরো থেকে আগুন লাগার ক্ষতিকর অভিজ্ঞতা থেকেই এ বিষয়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়াও পিকনিক করতে এসে মদ্যপান করে ধরা পড়লে উচিত শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। দুর্গাপুর বন বিভাগের ডি এফ ও ডক্টর অনুপ কুমার খান, আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দ সহ বন বিভাগের একাধিক বিট অফিসার ও কর্মীরা এ বিষয়ে নিরন্তর সচেতনতা প্রচার করে চলেছেন যাতে মানুষজন নির্বিঘ্নে পিকনিক সারতে পারেন আবার বনাঞ্চলও সুরক্ষিত থাকে।@প্রান্তভূমি
কল্যাণগ্রাম কো-অপারেটিভের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী বাম মনোভাবাপন্ন প্রার্থীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ ডিসেম্বর:: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কল্যাণগ্রাম কো-অপারেটিভ কলোনি লিমিটেডের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে গেলেন। এরফলে বরাবরের মতোই এই কো-অপারেটিভ বাম মনোভাবাপন্ন ডিরেক্টরদের হাতেই থাকলো। আজ ২৪ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত ঘোষণা এবং সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হলো কল্যাণগ্রাম-৫ নম্বর অঞ্চলে। যে ৮ ডিরেক্টর নির্বাচিত হলেন তারা হলেন অজিত মোহন ব্যানার্জি, সুবীর দেব, সুজিত কর্মকার, রাধাগোবিন্দ দাস, পুষ্প মজুমদার, সুব্রত ঘোষ, বিশ্বদেব দাস এবং শ্যামাকিংকর রায়। তবে, উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো এই কো-অপারেটিভের জন্য ৯ জন ডিরেক্টরের পদ থাকলেও নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর মাত্র আট জন ব্যক্তিই মনোনয়ন দাখিল করেন। এবং সেই আটজনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হন। এদের বিরুদ্ধে অন্য কোনো পক্ষের প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন নি। জানা গেছে, ৯ জন ডিরেক্টরের মধ্যে জেনারেল ৬, এসসি ১ এবং মহিলা প্রার্থী ২ জন। কিন্তু মহিলা প্রার্থী হিসেবে শুধুমাত্র একজনই মনোনয়ন পেশ করেন। ফলে একটি মহিলা ডিরেক্টরের পদ খালি রয়ে গেল। উল্লেখ্য, সমগ্র কল্যাণগ্রামকে নিয়ে ১৯৬৪ সালে গঠিত হয় কল্যাণগ্রাম কো-অপারেটিভ কলোনি লিমিটেড। শেষবার ২০১৫ সালে প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যার মেয়াদ ছিল ২০২০ পর্যন্ত। এরপর করোনা এবং তৎকালীন সম্পাদক প্রদীপ রায়ের আকস্মিক মৃত্যুর পর আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নি। শেষমেষ এই ডিসেম্বরে নতুন করে কমিটি গঠিত হল। আজ এআরও অমৃতা ঘোষ এবং অন্য আধিকারিক মিলনকান্তি পালের উপস্থিতিতে নব নির্বাচিত ডিরেক্টরদের নাম ঘোষিত হয়। জানা গেছে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি নব নির্বাচিত ডিরেক্টরদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সেক্রেটারি পদাধিকারী নির্বাচন হবে। নতুন এই কমিটির মেয়াদ থাকবে পরবর্তী ৫ বছর।@প্রান্তভূমি
ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ চলবে-আম্বেদকর মন্তব্যে সালানপুর ব্লকে ধিক্কার সভা তৃণমূলের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ ডিসেম্বর:: দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরকে অপমান করেছেন - এই অভিযোগে আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেকটি ব্লকে ধিক্কার সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। তারই অঙ্গ হিসেবে সালানপুর ব্লকের আল্লাডি মোড়ে প্রতিবাদ, ধিক্কার সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আরমানের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন মনোজ তেওয়ারি, বিপুল ব্যানার্জি, উজ্জ্বল মন্ডল, তাপস চৌধুরী, জয়েশ হাঁসদা, সুরজিৎ মোদক, শচীন নাগ। সভার শুরুতে মহঃ আরমান বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে 'অসাংবিধানিক, তাচ্ছিল্যময়, কুরুচিকর' মন্তব্যের মাধ্যমে বাবা সাহেবকে অপমান করেছেন তা কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না। তিনি বলেন, এই মন্তব্যের জন্য অমিত শাহ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত তাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। এই সভায় ব্লকের ১১ টি পঞ্চায়েতের সমস্ত প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন আদিবাসী সমাজের মানুষজন। সভায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সিং, কৈলাশপতি মন্ডল, বিদ্যুৎ মিশ্র, ললিত দাস, শশী পাণ্ডে প্রমুখ।@প্রান্তভূমি
বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কা পথচারীকে; রাত ৯ টাতেই বিভীষিকা রূপনারায়ণপুরের রাস্তা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ ডিসেম্বর:: পথচারীদের কাছে রূপনারায়ণপুরের রাস্তা ক্রমশ আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে। এর প্রধানতম কারণ বেপরোয়া গাড়ির চলাচল। অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের জন্য রূপনারায়ণপুর একাধিক মৃত্যুর সাক্ষী থাকলেও হুঁশ ফেরেনি সংশ্লিষ্ট মহলের। সাম্প্রতিকতম দুর্ঘটনার কারণে প্রাণ যেতে বসেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মী রূপনারায়ণপুরবাসীর। চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রোডের পাশে অমলা নার্সিংহোমের সামনে শ্রীহরি অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন রেল কর্মী বরুণ দাস। ২২ ডিসেম্বর রাত ৯ টা নাগাদ তিনি এবং তার সঙ্গী প্রশান্ত দে সান্ধ্য ভ্রমণ শেষে চায়ের দোকান হয়ে রাস্তার ধার ঘেঁষে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। অন্যান্য দিনে আরও কয়েকজন এভাবেই একসঙ্গে ফ্ল্যাটে ফিরে আসেন। এদিন তারা যখন এইচডিএফসি ব্যাংকের সামনে পৌঁছান ঠিক সে সময় পিছন দিক থেকে একটি ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে আসা চার চাকার গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে বরুণবাবুকে। কোনক্রমে গাড়ির ধাক্কা থেকে রক্ষা পান তার সঙ্গী প্রশান্ত বাবু। কিন্তু এই প্রচন্ড ধাক্কায় বরুন বাবু সেখানেই জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েন। তার মাথায় বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়। প্রচুর রক্তপাত হতে থাকে। একটি হাত ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘাতক গাড়িটি তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। বিহ্বল শ্রীকান্ত বাবু কোনক্রমে পাশেই ফ্ল্যাটে সংবাদ পাঠান। সেখান থেকে সহ বাসিন্দারা রাস্তায় ছুটে আসেন। পথ চলতি একটি গাড়ির সাহায্যে বরুণ বাবুকে দ্রুত চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর হয়ে ওঠায় তাকে সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আপাতত তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। জানা গেছে তার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। এছাড়াও অন্যান্য অসুবিধায় তিনি কাবু হয়ে আছেন। চিকিৎসকেরা ৭২ ঘন্টা অতিক্রান্ত না হলে কিছু বলতে পারছেন না বলে তার পরিবারের লোকেদের জানিয়েছেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায় আতঙ্ক প্রকাশ করে বলেছেন বেপরোয়া গতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সমস্ত স্তরের প্রশাসনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। না হলে পথচারী এবং বাইক আরোহীরা যত্রতত্র দুর্ঘটনার স্বীকার হবেন এই ভাবেই। সাম্প্রতিক কয়েকটি পথ দুর্ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই রাস্তায় সমস্ত ধরনের বাহনের ঊর্ধ্বগতি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেঁধে দিতে হবে এবং তা উলঙ্ঘনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এদিকে বারবার প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে লিখিত দরখাস্ত দিচ্ছেন প্রবীণ নাগরিক প্রশান্ত মন্ডল। তার আবেদন, রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত ফুটপাত রাখতে হবে - যেখান দিয়ে মানুষজন চলাচল করতে পারবেন। কিন্তু রূপনারায়ণপুরের মূল রাস্তার দুপাশে ফুটপাত ঘিরে ব্যবসা কেন্দ্র যেভাবে গড়ে উঠছে তাতে মূল রাস্তা আরও সংকুচিত হয়ে পড়ছে। তার মধ্যেই বেপরোয়া বাইক চার চাকার যাতায়াত মানুষজনের চলাফেরাকে আতঙ্কিত করে তুলছে। এই অবস্থায় দ্রুত প্রশাসনকে সজাগ হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সকলেই। ২২ ডিসেম্বরের ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘাতক গাড়িটিকে শনাক্ত করা ও তাকে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
সামডি রোডে 'দিদির আশ্রয়';পাহাড়গোড়ায় রক্তদান শিবির::মানিক উপাধ্যায় স্মরণে নানা উদ্যোগ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ ডিসেম্বর:: যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের নাম 'দিদির আশ্রয়'। সুদৃশ্য এই বাস স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন ভায়া সামডি রোডের উপর লহাট সামডি বটতলায়। প্রতীক্ষালয়ের সঙ্গেই আছে শৌচালয়ের ব্যবস্থা। ২২ ডিসেম্বর বহু আকাঙ্ক্ষিত এই প্রতীক্ষালয়ের উদ্বোধন করলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। সামডি আঞ্চলিক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন মন্ডল জানান এই প্রতীক্ষালয় গড়ে তুলতে সামডি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে। এদিন বিধায়ককে কাছে পেয়ে স্থানীয় মানুষজন সংশ্লিষ্ট এলাকার নর্দমা সংস্কারের দাবি জানালে বিধায়ক তা পরিদর্শন করেন এবং সংস্কারের আশ্বাস দেন। এদিন প্রয়াত মানিক উপাধ্যায়ের স্মরণে পাহাড়গোড়া মোহনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। শিবিরের উদ্বোধন করেন বিধায়ক শ্রী উপাধ্যায়। সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাহাড়গোড়া