নাসরিন সুলতানার হাত ধরে ইতিহাস কমিশনারেটে:: পূর্ণাঙ্গ থানার ওসি হচ্ছেন মহিলা আধিকারিক
#প্রান্তভূমি ২০ নভেম্বর::
২০১১ সালে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট গঠিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো একটি পূর্ণাঙ্গ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন মহিলা অফিসার। তিনি হলেন নাসরিন সুলতানা। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির ওসি হিসেবে মাত্রই ১০ মাস কাজ করার পর তাকে কমিশনারেট উচ্চ পদে বদলি করেছে দুর্গাপুরের নিউটাউনশিপ থানার ওসি হিসেবে। কমিশনারেটের ১৩ বছরের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম ঘটলো। যদিও এর আগে মহিলা থানার ওসি হিসেবে নাসরিন সুলতানা যেমন কাজ করেছেন তেমনই অন্যরাও সেই দায়িত্ব পালন করছেন - কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ থানার ওসির দায়িত্ব কোন মহিলা আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হলো এই প্রথম। এরফলে দায়িত্ব আরো বেড়ে গেল বলে মনে করছেন শ্রীমতি সুলতানা। রূপনারায়ণপুরে দশ মাসের কার্যকাল তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ, বুদ্ধিজীবী মহলের গঠনমূলক পরামর্শ এবং পুলিশ মহলের উচ্চ কর্তৃপক্ষের পথ নির্দেশ তাকে কাজ করতে সহযোগিতা করেছে। গতকালই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যে রূপনারায়ণপুর ছেড়ে শ্রীমতি সুলতানা নিউ টাউনশিপ থানায় চলে যাচ্ছেন। এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে তাকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হচ্ছে। কিন্তু একটি ঘটনা কিছুতেই মন থেকে সরিয়ে রাখতে পারছেন না শ্রীমতি সুলতানা। তা হল আজ ২০ নভেম্বর সকালে হঠাৎই এক বৃদ্ধা একটি মিষ্টির প্যাকেট এবং বাড়ির কয়েকটি চায়ের কাপ নিয়ে হাজির ফাঁড়িতে। সেগুলি ওসির হাতে তুলে দিয়ে তিনি বলেন - আমি ব্যানার্জি বাড়ির বউ, তোমার সাথে সরাসরি কোন যোগাযোগ আমার নেই, কিন্তু যাতায়াতের পথে তোমাকে দেখি - ভালো লাগে। তুমি চলে যাচ্ছো শুনে এইটুকু উপহার এনেছি, তোমাকে নিতেই হবে। বিষয়টি প্রাণ ছুঁয়ে যায় শ্রীমতি সুলতানার। শ্রীমতি সুলতানা বলেন সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসা তার কাজের অনুপ্রেরণা। তবে রূপনারায়ণপুরে থাকাকালীনই তিনি জানতে পারেন পকসো নিয়ে তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদক তাকে দেওয়া হবে, এখানে থাকাকালীনই তিনি জনপ্রিয় টিভি শো দিদি নাম্বার ওয়ানে চ্যাম্পিয়ন হন, অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে শারদ উৎসব ছট পার করার পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচন পার করেছেন দক্ষতার সাথে। ঝাড়খন্ড সীমানার বাংলায় রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি অঞ্চল সালানপুর থানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে সব সময় সতর্ক থাকার পাশাপাশি পুলিশি যোগাযোগ তৎপর রেখে নাসরিন সুলতানা তার কাজে সফল হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
ঝাড়খন্ড রোডে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মায়ের, জখম ছেলে
#প্রান্তভূমি ২০ নভেম্বর::
রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন ঝাড়খন্ড রোডে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন মা, গুরুতর জখম হলেন ছেলে। তারা দুজনেই ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে আজ, ২০ নভেম্বর সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ রূপনারায়ণপুর চেকপোস্টের দিক থেকে মিহিজামের দিকে যেতে কানগোই রেল গেটের কাছে। জানা গেছে, মিহিজাম আমবাগানের বাসিন্দা পেশায় জামতাড়া আদালতের অ্যাডভোকেট অমরদীপ ঘোষ তার মা মীরু ঘোষকে বাইকে চাপিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। রেলগেট পার হতেই পিছন থেকে একটি বড় লরি তাদের বাইকে ধাক্কা মারে। এরফলে বাইকের পিছনে বসে থাকা মীরুদেবী বাইক থেকে ছিটকে পড়েন এবং তার ওপর দিয়েই ওই লরিটি চলে যায়। সংঘর্ষের চোটে অমরদীপ বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মীরু দেবীর মৃত্যু হয়। অমরদীপকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়, তবে তিনি বিপদমুক্ত বলে জানা গেছে। এদিকে লরি চালক গাড়িতেই চাবি রেখে পালিয়ে যায়। ঝাড়খন্ডে নির্বাচন উপলক্ষে আজ মিহিজাম সহ অন্যান্য অঞ্চলে ভোট গ্রহণ চলছে। পুলিশি ব্যবস্থাও প্রতিটি জায়গায় মজবুত আছে। তার মধ্যেই এই ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে গেল। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন উদ্ধার কাজে হাত লাগান, ছুটে আসে মিহিজাম থানার পুলিশও। পুলিশ মীরু দেবীর দেহ জামতাড়া জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মীরুদেবীর স্বামী আমবাগানের বাসিন্দা অরূপ ঘোষ স্থানীয় ইন্দ্রপুরী হোটেলের মালিক।@প্রান্তভূমি
আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত রতন চ্যাটার্জি
#প্রান্তভূমি ২০ নভেম্বর::
বেলা দু'টো পর্যন্ত আসানসোলের রাহা লেনে কাগজের অফিসে কাজ করেছেন, তারপর বাড়ি ফিরে স্নান খাওয়া দাওয়া সেরে চেয়ারে বসার পরেই ঘটে গেল চরম অঘটন। আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন আসানসোলের বিশিষ্ট সম্পাদক সাংবাদিক তথা আইনজীবী রতন চ্যাটার্জি। তার সম্পাদিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্গান সাপ্তাহিক কাগজ শিল্পাঞ্চলের অন্যতম জনপ্রিয় সংবাদপত্র ছিল। ১৯ নভেম্বর এই সংবাদ জানাজানি হতেই শিল্পাঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে আসে। গভীর শোক প্রকাশ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেন সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইনকাম ট্যাক্সের প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী হিসেবে অত্যন্ত সফল জীবন ছিল রতন বাবুর। তার প্রয়াণ শিল্পাঞ্চলে সাংবাদিকতার জগতে অপূরণীয় ক্ষতি। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টস-এর জেলা নেতৃত্বে যেমন তিনি ছিলেন, তেমনই পুরনো আসানসোল প্রেস ক্লাবের তিনি ছিলেন সক্রিয় সদস্য। বছর চারেক আগে রতন বাবু সস্ত্রীক তাদের বলগণার বাড়ি থেকে আসানসোলে ফেরার পথে ভয়ংকর পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন। সে সময় থেকেই শরীর ভেঙে পড়েছিল। তবে নিয়মিত কাজ থেকে নিজেকে তিনি সরিয়ে রাখেন নি। প্রয়াণকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭১ বছর। রতন বাবুর স্ত্রী ও দুই কন্যা জামাতা এবং পরিবারবর্গ এই ঘটনায় শোকে মুহ্যমান।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুরে চোরের নজর প্রণামী বাক্সে
#প্রান্তভূমি ১৯ নভেম্বর::
ছিঁচকে চোরের নজর এবার মন্দিরের প্রণামী বাক্সে। গত কয়েকদিনে রূপনারায়ণপুর অঞ্চলের একাধিক মন্দিরে প্রণামী বাক্স থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি ঘটলো গত রাতে। বিষয়টি আজ ১৯ নভেম্বর সকালে জানা যায়। রূপনারায়ণপুরের জমজমাট এলাকা ইয়ুথ ক্লাবের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে ভক্তজনেদের অতি শ্রদ্ধার কালী মন্দির। সেখানেই কলাপসিবল গেটের ভেতরে থাকা প্রণামী বাক্স ভেঙে ভেতর থেকে টাকা পয়সা চুরির ঘটনা ঘটেছে। মন্দিরের পুজোর সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত দীপক মুখার্জী বলেন প্রতিদিনই রাত বারোটা নাগাদ তারা গেট বন্ধ করে সবকিছু দেখে বাড়ি যান। ভোরে মন্দির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেন। আজ সেরকমই ভোরবেলায় তার মা মন্দির পরিষ্কার করতে এসে দেখেন প্রণামীর বাক্স ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি স্থানীয় মানুষজনের সঙ্গেই জানানো হয় রূপনারায়ণপুর পুলিশকে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সবকিছু খতিয়ে দেখে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চোরের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিকে এই মন্দিরের পাশেই মনসা মন্দিরেও চোর ঢুকেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কয়েকদিন আগেই হিন্দুস্তান কেবলস রোডের পাশে রাজেশ্বরী ইন সংলগ্ন হনুমান মন্দিরের প্রণামী বাক্স চুরি হয় বলে অভিযোগ পায় পুলিশ। সেই ঘটনায় স্থানীয় এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠালে তার জেল হেফাজত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সে এখনও জেলেই আছে। ফলে নতুন কোনো ছিঁচকে চোর এলাকায় উৎপাত শুরু করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলো বাংলা ভাষা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যকারী যুবক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১৫ নভেম্বর।। বাংলা পক্ষর প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হল বাংলা ভাষা নিয়ে আপত্তিজনক মন্তব্য করা যুবকটি। আজ ১৫ নভেম্বর জোড় বাড়ির বাসিন্দা ঐ যুবকের বাড়িতে বাংলা পক্ষের প্রতিনিধিরা যান। তাদের সামনে যুবকটি ভুল স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
পশ্চিমবঙ্গে বাংলা ভাষা বলা যাবে না, বলতে গেলে বাংলাদেশ যেতে হবে। হিন্দী ভাষায় এই হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল চিত্তরঞ্জনের এক ব্যক্তিকে। এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বাংলা পক্ষ। ঘটনা ১২ নভেম্বরের। হিন্দুস্তান কেবলস হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মেলার সাইকেল/ গাড়ি স্ট্যান্ডে এই অপ্রীতিকর কথোপকথন হয়। জানা গেছে চিত্তরঞ্জনের এক ব্যক্তিকে স্ট্যান্ডে থাকা কর্মী বলে, এখানে বাংলা ভাষায় কথা বলা যাবে না। বাংলা ভাষায় কথা বলতে হলে বাংলাদেশ যেতে হবে। হিন্দীভাষী ঐ যুবক নিজের নাম বলে "ইয়াশ যাদব"। তাঁর কথা এটা হিন্দুস্তান তাই হিন্দী ভাষা বলতে হবে। এই কথার জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানায় বাংলা পক্ষ। তারা দাবি করে জোড় বাড়ির বাসিন্দা ঐ যুবককে ক্ষমা চাইতে হবে। এই সংবাদ প্রান্তভূমি অনলাইনে প্রচার হতেই প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে চারদিকে। বাংলা পক্ষ প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়। আজ ১৫ নভেম্বর রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ে বাংলা পক্ষের প্রতিবাদ সমাবেশ হয় বিকাল বেলায়। বারাবনি, সালানপুর ছাড়াও কুলটি, আসানসোল, দুর্গাপুরের প্রতিনিধিরা এই সমাবেশে যোগ দেন। সেখান থেকে মিছিল করে জোড় বাড়িতে "ইয়াস যাদব"- এর বাড়িতে যাওয়া হয়। যদিও ঐ বাড়ির লোকেরা প্রথমে বলে যে ছেলেটি তাদের আত্মীয়। তাদের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল। তবে চাপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ঐ যুবককে বাংলা পক্ষের সামনে আনা হয়। বাংলা পক্ষের বারাবনি বিধানসভা এলাকার দায়িত্বে থাকা জেলা কমিটির সদস্য নীলাঞ্জন সরকার বলেন, বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বাংলা ভাষার ওপর আক্রমণের ঘটনা এটা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে তারা ঐ যুবককে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করবেন। তিনি বলেন, বাংলা ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতির ওপর আক্রমণ হলেই বাংলা পক্ষ তার প্রতিবাদ করবে।
উল্লেখ্য, ১২ নভেম্বর এই ঘটনার পর এবং প্রান্তভূমি অনলাইনে এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পর রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ওসি নাসরিন সুলতানা ঐ যুবককে ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। আজ বাংলা পক্ষ প্রতিবাদ সমাবেশ ও ঐ যুবককে ক্ষমা চাওয়ানোর পর রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে আসে।
ও সি নাসরিন সুলতানাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা জানায় এবং এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানায়। @প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুরে পাকা বাড়ি জমির মালিকও আবাস যোজনায় - বিক্ষোভ সালানপুর কৃষক সভার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ নভেম্বর:: রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা অঞ্চলে পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাস যোজনায় তার নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। আবার মহাবীর কলোনির এক ব্যক্তির পাকা বাড়ি ও নিজস্ব জমি থাকা সত্ত্বেও তারও নাম এই তালিকায় উঠেছে। এমনই নির্দিষ্ট অভিযোগ নিয়ে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসের কাছে পৌঁছালেন সারা ভারত কৃষক সভা সালানপুর ব্লক কমিটির নেতা কর্মীরা। আজ ১৪ নভেম্বর প্রথমে রূপনারায়ণপুরে ব্লক প্রশাসনিক ভবনের বাইরে বিক্ষোভসভা করে কৃষক সভা। সেখানে গণেশ পন্ডিত, সুনীল মণ্ডল, মেঘনাথ ব্যানার্জি, প্রিয়ব্রত সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তারা আবাস যোজনায় দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ট্যাব কেনার টাকা বেহাত হওয়া সহ নানান বিষয় তুলে ধরেন। এরপর বিডিও'র কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। শুক্লা রাউথ, মহম্মদ মঈন, বিনোদ সরেন এবং গণেশ পন্ডিত ও অন্যান্যরা বিডিওর সাথে প্রসঙ্গগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। এ প্রসঙ্গে বিডিও শ্রী বিশ্বাস বলেন কৃষক সভার পক্ষ থেকে আবাস যোজনা, ঘরে ঘরে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জল পৌঁছানো, পাট্টা বিলি, আল্লাডি অঞ্চলের রাস্তা তৈরীর বিষয় নিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন আবাস যোজনার তালিকা যথা সম্ভব সঠিক করার জন্য তারা সমস্ত উদ্যোগ নিয়েছেন, এর পরেও কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাট্টা দেওয়ার আগে যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয় - তবুও অভিযোগ উঠলে পদক্ষেপের আশ্বাস দেন তিনি। অন্যদিকে ঘরে ঘরে পাইপের মাধ্যমে জল পৌঁছানোর বিষয়ে বিডিও বলেন পি এইচ ই জানিয়েছে এপ্রিলের মধ্যেই প্রতি ঘরে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা তারা সম্পূর্ণ করবেন।@প্রান্তভূমি
চকমা দিয়ে বৃদ্ধার সোনার চেন হাতিয়ে চম্পট
#প্রান্তভূমি ১৪ নভেম্বর::
চকমা দিয়ে বৃদ্ধার গলায় থাকা প্রায় এক ভরি ওজনের সোনার চেন হাতিয়ে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতি। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৪ নভেম্বর সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত কল্যাণগ্রাম-৫ দুর্গামন্দির অঞ্চলে। এখানেই বাড়ি দেবাশিস দে'র। আজ সকালে বাড়িতে ছিলেন তার মা রেবা দে। সকাল প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ এক ব্যক্তি ঠাকুরের বাসনপত্র পরিষ্কার করে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাদের বাড়িতে ঢোকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কালো মোটাসোটা ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে যায় তার আরও এক সঙ্গী। এদিকে রেবা দেবী তাদের জানিয়ে দেন তিনি বাসনপত্র পরিষ্কার করাবেন না, তার কাছে পয়সা কড়িও নেই। তখন প্রতারকেরা তাকে বলে পয়সা লাগবে না, তারা প্রচারের জন্য এসেছে । এরপরই একটি স্টিলের গ্লাস তারা পাউডার দিয়ে ঝকঝকে করে দেয়। এরপর রুপোর আংটি বা অন্য কিছু থাকলে সেগুলো দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু রেবা দেবী তাদের জানিয়ে দেন তেমন কোন জিনিস তার নেই। এ সময় নিজেদেরই হাতের আংটি খুলে তার সামনে পরিষ্কার করে দেখায় প্রতারকেরা। এরই মধ্যে রেবা দেবীর গলায় থাকা সোনার চেনটি পরিষ্কার করে দেওয়ার কথা বলে ওই দুই প্রতারক। এ সময় খানিকটা হতচকিত অবস্থাতেই রেবা দেবী হারটি খুলে তাদের হাতে দেন। মুহূর্তের মধ্যে সেটিকে প্রতারকেরা পাউডার ইত্যাদি লাগিয়ে একটি প্লাস্টিকের মোড়কে ঢুকিয়ে সীল করে দেয় এবং বলে কুড়ি মিনিট পরে তারা সীল খুলে সোনার চেন বের করে রেবা দেবীর হাতে তুলে দেবেন। এই বলে তারা ওই ঘর থেকে চম্পট দেয়। কিছুক্ষণ পরেই রেবা দেবী প্লাস্টিকের মোড়কটি খুলে দেখেন তার মধ্যে কিছুই নেই। এরপরই তিনি রাস্তার মোড়ে দোকানদারদের বিষয়টি জানালে তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। ফোন পেয়ে রেবা দেবীর ছেলে দেবাশিসবাবু বাড়ি ফিরে আসেন। তিনিও বিভিন্ন অলিগলি রাস্তায় খোঁজাখুঁজি করেও প্রতারকদের কোন সন্ধান পাননি। রেবা দেবী বলেন প্রতারকেরা হেঁটেই তার বাড়িতে এসেছিল। একজনের সঙ্গে ছিল একটি ছোট ব্যাগ। তারা বাংলাতেই কথা বলছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। মুহূর্তের অসচেতনতায় ঠকে গিয়ে এখন অস্বস্তিতে গলা বুজে আসছে রেবা দেবীর। লিখিতভাবে বিষয়টি পুলিশের কাছে না জানালেও তার আবেদন, এই দুষ্কৃতিদের খুঁজে তার হারটিকে যদি ফিরিয়ে দিতে পারে পুলিশ প্রশাসন।@প্রান্তভূমি
.
.
২৫ ফুট লম্বা ফুল ফুটলো কল্যাণগ্রামের মাটিতে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ নভেম্বর:: আশ্চর্য এক ফুলের দেখা পাওয়া গেল কল্যাণগ্রাম-৫ অঞ্চলে। সালানপুর ব্লকের অন্যতম বর্ধিষ্ণু এলাকা কল্যাণগ্রামে বিশিষ্ট শিল্পী তাপস কর রায়ের গড়ে তোলা "মাটি"তে এই আশ্চর্যজনক গাছ মানুষকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। অনেকটা কাশ গাছের মত দেখতে। এর মাঝখান থেকে একটা শিসদন্ড উঠে গেছে প্রায় ২৫ ফুট। ওই শিসের দুধারে ফুটে আছে কয়েক হাজার সাদা রঙের ফুল। অতি বিরল এই গাছ এগেভ প্রজাতির বলে জানালেন তাপস কর রায়। পুরো নাম এগেভ স্ট্রিকটা। এই গাছটি তাপস বাবু প্রায় 30 বছর আগে অন্য বাগানে লাগিয়েছিলেন বলে জানালেন। মাটি'তে আরো অনেক সংগ্রহের সাথে তাপস বাবুর ঝুলিতে রয়েছে এয়ার ফ্লো ট্রি। শেকড় নেই, ঝুলন্ত অবস্থায় শুধু সামান্য জল স্প্রে করে বাঁচিয়ে রাখা যায় এই গাছকে।। অদৃষ্টপূর্ব গাছটি শুধু হাওয়া খেয়ে বাঁচে। আছে টবে বনসাইয়ের মধ্যে হাতে তৈরি পাখির বাসা, তাক লাগিয়ে দেওয়ার মত।। যে কেউ গিয়ে দেখে আসতে পারেন। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য বিতরণ করে চলেছে ওই প্রায় ২৫ ফুট উঁচু ফুলের সম্ভার নিয়ে বিশাল গাছটি। লম্বায় ছাড়িয়ে গেছে বিদ্যুতের খুঁটিকেও। এইসব দেখতে দেখতে কিছুটা বিষন্ন মনে তাপস বাবু বলেন, তার অবর্তমানে এর হাল ধরার কেউ নেই - এক প্রজন্মেই সব শেষ।@প্রান্তভূমি
নির্বাচনে প্রতীক চিহ্ন প্রকাশ্যে আনলো লেবার ইউনিয়ন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ নভেম্বর:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ইউনিয়ন স্বীকৃতির নির্বাচনে নিজেদের প্রতীক তারা চিহ্ন কর্মীদের সামনে আনলেন লেবার ইউনিয়ন নেতৃত্ব। আজ আর কে গেটে ইউনিয়নের বৈঠকে প্রতীকটি প্রকাশ্যে আনেন বর্ষীয়ান নেতা নির্মল মুখার্জি। এদিন গেট মিটিংয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইউনিয়ন নেতা চিন্ময় গুহ, স্নেহাশিস চক্রবর্তী, রাজীব গুপ্ত, নির্মল মুখার্জি সিএলডব্লুর সমস্ত শূন্য পদে নিয়োগের জোরালো দাবি জানান। এছাড়াও একমাত্র পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা, কারখানার যাবতীয় বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার দাবি জানান বক্তারা।@প্রান্তভূমি
ভোটার তালিকা সংশোধনের সুযোগ আগামী একমাস
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ নভেম্বর:: ভোটার তালিকা সংশোধনের সংক্ষিপ্ত কাজ শুরু হয়ে গেল আজ থেকেই। চলবে 12 ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতি শনি এবং রবিবার বিশেষ প্রচারের দিনও ধার্য করা হয়েছে এজন্য। বিশেষ করে যারা ১৮ বছরে পদার্পণ করছে তাদের ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন করার বিষয়ে উৎসাহ দেওয়ার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। নতুন নাম তোলা ছাড়াও নাম বাদ বা আপত্তি জানানো, বাসস্থান পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়, ভোটার কার্ডে পরিবর্তন, চলতি ভোটার কার্ডের তথ্য সংশোধন, ভোটার কার্ডে প্রতিবন্ধী হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য আবেদন ছাড়াও ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তির কাজও এই সময়ের মধ্যে হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিটি বুথেই এই কাজ করা হবে, এছাড়া অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়াও চালু আছে বলে আজ আসানসোলে এক বৈঠকে জানিয়েছেন জেলাশাসক এস পোন্নামবলম। বৈঠকে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গেই প্রতিটি ব্লকের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন।@প্রান্তভূমি
.
.
আবাস যোজনার তালিকায় নাম রেশন ডিলারের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ নভেম্বর::
একদিকে জেলা জুড়ে সুপার চেকিং করছেন জেলাশাসক স্বয়ং, আর অন্যদিকে রেশন ডিলারের নাম বাংলা আবাস যোজনার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে। এমনই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। জেলার কাঁকসা থানা এলাকার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা অঞ্চলে বিশাল পাকা বাড়ি রেশন ডিলার মৃণাল কান্তি ঘোষের। এ হেন বিত্তবান ব্যক্তিরও নাম আবাস যোজনার তালিকায় থাকার ফলে বাংলা আবাস যোজনার উপভোক্তাদের প্রকৃত প্রাপকের তালিকায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রেশন ডিলার শ্রীঘোষকে প্রতিক্রিয়ার জন্য ধরা হলেও সাংবাদিককে তিনি এড়িয়ে যান। যদিও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানীপ্রসাদ ভট্টাচার্য বলেছেন বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতে 2018 সালের সার্ভে অনুযায়ী তালিকা তৈরি হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে সে সময় প্রায় ৭৭৪ জনের নাম তালিকাভুক্ত হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে সেই তালিকা মুছে যায়। যদিও সম্প্রতি নতুন সার্ভারে সেই তালিকাটি ফিরে আসে এবং অনেকেই বলছেন সেই তালিকায় এমন বহু নাম অন্তর্ভুক্ত আছে যাদের ইতিমধ্যেই পাকা বাড়ি রয়েছে। সমিতির সভাপতি বলেছেন এমন ব্যক্তির নাম থাকা ঠিক নয়, যদিও 2018 তালিকা সম্পূর্ণভাবে আবার খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বিষয়টি জানতে পেরে বলেছেন পুরনো তালিকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন তালিকা এখনো প্রকাশিত হয়নি। বাংলা আবাস যোজনায় এমন পরিবারই পাকা বাড়ি পাবে যাদের পাওয়ার প্রয়োজন আছে বলে তিনি জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
দুর্গাপুর থেকে উড়িষ্যায় যাওয়ার পথে হাইজ্যাক হওয়া বিপুল অঙ্কের মালপত্র সহ ট্রাক উদ্ধার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ নভেম্বর:: দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি কারখানা থেকে ৫৪ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র নিয়ে উড়িষ্যায় যাওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী ৯ অক্টোবর মালপত্র বোঝাই ট্রাকটি দুর্গাপুর থেকে রওনা দিলেও উড়িষ্যার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়নি। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাকটি সেখানে না পৌঁছানোয় ট্রাকের মালিক খোঁজখবর শুরু করেন। কিন্তু তিনি ট্রাকের কোন খোঁজ পাচ্ছিলেন না। ট্রাক চালকের মোবাইল ফোনও বন্ধ পাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৮ অক্টোবর বিষয়টি জানিয়ে তিনি দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই বিষয়টি খোলসা করে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন ঐ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে এবং উড়িষ্যায় ট্রাকটির খোঁজ পায়। সঙ্গে সঙ্গে কোকওভেন থানার পুলিশ সেখানে যায় এবং ট্রাকটিকে উদ্ধার করে। পরে চালককেও গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেদিনীপুরের খড়গপুর থেকে উদ্ধার করে চোরাই সামগ্রী। এই বিপুল চোরাই সামগ্রীর ক্রেতা একটি কাঁটার মালিককেও গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা হল বিহারের গয়া জেলার ওয়াজিরগঞ্জ থানার মালাকপুর গ্রামের মহম্মদ ফায়াজ (৩৪), যে এই ট্রাকের চালক। এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর থানার উত্তর গুড়িয়ার সোমনাথ ঝা ওরফে ছোটু (33) এবং পশ্চিম মেদিনীপুরেরই কোতোয়ালি থানার বানপুরা (পাঁচকড়ি)-র শেখ ইয়াসিন আলি (৩২) । এই ইয়াসিন আলি একটি কাঁটার মালিক, যেখানে চোরাই সামগ্রী বিক্রি করা হয়েছিল। ট্রাক এবং সামগ্রী উদ্ধারের জন্য ট্রাক মালিক পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।@প্রান্তভূমি
মাছের ট্রাকে কোটি টাকার গাঁজা পাচারের চেষ্টা বানচাল
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ নভেম্বর:: মাছ পৌঁছে দেওয়ার পেটিতে ভরা ছিল দু কুইন্টালেরও বেশি উন্নত মানের গাঁজা। মা তারা রোডওয়েজ নামক ট্রাকে এই গাঁজা পূর্ব মেদিনীপুরের বেলদা থেকে বীরভূমের দুবরাজপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে। গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে আজ ৮ নভেম্বর সকালে ট্রাকটিকে পুলিশ আটক করে রানীগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় এলাকার একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে। যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সঙ্গেই এইসব পেটিগুলি মাছের পেটির আড়ালে লুকিয়ে বোঝাই করা হয়েছিল। পুলিশ ট্রাকটিকে আটক করার পাশাপাশি চালক শুভঙ্কর সিংহ এবং খালাসী অভিজিৎ সাঁইকে আটক করে। ট্রাক থেকে ৩৯ টি পেটিতে প্রায় দুই কুইন্টাল গাঁজা ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এক একটি পেটিতে চার থেকে ছয় কেজি ওজনের গাঁজা ভরা ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ট্রাকের চালক ও খালাসী পুলিশকে জানিয়েছে যে তারা মেদিনীপুরের বেলদা থেকে বীরভূমের দুবরাজপুরে এক ব্যক্তির কাছে এগুলি পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। যদিও যার কাছে নিয়ে যাচ্ছিল তার নাম তারা জানে না, শুধুমাত্র ফোন নাম্বার তাদের দেওয়া হয়েছিল। ট্রাকটির মালিক কাঁথি এগরা অঞ্চলের রাজু বলেও ট্রাকচালক শুভঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছে। কিন্তু ট্রাক চালকের সাফাই যে সে জানতো না মাছের পেটির মধ্যে গাঁজার পেটি ভরে দেওয়া হয়েছে। প্রায় বছর তিনেক সে রাজুর গাড়ি চালাচ্ছে বলেও পুলিশকে জানায় চালক শুভঙ্কর। এই বিপুল পরিমাণ গাঁজার মূল্য কোটি টাকারও বেশি বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্রে জানা যাচ্ছে। পুরো বিষয়টি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগ এবং পুলিশ খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
ছোট পুজোয় গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু যুবকের
#প্রান্তভূমি ৭ নভেম্বর।।
ছট পুজো চলাকালীন জলে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম অভিষেক চৌধরী(১৯)। আজ ৭ নভেম্বর বিকেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে বাংলা- ঝাড়খন্ড সীমান্তের গ্রাম ধাঙ্গুড়িতে। এই গ্রামের বেশ কিছুটা অংশ পশ্চিমবঙ্গের রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত হলেও ধাঙ্গুড়ি শিব মন্দির সংলগ্ন ঘটনাস্থলের পুকুরটি ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানা এলাকায় পড়ে। জানা গেছে বিহারের নওয়াদা জেলার চাকুয়াই গ্রাম থেকে ভোলা চৌধরী তার পুত্র অভিষেক এবং অন্যান্যদের নিয়ে মিহিজাম শিব মন্দির এলাকায় তার আত্মীয়ের বাড়িতে ছট পুজো উপলক্ষে এসেছিলেন। আজ বিকেলে সকলেই ছট পুজো উপলক্ষে পৌঁছেছিলেন ধাঙ্গুড়ির নির্দিষ্ট পুকুরটিতে। সেখানে পুজো শেষে অর্ঘ্য দেওয়ার সময় অভিষেক স্নান করতে নামে। কিন্তু বেশ গভীর পুকুরের জলে সে কিছুক্ষণের মধ্যেই তলিয়ে যেতে থাকে। তার ওই অবস্থা দেখে অভিষেকের খুড়তুতো ভাই ভুটলু তাকে বাঁচানোর জন্য জলে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও সে অভিষেককে জল থেকে তুলে আনতে ব্যর্থ হয়। এ সময় পুকুরের পাড়ে উপস্থিত যুবকদের মধ্যে আরো ৪-৫ জন জলে ঝাঁপ দেন, কিন্তু তারা কেউই অভিষেককে উদ্ধার করতে পারেননি। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ছট পুজো কমিটির পক্ষ থেকে মিহিজাম পুলিশের কাছে সংবাদ পাঠানো হয়। দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এরই মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন সাহসী ব্যক্তি অভিষেককে উদ্ধার করতে জলে নামেন। যদিও তারা বারবার চেষ্টা করেও তাকে জল থেকে তুলে আনতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পেশাদার ডুবুরি নামানোর উদ্যোগ নেয়। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃতের পিসেমশাই রামেশ্বর চৌধরী বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট অভিষেক প্রায়ই পুকুরে স্নান করতো, সাঁতারও জানত। কিন্তু এখানে কিভাবে কি হয়ে গেল তারা বুঝতে পারছেন না। এই ঘটনায় পুরো পরিবার শোকে ভেঙে পড়েছে।@প্রান্তভূমি
শ্মশানও ঢুকে যাচ্ছে কয়লা খনিতে, বিক্ষোভে সামিল বাসিন্দারা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ নভেম্বর:: কালী মন্দির এবং সংলগ্ন শ্মশানের নিচে কয়লার স্তর আছে আগেই জানতে পেরেছিল ই সি এল। ফলে ডাবর কলিয়ারি সম্প্রসারণের আওতায় এই শ্মশান অঞ্চল চলে আসে। কিন্তু লহাট মৌজায় থাকা এই "লহাট মুখুটি শ্মশান" বাঁচানোর দাবি নিয়ে সামডি গ্রামের বাসিন্দারা আজ কলিয়ারির কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি শ্মশান নষ্ট করে কয়লা তোলা চলবে না। কারণ এখানেই দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীরা মৃতদেহ সৎকারের কাজ করে আসছেন। একান্তই শ্মশান অঞ্চলে কয়লা তুলতে হলে পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীরা দাবি জানান যে, সামডি গ্রামের বাসিন্দাদের না জানিয়েই শ্মশানের জায়গা কেটে কয়লা উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শ্মশান বাঁচানোর দাবি ইসিএল মেনে না নিলে বিক্ষোভ চলতে থাকবে বলে তারা জানিয়ে দেন। যদিও এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল এক ব্যক্তি বলেন, বছর ১৫ আগে ই সি এল এই এলাকাটি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ৯৯ বছরের লিজে তাদের আয়ত্বে নেয় । জমিটি রাজ্য সরকারের অধীনে ছিল। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ওই জমি নেওয়ার পাশাপাশি লহাট অঞ্চলের ব্যক্তিগত মালিকদের কাছ থেকেও ই সি এল জমি কেনে। কারণ এইসব জমির নিচে কয়লার স্তর আছে। তাছাড়া শ্মশানটি পুরনো জায়গা থেকে কিছুটা দূরে পুকুরের পাশে কালী মন্দিরের পিছনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান। এদিকে আজ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি এই বিক্ষোভে শামিল হলেও ইসিএল কর্তৃপক্ষের তরফে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য কেউ আসেন নি বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
জল, আবাসের খোঁজ নিয়ে গেলেন জেলাশাসক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ নভেম্বর:: ছটের ছুটির মধ্যেই মাইথনে নির্মীয়মান জল প্রকল্প খতিয়ে দেখতে আসানসোল থেকে এলেন জেলা শাসক এস পোন্নামবলম। তিনি এদিন সকালে মাইথন থার্ড ডাইক অঞ্চলে চলতে থাকা জল প্রকল্পের কাজের খুঁটিনাটি বিষয়ে খোঁজ নেন। এখানকার কাজের অগ্রগতি নিয়ে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। জানা গেছে নির্মীয়মান এই জল প্রকল্পটি সম্পূর্ণরূপে সামনের এপ্রিলের মধ্যেই কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক। তবে এই প্রকল্প থেকে জল চলে যাবে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া, অন্ডাল এবং রানীগঞ্জ ব্লক অঞ্চলে। পুরনো যে জল প্রকল্পটি এখন চালু আছে সেটির জল পুরোপুরি পাবে সালানপুর ও বারাবনি ব্লক। এই দুটি ব্লকের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা সামনের বছর মার্চের মধ্যেই রাখা হয়েছে। জলের সংকুলান যাতে ঠিকঠাক হয় সেজন্য কুলটি এলাকায় সরবরাহ করা জলের পরিমাণ কমিয়ে এই দুটি ব্লকের জন্য বেশি করে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা গেছে। জল প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করার পরেই জেলাশাসক অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে পৌঁছে যান এথোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে যেসব মানুষ সরকারের কাছে আবাসের জন্য আবেদন জানিয়েছেন সেগুলি খতিয়ে দেখেন। আবেদনকারীদের পরিচয় জেনে তাদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান জেলাশাসক। আবেদনকারীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি এখন তারা যে বাড়িতে বসবাস করছেন সেগুলির ছবিও তোলেন নিজের মোবাইলে। তার সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের সেক্রেটারি, ডিএমডিসি বিকাশ দত্ত, সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। সালানপুর ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এই ব্লকের প্রায় দুই হাজার পরিবার এই প্রকল্পে বাড়ি পেতে পারেন। কতজন বাড়ি পাবেন তা ১৪ নভেম্বর চূড়ান্ত হতে পারে বলে জানা গেছে। রাজ্যের অন্যত্র আবাস যোজনার সার্ভে নিয়ে যথেষ্ট গোলমালের সৃষ্টি হলেও সালানপুর ব্লকে তেমন কোন অভিযোগ নেই বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
খড় না পোড়ানোর আবেদন নিয়ে মিছিল কৃষি বিভাগের
#প্রান্তভূমি ৬ নভেম্বর::
সালানপুর ব্লকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়। এইসব জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার পর তার গোড়াগুলি মাঠেই পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন চাষীরা। এর ফলে যথেষ্ট বায়ু দূষণের সৃষ্টি হয়, তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পায়। এই অভ্যাস থেকে সরে আসার জন্য কৃষি বিভাগ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজ ডেপুটি ডিরেক্টর এগ্রিকালচার জাহির উদ্দিন খানের নেতৃত্বে সালানপুর ব্লক কৃষি বিভাগের আধিকারিক রাজর্ষি ব্যানার্জি এবং অন্যান্যরা আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীপাথর এলাকায় সচেতনতা মিছিল করলেন। তার আগে স্থানীয় মানুষজনদের নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৫০ জন কৃষক এই বৈঠকের অংশ নেন। কৃষি বিভাগ থেকে তাদের সমস্ত বিষয়ে সচেতন করা হয়। বিশেষ করে এখন গ্রামে ঘরে গরু-মোষ পালনের বিষয়টি কমে আসায় খড়ের চাহিদা অনেকটাই কমে গেছে। এই অবস্থায় খড় থেকে কম্পোষ্ট সার তৈরি করার বিষয়ে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হয়। খড় থেকে সার তৈরি করার ফলে সেগুলি পুড়িয়ে নষ্ট করার প্রবণতা যেমন কমবে, তেমনই পরবর্তী চাষের কাজে সেই সার ব্যবহার করে উন্নত ফলন পাওয়া যাবে। তাই কোনভাবেই যাতে ফসল কেটে নেওয়ার পর তার গোড়াগুলি মাঠেই পুড়িয়ে না ফেলা হয় সেই বিষয়ে জোর দেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। বিষয়টি কৃষকদের বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে বলে এদিনের বৈঠক এবং সচেতনতা মিছিল থেকে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
.
.
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ১৫৫-তম জন্ম জয়ন্তী উদযাপিত
#প্রান্তভূমি ৬ নভেম্বর::
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ১৫৫-তম জন্মজয়ন্তী অত্যন্ত মর্যাদার সাথে উদযাপিত হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা প্রশাসনিক ভবনে। ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মহাপ্রবন্ধক হিতেন্দ্র মালহোত্রা দেশবরেণ্য মহাপুরুষ চিত্তরঞ্জন দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সমস্ত বিভাগের উচ্চ আধিকারিক এবং কর্মীরা। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্রী মালহোত্রা বলেন, চিত্তরঞ্জন দাসের জীবন এ দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে অনুসরণীয়। তার জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। অনুষ্ঠানে চিরেকা সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্যরা সংগীত পরিবেশন করেন।@প্রান্তভূমি
অর্ধনগ্ন মহিলার দেহ উদ্ধার
#প্রান্তভূমি ৫ নভেম্বর::
আজ বিকেলে এক মহিলার অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সালানপুর থানা এলাকার কাঁকড়কোন্দা গ্রাম সংলগ্ন অঞ্চলে। রূপনারায়ণপুর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করেছে প্রায় সন্ধ্যা নাগাদ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন মধ্যবয়সী ঐ মহিলার পরনে সায়া ও ব্লাউজ ছিল। চোখ, জিভ ঠিকরে বেরিয়ে এসেছিল। তাদের অনুমান মহিলার গলায় ফাঁস লাগিয়ে মারা হয়েছে। তবে, ওখানেই তার মৃত্যু হয়েছে না কি অন্য কোথা থেকে আনা হয়েছে সে সম্বন্ধে নিশ্চিত নয় সংশ্লিষ্ট মহল। প্রায় সওয়া পাঁচ ফুট লম্বা মহিলার দেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় অনুমান যে কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেলে গরু চরাতে গিয়ে স্থানীয় মানুষ দুর্গন্ধ পান। বিষয়টি জানতে পেরেই পুলিশ এলাকায় যায়। কাঁকড়কোন্দা গ্রামের শেষ প্রান্তে ডাবর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় ইট ভাটার জন্য মাটি কেটে নেওয়ায় ছোট ডোবার জলের মধ্যে দেহটি দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
ঘরেই চলছিল স্টেট লটারির নকল টিকিট ছাপা
#প্রান্তভূমি ৩১ অক্টোবর।।
ঘরেই মেশিন বসিয়ে চলছিল নকল নাগাল্যান্ড স্টেট লটারির টিকিট ছাপানো। গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরে বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে হানা দেয়। তল্লাশিতে ধরা পড়ে যায় অবৈধ লটারির কারবারি প্রকাশ মন্ডল( ২৬)। তার ঘর থেকে উদ্ধার হয় অবৈধ লটারির টিকিট ছাপার ৮ টি প্রিন্টার, ২ টি ল্যাপটপ, ১ টি মোবাইল, ১ টি পেপার কাটিং মেশিন, বড় ধরনের স্টেপলার মেশিন, নির্দিষ্ট মাপের উচ্চমানের তিন কার্টুন কাগজ, ৫৫ বান্ডিল নাগাল্যান্ড স্টেট লটারির ছাপানো নকল টিকিট ছাড়াও হিসাবপত্রের খাতা ও অন্যান্য সামগ্রি। এ বিষয়ে জানাতে গিয়ে নিরসার এসডিপিও রজত মানিক বাখলা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সূত্র মারফত অবৈধ লটারি ছাপানোর কারবারের কথা জানতে পারার পরেই পুলিশের একটি বিশেষ দল কালুবাথান আউটপোস্ট এলাকার শাঁওলাপুর গ্রামে ৩১ অক্টোবর প্রকাশ মন্ডলের বাড়িতে হানা দেয়। এবং এইসব জিনিসপত্র সহ প্রকাশকে গ্রেফতার করা হয়। অবৈধ এই লটারির চক্র ঝাড়খন্ড পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে আছে বলে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে নার্স নিয়োগের পদ্ধতি খোলসা করলেন এক কর্তা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ অক্টোবর:: চিত্তরঞ্জনের কেজি হাসপাতালে চুক্তিভিত্তিক বেসরকারি নার্স নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মুখ খুললেন হাসপাতালের এক অধিকর্তা। তিনি জানান বছর তিনেক আগেও হাসপাতাল প্রশাসন সরাসরি প্রার্থীদের ইন্টারভিউ নিয়ে সিস্টার নিয়োগ করত। রেলওয়ে বোর্ড সেই নিযুক্ত হওয়া সিস্টারদের বেতন ও অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করত। কিন্তু বর্তমানে নিয়োগ হয় গভর্ইনমেন্ট ই-মার্কেট-এর মাধ্যমে। প্রতিবছর জুন মাসের শেষ সপ্তাহে সরকার প্যারামেডিকেল কর্মী, সিস্টার নেওয়ার জন্য অনুমোদন দেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকেন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের মধ্যে থেকে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে তখন গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট পোর্টাল থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়। সাধারণত একাধিক ঠিকাদার এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন এবং যোগ্যও হন। ফলে তখন গভর্নমেন্ট ই-মার্কেট পোর্টাল সিস্টেম জেনারেটরেটেড লটারির মাধ্যমে একজনকে নির্বাচন করে। এতে মানুষের কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না, যা হওয়ার সিস্টেমেই হয়। এরপর লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদার হাসপাতালে কর্মী সরবরাহ করেন। ঠিকাদার বিশেষভাবে কাকে পাঠাবেন বা না পাঠাবেন তার উপর হাসপাতালের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পূর্বে যারা কাজ করেছেন তাদের পুনর্বহালের বিষয়ে জোর করতে পারে না, শুধু অনুরোধ জানাতে পারে। এই চুক্তি বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্তই হয়। এই ঠিকাদারের অধীনে যারা কাজ করবেন তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের কোনও সম্ভাবনা নেই। শুধুমাত্র রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে সফল প্রতিযোগিদেরই স্থায়ী চাকরি হয়।@প্রান্তভূমি
ডায়রিয়ার আতঙ্ক, মৃত্যু ২ মহিলার, আক্রান্ত একাধিক
#প্রান্তভূমি ২৯ অক্টোবর::
কালীপুজোর মুখে হঠাৎ জেলায় ডায়রিয়ার আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই দুজনের মৃত্যু এবং চারজন গুরুতর অসুস্থ বলে জানা গেছে। ডায়রিয়ার প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ বছরের উর্মিলা মুর্মু এবং ৪০ বছরের লক্ষ্মী হাঁসদার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। আক্রান্ত এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করার পাশাপাশি সেখানকার মানুষজনকে সচেতন করার জন্য ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল কাঁকসা ব্লকের মলানদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কুলডিহা গ্রাম। ইতিমধ্যেই সেখানকার বেশ কয়েকটি টিউবওয়েল সীল করে দেওয়া হয়েছে। পানীয় জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে গ্রামবাসীর অভিযোগ পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন বসানো হলেও বাড়ি বাড়ি জল এখনও পৌঁছায়নি। সেজন্য রাস্তার ধারের কল থেকেই জল খেতে হচ্ছে মানুষজনকে । যদিও কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে। জানা গেছে, পেটে ব্যথা বমি পায়খানার উপসর্গ নিয়ে ২৬ অক্টোবর উর্মিলা মুর্মু দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে পরের দিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করতে হয় । সেখানেই ২৭ অক্টোবর তার মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে ২৮ অক্টোবর ওই গ্রামেরই আরও চারজনকে সংকটাপন্ন অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তাদের মধ্যে লক্ষ্মী হাঁসদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে। ফলে তাকে বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আজ ২৯ অক্টোবর তার মৃত্যু হয়। আচমকা ডায়রিয়ার এই প্রকোপে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য বিভাগ । ব্লক প্রশাসন অতি দ্রুত অবস্থা নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে। বিডিও পর্ণা দে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় পৌঁছে গেছেন। সেখানকার জলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কি কারনে ডায়রিয়া ছড়ালো সে সম্বন্ধে নিশ্চিত নয় প্রশাসন। আপাতত পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি টিউবওয়েল এবং রাস্তার পাশের কল থেকে জল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। যদিও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করা হলেও তা অত্যন্ত অনিয়মিত, ফলে তাদের টিউবয়েল থেকেই জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়ে গেছে।@প্রান্তভূমি
১৪ লক্ষ টাকা আন্তর্জাতিক বৃত্তি পেলেন রূপনারায়ণপুরের কন্যা:: ব্যতিক্রমী প্রতিভাকে স্বীকৃতি কানাডা থেকে
#প্রান্তভূমি ২৯ অক্টোবর::
রূপনারায়ণপুরকে গর্বিত করলেন ভূমিকন্যা অবিশী সরকার। তার রং- তুলির অসামান্য প্রতিভা আন্তর্জাতিক বৃত্তি এনে দিল অবিশীকে। অত্যন্ত খ্যাতনামা এই বৃত্তির পরিমাণও গর্ব করার মতো, তা হল ১৪ লক্ষ টাকারও অধিক। অবিশী এই অভূতপূর্ব স্বীকৃতির কথা জানতে পারলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার অফ ফাইন আর্টস প্রথম বর্ষে পড়ার সময়েই। ১৭ অক্টোবর তার কাছে এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত সম্মতি জানান কানাডার এলিজাবেথ গ্রিনশিল্ড ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। এবং আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটির গত ১৭ বছরে এই বৃত্তি প্রথম পেলেন রূপনারায়ণপুরের অবিশী। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। শীঘ্রই বেনারসে তার অসামান্য চিত্রকলার প্রদর্শনী আয়োজিত হতে চলেছে বলে জানা গেছে। বেনারস ছাড়াও দেশের আরও কিছু জায়গায় তার শিল্পের প্রদর্শনী আয়োজিত হবে। জানা গেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অধ্যাপক সুরেশ কে নায়ারের তৎপরতায় ওবিসি অসামান্য এই বৃত্তি লাভ করার পথ খুঁজে পান। শ্রী নায়ার উল্লেখ করেছেন, অবিশী একজন ব্যতিক্রমী প্রতিভা এবং তিনি তার পড়াশোনার প্রতি অত্যন্ত যত্নবান। কানাডার আন্তর্জাতিক এই সংস্থা পৃথিবীর সেই সব আগ্রহী পড়ুয়া শিল্পীদের বৃত্তি প্রদান করে যারা ভবিষ্যতে শিল্পকে আঁকড়েই জীবন অতিবাহিত করতে চান। অবিশীর প্রতিভা তাদের সর্বোচ্চ এই স্বীকৃতি প্রদানে আগ্রহী করেছে । উল্লেখ্য, রূপনারায়ণপুর হিন্দুস্তান কেবলস ডিএভি স্কুলের প্রাক্তন এই ছাত্রী চিত্তরঞ্জন কনভেন্ট স্কুল হয়ে ভিজুয়াল আর্টসে ব্যাচেলার ডিগ্রি অর্জন করেন উড়িষ্যার শ্রীশ্রী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সেখান থেকে বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার জন্য যান। এই অভূতপূর্ব বৃত্তি পাওয়ার পর অবিশী জানান, তার প্রয়াত পিতা লায়ন অরূপ সরকার তাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বলেছিলেন - ফুল ফুটলে তার সুগন্ধ ছড়াবেই, কাজের প্রতি মনোযোগী থেকো, জীবনের অন্যান্য দিকগুলি তোমার জন্য অপেক্ষা করবে। আজ এই খুশির দিনে অবিশী তার বাবাকে স্মরণ করার পাশাপাশি কৃতিত্ব দিচ্ছেন মা কেয়া সরকার এবং পরিবারের অন্যান্যদের।@প্রান্তভূমি
.