কাঁটা কমিটির যৌথ উদ্যোগে ও মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলা সমিতির সহযোগিতায় এই শিবিরে ৪০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। স্বপন বাবু জানান মানিক উপাধ্যায়ের স্মৃতিতে গত তিন বছর ধরে তারা এই আয়োজন করে আসছেন। এদিন বিধায়কের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, কৈলাশপতি মন্ডল, বিদ্যুৎ মিশ্র, ললিত দাস, অনিমা মন্ডল সহ বহু বিশিষ্টজন। এদিন ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে পিঠাকিয়ারি হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে ফলমূল বিতরণ, রূপনারায়ণপুরের দলীয় কার্যালয়ে মানিক উপাধ্যায়ের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি উদযাপিত হয়।@প্রান্তভূমি
দেশের শ্রেষ্ঠ উৎপাদন কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেল সিএলডব্লু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ ডিসেম্বর:: দেশের শ্রেষ্ঠ উৎপাদন কেন্দ্রের স্বীকৃতি পেল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। নতুন দিল্লির ভারত মন্ডপমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২১ ডিসেম্বর এজন্য ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তুলে দিলেন বেস্ট প্রোডাকশন ইউনিট শিল্ড-২০২৪। ৬৯-তম রেলওয়ে সপ্তাহের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে এই দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী পুরস্কার "অতি বিশিষ্ট রেল সেবা পুরস্কার" গ্রহণ করলেন সিএলডব্লু'র জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার এবং পিসিইই এস কে ভার্মা। তারা 'টিম সি এল ডব্লু'র হয়ে এই নজিরবিহীন সম্মান গ্রহণ করেন। জাতীয় স্তরের এই স্বীকৃতি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার সমস্ত কর্মী আধিকারিকের কঠিন পরিশ্রম এবং দক্ষতার নিদর্শন বলে উল্লেখ করা হয়। দেশের সেরা উৎপাদন কেন্দ্রের স্বীকৃতি পাওয়ায় সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার বিজয় কুমার অত্যন্ত গর্বিত এবং তিনি এই সাফল্য সমগ্র সিএলডব্লু পরিবারকে উৎসর্গ করেন। তিনি বলেন এই গর্বের মুহূর্ত প্রতিটি কর্মীকে আরো উজ্জীবিত করবে। রেল সপ্তাহের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে এছাড়াও চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ড্রয়িং ডিজাইন বিভাগের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার অনুপ কুমার মাহাতোকে অতি বিশিষ্ট রেল সেবা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। শ্রী মাহাতোকে অভিনন্দন জানান জেনারেল ম্যানেজার। উল্লেখ্য, সিএলডব্লুর সঙ্গেই সেরা উৎপাদন কেন্দ্রের পুরস্কার যুগ্মভাবে পেয়েছে আর সি এফ।@প্রান্তভূমি
রণেন বাগচীর স্মরণ সভা:: আক্ষেপ ঝরে পড়লো একটি ভালো হাসপাতালের জন্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। দীনবন্ধু মণ্ডল।। ২২ ডিসেম্বর:: সালানপুর ব্লক তথা রূপনারায়ণপুরে একটি ভালো হাসপাতালের কতটা প্রয়োজন তা নিজের জীবন দিয়ে আরও একবার সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন রণেন বাগচী। উন্নত চিকিৎসার একটা হাসপাতাল থাকলে হঠাৎ করেই চলে যেতে হতো না সালানপুর ব্লক কংগ্রেসের অবিসংবাদী এই নেতাকে। শ্রী বাগচীর স্ত্রী পুত্রের স্মৃতিচারণায় এই আক্ষেপ ঝরে পড়লো আজ রূপনারায়ণপুরে আয়োজিত তাঁর স্মরণসভায়। এই সূত্রেই পিঠাকিয়ারী গ্রামীণ হাসপাতালকে আরো সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা বারে বারেই উঠে এলো বিভিন্ন বক্তার কথার মাধ্যমে। সালানপুর ব্লক কংগ্রেসের আয়োজনে ডাবর মোড় বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত আজকের সভায় প্রয়াত রণেন বাবুর বহু সহকর্মী বন্ধুবান্ধব এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষজন উপস্থিত হয়েছিলেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেসের সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী, বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অংশুমান মাহাতা, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং, সিপিআইএম সালানপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক আবীর ঘোষ, বিশিষ্ট কংগ্রেসী কানাই দত্ত, বাবলু সূত্রধর, বরুণ মন্ডল, জয়দেব রায়, সর্বজিত সিনহা প্রমুখ এই স্মরণ সভাকে সমৃদ্ধ করেন। শ্রী বাগচীর জীবনের অনুসরণীয় নানান দিকের কথা বক্তারা তুলে ধরেন। চিত্তরঞ্জন সালানপুর বারাবনি আসানসোল সহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষজন এই সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার দেশবন্ধু পার্কের বাড়ি থেকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২১ ডিসেম্বর:: অস্বাভাবিক মৃত্যু হল চিত্তরঞ্জন রেল কর্মী (২৬ নম্বর শপ) করণ যাদবের (৫৪)। আজ সন্ধ্যায় তার দেশবন্ধু পার্কের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গেছে ১৫ ডিসেম্বর স্ত্রী পরিবারসহ করণ বাবু দিল্লি অঞ্চলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাদের সকলেরই ফেরার কথা ছিল ২২ ডিসেম্বর। কিন্তু আচমকা করণ বাবু একাই আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লি থেকে ফিরে নিজের বাড়িতে ঢোকেন। দিল্লিতে রয়ে যান পরিবারের অন্যান্যরা। এরপরই আকস্মিকভাবে তাকে বাড়ির মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে করণ বাবুর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রসঙ্গটি কোনভাবে আশঙ্কা করেছিলেন তার স্ত্রী । অঘটনের বিষয় আঁচ করে তিনি তাদের বন্ধু চিত্তরঞ্জন সিমজুড়ি অঞ্চলের মুন্না বাবুকে জানান। মুন্না সঙ্গে সঙ্গে আপার কেশিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ক্লাবের বন্ধুদের বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দেশবন্ধু পার্কে পৌঁছান। তবে তার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় সকলেই বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলের মানুষজন তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন।@প্রান্তভূমি
১০০ ব্যক্তির হাতে কম্বল তুলে দিল কল্যাণেশ্বরী পুলিশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ডিসেম্বর:: শীতের মুখে কল্যানেশ্বরী মাইথন এলাকার আদিবাসী প্রধান গ্রামগুলির মানুষজনের হাতে কম্বল তুলে দিল কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ। আজ ২০ ডিসেম্বর ফাড়ি প্রাঙ্গণে এই উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, সমাজসেবী মনোজ তেওয়ারি প্রমুখ । কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির ওসি লাল্টু পাখিরার সুচারু ব্যবস্থাপনায় এদিন ১০০ জন ব্যক্তির হাতে কম্বল তুলে দেন বিশিষ্টজনেরা। এই উপলক্ষে শ্রী হাটি বলেন, পুলিশ সবসময়ই মানুষের সাথে থেকে তাদের সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখে। এই ধরণের উদ্যোগ সেই কাজেরই অঙ্গ।@প্রান্তভূমি
জনপ্রতিনিধির বাড়ি সীল করল ব্যাংক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ডিসেম্বর:: ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি সিল করল ব্যাংক। আজ সকালে আসানসোল কর্পোরেশনের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম আখতার আনসারীর বাড়ি সিল করে দেন গৃহঋণ প্রদানকারী বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বাড়িটি কুলটির পাতিয়ানা মহল্লা এলাকায়। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সেলিমবাবু ও শামিম আখতার আনসারী তাদের ব্যাংক থেকে ২০১৮ সালের ১৯ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা পরিশোধ না করায় এখন অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা। এদিন কুলটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই বাড়ি সীল করেন। যদিও সেলিম বাবুর ভাই শামিম বলেন এই ঋণের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, ঋণ নিয়েছেন তার দাদা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যেহেতু বাড়িটি সিল করে দিচ্ছেন, তাই তিনি বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন। পরে তারা ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে তিনি জানান। এরই সঙ্গে শামিম বলেন তার দাদার সাথে মাসাধিক কাল তাদের কোন যোগাযোগ নেই, কোথায় তিনি গেছেন সে বিষয়েও তাদের কিছু জানা নেই।@প্রান্তভূমি
কর্মী নিয়োগ ও পদোন্নতির দাবিতে চিত্তরঞ্জনে বিক্ষোভ সমাবেশ সিআরএমসি'র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২০ ডিসেম্বর:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে কর্মী সংকট এবং পদোন্নতির বিষয় তুলে ধরে আজ ২০ ডিসেম্বর কারখানার প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করল চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেনস কংগ্রেস। ইউনিয়ন নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল বিভাগে বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি পড়ে আছে। নতুন কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে না, আবার নিয়মের দোহাই দিয়ে কর্মীদের প্রমোশন দিয়ে সেই সব পদে নিযুক্তিও দেওয়া হচ্ছে না। কোন কোন জায়গায় চার পাঁচ বছর ধরে একই পদে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা। এই অবস্থায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে হিমশিম খেতে হচ্ছে বর্তমান কর্মীদের। এমন অবস্থা চলতে থাকলে দক্ষ কর্মীর অভাবে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে সিএলডব্লুর পিসিপিও অমিতাভ চৌধুরীর সাথে তারা কথা বলেন। শ্রী চৌধুরী তাদের আশ্বাস দেন, যে সব কর্মীদের পদোন্নতি আটকে আছে সেগুলি যথাশীঘ্র সম্ভব কার্যকরী করার।@প্রান্তভূমি
.

.
বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা, পুলিশ ফাঁড়ির কাছেই সংঘর্ষ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ডিসেম্বর:: বেপরোয়া বাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হলেন রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা সুব্রত হালদার। তার হাতে গুরুতর চোট লেগেছে। তাকে চিত্তরঞ্জন কে জি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জানা গেছে আজ ২০ ডিসেম্বর সকাল 11 টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি আই সি আই সি আই ব্যাংকের পাশে হিন্দুস্তান কেবলস রোডের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। একটি চার চাকার গাড়িকে বেপরোয়া ভাবে ওভারটেক করতে গিয়ে রয়্যাল এনফিল্ড মোটর বাইকে থাকা দুটি কম বয়সী ছেলে সুব্রত বাবুর বাইকে সজোরে ধাক্কা মারে। সুব্রত বাবুর সঙ্গেই ছিলেন তার কন্যাও। সংঘর্ষের চোটে সুব্রত বাবুর বাইকটি দুমড়ে যায়, মবিল চেম্বার ফেটে গিয়ে রাস্তার উপরেই মবিল ছড়িয়ে পড়ে। প্রচন্ড আওয়াজে সচকিত হয়ে ওঠেন পথ চলতি মানুষজন ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। ছুটে আসে পুলিশও। এরপর দ্রুত সুব্রত বাবুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়, তার মেয়ে অক্ষত আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত বাইক আরোহীরা সোজা পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে যায়, তাদেরও চোট লেগেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। বাইকটিকে ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয়েছে । ওই দুই যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পিঠাকিয়ারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা তপন তালুকদার। তিনি বলেন যেভাবে দুটি কম বয়সী ছেলে প্রচন্ড গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছিল তা যথেষ্ট ভীতিকর। তারা রাস্তার ডানদিকে গিয়ে সুব্রত বাবুর বাইকে ধাক্কা মারে। ছোটদের হাতে বাইক তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও যথেষ্ট কড়া হওয়ার আবেদন জানান তিনি। আজ কোনক্রমে প্রাণহানি এড়ানো গেছে বলে তার অভিমত। উল্লেখ্য, এই রাস্তায় হামেশাই কিছু বেপরোয়া যুবক ঊর্ধ্বশ্বাসে বাইক নিয়ে ছোটাছুটি করে। অনেকেই তাদের সাইলেন্সার পাইপ কেটে দিয়ে বিকট আওয়াজ করতে করতে ছুটে যায়। রাতের বেলায় অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত আলো জ্বালিয়ে বাইক চালিয়ে যায়, তীব্র জোরে হর্ণ বাজিয়ে উল্লাস করে। এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য। তিনি এসব আটকাতে অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিয়েছেন । বেপরোয়া বাইক আরোহীদের বাগে আনতে পুলিশ আরো তৎপর হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
দুর্গাপুরে শিল্প সম্মেলন থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি নতুন বিনিয়োগে সায় , ৭০০ শিল্পপতির সমাবেশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ডিসেম্বর:: দুই বর্ধমানের প্রায় ৭০০ শিল্পপতির সমাবেশের মধ্য দিয়ে আজ নতুন করে 4650 কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব এলো এই দুই জেলায়। শিল্পাঞ্চলের অন্যতম এই দুই জেলায় শিল্প সম্ভাবনার বিষয়কে সামনে রেখে আজ ১৯ ডিসেম্বর দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে উদ্যোগপতিদের নিয়ে যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলো তাতেই এই বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে। রাজ্যের মাইক্রো স্মল এ্যন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস বা এম এস এম ই দপ্তরের আয়োজনে এই শিল্প সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। ছিলেন দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাজেশ পান্ডে, এডিডিএ'র চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসকদ্বয় আয়েশা রানী ও এস পোন্নামবলম, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরী সহ একাধিক বিধায়ক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকেরা। এই শিল্প সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য দিক গুলি হল - দুই জেলার ৭০০'র বেশি উদ্যোগপতির অংশগ্রহণ, তেইশটি হেল্প ডেস্ক থেকে ৩৫০ জন উদ্যোগপতির সমস্যা নিরসন, শিল্প স্থাপনে ব্যাংক ঋণ পাওয়ার অসুবিধা দূর করতে ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন এবং বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিদের নিয়ে ফিন্যান্স ক্লিনিক গঠন, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই ১৬০ টি সংস্থাকে জমি, দূষণ, বিদ্যুৎ বিষয়ক সম্মতি প্রদান,; সম্মেলন মঞ্চ থেকেই 19 টি সংস্থাকে ব্যাংক ঋণ সহ সরকারি সুবিধা তুলে দেওয়া হয়। ২০২৪- ২৫ অর্থ বর্ষের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই দুই জেলার শিল্প উদ্যোগীদের ৭৩৭১ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানে ৪৭৪১ কোটি এবং পূর্ব বর্ধমানে ২৬৩০ কোটি টাকা। ২০২৪-এর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রেজিস্টার্ড এম এস এম ই এক লক্ষ উনিশ হাজার সাতশো তিনটি। এরমধ্যে পশ্চিম বর্ধমানে ৫০ হাজার ৪৭ টি, পূর্ব বর্ধমানে ৬৯ হাজার ৬৫৬টি। দুই জেলার 58 টি সংস্থা বাংলাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ১৪ কোটি কুড়ি লক্ষ টাকা ভর্তুকি লাভ করেছে। চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এই দুই জেলার ৪৭৫৭ টি ঋণের আবেদন ব্যাংকগুলি মঞ্জুর করেছে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পের মাধ্যমে, যার আর্থিক পরিমাণ 114.29 কোটি টাকা। পূর্ব বর্ধমানের গোপীনাথপুরের কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে ১৮.১৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে যন্ত্রাংশ উৎপাদনের জন্য। কচুরিপানা থেকে পরিবেশবান্ধব দ্রব্য উৎপাদনের জন্য পূর্বস্থলী-১ ব্লকের প্রকল্প গড়ে উঠেছে 75.18 লাখ টাকায়। এখানে ২০০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হবে । পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুরে ১১.৭২ কোটি টাকায় একটি কমন ফেসিলিটি সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে যেখান থেকে রিফ্র্যাক্টরি ব্রিকস উৎপাদনের কাজে নিযুক্ত 135 টি সংস্থা উপকৃত হচ্ছে, এখানে কর্মে নিযুক্ত হয়েছেন ৫১০০ কর্মী। এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রকল্প এদিন উল্লেখ করা হয়। সম্মেলন থেকে আশা করা হয় যে আগামী দিনে এই দুই জেলায় দশ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে এবং দুই জেলার প্রায় এক লক্ষ মানুষ কাজ পাবেন।@প্রান্তভূমি
সেনা ছাউনি থেকে গ্রেফতার বিহারের যুবক, লক্ষ্য ছিল গোপনে ম্যাপ তৈরির!