.
রূপনারায়ণপুরে শুরু হয়ে গেল মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল
#প্রান্তভূমি ২৮ অক্টোবর::
রূপনারায়ণপুরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নতুন ব্যবস্থা মাসুম মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো আজ থেকে। বেসরকারি উদ্যোগে যাবতীয় সুবিধা সম্পন্ন এই হাসপাতালের উদ্বোধন করলেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, সমাজকর্মী ললিত দাস, দেবদাস চ্যাটার্জি, ভোলা সিং, রূপনারায়ণপুর প্রধান অপর্না দাস, সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায় সহ বহু গুণীজন। রূপনারায়ণপুর রেলগেট সংলগ্ন পিঠাকিয়ারি রোডের উপর এই হাসপাতালে সমস্ত ধরনের সাধারণ চিকিৎসা পরিষেবার পাশাপাশি ডায়ালিসিস, আইসিইউ, সিসিইউ, হার্ট অপারেশন, শিশু বিভাগ সহ বিশেষ ধরনের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান হাসপাতালের কর্ণধার ডাক্তার মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ প্রসঙ্গে বিধায়ক শ্রী উপাধ্যায় বলেন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সালানপুর ব্লকের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া নলা মিহিজাম ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষও এখানে আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ নিতে পারবেন। তিনি বলেন সালানপুর ব্লকের সবচেয়ে ব্যস্ত এলাকা রূপনারায়ণপুরে স্বাস্থ্য পরিষেবার নতুন এই ব্যবস্থাটিকে সকলের উদ্যোগে টিকিয়ে রাখতে হবে। ১০০ সজ্জার এই হাসপাতাল পুরোপুরি চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান ডাক্তার সাহাবুদ্দিন। তবে এখন থেকেই আউটডোর পরিষেবা এখানে শুরু হচ্ছে, একইসঙ্গে জেমারির মাসুম হাসপাতালটিও চালু থাকবে বলে তিনি জানান।
গুটকা পান মশলায় নিষেধাজ্ঞা জারি, উৎপাদন থেকে বিক্রি সবই নিষিদ্ধ
#প্রান্তভূমি ২৭ অক্টোবর।।
এবার আর কোনভাবেই গুটকা পান মশলা ইত্যাদি তামাকজাত দ্রব্য পশ্চিমবঙ্গে উৎপাদন, জমিয়ে রাখা, সরবরাহ করা কিংবা বিক্রি করা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর ২৪ অক্টোবর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে ৭ নভেম্বর থেকে অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে এই নিয়ম বলবত করা হবে। আপাতত এক বছরের জন্য গুটকা সহ যেসব দ্রব্যে তামাক এবং নিকোটিন আছে সেগুলিকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে । জনসাধারণের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় এই ব্যবস্থা রাজ্যের সর্বত্র বলবৎ করা হবে বলে রাজ্য সরকার তার নির্দেশিকায় পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এর আগে আসানসোল কর্পোরেশন এলাকা কিংবা স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে গুটকা পান মশলা বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে প্রশাসনের অনিয়মিত নজরদারি এবং কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ায় সেইসব নির্দেশিকা খুব একটা কার্যকরী হয়নি। তাই এবার সমগ্র রাজ্য জুড়েই এইসব তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত সমস্ত কিছুতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে এইসব দ্রব্যের ব্যবহার আইনত দণ্ডনীয় এবং অপরাধযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। প্রশাসনের আশা এর ফলে রাজ্যে গুটকা পান মশলার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে মানুষজন রেহাই পাবেন।@প্রান্তভূমি
উচ্ছেদে বিশেষ ভূমিকার জন্য পুরস্কৃত আরপিএফ ইন্সপেক্টর, সিএলডব্লুর সেরা কর্মী আরও ৩
#প্রান্তভূমি ।। ২৬ অক্টোবর::
চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে অবৈধ নির্মাণ উচ্ছেদে বিশেষ ভূমিকা নেওয়া আরপিএফ ইন্সপেক্টর পঙ্কজ কুমারকে সেপ্টেম্বর মাসের সেরা কর্মীর পুরস্কার দিলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা প্রশাসন। এছাড়াও রেল কর্মীদের ধরনা প্রদর্শনকে শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখা এবং নো পার্কিং অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে তার ভূমিকাকেও স্বীকার করা হয়েছে। পঙ্কজ কুমারের তৎপরতায় চিত্তরঞ্জন শহরে গরু মোষের অবাধ বিচরণ অনেকটাই কম হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পঙ্কজ বাবুর সাথেই সেপ্টেম্বর মাসের সেরা কর্মীর পুরস্কার পেয়েছেন আরও তিন রেল কর্মী। তারা হলেন ১৯ নম্বর ইলেকট্রিক লোকো শপের টেকনিশিয়ান-১ সারদা কুমারী, ২৫ নম্বর ইলেকট্রিক লোকো বগি সপের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার শীর্ষেন্দু ঘোষাল এবং এমটিএস-৫৬ মেকানিক্যাল বিভাগের জে ই প্রদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়। ব্যতিক্রমী দক্ষতা দেখানোর জন্য সেপ্টেম্বর মাসের সেরা কর্মীর পুরস্কার তাদের হাতে ২৬ অক্টোবর তুলে দিলেন সি এল ডব্লু'র জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা।@প্রান্তভূমি
মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চুরির খোঁজে গিয়ে মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ারের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ অক্টোবর:: চোরাই মাল উদ্ধারে গিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটলো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম চন্দন হাজরা (৩৫)। অত্যন্ত কর্মঠ এবং দক্ষ এই যুবকের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সমগ্র বুদবুদ থানা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে আজ ২৫ অক্টোবর সকালে বুদবুদ থানার অন্তর্গত বলরামপুর এলাকায়। মৃতের বাড়ি মানকরে। তার বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, ১১ বছরের ছেলে ও পাঁচ বছরের জমজ ২ মেয়ে আছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আগের রাতে মোবাইল টাওয়ারের ব্যাটারি চুরির একটি সংবাদ থানায় আসে। সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে বলরামপুর এলাকায় একটি বাড়িতে পুরনো মালপত্র কেনাবেচা হয়। আজ সকালে দুই পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সেখানে পৌঁছান। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মধ্যে ওই বাড়ির পাঁচিল টপকে ছাদে ওঠার সময় মাথার উপর দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শে চলে আসেন চন্দন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি লুটিয়ে পড়েন। এরপরই অতি দ্রুত তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে জাতীয় সড়কের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বুদবুদ থানার সমস্ত পুলিশকর্মী ও আধিকারিকদের সঙ্গেই শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা গ্রামে। মৃত চন্দন যে কোনো কাজে অত্যন্ত উৎসাহী ছিলেন এবং নিজের কর্তব্য সম্বন্ধে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ছিলেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। তার আকস্মিক মৃত্যুকে বড়ো আঘাত বলে তারা উল্লেখ করেছেন।@প্রান্তভূমি
মাদক কারবারে বেনারস যোগ, কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ব্রাউন সুগার সহ ধৃত ১
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ অক্টোবর:: এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদক বেনারস থেকে এনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল অভিযুক্ত অজিত কুমার দাস। রাজ্য পুলিশের এসটিএফ তার কাছ থেকে ১ কেজি ১২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মানের এই মাদকদ্রব্যের ব্যাপক চাহিদার কারণে দামও অত্যন্ত চড়া। অজিতকে পুলিশ কাঁকসা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর অজিত স্বীকার করেছে বেনারস থেকে সে এই মাদক পশ্চিমবঙ্গে সরবরাহ করার জন্য নিয়ে এসেছিল এবং এর আগে একাধিকবার সে এই কাজ করেছে। পুলিশ তার কাছ থেকে মানকর থেকে বেনারস যাওয়ার ১৯ অক্টোবরের টিকিট এবং বেনারস থেকে বর্ধমানে আসার ২০ অক্টোবরের টিকিট বাজেয়াপ্ত করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে বেনারস থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক কারবারীরা ব্রাউন সুগার সহ বিভিন্ন ধরনের উচ্চ মানের মাদক সরবরাহে যুক্ত আছে। তবে বেনারসে এই কারবারের প্রধান মাথা প্রমোদ শর্মা (৬৮) ওরফে পাপ্পু মহারাজ যাকে মাদক কারবারিরা গুরুজী নামে ডাকে সেই মাথাকে ১৩ অক্টোবর ছত্রিশগড়ের মঙ্গেলি জেলার পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর পুলিশ ভেবেছিল বেনারস থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে যাওয়া এই মাদক কারবারে রাশ টানা যাবে। কিন্তু সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দেয় তার সপ্তাহখানেকের মধ্যে বেনারস থেকে কোটি টাকারও বেশি মূল্যের ব্রাউন সুগার কাঁকসায় অজিতের নিয়ে আসার ঘটনা। গোপন সূত্রে এসটিএফ জানতে পারে ২২ অক্টোবর কোন ব্যক্তি মাদক পাচারের জন্য এই এলাকায় ঢুকবে। তাকে ধরার জন্য এস টি এফ সতর্ক থাকে এবং ২২ অক্টোবর রাতে ১ কেজি ১২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার সহ অজিতকে ধরে ফেলে। অজিতের বিরুদ্ধে কাঁকসা থানায় (কেস নম্বর ৩৫০/ ২৪, তারিখ ২২ অক্টোবর ২০২৪) এনডিপিএস এ্যাক্ট ১৯৮৫ ধারায় ২১ (সি)/ ২৯ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়। মাদকের কারবার রুখতে এই সাফল্য পুলিশের দক্ষতার প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে। অজিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে বেনারস থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত মাদক নিয়ে আসা হয়। এ রাজ্যের বহু মাদক কারবারি সরাসরি বেনারস থেকেই মাদক আনার পর এলকা ভিত্তিক এজেন্টের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে তা পৌঁছে দেয়। এখন এস টি এফ-এর বিভিন্ন দল বেনারস এবং ছত্রিশগড়ে গিয়ে মাদক কারবারিদের খোঁজে তল্লাশি জোরদার করেছে। ইতিমধ্যেই মাদক কারবারে বেনারসের অন্যতম মাথা প্রমোদ শর্মা ওরফে গুরুজীকে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর জেলার জামানিয়া থানা এলাকার লোধিপুর থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এদিকে সালানপুর থানা এলাকার বেশ কিছু অঞ্চল যেমন খুদিকা, শিরিসবেড়িয়া, চিত্তরঞ্জন ঘেঁষা কালীমন্দির এলাকা, রূপনারায়ণপুর চিতলডাঙ্গা ইত্যাদি অঞ্চলে মাদকের কারবার প্রায়শই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এখন দেখার, বেনারস সাপ্লাই লাইন বন্ধ হলে এইসব অঞ্চলে মাদকের রমরমা বন্ধ হয় কি না।@প্রান্তভূমি
পাথর আর পুঁথির মেলবন্ধনই দেশজ জ্ঞান চর্চার প্রথম সোপান-দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে বললেন ডঃ অরবিন্দ
#প্রান্তভূমি ২৫ অক্টোবর::
পাথর আর পুঁথি একসাথে মেলাতে পারলেই তা হবে আমাদের দেশজ জ্ঞান চর্চার প্রথম সোপান। তার জন্য আমাদের নদীমাতৃক সভ্যতার তীরে প্রাচীন সংস্কৃতির নিদর্শন খুঁজে বার করতে হবে, তার সাথে মেলাতে হবে প্রাচীন পুঁথি থেকে পাওয়া জ্ঞান। জানালেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক-লেখক ডক্টর অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়। চিত্তরঞ্জনে দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের সেন্টার ফর রিসার্চ এবং প্রিজারভেশন অফ কালচারাল হেরিটেজ- এর উদ্যোগে এবং অভ্যন্তরীণ গুণমান নির্ণায়ক শাখার আমন্ত্রণে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর প্রেক্ষাগৃহে প্রধান বক্তা হিসেবে ২৪ অক্টোবর তিনি উপস্থিত ছিলেন "দেশজ জ্ঞানচর্চার বহমান ধারার খোঁজে" বিষয়ক আলোচনা চক্রে। তিনি জানান ঔপনিবেশিক শাসনে আমাদের হাজার হাজার বছর আগের পুরনো সভ্যতার সুপ্রাচীন শিক্ষা ব্যবস্থা কোনঠাসা হয়ে পড়ে, নষ্ট হতে থাকে। ব্রিটিশরা আমাদের দেশীয় ধ্যান-ধারণা বদলে তাদের ধ্যান-ধারণা আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়ে যায়। আমরা তার বিচার না করেই তা অনুসরণ করছি। অথচ সুবর্ণরেখা দামোদর কাঁসাই দারকেশ্বর নদীর ধারে গড়ে উঠেছিল সমৃদ্ধ সভ্যতা। সেসব এলাকায় বাঙালি জাতির জন্মের আগে থেকে আকবরের সাম্রাজ্যকালের শেষ পর্যন্ত তামা সোনা পাওয়া যেত। ফলে মানুষ আর্থিক দিক থেকেও স্বাচ্ছন্দে ছিল। সেজন্য সভ্যতার সাথে সংস্কৃতি গড়ে উঠতে বাধা ছিল না। প্রাচীন সংরক্ষিত পুথি পাথরের মূর্তি আমাদের জানিয়ে দেয় এই অঞ্চলে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এক সভ্যতা ছিল। এখনও ধীবর ওঁরাও শ্রেণীর মানুষজন দেশীয় শিক্ষা ধারা বহন করে চলেছেন বলে অরবিন্দ বাবু উল্লেখ করেন।
এদিন স্বাগত ভাষণে মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু বলেন, উপনিবেশিক শিক্ষার চাপে পড়ে দেশীয় জ্ঞান চর্চা প্রান্তিক হয়ে পড়ে। কারণ কলেজ স্কুল সবই ছিল কলকাতা কেন্দ্রিক। তাই কলকাতা ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে এই প্রত্যন্ত অঞ্চল গুলিতে গড়ে উঠেছিল এক সমৃদ্ধ সভ্যতা, দেশীয় জ্ঞান চর্চার কেন্দ্রস্থল। এই প্রান্তিক দেশজ জ্ঞান চর্চাকে তার স্থান ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে দিয়েই দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় সেই প্রচেষ্টাই করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিন অত্যন্ত আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছিল অরবিন্দ বাবুর সংগৃহীত প্রাচীন পুঁথির প্রদর্শনী।@প্রান্তভূমি
খনি গর্ভের উদ্ধারকাজ নিয়ে প্রতিযোগিতা
#প্রান্তভূমি ২৪ অক্টোবর।।
আপৎকালীন সময়ে খনি গর্ভের বিপদসংকুল পরিবেশ থেকে কর্মীদের উদ্ধার করে আনাই খনি জীবনে বড় কর্তব্য হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই খনি কর্মীদের প্রাথমিক শিক্ষাই হলো উদ্ধার কার্যের শিক্ষা। এই শিক্ষার চলতি বছরে প্রতিযোগিতা হয়ে গেল ইসিএল-এর সীতারামপুর স্থিত মাইনস রেসকিউ স্টেশনে। ই সি এল পরিচালিত ২৩-২৪ অক্টোবর দুদিনের এই অনুষ্ঠানে প্রথম দিন ছিল মেনধেমো কলিয়ারিতে উদ্ধার কার্যের প্রতিযোগিতা, দ্বিতীয় দিন ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন হেডকোয়ার্টার্স সাঁকতোড়িয়া, সোদপুর, মুগমা, শ্রীপুর সাতগ্রাম, কুনস্তরিয়া, বাঁকোলা, কেন্দা, পাণ্ডবেশ্বর, ঝাঁঝরা, সোনপুর বাজারি, কাজোড়া সমেত ১১ টি এলাকার খনি কর্মীবৃন্দ। প্রতিযোগিতা নিরীক্ষণের জন্য প্রধান বিচারক ইরফান আহমেদ আনসারী সহ ১২ জন বিচারক উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএমডি ইসিএল সমীরণ দত্ত, ডিডিজি সীতারামপুর শ্যামসুন্দর প্রসাদ, মহম্মদ আনজার আলম ডি(এফ) ইসিএল, নীলাদ্রি রায় ডি(টি) অপারেশনস ই সি এল, বিনোদ রজক ডিএমএস রিজিয়ন ২ এবং জিএম রেসকিউ বিনেশ শর্মা প্রমুখ উচ্চতর আধিকারিক বৃন্দ। মার্চ পাস্ট এবং ড্রিলে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে কাজোড়া এরিয়া, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে যথাক্রমে বাঁকোলা এরিয়া এবং সোনপুর বাজারি এরিয়া। যেসব প্রবীণ কর্মী দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কর্মীদের উদ্ধার কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন সেই ৯ জন কর্মীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়া কাগজে-কলমে শিক্ষা (থিওরি), ফার্স্ট এইড, রিলে রেসের ক্ষেত্রে পুরস্কার পেয়েছেন কর্মীরা। অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে ওডিশি, ভরতনাট্যম ও অন্যান্য নৃত্য পরিবেশনা ছিল দর্শকদের কাছে বিশেষ পাওনা।@প্রান্তভূমি
মনোনয়ন জমা দিল সিআরএমসি
#প্রান্তভূমি ২৪ অক্টোবর::
গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে ইউনিয়নের স্বীকৃতির জন্য আজ মনোনয়ন জমা করলো চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেনস কংগ্রেস। আজ ২৪ অক্টোবর সকালে চিলড্রেন্স পার্ক থেকে বিশাল এক মিছিলের মাধ্যমে জিএম অফিসে গিয়ে পি সি পি ও অমিতাভ চৌধুরীর হাতে মনোনয়ন জমা করেন ইন্দ্রজিৎ সিং সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর সাংবাদিকদের সামনে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন, সব সময়ই তাদের ইউনিয়ন কর্মীদের লড়াইয়ের জন্য এগিয়ে এসেছে। কর্মীদের স্বার্থে কখনোই কারো সাথে তাদের ইউনিয়ন আপোষ করেনি। তাদের ইউনিয়ন সর্বভারতীয় এনএফআইআর-এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি আশা প্রকাশ করেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব দিল্লিতে করার জন্য সিআরএমসিকেই এখানকার কর্মীরা প্রধানতম ইউনিয়নের স্বীকৃতি দেবেন।@প্রান্তভূমি
ডাক্তার দেখাতে এসে অপহৃত ব্যবসায়ী, আসানসোলে ধৃত ৫ অপহরণকারী
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ অক্টোবর:: আবার অপহরণের কালো ছায়া দেখা দিল আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। আসানসোলে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সারদা পল্লী থেকে অপহরণ করা হয় ঝাড়খন্ড দেওঘরের কয়লা ব্যবসায়ী নকুল মন্ডলকে। নকুল বাবু ২০ অক্টোবর ডাক্তার সুব্রত ভট্টাচার্যের কাছে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শের জন্য এসেছিলেন। তার মা-ও ডাক্তার সুব্রত ভট্টাচার্যের চিকিৎসাতেই সুস্থ আছেন। এদিকে সারদা পল্লী থেকে সকাল ১১ টা নাগাদ তাকে একটি লাল রঙের চারচাকা গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা। যদিও নকুলের সঙ্গে থাকা তার মামা সুধীর মন্ডল এবং বন্ধু শওকত আনসারী থাকলেও তাদের অপহরণকারীরা সঙ্গে নিয়ে যায়নি। এদিকে অপহরণ করার পরেই নকুলের মাথা মুখ ঢেকে দেয় দুষ্কৃতিরা। ঘন্টা দুয়েক বাদে তারা নকুলের ফোন থেকে তার বাড়ি চিত্রা থানা এলাকার আসনবনি গ্রামে মুক্তি পন চেয়ে ফোন করে। প্রথমে ২৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করলেও নকুলের মা উষা দেবী বারবার ফোনে অপহরণকারীদের বলতে থাকেন যে এত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা তার নেই। শেষ পর্যন্ত টাকার পরিমান 10 লাখে নামিয়ে আনে অপহরণকারীরা। কিন্তু ছেলেকে কোনভাবেই ফিরে পাচ্ছেন না বুঝতে পারার পরেই উষা দেবী আসানসোল দক্ষিণ থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ বাংলা ঝাড়খণ্ডের সম্ভাব্য সমস্ত থানা এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে। পুলিশের ব্যাপক তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীরা নকুলকে বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকায় ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে পুলিশ দেওঘর সহ সম্ভাব্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি নকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তার মামা সুধীরকেও। এবং শেষ পর্যন্ত এই অপহরণ কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে কুলটি থানা এলাকার চৌরঙ্গী মোড় থেকে আজ ভোরে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। তারা হলো আসানসোল উত্তর থানা এলাকার বাসিন্দা মহঃ পারভেজ, মহঃ মেহতাব আলম, মহঃ সিরাজ এবং কুলটি থানার নিয়ামতপুর এলাকার সৌরভ কুমার।@প্রান্তভূমি
৬ দশকের লড়াই শেষে মাস পেরোলেই নির্বাচন চিত্তরঞ্জনে, মনোনয়ন জমা লেবার ইউনিয়নের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ অক্টোবর:: দিল্লির রেল বোর্ডে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করবে কোন ইউনিয়ন তা নির্ধারিত হবে গোপন ব্যালটে নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করল সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন। এজন্য আজ ২৩ অক্টোবর তারা ইউনিয়নের মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সংস্থার পিসিপিও অমিতাভ চৌধুরীর কাছে। প্রায় সাতশো রেল কর্মী শোভাযাত্রা করেন মনোনয়ন পত্র দাখিল করার সময়। ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন স্বীকৃতির এই নির্বাচনে লেবার ইউনিয়ন সহ মোট সাতটি ইউনিয়ন সামিল হতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত যেসব ইউনিয়ন মনোনয়ন দাখিল করবে তারা এই নির্বাচনে অংশ নেবে। ৩০ টি বুথে ভোট দেবেন মোট ৭৪১২ জন রেলকর্মী ভোটার। আজ লেবার ইউনিয়নের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক বংশ গোপাল চৌধুরী, প্রাক্তন লেবার ইউনিয়ন নেতা নির্মল মুখার্জি সহ অন্যান্যরা। এই নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা এবং লেবার ইউনিয়নের লড়াইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বক্তারা। ইউনিয়নের সভাপতি আরএস চৌহান বলেন লেবার ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোন ইউনিয়নের নৈতিক অধিকার নেই এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে। সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন তারাই এই নির্বাচনে জয়ী হবেন এবং চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন দিল্লিতে। বক্তারা বলেন সিএলডব্লুতে ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৬৮ সালে ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। তারপর লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গেছে লেবার ইউনিয়ন। আন্দোলনের চাপেই ১৯৯৬ সালে প্রথম স্টাফ কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরপরও ইউনিয়নের স্বীকৃতিকেই পাখির চোখ করে বাম সাংসদ বিকাশ চৌধুরী, বাসুদেব আচারিয়া সহ অন্যরা সংসদে বিষয়টি তোলেন। রেলমন্ত্রীর কাছে বারবার দরবার করেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ কোন কিছুতেই কর্ণপাত না করায় 2012 সালে লেবার ইউনিয়ন আদালতের দ্বারস্থ হয়। দীর্ঘ লড়ায়ের পর ২০১৭ সালে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ইউনিয়নের স্বীকৃতির দাবীকে মান্যতা দেন হাইকোর্ট। যদিও সেই রায়ের বিরুদ্ধে সিএলডব্লু কর্তৃপক্ষ ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন 2019 সালে। ডিভিশন বেঞ্চও ওই রায় বহাল রাখলে সিএলডব্লু ২০১৯ সালেই সুপ্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্টও হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রাখেন। শেষমেষ প্রায় ৬০ বছরের লড়াই শেষে এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের দিন ঘোষিত হয়। এদিকে এই নির্বাচনে প্রতীক হিসেবে লেবার ইউনিয়নকে তারা চিহ্নটি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন লেবার ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ।@প্রান্তভূমি
মর্মান্তিক ঘটনা চিত্তরঞ্জনে, কোয়ার্টার্স থেকে উদ্ধার গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ অক্টোবর:: মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল চিত্তরঞ্জন রেল শহরে। শহরের ৩৫ নম্বর রাস্তার বাসিন্দা রেল কর্মী গৌরাঙ্গ আঠার স্ত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তাদের কোয়ার্টার্স থেকে। মৃতার নাম রঞ্জিতা আঠা ( ৪৬)। জানা গেছে সিএলডব্লু কর্মী গৌরাঙ্গ বাবু আজ ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩ঃ৫০ নাগাদ কোয়ার্টার্সে ফিরে তার স্ত্রীকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে ভেজানো দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে কোয়ার্টার্স সংলগ্ন একটি ঘরের পাইপ থেকে গামছা এবং ওড়না গলায় জোড়ানো অবস্থায় রঞ্জিতা দেবীকে দেখতে পান। এরপর তাকে কেজি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, গৌরাঙ্গ বাবুর দুই কন্যা। একজন পিঠাকিয়ারী গ্রামীণ হাসপাতালের নার্স, অন্যজন কলকাতায় পাঠরতা। আকস্মিক এই ঘটনায় একেবারে শোকে বিহ্বল সমগ্র পরিবার। ঘটনার অভিঘাতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন কন্যা শ্রেয়া। সংবাদ পেয়েই পিঠাকিয়ারি হাসপাতালের নার্স এবং অন্যান্য কর্মীরা সেখানে পৌঁছেছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে ২০১৪ সাল থেকে রঞ্জিতা দেবী মানসিক অবসাদের শিকার হন। সেজন্য নিয়মিত ওষুধও খেতে হতো তাকে। তবে, স্বামী কন্যাদের নিয়ে তার সুখের সংসার ছিল। তাই এত বড় অঘটন ঘটে যাবে তা তারা কেউই কল্পনা করতে পারছেন না।@প্রান্তভূমি
জাতীয় সড়কে ইলেকট্রনিক্স স্কুটি নিয়ে যাওয়ার সময় প্রাণ গেল চালকের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ অক্টোবর:: জাতীয় সড়কে ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রনিক্স স্কুটি চালানো যে কি ভয়ঙ্কর প্রাণ দিয়ে তার প্রমাণ দিলেন বছর বাহান্নর এক ব্যক্তি। আজ, ২৩ অক্টোবর দুপুর বারোটা নাগাদ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুর্গাপুরের দিকে যাচ্ছিলেন এগরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা সমরচন্দ্র গরাই। গাড়ি চালাতে চালাতে তিনি জাতীয় সড়কের মাঝ বরাবর চলে আসেন। সেসময় বহরমপুরগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই স্কুটি গাড়ি দুমড়ে মুচড়ে যায়। মৃত্যু হয় স্কুটি চালকের। স্থানীয়দের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে পুলিশ সেখানে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। আটক করে বাসটিকে। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে - জাতীয় সড়কে ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রনিক্স স্কুটি চালানো কতটা নিরাপদ!@প্রান্তভূমি
ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে চরম প্রতিদান দিতে হল বিবাহিত মহিলাকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ অক্টোবর:: ফেসবুকের বন্ধুকে বিশ্বাস করে চরম প্রতিদান দিতে হল বিবাহিত মহিলাকে। নিজের সম্মান বাঁচাতে ধাপে ধাপে তিনি ঐ যুবককে একটি কাফে থেকে ২৮ হাজার টাকা পাঠিয়েও রেহাই পান নি। শেষ পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার গয়না ক্যাশমেমো সমেত তার কাছে পাঠিয়ে দেন। এর পরও নিষ্কৃতি না পাওয়াই সর্বস্ব খুইয়ে ঐ গৃহবধূ শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরো বিষয়টি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যদেরও। এমনই কাণ্ড ঘটেছে সালানপুর ব্লক লাগোয়া বারাবনি ব্লকের কাপিষ্টা এলাকায়। এখানকার ঐ মহিলার সাথে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হয় অপরিচিত ব্যক্তি সজল কুমারের। বন্ধুত্ব গভীর হতেই সজল ঐ মহিলার বিভিন্ন ছবি ফেসবুক থেকে নিয়ে সেগুলিকে এডিট করে নগ্ন ছবিতে পরিবর্তিত করে দেয়। এরপর সেই নগ্ন ছবিগুলি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মহিলার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে থাকে। ঐ মহিলা বারাবনি থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন 2022-23 সাল থেকে ফেসবুকে অপরিচিত সজল কুমারের সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কিন্তু কিছুদিন আগে সজল তাকে জানায় যে তার ছবিগুলি সে ফেসবুক থেকে নিয়ে নগ্ন ছবিতে পরিবর্তিত করেছে, টাকা না পেলে সেগুলিকে সে ভাইরাল করবে । সম্মানের ভয়ে কাপিষ্টা এলাকার রঞ্জিত গরাইয়ের একটি কাফে থেকে কয়েক ধাপে সজলের একাউন্টে তিনি ২৮ হাজার টাকা পাঠান। এরপরও সজল তার পিছু না ছাড়ায় শেষ সম্বল গয়না পর্যন্ত তার কাছে পাঠিয়ে দেন। এরপরও টাকা চেয়ে ভয় দেখানোর খেলা চলতে থাকলে তিনি বাড়ির লোককে সবকিছু খুলে বলেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বারবার সতর্ক করে যে, ফেসবুকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির সাথে বন্ধুত্ব না করতে। কিন্তু তাতে কেউ কান দেন না। যদিও শেষ পর্যন্ত অসুবিধায় পড়লে সেই পুলিশের কাছেই অভিযোগ নিয়ে যেতে হয়। এই ঘটনায় পুলিশ দ্রুত তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন থেকে ছুটলো অমৃত ভারত ট্রেনের জন্য সর্বাধুনিক এ্যরোডাইনামিক ইঞ্জিন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ অক্টোবর:: বাতাসের বাধাকে অত্যন্ত মুন্সিয়ানার সঙ্গে কাটিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে চলবে অ্যারোডাইনামিক বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন। উচ্চমানের এই ইঞ্জিন ব্যবহৃত হবে অমৃত ভারত ট্রেনে। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা এবার এই ধরনের ইঞ্জিন উৎপাদন শুরু করেছে। যার প্রথম জোড়া ডব্লু এ পি - ৫ এ্যরোডাইনামিক বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলেন সংস্থার মহাপ্রবন্ধক হিতেন্দ্র মালহোত্রা। তবে, চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার সমস্ত বিভাগের অবদান এই যে তারা এখন চালু থাকা ডব্লু এ পি-৫ ইঞ্জিনেরই প্রযুক্তিগত উন্নতি ঘটিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের এ্যরোডাইনামিক ইঞ্জিনে উন্নীত করছেন। পুশ-পুল পদ্ধতির এই ইঞ্জিনের এক দিকে থাকবে বাতাসের বাধা কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সুবিধাযুক্ত এ্যরোডাইনামিক ক্যাব। চলতি আর্থিক বছর ২০২৪-২৫ এ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ৫৫ জোড়া এই ধরনের পরিবর্তিত ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। তারই প্রথম জোড়াটির আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো 18 অক্টোবর। এই ইঞ্জিনের সঙ্গে ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরির উৎপাদিত এল এইচ বি রেক লাগিয়ে অমৃত ভারত ট্রেনে ছোটানো হবে। বাতাসের বাধা কাটাতে বিমানে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় এক্ষেত্রেও সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে সিএলডব্লু। নতুন ধরনের এই ইঞ্জিনে বহু রকম সুবিধার মধ্যে থাকছে রেল ইঞ্জিন থেকেই উৎপাদিত বিদ্যুতে ট্রেনের আলো পাখা এসি প্যান্ট্রি কার সহ অন্যান্য কাজ চালানোর সুবিধা। পুরনো ডব্লু এ পি-৫ ইঞ্জিনকে সর্বাধুনিক এ্যরোডাইনামিক ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করতে পারার ফলে ভারতীয় রেলের কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
.
.
তিলোত্তমার মৃত্যুকে ঘিরে রাজনীতির রুটি সেঁকছে বিরোধীরা-তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনে বললেন দেবাংশু
#প্রান্তভূমি ১৯ অক্টোবর::
দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনীতির রুটি সেঁকছে বিরোধী দল। বিশেষত সিপিআইএম - এই ভাষাতেই তার বক্তব্যের সুর বাঁধলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র তথা আইটি সেলের সভাপতি দেবাংশু ভট্টাচার্য। ১৯ অক্টোবর হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে প্রধান বক্তা হিসেবে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আমন্ত্রণে তিনি এসেছিলেন। মঞ্চে উঠে সৌহার্দ্য বিনিময়ের পরই তিনি তিলোত্তমার দুঃখজনক মৃত্যু এবং তাকে কেন্দ্র করে ডাক্তারদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ইন্ধনের বিষয়টির সূত্রপাত করেন। তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝিয়ে দিচ্ছিল ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে দিন প্রতিদিন টেলিভিশনে আলোচনা সভা, সাক্ষাৎকার ইত্যাদির ফলে মানুষের মনে যে দোলাচল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেই অবস্থা থেকে তিনি সাধারণ মানুষকে নি:সংশয় করতে বদ্ধপরিকর। দেবাংশু বাবু বলেন প্রত্যেক নির্বাচনের আগে বিরোধীরা জিগির তোলে এবং এমন অপপ্রচার করে যেন এখনই সরকার পড়ে যাবে। তার জন্য তারা মিথ্যা ইস্যুও তৈরি করে, যা ভিত্তিহীন। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আরও বেশি আসনে জয়লাভ করে। ২০১১ সালে বিধানসভায় তৃণমূল পেয়েছিল ১৮৪ টি আসন, এরপর ২০১৬ এবং ২০২১- এর নির্বাচনে যথাক্রমে পেল ২১১ এবং ২১৫ টি আসন। এইভাবে যত অপপ্রচার, ততো তৃণমূল লাভবান হয়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদীজি বলেছিলেন - অব কি বার ৪০০ পার। বিজেপির স্থানীয় নেতারা ভেবেছিলেন বাংলায় এবার বিজেপি রাজত্ব করবে, কিন্তু কি হলো?
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ডাক্তারদের বিদ্বেষ প্রসঙ্গে দেবাংশু বলেন, ২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী একবার সমস্ত বড় বেসরকারি হাসপাতালের প্রধানদের ডেকে সর্বসমক্ষে বলেছিলেন বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম গুলির বিল কিভাবে বেড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হয়? এই প্রবণতা না কমালে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবেন? এছাড়াও সমস্ত ওষুধের নাম জেনেরিক ভাবে লেখা, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদির ফলে বহুজাতিক সংস্থার প্রধানদের ও কিছু ডাক্তারের বিরাগ ভাজন হয়েছেন তিনি। তার যুক্তি - সারা দেশে ৯০ হাজার নথিভুক্ত ডাক্তার আছেন, তার মধ্যে মাত্র ১০ হাজার ডাক্তার মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। কলকাতা পুলিশ দুর্ভাগ্যজনক ঐ ঘটনায় ১২ ঘণ্টার মধ্যে যে একজনকে গ্রেফতার করেছিল তাতেই সিবিআই সিলমোহর দিয়েছে। মোকদ্দমা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তাহলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কিসের আন্দোলন?
অন্যদিকে নামে বিজয়া সম্মেলন হলেও এদিল মূলত ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চ্যাটার্জি, বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আরমান। বুথ স্তর থেকে তারা কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান। বিগত লোকসভা নির্বাচনে ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের ফল খারাপ হওয়ায় খেদ প্রকাশ করেন তারা।সভা সঞ্চালনা করেন তাপস উকিল। সম্মেলনে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।@প্রান্তভূমি
জার্মানির আন্তর্জাতিক বইমেলায় বক্তব্য রাখলেন রূপনারায়ণপুরের দেবায়ন
#প্রান্তভূমি ১৮ অক্টোবর::
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখলেন রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র দেবায়ন চট্টোপাধ্যায়। আজ বইমেলার মঞ্চে তিনি ছিলেন মুখ্য বক্তা এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালক। তার সঙ্গে বক্তা হিসেবে ছিলেন ডক্টর নবদীপ সিং সিধু, চয়ন মুন্সি। একজন স্কলার ও প্রবাসী ভারতীয় হিসেবে জার্মানির শিল্প সংস্কৃতিতে যে ভূমিকা তারা পালন করছেন সেই বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত ও জার্মানির বহুদিনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদান-প্রদানের বিষয়গুলিকে এদিন উল্লেখ করেন দেবায়ন। এত বড় মঞ্চে বক্তব্য রাখতে পেরে দেবায়ন তৃপ্ত বলে তার প্রতিক্রিয়ায় প্রান্তভূমিকে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, দেবায়ন এই সুযোগ যে পেয়েছেন সেই সংবাদ সর্বপ্রথম প্রান্তভূমিতে এর আগেই প্রকাশিত হয়েছে। দেবায়নের বাবা দেশবন্ধু পার্কের বাসিন্দা সাহিত্যিক ডক্টর অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট-এর একজন খ্যাতনামা লেখক ও পূর্বাঞ্চলীয় উপদেষ্টা।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুর পুলিশের উদ্যেগে যাত্রাপালা ফিরছে কেবলস মাঠে
#প্রান্তভূমি ১৮ অক্টোবর::
এবার কালীপুজো উপলক্ষে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি গ্রাম রক্ষী বাহিনীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে যাত্রাপালা। এছাড়াও কালীপুজো দীপাবলিকে কেন্দ্র করে ফাঁড়ি প্রাঙ্গনে বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নরনারায়ণ সেবা ইত্যাদির আয়োজন যথারীতি করা হবে। এ বিষয়ে আজ ১৮ অক্টোবর ওসি নাসরিন সুলতানার পরিচালনায় এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে। বৈঠকে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, কালীপুজো কমিটির সভাপতি রমেশ কুমার পান্ডে, সমাজকর্মী ভোলা সিং, সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, অভয় মন্ডল, তপু তেওয়ারি, কুন্তল দে, চিত্ত মাজি, গনেশ পন্ডিত, রবীন সিনহা সহ স্থানীয় অঞ্চলের বিশিষ্টজনেরা ও সংশ্লিষ্ট সকলে অংশ নেন। ওসি শ্রীমতি সুলতানা বলেন সমস্ত নিয়ম কানুনের মধ্যে থেকে উৎসব উদযাপন করতে হবে। সকলেই এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। উল্লেখ্য, গত বছর খ্যাতনামা সঙ্গীত শিল্পী অর্পিতা চক্রবর্তী তার গানে মাতিয়েছিলেন এই এলাকা। এবার মানুষের চাহিদাকে মাথায় রেখে হিন্দুস্তান কেবলস ফুটবল ময়দানে যাত্রাপালার আয়োজন করা হবে। ১৩ নভেম্বর বুধবার সন্ধা সাড়ে ছ'টায় কলকাতার খ্যাতনামা দল রবীন্দ্রভারতী অপেরা পরিবেশন করবে "কে ঘোরাবে ভাগ্যের চাকা মানুষ না টাকা?" যাত্রাপালা । উপভোগ্য এই যাত্রাপালা যাত্রামোদীরা সম্পূর্ণ বিনা ব্যয়ে দেখতে পাবেন। কালীপুজো উপলক্ষে ৩ নভেম্বর রবিবার ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে বলে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।@প্রান্তভূমি
নার্সদের বিক্ষোভে উত্তাল চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতাল
#প্রান্তভূমি ১৮ অক্টোবর::
সকাল থেকে বিক্ষোভে উত্তাল হল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার প্রধানতম চিকিৎসা কেন্দ্র কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতাল। চুক্তিভিত্তিক কর্মরত নার্সেরা এই বিক্ষোভে সামিল হন। তাদের অভিযোগ প্রায় দু বছর ধরে তারা এখানে কাজে নিযুক্ত থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে নতুন ভাবে অন্য জায়গা থেকে তাদের জায়গায় নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের দাবি, প্রথমে তাদের সুযোগ দিতে হবে - এরপর প্রয়োজনে নতুন প্রার্থীদের কাজে নিতে হবে। সকাল ১০ টা থেকে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেই বেলা প্রায় একটা নাগাদ সেখানে পৌঁছান সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। তার কাছে অভিযোগ আসে যে, নতুন এজেন্সি প্রার্থীদের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ঘুষ নিয়ে তাদের কাজে বহালের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ইন্দ্রজিৎ বাবু হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিক রাজকুমার মুখার্জির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শ্রী সিং বলেন যারা এখন নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন তাদের বিষয়ে কোনো দায়িত্ব কেজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিতে চাইছেন না; কিন্তু প্রায় দু লক্ষ টাকা করে দিয়ে নতুনদের চাকরিতে ঢোকানোর যে অভিযোগ উঠেছে তা লিখিতভাবে দিলে বিষয়টি তদন্ত করে সত্যাসত্য প্রমাণের পর তিনি নতুন এজেন্সিকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২২- ২৩ এবং ২৩-২৪ আর্থিক বর্ষের জন্য বহু চুক্তিভিত্তিক নার্স কেজি হাসপাতালে কাজ করছেন। এবার পুরনো এজেন্সিকে বাতিল করে নতুন এজেন্সিকে ২৬ জন স্টাফ নার্স সহ ফার্মাসিস্ট, ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট/এ্যটেনডেন্ট, ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট, হেলথ এন্ড ম্যালেরিয়া ইন্সপেক্টর, ফিজিওথেরাপিস্ট ইত্যাদি পদে প্রায় ৩৬ জনকে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য কয়েক কোটি টাকার টেন্ডার পেয়েছে উত্তরপ্রদেশের একটি এজেন্সি। সেই এজেন্সির দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতার এজেন্ট চিত্তরঞ্জন অঞ্চলে পেটি এজেন্টদের দায়িত্ব দিয়েছে এ বিষয়টি দেখাশোনা করার জন্য। অভিযোগ উঠেছে সেই এজেন্টরা পুরনোদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে নতুনদের নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কর্মরত নার্সদের দাবি তারা নতুনভাবে নিয়োগের বিষয়ে আগে কিছুই তাদের জানানো হয় নি, তাদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে নতুনদের এখানে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু দু বছর কাজ করার পরও তাদের কেন বাতিল করা হচ্ছে নতুন এজেন্সির কাছে সেই প্রশ্ন রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তারা বলেছেন আগে তাদের বহাল রাখতে হবে, প্রয়োজন হলে তারপর নতুনদের নিযুক্তি দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত এজেন্সির কারও সাথে যোগাযোগ করা যায়নি।@প্রান্তভূমি
মালবহালের অরুণা ভারতীয় ফুটবল দলে:: নামছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ অক্টোবর।। নেপালে অনুষ্ঠিত সাফ গেমস ফুটবলে ভারতীয় দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন মালবহাল-এর অরুণা। নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে সাফ গেমসের ফুটবল খেলা হচ্ছে। ১৭ অক্টোবর ভারত আর পাকিস্তানের খেলা। ভারতের জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড় অরুণা বাগ। অরুণা মালবহাল এম আর বি সি-র প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সালানপুর ব্লকের মালবহালে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েদের ফুটবল খেলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন সঞ্জীব বাউরী। আর্থিক ভাবে দুর্বল অথবা আদিবাসী মেয়েদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে রাজ্য ও জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসাবে সঞ্জীববাবুর এম আর বি সি-র (মালবহাল রয়েল বেঙ্গল ক্লাব) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেয়েরা সুযোগ পেয়েছে। অরুণা বাগ-ও এই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। এখন তিনি জাতীয় দলের খেলোয়াড়। সাফ গেমসে পাকিস্তানের সঙ্গে খেলার পর ২৩ অক্টোবর ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। অরুণার সাফল্য মালবহালকে গৌরাবান্বিত করুক এটাই চাইছেন সঞ্জীববাবু। @প্রান্তভূমি
.