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ ডিসেম্বর:: বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর ছলে পানাগড় সেনা ছাউনির ভেতরের ছবি তুলে গোপন ম্যাপ তৈরির উদ্দেশ্যে ঢুকে পড়েছিল বিহারের এক যুবক। তবে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তার আগেই ধরা পড়ে গেল সে। ধৃতের নাম নীলেশ যাদব, বাড়ি বিহারের বাঁকা জেলায়। ১৮ ডিসেম্বর সেনা ছাউনিতে নীলেশ মোবাইলে ছবি তোলা শুরু করতেই সেনা আধিকারিকেরা তাকে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদও করেন তারা। তার কাছ থেকে পাঁচটি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল পাওয়া যায়, যেগুলিতে নানা ধরনের অ্যাপ সংযুক্ত করা আছে। এরপরই বিষয়টি বুদবুদ থানায় জানানো হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে। পুলিশ সেখানে পৌঁছে তাকে গ্রেফতার করে। আজ 19 ডিসেম্বর তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। বুদবুদ থানার পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে কি কারনে সে অত্যন্ত স্পর্শ কাতর সেনা ছাউনির ভেতরের ছবি তুলছিল, কাদের সাথেই বা তার যোগাযোগ আছে। যদিও পুলিশকে ধৃত নীলেশ জানিয়েছে সে একটি বহুজাতিক সংস্থার কর্মী, যারা বিভিন্ন জায়গায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর কাজ করে। কিন্তু সেনাবাহিনীর মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে সে কিভাবে ঢুকে পড়ল তা খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
মৃত কর্মীর পরিবারকে সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা দিচ্ছে ডিভিসি, আইএনটিটিইউসি'র উদ্যোগে ১০ মাসের অপেক্ষা শেষ ২৪ ঘন্টায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ ডিসেম্বর:: দশ মাস অপেক্ষা করার পরও যা সম্ভব হয়নি, সেটাই সফল হল ২৪ ঘন্টার মধ্যে। ডিভিসির ক্যাজুয়াল কর্মী সাহেবলাল মুর্মুর কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনা জনিত কারণে মৃত্যু ঘটলে তার পরিবারকে চাকরি এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। ডিভিসি কর্তৃপক্ষ মৃতের স্ত্রীকে চাকরি দিলেও ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে দেরি করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি মনোজ তেওয়ারি ডিভিসিকে জানিয়ে দিয়েছিলেন ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এই টাকা না দিলে ডিভিসি অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হবে। এরপরই নড়ে চড়ে বসে ডিভিসি প্রশাসন এবং দ্রুত এ বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকের পরই ডিভিসি কর্তৃপক্ষ 13 লক্ষ ৬০ হাজার ২৭৫ টাকার মঞ্জুরী দিয়ে দেন। এরপরই ডিভিসি ঘেরাও অভিযান স্থগিত রাখেন মনোজ বাবুরা। এ প্রসঙ্গে মনোজ তেওয়ারি বলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের অনুমতি নিয়ে তারা আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু ডিভিসি কর্তৃপক্ষ তার আগেই বৈঠক করে ইতিবাচক পদক্ষেপ করায় তা থেকে তারা পিছিয়ে এলেন। বৈঠকে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং এবং অন্যান্যরা। তবে মনোজ বাবু বলেন এই টাকা ১৫ দিনের মধ্যে মৃত সাহেব লাল মুর্মুর স্ত্রী সুনীতা মুর্মুর ব্যাংক একাউন্টে জমা না হলে তারা আবার আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হবেন। উল্লেখ্য, ডিভিসির কল্যাণেশ্বরী সাব স্টেশনের ক্যাজুয়াল কর্মী সাহেবলাল মুর্মু এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্মরত অবস্থায় দুর্ঘটনাগ্রস্থ হন। চিকিৎসার জন্য তাকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই ৭ মার্চ তার মৃত্যু হয়। এরপর সালানপুর ব্লক আইএনটিটিইউসি এবং আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে ডিভিসির কাছে মৃতের স্ত্রীর চাকরি ও আর্থিক সহায়তার দাবি জানানো হয়েছিল।@প্রান্তভূমি