.
জার্মানির বইমেলায় ভারতের প্রতিনিধি রূপনারায়ণপুরের যুবক
#প্রান্তভূমি ১৩ অক্টোবর::
জার্মানির আন্তর্জাতিক ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় ভারতবর্ষের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখার আমন্ত্রণ পেলেন রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র দেবায়ন চট্টোপাধ্যায়। দেবায়ন গত দুবছর ধরে জার্মানিতে বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণায় রত আছেন। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় ইন্ডিয়া ন্যাশনাল স্ট্যান্ড-এ ১৮ অক্টোবর দেবায়ন মুখ্য বক্তা এবং অনুষ্ঠানের প্রধান হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রবাসী ভারতীয়দের জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা এবং সে দেশের শিল্প সংস্কৃতিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান সম্বন্ধে দেবায়ন বাবু বক্তব্য রাখবেন। প্যানেল বক্তাদের মধ্যে তিনিই মুখ্য বক্তা হিসেবে ওই অধিবেশন এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে ভারত সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। একজন ভারতীয় স্কলার হিসেবে জার্মানিতে তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার পাশাপাশি আসন্ন নতুন দিল্লি আন্তর্জাতিক বইমেলার প্রসারে দেবায়ন বাবু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন বলেও জানা গেছে। ভারত এবং জার্মানির সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলার এই অধিবেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট মহল সূত্র জানা গেছে। উল্লেখ্য, বিশিষ্ট লেখক গবেষক অধ্যাপক ডক্টর অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায়ের সুযোগ্য পুত্র দেবায়ন রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুল থেকে পাশ করার পর রাঁচির সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং পরবর্তী সময়ে খড়গপুর আইআইটিতে পড়াশোনা করে উচ্চতর ডিগ্রি ও গবেষণার জন্য জার্মানিতে চলে যান। এবার বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার পাশাপাশি ভারতবর্ষের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগও এসে গেল তার সামনে । ন্যাশনাল বুক ট্রাস্ট সূত্রে জানা গেছে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় "উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া" শীর্ষক বিভিন্ন বক্তব্য-সভার আয়োজন করেছে ভারতবর্ষের শিক্ষা মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থা। সেগুলি অনুষ্ঠিত হবে বইমেলার ইন্ডিয়া ন্যাশনাল স্ট্যান্ডে। সেখানেই ১৮ অক্টোবর সকাল ১১ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত যে অধিবেশন চলবে তাতে প্রধান বক্তা এবং সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেবায়ন চট্টোপাধ্যায়। এই সম্মান ডিএভি স্কুল তথা রূপনারায়ণপুর সহ সমগ্র শিল্পাঞ্চলের মানুষের কাছে বিশেষ গৌরবের।@প্রান্তভূমি
ব্লক-সেরা তিন পুজো পুরস্কৃত বিডিও অফিসে
প্রান্তভূমি ১২ অক্টোবর::
পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক মুক্ত পরিচ্ছন্ন পুজোর আয়োজন করে সালানপুর ব্লকের তিনটি পুজো কমিটি অন্যান্যদের টেক্কা দিল। সালানপুর ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েত সমিতি এলাকার মধ্যে যেসব পুজো আয়োজিত হয়েছে সেগুলির মধ্যে বিচার করে এই পুরস্কার আজ তুলে দেওয়া হলো সালানপুর বিডিও অফিসে। সার্বিক বিচারে সালানপুর ব্লকের মধ্যে প্রথম হয়েছে রূপনারায়ণপুর দুর্গা মন্দির পুজো কমিটি, দ্বিতীয় দেশবন্ধু পার্ক সর্বজনীন পুজো কমিটি এবং তৃতীয় বনজেমারি কোলিয়ারি পুজো কমিটি। আজ বিকেলে পুজো কমিটিগুলির পক্ষে উত্তম ঘোষ, নিলয় সেনচৌধুরী, নরেন্দ্র সিং প্রমুখের হাতে পুরস্কার এবং শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এগুলি তুলে দেন বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা। পুরস্কারগুলি তুলে দিয়ে বিডিও শ্রী বিশ্বাস বলেন পরিবেশ সচেতনতায় আগামী দিনে যাতে ব্লকের পুজো উদ্যোক্তারা আরও যত্নবান হন সেই বিষয়ে উৎসাহ দিতেই তারা এই পুরস্কার দেওয়া শুরু করলেন। তার আশা প্লাস্টিক মুক্ত স্বচ্ছতার বার্তাবাহী পরিবেশবান্ধব প্যান্ডেল তৈরিতে এই ব্লক রাজ্যকে ইতিবাচক পথ দেখাবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্লক ইনফরমেশন অফিসার শুভাশিস রায়।@প্রান্তভূমি
অষ্টমীর রাত চিত্তরঞ্জনে প্রাণ নিল যুবকের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ অক্টোবর:: অষ্টমীর রাত চিত্তরঞ্জনে কেড়ে নিল যুবকের প্রাণ। এই রাতে বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বিএসসি নার্সিং পড়ুয়া যুবক অভিষেক হেমব্রমের (২৫)। তার সঙ্গী ভৈরব মন্ডল (২৪) গুরুতর জখম অবস্থায় এখন দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত অভিষেকের বাবা আলিজার হেমব্রম চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ১৬ নম্বর শপের কর্মী। তিনি জানান গত রাতে অভিষেক তার বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বের হয়েছিল। রাত প্রায় সওয়া একটা নাগাদ তার মা ফোনে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরার কথা বললে অভিষেক জানায় তারা বাড়ি ফেরার পথেই আছে। সেই শেষ কথা। এরপর রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ তারা জানতে পারেন চিত্তরঞ্জন আর সেভেন বাজার সংলগ্ন ৩৭ নম্বর রাস্তার কাছাকাছি রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছে তাদের ছেলে। চিত্তরঞ্জন পুলিশ এবং আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে চিত্তরঞ্জন থেকে রূপনারায়ণপুরমুখী রেললাইনে তাদের বাইক ছিটকে পড়ে। টহলদারি পুলিশ এবং স্থানীয় মানুষজন তাদের অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে কেজি হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে অভিষেককে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত ভৈরব মন্ডলকে কেজি হাসপাতাল থেকে মিশন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আরপিএফ টাউন পোস্ট এবং চিত্তরঞ্জন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখে। একসময় চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বাসিন্দা আলিজার বাবু মিহিজামের বদলিগড়ে বাড়ি করে উঠে গেছেন। আহত ভৈরব মন্ডলেরও বাড়ি মিহিজাম আম্বেদকর নগরে। জানা গেছে অভিষেক তার পালসার বাইক (নম্বর জে এইচ ২১ এল ০১৮৪) চালাচ্ছিল। অভিষেক দেওঘরে বিএসসি নার্সিং পাঠরত ছিল। চিত্তরঞ্জন কনভেন্ট স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রের এই মর্মান্তিক মৃত্যুর সংবাদ পেয়েই আজ ১২ অক্টোবর
সকালে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা তার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানান। অভিষেকের এক বোন আছে।@প্রান্তভূমি
.
.
ছয়ের পল্লীর হাত ধরে জেলা-সেরার সম্মান এলো চিত্তরঞ্জনে
#প্রান্তভূমি ১০ অক্টোবর:: পশ্চিম বর্ধমান জেলায় #সর্বশ্রেষ্ঠ মণ্ডপ সজ্জার জন্য পুরস্কৃত হল চিত্তরঞ্জন ৬-এর পল্লী পুজো কমিটি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মান পুরস্কারে ভূষিত করা হলো শিল্পাঞ্চলের অন্যতম এই পুজোকে। এরই সঙ্গে সর্বশ্রেষ্ঠ মন্ডপ বিভাগে দুর্গাপুরের মার্কনি দক্ষিণ পল্লী পূজা কমিটি এবং দুর্গাপুরের বুদ্ধ বিহার সর্বজনীন দুর্গোৎসব সম্মিলনীকে সম্মানিত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট বারোটি পূজা কমিটিকে বিভিন্ন বিভাগে সেরার সম্মান দেওয়া হয়েছে সরকারের উদ্যোগে। ৯ অক্টোবর আসানসোলে এডিডিএ কনফারেন্স হলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা শারদ সম্মান -২০২৪ পুরস্কার প্রদান করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (হেডকোয়ার্টার্স) অরবিন্দ আনন্দ, অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পাল, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন আধিকারিক। সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিমা, সর্বশ্রেষ্ঠ প্যান্ডেল, সর্বশ্রেষ্ঠ পূজা এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সচেতনতার বার্তা বহনকারী কমিটিগুলিকে পুরস্কৃত করা হয়। এবছর #সর্বশ্রেষ্ঠ পূজা দুর্গাপুর চতুরঙ্গ পূজা কমিটি, আসানসোল আপকার গার্ডেন দুর্গাপূজা কমিটি এবং বার্ণপুর রাধানগর রোড অ্যাথলেটিক ক্লাব। #সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিমা দুর্গাপুরের অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদ, আসানসোল কল্যাণপুর আদি দুর্গাপূজা এবং দুর্গাপুরের নবারুণ দুর্গাপূজা কমিটি। #সর্বশ্রেষ্ঠ সমাজ সচেতনতা বিভাগে গোপালপুর ইউনাইটেড ক্লাব, রাজবাড়ি মোড় সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবং ডুমুরতলা সর্বজনীন দুর্গাপুজোকে পুরস্কৃত করা হয়। এই উপলক্ষে জেলাশাসক পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমস্ত অধিবাসীকে দুর্গোৎসবের শুভকামনা জানানোর পাশাপাশি প্রার্থনা করেন যাতে সকলের জীবন আলোকময় হয়ে ওঠে।@প্রান্তভূমি
দায় এড়ালো বন দপ্তর::ষাঁড় উদ্ধারে এগিয়ে এলো মানবিক পুলিশ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ অক্টোবর:: রাত থেকে একটি অশক্ত ষাঁড় অত্যন্ত ব্যস্ত রাস্তা চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রোডের উপর রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ের কেন্দ্রস্থলে পড়ে ছিল। বিষয়টি জানার পরেও বন বিভাগ এবং ব্লক প্রশাসন রাস্তার মাঝে পড়ে থাকা ওই ষাঁড়টিকে সরানোর উদ্যোগ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রায় ১২ ঘণ্টা পর রূপনারায়ণপুর পুলিশ স্থানীয় পথচারী, গাড়িচালক এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় তাকে অন্যত্র তুলে নিয়ে গেল। এ বিষয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশের আধিকারিক সুশীল কিস্কু, কর্মী বিকাশ বাদ্যকর, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান অসীম ঘোষ সহ অন্যান্যরা এগিয়ে আসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ব্যস্ততম এই রাস্তায় পড়ে থাকা ষাঁড়ের জন্য ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল, যে কোন মুহূর্তে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কোনক্রমে আজ বেলা প্রায় বারোটা নাগাদ সেটিকে গাড়িতে তুলে হিন্দুস্তান কেবলস কারখানার গেটের কাছে নিরিবিলিতে গাছের নিচে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দ্রুত অসুস্থ এই ষাঁড়ের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে প্রান্তভূমির পক্ষ থেকে বিষয়টি রূপনারায়ণপুরে বন বিভাগের রেঞ্জার তমালিকা চন্দকে জানালে তিনি বলেন গৃহপালিত পশুর উদ্ধারে তাদের বিশেষ ভূমিকা নেই, এ বিষয়ে ব্লক প্রশাসন উদ্যোগ নিতে পারে। অন্যদিকে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন রাস্তায় পড়ে থাকা ষাঁড় উদ্ধারে তাদের দপ্তরের পারদর্শিতা নেই। ফলে একে রাস্তা থেকে সরানোর প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ষাঁড়টির করুণ অবস্থা দেখে মানবিক পুলিশ এগিয়ে এলো।@প্রান্তভূমি
.
.
দুর্গাপুর লুট-কাণ্ডে রূপনারায়ণপুর থেকে ধৃত আরও ২:: উঠে আসছে চিতলডাঙার পরিচিত নামও
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ অক্টোবর:: পৃথ্বীরাজ গ্যাংয়ের আরো দুই অভিযুক্ত রূপনারায়ণপুর থেকে ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন আছড়ায় হলেও অন্যজন উত্তর প্রদেশ গোরক্ষপুরের বানিয়াপুর থানা এলাকার বানিয়াপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ জাল বিছিয়ে এদের রূপনারায়ণপুর থেকে পাকড়াও করে। এদের মধ্যে আছড়ার বাসিন্দা অগাস্টিন মেসি ওরফে অনু মেসি রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন চিতলডাঙ্গার এক অতি পরিচিত ব্যক্তির আত্মীয়। অন্যদিকে গোরক্ষপুরের বাসিন্দা জয়েস যাদব পৃথ্বীরাজ গ্যাংয়ের অন্যতম সহযোগী বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। আগেই প্রান্তভূমিতে প্রকাশিত হয়েছে এরা নকল সোনা কম দামে বিক্রির ফাঁদ পাততো এবং সেই নকল সোনা বিক্রির পর নকল পুলিশ, ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার সেজে ক্রেতার কাছ থেকে তা আবার লুট করে নিত। এদের মধ্যে একজন চার্চের ফাদার সেজে পুরুলিয়া থেকে নকল সোনা এই অঞ্চলে নিয়ে আসতো বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ৫ অক্টোবর ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তুলে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই দুজনকে ধরে ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা দুর্গাপুর লুট কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা হল ১২। তবে পুলিশ এই ঘটনার মূল মাথা রূপনারায়ণপুর ফকরাডির পৃথ্বীরাজ অসওয়াল, রূপনারায়ণপুর হঠাৎ কলোনির অজয় দাস এবং মিহিজামের প্রদীপ রজককে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের জয়েস যাদবের মোবাইল ফোন তল্লাশি করে তাতে বিভিন্ন প্রকার সোনার গয়নার ছবি এবং বিভিন্ন লোকের কাছে সেই সব ছবি পাঠানোর তথ্য উদ্ধার করেছে। পৃথ্বীরাজ গ্যাংয়ের লোক ঠকানো কারবারের মধ্যে নকল সোনার কারবারও অন্যতম ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। দুর্গাপুর লুককাণ্ডে পৃথ্বীরাজ এবং তার সহযোগীরা ফেরার হয়ে যাওয়ার পর গোরক্ষপুরের জয়েসের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিষয়টি যাচাই করার জন্য জয়েস রূপনারায়ণপুরে অনু মেসির সাথে দেখা করতে আসে। এ সময়ে পুলিশ জাল ফেলে তাদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়। অন্যদিকে রূপনারায়ণপুর অঞ্চল থেকে ধৃত রাজু দত্তকে দ্বিতীয়বারের জন্য হেফাজতে নেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে রাজুর কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের একাধিক পাস বই ছিল। রাজু গরীব এবং দেহাতি শ্রমিকদের নামে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করত। সেই সব একাউন্টের মাধ্যমে বড় অংকের টাকার লেনদেন হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। উল্লেখ্য, এই রাজু দত্তই পৃথ্বীরাজ এবং অজয় দাসকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে এসেছিল এবং লুট কাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটি ডিএভি স্কুলের পাশে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল।@প্রান্তভূমি
.
.
.
.
রাত থেকে রূপনারায়ণপুরে পুলিশের অভিযান:: পাকড়াও ২::যোগ পৃথ্বীরাজ গ্যাংয়ের
#প্রান্তভূমি ৪ অক্টোবর::
নকল ফাদার সেজে পুরুলিয়া এবং ভিন রাজ্য থেকে বিশেষ ধরনের সোনা নিয়ে এসে ক্রেতাদের ঠকানোর বিশাল চক্রকে ধরে ফেলল রূপনারায়ণপুর পুলিশ। গতকাল ৩ অক্টোবর রাত প্রায় সওয়া ১০ টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর রেল লাইন সংলগ্ন দুর্গা মন্দির রোড থেকে ২ দুষ্কৃতিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে একজন রূপনারায়ণপুর ও অন্যজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এদিকে এদের হাতে পাওয়ার সূত্রেই পুলিশ আরও এক রহস্যের উদঘাটন করতে চলেছে। পৃথ্বীরাজ গ্যাংয়ের সঙ্গে নকল সোনার কারবারও জড়িত বলে পুলিশ মনে করছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে আজ ৪ অক্টোবর ভোরে সালানপুর ব্লকের আছড়া পঞ্চায়েত সংলগ্ন একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় রূপনারায়ণপুর ও দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সেখান থেকে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ বাড়ির মূল দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে সোনা বিক্রির ফাঁদ পাততো এই চক্র। বিক্রির আগে তাদের সামনে আসল সোনা রাখা হতো। কিন্তু টাকা পয়সা লেনদেন করে সোনা দেওয়ার সময় ক্রেতার হাতে বিশেষ ভাবে তৈরি খাদযুক্ত নকল সোনা তুলে দেওয়া হতো। অতিরিক্ত খাদ যুক্ত এই সোনা পুরুলিয়ার কোন একটি জায়গায় তৈরি করা হত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই সোনা হাতে নিয়ে দু চার বার ঘষাঘষি করলেও আসল সোনার মতোই দেখায়, কিন্তু দোকানে গলাতে গেলেই আসল রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। এদিকে ক্রেতা যাতে বুঝতে না পারে যে সে নকল সোনা কিনে ঠকে গেছে সেজন্য এই সোনা বিক্রি করার পরেই নকল পুলিশ, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইত্যাদির অফিসার সেজে দুষ্কৃতি চক্রের লোকেরাই সেই সোনা আবার লুট করে নিত ক্রেতার কাছ থেকে। এরফলে ক্রেতা বুঝতেই পারত না যে সে নকল সোনা কিনেছিল। আবার পুলিশি চক্করে পড়ার ভয়ে ক্রেতা অভিযোগও করত না। আর এই সুযোগে একের পর এক নকল সোনা বিক্রির কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল আন্তঃরাজ্য এই চক্র। এ বিষয়ে রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন চিতলডাঙ্গা, আছড়া ইত্যাদি জায়গার নাম পুলিশের কাছে ঘুরেফিরে আসছিল। এরপরই অত্যন্ত গোপনে যাবতীয় তথ্য জোগাড় করে গতকাল রাতে পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত দুজনকে ধরতে পারে। ঝাড়খন্ড সংলগ্ন রূপনারায়ণপুর ও সন্নিহিত এলাকাকে দুষ্কৃতিমুক্ত রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ স্তরে কাজ করে চলেছে বলে রূপনারায়ণপুর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
পুজোয় চিত্তরঞ্জনে ফ্রি পার্কিং - রেলের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে আতান্তরে কমিটিগুলি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ সেপ্টেম্বর:: পুজোর মুখে রেল প্রশাসনের জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তির জেরে চিত্তরঞ্জন শহরে দুর্গা পুজোর আয়োজনকে ঘিরে ব্যাপক দোলাচলের সৃষ্টি হয়েছে। ১ অক্টোবরের জারি করা এই নির্দেশিকায় রেল প্রশাসন জানিয়েছেন শহরের সমস্ত পুজো কমিটি গুলিকে বিনা ব্যয়ে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে লাইন পরিচালনা করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রেখে পার্কিংয়ের দেখা শোনাও পুজো কমিটিগুলিকে করতে হবে । সিএলডব্লু রেল প্রশাসন জানিয়েছেন যেহেতু কোনো পুজো কমিটি রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পার্কিংয়ের জন্য কোন অনুমতি নেননি, তাই পার্কিংয়ের জন্য
দর্শনার্থীদের কাছ থেকে কোন অর্থ নেওয়া যাবে না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে। তারা আজ সিএলডব্লুর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইউ কে মাইতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। পরে একই বিষয়ে কথা বলেন সংস্থার চিফ পার্সোনেল অফিসারের সঙ্গেও। পুজো কমিটিগুলির বক্তব্য হল, বেকার যুবকেরা দায়িত্ব নিয়ে পুজোর কদিন পার্কিং পরিচালনা করেন এবং তাতে যানবাহন রাখার সুষ্ঠু ব্যবস্থার পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তার দিকটিও রক্ষিত হয়। কিন্তু এই কাজ বিনা পয়সায় কেউ করতে গিয়ে আসবেন না। পরিস্থিতি সেরকম দাঁড়ালে পুজোর আয়োজন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা যুক্তি দেন। যদিও এ বিষয়ে প্রান্তভূমিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শ্রী মাইতি বলেন গত বছর পার্কিংয়ের সমস্যা নিয়ে চিত্তরঞ্জনে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। দর্শনার্থীরা রেল প্রশাসনের উপর তার দোষ চাপিয়ে বলেছিলেন রেল যেহেতু পুজোর পারমিশন দেন সেহেতু পার্কিংয়ের দায়িত্বও তাদেরই। পুজোর অনুমোদন দিয়ে পার্কিং থেকে রেল অর্থ আদায় করছে পরোক্ষে এমন অভিযোগের সম্মুখীন হতে হয়েছিল রেল কর্তৃপক্ষকে। যদিও এ থেকে রেল কোনরকম ভাবেই একটি পয়সাও আদায় করে না। এই বিষয়টিকেই সদর্থকভাবে নেওয়ার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনিক পদক্ষেপ করেছেন। শ্রী মাইতি বলেন পুজো কমিটিগুলি পার্কিংয়ের দেখাশোনা করার জন্য সামান্য একটু তহবিল গড়ে সেখান থেকে খরচ করলে কোন সমস্যা দেখা দেবে না। এই বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য পুজো কমিটি গুলিকে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলী বলেন পার্কিং নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার কথা তিনি পুলিশের উচ্চ মহলে জানানোর পাশাপাশি চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করবেন । যদিও পুজো কমিটিগুলির যুক্তি পুজোর আয়োজনের জন্য রেল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেন ফলে রেল কর্তৃপক্ষই দায়িত্ব নিয়ে আরপিএফ, ভারত স্কাউটস গাইড এবং পুলিশকে বলতে পারেন পার্কিং দেখাশোনা করার জন্য । তাহলে পুজো কমিটিগুলির ঘাড়ে সেই দায়িত্ব এসে পড়ে না। এ প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ বলেন তারা সবসময়ই সুস্থ পরিবেশ বজায় রেখে উৎসব যাতে সম্পন্ন হয় সেই চেষ্টা করেন। যেসব দর্শনার্থী একাধিকবার শহরের একাধিক পুজোয় শামিল হতে যাবেন তাদের যাতে পার্কিংয়ের জন্য খরচের মুখে না পড়তে হয় সেজন্যই কমিটি গুলিকে এই দায়িত্ব নেওয়ার কথা রেল কর্তৃপক্ষ বলেছেন। এখন দেখার চিত্তরঞ্জন রেল শহরে পুজোর সময় পার্কিং ব্যবস্থা কিভাবে পরিচালিত হয়।@প্রান্তভূমি
গান্ধী জয়ন্তীতে শ্রমদান করলেন চিত্তরঞ্জন জিএম
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ অক্টোবর:: মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে শ্রম দান করলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা। আজ কারখানার প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণে এই শ্রমদানে তার সঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য কর্মী আধিকারিকেরা। আজকের দিনটিকে স্বচ্ছ ভারত দিবস হিসেবে উদযাপন করেন রেল কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে চিত্তরঞ্জন শহরে বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে স্বচ্ছতা অভিযান জারি রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। এর অঙ্গ হিসেবে স্বচ্ছতা শপথ, সচেতনতা যাত্রা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করা হয়।@প্রান্তভূমি
আরও চারটি পুজোর সরকারি অনুমোদন সালানপুর ব্লকে, কমিটি - প্রশাসন বৈঠক শ্রমিক মঞ্চে
#প্রান্তভূমি ১ অক্টোবর::
সালানপুর ব্লকের সমস্ত পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ প্রাক পুজো বৈঠকে প্রশাসনিক কর্তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন সরকারি নিয়মের বাইরে কোনরকম ভাবেই কাউকেই যেতে দেওয়া হবে না। ডিজে, বাজি নিষিদ্ধ এবং এর ব্যবহার কোথাও কোনভাবেই করা যাবে না বলে জানানোর পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসন পুজো কমিটি গুলিকে আরো কি কি করতে হবে এবং কি করা যাবে না সেগুলি বিশদে জানিয়ে দিলেন। সালানপুর ব্লকে এবছর আরো চারটি পুজো সরকারি অনুমোদন লাভ করল। ফলে তারা সরকারি অনুদানও পাওয়ার যোগ্য হল। নতুন অনুমোদনপ্রাপ্ত পুজোগুলি এথোড়া, বোলকুন্ডা, জোড়বাড়ি এবং কালীসাঁকোর। এরফলে ব্লকে সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত পুজোর সংখ্যা দাঁড়ালো ৫০ টি। এ প্রসঙ্গে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি আশ্বাস দেন আরো যে কয়েকটি পুজো অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে পরবর্তী সময়ে সরকার তাদের আবেদনও বিবেচনা করবেন। পুজো উপলক্ষে ৬ থেকে ১২ অক্টোবর সকাল ১২ টার পর থেকেই রাত পর্যন্ত কোন পণ্যবাহী গাড়ি, বালি পাথর বহনকারী ট্রাক্টর ট্রাক ইত্যাদিকে মূল রাস্তায় চলাচল করতে দেওয়া হবে না বলে ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিলেন। এরই সঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হলো বিসর্জনের দিন পুজো কমিটিগুলি নিজেদের এলাকার মধ্যেই শোভাযাত্রা শেষ করে প্রতিমা নিরঞ্জন করবে। বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন পুজো কমিটির কর্মকর্তারা হিন্দুস্তান কেবলস ড্যামে যাওয়ার রাস্তায় আলো, দেন্দুয়া ঐ রূপনারায়ণপুর রেলগেটের রাস্তা সংস্কার, ডোমদহায় প্রকাশ্যে রাস্তার ধারে মদ্যপান, মহাবীর কলোনি পুজো প্রাঙ্গণে ট্রাফিক গার্ডের ব্যবস্থা ইত্যাদি প্রসঙ্গগুলি উত্থাপন করলে প্রশাসন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে নজর দেবে বলে জানানো হয়। পুজোয় মাইকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত করার বিষয়ে জোর দেন ডাক্তার অমরেশ মাজি। হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনারেটের এসিপি কুলটি জাবেদ হোসেন, এসিপি কুলটি ট্রাফিক সৌরভ চৌধুরী, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, যুগ্ম বিডিও কুমার সৌরভ, শ্রেয়া নাগ, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, পিঠাকিয়ারী গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার অমরেশ মাজি, সীতারামপুর আরপিএফ ইন্সপেক্টর লক্ষ্মণ মিনা, ফরেস্ট গার্ড জুলফিকার মোল্লা, বিদ্যুৎ বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনীয়ার সহ বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি। এই বৈঠককে সফল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেন সালানপুর আই সি অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা, কল্যাণেশ্বরী ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই আয়োজনের সঞ্চালনা করেন ওসি শ্রীমতি সুলতানা।@প্রান্তভূমি
হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে অনেক কিছুই নেই দেখলেন সালানপুর ব্লকের প্রশাসনিক কর্তারা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ সেপ্টেম্বর:: আর জি কর কাণ্ডের পর রাজ্যের হাসপাতালগুলির অবস্থা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। সেই উদ্যোগের রেশ পৌঁছালো পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমতম প্রান্তীয় ব্লক সালানপুরে। ব্লকের একমাত্র রাজ্য সরকারি হাসপাতাল পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে প্রশাসনিক কর্তারা সকালেই পরিদর্শনে পৌঁছে গেলেন আজ। প্রায় ঘন্টাখানেক হাসপাতালের আনাচ-কানাচ তারা ঘুরে দেখলেন। তারা দেখলেন হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্সদের জন্য বাথরুমের ব্যবস্থা নেই, দেখলেন অপারেশন থিয়েটারে এসি নেই, দেখলেন আউটডোরে বিরাট লম্বা লাইন থাকলেও চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা মানুষজনের দাঁড়ানোর জায়গা নেই, যেটুকুওবা আছে সেখানে মাথার উপর পাখা নেই, বসার জায়গা নেই। হাসপাতাল চত্বর আগাছায় ঢাকা, বিভিন্ন জায়গায় আলোর অভাব, বাথরুমে জলের ব্যবস্থা নেই। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক আসেন না ঠিকমত। নিরাপত্তার জন্য এত বড় হাসপাতালে মাত্র একজন সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকছেন। হাসপাতালের সুরক্ষায় সীমানা পাঁচিল এখনো অসম্পূর্ণ। জেনারেটরের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই। এমনই সব নানান অসুবিধার দিকগুলি চোখে পড়ল পরিদর্শনকারী দলের সদস্যদের। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত সিটকে অবিলম্বে বিষয়গুলি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে উল্লেখ করে ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানানোর নির্দেশ দেন বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস। যেসব কাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং ব্লক প্রশাসনের সহযোগিতায় সম্ভব হবে সেগুলি অবিলম্বে কার্যকরী করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বড় অংকের কাজ গুলিকে স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হবে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছেন। পুলিশ প্রশাসন হাসপাতাল চত্বরে আরো সিসি ক্যামেরা বসানোর পরামর্শ দেন। পরিদর্শকেরা হাসপাতালের সমস্ত বিভাগ ঘুরে দেখে বলেন সুষ্ঠু চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া এবং রোগীদের সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে যেসব ঘাটতি রয়েছে সেগুলি অবিলম্বে মেটাতে হবে। পরিদর্শনকারী দলে ছিলেন বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, ব্লক স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, রুমেলি দাস মুখার্জি, সন্তোষ চৌধুরী, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং সহ অন্যান্যরা। এ প্রসঙ্গে বিডিও শ্রী বিশ্বাস বলেন ওপিডির বাইরে অবিলম্বে আরো বড় শেড এবং বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো সহ সমস্ত উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়িত করা হবে। চিকিৎসকেরা যাতে নিয়মিত হাসপাতালে থাকেন সে দিকটিও দেখা হবে। হাসপাতালের নিরাপত্তা এবং রোগীদের স্বাচ্ছন্দের পাশাপাশি চিকিৎসক নার্স ও কর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগুলি দ্রুত রূপায়ণ করা হবে।@প্রান্তভূমি
দুষ্কৃতি তাণ্ডবের শিকার চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয়
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৩০ সেপ্টেম্বর:: চিত্তরঞ্জন মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের মূর্তি স্থাপন করার জন্য একটি সুদৃশ্য বেদী তৈরি করা হয় - বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার উদ্ধৃতি সহ।
বৃষ্টির তোড়ে বিদ্যালয়ের চতুর্দিক ঘেরা দেওয়া পাঁচিলের একটু অংশ ভেঙে যাওয়ার ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন পাঁচিল তৈরি হওয়ার পর মূর্তিটি স্থাপন করা হবে। এবং ঐ দিন প্রধান শিক্ষিকার দপ্তরের কক্ষে যথাযথভাবে মূর্তিটি রেখে মালা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য শিক্ষিকা এবং সহকর্মীগণ।
কিন্তু বিস্ময়কর করা ঘটনা ঘটে যখন পরের দিন সকালে বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষিকা ও অন্যান্য সহকর্মীদের নজরে আসে রবিঠাকুরের বাণী সহ তৈরি করা ফলকটির ওপর কেউ মাটির প্রলেপ দিয়ে লেখাটি বন্ধ করে দিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার সযত্নে সেই মাটির প্রলেপ জল দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে রেখেছেন এবং চিত্তরঞ্জন থানায় বিষয়টি জানালে থানা থেকে এসে সরেজমিন ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে কে বা কারা এই দুষ্কর্মটি করল।
প্রধান শিক্ষিকা সোমা সাহা অত্যন্ত মর্মাহত এই ধরনের ঘটনায়। তিনি আশঙ্কায় আছেন এত কষ্ট করে, এত আশা নিয়ে এই অঞ্চলের কীর্তিমান শিল্পী তাপস কর রায়ের বহু পরিশ্রমর ফসল এই মূর্তিটি বসানোর পর আবার কি ঘটে!@প্রান্তভূমি
আসানসোল দুর্গাপুরে এবার পূজা কার্নিভাল দ্বাদশীতে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ সেপ্টেম্বর:: এবার পশ্চিম বর্ধমান জেলায় দুর্গাপূজা কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশীর দিন ১৪ অক্টোবর সোমবার। আজ এই কার্নিভালের আয়োজন নিয়ে দুর্গাপুরে এডিডিএ কনফারেন্স হলে প্রশাসনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। বৈঠকে স্থির হয়েছে গত বছরের মতোই এবারও দুর্গাপুর এবং আসানসোল দুই জায়গাতেই কার্নিভালের আয়োজন করা হবে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী, এডিডিএ'র চেয়ারম্যান কবি দত্ত, এসবিএসটিসি'র চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল, বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসনিক আধিকারিক অনিন্দিতা মুখার্জি, আসানসোল নগর নিগমের কমিশনার রাজু মিশ্র, ডিসিপি অভিষেক গুপ্ত সহ বিভিন্ন পদাধিকারীরা। আর জি কর কাণ্ডের আবহে এবারের এই পূজা কার্নিভালের আয়োজন অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
পুজোর মুখে বাইরে থেকে অস্ত্র ঢুকছে জেলায়, দুই থানা এলাকায় অস্ত্র সহ গ্রেফতার ৩
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ সেপ্টেম্বর:: পুজোর আগে আসানসোল অঞ্চলে বেআইনি অস্ত্র ঢুকছে বাইরে থেকে। পুলিশের কড়া নজরদারিতে একের পর এক ধরাও পড়ছে সেসব অস্ত্র এবং সরবরাহকারীরা। পুলিশ নিয়মিত নজরদারি এবং তল্লাশির ফল পেলো আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের রানীগঞ্জ ও হিরাপুর থানা এলাকায়। ২৭ সেপ্টেম্বর রানীগঞ্জের আমড়াসোতা এলাকায় একটি কালো গাড়িসহ গ্রেফতার হয় ২ যুবক। তাদের নাম মিঠুন দাস ও লাডলা কুমার। তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক এবং দু রাউন্ড কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানীসায়র আন্ডার পাশের নিচে ওই গাড়িকে আটকে তল্লাশি করতেই আগ্নেয়াস্ত্র পেয়ে যায় পুলিশ।
অন্যদিকে হিরাপুর থানার বার্নপুর সাঁতা গ্রামের অফিস কল মাঠ এলাকায় অস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম অক্ষয় মাজি(২৩)। সে সাঁতা মাজি পাড়ার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। ওই যুবক ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল খবর পেয়েই হিরাপুর থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছালে যুবকটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এরপরই ধাওয়া করে তাকে ধরে ফেলে পুলিশ এবং তল্লাশিতে তার কাছ থেকে একটি এক নলা বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করে। ওই এলাকায় কোন দুষ্কর্ম ঘটানোর উদ্দেশ্যেই সে অপেক্ষা করছিল বলে পুলিশের অনুমান।@প্রান্তভূমি
স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে গিয়ে চরম বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ সেপ্টেম্বর:: ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ল বিদ্যুৎ বিভাগ। অভিযোগ, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়েই এবং জমির মালিকদের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই আজ সকালে জোর করে বিদ্যুৎ দপ্তর সেখানে খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করতে গিয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট জমির মালিক তথা মহিলাদের তীব্র বাধায় শেষ পর্যন্ত বিশাল বিশাল মেশিন নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরকে ফিরে যেতে হয়। বিশাল পুলিশ বাহিনী সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌঁছালেও বিদ্যুৎ বিভাগ কোনভাবেই খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। ঘটনা আসানসোল কর্পোরেশনের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ থানার অন্তর্গত ধেমোমেন এলাকার সাতাশা মোড় অঞ্চলের। ঘটনা প্রসঙ্গে জমির মালিক জয়শ্রী বাউরী বলেন তারা চারজন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলা একত্রিত হয়ে বছর দেড়েক আগে পবন কুমার নন্দীর কাছ থেকে ১৫ কাঠা জমি কিনেছিলেন। এই জমির উপর তারা সেলাই কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। সেলাই কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার হাজার মহিলা স্বনির্ভর হয়ে উপার্জনের সুযোগ পাবেন। জমিটি তারা পাঁচিল দিয়ে ঘিরেও ছিলেন। কিন্তু আজ সকালে হঠাৎ করেই সেই পাঁচিল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় এবং বলা হয় তাদের জমি সরকার অধিগ্রহণ করছে, এখানে বিদ্যুতের হাই টেনশন খুঁটি বসানো হবে। বলপূর্বক এই জমি অধিগ্রহণের তারা বিরোধিতা করেন এবং বলেন আগেও একবার এই চেষ্টা করা হয়েছিল, সেসময় তারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তাদের জানিয়েছিলেন ওই জমির পাশে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর জন্য। সে বিষয়ে প্রশাসন রাজি হয়েছিল বলে উল্লেখ করে জয়শ্রী দেবী বলেন আজ হঠাৎ করেই বিশাল পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসন তাদের জমির উপরে খুঁটি বসাতে চলে আসে। বাধা পেয়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ প্রশাসন দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও স্থানীয় মহিলারা জেসিবি মেশিনের সামনে বসে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত প্রশাসন এই কাজ থেকে বিরত হয়।@প্রান্তভূমি
.
.
৩ কোটির রাস্তা সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ আল্লাডিতে
#প্রান্তভূমি ২৭ সেপ্টেম্বর::
ঘরের দুয়ার থেকে রাস্তা উঁচু হয়ে যাচ্ছে প্রায় দুই ফুট, ফলে সামান্য বৃষ্টিতেও জলময় হয়ে যাচ্ছে ঘরদোর। কিন্তু এমনটা হওয়ার কথা নয়। কারণ রাস্তা সংস্কারের জন্য পুরনো রাস্তা কেটে পুরনো পিচ মাটি সরিয়ে দু ফুট গর্ত করে সেখানে নতুনভাবে সামগ্রী দিয়ে পিচ রাস্তা তৈরি হওয়ার নিদান আছে। যদিও তা একেবারেই মানা হচ্ছে না বলে আল্লাডি অঞ্চলের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। বিষয়টি বারবার ঠিকাদারকে বলেও লাভ না হওয়ায় আজ স্থানীয় মানুষজন রাস্তা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখান। প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয় করে আল্লাডি মোড় থেকে সিদাবাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটির সংস্কার কাজ পিডব্লুডি'র তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে। সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টির কারণে সেই রাস্তাই এখন স্থানীয় মানুষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ রাস্তার জল সোজা ঢুকে যাচ্ছে ঘরে। এই সমস্যা নিরসনে বাসিন্দারা দাবি করেছেন পুরনো রাস্তা দু ফুট গভীর করে সেখানে নতুন করে রাস্তা নির্মাণ হোক। তাহলে রাস্তাটি অহেতুক উঁচু হবে না। এই দাবি মানা না হলে ঠিকাদারকে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন। যদিও এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে এক সুপারভাইজার জানান রাস্তা তৈরি হলেই তার পাশে নর্দমা তৈরী করা হবে, ফলে এখন কিছুটা অসুবিধা হলেও পরবর্তী সময়ে এই রাস্তার জন্য দু'দিকের মানুষের কোন অসুবিধা হবে না।@প্রান্তভূমি
জোড়বাড়ির রাজু কোটি টাকা লুটকান্ডে দশম গ্রেফতার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ সেপ্টেম্বর:: চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী এক কোটি এক লক্ষ টাকা দুর্গাপুর লুট কান্ডে এবার গ্রেফতার হল রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকার জোড়বাড়ির বাসিন্দা রাজু দত্ত। ২৬ সেপ্টেম্বর পুলিশ তাকে আদালতে তুলে ছয় দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। অভিযোগ যে, এই রাজুই লুট কান্ডের অন্যতম দুই চক্রী পিঠাকিয়ারির পৃথ্বীরাজ অসওয়াল এবং রূপনারায়ণপুর পশ্চিম রাঙ্গামাটি হঠাৎ কলোনির অজয় দাসকে গাড়িতে চাপিয়ে উত্তর প্রদেশে পৌঁছে দিয়েছিল। যে গাড়িতে ৫ সেপ্টেম্বর লুট কান্ড ঘটেছিল সেই গাড়িটিকে রাজু রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুলের পাশে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ গাড়িটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ এবং স্থানীয় মানুষের বয়ান মিলিয়ে রাজুকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে রাজু স্বীকার করেছে যে সে পৃথ্বীরাজ এবং অজয়কে উত্তরপ্রদেশে ছেড়ে এসেছিল এবং লুট কাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়িটিকে ডিএভি স্কুলের পাশে রেখে গিয়েছিল। ফেরার অজয় দাসের সঙ্গে মিলে রাজু কাজ করতো বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সামান্য একজন দোকানের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে কিছুদিনের মধ্যেই নজরকাড়া উত্থান হয়েছিল এই রাজুর। পুলিশ জানতে পেরেছে একাধিক গাড়ি জমি ইত্যাদির সঙ্গে রাজুর সম্পর্ক ছিল। সারা দেশে সাড়া ফেলে দেওয়া এই লুট কাণ্ডে রূপনারায়ণপুর থেকেই আপাতত দুজন ( গৌতম চ্যাটার্জি ও রাজু)গ্রেফতার হল, দুজন (পৃথ্বীরাজ ও অজয়) ফেরার হয়ে আছে। এদিকে ধৃত অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা যাতে পৃথ্বীরাজের ঘর চিনিয়ে দিতে না পারে এজন্য পৃথ্বীরাজ তার বাড়ির গেট পরিবর্তন করে দিয়েছিল। পুলিশ জানতে পেরেছে মুকেশ চাওলা ৩ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরে এসে পৌঁছায়। তার সঙ্গে একজন কর্মীও আসে। এই দুজনকে বাঁকুড়ার একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে ৪ সেপ্টেম্বর ইসিএল সালানপুর এরিয়ার কাছাকাছি একটি হোটেলে মুকেশের সঙ্গে পৃথ্বীরাজদের বৈঠক হয়। এরপরই মুকেশকে রূপনারায়ণপুরে পৃথ্বীরাজের বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু সালানপুর এরিয়া অফিস থেকে রূপনারায়ণপুর আসতে যেখানে মেরে কেটে কুড়ি মিনিট সময় লাগার কথা, সেখানে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর মুকেশকে পৃথ্বীরাজের বাড়িতে তোলা হয়। কারণ যদি কখনো এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ নামে তাহলে যাতে পৃথ্বীরাজের ঘর মুকেশ খুঁজে না পায় সেই উদ্দেশ্যই তাদের ছিল। মজার কথা হল, মুকেশ চাওলা যখন পৃথ্বীরাজের বাড়িতে ঢোকে তখন মূল গেট ছিল কালো রঙের, কিন্তু পুলিশ যখন তার বাড়িতে তল্লাশিতে আসে তখন দেখা যায় সেটি স্টিল কালারের। পরে পৃথ্বীরাজের বাড়ির ভেতরে সেই কালো রঙের গেট পড়ে থাকতে দেখা যায়। যদিও মূল গেট থেকে ঢুকে দু'দিকে বিশাল গ্যারেজ, একাধিক ঢাকা দেওয়া গাড়ি, প্রায় কুড়ি মিটার দূরে দোতলা বাড়ি ইত্যাদির বর্ণনা হুবহু মিলে যাওয়ায় পৃথ্বীরাজের বাড়ি চিনতে পুলিশকে আর বেগ পেতে হয়নি। অন্যদিকে মুকেশ চাওলাকে রূপনারায়ণপুর থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ির চালক ছিল অজয় দাস, কিন্তু সে নাম বদলে অলক হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ পরতে পরতে রহস্যের বেড়াজাল উদঘাটন করে চলেছে চাঞ্চল সৃষ্টিকারী এই লুট কাণ্ডের।@প্রান্তভূমি
কেজি হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে গর্জে উঠলো সিআরএমসি, নতুন পদক্ষেপের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের
#প্রান্তভূমি ২৭ সেপ্টেম্বর::
কর্মী নিয়োগ না হওয়া, জীবনদায়ী ওষুধের অপ্রতুলতা, সাথে সিনিয়র ডাক্তারদের রোগীদের প্রতি দুর্ব্যবহার - এর ফলে হারাতে বসেছে কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের গৌরবময় ইতিহাস; বললেন সিআরএমসির শ্রমিক নেতা নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। ২৬ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জনের কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের অদূরে আয়োজিত হয় এনএফআইআর / সিআরএমসি'র ডাকে এক বিরাট ধরনা প্রদর্শন। যার মূল বিষয় ছিল - সুস্বাস্থ্য শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার। এ দিন সকাল থেকে অঝোর বৃষ্টি উপেক্ষা করেই কয়েকশো সিআরএমসি নেতা কর্মী উপস্থিত হয়ে একপ্রকার নজির সৃষ্টি করেছেন। এই মঞ্চ থেকে সিআরএমসি নেতৃত্ব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হুংকারের সুরে বলেন অসুস্থ কর্মীদের নির্দিষ্ট ও সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। কর্মীরা ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়ে চিকিৎসা না পেয়ে বাড়ি ফিরছেন, জীবনদায়ী ওষুধ হাসপাতাল থাকে পাওয়া যাচ্ছে খুবই কম, অনেক সময় তা অর্ধেকেরও কম । তারা আরও বলেন হাসপাতালে অনেক সময় ডাক্তারবাবু এসে কুড়িজনের বেশি রোগী দেখছেন না, যেখানে তার প্রাইভেট চেম্বারে তিনি অগণিত রোগী দেখছেন। তাই নির্দিষ্ট রোগের জন্য নির্দিষ্ট ডাক্তার স্থায়ীভাবে হাসপাতালে আনতে হবে। আবার অনেক সময় জুনিয়র ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন সিনিয়র ডাক্তাররা কেটে দিচ্ছেন বা বাতিল করে দিচ্ছেন। এদিন ইন্দ্রজিৎ বাবু চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার কর্মীদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন কারখানার প্রিন্সিপাল চিফ মেডিকেল অফিসার ডক্টর আর কে মুখার্জির হাতে। ড. মুখার্জি ইন্দ্রজিৎ বাবুকে জানান এখানে এ্যানাসথেসিয়া ডাক্তার সপ্তাহে তিন দিন আসবেন। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি বলেন রেলবোর্ড কেজি হাসপাতালকে আরআরবি বা আরআরসির মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে কোনরকম এ্যপ্রুভাল দেয়নি। তবে লোকাল পারচেজে ওষুধের ক্ষেত্রে তিনি দায়ভার পরোক্ষভাবে রেল বোর্ডের ওপরে চাপিয়েছেন। তিনি বলেছেন রেল বোর্ড প্রতিদিনের খরচ একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছেন। তাই অনেক জীবনদায়ী ওষুধ অনেক সময় কাটছাঁট করে দিতে হচ্ছে। রোগীদের রেফারের ক্ষেত্রে তিনি বলেছেন এমারজেন্সি ক্ষেত্রে রোগীকে প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার করা হয় - তবে এর সাথে তিনি বিধি সম্মত সতর্কীকরণ করে প্রাইভেট হাসপাতালের বিজনেস স্ট্রাটেজি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আরো জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের সমস্যার সমাধানের জন্য একটা হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার ও একটা ইমেল আইডি চালু করেছেন। রোগীরা এই সমস্ত মাধ্যমে অভিযোগ করলে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন। পুজোর পরে রিটায়ার্ড কর্মীদের জন্য পৃথক ক্লিনিক চালু হবে বলে উল্লেখ করেন পিসিএমও ডাক্তার আর কে মুখার্জি।@প্রান্তভূমি
উচ্ছেদ স্থগিত আমলাদহি বাজারে, ফিরে গেল আরপিএফ, পিছু হটলো রেল
#প্রান্তভূমি ২৬ সেপ্টেম্বর::
সকাল ন'টার আগে থেকেই বিশাল আরপিএফ বাহিনী জড়ো হয়েছিল আমলাদহি বাজারে। রাত তিনটে থেকেই আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের অনেকেই তাদের দোকানের ছাউনি খুলে ফেলা, মালপত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন। তবে আপাতত স্বস্তি পাওয়া গেল যখন সকাল ১১ টার কিছু পরে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের ডাকে ফিরে গেল আর পিএফ। আইওডব্লু অফিসে অপেক্ষা করছিল ঘাতক বুলডোজার। সেগুলিও আপাতত অকেজো হয়ে রইল। রক্ষা পেল চিত্তরঞ্জন শহরের সবচেয়ে বড় ব্যবসাকেন্দ্র আমলাদহি বাজারের শত শত দোকান। এ প্রসঙ্গে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, গতকাল তিনি চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রার সাথে দেখা করে এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিলেন। তাতে রেল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করায় তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি। বিধানবাবু বলেন, অসহায় মানুষগুলির পাশে বরাবরের মতই দাঁড়াতে পেরে তিনি খুশি, এ নিয়ে যেন কেউ রাজনীতির কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ি না করেন। এদিকে আজ সকাল থেকেই স্থানীয় বিজেপির কিছু লোকজন বাজারে পৌঁছান, তবে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা তাদের কাছে ঘেঁষতে দেননি। অন্যদিকে কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার আজ চিত্তরঞ্জনে আসেন। কথা বলেন রেল প্রশাসনের সঙ্গে। এছাড়াও অগ্নিমিত্রা পাল এবং আরো কেউ কেউ ফোনে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা বলেন প্রথমে বাম নেতা বংশগোপাল চৌধুরী উচ্ছেদ আটকাতে সভা করেছিলেন, এছাড়াও সবসময়ই তৃণমূল নেতৃত্ব বিধান উপাধ্যায়কে সামনে রেখে রেল প্রশাসনের উপরে চাপ সৃষ্টি করে গেছেন। তবে তারা বলেন রেল প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান থেকে আপাতত সরে আসছেন এমন কোন নির্দেশ ২৫ সেপ্টেম্বর রাত পর্যন্ত সামনে না আসায় তারা দোকানের মালপত্র বাঁচানোর জন্য নিজেরাই সেগুলি সরাতে বাধ্য হচ্ছিলেন। এই উদ্যোগ অন্তত একদিন আগে ফলপ্রসূ হলে তাদের দোকানগুলি পুজোর মুখে বেঁচে যেত বলে তারা আক্ষেপ করেন। এদিকে দোকান ঘরের জিনিসপত্র চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে বের করতে গিয়ে তিন নম্বর গেটে আরপিএফের হাতে কিছুটা হয়রান হতে হয় বলে দোকানদাররা মৃদু অভিযোগ করেন, যদিও নির্দিষ্ট কাগজপত্র দেখানোর পর আরপিএফ জিনিসপত্র বের করে নিয়ে যেতে কোন অসুবিধার সৃষ্টি করেননি বলে তারা উল্লেখ করেন। ছট পুজো পর্যন্ত উচ্ছেদ আটকে গেল বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
রাজ্যের বন্যাদুর্গতদের জন্য একদিনের বেতন দান করবে ডিভিসি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ সেপ্টেম্বর:: পশ্চিমবঙ্গের বন্যা দুর্গতদের সাহায্যে একদিনের বেতন দান করতে চলেছেন দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনের সমস্ত কর্মী, আধিকারিকেরা। সংস্থার সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার রাজেশ কুমারের ২৩ সেপ্টেম্বর জারি করা আবেদনে বলা হয়েছে মারাত্মক বন্যায় পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। বহু মানুষ ঘরদোর হারিয়ে বেঁচে থাকার ন্যূনতম সহায়টুকুও হারিয়ে ফেলেছেন। ডিভিসি এইরকম ভয়ংকর পরিস্থিতিতে সব সময়ই মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। সেই মানবিকতার ধারা বজায় রেখে এবারও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সকলকে একদিনের বেতন (বেসিক পে) দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। এই দান ৮০-জি ধারা অনুযায়ী আয়কর ছাড়ের সুবিধা পাবে বলে জানানো হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রাপ্য বেতন থেকে এই অর্থ কেটে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার কথা আবেদনে বলা হয়েছে। তবে, যদি কোন কর্মী এ বিষয়ে সম্মত না থাকেন তাহলে তাকে ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তার অসম্মতি জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
উচ্ছেদের আতঙ্কে কাঁদছেন আনোয়ার
#প্রান্তভূমি ২৫ সেপ্টেম্বর::
উচ্ছেদের আতঙ্কে কেঁদে ফেললেন বর্ষীয়ান আনোয়ার। আজ কয়েক যুগ ধরে যিনি চিত্তরঞ্জন আমলাদহি বাজার থেকে "ঝঙ্কার ব্যান্ড" পরিচালনা করছেন। এলাকার যে কোন উৎসব, বিয়েবাড়ি, দুর্গাপুজো, ছট উৎসব - সবেতেই তার ডাক পড়ে। ঝঙ্কার ব্যান্ডের কদর এমনই। আনোয়ার নিজে একজন উচ্চ মানের শিল্পী, তার সঙ্গেই নানান রোমহর্ষক কলাকৌশল দেখানোতেও তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আজ সেই আনোয়ার সমস্ত দোকানদারদের হয়ে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের কাছে কান্না ভেজা গলায় বললেন - অন্তত ছট পুজো পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হোক। পুজোর মরশুমে একটু আনন্দে থাকুক পরিবারগুলি। তার মতোই প্রার্থনা আমলাদহির শত শত ব্যবসায়ীর - যারা আগামীকাল ২৬ সেপ্টেম্বর উচ্ছেদের আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।@প্রান্তভূমি
দিনমজুরের নামে নেওয়া সিমকার্ড থেকেই কোটি টাকা লুটকান্ডে ফোন করেছিল বোকারোর অমিত
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ সেপ্টেম্বর:: এক কোটি এক লক্ষ টাকা দুর্গাপুর লুট কাণ্ডে প্রতিদিন পুলিশ চমকে যাওয়ার মত তথ্য হাতে পাচ্ছে। তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলাকে যে সিম থেকে ফোন করা হয়েছিল তা হাওড়া বেলুড়ের এক দিনমজুরের নামে নেওয়া হয়েছিল। এই সিম কার্ড জোগাড় করেছিল অমিত সিং, যার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের বোকারোতে। ফোনে কথাবার্তা বলে অমিত দিল্লি থেকে মুকেশ চাওলাকে রূপনারায়ণপুরে এনেছিল। রূপনারায়ণপুর ফকরাডিতে পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের বাড়িতে টাকা লেনদেনের পর কলকাতা যাওয়ার পথে সামডি এলাকায় অমিত গাড়ি থেকে নেমে গিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। তবে এই লুট কাণ্ডে সবচেয়ে বড় সূত্র পুলিশ পায় মেদিনীপুরের মধুসূদন বাগকে গ্রেফতার করার পর থেকেই। পুলিশ জানতে পেরেছে এই চক্র দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে আছে। চক্রের সদস্যদের কাছে শতাধিক বেনামি মোবাইল সিম আছে। তারা এক একজন ব্যক্তিকে প্রতারিত করার জন্য এক একটি সিম কার্ড ব্যবহার করে। কোন সিম কার্ডই এইসব চক্রের সদস্যদের নামে নথিভুক্ত থাকে না। ফলে মোবাইলের নম্বর ধরে দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছানো অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর পিয়ালা মোড়ের কাছে 19 নম্বর জাতীয় সড়কে হওয়া এই লুট কাণ্ডের তদন্তে পুলিশ একের পর এক নতুন দিক উদঘাটন করে চলেছে। অমিত সিং সরাসরি মুকেশ চাওলার সঙ্গে যে ফোনে কথা বলেছিল সেই ফোনের পুঙ্খানুপুঙ্খ উদ্ধার করে পুলিশ যখন বেলুড়ে পৌঁছায় তখন দেখে এক ছাপোষা দিনমজুর ওই ফোন নম্বরের মালিক। কিন্তু আদপেই সে জানে না তার নামে সিম কার্ড নেওয়া হয়েছে, কবে কে কোথায় নিয়েছে। এরপরই পুলিশ বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে বোকারোর অমিত সিং-এর গতিবিধি জানতে পারে। তবে এখন নতুন সিম কার্ড নিতে গেলে যেখানে বিক্রেতার দোকানে গিয়ে ক্রেতাকে সমস্ত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কোণ থেকে ছবি তুলে সেই নির্দিষ্ট কোম্পানির অ্যাপ-এ পাঠানোর পর অনুমতি মেলে, সেখানে কিভাবে অন্যের নামে অমিত সিং সিম কার্ড নিয়েছিল সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ বিষয়ে সিম কার্ড যোগাড় করে দেওয়ার লোকজন এবং সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করছে তারা।@প্রান্তভূমি
পুজোর আগে উচ্ছেদ নয় - দাবি নিয়ে বিধায়ক বৈঠক করলেন চিত্তরঞ্জন জিএমের সঙ্গে
#প্রান্তভূমি ২৫ সেপ্টেম্বর::
চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজারে আগামীকাল, ২৬ সেপ্টেম্বর প্রায় দেড়শোটি দোকান ভেঙে দেওয়ার তোড়জোড় সম্পূর্ণরূপে শুরু করেছিল রেল প্রশাসন। এমনকি দোকানের মালপত্র সরানোও শুরু করে দিয়েছিলেন কিছু ব্যবসায়ী। কিন্তু আজ বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় সকালেই ছুটে গেলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রার সাথে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য। জেনারেল ম্যানেজারের অনৎ জরুরী বৈঠক থাকা সত্ত্বেও তা পিছিয়ে দিয়ে তিনি বিধান বাবুর সাথে নির্ধারিত সময় সকাল ১১ টাতেই দেখা করেন । তার সাথে কথা বলে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানান বিধান বাবু। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন জেনারেল ম্যানেজারকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আগে কোনরকম উচ্ছেদ অভিযান চালানো না হয়। এ বিষয়ে রেল বোর্ডের সাথে কথা বলবেন বলে জেনারেল ম্যানেজার শ্রী মালহোত্রা বিধান বাবুকে কথা দেন। বিধানবাবু বলেন সবার পুজো ভালোভাবে কাটুক এটাই তারা প্রার্থনা করছেন। আমলাদহির ব্যবসায়ীরা পুজোর মুখে জীবন যুদ্ধে বিপর্যস্ত হবেন তা কেউই চাইছেন না। রেল কি এই আবেদন রাখবেন? - জিজ্ঞাসা করলে বিধান বাবু বলেন, জেনারেল ম্যানেজারও একজন মানুষ, নিশ্চয়ই তিনি মানুষের কথা ভাববেন, গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন। অন্যদিকে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের যাতে চিত্তরঞ্জন শহরে পড়ে থাকা ফাঁকা কোয়ার্টার্সে নিয়ম মেনে থাকতে দেওয়া যায় সেই বিষয়েও দাবি জানানো হয়েছে বলে বিধায়কের সঙ্গে থাকা শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং উল্লেখ করেন। আজ প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেও বিধায়ক সকাল সাড়ে দশটার কিছু পরেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ইন্দ্রজিৎ সিং, মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, তাপস ব্যানার্জি সহ অন্যান্যরা। বিধায়ককে জেনারেল ম্যানেজারের কক্ষে নিয়ে যান আর পি এফ আধিকারিকেরা। সেখানে প্রায় আধঘন্টা আলোচনা হয় ।@প্রান্তভূমি
কেজি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর লাইন নিয়ে মারপিট; রাত ১:৩০ থেকে অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ সেপ্টেম্বর:: ডাক্তারবাবু সাকুল্যে রোগী দেখবেন কুড়িটি। সকাল ১১ টা থেকে বেলা একটা পর্যন্ত এই রোগী দেখা চলবে। কিন্তু সপ্তাহে মাত্র দুদিন। ফলে রোগীদের মারাত্মক অস্থিরতা নিয়েই লাইন দিতে হয় ডাক্তার বাবুকে দেখানোর জন্য । আর এই লাইন দেওয়া শুরু হয় আগের দিন রাত দেড়টা থেকে। হাসপাতালের এমারজেন্সির সামনে এই লাইন দাঁড়িয়ে থাকে রাত থেকেই, কিন্তু তাদের প্রথম কুড়িজনের হাতে কুপন দেওয়া হয় সকাল সাড়ে আটটায়। কুপন হাতে সাড়ে আটটা থেকে অপেক্ষা করার পর সকাল এগারোটায় ডাক্তার বাবুর দেখা পাওয়ার সুযোগ ঘটে। এই চরম অবস্থা চিত্তরঞ্জনের কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে। রেলের এই হাসপাতালে আজ সকালে লাইনে দাঁড়ানো নিয়েই ঘটে গেল হাতাহাতি মারপিট। হাসপাতালে কর্তব্যরত তিন অস্থায়ী নিরাপত্তা কর্মী সেই উত্তেজনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিফল হন । শেষ পর্যন্ত ছুটে আসে আরপিএফ এবং তারাই বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযোগ, রাত থেকে যারা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তাদের সঙ্গে সকালে লাইন দিতে আসা ব্যক্তির বচসা থেকেই এই গোলমাল শুরু হয়। কেউ কেউ রাতে কাগজে নিজের নাম লিখে বাড়ি চলে যান, কিন্তু অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন কষ্ট সহ্য করেও। যারা বাড়ি চলে যান তারা সকালে এসে তাদের নির্দিষ্ট জায়গা দাবি করলেই গোলমালের সূত্রপাত হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক রোগী বলেন কেজি হাসপাতালে অর্থোপেডিক চিকিৎসক সপ্তাহে দুদিন স্পেশাল ক্লিনিক করেন। সেখানেই দেখানোর জন্য এমন অমানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের। কারণ মাত্র কুড়ি জন রোগীকে স্পেশাল ক্লিনিকে দেখা হয়, তার মধ্যেই থাকে রেফার রিপিট সহ অন্যান্য ধরনের রোগীরাও। ফলে মারাত্মক চাপ নিয়েই তাদের এখানে চিকিৎসা করাতে আসতে হয়। তিনি আরো বলেন মধ্যরাতে হাসপাতালে আসতে গিয়ে কুকুরের আক্রমণ, চোর ছিনতাইবাজের ভয়, এমন কি শুনশান রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাকে সঙ্গে নিয়েই তাদের হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। এ বিষয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন রোগীরা।@প্রান্তভূমি
সৌর সেচ ব্যবস্থা শুরু হল সালানপুর ব্লকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২২ সেপ্টেম্বর:: প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সৌর বিদ্যুৎ চালিত সাবমার্সিবল পাম্প সহ সেচ ব্যবস্থার উদ্বোধন করলেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত নেতাজী কলোনিতে। সবজি চাষে এই অঞ্চলের কৃষকদের সুনাম আছে বরাবরই। বিধায়ক বলেন চাষে মানুষকে আরো উৎসাহিত করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে এসেছে এবং মানুষ তার সুবিধাও পাচ্ছেন। এই অঞ্চলের চাষীদের অনেকদিনের দাবি ছিল একটা সেচ ব্যবস্থার । এই সৌর চালিত সেচ ব্যবস্থায় এই এলাকার অনেক চাষি উপকৃত হবেন। এই অঞ্চলের চাষীরা তাদের জমিতে ঝিঙে, উচ্ছে, শসা, বরবটি, নেনুয়া ও কুমড়ো সহ আরো অন্যান্য ফসল বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সঠিক মাত্রায় জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার করে চাষ করেন। এই দিন কল্যা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিয়াকুলবেড়িয়ায় ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি মাঠের গ্যালারি সহ ঘেরা দেওয়ার কাজের শিলান্যাস করেন বিধায়ক । এদিন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সমাজসেবী ভোলা সিং, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীকান্ত পাতর, সুহাস মিশ্র সহ আরো অনেকে।@প্রান্তভূমি
.
.
কমিউনিটি হলের গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা, বন দপ্তর জরিমানার পথে
সরকারি কমিউনিটি হলের সামনে থেকে গাছ কাটার অভিযোগ কল্যাণগ্রামে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২১ সেপ্টেম্বর::
সরকারি কমিউনিটি হলের সামনে থেকে একাধিক বিশাল বিশাল গাছ কাটার অভিযোগে নড়েচড়ে বসলো বন দপ্তর। সালানপুর ব্লকের জিতপুর-উত্তররামপুর পঞ্চায়েত এলাকার অন্তর্গত কল্যাণগ্রাম- ১ অঞ্চলে নীললোহিত কমিউনিটি হল এলাকা থেকে এইসব গাছগুলি আজ ২১ সেপ্টেম্বর কাটা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরেই আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রূপনারায়ণপুর অফিস থেকে বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। যদিও ততক্ষণে একাধিক গাছ কেটে গুঁড়ি গুলিকে তুলে নেওয়ার উপক্রম শুরু হয়ে গিয়েছিল। রীতিমতো ইলেকট্রিক করাত দিয়ে বড় বড় গাছগুলিকে কাটার পর সেগুলিকে সুবিধামতো ছোট ছোট ভাগে খণ্ড করা হয়েছিল। ১০-১২ জন মানুষ গাছের গুঁড়ি গুলিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি সহ সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। এ বিষয়ে রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দ জানিয়েছেন সমস্ত বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটার জন্য জরিমানা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস। তিনি বলেন সরকারি জায়গা থেকে এইভাবে অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা কোনোভাবেই উচিত নয়। এ বিষয়ে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। গাছ কাটার বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্রও। উল্লেখ্য, কল্যাণগ্রাম-১ নম্বর অঞ্চল থেকে পাঁচ নম্বর এলাকায় যাওয়ার ব্রিজের আগে নীললোহিত কমিউনিটি হলটি অবস্থিত। এই কমিউনিটি হল চত্বরে একাধিক বড় বড় গাছ মাথা তুলে এখানকার পরিবেশকে সুরম্য করে তুলেছিল। কিন্তু এখন আর একটিমাত্র পূর্ণবয়স্ক গাছ মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, বাকি সমস্ত গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। যা দেখে স্থানীয় মানুষজন আফশোস করছেন এবং বলছেন কারা কি প্রয়োজনে এগুলিকে কাটতে গেল, গাছের গুঁড়ি গুলিকে কোথায়ই বা নিয়ে যাওয়া হতো তা রহস্যে ঢাকা। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান তাপস মন্ডলকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।@প্রান্তভূমি
তিন দিনের হুমকি শেষ ২৩ ঘন্টাতেই, চালু হয়ে গেল বাংলা-ঝাড়খন্ড গাড়ি চলাচল
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ সেপ্টেম্বর:: তিনদিনের হুমকি খতম হয়ে গেল ২৩ ঘণ্টাতেই। চালু হয়ে গেল বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তে সব ধরনের গাড়ি চলাচল। গতকাল রাত থেকে বাংলাগামী ঝাড়খণ্ডের পণ্যবাহী ট্রাক সহ অন্যান্য বহন আটকে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা আজ ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ছটাতেই শেষ হয়ে গেল।। ফলে বাংলা থেকে ঝাড়খন্ড এবং ঝাড়খন্ড থেকে বাংলায় আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে গাড়ি-ঘোড়ার আর কোনো অসুবিধা রইলো না। যদিও এই বিষয়টিকে নিয়ে আজ সকাল থেকেই ব্যাপক হাঙ্গামা শুরু হয়। ঝাড়খণ্ডের কোন ট্রাককে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে নিরসার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চ্যাটার্জির নেতৃত্বে বাংলা থেকেও কোন গাড়িকে ঝাড়খন্ডে ঢুকতে না দেওয়ার আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ফলে শাকসবজি মাছ ফল ভুট্টা গম ইত্যাদি বহনকারী গাড়িগুলি আটকে পড়ে । এ বিষয়ে কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দার পুলিশের কাছে অর্ডার কপি দেখতে চান । পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের অঘোষিত বয়ান ছিল যে, ঝাড়খন্ডকে রক্ষা করতে গিয়ে ডিভিসি মাত্র তিন দিনে পাঁচ লক্ষ কিউসেকের বেশি জল ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের ১১ টি জেলায় ভয়ংকর বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। তাই ঝাড়খণ্ডের কোন গাড়িকে এ রাজ্যে তিন দিনের জন্য ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় । এবং শেষ পর্যন্ত আজ সন্ধ্যা থেকে আবার গাড়ি চলাচল শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়।@প্রান্তভূমি
ডিভিসির জল ছাড়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ রাজ্যের, ঝাড়খণ্ডের সমস্ত বর্ডার সীল, আটকে বহু ট্রাক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২০ সেপ্টেম্বর::
ঝাড়খন্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের জন্য সীমান্তে যতগুলি পথ আছে সবগুলিকেই গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর রাত থেকে সম্পূর্ণ সীল করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। অতি জরুরী ছাড়া কোন পণ্যবাহী গাড়িকে এ রাজ্যে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারিভাবে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে শুধুমাত্র বলছেন, উচ্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তারা বর্ডার সীল করেছেন; কিন্তু কেন তা নিয়ে তাদের কোন ধারণা নেই। যদিও রাজ্য প্রশাসন বলেছেন দক্ষিণবঙ্গে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির জন্য ঝাড়খন্ড থেকে এ রাজ্যে কোন গাড়িকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ কোথায় কোন গাড়ি ভেসে যাবে তা নিয়ে সরকার চিন্তাগ্রস্ত। আপাতত তিনদিন এইভাবে দুই রাজ্যের সীমানা বন্ধ করে রাখা হবে বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন থেকে তিন দিনে প্রায় ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার ফলে এ রাজ্যের ১১ টি জেলা বন্যা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। কম করেও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছে। এই সবই ভুগতে হচ্ছে ঝাড়খন্ড রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন পাঞ্চেত, মাইথন এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে অতিরিক্ত জল ছাড়ার জন্যই বলে রাজ্য সরকার মনে করছেন। ফলে কাল রাত থেকেই রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট সহ ডুবুরডিহি এবং অন্যত্র সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে পড়েছে ঝাড়খণ্ডের দিকে। অধিকাংশ ট্রাককেই পুলিশ আধিকারিকেরা বুঝিয়ে সুজিয়ে সে রাজ্যে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছেন । তারপরও বহু ট্রাক রাস্তার উপরেই দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে। আজ সকালে রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায় ভুট্টা চাল সহ অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার অপেক্ষায় ট্রাকগুলি দাঁড়িয়ে আছে। তাদের চালকেরা বলছেন কি কারনে তাদের আটকানো হয়েছে বলা হচ্ছে না। কিন্তু অনেক অসুবিধার মধ্যেই তাদের এখানে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নিরসার বিডিও ডুবুরডিহি চেকপোষ্টে এসে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন যদিও সমাধান কিছু বের হয়নি। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি হেডকোয়ার্টার্স অরবিন্দ আনন্দ এ বিষয়ে সক্রিয় আছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে এই বিষয়টিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না ঝাড়খন্ড রাজ্য সরকার। তারাও পশ্চিমবঙ্গ থেকে নানান সামগ্রী নিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়া যানবাহন আটকানোর সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। এখন দেখার কখন কিভাবে দুই রাজ্যের মধ্যে ট্রাক এবং অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।@প্রান্তভূমি
পুজোর আগেই বড় আঘাত চিত্তরঞ্জনে, একদিনেই উচ্ছেদ হতে চলেছে আমলাদহির দেড়শো দোকান
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন::১৯ সেপ্টেম্বর।। পুজোর আগে সবচেয়ে বড় আঘাত আসতে চলেছে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বুকে। এই শহরের সবচেয়ে বড় ব্যবসা কেন্দ্র আমলাদহি বাজারে ১৪৫ টি অনুমোদনহীন দোকান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে বলে রেল প্রশাসন আজ নোটিশ জারি করে দিয়েছেন। ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে রেল কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন। প্রত্যেকটি দোকানে নোটিশ হয় সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা ব্যবসায়ীদের হাতে ধরানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে মিলন মন্দির থেকে কস্তুরবা গান্ধী হাই স্কুল পর্যন্ত ৩১ নম্বর রাস্তার দু দিকের সমস্ত অনুমোদনহীন দোকান ঐদিন ভেঙে দেওয়া হবে। এই বিষয়টি সামনে আসার পরেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থ মণ্ডল এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন হঠাৎ করে রেল এত নিষ্ঠুরতা দেখাচ্ছে কেন? তিনি বলেন এর আগে তারা জানতে পেরেছিলেন পুজোর পরে কোন পদক্ষেপ রেল কর্তৃপক্ষ নিতে পারেন। সেই অনুযায়ী পুজোয় ব্যবসা করার জন্য দোকানদাররা অনেক অর্থ ব্যয় করে জিনিসপত্র মজুত করেছেন । কিন্তু এখন দোকান ভেঙে দিলে সেই সব জিনিসপত্র যেমন নষ্ট হবে, তেমনই দোকানগুলি ধূলিসাৎ হলে রোজগারহীন হয়ে পরিবারগুলিও না খেয়ে মারা পড়বে। অন্যদিকে সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং এ বিষয়ে বলেন, তারা নোটিশ দেখার পরেই বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের সাথে কথা বলেছেন । বিধায়ক তাদের জানিয়েছেন অবিলম্বে তিনি চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করে আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার আবেদন জানাবেন। অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন, তারা আজকেই ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের সাথে দেখা করেছেন এবং কোনোভাবেই যাতে পুজোর আগে উচ্ছেদ না করা হয় সেই দাবি জানিয়েছেন। এরই সঙ্গে লেবার ইউনিয়ন জানিয়েছে তারা দক্ষিণ পূর্ব রেলের একটি বিশেষ পদক্ষেপের বিষয়ে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন - তা হল দক্ষিণ-পূর্ব রেল অস্থায়ী দোকানদারদের কাছ থেকে প্রতিদিন কুপন দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আদায় করে এবং তাতে রেলের নির্দিষ্ট তহবিল গড়ে ওঠে । সেই ভাবেই চিত্তরঞ্জনের অস্থায়ী দোকানগুলিকে ব্যবসা করতে দিয়ে তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট হারে অর্থ নিতে পারে সিএলডব্লু। বিষয়গুলি নিয়ে লেবার ইউনিয়ন আবারও রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে রাজীব বাবু জানিয়েছেন। কিন্তু শহরের অন্যত্র আগে সফল উচ্ছেদ অভিযান চালানোর পর সবচেয়ে স্পর্শকাতর আমলাদহি বাজারে উচ্ছেদের ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষ আগেই মনস্থির করেছেন বলে জানা গেছে। এখন দেখার ২৬ সেপ্টেম্বর বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে বিষয়টি কতদূর ফলপ্রসু হয়।@প্রান্তভূমি
পৃথ্বীরাজ ও অজয়ের সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে চলেছে পুলিশ, দুর্গাপুর লুট কাণ্ডে হাতিয়ার নতুন আইন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ সেপ্টেম্বর:: ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা দুর্গাপুর লুট কাণ্ডে এবার রূপনারায়ণপুরের দুই অভিযুক্ত পৃথ্বীরাজ অসওয়াল এবং অজয় দাসের সম্পত্তি অ্যাটাচ করার পথে হাঁটতে চলেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ডি সি পি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেছেন পৃথ্বীরাজ এবং অজয় ও তার সঙ্গীদের নানান দুষ্কর্মের বহু নথি তারা পেয়েছেন। এইসব দুষ্কর্মের মাধ্যমে লেনদেন হওয়া যাবতীয় আর্থিক হিসাব পুলিশ একত্রিত করছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা বিএনএসএস-এর ১০৭ ধারা অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তি অপরাধমূলক কাজকর্মের মাধ্যমে আয় করা টাকায় নিজের সম্পত্তি গড়ে তোলে, তাহলে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে প্রতারিত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে তার মূল্য ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই ধারা বলে অভিযুক্তদের অবৈধ উপায়ে আয় করা সম্পত্তির হিসাব একত্রিত করছে পুলিশ এবং সেসব আদালতে পেশ করে এদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাবে। এদের ঘরবাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তির সঙ্গেই নির্মীয়মান জলের কারখানাও এই সম্পত্তির তালিকায় পড়বে বলে পুলিশ জানিয়েছে। উল্লেখ্য, গতকাল রূপনারায়ণপুরে ফরেনসিক টিমের তদন্তের পর পুলিশ এই অঞ্চল থেকে আরও একটি চারচাকা গাড়ি, পৃথ্বীরাজের বাবা রামনারায়ণ অসওয়াল সহ তার হোটেলের এক কর্মীকে আটক করে দুর্গাপুরে নিয়ে যায়। এই লুট কাণ্ডে পুলিশ যে সক্রিয়তায় তদন্ত এগিয়ে নিয়ে চলেছে তাতে খুব দ্রুত আরও বড় তথ্য সামনে আসতে চলেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
এবার আটক পৃথ্বীরাজের বাবা সহ আরও ২, সীল জলের কারখানা, বাজেয়াপ্ত আরও গাড়ি
এবার আটক পৃথ্বীরাজের বাবা সহ আরও ২, সীল জলের কারখানা, বাজেয়াপ্ত আরও গাড়ি
#প্রান্তভূমি ১৮ সেপ্টেম্বর:: রাত ৯টা।।
১ কোটি ১ লক্ষ টাকা দুর্গাপুর লুট কাণ্ডে আজ পুলিশ এবং ফরেনসিক টিম তদন্তের অভিমুখ আরও তীক্ষ্ণ করল। আজ বিকেল তিনটে থেকে প্রায় সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা পর্যন্ত রূপনারায়ণপুরে পৃথ্বীরাজ অসওয়াল এবং অজয় দাসের বাড়িতে ফরেনসিক টিম তদন্ত চালায়। এই তদন্তে রিজিওনাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তন্ময় কুমার মুখার্জি এবং এই মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব ইন্সপেক্টর অতনু বাজপেয়ী সহ রূপনারায়ণপুর পুলিশ সামিল হয়েছিলেন। আজকের এই তদন্ত প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো পুলিশ রূপনারায়ণপুর থেকে পৃথ্বীরাজের বাবা রামনারায়ণ-অসওয়াল সহ তার হোটেলের এক কর্মী ও স্থানীয় এক গ্যারেজের আর এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন। এছাড়াও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত কুসুমকানালি এলাকা থেকে একটি স্করপিও গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে গেছে। পুলিশ জানতে পারে যে এই গাড়িতে করেই লুট কাণ্ডের অন্যতম চক্রী মেদিনীপুরের মধুসূদন বাগ এই এলাকায় এসেছিল। চাপে পড়ে গাড়িটিকে স্থানীয় একটি গ্যারেজে ছেড়ে তারা পালিয়ে গিয়েছিল অন্য গাড়িতে চড়ে। এই ঘটনার সূত্রে পৃথ্বীরাজের হিন্দুস্তান কেবলস রোডের পাশে অবস্থিত হোটেলের এক কর্মী সহ ওই গ্যারেজের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। এছাড়াও সালানপুর ব্লকের উত্তররামপুর- জিতপুর পঞ্চায়েত এলাকায় নির্মীয়মান একটি জলের কারখানা সীল করে দিয়েছে পুলিশ। ফরেনসিক টিমের অন্যতম বিশেষজ্ঞ তন্ময় কুমার মুখার্জি এদিন তদন্ত শেষে বলেন তারা বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন, সেগুলি পুলিশ এবং ফরেনসিক বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে জমা দেবেন। জানা গেছে এদিন পৃথ্বীরাজের বাড়ি থেকে একটি ল্যাপটপ, ব্যাংকের চেক বই, কিছু নগদ অর্থ সিজ করা হয়েছে। তবে অজয়ের বাড়ি থেকে বিশেষ কিছু পাওয়া যায়নি বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। ফরেনসিক টিম তাদের তদন্ত শেষ করার পর পৃথ্বীরাজ এবং অজয়ের বাড়ি দুটিকে পুণরায় সীল করে দেয়।@প্রান্তভূমি
দুর্গাপুর লুট-কাণ্ডে রূপনারায়ণপুরে ফরেনসিক টিম
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১৮ সেপ্টেম্বর::
এবার তদন্তকে আরো জোরদার করতে এক কোটি এক লক্ষ টাকা দুর্গাপুর লুট কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের বাড়িতে পৌঁছে গেল ফরেনসিক টিম। আজ বিকেল তিনটে নাগাদ রূপনারায়ণপুর ফকরাডিতে প্রায় আট জনের এই দলটি তিনটি গাড়িতে করে এসে পৌঁছায়। এই দলে স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা এসএফএসএল এবং রিজিওনাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি বা আরএফএসএল দুর্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা আছেন বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞরা গাড়ি থেকে নামতেই পৃথ্বীরাজের বাড়ির বিশাল গেটের তালা খুলে দেন রূপনারায়ণপুর পুলিশের এক আধিকারিক। তারপর স্লাইডিং দরজা সরিয়ে তারা ভেতরে ঢোকেন। দরজার দুপাশে গাড়ি রাখার বিশাল গ্যারেজ পেরিয়ে তারা পৌঁছে যান বাড়ির মূল দরজায়। ঝাঁ চকচকে আধুনিক এই বাড়ির সমস্ত কিছুই ভিডিওগ্রাফি করে রাখছেন ফরেনসিক দলের সদস্যরা। জানা গেছে তথ্য প্রমাণ জোগাড়ে পৃথ্বীরাজ এবং রূপনারায়ণপুর পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়ার বাসিন্দা অজয় দাসের বাড়িতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তদন্ত চালাবেন। স্থানীয় পুলিশ ফরেনসিক টিমকে যাবতীয় সহযোগিতা করছেন। আপাতত বিশেষজ্ঞরা বাড়ির ভেতরে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ে ব্যস্ত আছেন বলে জানা গেছে। @প্রান্তভূমি
.
.
আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবে পৃথ্বীরাজ অজয়, কোটি টাকা লুটকান্ডে মিহিজামে হানা পুলিশের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ সেপ্টেম্বর:: দুর্গাপুর লুট কাণ্ডের অন্যতম দুই অভিযুক্ত ফেরার পৃথ্বীরাজ অসওয়াল এবং অজয় দাস যেকোনো সময় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। পুলিশের লাগাতার তল্লাশি এবং চাপের মুখে তারা খুব বেশিদিন যে পালিয়ে বাঁচতে পারবে না সেটা খুব ভালো মতো বুঝে যাওয়ার পরেই কোনো মাধ্যমে তারা পুলিশের কাছে নিজেদের সমর্পণ করার পরিকল্পনা করছে। এদিকে আলোড়ন ফেলে দেওয়া এক কোটি এক লক্ষ টাকার এই লুট কাণ্ডে এবার ঝাড়খণ্ডের মিহিজামে তল্লাশি চালালো আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ১৫ সেপ্টেম্বর এই অভিযান চালানো হয় অভিযুক্ত প্রদীপ রজকের বাড়িতে। তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জামতারড়া জেলার অন্তর্গত মিহিজামের কোড়াপাড়া এলাকায়। পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন রেল শহর ঘেঁষা মিহিজামের এই প্রদীপ রজক লুট কাণ্ডের অন্যতম এক চক্রী বলে পুলিশের অনুমান । প্রদীপের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন থানায় এর আগে খুন এবং অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়ে আছে। সেই
মামলায় সে এখন জামিনে মুক্ত আছে। এদিকে ১৫ সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে তল্লাশি চালালেও প্রদীপকে হাতে পায়নি পুলিশ। অভিযানের বিষয়টি কোনভাবে আঁচ করে আগেই সে পালিয়ে যায়। মিহিজামে প্রদীপ তার শালার বাড়িতে থাকতে বলে পুলিশ জানতে পারে। প্রদীপের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে অর্থের লেনদেন হয়েছে বলে সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারার পরেই তার ঘরে হানা দেয়। প্রদীপের বাড়িতে তিনটি চার চাকার গাড়ি এবং ছটি বাইক ছিল। সেগুলিকেও সে অন্যত্র সরিয়ে দেয়। রূপনারায়ণপুরের পৃথ্বীরাজ এবং অজয়ের বাড়ি থেকে পাঁচটি চার চাকার গাড়ি এবং আটটি দুই চাকার বাহন বাজেয়াপ্ত করার পরেই প্রদীপ তার কাছে থাকা চারচাকা এবং দু চাকার গাড়িগুলিকে সরিয়ে ফেলে বলে পুলিশ মনে করছে। এদিকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে ১৪ সেপ্টেম্বর ফরেনসিক দল রূপনারায়ণপুরে আসতে না পারলেও দু-একদিনের মধ্যেই তারা পৃথ্বীরাজ এবং অজয়ের বাড়িতে তদন্তের জন্য আসবে বলে জানা যাচ্ছে। এই দুই বাড়ি থেকে বিভিন্ন নথি আঙ্গুলের ছাপ ইত্যাদি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা গাড়ির নথির সঙ্গে মিলিয়ে প্রকৃত অভিযুক্তদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে পুলিশ মনে করছে।@প্রান্তভূমি
হঠাৎ হানা সাইবার দুষ্কৃতির ডেরায়; উদ্ধার বিপুল অর্থ, বহু নথিপত্র
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ সেপ্টেম্বর:: প্রতারণার ধরন সেই একই হলেও প্রতারকদের দক্ষতা আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় বহু মানুষ এখনও ঠকে যাচ্ছেন সাইবার দুষ্কৃতিদের কাছে। তেমনই এক আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতিচক্রের তিন প্রতারককে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া সাইবার থানা। তাদের কাছ থেকে নগদ ৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা এবং ৮ টি মোবাইল, ৮ টি সিম কার্ড, বিভিন্ন ব্যাংকের ৭ টি এটিএম কার্ড, ২ টি পাস বই, একটি চেক বই, একটি প্যান কার্ড এবং দুটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে। ধরা পড়েছে মিহিজাম থানার বেওয়া গ্রামের সুরজ দাস (২৪), সুমিত পাল (২২) এবং জামতাড়া থানা এলাকার তিলাবাদ গ্রামের রাহুল কুমার রাওয়ানি (৩০)। এদের বিরুদ্ধে জামতাড়া সাইবার থানায় বিভিন্ন ধারায় মামলা (55/24) রুজু করা হয়েছে। এরা মূলত ঝাড়খন্ড এবং সংলগ্ন রাজ্যের বাসিন্দাদের কাছে অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো, মাই জিও অ্যাপের মাধ্যমে ফোনপে তে ৯৯৯ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার লোভ দেখানো সহ নানান কায়দায় মানুষকে প্রতারিত করত। এ বিষয়ে জামতাড়ার পুলিশ সুপার এহতেসাম ওকারিব গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়ার পরেই সাইবার থানা এবং জামতাড়া থানার পুলিশকর্মীদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করেন এবং তারা জামতাড়া থানা এলাকার ঝর্ণাপাড়া ও তিলাবাদ গ্রামে আজ তল্লাশি অভিযান চালান। এই হঠাৎ আনাতেই ব্যাপক সাফল্য আসে পুলিশের হাতে।@প্রান্তভূমি
অটোয় আগ্নেয়াস্ত্র কার্তুজ সহ গ্রেফতার যুবক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ সেপ্টেম্বর:: আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ নিয়েই চড়ে বসেছিলেন অটোতে। সেটি কোথাও পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নাকি কোন দুষ্কর্ম ঘটানোর উদ্দেশ্যে ওই অস্ত্র ব্যবহার করা হতো তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানার নাকা পয়েন্টে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পরেই এই প্রশ্ন মাথা ছাড়া দিয়েছে। কুলটি থানার অন্তর্গত বরাকর ফাঁড়ি এলাকার চেকপোষ্টে এই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পর সীমান্তবর্তী যাতায়াতের পথগুলিতে পুলিশ আরো সক্রিয় নজরদারি শুরু করেছে। গতকাল শেষ রাতে একটি অটোতে চেপে বিকাশ লাল শ্রীবাস্তব নামের ওই যুবক নাকা পোস্ট পার হওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। জানা যায় ধৃতের বাড়ি কুলটির খিলান ধাওড়া এলাকায়। আজ বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ তাকে আসানসোল আদালতে পেশ করে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।@প্রান্তভূমি
কোটি টাকা লুটকান্ডে গ্রেফতার কলেজ ছাত্র, রাঁচি-রূপনারায়ণপুর যোগে নজরে ইটভাটা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ সেপ্টেম্বর:: এক কোটি এক লক্ষ টাকা দুর্গাপুর-লুটকাণ্ডের তদন্ত আরো জোরদার করেছে পুলিশ। এবার উদ্ধার হওয়া গাড়ি এবং রূপনারায়ণপুরে পৃথ্বীরাজ ও অজয়ের বাড়ির ফরেনসিক পরীক্ষা করতে উদ্যোগী হয়েছে তারা। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ফরেনসিক দল এদের ঘরের দেওয়াল এবং মেঝে খুঁড়েও তথ্য মজুত করতে পারে। উল্লেখ্য, রাঁচি থেকে গ্রেফতার করা অঙ্কিত সিংকে দুদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে এনে গতকাল দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। এবং তাকে তিন দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পায়। এই লুট কাণ্ডে ব্যবহার করা গাড়িটি রাঁচিতে অঙ্কিতদের ইটভাটাতেও পৌঁছেছিল। এই বিষয়টি তদন্তে সামনে আসার পরেই রাঁচির শুকদেবপুর থানার বিদ্যানগর থেকে অঙ্কিতকে গ্রেফতার করা হয়। গাড়িটি তাদের ইটভাটাতে গিয়েছিল বলে অঙ্কিত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে। যদিও রাঁচি কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অঙ্কিতের দাবি তিনি এই লুট কান্ডের বিষয়ে কিছুই জানেন না। অবশ্য পুলিশের দাবি, বছর একুশের এই যুবক প্রতারণা চক্রের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। উল্লেখ্য, এই ইটভাটার সঙ্গে যুক্ত অংকিতের এক দাদাও আছেন, যিনি ঘটনার দিন থেকেই নিখোঁজ বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে রাঁচির অঙ্কিতদের ইটভাটাও রূপনারায়ণপুরের পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের ঘরের মতোই টাকা দ্বিগুণ করার চক্রের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এই দুই জায়গাতেই টাকার লেনদেন হতো। দুর্গাপুর লুট কাণ্ডে প্রতারিত দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলাকে এই ঘটনার এক সপ্তাহ আগে রাঁচির ঐ ইটভাটাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে টাকার লেনদেন সুরক্ষিত হবে না বলে মনে করেন মুকেশ, এরপরই তাকে পৃথ্বীরাজের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এদিকে একই ধরনের প্রতারণার ঘটনা দিল্লি এবং ঝাড়খন্ডেও ঘটেছে বলে সেখানকার পুলিশ আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের কাছে তথ্য পাঠিয়েছে। প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়া অভিযুক্তদের দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডের পুলিশ আদালতের অনুমতি নিয়ে তাদের রাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যেতে পারে বলেও জানা যাচ্ছে। ( অঙ্কিতকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময়ের ছবি)@প্রান্তভূমি
'আন্দোলনে লাগাম পরাতে' চিত্তরঞ্জনে আইজি'র বৈঠক ৯ টি ইউনিয়নের সঙ্গে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ সেপ্টেম্বর:: চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ আগেই (২ সেপ্টেম্বর) আদেশ জারি করেছিলেন শহরের হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, অফিস আধিকারিকদের চেম্বারের ভেতরে কোনরকম বিক্ষোভ ঘেরাও ধরনা প্রদর্শন করা যাবে না। আজ আরপিএফ-এর আইজি সত্যপ্রকাশ সিএলডব্লুর ৯ টি ইউনিয়নের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে সেই বিষয়গুলিকেই আরো জোরালোভাবে উপস্থাপিত করলেন। জিএম অফিস কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ৩৪ জন পদস্থ আরপিএফ কর্তাও উপস্থিত ছিলেন। চিত্তরঞ্জন শহরের সুরক্ষা নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলিকে মান্যতা দেওয়ার দাবি জানান আইজি। তিনি বলেন যে কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে আগে নির্দিষ্ট বিভাগে জানাতে হবে, অভিযোগ জানানোর 15 দিনের মধ্যে তার সুরাহা না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। এরই সঙ্গে তিনি বলেন আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে শহরের নিরাপত্তা আরো আঁটোসাটো করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত আরপিএফ মোতায়েন , চুরি ছিনতাই রুখতে এবং দুর্ঘটনা রোধে আরপিএফ আরো সক্রিয় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু মিটিং মিছিলে পরোক্ষে লাগাম পরানোর এই উদ্যোগকে একযোগে ইউনিয়ন নেতারা খারিজ করেন। এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বৈঠকে বলেন ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে আইন মেনে তারা অবশ্যই আন্দোলন করবেন এবং সেই আন্দোলনে কোনরকম বাধা দেওয়া যাবে না। শ্রমিক নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন সিএলডব্লুকে বাঁচাতে শ্রমিক বিরোধী যে কোন পদক্ষেপের বিরোধিতায় তারা সংবিধান মেনে আন্দোলন করবেন। রেল কর্তৃপক্ষ ভুল পদক্ষেপ করলে সঠিক পথে তাকে নিয়ে আসার জন্য আন্দোলনই একমাত্র পথ বলে তিনি জানিয়ে দেন। ৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে শ্রমিক নেতা প্রদীপ ব্যানার্জি বলেন শ্রমিক বিরোধী যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক উপায়ে তারা চরম আন্দোলনে পিছপা হবেন না। ইউনিয়ন নেতারা বলেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা মজবুত করার অছিলায় শহরজুড়ে ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে, পকেট গেটগুলি জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে । এতে শহরের মানুষজন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছেন। রাজীব বাবু বলেন শহরের বহু বেকার মানুষ ব্যবসা করে সংসার প্রতিপালন করছেন, কিন্তু দোকান আবাস ভেঙ্গে দিয়ে চিত্তরঞ্জনকে মহাশ্মশানে পরিণত করা হচ্ছে। এইভাবে সুন্দর এই শহর টিকে থাকতে পারে না। যদিও আইজি তাদের বলেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে চিত্তরঞ্জন শহরের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনি আরও আধুনিক এবং মজবুত করে তুলবেন।@প্রান্তভূমি
গ্রেফতার মহাবীর কলোনির যুবক, কোটি টাকা লুট-কান্ডে ৫০ লক্ষ জমা পড়েছিল ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ায়
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ সেপ্টেম্বর:: আলোড়ন ফেলে দেওয়া কোটি টাকা লুট কাণ্ডে এবার গ্রেফতার হলেন রূপনারায়ণপুর মহাবীর কলোনির যুবক গৌতম চট্টোপাধ্যায়। তাকে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ১১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে ১২ তারিখ আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। ধৃত গৌতমের সাথে অজয় দাসের সম্পর্ক ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে । এছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্গাপুর থানার পুলিশ রাঁচির এক ইট ভাটার মালিক অঙ্কিত সিংকেও গ্রেফতার করেছে। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দুর্গাপুরে এনে আজ নিজেদের হেফাজতে নিতে উদ্যোগী হয়েছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। এদিকে জানা গেছে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা এই লুট কাণ্ডের অন্যতম মাথা মধুসূদন বাগের যে একাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন, সেটি ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কল্যাণী শাখায় মধুসূদনের কল্যাণী ভান্ডার নামের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ মধুসূদনের বিভিন্ন কোম্পানির নামে নানান জায়গায় সাতটি ব্যাংক একাউন্টের হদিশ পেয়েছে। পুলিশ আগেই জানতে পেরেছে মধুসূদন তার একাউন্টে টাকা নেওয়ার বিনিময়ে ১৫ শতাংশ কাটমানি নিতো। এদিকে এই ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটিও পুলিশ আগেই বাজেয়াপ্ত করেছে। রূপনারায়ণপুর থেকে ওই গাড়িটি নিয়ে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাউলাকে বসিয়ে চালক অজয় দাস এবং সুরজ কুমার কলকাতা যাওয়ার পথে দুর্গাপুরে গাড়ি থেকে টাকার বাক্স নিয়ে পালিয়ে যায় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। যার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল দুর্গাপুর থানার এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টরের বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনায় আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ ঝাড়খণ্ডের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় কয়েকজন অভিযুক্তের খোঁজে বিশেষ তল্লাশি জারি রেখেছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
সিলিকোসিস নির্ণয় ও সচেতনতা শিবির সালানপুর ব্লকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ সেপ্টেম্বর:: পশ্চিম বর্ধমান জেলার শেষ প্রান্তের ব্লক সালানপুর অত্যন্ত সিলিকোসিস প্রবণ অঞ্চল। এখানে একাধিক পাথর খাদান, পাথর গুঁড়ো করার ক্র্যাশার, বালির কারবার, কয়লা খনি ইত্যাদি থাকায় সিলিকোসিস রোগের প্রাদুর্ভাব যথেষ্ট উদ্বেগজনক। অনেক ক্ষেত্রেই এই রোগ সঠিকভাবে নির্ণয় না হওয়ায় ভুলক্রমে যক্ষ্মার চিকিৎসাও করা হয়। কিন্তু এবার সেই সমস্ত কিছু থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা যক্ষ্মা বিভাগ ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর জেলা জুড়েই সিলিকোসিস নির্ণয় ও সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল। আজ সালানপুর ব্লক পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে বহু সন্দেহভাজন সিলিকোসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি এই শিবিরে এসে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। যাদের ক্ষেত্রে সিলিকোসিসে ভোগার সম্ভাবনা আছে বলে চিকিৎসক মনে করেন তাদের এদিনই হাসপাতালে বিনামূল্যে এক্স-রে এবং কফ পরীক্ষা করা হয়। শিবিরে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত সিট এবং টি বি বিভাগের ডিস্ট্রিক্ট প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সুশোভন কর উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সালানপুর ব্লক শ্রম বিভাগের প্রতিনিধি সহ অন্যান্য কর্মীরা শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন। ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বহু ব্যক্তি এই শিবিরের পরিষেবা গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে সুশোভন বাবু বলেন, সালানপুর ব্লক সিলিকোসিস প্রবণ এলাকা হওয়ায় প্রতি দু-তিন মাস অন্তর এই ধরনের রোগ নির্ণয় শিবির এবং সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জেলা জুড়েই এই উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।@প্রান্তভূমি
এবার ধরা পড়ে গেল পৃথ্বীরাজের গুরু মধুসূদন, কোটি টাকা লুট কান্ডে জাল গোটাচ্ছে পুলিশ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ সেপ্টেম্বর:: ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা লুট কান্ডে ক্রমশঃ জাল গুটিয়ে আনছে পুলিশ। এবার ধরা পড়ে গেল এই কাণ্ডের মূল চক্রী মধুসুদন বাগ। তাকে রূপনারায়ণপুরের পৃথ্বীরাজ অসওয়াল নিজের গুরু বলে মানে। গতকালই যে গাড়িতে করে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা ও তার সঙ্গী উত্তরপ্রদেশ মির্জাপুরের মনোজ সিংকে নিয়ে কলকাতা রওনা হয়েছিল সেই গাড়িটি রূপনারায়ণপুর কেবলস রোড থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে জানা যাচ্ছে ওই গাড়িটি ভোর পৌনে পাঁচটা নাগাদ অজ্ঞাত পরিচয় কোন ব্যক্তি হিন্দুস্তান কেবলস অফিস গেটের বিপরীতে ডিএভি স্কুলের পাঁচিল এলাকায় রাস্তার পাশে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ এই গাড়িটির সন্ধানে ছিল এবং গাড়িটি ওখানে পড়ে আছে জানতে পারা মাত্রই নিজেদের হেফাজতে নেয় । বিস্ময়কর ব্যাপার হলো ওই গাড়িতে চাবিও লাগানো ছিল। এখন পুলিশ খুঁজে দেখছে কে ওখানে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গাড়িটি রেখে চম্পট দিল। যদিও রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির কয়েক হাত দূরেই এখানে সিসিটিভি ও অন্যান্য নজরদারি আছে , সেখান থেকে পুলিশ যথেষ্ট তথ্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে এই লুট কাণ্ডের মূল মাথা মধুসূদন বাগকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল আদালত তাকে পাঁচদিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠিয়েছে। মধুসূদনের বাড়ি মেদিনীপুরে। রূপনারায়ণপুরে পৃথ্বীরাজের বাড়িতে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশের হাতে নগদ এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং তারা কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। তবে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা মধুসূদনের একাউন্টে ৫০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পারার পরেই এই ঘটনার কিনারা করা অনেকটাই সহজ হচ্ছে তাদের কাছে। কারণ এই মধুসূদনের নানান কারবার ছড়িয়ে আছে। তার মধ্যে টাকা দ্বিগুণ করার লোভ দেখানো তার অন্যতম কুচক্র। এর আগে বীরভূমের মল্লারপুর থানাতেও মধুসূদনের বিরুদ্ধে এই ধরনের একটি মামলা রুজু হয়েছিল। এদিকে উদ্ধার হওয়া গাড়িটির মধ্যে থাকা আঙুলের ছাপ এবং পৃথ্বীরাজ ও অজয় দাসের সীল করা বাড়িতে ফরেনসিক দল ছাপ সংগ্রহ করবে বলে জানা গেছে। এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট পুলিশকে আরো মজবুত অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।।@প্রান্তভূমি
মহিলাদের হোস্টেলে আবাসিকের মৃত্যু:: রহস্য আসানসোলে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ সেপ্টেম্বর:: মহিলাদের হোস্টেলে এক আবাসিকের আকস্মিক মৃত্যুক ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে আসানসোলে। ওই মহিলা আসানসোলের গুপ্তা কলেজের কর্মী বলে জানা গেছে। তার বয়স প্রায় ৫৮ বছর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত সুকান্ত ময়দানের কাছে মহিলাদের ওই হোস্টেলে হঠাৎ করে বিস্ফোরণের আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। তারপরেই দেখা যায় ওই মহিলা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। পুলিশ গিয়ে তার দেহ উদ্ধার করে। ওই মহিলার সঙ্গে থাকা এক সেবিকা বলেন অসুস্থ থাকায় তিনি হাসপাতালে গিয়েছিলেন, তারপরে ফিরে আসেন, এরপর এই অঘটনের সংবাদ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকে কোনভাবে আগুন লেগে সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানার জন্য ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে আসছে, আগামীকাল তারা এই বিষয়ে যথাযথ তদন্ত শুরু করবে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
বিহার থেকে আনা বন্দুকের নকল লাইসেন্স তৈরি করে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজে নিযুক্তি-চক্র ধৃত::ডিসি'র সাংবাদিক সম্মেলন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ সেপ্টেম্বর:: পাচাকারীর মাধ্যমে বন্দুক আনা হতো বিহার থেকে, তারপর সেই বন্দুকের নকল লাইসেন্স তৈরি করে তুলে দেওয়া হত বিভিন্ন ব্যক্তির হাতে; সেই সব ব্যক্তিরা এরপর এই নকল লাইসেন্স এবং পাচার করা বন্দুক নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষীর কাজে নিযুক্ত হয়ে যেত। এমনই এক কুখ্যাত চক্রের খোঁজ পেয়ে তদন্তে নামে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। এ বিষয়ে প্রাথমিক সাফল্য দুর্গাপুরের কোকওভেন থানায় পাওয়ার পর এবার বড়সড় সাফল্য পেল কুলটি থানার পুলিশ। কুলটি থানার পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে পাঁচটি বন্দুক সহ ১৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ। পুলিশের দাবি, নকল লাইসেন্স নিয়ে এইসব ব্যক্তিরা বেসরকারি সংস্থায় গানম্যানের কাজে নিযুক্ত হয়েছিল। কমিশনারেটের ডি সি পশ্চিম সন্দীপ কাররা জানিয়েছেন ধৃতরা হল ভিকি যাদব, শেখ রেফাই, প্রকাশ নুনিয়া, গোপাল কেশরী এবং জগনারায়ণ সিং। এদের মধ্যে ভিকি ছিল বন্দুকের বিক্রেতা বাকিরা ক্রেতা। ধৃতরা কুলটি থানার ধেমোমেন, কুলটি ও ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের কাছ থেকে দুটি দোনলা বন্দুক, তিনটি একনলা বন্দুক এবং ১৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদিকে সম্প্রতি কল্যানেশ্বরীর একটি মোবাইল দোকানে ১ সেপ্টেম্বর চুরির ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন, চার্জার, ল্যাপটপ , ক্যামেরা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। এই চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বিনীত শা, রাজেশ বর্ণোয়াল, অর্জুন সরেন সহ ৫ জন । এরা সকলেই ঝাড়খন্ড মাইথন এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ এই দুটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডি সি পশ্চিম সন্দীপ কাররা, এসিপি কুলটি জাবেদ হোসেন, কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৃষ্ণেন্দু দত্ত, চৌরঙ্গী ফাঁড়ির ওসি কার্তিক চন্দ্র ভুঁই সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা।@প্রান্তভূমি
রূপনারায়ণপুরেই হয়েছিল কোটি টাকার লেনদেন, দুগ্ধপোষ্য শিশু সহ পৃথ্বীরাজের স্ত্রীকে কোর্টে পাঠালো পুলিশ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ সেপ্টেম্বর:: রূপনারায়ণপুর ফকরাডির বাসিন্দা পৃথিরাজ অসওয়ালের বাড়ি থেকেই ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা তার সঙ্গীদের নিয়ে কলকাতা রওনা হয়েছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। পৃথ্বীরাজের বাড়িতেই বিশাল পরিমাণ ওই টাকার লেনদেনও হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। তবে মুকেশ চাওলার কাছ থেকে ওই এক কোটি এক লক্ষ টাকা রাস্তাতেই ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও আগেই করে রেখেছিল এই চক্রের সঙ্গে জড়িতরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা কেন রূপনারায়ণপুরে এলেন? এর উত্তরে পুলিশ তদন্ত করে যা জানতে পেরেছে তা হল - ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হোয়াইট মানি বা বৈধ টাকা ৫০ লক্ষ নেওয়ার বিনিময়ে তাকে ৬৫ লক্ষ ব্ল্যাক মানি বা কালো টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। মাত্র এক দিনেই প্রায় 15 লক্ষ টাকা রোজগারের নেশায় দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ এই চক্রের ফাঁদে পা দিয়েছিল। দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে অমিত সিংহের বন্ধুত্বের সম্পর্কের জেরেই সে রূপনারায়ণপুরে এসে এই টাকার লেনদেন করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ফকরাডির পৃথ্বীরাজের বাড়িতে মুকেশের হাতে ৬৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর রাস্তায় আরো ৩৫ লক্ষ টাকা তার সঙ্গে দেওয়া হয় এবং বলা হয় কলকাতায় এই টাকা তার কাছ থেকে নির্দিষ্ট এক ব্যক্তি নিয়ে নেবেন। এভাবেই এক কোটি টাকা নিয়ে তিনি কলকাতা যাচ্ছিলেন। কলকাতা থেকে এই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে দিল্লি পৌঁছানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের। কিন্তু দুর্গাপুর পিয়ালা কালীবাড়ির কাছে এই পুরো টাকাটাই ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতিরা, যার মধ্যে দুর্গাপুর থানার কর্তব্যরত পুলিশ সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা জড়িত বলে ইতিমধ্যেই পুলিশ জানতে পেরেছে এবং 6 জনকে গ্রেফতার করেছে। হোয়াইট মানি নিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বেশি দেওয়ার এই কালো ধান্দা পৃথ্বীরাজ এবং তার সঙ্গীরা চালিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। কিন্তু পৃথ্বীরাজ-চক্র এত টাকা কোথা থেকে পেতো সেই নিয়েই এখন তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ। এদিকে আজ সকালে দুগ্ধপোষ্য শিশু সহ গতকাল পুলিশের হাতে আটক পৃথ্বীরাজের স্ত্রী রাধিকাকে আসানসোল আদালতে পাঠিয়েছে সালানপুর থানার পুলিশ। গতকালই পৃথ্বীরাজ এবং অজয় দাসের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এছাড়াও দুটি ঘর থেকে মোট পাঁচটি চার চাকার গাড়ি এবং আটটি দুই চাকার বাহন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পৃথ্বীরাজের ফকরাডির বাড়ি তার স্ত্রী রাধিকার নামে থাকায় এবং সেখান থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, নগদ অর্থ ইত্যাদি উদ্ধার হওয়ায় তাকে আটক করে আদালতে পেশ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। এদিকে হিন্দুস্তান কেবলসের এক ছাপোষা কর্মীর পুত্র পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের এমন দুরন্ত গতির উত্থান সকলেরই নজর কেড়েছিল। পুলিশও তার গতিবিধির সন্ধানে ব্যস্ত ছিল। তবে প্রথমদিকে ছোটখাটো অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পৃথ্বীরাজের সঙ্গে ভিন রাজ্যের শক্তিশালী বিভিন্ন মহলের যোগাযোগ ছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেই সূত্রেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী ও বিত্তবান ব্যক্তিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে ওঠে। হিন্দুস্তান কেবলস অফিসার্স কলোনির পরিত্যক্ত আবাসনে তার রেস্টুরেন্টকে ঘিরে বহু ব্যক্তির আনাগোনা লেগেছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই রেস্টুরেন্ট বিভিন্ন কান্ডের একটি কেন্দ্র বলেও পুলিশ মনে করছে। এখন পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পৃথ্বীরাজ এবং অজয় পালিয়ে গেলেও দ্রুত তারা ধরা পড়বে বলে পুলিশ মনে করছে।@প্রান্তভূমি
আটক পৃথ্বীরাজের স্ত্রী, টান টান উত্তেজনা রূপনারায়ণপুরের দুটি প্রাসাদোপম বাড়িতে পুলিশের ১৮ ঘন্টা অভিযানে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ সেপ্টেম্বর:: রূপনারায়ণপুরের দুটি প্রাসাদোপম বাড়িতে পুলিশের অভিযানকে ঘিরে গত রাত থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত উন্মুখ হয়ে রইল জনতা। বড়সড়ো এই তল্লাশি অভিযানে পুলিশ বাজেয়াপ্ত করল চারটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং ছটি দুই চাকার মোটরবাইক। এছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৬ লক্ষাধিক নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এরই সঙ্গে পুলিশ আটক করেছে এক অভিযুক্ত পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের স্ত্রী রাধিকাকে। তাকে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে । আগামীকাল সকালে তার ডাক্তারি পরীক্ষার পর দুর্গাপুর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে প্রাসাদোপম ওই বাড়ি দুটি পুলিশ তালা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাক লাগানো এই তল্লাশি অভিযানে দুর্গাপুর পুলিশের সঙ্গেই প্রায় 18 ঘন্টা ছিল সালানপুর থানা ও রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির পুলিশ। উল্লেখ্য, ৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর পিয়ালা অঞ্চলে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক কোটি এক লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। দিল্লির ওই ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা তার ব্যবসার অংশীদারের সঙ্গে কথাবার্তা বলে আসানসোল থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ দুর্গাপুর থানার কর্তব্যরত এ এস আই সহ মোট 6 জনকে গ্রেফতার করে । তবে টাকার হদিশ পায়নি পুলিশ। এবার ওই তদন্তের সূত্র ধরেই গত রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর ফকরাডিতে পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ । টানা তল্লাশীর মাঝেই আজ সকালে রূপনারায়ণপুর পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়ায় মানিক উপাধ্যায় পার্কের পাশাপাশি অঞ্চলে অজয় দাসের বাড়িতেও পুলিশ পৌঁছে যায়। যদিও অজয় দাস বা পৃথ্বীরাজের নাগাল পায়নি পুলিশ। কিন্তু অজয়ের বাড়ি থেকে দুটি বিলাসবহুল চারচাকা গাড়ি এবং পৃথ্বীরাজের বাড়ি থেকে দুটি চার চাকা ও ছটি দুই চাকার গাড়ি পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সালানপুর পুলিশ জানিয়েছে তারা দুর্গাপুর পুলিশকে সবদিক থেকে সহযোগিতা করেছেন। তবে স্থানীয় মানুষজন বলছেন রূপনারায়ণপুর পুলিশের নাকের ডগায় হিন্দুস্তান কেবলস রোডের উপর একাধিক গজিয়ে ওঠা রেস্টুরেন্ট, দোকান অত্যন্ত সন্দেহজনকভাবে চালু আছে। হিন্দুস্তান কেবলসের পড়ে থাকা আবাসন গুলিতে এ রাজ্য এবং ভিন রাজ্যের বহিরাগতরা ঘাঁটি গেড়েছে। কিছুদিন আগে তাদের পরিচয় পত্র খতিয়ে দেখার জন্য সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি এবং রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা পৌঁছেছিলেন। মাত্র একবেলা কয়েকটি আবাসনে ঘোরেন তারা। তারপর সবকিছু চুপচাপ হয়ে যায়। পলাতক পৃথ্বীরাজ এবং অজয় এই অঞ্চলে যথেষ্ট সন্দেহজনকভাবেই প্রতিপত্তির মালিক হয়েছেন বলে স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ করছেন। যদিও পুলিশ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চায় নি।@প্রান্তভূমি
সিআইএসএফের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল কুলটি ইস্কো চত্বর
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ সেপ্টেম্বর:: কুলটি (ইস্কো) সেল গ্রোথ ওয়ার্কসে কর্তব্যরত সিআইএসএফের মারে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে এবং আরেক যুবক ভয়ংকর জখম অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছে - এই অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কুলটি অঞ্চল। মৃত যুবকের নাম ভিকি রবিদাস (৩০) এবং আহত যুবকের নাম লডন (৩০)। দুজনেরই বাড়ি কুলটি থানা এলাকার বাবুপাড়া অঞ্চলে। ঘটনায় প্রকাশ, আজ সকালে এই দুই যুবককে কুলটি ইস্কোর 12 নম্বর লোকো লাইন গেটের সামনে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। সংবাদ যায় কুলটি থানায়। থানা থেকে পুলিশ গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুজনকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ভিকিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজনের মধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখা দেয়। তারা কারখানার মূল প্রবেশ পথ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন । সেখানে পৌঁছে যান কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডাক্তার অজয় পোদ্দার। তিনিও ওই দুই যুবকের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গেই ধর্নায় বসে পড়েন। তাদের অভিযোগ কারখানার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ এই দুই যুবককে মারধর করেছে, তার ফলেই একজনের মৃত্যু ঘটেছে। তাদের দাবি এই যুবকেরা অন্যায় কিছু করে থাকলে পুলিশকে সিআইএসএফ জানাতে পারতো ; কিন্তু তার পরিবর্তে নিজেরাই হাতে আইন তুলে নিয়েছে - এর জবাব তাদের দিতেই হবে। বিধায়ক শ্রী পোদ্দার বলেন এই অভিযোগ সত্যি হলে তা একেবারেই অনভিপ্রেত। তিনি বিষয়টি নিয়ে ওই দুই যুবকের পরিবার এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
১ কোটি ১ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় রূপনারায়ণপুরে রাতভর তল্লাশি পুলিশের
#প্রান্তভূমি ।। ৯ সেপ্টেম্বর::
রাত দেড়টা থেকে রূপনারায়ণপুরের পিঠাকিয়ারি ফকরাডি অঞ্চলের একটি বাড়ি ঘিরে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এখনো পুলিশের বহু গাড়ি এবং আধিকারিকেরা বাড়ির ভিতর ও বাইরে রয়েছেন। তিন তলা এই বড়সড় বাড়িটি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা, ভিতরে একাধিক চারচাকা ও দুই চাকার গ্যারেজ, চারিদিকে সিসিটিভিতে মোড়া। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এই বাড়িটি স্থানীয় ব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ অসওয়ালের। রূপনারায়ণপুর হিন্দুস্তান কেবলস রোডের পাশে তার ব্যবসা কেন্দ্রও আছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশের এই অভূতপূর্ব অভিযান সম্ভবত দুর্গাপুরে এক ব্যবসায়ীর ১ কোটি ১ লক্ষ টাকা ছিনতাই করার অভিযোগকে ঘিরেই বলে মনে করা হচ্ছে। দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলার কাছ থেকে এই অর্থ কর্তব্যরত পুলিশ এবং তার সঙ্গীরা ৫ সেপ্টেম্বর ছিনিয়ে নিয়েছিল বলে অভিযোগ। দিল্লির লাজপত নগরের বাসিন্দা রেলের ঠিকাদার মুকেশ চাওলা ব্যবসায়িক কাজকর্মে ঐদিন আসানসোলে আসেন তার ব্যবসার অংশীদারের সঙ্গে দেখা করার জন্য। বিকেলে তিনি এবং তার সঙ্গী উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুরের মনোজ কুমার সিং এবং পশ্চিম বর্ধমানের অমিত সিংকে নিয়ে কলকাতা রওনা দেন। পথে দুর্গাপুর পিয়ালা কালীবাড়ির কাছে কয়েকজন ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসার পরিচয় দিয়ে তার গাড়ি আটকান এবং গাড়ি পরীক্ষার নামে ওই এক কোটি এক লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দুর্গাপুর থানায় কর্মরত এ এস আই অসীম চক্রবর্তী, সিআইডির বম্ব স্কোয়াডের এএসআই চন্দন চৌধুরী, বরখাস্ত পুলিশ কর্মী মৃত্যুঞ্জয় সরকার, গাড়ির চালক দুর্গাপুরের ধান্দাবাগের সুরজ কুমার রাম এবং দুর্গাপুরের রানা প্রতাপ এলাকার আশিস মার্কেটের সুভাষ শর্মাকে গ্রেফতার করে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকার পৃথ্বীরাজের বাড়িতে পুলিশের বিভিন্ন অঞ্চলের উচ্চ পদাধিকারীরা এবং গোয়েন্দা বিভাগ হানা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। এই অভিযানে ভিন রাজ্যের পুলিশও আছে বলে কেউ কেউ জানাচ্ছেন। এদিকে একইসঙ্গে রূপনারায়ণপুরের অন্যত্রও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনো এই বিষয়ে কেউ কোনো মন্তব্য করতে চাননি।@প্রান্তভূমি
অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সঙ্গেই দেওয়া হতো নকল লাইসেন্স, কুলটি থেকে পাকড়াও কুখ্যাত গ্যাং
#প্রান্তভূমি।। ৮ সেপ্টেম্বর::
শুধু বেআইনি অস্ত্র বিক্রি করেই থেমে থাকেনি দুষ্কৃতির দল, তারা সেই অস্ত্রের নকল লাইসেন্সও সরবরাহ করত ক্রেতাকে। এবং সেই নকল লাইসেন্স হুবহু বৈধ লাইসেন্সের মতোই হওয়ার ফলে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে সহজেই ঘোরাফেরা করতো ওইসব অস্ত্রের ক্রেতারা। এমনই আন্তঃরাজ্য এক অস্ত্র পাচারকারী চক্রকে পাকড়াও করলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ১৯ আগস্ট দুর্গাপুরের কোক ওভেন থানায় একটি বন্দুকের নকল লাইসেন্সের খোঁজ পায় পুলিশ। তার ভিত্তিতে মামলা (নম্বর ১৬৯/ ২২৪, তারিখ ১৯-৮-২০২৪, ধারা ৩১৮ (৪)/ ৩৩৮/ ৩৩৬ (৩)/৩৪০(২)/৬১(২)/ ২৫/২৭ অস্ত্র আইন) রুজু করে তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্তের ফলেই পুলিশ জানতে পারে আসানসোল দুর্গাপুর এবং পাশাপাশি জেলাগুলিতে আগ্নেয়াস্ত্রের নকল লাইসেন্সের কারবার চলছে। এরপরই তদন্ত আরো জোরদার হয় এবং ৫ সেপ্টেম্বর এই তদন্তের সূত্রে পুলিশ কুলটি থানার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযান চালায়। এই অভিযানে ব্যাপক নকল নথিপত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। ধরা পড়ে ৪ কুখ্যাত চক্রী। অবৈধ অস্ত্র এবং তার নকল লাইসেন্স তৈরির মাথা ধর্মেন্দ্র উপাধ্যায় ( বাড়ি বিহারের বক্সার), অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের সরবরাহকারী এবং বিক্রেতা ভিকি যাদব, আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকার রাকেশ বার্নোয়াল এবং কৈলাশ সোনার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। এদের মধ্যে রাকেশ ও কৈলাশ আগ্নেয়াস্ত্রের নকল লাইসেন্স তৈরির পরে সেগুলি বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দিত। কুলটি থানা এলাকার গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৩.১ ইঞ্চি মাপের একটি দেশি পাইপগান, দুটি নকল আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স, ব্যবহার না হওয়া পাঁচটি নকল লাইসেন্স বই, ৩৪ টি নকল রাবার স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করে। ওইসব নকল রাবার স্ট্যাম্পে বিভিন্ন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, অ্যাডিশনাল কমিশনার অফ পুলিশের লোগো এবং নথি খোদাই করা ছিল। বিহারের ১৬ টি জেলা এবং পশ্চিমবঙ্গের আটটি জেলার বিভিন্ন পদাধিকারীর নামে এইসব নকল রাবার স্ট্যাম্প তৈরি করেছিল অস্ত্রপাচারকারী চক্র। ফলে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ করার পাশাপাশি সেই সব অস্ত্রের নকল লাইসেন্স তারা সহজেই তৈরি করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিত। এই বিষয়টি জানিয়ে এডিপিসি কর্তৃপক্ষ বলেছেন পুরো চক্রকে ধরতে আরো গভীর তদন্ত তারা জারি রেখেছেন তারা।@প্রান্তভূমি
আরজিকর-প্রতিবাদে রাস্তার নামকরণ চিত্তরঞ্জনে
#প্রান্তভূমি ।। ৮ সেপ্টেম্বর::
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে সম্ভবত সারা রাজ্য বা দেশ কিংবা পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্ত যা করতে পারেনি, সেটাই করে দেখালো চিত্তরঞ্জন রেল শহর। এই শহরে ছয়ের পল্লী কমিউনিটি হলের সামনের ৩১ নম্বর রাস্তার ক্রসিংকে "তিলোত্তমা মোড়" হিসেবে ঘোষণা করা হল। দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী এই ঘোষণা গতকাল ৭ সেপ্টেম্বর এক কনভেনশনের মধ্য দিয়ে করল সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন । এদিন ইউনিয়নের উদ্যোগে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মহিলা কর্মীদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিয়ে এই কনভেনশনের আয়োজন করা হয়। ছয়ের পল্লী কমিউনিটি হলের সামনে আয়োজিত এই কনভেনশনে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মহিলা কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন। এছাড়াও কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স এবং অন্যান্য কর্মীরাও যোগ দেন। এই হাসপাতালের প্রাক্তন খ্যাতনামা চিকিৎসক ডাক্তার জয়দীপ মিত্র আরজিকর হাসপাতালের বীভৎস্য ঘটনার বর্ণনা করেন। এছাড়াও মহিলা কর্মীরা তাদের কর্মস্থলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিশেষ আলোকপাত করেন। কর্মস্থলের পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার বিষয়টিতেও তারা জোর দেন। এদিনের কনভেনশনে আরজিকর কান্ডের বিচার চাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করা হয়। সেগুলি হল চিত্তরঞ্জন রেল শহরে মহিলাদের সাহায্যের জন্য আরপিএফের হেল্প লাইন নম্বর চালু, কর্মস্থল এবং শহরাঞ্চলে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ সুরক্ষা কমিটি গঠন। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন এইসব দাবি তারা সিএলডব্লুর প্রিন্সিপাল চিফ পারসোনেল অফিসার এবং রাজ্য পুলিশের কাছে লিখিত আকারে পেশ করবেন।@প্রান্তভূমি
.
.
আসানসোলের বনাঞ্চলে নেকড়ে সংরক্ষণে বিশেষ প্রকল্প, উইংসকে অর্থ দিচ্ছে ডব্লু ডব্লু এফ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ সেপ্টেম্বর:: ভারতীয় ধূসর নেকড়ে বা ইন্ডিয়ান গ্রে উলভসের সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে। এমনকি ভারতে বাঘের সংখ্যার চেয়েও কম সংখ্যায় আছে এই নেকড়ে। কিন্তু অত্যন্ত আশার কথা হল এই ভারতীয় ধূসর নেকড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও তার আশেপাশের বনাঞ্চলে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগ এবং উইংসের যৌথ সমীক্ষায় এই অঞ্চলে ভারতীয় ধূসর নেকড়ের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে আসানসোল তার কয়লা এবং শিল্পের জন্য পরিচিত হলেও এই বিশেষ ধরনের বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে। এবার এদেরই সংরক্ষণ এবং জীবনধারা চর্চা করার জন্য ওয়াইল্ডলাইফ ইনফরমেশন এন্ড নেচার গাইড সোসাইটি বা উইংস একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। অবলুপ্তির পথে এগিয়ে যাওয়া ভারতীয় ধূসর নেকড়ের প্রজাতিকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তা করছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল বা ডব্লু ডব্লু এফ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নেকড়ে এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী আসানসোল অঞ্চলের আশেপাশে জঙ্গল এবং মাঠে ঘাটে কোথায় থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে। তাদের রক্ষা করার জন্য পরিকল্পনা সুনিশ্চিত করা হবে। এজন্য বিভিন্ন বনাঞ্চলে তাদের গতিবিধি নজরে রাখতে ট্রেইল ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। বন বিভাগের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে উইংস। এই প্রকল্প নেকড়েদের বিষয়ে অজানা রহস্যের উন্মোচন করার পাশাপাশি তাদের সংরক্ষণের জন্য কার্যকরী কৌশল প্রণয়নে গুরুত্ব দেবে বলে মনে করেন আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দ। অন্যদিকে দুর্গাপুর বন বিভাগের ডি এফ ও ডঃ অনুপম খান এই প্রকল্পের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন ভারতীয় ধূসর নেকড়ে এই অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীব বৈচিত্র বজায় রাখার জন্য এবং একটি ভারসাম্যযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এদের সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর ফলে এদের দেখা পাবে। তবে নেকড়েদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ পরিকল্পনার সঙ্গে জনগণকেও এই প্রচেষ্টায় জড়িয়ে নেওয়া এবং উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান। উইংস-এর সদস্য অরিন্দম রায় ভারতীয় ধূসর নেকড়েদের এই পরিবেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন জীব-বৈচিত্রের অন্যতম এই অংশকে অবশ্যই অনতিবিলম্বে রক্ষা করার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এই প্রকল্প শুধু নেকড়েদের রক্ষার জন্য নয়, আসানসোলের সমগ্র বাস্তুতন্ত্রকে সঠিক রাখার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত এক ফলপ্রসূ পদক্ষেপ বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
লোহার খুঁটি গেড়ে অজয়ের সিধু কানু সেতু বন্ধ করতে চায় রেল - অভিযোগে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ সেপ্টেম্বর:: পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন রেল শহর এবং ঝাড়খণ্ডের বিস্তৃত অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টিকারী অজয় নদের উপর সিধু কানু সেতু দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে রেল এই সংবাদকে কেন্দ্র করে আজ সকালে ব্যাপক বিক্ষোভে সামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই সেতুতে লোহার খুঁটি গেড়ে অটো টোটো চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ নিয়েছিলেন কিন্তু আপাতত সেই উদ্যোগ থেকে তারা পিছু হটেছেন এবং ৯ সেপ্টেম্বর ,সোমবার বিষয়টি নিয়ে সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজারের সাথে বিকেল চারটেয় বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের পক্ষে প্রবীণ প্রভাকর। তিনি বলেন সিধু কানু ব্রিজ দিয়ে ঝাড়খণ্ডের বহু এলাকার ছাত্রছাত্রী রোগী ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ নিত্যদিন যাতায়াত করেন। চিত্তরঞ্জন অঞ্চলের বহু মানুষ এই ব্রিজের উপর দিয়ে ঝাড়খন্ড সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছান। কিন্তু তারা জানতে পেরেছিলেন গতকাল রাতেই এই ব্রিজের ওপর লোহার খুঁটি গেড়ে অটো টোটো সহ অন্যান্য বাহনের যাতায়াত বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় রেল। এরপরই আজ সকাল থেকে সেখানে স্থানীয় মানুষজন বিক্ষোভে নামেন। তাদের সঙ্গে সামিল হন মাধব চন্দ্র মাহাতো, সত্যানন্দ ঝা, ঠাকুরমনি সিং , অজয় মণ্ডল, দীপক মন্ডল, তাপস মন্ডল, অলক মন্ডল, সত্যনারায়ণ মন্ডল সহ বহু গণমান্য ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভস্থলে আরপিএফ পৌঁছায় এবং প্রাথমিক আলোচনা সারেন তাদের সাথে। ফোনে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। তবে প্রবীণ বাবু বলেন চিত্তরঞ্জনের জেনারেল ম্যানেজার এ বিষয়ে সদর্থক পদক্ষেপ না নিলে তারা রেল মন্ত্রীর কাছে বিষয়টি তুলবেন। এ বিষয়ে চিত্তরঞ্জনের উপ মহাপ্রবন্ধকের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। জনসংযোগ আধিকারিক চিত্রসেন মন্ডল বলেন বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর কর্তৃপক্ষই যা বলার বলবেন।@প্রান্তভূমি
.
.