কারখানার বিশ্রাম কক্ষ থেকে কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ ডিসেম্বর:: কল্যাণেশ্বরী শিল্প তালুক সংলগ্ন এলাকার একটি কারখানা থেকে এক কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। জানা গেছে দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মহেশপুরে শ্রী রামদুত মেটলয়েস প্রাইভেট লিমিটেড কারখানায় এই অঘটন ঘটেছে। এই কারখানার ভিতরে কর্মীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যে ঘর আছে সেখানেই ঝুলন্ত দেহটি পাওয়া যায়। মৃতের নাম অজিত গোপ (22)। তিনি এই কারখানার উৎপাদন বিভাগের অধিকর্তার গাড়ি চালক। মৃতের বাড়ি রানীগঞ্জের বল্লভপুরে । ১৭ ডিসেম্বর বিকেলের দিকে কারখানার এক কর্মী ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ যায় কারখানার উচ্চ অধিকারিকদের কাছে। তারা বিষয়টি জানান কল্যানেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ কারখানায় গিয়ে দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে জেলা হাসপাতালে পৌঁছান মৃতের পরিবার। পুলিশ এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে। ইতিমধ্যেই মৃতের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি ওই বিশ্রাম কক্ষটি তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।@প্রান্তভূমি
উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দোকানের দাবি জানালো লেবার ইউনিয়ন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ ডিসেম্বর:: সদ্যই নির্বাচনের মাধ্যমে এক নম্বর ইউনিয়নের স্বীকৃতি পেয়েছে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন। তারপরই আজ ১৮ ডিসেম্বর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হলো যে, কারখানার যেসব কাজ ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে করানো হচ্ছে তাতে কমপক্ষে অর্ধেক কর্মী নিয়োগ করতে হবে স্থানীয় বেকারদের মধ্য থেকে। এবং শহর থেকে যেসব দোকানদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তাদের জন্য নতুন দোকান ঘর অনুমোদন করতে হবে। এরই সঙ্গে দাবি জানানো হয়েছে পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা, সমস্ত শূন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করা, অতিরিক্ত কাজের জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা, ডানকুনি ইউনিটের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাজ পরিচালনার জন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট পার্সোনেল অফিসার নিয়োগ করা সহ ১১ দফা বিষয়। এইসব দাবি নিয়ে আজ জিএম অফিস চত্বরে সমাবেশ করে লেবার ইউনিয়ন। তাতে বক্তব্য রাখেন আর এস চৌহান, রাজীব গুপ্ত, স্নেহাশিস চক্রবর্তী এবং অমিত মালঙ্গি। জমায়েতে রেল কর্মীদের পাশাপাশি বহু ব্যবসায়ীও সামিল হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সবার শেষে সিপিও'র হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।@প্রান্তভূমি
'মুসাফির সম্মান' পেলেন অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ ডিসেম্বর:: মর্যাদাপূর্ণ "মুসাফির সম্মান" পেলেন বিশিষ্ট ভ্রামণিক গবেষক ভ্রমণ সাহিত্যের দিকপাল লেখক ডঃ অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায়। ১৫ ডিসেম্বর চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে ভ্রমণ আড্ডার ২৭-তম বার্ষিক অনুষ্ঠানে তাঁকে এই সম্মান প্রদান করা হয়। সারাদিনের এই অনুষ্ঠানে ভ্রমণ বিষয়ক আলোচনা, চিত্র প্রদর্শনী, ডকুমেন্টারি ফিল্ম প্রদর্শন করা হয়। পাঁচ শতাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ এই অনুষ্ঠানে ডঃ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই পুরস্কৃত হন গৌতম কুমার দে (ভ্রমণ সম্মান) এবং অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় (কলম সম্মান)। উল্লেখ্য, প্রায় চল্লিশটি গ্রন্থের রচয়িতা অনাথবন্ধু বাবু বাংলায় প্রথম ভ্রমণ-লেখার খোঁজ যেমন পেয়েছেন, তেমনই প্রবাদ প্রতিম হিমালয়-পর্যটক উমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সান্নিধ্য-স্নিগ্ধ অনাথবন্ধু ভ্রমণ সাহিত্য নিয়ে গবেষণা করেছেন, লিখেছেন একাধিক ভ্রমণ গ্রন্থ। তাঁকে অমরত্ব দিয়েছে বাঙালির পশ্চিম মধুপুর গিরিডি দেওঘর ইত্যাদি অঞ্চল সমৃদ্ধ ছোটনাগপুর নিয়ে লেখা ছুটির নিমন্ত্রণে গ্রন্থ। ইতিমধ্যেই তার একাধিক গ্রন্থ ভারতের একাধিক ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায় তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য ইতিমধ্যে বহু পুরস্কার পেয়েছেন। ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের সিনিয়ার রিসার্চ ফেলো ডক্টর চট্টোপাধ্যায়ের এই সম্মান শিল্পাঞ্চলকে গর্বিত করল।@প্রান্তভূমি