দুই রাজ্যের সীমানায় দুষ্কৃতি গতিবিধি রুখতে পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড পুলিশের বিশেষ বৈঠক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ সেপ্টেম্বর:: সামনেই ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে যাতে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খন্ড রাজ্যের সীমাবর্তি অঞ্চলে দুষ্কৃতী গতিবিধি মাথা চাড়া দিতে না পারে সেজন্য দুই রাজ্যের উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা আজ আন্তঃরাজ্য বৈঠক করলেন। এই বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় মিহিজাম পালবাগানে। বৈঠকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমস্ত রকম দুষ্কর্মে লাগাম পরাতে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয় সাধন নিয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে দুষ্কৃতিদের আনাগোনা রুখতে এখন যেসব চেক পোস্ট আছে সেগুলি ছাড়াও অতিরিক্ত চেকপোস্ট সক্রিয় করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এখন চিত্তরঞ্জনে তিনটি, রূপনারায়ণপুর রুনাকুড়া ঘাটে দুটি, সালানপুরে দুটি এবং কল্যানেশ্বরী ডুবযডিহিতে একটি এবং বারাবনিতে একটি চেকপোস্ট সক্রিয় আছে। অন্যদিকে জামতাড়ার মিহিজাম কুণ্ডহিত নলা বিন্দাপাথর বাগডহরি থানা এলাকাগুলিতে চেকপোস্ট আছে। বৈঠকে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি কুলটি জাবেদ হোসেন, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি, রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা, আরপিএফ চিত্তরঞ্জন ইন্সপেক্টর জয়ন্ত কুমার মুখার্জি উপস্থিত ছিলেন; অন্যদিকে জামতাড়ার এসডিপিও বিকাশ কুমার লঙ্গুরি, জামতাড়া ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রনাথ যাদব, মিহিজাম থানার আধিকারিক বিবেকানন্দ দুবে উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের মাধ্যমে দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয় আরো মজবুত হবে বলে এদিন উল্লেখ করা হয়। দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে সমন্বয়কে আরো কার্যকরী করার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে - যার মাধ্যমে দুই রাজ্যের পুলিশ দ্রুত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে।@প্রান্তভূমি
পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যা সার্কেলের নকল সিমকার্ড পৌঁছাতো জামতাড়া গ্যাংয়ের হাতে, গ্রেপ্তার ১
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ আগস্ট:: পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যা সার্কেলের নকল সিম কার্ড জামতাড়া গ্যাংয়ের সাইবার দুষ্কৃতিদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল এক দুষ্কৃতি। গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম পুলক দাস, বয়স ১৯। তার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার অন্তর্গত রামপুর পোস্ট অফিস এলাকার সুহরি গ্রামে। তাকে ধরা হয়েছে ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার অন্তর্গত দুলাডিহি পঞ্চায়েত এলাকার নবডিহি ময়দান এলাকা থেকে। ধৃতের কাছ থেকে পুলিশ একটি মোবাইল, 48 টি নকল সিম কার্ড, ১৩ টি নকল এটিএম কার্ড, একটি প্যান কার্ড ও একটি আধার কার্ড এবং একটি মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করেছে। জামতাড়ার এসপি এহতেশাম ওকারিব সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গোপন সূত্র মারফত তারা জানতে পেরেছিলেন জামতাড়ার সাইবার দুষ্কৃতিদের কাছে পশ্চিমবঙ্গ এবং উড়িষ্যা সার্কেলের নকল সিম কার্ড ও মোবাইল সরবরাহ করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। বিষয়টি জানতে পারার পরেই জামতাড়ার সাইবার ডিএসপির নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ দল গঠন করে নবডিহি ময়দান এলাকায় হানা দেওয়া হয়। দুষ্কর্মে ব্যবহার করার জন্য নকল সিমকার্ড, মোবাইল বিক্রি করার জন্য ওই যুবক সেখানে হাজির হতেই পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। ধৃতের বিরুদ্ধে জামতাড়া সাইবার থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 111(২), 317 (2) সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা (৫২ /২৪) রুজু করেছে। পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্ত পুলক দাস নকল সিম কার্ড এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় জামতাড়া সাইবার দুষ্কৃতিদের কাছে বিক্রি করতো। এইসব নকল সিম কার্ড ব্যবহার করেই দুষ্কৃতিরা বিভিন্ন রাজ্যের মানুষকে প্রতারণা করতো।@প্রান্তভূমি
কিশোরীকে প্রলোভিত করে যৌন আচরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার টেলারিং দোকানের মালিক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ আগস্ট:: আরো এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির ঘটনা সামনে এলো। অভিযোগ পেয়েই সালানপুর থানার পুলিশ বছর বাষট্টির ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আসানসোল আদালতে চালান করেছে। এই ঘটনা ঘটেছে ডাবর গ্রামের অদূরে ডাবর কলিয়ারি সংলগ্ন রাঙা মোড় এলাকায়। জানা গেছে ডাবর কোলিয়ারির কোয়ার্টার্সে দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন অভিযোগকারী ব্যক্তি। তার রাঙা মোড়ে চায়ের দোকান আছে। অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরও টেলারিং-এর দোকান আছে রাঙা মোড়ে। তিনি থাকেন কলিয়ারি কোয়ার্টার্সের পাশে এসবেস্টসের ছাউনি দেওয়া বাসায়। এই টেলারিং দোকানের মালিক তপন কর্মকারকে (৬২) ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি জানিয়েছেন। অভিযোগে প্রকাশ তপনবাবু চায়ের দোকান চালানো ব্যক্তির মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন একাধিকবার। এদের মধ্যে বড় মেয়েটি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। ১৫ আগস্ট তার সাথে তপনবাবু অশালীন আচরণ করে বলে সে তার মাকে জানিয়েছিল। কিন্তু এরপর মেয়েটি সালানপুর ব্লকেরই অন্য প্রান্তে তার মামা বাড়িতে চলে যাওয়ায় বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি পরিবার। এদিকে গতকাল ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আবার মেয়েটিকে দোকানে ডেকে তপন বাবু ভেতরে নিয়ে যান এবং সেখানে অশ্লীল ভিডিও, বই ইত্যাদি দেখিয়ে তার শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। এমনকি মেয়েটি বাধা দিতে গেলে তাকে বলে - এইসব করলে শরীর ভালো থাকবে। এরপরই তার হাতে টাকা গুঁজে দেয়। এবারও সঙ্গে সঙ্গেই মেয়েটি সমস্ত ঘটনা তার মাকে বিশদে জানিয়ে দেয়। এরপরই মেয়েটির মা ও বাবা স্থানীয়ভাবে কয়েকজনকে ঘটনাটি বললে তারা পুলিশের খবর দেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তপন বাবুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শ্রমিক নেতা দীনেশলাল শ্রীবাস্তব বলেন বছর চারেক আগে তপনের স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তারও আগে তার দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই তিনি এবং স্থানীয় মানুষজন তাকে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু তার চরিত্রের এই জঘন্য দিকটির কথা তারা জানতেন না। দীনেশবাবু বলেন এর আগে তপন ওই ছাত্রীর ছোট বোনের সঙ্গেও অশালীন আচরণের চেষ্টা করেছিল। সেই ঘটনাটিও এবার সামনে চলে এসেছে। এই অভিযোগের সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দীনেশ বাবু।@প্রান্তভূমি
বীমা সপ্তাহ উদযাপনে এলআইসিআই চিত্তরঞ্জন শাখা
#প্রান্তভূমি।। ৩ সেপ্টেম্বর::
৬৮ বছর ধরে দেশকে আর্থিক নির্ভরতা যুগিয়ে চলেছে ভারতীয় জীবন বীমা নিগম। দেশের কোটি কোটি মানুষের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের আর্থিক ভিত্তি সুদৃঢ় রাখার অনন্য এই সংস্থাটি প্রতিবছর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহটিকে বীমা সপ্তাহ উপলক্ষে উদযাপন করে আসছে। এবছরও ১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর এই উদযাপন চলছে দেশব্যাপী। এলআইসিআই চিত্তরঞ্জন শাখাতেও অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে বীমা সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে। প্রথম দিনের মূল অনুষ্ঠানে ২ সেপ্টেম্বর প্রধান অতিথি ছিলেন রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার। শ্রী মজুমদার এবং শাখার বরিষ্ঠ প্রবন্ধক মণিশংকর মল্লিক এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। সংগীত পরিবেশন করেন সংস্থার মহিলা কর্মীরা। শ্রী মজুমদার তার বক্তব্যে বলেন, প্রথমত তিনি একজন গর্বিত পলিসি হোল্ডার। তার মতই কোটি কোটি মানুষ এলআইসিআই-এর পলিসি নিয়ে গর্বিত ও সুরক্ষিত। তিনি জীবনে বীমার অপরিহার্যতা নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কর্মীদের পক্ষে গুরুচরণ চার ও সুমনা মুখার্জি, ডেভেলপমেন্ট অফিসারদের পক্ষে রঞ্জন সিং, এজেন্টদের পক্ষে উত্তমকুমার চক্রবর্তী এবং সবশেষে সিনিয়র ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মনিশঙ্কর বাবু তার মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জীবন বীমার সমস্ত আধিকারিক কর্মী এজেন্ট এবং বহু গ্রাহক উপস্থিত হয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানকে উজ্জ্বল করে তোলেন ৩১ আগস্ট অবসর গ্রহণ করা এই শাখার আধিকারিক লবেশ্বর মুর্মু। উল্লেখ্য, বীমা সপ্তাহ উপলক্ষে চিত্তরঞ্জন শাখা বৃক্ষরোপণ, অংকন প্রতিযোগিতা সহ নানান কার্যক্রম পালন করছে। এদিন বক্তারা বলেন আজ প্রায় সাত দশক ধরে এলআইসিআই দেশকে সুদৃঢ় আর্থিক ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত করে আসছে। এখন এলআইসিআইয়ের মূল সম্পদ ৫২. ৮৫ লক্ষ কোটি টাকা। সারাদেশে এই সংস্থার ২০৪৮ টি শাখা, ১৫৮৪ টি উপশাখা, ১১৩ টি ডিভিশন অফিস মানুষকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। এর সঙ্গে ১৪ লক্ষ এজেন্ট এবং ১ লক্ষ কর্মী সরাসরি যুক্ত আছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও এলআইসিআই পরিষেবা দিয়ে চলেছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে বাঁচিয়ে রাখা এবং বৃদ্ধির পথে সহযোগিতা করা প্রতিটি নাগরিকের কর্তব্য। এদিন সকলেই ভারতীয় জীবন বীমা নিগমকে আরো সক্রিয় এবং সহযোগী রাখার ক্ষেত্রে সমস্ত করণীয় বিষয়গুলিতে জোর দেবেন বলে উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
কুশপুতুল পোড়ানো হলো চিত্তরঞ্জনের জেনারেল ম্যানেজারের, উচ্ছেদ পকেটগেট বন্ধ থেকে পিছু হটার ডাক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ সেপ্টেম্বর:: চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে একের পর এক দোকান খাটাল বস্তি উচ্ছেদ এবং দীর্ঘকাল ধরে যাতায়াতের পকেট গেটগুলি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার ও রেলমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ালো বিক্ষুব্ধ জনতা। এক সেপ্টেম্বর ১ নম্বর গেট এলাকায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে মিহিজাম বেসিক স্কুল চত্বর থেকে জনসেবা পার্টির কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষজন মিছিল করে এক নম্বর গেট এলাকায় পৌঁছান। সেখানে বহুক্ষণ ধরে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন এবং রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। পূর্ব ঘোষিত এই বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ন্ত্রিত রাখতে মিহিজাম পুলিশ আরপিএফ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা রক্ষীরা বড় সংখ্যায় মোতায়েন ছিলেন। এখানে জনসভা পার্টির পক্ষে পবনদেব রায়, অচিন্ত্য মন্ডল, ছোটেলাল মন্ডল, রাকেশ লাল প্রমুখ বলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ তথা জেনারেল ম্যানেজারের অমানবিক সিদ্ধান্তের কারণে শত শত গরীব মানুষ আজ বেঘর রোজগারহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের দৈনন্দিন উপার্জন শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে পথে বসেছেন। তারা বলেন মিহিজাম সহ আশেপাশের মানুষজন একসময় জমি ও জীবন দিয়েছেন এই কারখানা গড়ে তোলার জন্য কিন্তু কারখানা কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে এলাকাকে শোষণ করা ছাড়া অন্য কিছুই দেয়নি। মিহিজাম অঞ্চলের মানুষের দুর্দশা বেড়েছে কানগোই কুর্মিপাড়া পকেট গেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে। স্থানীয় বেকার যুবকেরা কাজের জন্য হাহাকার করলেও আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে কারখানায় যন্ত্রপাতি এবং লোকজন আনা হচ্ছে বাইরে থেকে । এলাকার বিদ্যুৎ জল রাস্তা শিক্ষা স্বাস্থ্য ইত্যাদি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ চরম উদাসীন বলে তারা মন্তব্য করেন। এমনকি ছোটখাটো ব্যবসায়ী যেমন মাছ বিক্রেতা সবজি বিক্রেতা গুমটি চালিয়ে সংসার চালানো ব্যক্তিদের নিত্যদিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে । স্থানীয় এলাকার মানুষের প্রতি সহৃদয়তা না দেখিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করেন। এই বিক্ষোভ আন্দোলন শেষে রেলমন্ত্রী এবং জেনারেলর ম্যানেজারের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। রেল প্রশাসন দ্রুত তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না দাঁড়ালে এক নম্বর গেট অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দেন জনসেবা পার্টির নেতারা।@প্রান্তভূমি
জঙ্গলের ধারে চলছিল নকল বিদেশী ব্রান্ডের মদ তৈরির কারখানা, পুলিশের হানায় বাজেয়াপ্ত ২৩ লক্ষ টাকার মদ ও কাঁচামাল
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ সেপ্টেম্বর:: পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খন্ড সহ বিভিন্ন রাজ্যে নকল বিদেশী মদ তৈরীর কারখানায় হানা দিল পুলিশ। ১ সেপ্টেম্বরের এই অভিযানে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকার মদ এবং 5 লক্ষ টাকার স্পিরিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বড়সড়ো এই কারখানা চলছিল জামতাড়া জেলার অন্তর্গত মুচাইডিহি গ্রামে। এখানে জঙ্গলের ধারে একটি অর্ধনির্মিত বাড়িতে নকল বিদেশী মদ তৈরির এই কারখানা চলছিল বলে জামতাড়া পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে। তারপরই থানার ওসি রাজেশ মন্ডল এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা সেখানে হানা দেন। তবে জঙ্গল এবং অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কারখানা থেকে লোকজন পালিয়ে গেলেও বিপুল পরিমাণ নকল মদ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করতে পারে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে আন্তঃরাজ্য এই কারখানাটি চলছিল মদ মাফিয়া মনোজ মণ্ডল এবং তার সহযোগীদের নেতৃত্বে। অভিযুক্ত মনোজের বাড়ি জামতাড়খ জেলার ফাগুডিহি গ্রামে। তবে কারখানাটি চলছিল মুচাইডিহিতে। এখানে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল মদ তৈরি করে বিভিন্ন রাজ্যে চালান করা হতো। বড়সড় এই অভিযানে পুলিশ রয়্যাল স্ট্যাগ ও ইম্পিরিয়াল ব্লু ব্র্যান্ডের ২৯২ টি কার্টুনে বিভিন্ন মাপের প্রায় 6768 বোতল মদ, ইথাইল এ্যসিটেট লেখা ৭০০ লিটারের মত পদার্থ, রয়্যাল স্ট্যাগ এবং ইম্পেরিয়াল ব্লু লেখা ১০০০ প্লাস্টিকের ঢাকনা, বহুমাত্রায় স্টিকার এবং কিউআর কোড আঁকা ঢাকনা সহ অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নকল মদের এই আন্তঃরাজ্য কারবারে জড়িতদের ধরার জন্য ঝাড়খন্ড পুলিশ অন্যান্য রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল পাঠাগার
#প্রান্তভূমি ।। ১ সেপ্টেম্বর::
আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল পাঠাগার চালু হলো। ৩১ আগস্ট এই পাঠাগারের সূচনা লগ্নে সাংসদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রম ও আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক। ছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার চন্দন কোনার সহ ছাত্রছাত্রী ও অন্যান্যরা।@প্রান্তভূমি
নাবালিকার সঙ্গে যৌন আচরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার বৃদ্ধ, ডাবর গ্রামে চরম উত্তেজনা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ সেপ্টেম্বর:: এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন আচরণের অভিযোগকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠলো সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত ডাবর গ্রাম। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে হেনস্থা করার পাশাপাশি তার বাড়ি ঘিরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চালাতে থাকেন। সন্ধ্যা থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত স্তিমিত হয় পুলিশের ব্যাপক সক্রিয়তায় অভিযুক্তকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসার পর। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানা গেছে। আরজিকর কাণ্ডে প্রতিবাদী সময়ের মধ্যে এই ঘটনা বিশেষ মাত্রা যোগ করল সালানপুর ব্লকে। অভিযোগে প্রকাশ, ডাবর গ্রামের বাসিন্দা সুবোধ মাহাতা (৭২) গ্রামেরই আদিবাসী পাড়ার বছর আটেকের একটি নাবালিকার সঙ্গে বেশ কয়েকদিন ধরেই যৌন আচরণ করছিলেন। গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই ওই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠিত একটি মন্দির আছে। সকাল সন্ধ্যা ওই মন্দিরে সুবোধ বাবু পূজা অর্চনার জন্য যেতেন। অভিযোগ, স্কুলে যাতায়াতের পথে ওই নাবালিকাকে অর্থ এবং চকলেট ইত্যাদির প্রলোভন দেখিয়ে সুবোধ বাবু মন্দিরে ডেকে নিতেন। তারপর দরজা বন্ধ করে দিতেন। ঘটনাটি পরপর বেশ কয়েকদিন ঘটার পর ওই নাবালিকার সহপাঠীরা তাকে এ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে সে সুবোধবাবুর কু-কীর্তির কথা তাদের জানিয়ে দেয়। এই বিষয়টি সহপাঠীরা তাদের টিউশনির শিক্ষককে জানালে ওই শিক্ষক নাবালিকার বাবা-মাকে সমস্ত কিছু খুলে বলেন। এরপরই ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা নাগাদ নাবালিকার বাবা-মা সহ পরিজনেরা এবং সমস্ত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ সুবোধবাবুর বাড়িতে চড়াও হন। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে কিছু চড় থাপ্পড়ও খেতে হয় বলে সালানপুর ব্লক এসটি সেলের নেতা জয়েশ হাঁসদা জানান। এরপরই প্রচুর স্থানীয় মানুষ সেখানে জড়ো হন এবং আদিবাসীরা সুবোধবাবুর বাড়ি ঘেরাও করে তার শাস্তির দাবি জানাতে থাকেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী সেখানে ছুটে যায়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি কুলটি জাভেদ হুসেন, সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। শেষ পর্যন্ত অনেক রাতে সুবোধ বাবুকে তার বাড়ি থেকে রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়িতে তুলে আনতে পারে পুলিশ। এর পর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো এবং এসসিএসটি ধারা সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় সুবোধবাবুর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন বলেন, এই কুকীর্তির জন্য অভিযুক্তের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে ডাবর গ্রামের বৃহত্তর মাহাতা পরিবারের সকলেই এই ঘটনাকে নৈতিকভাবে সমর্থন করছেন না বলে জানান মাহাতা পরিবারের এক বরিষ্ঠ সদস্য। তিনি বলেন অভিযোগের সারবত্তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত সাজার পক্ষে তারা আছেন। পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন তারা এই ধরনের নিন্দনীয় ঘটনাকে কোনোভাবেই সমর্থন করেন না। অভিযুক্তের উপযুক্ত শাস্তির দাবী করেছেন তারা। অন্যদিকে অভিযুক্ত সুবোধ মাহাতার পরিবার কংগ্রেসী রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কংগ্রেস নেতৃত্বও এই অভিযোগকে গুরুতর বলে মনে করছেন। তবে গ্রামবাসীরা বলছেন, সব সময় হাতে জপের মালা , কপালে চন্দনের তিলক নিয়ে যে সুবোধবাবুকে তারা এতদিন ধরে চিনতেন তার এই পরিণতি তাদের অবাক করেছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন রেল কোয়ার্টার্স থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার
#প্রান্তভূমি ।। ৩০ আগস্ট::
উজ্জ্বল এক ভবিষ্যতের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ চিত্তরঞ্জন। রূপনারায়ণপুরের নজরুল সেন্টিনারি পলিটেকনিকের প্রাক্তন ছাত্র মোহিত সংগরকারের ঝুলন্ত দেহ চিত্তরঞ্জনের রেল কোয়ার্টার্স থেকে আজ সকালে উদ্ধারের পরেই সংশ্লিষ্ট মহল বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছে। কারণ অত্যন্ত চৌকশ, সমাজসেবায় উদ্বুদ্ধ এই যুবকের অকাল প্রয়াণ কেউই মেনে নিতে পারছেন না। ২০২২ সালে মোহিত পলিটেকনিক থেকে ইন্সট্রুমেন্টেশন এন্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগে উত্তীর্ণ হয় । তারপর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজে যোগ দেয়, তবে ঘর থেকেই অর্থাৎ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছিল সে। তার মা বন্ধুলা সংগরকার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার অ্যাকাউন্টস বিভাগের কর্মী। মোহিত ও তার মা চিত্তরঞ্জন রেল শহরের ঝিলপাহাড়ি এলাকার ৫/ সি রাস্তার ৯/এ কোয়ার্টার্সে থাকতেন। আজ সকাল দশটা নাগাদ বন্ধুলাদেবী অফিসে বেরিয়ে যান। সকাল সওয়া এগারোটা নাগাদ তিনি খবর পান যে তার ছেলে কোয়ার্টার্সে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অফিস থেকে কোয়ার্টার্সে ছুটে যান। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। পুলিশ দেহটি নামিয়ে ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কি কারনে তার মৃত্যু হল তাই নিয়ে অত্যন্ত বিচলিত ছাত্রনেতা মিঠুন মন্ডল। মিঠুন বলেন মোহিতের ডান হাত ক্ষতিগ্রস্ত থাকলেও বাঁ হাত দিয়েই সে ২০২২ সালে পলিটেকনিকের সরস্বতী পুজোয় দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল তৈরি করেছিল। পলিটেকনিক ছাত্র সংসদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক ইত্যাদি পরীক্ষার সময় স্কুলে স্কুলে পৌঁছে পরীক্ষার্থীদের হাতে জলের বোতল তুলে দেওয়া, তাদের অসুবিধায় সহযোগিতা করা সহ নানান উদ্যোগে সক্রিয় অংশ নিত মোহিত। তার এই মৃত্যু হৃদয়বিদারক বলে মিঠুন উল্লেখ করেন। পলিটেকনিকের ছাত্র সমাজ পরিবারটির পাশে আছে বলে মিঠুন জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
বর্ধমান-ঝাঁঝা মেমু স্টপেজ তুলে দেওয়া হচ্ছে রূপনারায়ণপুরের
#প্রান্তভূমি ।। ৩০ আগস্ট::
রেল বলছে যাত্রীদের সুবিধার্থে মেমু ট্রেনের যত্রাপথ নতুন করে স্থির করা হলো। কিন্তু, এর ফলে রূপনারায়ণপুরের যাত্রীরা যে চরম বঞ্চনার শিকার হতে চলেছেন তা নিয়ে হেলদোল নেই রেলের। ঘটনা হলো আগে যে আসানসোল -ঝাঁঝা (০৩৬৭৫) মেমু চলাচল করছিল তার স্টপেজ ছিল রূপনারায়ণপুরে। এখানে ট্রেনটির সময় ছিল সকাল ১০.০২ মিনিটে। কিন্তু বর্ধমান-আসানসোল(০৩৫৩৩) মেমুর সঙ্গে আসানসোল-ঝাঁঝার যাত্রাপথ মিলিয়ে দিয়ে যে নতুন বর্ধমান-ঝাঁঝা মেমুর (০৩৫৩৩) সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে রূপনারায়ণপুরের স্টপেজ তুলে দেওয়া হয়েছে। ফিরতি ঝাঁঝা-বর্ধমান পথেও ট্রেনটি রূপনারায়ণপুরে দাঁড়াবে না। এরফলে, সকালের দিকে আসানসোলের দিক থেকে জামতাড়া মধুপুর দেওঘর যাওয়ার ক্ষেত্রে বড়ো অসুবিধায় পড়তে চলেছেন রূপনারায়ণপুরবাসী। কারন, ভোরে মোকামা , সকাল ৮ টা নাগাদ লোকাল, পরে অন্ডাল-জশিডি রূপনারায়ণপুর ছাড়ার পর একেবারে সেই সন্ধ্যা ৬.৩০ এর আগে আর কোন লোকাল পাচ্ছে না রূপনারায়ণপুর। আগের আসানসোল-ঝাঁঝা এখানে সকালবেলার (১০.০২) যে সুবিধা দিত, তা তুলে নেওয়া অত্যন্ত ভুল পদক্ষেপ বলে যাত্রীরা মনে করছেন। তারা অবিলম্বে সময়সূচির মধ্যে রূপনারায়নপুরে স্টপেজ রাখার দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য ৩ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন এই যাত্রা পথ শুরু হচ্ছে বলে রেল জানিয়েছে।@প্রান্তভূমি
ক্রিমি লেয়ার পর্যবেক্ষণের বিরোধিতায় চিত্তরঞ্জনের এসসি এসটি এ্যসোসিয়েশনের বিক্ষোভ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ আগস্ট:: সিডিউল কাস্ট এবং সিডিউল ট্রাইব শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে যারা ক্রিমি লেয়ার অর্থাৎ আর্থিকভাবে অত্যন্ত স্বচ্ছল অবস্থায় আছেন তাদের সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া থেকে বিরত করা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণীর মধ্যে উপশ্রেণী তৈরি করে দেখা যে কাদের জন্য প্রকৃতই সংরক্ষণ প্রয়োজন - এমন পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্ট ১ আগস্ট করার পরেই সারা দেশে এসসি এসটি অ্যাসোসিয়েশনগুলির মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে আজ সারাদেশে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই বিষয়ে অল ইন্ডিয়া এস সি এস টি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এ্যসোসিয়েশন সিএলডব্লু জোন আজ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা প্রশাসনিক ভবনের সামনে জমায়েত ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভ শেষে রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যে একটি স্মারকলিপি সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজার রিতেন্দ্র মালহোত্রার হাতে দেওয়া হয়। এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুভাষচন্দ্র ব্রহ্ম সহ বিভিন্ন পদাধিকারী এই বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন সংবিধানে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কোন সুযোগ রাখা হয়নি। ক্রিমি লেয়ার হিসেবে চিহ্নিত করার উদ্যোগও সঠিক নয় বলে তারা দাবি করেন। তারা বলেন দেশের এসসি এসটি শ্রেণীভুক্ত মানুষজন এখনো ব্যাপক হারে পিছিয়ে আছেন, ফলে তাদের সংরক্ষণের আওতা থেকে সরিয়ে দিলে সার্বিক উন্নয়ন বাধা প্রাপ্ত হবে। এদিন মহাপ্রবন্ধক শ্রী মালহোত্রা তার অফিস থেকে বেরিয়ে এসে এ্যসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের হাত থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।@প্রান্তভূমি
শ্রীকৃষ্ণ জন্মোৎসব উদযাপনে পিঠাকিয়ারির শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির
#প্রান্তভূমি ।। ২৮ আগস্ট ::
রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারিতে অবস্থিত শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দিরে মহাসমারোহে দুই দিনব্যাপী জন্মাষ্টমী ও নন্দোৎসব পালিত হল। ২৭ আগস্ট প্রথম দিন নিত্য পূজা ছাড়াও জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ পূজার আয়োজন করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় ভাগবত পাঠ এবং শ্রীশ্রী মাধবকে ৫৬ ভোগ সমারোহে অর্চনা করা হয়। পরের দিন অর্থাৎ আজ নন্দোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে বিশেষ পূজাপাঠ, গোবিন্দকে বিভিন্ন উপাচার দিয়ে আরতি করা হয়। দুপুরে মহাভোগ নিবেদনের পর নরনারায়ন সেবার আয়োজন করা হয় । অনুষ্ঠানে বহু ভক্ত নাম কীর্তন করেন এবং উৎসাহ ভরে মহা ভোগ গ্রহণ করেন। এদিন সন্ধ্যায় রাধামাধবের লীলা কীর্তনের আয়োজন করা হয়।@প্রান্তভূমি
পিঠাকিয়ারি হাসপাতালে ২৪ ঘন্টা পুলিশ পোস্টিং
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ আগস্ট:: ২৪ ঘন্টা পুলিশি সুরক্ষার আওতায় এলো সালানপুর ব্লকের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল। পিঠাকিয়ারী গ্রামীণ হাসপাতালে দুই শিফটে মোতায়েন থাকছে সিভিক ভলান্টিয়ার। রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ওসি নাসরিন সুলতানা বলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটির বিশেষ উদ্যোগে এই ব্যবস্থা কার্যকরী হয়েছে। স্থায়ী ভাবেই এই ব্যবস্থা হাসপাতালে রাখা হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, সালানপুর ব্লকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অন্যতম নির্ভরযোগ্য এই হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগী ও তাদের পরিজনেদের আনাগোনা লেগে থাকে। প্রতিদিন গড়ে আড়াইশো রোগী হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা নেন। আছে ৪০টি শয্যা। চিকিৎসক কর্মী মিলিয়ে অন্ততপক্ষে ৪০ জন হাসপাতালের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে আছেন। এরই সঙ্গে আছে বিভিন্ন টিকাকরণ বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট নানান দপ্তর।
এই বিপুল পরিমাণ রোগী, চিকিৎসক, কর্মী সকলের নিরাপত্তায় ২৪ ঘন্টা পুলিশি নজরদারি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। কারণ মাঝেমধ্যেই এই হাসপাতাল রোগীর পরিজনেদের আক্রোশের শিকার হয়েছে। সেসব ক্ষেত্রে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি থেকে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই গোলমাল বড় আকার ধারণ করত। এবার স্থায়ীভাবে পুলিশ পোস্টিং হওয়ায় হাসপাতালের নিরাপত্তা মজবুত হল বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন সালানপুর স্বাভাবিক, ব্যর্থ বিজেপির বনধ
#প্রান্তভূমি ।। ২৮ আগস্ট::
বিজেপির ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের কোনরকম প্রভাব পড়লো না সালানপুর ব্লকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্কুল কলেজ হাসপাতাল ব্যাংক বাজার হাট সমস্ত কিছুই স্বাভাবিক। একেবারে ভোরের দিকে দুই একটি বাস রাস্তায় না নামলেও পরের দিকে বড় মিনি সমস্ত বাসই চলাচল করছে বলে জানা গেছে। তবে আল্লাডি মোড়ে মিনিট পাঁচেকের জন্য বিজেপি সমর্থকেরা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। যদিও সক্রিয় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই তাদের অবরোধ তুলে দেয়। ব্লকের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ নেই বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। চিত্তরঞ্জন রেল শহরের
আমলাদহি বাজার সহ অন্যান্য বাজারগুলিও স্বাভাবিক আছে।@প্রান্তভূমি
আগামীকাল বাংলা বনধ ডাকলো বিজেপি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ আগস্ট:: আগামীকাল ২৮ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গে ১২ ঘন্টার বনধ আহ্বান করল বিজেপি। সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বনধ চলবে বলে বিজেপি জানিয়েছে। আজ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে পুলিশি "নির্মমতার" প্রতিবাদে এই বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সকলকে এই বন্ধে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যদিও প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্য সরকার এই বনধকে অস্বীকার করে আগামীকাল রাজ্যে জনজীবন সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রাখার কথা বলেছে। এমনকি রাজ্য সরকার এও জানিয়ে দিয়েছে বেসরকারি দোকানপাট খোলা থাকবে এবং বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকবে ; যদি কোন কারনে দোকান বা বেসরকারি বাসের ক্ষতি হয় তাহলে সরকার সেই ক্ষতিপূরণের দায় বহন করবে। পুজোর আগে বনধের ফলে ব্যবসায়ীরা এবং সাধারণ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানিয়ে এই বনধকে ব্যর্থ করার ডাক দিয়েছে সরকার।@প্রান্তভূমি
মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুটের চেষ্টা রুখে দিলেন ব্যবসায়ী
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ আগস্ট:: রাতে বাড়ি ফেরার সময় পাড়ার গলিতেই আগ্নেয়াস্ত্রধারী দুষ্কৃতির হাতে আক্রান্ত হলেন এক ব্যবসায়ী। তবে অকুতোভয় এই ব্যবসায়ীর বাধায় শেষ পর্যন্ত অস্ত্র সহ পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় দুষ্কৃতিরা। জানা গেছে বার্ণপুর সুভাষপল্লীতে দোকান আছে ব্যবসায়ী দীপঙ্কর চট্টোপাধ্যায়ের। তার বাড়ি আসানসোল দক্ষিণ থানার অন্তর্গত সুমথ পল্লীতে। ২৫ আগস্ট রাত সওয়া 10 টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে তিনি বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। যে মুহূর্তে তিনি বাড়ির রাস্তায় ঢোকেন তখনই কালো পোশাক পরা এক যুবক হাতে পিস্তল নিয়ে তাকে আটকায়। এরপর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে যা আছে সবকিছু দিয়ে দিতে বলে। হঠাৎ করে এমন ঘটনায় খানিকটা হক চকিয়ে গেলেও দীপঙ্কর বাবু সম্বিত ফিরে পেয়ে ঐ দুষ্কৃতি কিছু করার আগেই তার জামার কলার চেপে ধরেন। এ সময় ধস্তাধস্তির মধ্যে তিনি বাইক থেকে মাটিতে পড়ে যান, কিন্তু দুষ্কৃতির কলার তিনি ছাড়েননি। এদিকে কিছুক্ষণের মধ্যেই চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ পেয়ে আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় বিপদ বুঝে ওই দুষ্কৃতি কোনক্রমে দীপঙ্কর বাবুর হাত ছাড়িয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা তার সঙ্গীর বাইকে চেপে পালিয়ে যায়। এই ঘটনা সেখানকার সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে। পুলিশ দুষ্কৃতির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।@প্রান্তভূমি
জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র কল্যানেশ্বরীতে দুঃসাহসিক চুরি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ আগস্ট:: শরীর খারাপ থাকায় ২৫ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায় দোকান খোলেননি। কিন্তু সোমবার ২৬ আগস্ট সকালে দোকান খুলেই চক্ষু চড়কগাছ মালিক জয়ন্ত সেনের। তিনি দেখেন দোকান একেবারে লন্ডভন্ড। ছাদের এ্যসবেস্টস ভেঙে দুষ্কৃতিরা দোকানে ঢুকে একাধিক মোবাইল, ক্যামেরা, হেডফোন, সিম কার্ড, ল্যাপটপ সহ যাবতীয় সামগ্রী চুরি করে নিয়ে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ দু লক্ষ টাকারও বেশি বলে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে এই রাজ্যের অন্যতম পর্যটনস্থল কল্যানেশ্বরীতে। কল্যানেশ্বরী থেকে ডুবুরডিহি চেকপোস্টের দিকে যাওয়ার রাস্তার পাশেই জয়ন্ত বাবুর দোকান অর্ক টেলিকম এন্ড স্টুডিও। ঘটনার সংবাদ পেয়েই চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ সেখানে যায় এবং সিসিটিভির সূত্র ধরে তদন্তে নামে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো দুষ্কৃতি গ্রেফতার বা জিনিসপত্র উদ্ধারের মতো অগ্রগতি ঘটেনি বলে জানা গেছে। কল্যানেশ্বরীর মত জনপ্রিয় পর্যটন ক্ষেত্রে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী ৬৪ টি বাইরের সংস্থাকে নিয়ে বৈঠকে সিএলডব্লু
#প্রান্তভূমি ।। ২৬ আগস্ট::
চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বাইরের যেসব সংস্থা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে সেইসব ভেন্ডারদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করলেন সিএলডব্লু কর্তৃপক্ষ। ২৩ আগস্ট এই আলোচনা সভায় ৬৪ টি কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকের শুরুতেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মহাপ্রবন্ধক হিতেন্দ্র মালহোত্রা উপস্থিত ভেন্ডারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সঠিক সময়ে পূরণ করতে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে সর্বোচ্চ গুনমান বজায় রেখে সঠিক সময়ে যন্ত্রাংশ সরবরাহ করতে হবে। এদিন বিভিন্ন স্লাইডের মাধ্যমে সিএলডব্লুর যন্ত্রাংশ কেনার পদ্ধতি পর্যালোচনা করা হয়। বিভিন্ন ধরনের যেসব যন্ত্রাংশ চিত্তরঞ্জন কারখানা বাইরের সংস্থা থেকে কেনে সেগুলির প্রদর্শনীও করা হয়। এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন মহাপ্রবন্ধক শ্রী মালহোত্রা। সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পি এফ এ অংশুমান সরকার, পিসিএমএম এ কে মেশরাম, সিএমএম মহেশ কুমার, পিসিইই এস কে ভার্মা, পি সি এম ই হামিদ আখতার প্রমুখ উচ্চ পদাধিকারীরা। এই ভেন্ডার মিটে উপস্থিত ছিলেন এম এস এম ই অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর তাপস রায়। তিনি স্লাইডের মাধ্যমে বর্তমান ভারতবর্ষে এম এস এম ই প্রকল্পের অধীনে কাজ করে কত মহিলা পুরুষ স্বনির্ভর হয়েছেন তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এই প্রকল্পের অধীন সরকারি সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন তিনি। সিএলডব্লুর ডেপুটি সিএমএম গনেশ বর্ধন সহ স্টোর বিভাগের অন্যান্য আধিকারিক ও কর্মীদের সহযোগিতায় ভেন্ডারমিটের সফল আয়োজনের জন্য সকলেই অভিনন্দন জানান।@প্রান্তভূমি
দু'দিন ধরে ভারি বৃষ্টি ঝাড়খণ্ডে:: ড্যাম বাঁচাতে বিপুল হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ আগস্ট:: গত দু'দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টির কারণে মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর বিপজ্জনক ভাবে বেড়ে চলেছে। এর ফলে মাইথন হাইডেল স্টেশন এবং পাঞ্চেত জলাধার থেকে বিপুল পরিমাণ জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে ডিভিসি। জানা গেছে এই মুহূর্তে মাইথনের জলস্তর ৪৭৫ ফুট হয়ে গেছে। ড্যাম বাঁচাতে এখান থেকে ১৩১৮২ একর ফুট জল ছাড়া হচ্ছে; যদিও এখানে ২৬৮৮৩ একর ফুট জল জমা হচ্ছে। অন্যদিকে পাঞ্চেত জলাধারের জলস্তর ৪১৩ ফুট উঁচু হওয়ার কারণে এখান থেকে ৬৪১২৬ একর ফুট জল ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পাঞ্চেতে জল জমা হচ্ছে ৫৬৭০৮ একর ফুট। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় জল বিভাগ এবং ডিভিসি এমআরও বিভাগ জলাধারের জলস্তরের উপর কড়া নজরদারি বজায় রেখেছে।@প্রান্তভূমি
.
.
ছাত্রীদের মাঝে এসিপি, দিলেন সমাজ শিক্ষার পাঠ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ আগস্ট:: যে কোনো পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশ আছে - এই বার্তাই দিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (কুলটি) জাভেদ হুসেন। আজ তিনি সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ওসি নাসরিন সুলতানার সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্লকের অন্যতম বৃহত্তম বিদ্যালয় আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাই স্কুলে। সেখানকার শিক্ষিকা, ছাত্রী, কর্মীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথোপকথন করেন তারা। ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী তাপস উকিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে কোনরকম গুজবে কান না দেওয়া, বাল্যবিবাহ রোধে ছাত্রীদের এগিয়ে আসা, সাইবার প্রতারণার বিষয়গুলিতে সচেতন থাকা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তারা আলোকপাত করেন। সহজ সরল ভাষায় তারা পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার সঙ্গেই ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন। এ প্রসঙ্গে এসিপি শ্রী হুসেন বলেন পড়ুয়াদের বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন অত্যন্ত জরুরী, বিশেষ করে সাময়িক পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্বন্ধে তাদের পরিচিতি বৃদ্ধি খুবই প্রয়োজনীয়। পুলিশ সবসময়ই পড়ুয়াদের বন্ধু । এদিন এসিপি সংশ্লিষ্ট থানাগুলির সিভিক ভলান্টিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সকলকে সচেতন করে বলেন, সব সময়ই সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে । এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে।@প্রান্তভূমি
গতকাল রাত পর্যন্ত তল্লাশি, আজ পুরোপুরি সীল:: অবৈধ কাঠ মিলের বিরুদ্ধে বড়ো সাফল্য বন বিভাগের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ আগস্ট:: ব্যাপক তল্লাশি চালিয়ে একটি কাঠ মিল থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠ বাজেয়াপ্ত করল বন বিভাগ। মূলত শিশু শিমুল চররা জাতীয় গাছ কেটে এখানে মজুত করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। বাজেয়াপ্ত করা গাছের গুঁড়ির পরিমাণ প্রায় ৯.৮৭ কিউবিক মিটার বলে জানা গেছে। আসানসোল টেরিটোরিয়াল ফরেস্টের (রূপনারায়ণপুর) রেঞ্জ আধিকারিক তমালিকা চন্দ বলছেন বাজেয়াপ্ত করা কাঠগুলি অমূল্য। বিশেষ সূত্র বলছে এর আর্থিক মূল্য বহু লক্ষ টাকা। আপাতত অভিযুক্ত এই কাঠ চেরাই মিলটিকে সীল করে রেখেছে বন বিভাগ। মিলের মালিকের বিরুদ্ধে কেস রুজু করা হয়েছে। জানা গেছে প্রতিবছরের মতোই এবারও ৭ জুলাই থেকে 17 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সমস্ত প্রকার গাছ কাটার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল দুর্গাপুর বনবিভাগ। কিন্তু গোপন সূত্রে আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জ বিভাগ জানতে পারে জামুড়িয়া কুয়া মোড় এলাকার একটি কাঠের মিলে বিপুল পরিমাণ গাছের গুঁড়ি ঢুকছে । বিষয়টি জানা মাত্রই রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দের নেতৃত্বে বনবিভাগের একটি দল জামুড়িয়ায় হানা দেয়। সেখানে রাজেশ ভান্ডারীর শিবম স মিলে হানা দিয়ে তারা বিপুল পরিমাণ অবৈধ কাঠের সন্ধান পান। কারণ মালিক ওইসব কাঠের কোন বৈধ নথি তাদের দেখাতে পারেননি বলে বন বিভাগ জানায়। গতকাল বিকেল থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত ওই মিলে অভিযান চালায় বন দপ্তর। এরপর আজ ২৪ আগস্ট বন দপ্তর ওই মিলে গিয়ে মিলটিকে পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে আসে। ওই মিলের প্রয়োজনীয় লাইসেন্সও নেই বলে বন বিভাগের রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা গেছে। আপাতত কাঠ চেরাই মেশিনগুলিকে তালা মেরে সীল করার পাশাপাশি সমস্ত কাঠ বাজেয়াপ্ত করে মিলেই রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিস দুর্গাপুর শুনানির মাধ্যমে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করবে বলে জানা গেছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে গৌরাঙডি, বরাকর, দোমোহানি ইত্যাদি অঞ্চলে একাধিক অবৈধ কাঠ মিলের হদিশ বন বিভাগ পেয়েছে। রূপনারায়ণপুরে অবৈধ মিল না থাকলেও এখান থেকে ঝাড়খন্ড এবং অন্যান্য অঞ্চলে কাঠ পাচারের অভিযোগ আছে। এই সমস্ত বিষয়ে বন বিভাগ কড়া পদক্ষেপ করবে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
পাহাড়ের নিচে গ্রেফতার ২ কুখ্যাত সাইবার অপরাধী
#প্রান্তভূমি ।। ২৪ আগস্ট::
পাহাড়ের নাম বোকা পাহাড়ি। অনেকেই সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে ঘুরতে যান। কিন্তু সেই পাহাড়ের নিচেই ঝোপের মধ্যে বসে সাইবার অপরাধীরা একের পর এক মানুষকে প্রতারণা করে যাচ্ছিল। ঝাড়খণ্ড জামতাড়ার পুলিশ সুপার গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই সাইবার ডিএসপির নেতৃত্বে জামতাড়া জেলার নারায়ণপুর থানা এলাকার কেন্দুয়াটাঁড় গ্রাম লাগোয়া বোকা পাহাড়ির জঙ্গলে অভিযান চালায় সাইবার পুলিশ। সাইবার ডিএসপি অশোক কুমার রাম সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন দুষ্কর্ম করার সময়েই তারা হঠাৎ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করেছেন। তাদের নাম ভীম মন্ডল এবং পাপ্পু মন্ডল। ধৃতদের কাছ থেকে ৯ টি মোবাইল, ১১ টি নকল সিম কার্ড, একটি এটিএম কার্ড, দুটি পাস বই এবং একটি চেক বই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ডিএসপি শ্রী রাম জানিয়েছেন ধৃত পাপ্পু মন্ডলের বিরুদ্ধে আগেও প্রতারণার অভিযোগ লিপিবদ্ধ আছে। সেসময় তার বিরুদ্ধে নারায়ণপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। এরা বিদ্যুতের বিল জমা না হওয়া, বিদ্যুতের সংযোগ কেটে যাওয়ার ভয় দেখানো ইত্যাদির ছলনায় নকল অফিসার সেজে মানুষজনকে ফোন করতো। এদের বিরুদ্ধে জামতাড়া সাইবার থানায় বিভিন্ন ধারায় মামলা (৪৯/২৪) রুজু করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনে উচ্ছেদ রুখতে হুঙ্কার:: বিকল্প ব্যবস্থার দাবি বংশগোপালের
#প্রান্তভূমি ।।২৩ আগস্ট::