সুবিখ্যাত কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ ডিসেম্বর:: কল্যাণেশ্বরীর মত সুবিখ্যাত মন্দিরে পানীয় জলের অভাবকে কেন্দ্র করে আজ ১৬ ডিসেম্বর সকালে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় মানুষজন। বিক্ষোভে সামিল হন স্থানীয়
ব্যবসায়ী এবং মন্দিরের পুরোহিতেরাও। পানীয় জলের দাবিতে তারা দেন্দুয়া-বরাকর রাস্তা অবরোধ করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে পৌঁছায় কল্যাণেশ্বরী এবং চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ। তাদের সামনেই কল্যাণেশ্বরীর মানুষজন অভিযোগ করেন সপ্তাহখানেক ধরে মন্দিরে পানীয় জল সরবরাহ হচ্ছে না। এর ফলে নিত্যদিনের কাজকর্মে যেমন অসুবিধা হচ্ছে, তেমনই প্রচন্ড সমস্যা দেখা দিয়েছে মন্দিরের ভোগ রান্না, বসানপত্র ধোয়া সহ ভক্তদের পানীয় জল পাওয়া নিয়েও। এই জলাভাবের কথা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের আধিকারিকদের বারংবার জানানো সত্বেও কোন ব্যবস্থা না হওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন বলে জানান। তবে বেশ কিছুক্ষণ অচলাবস্থার পর পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তুলে নেওয়া হয় অবরোধ।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুরে ব্যবসায়ীর মুখ ফাটিয়ে দিল হিন্দি-প্রিয় যুবক

#প্রান্তভূমি ১৬ ডিসেম্বর::
এবার ভাষা সন্ত্রাসের শিকার হলেন রূপনারায়ণপুরের এক অতি পরিচিত ব্যবসায়ী। বিষয়টি নিয়ে তেতে উঠেছে শিল্পাঞ্চল। বাংলা পক্ষ এবং রূপনারায়ণপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এই ঘটনার বিহিত চেয়ে এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে আজ ১৬ ডিসেম্বর সকালে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর রাত সওয়া ৯ টা নাগাদ একটি বাইকে তিন যুবক রূপনারায়ণপুর বাসস্ট্যান্ডে অনুপ মাজির দোকানে সিগারেট কিনতে আসেন। তারা ৬ টাকা গুগল পে-তে মেটান। একাউন্টে টাকা জমা পড়ার ঘোষণাটি সংশ্লিষ্ট যন্ত্রে বাংলায় উচ্চারিত হয়। কিন্তু কেন বাংলায়, হিন্দি কেন নয় এই তর্ক জুড়ে দেন ওই তিন ক্রেতা। তারা আরও অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে বলেন হিন্দিতেই এই ঘোষণা হতে হবে। এ সময় স্থানীয় কল্যানেশ্বরী মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং ওষুধের দোকানের কর্মীরা সেখানে ছুটে গেলে ওই তিন যুবক বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। কিন্তু রাত প্রায় দশটা দশ নাগাদ যখন বাজার শুনশান এবং অনুপ বাবু দোকান বন্ধ করতে উদ্যত হন ঠিক সেই সময়ে ওই তিন যুবক ডাবর মোড়ে ফিরে আসে এবং এক যুবক বাইক থেকে নেমে হঠাৎই অনুপ বাবুকে আক্রমণ করে। তার অতর্কিত ঘুঁষিতে অনুপ বাবুর চোয়াল ফেটে রক্ত পড়তে থাকে । আক্রমণ করার পরেই অভিযুক্ত যুবকেরা এলাকা ছাড়ে। এরপর রক্তাক্ত অনুপ বাবুকে স্থানীয় মানুষজন ধরাধরি করে পিঠাকিয়ারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার ক্ষতস্থানে দুটি সেলাই দিতে হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ ১৬ জুলাই বাজারের সমস্ত ব্যবসায়ী এবং বাংলা পক্ষের মানুষজন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে জমায়েত হন। বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে বলে তাদের আশ্বাস দেন রূপনারায়ণপুর ওসি অরুনাভ ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে কালীপুজোর মেলা উপলক্ষে হিন্দুস্তান কেবলস হাইস্কুল মাঠে যাওয়া এক ব্যক্তিকে জোড়বাড়ির এক যুবক বাংলা ভাষা নিয়ে কটূক্তি করেছিল। সেই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বাংলা পক্ষ। পুলিশ এবং রাজনৈতিক মহলও ওই যুবকের বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে ওই যুবক এবং তার পরিবার বিষয়টি মিটমাট করে নেন। কিন্তু সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবার রূপনারায়ণপুরে ঘটায় সকলেই অত্যন্ত ক্ষিপ্ত এবং তারা চাইছেন এই ধরনের অসহিষ্ণুতা বন্ধে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।@প্রান্তভূমি