বিকল্প ব্যবস্থা না করে আমলাদহি বাজার সহ চিত্তরঞ্জনের কোথাও উচ্ছেদ করা চলবে না বলে দাবি জানালেন রেল শহরের ব্যবসায়ীরা । তাদের এই দাবিকে জোরদার আন্দোলনে পরিণত করার আশ্বাস দিলেন সিটু নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন বাম সাংসদ বংশ গোপাল চৌধুরী। আজ সন্ধ্যায় সি এল ডব্লু লেবার ইউনিয়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি আমলাদহি বাজারে ছুটে এসেছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে বক্তব্য রাখার সময় শ্রী চৌধুরী বলেন, হঠাৎ করেই যেন ঘুম ভেঙে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। অমানবিক এই উচ্ছেদ বন্ধ করার জন্য তিনি ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীর কাছে লিখিত দাবী জানিয়েছেন। তিনি বলেন বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং এর ফলে চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত এলাকায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে। তার আবেদন রাজ্যের উচ্চ প্রশাসন গ্রাহ্য করেছে এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কিন্তু এরপরও আজ সকালেই চিত্তরঞ্জনের আর সেভেন বাজার এলাকা এবং বো মার্কেট অঞ্চলে উচ্ছেদ চালানো হয়েছে। এর প্রতিরোধেই তিনি চিত্তরঞ্জনে ছুটে এসেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের বাঁচানোর জন্য তারা উদ্যোগ নিয়েছেন বটে কিন্তু এই উদ্যোগে দলমত নির্বিশেষে সকলকেই শামিল হতে হবে। বংশগোপাল বাবু বলেন, আজ যারা চিত্তরঞ্জন রেল কর্মী তারা ভাবছেন অনেক বেতন পাচ্ছি আমাদের এ বিষয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। কিন্তু বাজার ভাঙতে ভাঙতে একদিন কারখানাটাকেও ভেঙে বিক্রি করে দেওয়া হবে, তখন আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি বলেন কোনভাবেই বিকল্প ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ অভিযান একেবারেই করা যাবে না। এদিকে উচ্ছেদ অভিযানের বিরোধিতা করে আজ আমলাদহি বাজারে ব্যবসায়ীরা মিছিল করেন। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জনের ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাতে উল্লেখ করেছেন অবিলম্বে এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে হবে । এর ফলে তাদের রুটি রুজি বন্ধ হয়ে গেলে তারা বুলডোজারের সামনে প্রাণ দেবেন কিন্তু তাদের দীর্ঘদিনের ব্যবসা ক্ষেত্র ভাঙতে দেবেন না। এইসঙ্গে তারা উল্লেখ করেছেন পুজোর আগে এই উচ্ছেদ তাদের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনবে এবং এর ফলে আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতিও হবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। এই স্মারকলিপির প্রতিলিপি বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এবং আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরীকে তারা দিয়েছেন। তবে, যাবতীয় আবেদন নিবেদন হুমকি আন্দোলন সবকিছুকে উপেক্ষা করে রেল প্রশাসন যেভাবে একের পর এক অবৈধ দোকান ঘর ছাউনি উচ্ছেদ করে চলেছে তাতে আমলাদহি বাজার কতটা রক্ষা পাবে তাই নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান সকলেই।@প্রান্তভূমি
জাহাজের মত ট্রাক চলেছে রাস্তায়, ব্যস্ত সময়ে ব্যাপক যানজট রূপনারায়ণপুরে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ আগস্ট:: বিশাল জাহাজের মত রেল ইঞ্জিনের একটি খোলকে ট্রাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিত্তরঞ্জন কারখানার দিকে। আর তার ফলেই ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হল রূপনারায়ণপুরে। দিনের অত্যন্ত ব্যস্ত সময় সকাল দশটায় বড়সড়ো এই ট্রাকটি রূপনারায়ণপুর চৌমাথা পার হয়। তারপরই হিন্দুস্তান কেবলস রোড ধরে এগিয়ে যেতেই শুরু হয় যানজট। ধীরগতির ট্রাকটির পিছনে আটকে যায় বাইক স্কুটি বাস ট্রাক্টর সহ পথচারীরা। ডাবর মোড় থেকে রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি পর্যন্ত মাত্র ৫০০ মিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লেগে যায় কুড়ি মিনিটেরও বেশি । বিরক্ত পথচারীরা বলেন, দিনের অতি ব্যস্ত সময়ে এত বড় ভারী ট্রাক কেন এই পথে যাতায়াতের অনুমতি দিচ্ছে প্রশাসন। ডাবর মোড়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য নাম কা ওয়াস্তে ট্রাফিক গার্ড থাকলেও তারা কোনোভাবেই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ জানান। পূজা পার্বণের সময় কিংবা রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠান হলে ডাবর মোড়ে সিভিক ভলেন্টিয়ারের দেখা মেলে; কিন্তু অন্য সময় তারা যান নিয়ন্ত্রণের কাজে নিষ্ক্রিয় থাকেন। সাধারণ মানুষের আবেদন, দিনের ব্যস্ত সময় গুলিতে এইসব ভারী ট্রাক যাতে মূল রাস্তায় যাতায়াত করতে না পারে সে বিষয়ে যেন পুলিশ প্রশাসন নজর দেন। তারা আরো বলেন, এইটুকু রাস্তাতেই বহু প্রাণহানি ঘটেছে অনিয়ন্ত্রিত ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য। তাছাড়া রাস্তার দু'ধারে ফুটপাত দখল হয়ে যাওয়ায় কোনভাবেই একটি বড় ট্রাক বা গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার উপায় থাকে না। সেক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য গাড়িও, এমনকি পুলিশের টহলদারি গাড়িও আটকে পড়ে। এই অসুবিধা দূর করার জন্য দিনের ব্যস্ত সময়ে রূপনারায়ণপুর হিন্দুস্তান কেবলস রোডে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের আবেদন জানান তারা।@প্রান্তভূমি
মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হল ৭৯ টি দোকান:: চিত্তরঞ্জনে ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান রেলের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২২ আগস্ট::
এক সকালেই ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল চিত্তরঞ্জন রেল শহরের অন্যতম বড় বাজার ফতেপুর আপার মার্কেট । আজ নির্মম অভিযানে এই এলাকার ৭৯ টি দোকান ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিল চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। এইসব দোকান রেল প্রশাসনের অনুমতিহীন অবৈধ বলে আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রেল। নিজেদের উদ্যোগে দোকানঘর ভেঙ্গে অন্যত্র উঠে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা চালিয়ে সংসার প্রতিপালন করা মানুষগুলি শেষ ভরসা আঁকড়ে বসে ছিলেন । তবে সেই ভরসা এক লহমায় চুরমার হয়ে গেল। ফতেপুর কমিউনিটি হল সংলগ্ন মূল রাস্তার ধারে যেসব দোকান এতদিন ছিল আজ সেই সবই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। আরপিএফের কড়া নজরদারিতে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আজ সকাল দশটা থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। দুপুর দুটোর মধ্যে একে একে ৭৯ টি দোকান ভেঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। এ সময় অনেকেই উচ্ছেদের হাত থেকে বাঁচিয়ে ফলের পেটি সহ দোকানের অন্যান্য সামগ্রী কোনক্রমে সরাতে থাকেন। প্রতিরোধহীন এই অভিযান মসৃণ ভাবেই শেষ হয়। ফলে, যতই রেল প্রশাসনের কাছে আবেদন নিবেদন করা হোক কিংবা আন্দোলনের কথা বলা হোক; পুজোর আগে উচ্ছেদ অভিযান থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হোক - কোন কিছুই রেল কানে তুলছে না। তারা তাদের পরিকল্পনা মত শহর থেকে একের পর এক অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিতে বদ্ধপরিকর। আজকের এই উচ্ছেদ পর্ব সেই পরিকল্পনারই একটি অংশ। এবার খাঁড়া ঝুলছে চিত্তরঞ্জনের সর্ববৃহৎ বাজার আমলাদহির ওপর।@প্রান্তভূমি
ছাত্র ছাত্রীদের মিছিল রূপনারায়ণপুরে::শ্লোগান উঠলো- মুখ খোলো সিবিআই, আরজিকর কান্ডের বিচার চাই
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২১ আগস্ট:: আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আজ পথে নামল সালানপুর ব্লকের স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন বহু অভিভাবক অভিভাবিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষজন। তবে মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের আহ্বানেই এই মিছিল বেশ বড়সড়ো আকার নিয়েছিল। মিছিলটি হিন্দুস্তান কেবলস অফিস গেটের সামনে ডিএভি স্কুল চত্বর থেকে শুরু হয়ে রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় পর্যন্ত যায়। সেখানে ছাত্রদের পক্ষে কয়েকজন আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সিবিআই যাতে সঠিক তদন্ত করে শেষ করে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয় সেই দাবি জানানো হয়। এরপর মিছিলটি পুনরায় ফিরে আসে ডিএভি স্কুল সংলগ্ন অঞ্চলে। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে - আরজিকর কাণ্ডের বিচার চাই, মুখ খোলো সিবিআই। জাতীয় পতাকা হাতে ছাত্রছাত্রীদের এই প্রতিবাদ মিছিল এলাকাবাসীর নজর কাড়ে।(ছবি দীনবন্ধু মণ্ডল)@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জনকে বাঁচাতে প্রয়োজনে উৎপাদন বন্ধের ডাক তপন সেনের:: সংসদে তুলবেন সিএলডব্লুর কথা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ আগস্ট:: প্রয়োজন হলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে হবে। এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে যাতে ঠান্ডা ঘরে বসে শ্রমিক বিরোধী সিদ্ধান্ত কেউ নিতে না পারেন । এমনই কথা বললেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা সি আই টি ইউ-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তপন সেন। আজ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা পরিদর্শনের পর তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, বহিরাগত কোম্পানির কর্মীদের চিত্তরঞ্জন কারখানার শপ ফ্লোর ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। এভাবেই সিএলডব্লুকে রুগ্ন করার চক্রান্ত রুখে দিতে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিলেন শ্রী সেন। এদিন তিনি কারখানার বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে মূল সমস্যাগুলি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষে ট্রাকশন মোটর গেটে শ্রমিকদের জমায়েতে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন একদিকে কর্মীর সংখ্যা ক্রমশ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০-২৫ বছরের পুরনো যন্ত্রপাতি রেল ইঞ্জিন উৎপাদনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে দুর্ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তপন বাবু বলেন এইসবের একটাই উদ্দেশ্য, কারখানাটাকে বিক্রি করতে হবে। বাইরের কোম্পানি থেকে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ কারখানায় ঢোকানো হচ্ছে, এর ফলে কারখানায় কাজের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। চিত্তরঞ্জনকে বাঁচানোর জন্য লেবার ইউনিয়ন (সিটু)কে সর্বাত্মক ঝাঁপানোর কথা বলার পাশাপাশি তিনি বলেন, কিছু সুবিধাবাদী সংগঠন আছে তাদেরকেও বুঝিয়ে আন্দোলনে সামিল করতে হবে। চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীদের যত ইঞ্জিনের উৎপাদনের টার্গেট দেওয়া হচ্ছে সেই সবই তারা পূরণ করার পরেও অন্যায় ভাবে বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ কেনার বিরোধিতা করে তিনি বলেন যারা এইসব অর্ডার দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই ভিজিলেন্স তদন্ত হওয়া উচিত। সমস্ত বিষয়ই তিনি সংসদে তুলবেন বলে এদিন জানান। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন আমলাদহি বাজার উচ্ছেদ করার যে চেষ্টা রেল কর্তৃপক্ষ করছেন তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা সিটু নেতা বংশগোপাল চৌধুরীর কাছে লিখিত আবেদন জানান। রেলের এই বুলডোজার নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর কথা বলেন শ্রী চৌধুরী। তিনি বলেন আমরা সব সময় আন্দোলনের সঙ্গে আছি। এই সভায় তপন সেন, বংশগোপাল চৌধুরী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন রাজীব গুপ্ত; সভাপতিত্ব করেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী।@প্রান্তভূমি
বাজার বাঁচাতে পার্লামেন্টে পৌঁছাবে সিটুর দাবি:: পুজোর মুখে উচ্ছেদ না করার আবেদন চিত্তরঞ্জনে
বাজার বাঁচানোর লড়াইয়ে লেবার ইউনিয়ন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ আগস্ট:: আমলাদহি সহ অন্যান্য বাজারগুলিকে রক্ষা করার দাবিতে সরব হলো চিত্তরঞ্জন লেবার ইউনিয়ন। বাজারের প্রতিনিধিদের নিয়ে আজ ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের সাথে দেখা করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন। বাংলার অন্যতম বৃহৎ উৎসব দুর্গা পুজোর ঠিক আগে বাজার উচ্ছেদের নির্দেশ নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা । এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই ইউনিয়নের তরফ থেকে দাবি তোলা হয় যে, সামনেই বিরাট বড় উৎসব, আর তার আগেই এই উচ্ছেদ করা যাবে না। ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রাজীব গুপ্ত বলেন, আমলাদহি বাজার এই এলাকার সর্ববৃহৎ বাজার। সেই বাজারের বিভিন্ন দোকানি বহু বছর ধরে এই এলাকার মানুষের সাথে এক ব্যবসায়িক সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। পুজোর আগেই এদের উচ্ছেদের সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে তিনি জানান। একই সাথে রাজীব বাবু বলেন এই রেল শহরের দোকান বাজার নিয়ে রেলের নীতির পরিবর্তন দরকার । আর সেই লক্ষ্যে সি আই টি ইউয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন সাংসদ তপন সেনের মাধ্যমে এই নীতি পরিবর্তনের আবেদন পার্লামেন্টে পৌঁছে দেওয়া হবে। দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে চন্দন ঘোষের আবেদন যে এই সিদ্বান্ত পরিবর্তন করা দরকার। হঠাৎ এরকম ভাবে দোকান তুলে দিলে পরিবার নিয়ে এই সময়ে তারা কোথায় যাবেন বলে তিনি চিন্তা প্রকাশ করেন। এছাড়া আজকের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, সমীর দাস, বাপ্পা কুন্ডু, সমীর চক্রবর্তী, সুজিত দাস ও বহু দোকান মালিক।@প্রান্তভূমি
চুরি যাওয়া টাওয়ারের ৬টি ব্যাটারি সহ দুষ্কৃতি গ্রেফতার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ আগস্ট:: চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর এক ব্যাটারি চুরির অভিযোগ পাচ্ছিল পুলিশ। সম্প্রতি কল্যা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে টোটোর ব্যাটারি চুরি হয়েছিল। এছাড়াও বিএসএনএল, জিও ইত্যাদি কোম্পানির টাওয়ার থেকে অতি মূল্যবান ব্যাটারি চুরির একাধিক ঘটনা ঘটছিল। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ব্লকের বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা এই এলাকায় ঢুকে দুষ্কর্ম ঘটিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। এরপরই নাইট পেট্রোলিং সহ একাধিক পদক্ষেপ জোরদার করে রূপনারায়ণপুর পুলিশ। আর তাতেই একের পর এক পুলিশের হাতে ধরা পড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা। গতকাল ১৮ আগস্ট রাতে হিন্দুস্তান কেবলস ফুটবল ময়দানের কাছে কেবলসের পরিত্যক্ত কারখানার পিছন থেকে চুরি যাওয়া ৬ টি টাওয়ারের ব্যাটারি সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে রূপনারায়ণপুর পুলিশ। আজ তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হচ্ছে। জানা গেছে জঙ্গলের মধ্যে ওই ব্যাটারগুলি লুকিয়ে রেখে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল তাপস বাউরি (১৯)। তার বাড়ি আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত বারাবনি ব্লকের লালগঞ্জ দুর্গামন্দির এলাকায়। সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর পুলিশ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ধারায় কেস (১৩৮/২৪, তারিখ ৮/৮/২৪) রুজু করেছে। জানা গেছে রূপনারায়ণপুর থেকে সামডির দিকে যাওয়ার পথে কেন্দুয়াডি গ্রামে জিও কোম্পানির টাওয়ারের তালা কেটে সম্প্রতি ১২ টি ব্যাটারি চুরির অভিযোগ পুলিশের কাছে করা হয়েছিল। ৬০০ এ্যম্পিয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই ব্যাটারিগুলি অত্যন্ত মূল্যবান এবং মোবাইল সংযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ দ্রুততার সাথে তল্লাশি অভিযান শুরু করে এবং চুরি যাওয়া 12 টি ব্যাটারির মধ্যে ছ'টি উদ্ধার করতে সমর্থ হয়। বাকি ব্যাটারি উদ্ধার এবং এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের ধরতে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
।
।
আর জি করের ঘটনায় চিত্তরঞ্জনে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান সমর্থকদের সম্মিলিত প্রতিবাদ
#প্রান্তভূমি ।। ১৮ আগস্ট::
"ঘটি বাঙাল একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর" - এই স্লোগানকে সামনে রেখে রেল শহর চিত্তরঞ্জনে মিছিলে পায়ে পা মেলালো পাঁচ বছরের শিশু কন্যা পূজা মির্ধা। সমানতালে তার সঙ্গেই প্রতিবাদী হলেন ৭৮ বছরের বৃদ্ধা রীতা মিত্র। এভাবেই আজ চিত্তরঞ্জন আমলাদহি বাজার বাসস্ট্যান্ডে আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদকে আরো জোরদার করলেন শহরবাসী। এখানে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকেরা একে অপরের হাত ধরে আজ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপঙ্কর মিত্র বলেন তাদের এই প্রতিবাদ আন্দোলন অপরাধীদের শাস্তির দাবিকে আরো জোরদার করবে। কোনভাবেই এই দুষ্কর্মে জড়িতদের যাতে আড়াল না করা হয় সেই দাবী জানান তিনি। এছাড়াও কর্মরত মহিলাদের সার্বিক নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গেই বহু সাধারণ মানুষ এই প্রতিবাদ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। তারা আমলাদহি বাজার এলাকা পরিক্রমা করে ২৪-এর মোড়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি শেষ করেন।@প্রান্তভূমি
যথেচ্ছ গাছ কেটে বালি মাফিয়ারা নিজেদের রাস্তা তৈরি করছে অভিযোগ আদিবাসীদের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ আগস্ট:: বালি মাফিয়ারা যথেচ্ছ গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করে নিচ্ছে, এমনকি সরকারি জমিও তার ফলে দখল হয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ তুলে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দিল আদিবাসীদের সংগঠন। মুর্গাথান আদিবাসী মিলন গাঁওতার ব্যানারে এই অভিযোগ জানানো হয়েছে রানীগঞ্জের বিডিওর কাছে। প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এবং রানীগঞ্জ থানায়। অভিযোগে বলা হয়েছে টিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডামালিয়া ব্রিজের কাছে বালি মাফিয়ারা অবৈধ উপায়ে প্রচুর গাছ কেটে বালি পাচারের জন্য রাস্তা তৈরি করছে। বিনা অনুমতিতে প্রকৃতিকে ধ্বংস করে মাফিয়াদের এই দুষ্কর্ম অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন আদিবাসীদের এই সংগঠন। সংগঠনের সভাপতি মন্টু সরেন বলেছেন সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য এই রাস্তা তৈরি করা হয়নি, এটি সহজে লুকিয়ে চুরিয়ে বালি নিয়ে যাওয়ার জন্য মাফিয়ারা তৈরি করেছে। স্থানীয় মানুষের যাতায়াতের জন্য আগে থেকেই আরো দুটি রাস্তা এলাকায় আছে। বালি মাফিয়ারা যেভাবে গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করেছে তা আদিবাসীদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে চরম আঘাত করেছে। তারা প্রকৃতিকে সব সময়ই দেবতা জ্ঞানে পুজো করেন, প্রকৃতিকে রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট থাকেন। কিন্তু যেভাবে এই অঞ্চলে বালি মাফিয়ারা নিজেদের সুবিধার জন্য প্রচুর গাছ কেটে, এমনকি সরকারি জমিও দখল করে রাস্তা তৈরি করেছে তা প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে। এলাকার আদিবাসী জনজীবনের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীলতায় আঘাত হেনেছে। অবিলম্বে বালি মাফিয়াদের এই তাণ্ডব বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন তারা।@প্রান্তভূমি
বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে সেনা জওয়ানকে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩, তল্লাশি আরও ৪ জনের খোঁজে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ আগস্ট:: মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি ফিরেছিলেন আসাম রাইফেলসের জওয়ান ওমপ্রকাশ ভারতী। কিন্তু বাড়ি ফেরার পরই বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। তার উপর প্রাণঘাতী হামলা হয় এবং তার সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সা আইডেন্টিটি কার্ড সহ সমস্ত কিছু ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীর দল। ১২ আগস্ট এই ঘটনা ঘটলেও হামলার এলাকা পশ্চিমবঙ্গ নাকি ঝাড়খন্ড কোন রাজ্যের আওতায় পড়ছে, তাই নিয়ে অস্পষ্টতার জেরে শেষ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম থানায় ১৬ আগস্ট এফআইআর দায়ের করা সম্ভব হয়। এরপরই মিহিজাম থানা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 19১ (2), ১৯১(3), ১৯০, ১১৮(১), ১১৮(২), ১০৯, ৩০৪(২) ধারায় সাত জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা (৫৪/২৪) রুজু করে। আসাম রাইফেলসের জওয়ান শ্রী ভারতীর স্ত্রী সরোজ কুমারীর অভিযোগের ভিত্তিতে মিহিজাম পুলিশ অংশু কুমার, করণ প্রতাপ সিং, রাহুল গুপ্তা ওরফে মুরগি, সমীর খান, যুবরাজ যাদব, বাবলু যাদব এবং ভিক্কি যাদবের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই রাহুল গুপ্তা ওরফে মুরগি, যুবরাজ যাদব এবং সমীর খানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মিহিজাম থানার ওসি রাজীব কুমার বলেছেন ঘটনাস্থল সম্বন্ধে খানিকটা ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় মামলা শুরু করতে দেরি হল, কিন্তু কোন দোষীকেই রেহাই দেওয়া হবে না। ধৃতদের মধ্যে দুজনকে মিহিজাম আম্বেদকরনগর ময়দানে মদ্যপানরত অবস্থায় ধরা হয়েছে, অন্যজনকে তার ঘর থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। বাকি চারজনকে ধরার জন্য তল্লাশি অভিযান জারি আছে। উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের মিহিজাম এবং পশ্চিমবঙ্গের ডোমদহ এলাকার মাঝে ঐ জওয়ানকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতিরা। সেসময় তিনি মিহিজামের বাড়ি থেকে স্ত্রীর কাছে কুমারডুবিতে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় দুষ্কৃতিরা ঐ জওয়ানের মাথা ফাটিয়ে দেয়, হাত পায়ে ভয়ংকর আঘাত করে। রক্তাপ্লুত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধানবাদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এখন সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।@প্রান্তভূমি
চাল ঢাকা আলু বোঝাই ট্রাক রূপনারায়ণপুর সীমান্তে আটকে দিল পুলিশ, চলছে কড়া নজরদারি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ আগস্ট:: উপরে চালের বস্তা, আর নিচে থরে থরে সাজানো আলুর বস্তা - এভাবেই ট্রাক ভর্তি করে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খন্ডে আলু পাচারের চেষ্টা রুখে দিল রূপনারায়ণপুর পুলিশ। গতকাল ১৬ আগস্ট বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত থেকে পাঁচটি আলু ভর্তি ট্রাক ঘুরিয়ে দেওয়ার পর আজও দুটি ট্রাক ধরা পড়ে রূপনারায়ণপুর সীমান্তে। আলু পচনশীল দ্রব্য হওয়ায় ট্রাকগুলিকে আটকে না রেখে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তবে এই আলু পাচারের সঙ্গে সালানপুর থানা এলাকার বিভিন্ন অংশের দালালেরা যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। ট্রাক চালকদের কাছ থেকে যেসব ফোন নম্বর পুলিশ উদ্ধার করেছে সেগুলি থেকে তারা জানতে পারছেন যে এইসব দালাল চক্র ছড়িয়ে আছে খুদিকা, জোড়বাড়ি, বৃন্দাবনী ইত্যাদি এলাকায়। এদেরই নির্দেশ মত বর্ধমান হুগলি ইত্যাদি জায়গা থেকে আলু বোঝাই ট্রাক রূপনারায়ণপুর আল্লাডি ইত্যাদি অঞ্চলে এসে দাঁড়াচ্ছে। এবং সুযোগ পেলেই পুলিশের নজর এড়িয়ে ঝাড়খন্ডে পাচারের চেষ্টা করছে। তবে রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট এবং পুলিশের নাকা চেকিং এড়াবার জন্য তারা হিন্দুস্তান কেবলসের রাস্তা হয়ে হাসিপাহাড়ির মাঠ পার করে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। বিষয়টি আঁচ করেই রূপনারায়ণপুর পুলিশ আল্লাডি মোড়ের আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি এবং বিশেষ নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থাকে আরও কড়া করেছে। এর ফলেই আটকে যাচ্ছে চৌরঙ্গী মোড় থেকে আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রোড ধরে ঝাড়খণ্ডের দিকে আলু পাচারকারী ট্রাকগুলি। কিছু চালাক ট্রাক চালক চিত্তরঞ্জন শহরে আলু নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সেগুলিকে চিত্তরঞ্জনে না ঢুকিয়ে ঘুরপথে ঝাড়খন্ডে নিয়ে যেতে পারে বলে পুলিশ জানতে পারার পরেই এসকর্ট করে চিত্তরঞ্জন শহরে নির্দিষ্ট ট্রাকগুলিকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তবে বেপরোয়া দালালেরা ট্রাক ছাড়াও পিকআপ ভ্যান, ডিসিএম ছোট গাড়ি এমনকি ট্রাক্টারে চাপিয়েও সীমান্ত এলাকা থেকে ঝাড়খন্ডে আলু পাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ট্রাকের সঙ্গে যে চালান থাকছে তা ভুয়ো বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এর আগে ডুবুরডিহি চেকপোস্ট দিয়ে আলু পাচারের চেষ্টা পুলিশ রুখে দেওয়ার পর নতুন রুট হিসেবে রূপনারায়ণপুরকে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দালালেরা - কিন্তু সজাগ সালানপুর রূপনারায়ণপুর পুলিশ সরকারি নির্দেশ মেনে কোন ভাবেই এ রাজ্য থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে আলু পাচার করতে দেবে না বলে জানিয়েছে।@প্রান্তভূমি
.
.
ক্রীড়াপ্রেমী দিবসে চিত্তরঞ্জনে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য:: অনুষ্ঠিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ আগস্ট:: আজ ক্রীড়া প্রেমী দিবস উপলক্ষে চিত্তরঞ্জন চারের পল্লী এরিয়া কমিটির উদ্যোগে কমিউনিটি হলে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন কলকাতা কাঁপানো ভারতবর্ষের স্বনামধন্য প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে এবং শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শিবিরের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। সঙ্গে ছিলেন ভাইস ওয়ার্ডেনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিএলডব্লুর আধিকারিক নারায়ণ গাঙ্গুলী। সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটির সহযোগিতায় আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংক শিবির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে । এদিন পাঁচ জন মহিলা সহ মোট ৪৪ জন রক্ত দান করেন। প্রত্যেক রক্তদাতাকে মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যের স্বাক্ষর করা শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়।@প্রান্তভূমি
বনধের সকালে পড়ুয়াদের মৌন মিছিল চিত্তরঞ্জনে, সালানপুর ব্লকে জনজীবন স্বাভাবিক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ আগস্ট:: আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে এসইউসিআই-এর ডাকা ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘটের দিনে সকাল থেকে পথে নামল চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। তারা আমলাদহি বাজার থেকে মৌন মিছিল শুরু করে । আর জি কর হাসপাতালে বৈশাখী কান্ডের বিচার চেয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের এই মিছিল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল পেট্রোল পাম্প হয়ে সি এল ডব্লু জিএম অফিস চত্বর পরিক্রমা করে ফিরে আসে আমলাদহি বাজারে। এদিকে সালানপুর চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে আজ বনধের বিশেষ প্রভাব দেখা যায়নি। সকাল থেকেই সমস্ত মিনিবাস চলাচল করছে, অধিকাংশ বড় বাসও রাস্তায় নেমেছে। মিনিবাস মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গেছে ভোর তিনটে দশে প্রথম বাসটি চিত্তরঞ্জন এক নম্বর গেট থেকে আসানসোলের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। তবে অন্যান্য দিনের মতো যাত্রী বাসে নেই বলে জানা গেছে। এছাড়া ব্যাংক পোস্ট অফিস বিডিও অফিস সহ সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক আছে বলে জানা গেছে। স্কুল কলেজ খোলা থাকলেও পড়ুয়াদের উপস্থিতি কম বলে জানা গেছে। সালানপুর চিত্তরঞ্জন অঞ্চলে বন্ধের প্রভাব না পড়া নিয়ে এসইউসিআই চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর লোকাল কমিটির এক সদস্য বলেন খুব কম সময়ের মধ্যে এই বনধ আহবান করা হয়েছে, ফলে সার্বিক প্রচার তারা করতে পারেননি। তবে সকাল থেকেই এসইউসিআই সমর্থকেরা রাস্তায় আছেন কিন্তু জোর করে কাউকে বনধে সামিল হতে বাধ্য করা হচ্ছে না। তিনি বলেন এই বনধকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত স্তরের মানুষ নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন, কিন্তু এই অঞ্চলে প্রকাশ্যে তারা তা দেখাতে পারছেন না। যদিও রাজ্যের অন্যত্র এই বন্ধের ভালো প্রভাব পড়েছে বলে লোকাল কমিটি সূত্র জানিয়েছে।@প্রান্তভূমি
বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে হামলার শিকার আসাম রাইফেলসের জওয়ান, অভিযোগ দায়ের নিয়ে ঠেলাঠেলি দুই রাজ্যের পুলিশের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ আগস্ট:: বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী অঞ্চল ক্রমশ দুষ্কৃতিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ। ৬ মাস বয়সী মেয়ের অন্নপ্রাশনে যোগ দিতে এসে এখানেই আসাম রাইফেলসের এক জওয়ান (প্রশিক্ষক আধিকারিক) ছিনতাইবাজদের কবলে পড়লেন এবং তার উপরে প্রাণঘাতী হামলা করা হলো। এর ফলে তাকে ধানবাদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। তার মাথা পিঠ হাত পা গুন্ডারা ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। আসাম রাইফেলসের এই জওয়ানের নাম ওমপ্রকাশ ভারতী। তার বাড়ি মিহিজাম থানা এলাকার নিউকলোনি পুকুরতলায়। তবে তিনি আক্রান্ত হন আম্বেদকরনগর ও ডোমদহা এলাকার মধ্যে। আক্রান্ত জওয়ানের বাবা সোহন প্রসাদ এবং ভাই সুন্দরলাল বলেন ১২ আগস্ট বিকেল চারটে নাগাদ ওমপ্রকাশ বাইকে চড়ে কুমারডুবি যাওয়ার জন্য রওনা দেন। সেখানেই ছিলেন তার স্ত্রী ও কন্যা। পেশায় তিনি নার্স । কিন্তু ঘর থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের কাছে খবর আসে যে ওমপ্রকাশের ওপর প্রাণঘাতী হামলা হয়েছে এবং শিব মন্দিরের পাশে রক্তাপ্লুত অবস্থায় পড়ে আছেন । তারা দ্রুত সেখানে পৌঁছে জখম ওমপ্রকাশকে মিহিজাম থানায় নিয়ে যান। থানা থেকে তাদের বলা হয় প্রথমে কোন সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য । এরপরই তাকে জামতাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু তার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গিন হওয়ায় তাকে অন্যত্র রেফার করা হয়। আপাতত তিনি ধানবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। এদিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেই তারা মিহিজাম থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গেলে বলা হয় ঘটনাস্থল পশ্চিমবঙ্গে পড়ছে তাই সালানপুর থানায় অভিযোগ করতে হবে। এরপর বাড়ির লোকজন রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে এলে রূপনারায়ণপুর পুলিশ জানিয়ে দেন যে তারা এলাকা খতিয়ে দেখে জেনেছেন ঘটনাস্থলটি ঝাড়খন্ডেই পড়ছে, ফলে অভিযোগ সেখানকার থানাতেই করতে হবে। এই টানাপড়েনে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এফ আই আর দায়ের করা যায়নি বলে তারা জানিয়েছেন। আক্রান্ত ওমপ্রকাশের পরিজনেরা বলেন, সেদিন ১০-১২ জন দুষ্কৃতি লাঠি রড ইত্যাদি নিয়ে তার উপর হামলা চালায় এবং সঙ্গে থাকা সমস্ত কিছু ছিনিয়ে নেয়। তবে হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে ওমপ্রকাশ চিনতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে ভোলু, করণ, আশু ,মুরগি ওরফে রাহুল, বাবলুর নাম তিনি করেছেন । অভিযোগ উঠেছে এর আগেও এদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠলেও পুলিশ প্রশাসন কোন পদক্ষেপ করেনি। হামলার পর ওমপ্রকাশের কাছে থাকা দশ হাজার টাকা, সোনার চেন, আসাম রাইফেলসের পরিচয় পত্র সহ সমস্ত কিছুই হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে ওমপ্রকাশের বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেছেন যে, দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার ঐ মাঠ দুস্কৃতিদের আড্ডাখানা হয়ে উঠেছে। সন্দেহজনক লোকজনের আনাগোনা এখানে হামেশাই লেগে থাকে। প্রতিদিনই রাতের অন্ধকারে জটলা করে সন্দেহজনক লোকজন মোবাইলের আলোয় নেশার কারবার করে। এদের বিরুদ্ধে পুলিশের অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে তারা মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
কাল বাংলা বনধ::আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে তুমুল আন্দোলন মোড় নিচ্ছে ভিন্ন খাতে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ আগস্ট:: আগামীকাল ১৬ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গে ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘট ডাকলো এসইউসিআই। আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে এই বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে ঐদিন রাজ্যব্যাপী ছাত্র ধর্মঘটেরও ডাক দেওয়া হয়েছে। সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল যখন কলকাতা সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় লক্ষ লক্ষ মানুষ মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত পথে নামে, বিশেষ করে রাতের রাস্তার দখল নেয় মেয়েরা - সেসময় হঠাৎ করেই আর জি কর হাসপাতালে দুষ্কৃতিদের তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। লাঠি সোটা ইট পাটকেল নিয়ে তারা হাসপাতালে ঢুকে বহু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ভেঙেচুরে মাটিতে মিশিয়ে দেয়। এই ঘটনা আর জি করে পড়ুয়া চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চলতে থাকা আন্দোলনকে আরো ইন্ধন যোগালো। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল থেকে তথ্য প্রমান লোপাটের জন্যই অতর্কিত এই হামলা চালানো হয়েছে। হামলার আগাম আঁচ না পাওয়া এবং হামলা ঠেকাতে না পারার জন্য পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই সব কিছুরই প্রতিবাদে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ আহবান করেছে এস ইউ সি আই।@প্রান্তভূমি
পুজোর মুখেই ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ণপুর ইস্কোর আধুনিকীকরণ শুরু, ঘুরে দাঁড়াবে শিল্পাঞ্চলের আর্থিক পরিস্থিতি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ আগস্ট:: ইস্পাত উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে বার্ণপুর ইস্কোর ইস্পাত কারখানা সেইল আইএসপি। এই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ইতিমধ্যেই ৩৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর পরেই এই আধুনিকীকরণের কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। এবং ২০২৯ সালের মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কিছু কাজের টেন্ডারও দেওয়া হয়েছে। এখন এই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ২.৪ মিলিয়নটন আছে, সেটি বেড়ে ২.৮ মিলিয়ন টন হবে। নতুন ইউনিটের ক্ষমতা দাঁড়াবে 4 মিলিয়ন টন। ফলে আধুনিকীকরণ সম্পন্ন হলে এই কারখানার মোট উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় 7 মিলিয়ন টনে পৌঁছে যাবে। তবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ইস্কোর এই সম্প্রসারণ প্রকল্প নতুন একটি ইউনিটের জন্ম দেবে। পুরনো কারখানায় তার, রড, বার ইত্যাদি তৈরি হচ্ছে নির্মাণ শিল্পে ব্যবহারের জন্য, কিন্তু নতুন ইউনিটে অটোমোবাইল এবং ভোগ্য পণ্যের উপযোগী হট এবং কোল্ড রোলড কয়েল ইত্যাদি উৎপাদিত হবে। এটিকে সেইলের পশ্চিমবঙ্গে বৃহত্তম লগ্নি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় ১৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে ইস্কো কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। কারখানার বিস্তারের পাশাপাশি এই প্রকল্পে ৫৬০ টি ফ্ল্যাট নির্মাণ সহ পরবর্তী সময়ে কর্মীদের জন্য আরও আবাসন, চওড়া রাস্তা ইত্যাদি তৈরি করা হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে ১৩ আগস্ট সেইল আইএসপি কর্তৃপক্ষ বার্ণপুরের ১০ জন কাউন্সিলরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই কাজ যাতে সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলে সেজন্য প্রত্যেকের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এই সম্প্রসারণ প্রকল্প আসানসোল শিল্পাঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতিকে ব্যাপক চাঙ্গা করবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছেন।@প্রান্তভূমি
প্রসাদ মণ্ডল প্রধান কুমারী-এরাও এসটি! আদিবাসীদের বিক্ষোভে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে সালানপুর ব্লকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ আগস্ট:: কেউ প্রসাদ, কেউ মন্ডল, আবার কেউবা শুধুই কুমারী বা প্রধান - এইসব টাইটেল হলেও তারা কিন্তু শিডিউল ট্রাইব বা তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র জোগাড় করেছেন এবং সেই অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করছেন - এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতি। আজ তারা একেবারে নামধাম তথ্য-প্রমাণ সহ এই বিষয়টি সালানপুর ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দিয়ে এদের বিরুদ্ধে প্রকৃত তদন্ত সাপেক্ষে শংসাপত্রগুলি বাতিল করার দাবি জানালেন। আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য যুব সম্পাদক হিরন্ময় হাঁসদা বলেন, অ আদিবাসী হয়েও বহু মানুষ সুযোগ-সুবিধা লাভের জন্য অবৈধ উপায়ে এসটি সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। সালানপুর ব্লকে এইরকম ১০ জন ব্যক্তির নাম ঠিকানা সার্টিফিকেট নম্বর এবং সেগুলি কোন তারিখে ইস্যু করা হয়েছে সেই সবই ব্লক প্রশাসনের কাছে জমা দিলেন। চিত্তরঞ্জন রেল শহর থেকে কল্যাণেশ্বরী লেফট ব্যাংক এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে আছেন এইসব সন্দেহজনক এসটি সার্টিফিকেট ধারীরা। তাদের এই দাবি পত্র গ্রহণ করলেন যুগ্ম বিডিও রবি সৌরভ। শ্রী হাঁসদা জানান বিষয়টি জানামাত্রই ব্লক প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আসানসোল মহকুমা শাসকের কাছে এইসব নামের তালিকা পাঠিয়ে সেগুলি যথাযথ কিনা যাচাই করার উদ্যোগ নিয়েছেন। আজ সালানপুর কুলটি আদিবাসী উৎনাও সেমলেৎ- এর পক্ষে বহু মানুষ ব্লক কার্যালয়ে জমা হয়েছিলেন। তারা বলেন আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা বড়সড়ো আন্দোলনে নামবেন। হিরন্ময় হাঁসদা আরো বলেন এই সব ব্যক্তি কোন ভাবেই তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায় ভুক্ত নন। এর আগেও এই ধরনের অভিযোগ প্রমান সহ তারা প্রশাসনের কাছে জমা করেছিলেন এবং সেক্ষেত্রে প্রশাসন দ্রুততার সাথে ব্যবস্থা নিয়েছিল বলে তারা উল্লেখ করেন। এইভাবে আদিবাসীদের প্রাপ্য সুযোগ অ আদিবাসীরা কেড়ে নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করে হিরন্ময় বাবু বলেন রাজ্যজুড়েই তারা এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।@প্রান্তভূমি
রেল কর্মীদের সঙ্গেই কারখানার ভেতরে কাজ করছেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা-প্রতিবাদে বিক্ষোভ সিআরএমসি'র
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ আগস্ট:: যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হচ্ছে সেটাই পূরণ করে দিচ্ছেন কর্মীরা, তবুও একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাইরের সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বাইরের সংস্থার কর্মীরা রেল কারখানার শপে ঢুকে একসাথে কাজ করছেন যা অত্যন্ত অস্বস্তিকর এবং অসন্তোষজনক বলে উল্লেখ করলেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার শ্রমিক সংগঠন সি আর এম সি'র সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং। আজ এই বিষয়গুলি নিয়েই তারা কারখানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন, যেখানে কারখানার শপে রেল কর্মীরাই কাজ করতে অভ্যস্ত, সেখানে বাইরের সংস্থার লোকেদের ঢুকিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তিনি বলেন 16 এবং 19 নম্বর শপের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেল কর্মীদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কারখানার নিরাপত্তা, ইঞ্জিনের গুণবত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৪৮৬, ২২-২৩ অর্থবর্ষে ৫৪০ টি ইঞ্জিন উৎপাদনের রেকর্ড গড়ার পরেও একতরফাভাবে রেলবোর্ড চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার নেশায় মেতে আছেন। এই অবস্থা তারা মেনে নেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। স্থায়ী রেল কর্মীদের পাশাপাশি বাইরের বেসরকারি কোম্পানির লোকেরা কেন কারখানায় ঢুকে কাজ করবেন সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। ব্যাপক হারে আউটসোর্সিং এই কারখানার ভবিষ্যৎকেই নষ্ট করছে বলে তিনি দাবি করেন। স্মারকলিপিতে রেল কর্মীদের হাতে পর্যাপ্ত কাজ, ব্যাপকহারে আউটসোর্সিং বন্ধ করা, দ্রুত কর্মী নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে।@প্রান্তভূমি
.
.
ঘরে ঘরে জল পৌঁছাতে আরও তিনমাস, পুজোর আগেই কাটা রাস্তা মেরামত
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ আগস্ট:: সালানপুর ব্লকের প্রতিটি বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছাতে আর মাত্র মাস তিনেক অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩১ অক্টোবর। এই সময়ের মধ্যে ব্লকের প্রায় ৯০% বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছাতেই হবে। এ কথা জানালেন সালানপুর ব্লকে জল সরবরাহের মূল দায়িত্বে থাকা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের সহকারি বাস্তুকার সন্দীপ কুমার কুন্ডু। আজ সালানপুর ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে জল সরবরাহের বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক হয়। তাতে বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সর্বোচ্চ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সন্দীপবাবু বলেন পুরনো লাইন বাতিল করে দিয়ে নতুন লাইন পেতে জল সরবরাহ করা হবে । ইতিমধ্যেই ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। পাইপ বসাতে গিয়ে যেসব জায়গায় রাস্তা কাটা হয়েছে, ঢালাই নষ্ট হয়েছে সেই সব পুজোর আগেই মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শাসক এস পোন্নামবলম। যেসব জায়গায় এখনো নতুন পাইপলাইন বসেনি, ঘরে ঘরে সংযোগ পৌঁছায়নি সেগুলি দ্রুত চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত পিএইচপিকে জানাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই সব জায়গায় সংযোগ ঘটানো হবে বলে সন্দীপবাবু জানান। তিনি বলেন কাজে আরও গতি আনতে ইতিমধ্যেই বকেয়া ৪২ কোটি টাকা সহ নতুন করে পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তা পাওয়া যাবে এবং পূর্ণ উদ্যমে কাজ চলবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন পি এইচ ই'র জীবনে জল জীবন মিশন সবচেয়ে বড় কাজ। সেই কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে ঠিকই, কিন্তু তা জয় করেই বাড়ি বাড়ি জলসরবরাহ অবশ্যই করা যাবে। @প্রান্তভূমি
.
.
ডবল লেন হচ্ছে চৌরঙ্গী থেকে রূপনারায়ণপুর রাস্তা, বৈঠকে জেলাশাসক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ আগস্ট:: প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাইপাস চৌরঙ্গী মোড় থেকে রূপনারায়ণপুর রেলস্টেশনের পাশে টোল ট্যাক্স পর্যন্ত রাস্তাটিকে চওড়া করার প্রাথমিক কাজ শুরু হয়ে গেল। আজ এই বিষয়ে সালালপুর ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তারা বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন। জেলাশাসক এস পোন্নামবলমের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, একাধিক অতিরিক্ত জেলা শাসক, পি ডব্লিউ ডি রোডস-এর এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শ্রীকান্ত সিং, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান,সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, বিদ্যুৎ বিভাগের এ ই বিপ্লব মন্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র সহ সমস্ত প্রধান, পুলিশ প্রশাসন এবং অন্যান্য আধিকারিকেরা। জানা গেছে চলতি আর্থিক বছরেই এই রাস্তা ডবল লেন করার কাজ শুরু হয়ে যাবে এবং দু বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ হবে। ৪১৯ নম্বর এই জাতীয় সড়ক পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খন্ড বিহারের দেওঘর সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে সংযুক্ত করছে। গাড়ি ঘোড়ার চাপ বাড়ছে। চৌরঙ্গী মোড় থেকে রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজের আগে পর্যন্ত এই রাস্তা এখন সাড়ে সাত মিটার চওড়া আছে। ঝাড়খন্ড রোড চওড়া আছে সাড়ে পাঁচ মিটার । পুরো রাস্তাটি ১০ থেকে ১২ মিটার চওড়া হবে। মূল রাস্তার দুদিকে ফুটপাত এবং জলের পাইপ বিদ্যুতের খুঁটি ইত্যাদি বসানোর জন্য জায়গা ছাড়া থাকবে। দুপাশে তৈরি হবে উপযুক্ত ড্রেন। মোট ৮ কিলোমিটার ৭২৫ মিটার দীর্ঘ এই রাস্তায় দশটি কালভার্ট, দেন্দুয়া রেল ক্রসিং-এর ওপর ওভারব্রিজ এবং সালানপুর দেন্দুয়া জেমারি আল্লাডিতে রাস্তার পাশে সাড়ে পাঁচ মিটার করে চওড়া সার্ভিস রোড তৈরি হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী বেশ কিছু দোকান, বাড়ি, একাধিক ধর্মীয় স্থান, একটি স্কুল এজন্য ভাঙ্গা পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ধর্মীয় স্থান অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রশাসন সহযোগিতা করবে, সমস্ত ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই রাস্তাটি ডবল লেন হয়ে যাওয়ার পর একমুখী যানবাহনের গতি ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাস্তার মাঝে কোন ডিভাইডার রাখা হবে না। জমি এবং বাড়ি ভাঙ্গা পড়লে সেখানে জমি ও বাড়ির জন্য পৃথকভাবে যথেষ্ট ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়। আনুমানিক ৩৮০ টি কাঠামো এজন্য ভাঙ্গা পড়বে। আংশিক বুজিয়ে ফেলতে হবে একটি ছোট জলাশয়ও। বাংলা ঝাড়খন্ড সংযোগকারী এই ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডাবল লেন করার বিষয়টিতে অত্যন্ত আগ্রহী জেলা শাসক । অন্যদিকে বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাবিনেট রাজ্যের এই প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। ব্যয় মঞ্জুরীও পাওয়া গেছে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে কাজটি করা হবে বলে তিনি জানান।@প্রান্তভূমি
জনপ্রিয় নৃত্য প্রশিক্ষককে চরম নিগ্রহ, সন্ধে থেকে উত্তপ্ত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ আগস্ট:: এক নৃত্য প্রশিক্ষকের নিগ্রহকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠল রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি চত্বর। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ায় তাকে ধরতে পারেনি পুলিশ, যদিও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপরই বহু সংখ্যক নৃত্য শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের লোকজন ফাঁড়ি থেকে নিজেদের বাড়ির উদ্দেশ্যে ফিরে যান। ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত শিল্পাঞ্চলের বিশিষ্ট নৃত্য প্রশিক্ষক সন্দীপ দত্ত চৌধুরী (কল্যাণগ্রাম-৫) অভিযোগে জানিয়েছেন আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি যখন রূপনারায়ণপুর সীমান্তপল্লী দুর্গা মন্দিরের কাছে নাচের ক্লাস করাচ্ছিলেন সেই সময় রূপনারায়ণপুর আমডাঙার বাসিন্দা বাপ্পা মুখার্জি ও তার স্ত্রী হঠাৎ তাকে আক্রমণ করেন এবং শারীরিক নিগ্রহ করেন। তাকে রক্ষা করার জন্য ক্লাসের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে এলে তাদেরও তারা মারতে উদ্যত হন বলে অভিযোগ। এ সময় দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অভিভাবকেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান। এরপরই পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় এবং বহু অভিভাবক ক্লাস থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়েই রূপনারায়ণপুর ফাঁড়িতে পৌঁছান সন্দীপবাবুকে সঙ্গে নিয়ে। নৃত্য শিক্ষকের নিরাপত্তা ও নিগ্রহকারী বাপ্পা মুখার্জিকে গ্রেফতারের দাবী জানাতে থাকেন তারা। খবর পেয়ে ফাঁড়িতে পৌঁছে যান সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি। হট্টগোল নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হন রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা। পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজে তার বাড়িতে যায় কিন্তু খালি হাতেই ফিরে আসতে হয়। সন্দীপবাবু বলেন এই অঞ্চলে তার বহু শিক্ষার্থী আছে। অভিযুক্ত বাপ্পা বাবুর মেয়েও তার কাছে ছয় বছর ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। কিন্তু সোহিনীর জন্য তার নাচের নির্দিষ্ট পোশাক অভিভাবকেরা তৈরি করিয়ে দিচ্ছিলেন না বলে তিনি সোহিনীর অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন - শুধুমাত্র সেই আক্রোশ থেকেই তার উপরে এত বড় আক্রমণ করা হলো বলে তিনি উল্লেখ করেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা ভোলা সিংও এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে বলে মন্তব্য করেছেন। অভিভাবকদের পক্ষে মৃন্ময় ঘোষাল বলেন এই নিগ্রহ কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, সমস্ত অভিভাবক নৃত্য প্রশিক্ষক সন্দীপ বাবুর পাশে আছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে শেষ পর্যন্ত জানা গেছে এদিন কিছু ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে লিখিত অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা করা যায়নি।@প্রান্তভূমি
প্রাক-পুজো রক্ষণাবেক্ষণে বিদ্যুৎ সরবরাহ আগামী দু'মাস জুড়ে বিঘ্নিত হবে ১৭ টি ফিডারে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ আগস্ট:: পুজোর আগে আগস্ট সেপ্টেম্বর জুড়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা মজবুত করার কাজে নেমেছে রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ বিভাগ। এজন্য ডাবর এবং দেন্দুয়া সাব স্টেশনের অন্তর্গত ১৭ টি ফিডার এলাকাতেই বিভিন্ন দিনে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। মূলত গাছের ডাল ছাঁটা, বিদ্যুতের খুঁটি ঠিক করা, ট্রান্সফরমারের ক্ষমতা বৃদ্ধি, আইসোলেটের পরিবর্তন সহ যাবতীয় কাজকর্ম এই সময়ে সেরে নেওয়া হবে। এজন্য নির্ধারিত দিনগুলিতে সকাল সাড়ে ছ'টা থেকে ন'টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে রূপনারায়ণপুর ফিডার অঞ্চলে ১৭ আগস্ট থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত এই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। এর মধ্যে ১৭, ২৪, ৩১ আগস্ট এবং ৪, ১১, ১৮, ২৫ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে। বাজার ফিডারে এই কাজ চলবে আগস্টের 12, 21 এবং 28 ও সেপ্টেম্বরের ৬, ১৩, ২০, ২৭ তারিখে। এছাড়াও দেশবন্ধু ফিডারে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে আগস্টের ১৭, ২৪ এবং ৩১ তারিখ ও সেপ্টেম্বরের ৪, ১১, ১৮, ২৫ তারিখ। হসপিটাল ফিডারে কাজ চলবে ১৩, ২০, ২৭ আগস্ট এবং ৫, ১২, ১৯, ২৬ সেপ্টেম্বর। কল্যাণগ্রাম ফিডারে কাজ চলবে আগস্টের ১৪, ২২, ২৯ এবং সেপ্টেম্বরের ২, ৯, ২৩, ৩০ তারিখে। দেন্দুয়া পি এইচ ই ফিডারে কাজ চলবে আগস্টের ১৪, ২২,২৯ এবং সেপ্টেম্বরের 2, 9, 23, 30 তারিখে।।
আসানসোল-ওয়ারঙ্গল নতুন রেল করিডোর, মঞ্জুর ৭৩৮৩ কোটি টাকা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ আগস্ট:: আসানসোল থেকে সোজা দক্ষিণ ভারতে পৌঁছে যাওয়ার জন্য একটি নতুন রেল করিডোর গড়ে তুলতে চলেছে ভারতীয় রেল। আসানসোল থেকে ওয়ারঙ্গল পর্যন্ত এই রেল করিডোর গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। ক্যাবিনেটে অনুমোদনের পরই এজন্য ৭৩৮৩ কোটি টাকা মঞ্জুর হয়েছে। এই রেল করিডোর সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে গেলে আগের তুলনায় প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট আজ বৈঠকের মাধ্যমে নতুন আটটি রেল লাইন তৈরীর অনুমোদন দিয়েছে, যাতে খরচ হবে ২৪ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্প ২০৩০-৩১ সালের মধ্যেই রূপায়িত হয়ে যাবে। আসানসোল থেকে ওয়ারঙ্গল পর্যন্ত নতুন রেল করিডোর কয়লা সহ অন্যান্য সামগ্রী ও যাত্রী পরিবহনে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।@প্রান্তভূমি
রাতে বাস থেকে উদ্ধার একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ আগস্ট:: গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছিল ঝাড়খন্ড থেকে মধ্যরাতে পশ্চিমবঙ্গে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা করবে দুষ্কৃতকারীরা। বিষয়টি জানা মাত্রই এসিপি কুলটি জাভেদ হুসেন চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এবং কুলটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খন্ড বাংলা সীমান্তের ডুবুরডি চেকপোষ্টে ৯ আগস্ট গভীর রাতে জাল পাতেন। সে সময় ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাবুইঘাঁটি গামী একটি বাস এসে দাঁড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে বাসটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ এবং সেলিম আনসারী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে তার কাছ থেকে চারটি দেশি বন্দুক ও দুটি কার্তুজ উদ্ধার করে। যাত্রী সেজে একটি নীল ব্যাগের মধ্যে এই অস্ত্রগুলি বর্ধমানের কোথাও পাচার করার জন্য ওই ব্যক্তি নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।@প্রান্তভূমি
হঠাৎই বন্ধ চিত্তরঞ্জন-আসানসোল সমস্ত মিনিবাস, সমর্থন নেই মালিক পক্ষের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ আগস্ট:: আজ সকাল থেকে হঠাৎ করেই চিত্তরঞ্জন- আসানসোল রুটের সমস্ত মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। বাস কর্মীরা এই ধর্মঘটে সামিল হয়েছেন বলে মিনিবাস মালিকদের সূত্রে জানা গেছে। বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে কর্মীরা জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে বাস চলাচলের সময়সূচির হেরফের করা হচ্ছে না, এর ফলে তারা সারাদিন বাসে কাজ করার ফাঁকে খাবার সময়টুকু পর্যন্ত পাচ্ছেন না । জানা গেছে চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোল পর্যন্ত ভায়া নিয়ামতপুর হয়ে সময় নির্ধারিত করা আছে ১ ঘন্টা 35 মিনিট। কিন্তু সর্বত্র রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ এবং প্রচুর পরিমাণ বাম্প থাকার কারণে এই সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে মিনিবাস পৌঁছাতে পারছে না। এর ফলে প্রায় দিনই তাদের জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে বাসকর্মীরা কাজে যাচ্ছেন । কিন্তু বিষয়টি বারবার সংশ্লিষ্ট জায়গায় বলার পরেও কর্ণপাত না করায় আজ আসানসোল চিত্তরঞ্জন রুটে চলাচলকারী মিনিবাসের সমস্ত কর্মী একযোগে কাজে যাওয়া থেকে বিরত হয়েছেন। এর ফলে প্রায় 40 টি মিনিবাস সকাল থেকেই স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে। যাত্রীরা চরম হয়রানির মুখে পড়েছেন । এরই সঙ্গে বাস কর্মীদের দাবি ভায়া নিয়ামতপুর অধিকাংশ মিনিবাস বসে গেছে । চিত্তরঞ্জন থেকে নিয়ামতপুরের মধ্যে অন্ততপক্ষে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৩০ টি বাম্পার আছে। এই বাম্পারগুলি বাসের যন্ত্রাংশ নষ্ট করছে । বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এ্যসোসিয়েশনের ভূমিকা যথাযোগ্য নয় বলেও সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন। তবে এ বিষয়ে মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ রায় বলেন, তারা বন্ধের বিরোধী। বর্ষায় খারাপ রাস্তা সংস্কারের জন্য বিভিন্ন অংশের ছবি তুলে প্রশাসনের কাছে তারা একাধিকবার দাবি জানিয়েছেন। এরই সঙ্গে তিনি বলেন সম্প্রতি বাস চলাচলের সময়সূচির কোন পরিবর্তন করা হয়নি, ফলে কর্মীদের এই কর্ম বিরতি সঠিক নয়। আসানসোল চিত্তরঞ্জন বাইপাস এবং ভায়া নিয়ামতপুর সমস্ত মিনিবাস বন্ধ থাকার বিষয়টি তিনি জেলা নেতা অভিজিত ঘটককে জানাবেন বলে মন্তব্য করেন। এছাড়াও তিনি বলেন ইতিমধ্যে মহকুমার বহু রুটে মিনিবাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক রুটেই অটো টোটোর সঙ্গে লড়াই করে বাস চলাচল জারি রাখার ক্ষেত্রে মালিক কর্মী সকলেই খেটে চলেছেন। তবে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখার পক্ষেই সুদীপবাবু আছেন বলে মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
জেলায় উদযাপিত বিশ্ব আদিবাসী দিবস
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ আগস্ট:: বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মূল অনুষ্ঠানটি হয় দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহায় সৃষ্টি কমিউনিটি হলে। সেখানে বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠীকে ধামসা মাদল সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র দেওয়া হয়। এছাড়াও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৪৭ জন মাঝিবাবাকে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন, আদিবাসী মানুষজনের মধ্যে পাট্টা বিলি সহ অন্যান্য কর্মসূচি রূপায়িত করা হয়। অনুষ্ঠানে আদিবাসী নৃত্য, প্রদর্শনী, তীর নিক্ষেপ সহ অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্টজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জেলাশাসক এস পোন্নামবলম, এ ডি ডি এ'র চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দুর্গাপুর মহকুমা শাসক সৌরভ চক্রবর্তী, পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী সহ অভিজিৎ ঘটক, হরেরাম সিং প্রমুখ । অন্যদিকে এদিন রানীগঞ্জ ব্লকের টিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ বিভিন্ন পদাধিকারীরা।@প্রান্তভূমি
আপাতত স্থগিত চিত্তরঞ্জন জোনাল ফুটবল লীগ:: এগিয়ে শিবাজী দেশবন্ধু, লড়াই দিচ্ছে অন্যরাও
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ আগস্ট:: চিত্তরঞ্জন জোনাল ফুটবল লীগের বাকি ১২ টি খেলা বেশ কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হলো। আগামী ২৪ আগষ্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর, চিত্তরঞ্জনের ফতেপুর ও শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে, সেই কারণে দুই মাঠের পরিচর্যা চলছে। লীগের তৃতীয় দফায় যে খেলাগুলি হয়েছে তার ফলাফল - ১ আগষ্ট অরবিন্দ এফ এ-র বিরুদ্ধে দেশবন্ধু এফ এ ২ - ১ ব্যবধানে জয়ী হয়। প্রবল বৃষ্টিপাতের জন্য ২ ও ৩ আগষ্ট, ফতেপুর রিক্রিয়েশন ক্লাব বনাম ফতেপুর ভেটারেন্স ও অরবিন্দ এফ এ বনাম ছাত্র সংঘ -এই দুটি খেলা হয় নি। ৪ আগষ্ট ফতেপুর ভেটারেন্সের বিরুদ্ধে সিদু কানু এস সি ৪ - ১ ব্যবধানে ও ৫ আগষ্ট অরবিন্দ এফ এ-র বিরুদ্ধে শিবাজী সংঘ ২ - ১ ব্যবধানে জয়ী হয়। ৬ আগষ্ট আদিবাসী ইউনাইটেড এফ সি ও ফর্টি স্ম্যাসার্সের খেলা অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়, উভয় পক্ষই একটি করে গোল করে ও ৭ আগষ্ট সিদু কানু এস সি, দেশবন্ধু এফ এ- কে ৩ - ০ গোলে হারায়। ৮ আগষ্ট ফতেপুর ভেটারেন্সের বিরুদ্ধে ছাত্র সংঘ ৪ - ০ ব্যবধানে জয়ী হয়। মোট ৩৬টি ম্যাচের মধ্যে ২৪ টি ম্যাচের শেষে লীগ চ্যাম্পিয়নের দৌড়ে শিবাজী সংঘ ৬ টি ম্যাচ খেলে ৪ টি জয়, একটি হার ও একটি ড্র, ১৩ পয়েন্ট এবং দেশবন্ধু এফ এ ৫ টি ম্যাচ খেলে ৪ টি জয়ী ও একটিতে পরাজিত হয়ে ১২ পয়েন্ট অর্জন করেছে। আদিবাসী ইউনাইটেড এফ সি ৪ টি ম্যাচ খেলে ৩ টি জয়, একটি ড্র করে ১০ পয়েন্ট এবং অরবিন্দ এফ এ ৬ টি ম্যাচ খেলে ৩ টি জয়, ২ টি হার ও একটি ড্র, ১০ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। ছাত্র সংঘ ৫ টি ম্যাচ খেলে ৩ টি জয়ী ও ২ টিতে পরাজিত হয়ে ৯ পয়েন্ট এবং ফর্টি স্ম্যাসার্স ৭ টি ম্যাচ খেলে, ২ টি জয়, ৪ টি হার ও একটি ড্র, ৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সিদু কানু এস সি ৬ টি ম্যাচ খেলে ২ টিতে জয়ী ও ৪ টিতে পরাজিত হয়ে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। ফতেপুর ভেটারেন্স ৫ টি ম্যাচ খেলে ৪ টি হার ও একটি ড্র, ১ পয়েন্ট এবং ফতেপুর আর সি ৪ টি ম্যাচ খেলে একটিতে ড্র ও ৩ টিতে হার , ১ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে।@প্রান্তভূমি
রাস্তায় গরু-মোষের তান্ডবে প্রাণ গেল উজ্জীবনের অন্যতম সক্রিয় সদস্যার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ আগস্ট:: পথ দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু হল উজ্জীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতির অন্যতম সক্রিয় সদস্য তথা সহ-সভাপতি অমিতাভ দেবের স্ত্রী রত্না দেবের (৫৬)। রত্না দেবী নিজেও উজ্জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, নিয়মিত রক্তদান করতেন। তাঁর এই অকাল প্রয়াণের জন্য দায়ী রাস্তাঘাটে যত্রতত্র গরু মোষের লাগামছাড়া বিচরণ। জানা গেছে ৬ আগস্ট বিকেলে অমিতাভ বাবুর স্কুটির পিছনে চেপে তিনি মালবহাল জোড়বাড়ি অঞ্চল থেকে ওল্ড কলোনির দিকে আসছিলেন। সেই সময় লম্বা বস্তির কাছাকাছি রাস্তায় গরুর তাণ্ডবের মুখে পড়েন তারা। এ সময় টালমাটাল হয়ে স্কুটি থেকে রত্না দেবী সজোরে রাস্তায় পড়ে যান। তার ফলে তাঁর মাথার পিছনের দিকে ভয়ংকর আঘাত লাগে। সঙ্গে সঙ্গে উজ্জীবনের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে পিঠাকিয়ারী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান । কিন্তু অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গিন থাকায় দ্রুত তাকে অন্যত্র বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গতকাল রাত প্রায় আড়াইটা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ উজ্জীবনের স্বেচ্ছাসেবী এবং পরিজনেরা হাসপাতাল থেকে তার দেহ রূপনারায়ণপুরে ফিরিয়ে নিয়ে আসছেন। রূপনারায়ণপুর হিন্দু মিলন মন্দিরের অন্যতম সেবক ছিলেন অমিতাভবাবু এবং তার স্ত্রী। প্রথমে রত্না দেবীর দেহ মিলন মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেখান থেকে তাদের বাড়ি হয়ে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে তাদের সামাজিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম কেন্দ্র উজ্জীবন কার্যালয়ে । সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য চিত্তরঞ্জন বৈদ্যুতিক চুল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ১৪ জুন তাদের একমাত্র পুত্র অর্কদীপের 25 বছরের জন্মদিন উপলক্ষে বাড়িতেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তারা। সেখানে অমিতাভবাবু, রত্না দেবী এবং অর্কদীপ তিনজনেই রক্তদান করেছিলেন। অত্যন্ত সামাজিক সহজ সরল এই পরিবারটির এমন পরিণতিতে সংশ্লিষ্ট সকলেই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন। রাস্তাঘাটে যত্রতত্র গরু মোষ বিচরণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক দেখভাল যেন আরো কড়া হয় সেই আবেদন রেখেছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই।@প্রান্তভূমি
.
.
বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ধামসা মাদল উপহার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ আগস্ট:: গান বাজনায় উৎসাহ দিতে সালানপুর ব্লকের পাঁচটি আদিবাসী দলের সদস্যদের হাতে বিভিন্ন রকম বাদ্যযন্ত্র তুলে দেওয়া হল। আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয় ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে। কল্যা, আছড়া, জিতপুর-উত্তররামপুর এবং সামডি পঞ্চায়েত অঞ্চলের পাঁচটি দলের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি করে মাদল, ধামসা, বাঁশি এবং কাঁসর। আদিবাসী নৃত্য গীত এবং সংস্কৃতির প্রসারে এগুলি আরো উৎসাহ জোগাবে বলে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বলেন বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, যুগ্ম বিডিও শ্রেয়া নাগ, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র এবং তৃণমূল ব্লক কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং ।@প্রান্তভূমি
দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় চিত্তরঞ্জনে শুরু নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ আগস্ট:: দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় চিত্তরঞ্জনে শুরু হয়ে গেল নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। দূর শিক্ষার এই অভূতপূর্ব সুযোগ শিল্পাঞ্চলের শিক্ষা প্রেমি মানুষ ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে দেখা দিল বলে এদিন উল্লেখ করেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু। আজ দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে নেতাজি সুভাষ ওপেন ইউনিভার্সিটি স্টাডি সেন্টার উদ্বোধনে কলকাতা থেকে এসেছিলেন স্টাডি সেন্টারের ডাইরেক্টর ডক্টর সুদেষ্ণা চ্যাটার্জী, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর নীলাঞ্জনা চ্যাটার্জী এবং দুর্গাপুর রিজিওনাল সেন্টারের ডেপুটি ডাইরেক্টর প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য। স্টাডি সেন্টারের উদ্দেশ্য এবং সুযোগ সুবিধা প্রসঙ্গে বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেন অধ্যক্ষ শ্রীকুন্ডু। ছিলেন কলেজের আইকিউএসি কো-অর্ডিনেটর ডঃ অপূর্ব কুমার রায় এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর ডঃ মুকুল কামলে। উল্লেখ্য, প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং, ফ্যাশন ডিজাইন, মাস কমিউনিকেশন এন্ড জার্নালিজম সহ সাধারণ কোর্সের বহু বিষয় এখানে পড়ানোর ব্যবস্থা আছে। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা এই স্টাডি সেন্টার থেকে লাভ করা যাবে। যেকোনো বয়সী ব্যক্তি নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির এই স্টাডি সেন্টারে ভর্তি হতে পারবেন। প্রয়োজনমতো তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বৃদ্ধি, পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। নতুন করে পছন্দ মতো বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন। এখান থেকে পাওয়া সার্টিফিকেট দেশের যে কোনো কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীর সঙ্গে সমতুল বলে উল্লেখ করেন ডঃ সুদেষ্ণা চ্যাটার্জী। উল্লেখ্য, এতদিন এই অঞ্চলের শিক্ষাপ্রেমি ছাত্র-ছাত্রী মানুষজনকে আসানসোল কিংবা রানীগঞ্জে ছুটে যেতে হতো নেতাজি ওপেন ইউনিভার্সিটির অধীনে ভর্তি হওয়ার জন্য। এবার থেকে সেই সুযোগ হাতের কাছেই চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে পাওয়া যাবে। এর সুযোগ পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের মানুষজনও নিতে পারবেন।@প্রান্তভূমি
প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মৌন মিছিল হচ্ছে রূপনারায়ণপুরে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ আগস্ট:: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলছেন, ওনার মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। বরেণ্য এই সাহিত্যিকের মতোই পশ্চিমবঙ্গের মানুষও মেনে নিতে পারছেন না আপাদমস্তক সুভদ্র পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বাম নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রয়াণকে। কিন্তু মেনে নিতে না পারলেও তিনি আজ সকাল আটটা কুড়ি নাগাদ হঠাৎই চলে গেলেন অন্য লোকে। পশ্চিমবঙ্গের তিন দফার মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হলেন 80 বছর বয়সে। তার স্মৃতিতে আজ সিপিআইএম রূপনারায়ণপুরে বিকেল সাড়ে চারটেয় মৌন মিছিলের আয়োজন করেছে। বিডিও অফিসের সামনে সিপিআইএম পার্টি অফিস চত্বর থেকে এই মিছিল বের হয়ে রূপনারায়ণপুর পরিক্রমা করবে বলে জানা গেছে। মৌন মিছিলে সকলের অংশগ্রহণ প্রার্থনা করেছেন বাম নেতৃত্ব। বুদ্ধদেব বাবু বেশ কিছুদিন ধরেই ফুসফুসের সংক্রমনে ভুগছিলেন। একাধিকবার সেই কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে গেছেন, আবার ফিরেও এসেছেন সকলের মাঝে। কিন্তু আজ সকাল আটটা কুড়ি নাগাদ হঠাৎই সিওপিডি অ্যাটাক, অক্সিজেনের মাত্রা অতিরিক্ত কম হওয়া এবং তারপরেই কলকাতার পাম এভিনিউয়ের ফ্ল্যাটেই প্রয়াণ ঘটে তাঁর। অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির এই বাম নেতা সিপিআইএমের সর্বোচ্চ স্তর পলিট ব্যুরোর সদস্য হয়েছিলেন। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ভাইপো বুদ্ধদেব বাবু ১৯৪৪ সালের ১ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক বুদ্ধদেববাবু ১৯৭৭ থেকে ৮২ জ্যোতি রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী হয়েছিলেন, ১৯৮৭ থেকে ৯৬ পর্যন্ত তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রিত্ব সামলেছিলেন। ১৯৯৯ সালে উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দুই হাজার সালে প্রথম মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর টানা ১০ বছরের বেশি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর ২০১১ সালের ১৯ মে তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন, একই সঙ্গে অবসান ঘটে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের রেকর্ড বাম জামানার। আজ তাঁর প্রয়াণে বাংলার সমস্ত স্তরের মানুষজন শোকাচ্ছন্ন ।@প্রান্তভূমি
এয়ারফোর্সের দুই সেনানী ডিএভি স্কুলে, সম্মানিত করলেন স্টুডেন্ট কাউন্সিলকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ আগস্ট:: যে কোনো দেশের সেনাবাহিনী নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ অপরিসীম; বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সেনাবাহিনী সম্বন্ধে জানার আগ্রহ অত্যন্ত বেশি। আজ হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা তাদের সেই আগ্রহের নিরসন ঘটালো ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রাক্তন দুই দক্ষ সেনানিকে তাদের মধ্যে পেয়ে। স্কুলের স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ক্যাপ্টেনদের ব্যাজ পরিয়ে বিশেষভাবে সম্মানিত করার কর্মসূচিতে আজ শামিল হয়েছিলেন এক সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানো সুজিত কুমার ঘোষ এবং প্রবীর কুমার মজুমদার। তারা স্কুলের হাউস ক্যাপ্টেন, হেড বয়, হেড গার্ল সহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাজ পরিয়ে দেন। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, লাইব্রেরী, এক্সিবিশন, নিয়মানুবর্তিতা সহ বিভিন্ন বিষয়গুলির দেখভাল করে এইসব নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীরা। তাদের সামনে প্রবীরবাবু বলেন জন্মদাত্রী মায়ের মত দেশের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও তাদের দ্বিতীয় মা। তিনি বলেন এখান থেকে জীবন গড়ার পাঠ তারা যেমন নিচ্ছেন তেমনই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও অনেক কিছু তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে। অন্যদিকে সুজিত বাবু বলেন সকলে যদি ডিসিপ্লিন এবং ডিসিশন সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে পারেন তাহলে জীবনে কোনদিন কোন সমস্যা গ্রাস করতে পারবে না। ডিএভি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিনব এই প্রয়াসকে তারা ধন্যবাদ জানান। এদিন এয়ারফোর্সের সেনানিদের সামনে পেয়ে নানান প্রশ্ন করে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীরা। দেশকে নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সেনানিদের ভূমিকা সম্পর্কে পড়ুয়াদের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশে গিয়ে সেসব আলোচনা করেন তারা।@প্রান্তভূমি
রাস্তার উপর ঝুলে আছে গাছের গুঁড়ি, মৃত্যু-খাঁড়া মাথায় নিয়েই চলছে যাতায়াত
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ আগস্ট:: বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে উপড়ে পড়া গাছ। তার নিচে বিদ্যুতের তার, টিভি কেবল আরও বিপজ্জনকভাবে চাপা পড়ে আছে। এমনই ভয়ঙ্কর অবস্থা রূপনারায়ণপুর রেলগেট থেকে চেকপোস্টের দিকে যাওয়ার রাস্তার উপর। ঝাড়খন্ড রোড দিয়ে রূপনারায়ণপুর রেল স্টেশন ঢোকার মুখে বেশ কিছুদিন ধরেই বড়সড়ো এই গাছের গুঁড়ি বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছে। রেল গেট থেকে পেট্রোল পাম্প ছাড়িয়ে চেকপোস্ট পর্যন্ত এই রাস্তা বাংলা- ঝাড়খন্ডগামী যান চলাচলের জন্য সব সময় ব্যস্ত থাকে । তাছাড়াও পুরনো বার্নার্ড নার্সারির জমিতে বহু ব্যক্তিগত বাড়ি ঘরদোর গড়ে উঠেছে। ফলে লোকজনের চলাচল সবসময়ই লেগে আছে। যে কোন মুহূর্তে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গাছের গুঁড়ি নিচে পড়লে প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন রেলগেট থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় ২০০ মিটার এই এলাকা সন্ধে নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায় । কিছুদিন আগেই অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে এখানে স্কুটি আরোহী এক শিক্ষিকার গলার হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছিল। দুষ্কৃতিদের সহজ পলায়নের পথ এই রাস্তা। এখানে পথবাতি লাগানোর অনুরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরই সঙ্গে তারা অনুরোধ করেছেন যত দ্রুত সম্ভব হেলে পড়া এই গাছটিকে সরিয়ে তাদের ভয় মুক্ত করার।@প্রান্তভূমি
একাধিক আবাসনের তালা ভেঙে চুরির চেষ্টা এলআইসি চত্বরে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ আগস্ট:: মূল রাস্তার একদিকে বিশাল জীবন বীমা অফিস, সেখানে ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন; ঠিক তার উল্টোদিকে জীবন বীমার আধিকারিকদের পাঁচিল ঘেরা আবাসন, কাছাকাছি রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়, ক্লাব থাকা সত্ত্বেও একেবারে দিনে দুপুরে ওই আবাসনে দুষ্কৃতি হানায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তারা যে আতঙ্কে আছেন সে কথা স্বীকার করেছেন এলআইসি চিত্তরঞ্জন শাখার বরিষ্ঠ প্রবন্ধক মণিশংকর মল্লিক। তিনি বলেন ৩ আগস্ট শনিবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ছটার মধ্যে এই আবাসনে দুষ্কৃতিরা চুরির চেষ্টা করেছিল। শাখা প্রবন্ধ এবং সহকারি শাখা প্রবন্ধকের আবাসনের একাধিক তালা ভেঙে দুষ্কৃতিরা ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র তছনছ করে। যদিও কোন কিছু চুরি গেছে বলে তারা মনে করছেন না। কিন্তু দিনে দুপুরে কি কারনে দুষ্কৃতিরা তালা ভেঙে আবাসনের ভেতরে ঢুকলো তাই নিয়েই বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি পরের দিন ৪ আগস্ট রূপনারায়ণপুর পুলিশে জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা সরেজমিন খতিয়ে দেখে । পুলিশের অনুমান জীবন বীমার আধিকারিকদের গতিবিধি সম্পূর্ণ নজরে রেখেই দুষ্কৃতিরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। কিন্তু কোন কিছু না নিয়েই তারা চলে গেল সেই প্রসঙ্গটিও পুলিশকে যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। তবে জীবন বীমা কর্তৃপক্ষ আশঙ্কিত এইজন্য যে, অফিসের বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং অন্যান্য জিনিস তাদের জিম্মায় থাকে - ফলে সেসবের নিরাপত্তা নিয়ে তারা যথেষ্ট চিন্তিত। উল্লেখ্য, রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড় থেকে রেল গেট পার করে সোজা রাস্তা চলে গেছে পিঠাকিয়ারি হয়ে মাইথন জলাধারের দিকে। এই রাস্তায় পিঠাকিয়ারি জল ট্যাংকির কাছে জীবন বীমা অফিসের বিপরীত দিকে দোতলা আবাসন গড়ে উঠেছে আধিকারিকদের জন্য। সেখানেই পর পর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের আবাসন। ওপর নিচ এই দুটি আবাসনেই শাবল দিয়ে তালা ভাঙ্গা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে পুলিশের কাছে । রূপনারায়ণপুর পুলিশ বিষয়টিতে সতর্ক নজর রেখেছে এবং ওই আবাসন সহ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত করেছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
জল যন্ত্রণা থেকে চিত্তরঞ্জন শহরকে রক্ষা করতে সিআরএমসির ডাক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ আগস্ট:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরের ৬০ ভাগ আবাসনেরই ছাদ চুঁইয়ে ভেতরে জল পড়ে, এর ফলে রেল কর্মীদের আসবাবপত্র সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে - এই অভিযোগ তুলে অবিলম্বে আবাসনের ছাদ মেরামত, শহরের সমস্ত এরিয়ার নর্দমা পরিষ্কার করা, ভেঙে পড়া নর্দমা নতুন করে তৈরি করা এবং যত্রতত্র বেড়ে ওঠা ঝোপ-জঙ্গল কাটার আবেদন জানিয়ে সিআরএমসি/এনএফআইআর সিএলডব্লু কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন। এই শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন একদিনের বৃষ্টিতেই আধুনিক এই শহরের বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। আবাসনের ভিতরে জল ঢুকে বিড়ম্বনায় ফেলেছিল বহু রেলকর্মীর পরিবারকে। বিশেষ করে চারের পল্লীর ২০, ২১/এ, ২১/ বি এবং আটের পল্লী এলাকার বহু আবাসন জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টি থামার পরেও বহুক্ষণ আবাসনের ভেতর থেকে জল বের হয়নি - তার কারণ শহরের নর্দমাগুলি নোংরা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে আছে। রেল কর্মী ও তার পরিবারের লোকজন এর ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য হানির আশঙ্কায় ভুগছেন এই অভিযোগ তুলে অবিলম্বে বিষয়গুলিতে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। আজ ইউনিয়নের কর্মী আধিকারিকেরা রীতিমতো মিছিল করে রেল আধিকারিকের চেম্বারে পৌঁছে তার হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন এবং বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন।@প্রান্তভূমি
গভীর রাতে জেমারি রেলগেটে বেধড়ক মার কর্মীকে, থমকে যায় ট্রেন, অজ্ঞান রেলকর্মীকে উদ্ধার আরপিএফের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ আগস্ট:: মধ্যরাতে উচ্ছৃংখল ব্যক্তির হাতে বেধড়ক মার খেলেন এক রেল কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে গত রাতে প্রায় বারোটা নাগাদ সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারি রেলগেটে। মারের চোটে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এই রেল গেটে কর্তব্যরত গার্ড সুজয় মুখার্জি (৪২)। রাতেই আরপিএফ এবং তার বাড়ির লোকেরা সুজয়বাবুকে আসানসোল রেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন। সুজয় বাবুর আত্মীয় সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী জানান মারের ফলে সুজয় বাবুর শরীর থেকে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। তার ঠোঁট ফেটেছে, গালে বড়সড় চোট লেগেছে, মাথায় গভীর যন্ত্রনা অনুভব করছেন। হাসপাতালে তার ঠোঁটে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। এক্সরে সহ অন্যান্য ব্যবস্থার মাধ্যমে চোটের অবস্থা জানার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। জানা গেছে গতরাত প্রায় বারোটা নাগাদ একটি ট্রেন হাওড়া দিল্লি মেন লাইনের উপর দিয়ে যায়। এরফলে জেমারি রেলগেট বন্ধ থাকে। ট্রেনটি রেলগেট পার করে চলে যাওয়ার পর স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এক মিনিট পরে গেট খোলা যায়। কিন্তু ট্রেন পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন গেট খোলা হচ্ছে না সেই দাবি জানিয়ে স্কুটি আরোহী এক ব্যক্তি চিৎকার করতে থাকেন, ঘন ঘন হর্ণ বাজাতে থাকেন। এ সময় কর্তব্যরত রেল কর্মী সুজয় বাবু ওই ব্যক্তিকে বলেন এক মিনিট পরেই গেট খোলা যাবে একটু অপেক্ষা করুন। কিন্তু তার কোন কথা না শুনে হঠাৎ করেই সুজয় বাবুকে ওই ব্যক্তি মারধর করতে শুরু করেন। সে সময় কোনভাবে রেলগেট থেকে দৌড়ে তিনি রেলের কেবিনে পৌঁছে আরপিএফকে ফোন করেন। এতে আরও ক্ষেপে গিয়ে ওই ব্যক্তি কেবিনে ঢুকে সুজয় বাবুকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন। মারের চোটে একসময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন সুজয় বাবু। এদিকে ওই লাইনে পরবর্তী ট্রেন কোনো সিগনাল না পেয়ে দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেন কেন দাঁড়িয়ে পড়ল খোঁজ নিতে গিয়ে আরপিএফ সেখানে পৌঁছে অজ্ঞান অবস্থায় সুজয় বাবুকে উদ্ধার করে এবং তার বাড়িতে খবর দেয়। এরপর রাত প্রায় পৌনে দুটো নাগাদ তাকে জেমারি রেল কেবিন থেকে উদ্ধার করে আসানসোল রেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সিদ্ধার্থ বাবু বলেন আপাতত সুজয় বাবু বিপদমুক্ত, তবে একজন কর্তব্যরত রেল কর্মীর উপর এমন বেপরোয়া হামলা যিনি করলেন তাকে কঠিন শাস্তি দিতে হবে। জানা গেছে, যে স্কুটিতে চড়ে ওই ব্যক্তি রেলগেটে আটকে পড়েছিলেন সেই স্কুটির নম্বর ডব্লুবি ৩৮ এ ই ৮৬৮৭। আরপিএফ এবং সালানপুর থানার পুলিশ এই সূত্র কাজে লাগিয়ে হামলাকারীকে ধরার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে। সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি বলেন টহলদারিতে বের হওয়া পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল, তিনি বিষয়টি শুনেছেন, লিখিত অভিযোগ নিয়ে হামলাকারীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, সাঁকতোড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সুজয় বাবু অত্যন্ত দক্ষ এবং পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে সকলের পরিচিত। তার এমন পরিণতিতে প্রতিবেশীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। সুজয় বাবুর আর এক আত্মীয় রক্তদান আন্দোলনের অন্যতম কর্মী শুভাশিস খাওয়াস বলেন এমন ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক, হামলাকারীর উপযুক্ত সাজা প্রয়োজন।@প্রান্তভূমি
.
.
রূপনারায়ণপুর-গৌরাঙডি রোডে মৃত্যু-ফাঁদ, বিশাল ধস, আতঙ্ক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ আগস্ট:: রূপনারায়ণপুর থেকে গৌরাঙডি যাওয়ার রাস্তায় বড়সড় ধস নেমেছে। রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা মোড় ছাড়িয়ে কিছুটা যাওয়ার পর টাবাডি গ্রামের কাছে একেবারে পিচ ঘেঁষে বিশাল এলাকায় এই ধস পথচারীদের আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরে থাকা এই রাস্তা এমনিতেই চলাচলের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল, অন্ধকার এই রাস্তা এবার আরো বিপজ্জনক হয়ে উঠল ধসের কারণে। স্থানীয় মানুষজন ওই অংশটিকে পাথর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। জানা গেছে গৌরাঙডি রোডের উপর এই জায়গায় থাকা কালভার্টের মুখ মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে রাস্তার ওপর দিয়ে জল বয়ে যায়। কিন্তু ২ আগস্টের লাগাতার বৃষ্টির জল রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার ফলে কালভার্ট লাগোয়া বিশাল অংশের মাটি সরে গিয়ে হাঁ মুখ হয়ে আছে। স্থানীয়রা বলছেন নির্মীয়মান জল ট্যাংকির জন্য রাস্তার পাশ দিয়ে লোহার বড় পাইপ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই বাড়ি বাড়ি জল নিয়ে যাওয়ার জন্য সরু পাইপও পাতা হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এরপর ওই এলাকা মাটি পাথর দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু জমির কারবারীরা ওই এলাকার কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ায় রাস্তা উপচে জল পার হতে থাকে এবং সেজন্যই ওখানে বিরাট অংশে ধস নেমেছে। সামান্য অসাবধান হলেই গাড়ি-ঘোড়া সহ যেকোনো পথচারী তার ভেতরে ঢুকে যাবেন বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে মাটি ভরাট করে ওই অংশ সংস্কার করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। তাছাড়াও, জলের পাইপগুলি মাটির বাইরে চলে আসায় সেগুলিও কোনো কারণে ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে , আর তেমনটা হলে বিস্তীর্ণ এলাকায় জল সরবরাহও বিঘ্নিত হবে। সব মিলিয়ে যথেষ্ট বেহাল অবস্থা গৌরাঙডি রোডের ।@প্রান্তভূমি
.
.
গাড়ি সহ ব্রিজ থেকে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু বিইএমএল কর্মীর
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ আগস্ট:: একদিনের টানা বৃষ্টিতে ভয়ংকর ঘটনা ঘটে গেল আসানসোলে। জলের ওপর দিয়ে ছোট্ট ব্রিজ পার হতে গিয়ে গাড়িসহ ভেসে গেলেন চালক, পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গতকাল ২ আগস্ট আসানসোল সেনরালে রোড থেকে কল্যাণপুর হাউসিংয়ের দিকে যাওয়ার পথে গাড়ুই নদীর ব্রিজে এই বিপত্তি ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম চঞ্চল বিশ্বাস (৫৬)। তিনি ভারত আর্থ মুভার্স লিমিটেড সংস্থার কর্মী। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা স্ত্রী ও দুই কন্যা সহ তিনি থাকতেন সুগম পার্কে। গতকাল প্রচন্ড বৃষ্টির মধ্যেই নিজের চার চাকা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় প্রচন্ড তোড়ে ব্রিজের অনেকটা উপর দিয়ে জল বয়ে যাচ্ছিল। তিনি কল্যাণপুরের ওই ব্রিজ পার হতে যাচ্ছেন দেখে স্থানীয় অনেকেই তাকে নিষেধ করেছিলেন, কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে জলের উপর দিয়েই চঞ্চল বাবু যাওয়ার চেষ্টা করেন। ব্রিজের মাঝ পথে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন বিপদে পড়েছেন - সে সময় গাড়ি ঘুরিয়ে পিছিয়ে আসার চেষ্টা করতে গিয়ে গাড়িটি ব্রিজ থেকে নদীতে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িসহ তিনি ভেসে যান। সে সময় বেশ কয়েকজন চিৎকার করে তাকে গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বলতে থাকেন কিন্তু সে সুযোগ আর তিনি পাননি। বিষয়টি জানতে পেরেই পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর তল্লাশিতে নামে। কিন্তু রাতভর তল্লাশি চালিয়েও গাড়ি বা চঞ্চল বাবুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আজ পুনরায় ভোর পাঁচটা থেকে তল্লাশি শুরু হলে প্রায় সকাল সাতটা নাগাদ ব্রিজ থেকে বেশ কিছুটা দূরে কসাই মহল্লা এলাকায় নদীতে জঙ্গলাকীর্ণ জায়গায় গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়। এনডিআরএফ এরপর গাড়ি থেকে মৃত চঞ্চল বাবুকে উদ্ধার করে। দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর সুগম পার্কের আবাসনে নিয়ে আসা হয়। সেখানে গিয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ অন্যান্যরা সমবেদনা জানিয়ে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন তাড়াতাড়ি শর্টকাটে বাড়ি পৌঁছাতে গিয়ে প্রাণ গেল ওই ব্যক্তির। তাদের নিষেধ মেনে যদি তিনি ঘুরপথে যেতেন তাহলে নিরাপদেই হয়তো বাড়িতে পৌঁছাতে পারতেন। এদিকে গাড়ুই নদীর উপর এই কল্যাণপুর ব্রিজ পথ চলতি মানুষের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিকবার এখানে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ব্রিজটির দুপাশে শক্তপোক্ত কংক্রিটের বেড়া দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।@প্রান্তভূমি
ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের দু'দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠান চিত্তরঞ্জনে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ আগস্ট:: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৫-তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে চিত্তরঞ্জনে দু'দিনব্যাপী নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাব। প্রথম দিন এক আগস্ট রক্তদান শিবির এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গে কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়েছিল। পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের শিক্ষার্থী ও স্বামী স্মরণানন্দ যোগ ব্যায়াম ড্যান্স একাডেমী'র ছাত্রছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রচুর দর্শক শ্রোতার উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত সফল হয়। শেষে এই দুই সংস্থার কর্ণধার শুভদীপ সেন এবং মৌমিতা সুধাকর- এর হাতে বিশেষ সম্মান তুলে দেন রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার এবং চিত্তরঞ্জন ডিভি গার্লস স্কুলের অধ্যক্ষ তপন মন্ডল। চিত্তরঞ্জন সালানপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে কৃতি কুড়িজন পরীক্ষার্থীর হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ২ আগস্ট সিএলডব্লুর প্রাক্তন ফুটবলারদের ও এলাকার সাংবাদিকদের সংবর্ধিত করে ফ্যানস ক্লাব। সংবর্ধিত হন প্রাক্তন ফুটবলার দেবাশীষ ভট্টাচার্য, অরুণ ঘোষ, শ্যামল হাজরা, রিয়াজউদ্দিন আহমেদ, স্বপন দে, পরীক্ষিত দাস, তপন দাস, শিবু মজুমদার, ভবতোষ পাল চৌধুরী, স্বর্ণাঙ্কুর বসু ঠাকুর, গোকুল ঘোষ, সুব্রত ঘোষ, রতন দাস। ক্লাব সভাপতি দীপঙ্কর মিত্র বলেন সারা বছরই তারা নানান সামাজিক কাজ করে থাকেন; এ বছর পুজোয় দুস্থ শিশুদের নতুন বস্ত্র, শীতের সময় কম্বল বিতরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। সম্পাদক অঙ্কুর জানালেন জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে কলকাতার বিশিষ্ট ফুটবল দলের সহযোগে চিত্তরঞ্জনে আকর্ষণীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং উত্তররামপুর এলাকায় শীতকালে স্বাস্থ্য শিবির করা হবে। অনুষ্ঠান স্থলৈ দুই দিনই ছিল কার মেলা - সেখানে আটটি নামি সংস্থা যোগ দেয়।@প্রান্তভূমি
পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালাতে গিয়ে উল্টে গেল আলু বোঝাই ট্রাক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ আগস্ট:: পুলিশের নাগাল এড়িয়ে পালাতে গিয়ে উল্টে গেল আলু বোঝাই একটি ট্রাক। ঘটনাটি ঘটেছে আজ বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্তের ডুবুরডিহি চেকপোষ্টে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যাতে ভিন রাজ্যে আলু যেতে না পারে সেজন্য সীমান্তের এই চেকপোষ্টে পুলিশের কড়া নজরদারি আছে। আজ বর্ধমান থেকে বিহারের নওয়াদা এলাকায় আলু নিয়ে একটি ট্রাক এই চেক পোস্ট হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সে সময় কুলটি ট্রাফিক গার্ড পুলিশ এবং চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশ কর্মীরা সেটিকে থামার নির্দেশ দেন। গাড়ির নথিপত্র যাচাই করার জন্য তারা যখন ট্রাকটির কাছাকাছি যান সেসময় হঠাৎ গতি বাড়িয়ে সেটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ব্যারিকেডে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। বৃষ্টির মধ্যে রাস্তার উপর ছড়িয়ে পড়ে প্রচুর আলুর বস্তা। সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ে কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। তবে ট্রাকের চালক ও খালাসী অক্ষত আছেন। ট্রাকচালক বলেন পুলিশ দেখে তিনি থামার জন্য ব্রেক কষেছিলেন, কিন্তু ব্যারিকেডে লেগে ট্রাকটি উল্টে যায়, তার পালিয়ে যাওয়ার কোনো অভিপ্রায় ছিল না । যদিও এক ন্যাশনাল হাইওয়ে কর্মী বলেন ট্রাকটিকে থামতে বলার পরেও চালক না থেমে হঠাৎ গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ধানবাদগামী লেন ধরে।@প্রান্তভূমি
আসল নাকি নকল বন্দুক দেখতে গিয়ে গুলি ছুটে মৃত্যু কিশোরের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ আগস্ট:: হাতের সামনে হঠাৎ একটি বন্দুক পেয়ে সেটি আসল নাকি নকল খতিয়ে দেখার সময় বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে মারা গেল পাশেই থাকা অন্য এক কিশোর। বার্ণপুর বারি বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ঐ কিশোরের নাম আদিত্য মন্ডল (১৯)। আদিত্য স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি সাইবার কাফেতে কাজ করতো, তার দাদা অলক কাজ করেন মলে। কাজ সেরে রাতের বেলা দুজনে একসাথে বাড়ি ফিরতেন প্রতিদিন। গতকাল ১ আগস্ট বাড়ি ফেরার সময় বৃষ্টির মধ্যে তারা বার্নপুর ধ্রুবডাঙ্গাল লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সে সময় স্থানীয় এলাকাবাসী গাড়িচালক গণেশ সাউ ওরফে ব্রেটলি সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়, গণেশের সঙ্গে ছিল আনমোল নামের আর এক যুবক। গণেশের গাড়িতেই ছিল ওই দেশি রিভলবার। রিভলবারটি হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করছিল আনমোল। সে সময়ই রিভলবার থেকে গুলি বেরিয়ে আদিত্যর ডান চোখের নিচে ঢুকে যায়। সঙ্গে সঙ্গে লেবেল ক্রসিংয়ের কাছেই লুটিয়ে পড়ে আদিত্য। তাই দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় গণেশ এবং আনমোল। আদিত্যর দাদা অলোক এরপর ঘটনাটি বাড়িতে জানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান । রাত এগারোটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যায় হিরাপুর থানার পুলিশ। এদিকে জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক দেখেন আদিত্যর ডান চোখের নিচে গুলি লেগে কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আদিত্যকে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় অন্যত্র রেফার করে দেওয়া হয়। এরপর তার বাড়ির লোকজন আদিত্যকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। কিন্তু সেখানেও অবস্থা বেগতিক হওয়ায় আজ ২ আগস্ট সকালের দিকে কলকাতায় তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় অ্যাম্বুলেন্সে আদিত্য অচৈতন্য হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে আদিত্যকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে আনমোলকে আটক করেছে, যদিও যার কাছে রিভলবারটি ছিল সেই গণেশ সাউ পলাতক বলে জানা গেছে। এদিকে গণেশের মা সুশীলা দেবী জানিয়েছেন বন্দুকটি গনেশের নয়, গণেশ গাড়ি চালাতো রাজেশ সিং নামে এক ব্যক্তির। সুশীলা দেবীর দাবি বন্দুকটি রাজেশের, তবে সেটি গাড়িতে গনেশের কাছে থাকতো। পুলিশ সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে।@প্রান্তভূমি
জল ঢুকলো চিত্তরঞ্জন রেল কোয়ার্টার্সে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ আগস্ট:: বানভাসি অবস্থা চিত্তরঞ্জন রেল কোয়ার্টার্সের। জল থৈ থৈ আবাসন থেকে জিনিসপত্র সরাতে ব্যস্ত রেলকর্মীর পরিবার। গতকাল রাত থেকে ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে এই অঞ্চলে। তবে, শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের অভিযোগ যে, কোয়ার্টার্সের পিছনের জল নিকাশি নালা পরিষ্কার না করার জন্যই এই দুরবস্থা। তার অভিযোগ, আবাসন মেরামত, নালা পরিষ্কারের জন্য বরাদ্দ অর্থ সঠিকভাবে খরচ না করে সেই অর্থ অন্যভাবে ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। একসময় প্রায় ১০০০০ আবাসনের এই শহর যথেষ্ট ঠিকঠাক থাকলেও এখন আবাসনের সংখ্যা তার অর্ধেকে নেমে এসেছে, কিন্তু সেগুলির সংস্কারে নজর নেই সিএলডব্লুর বলে ইন্দ্রজিৎ বাবুর অভিযোগ। চিত্তরঞ্জনের এরিয়া ৮, সাড়ে চারের পল্লীর মতো নীচু এলাকায় এই সমস্যা বেশি বলে তিনি উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
রাতভর নাগাড়ে বৃষ্টিপাত শিল্পাঞ্চলে, মরশুমের প্রথম ভারী বর্ষণে জোড় উপচে বইছে জল
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ আগস্ট:: এতদিনকার আক্ষেপ মিটিয়ে 1 আগস্ট রাত থেকেই ক্রমাগত বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে রূপনারায়ণপুর সহ সমগ্র আসানসোল শিল্পাঞ্চলে। গত রাত থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটা পর্যন্ত প্রায় ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রাতভর নাগাড়ে বৃষ্টিপাতের পর সকাল থেকেও টানা বর্ষণ চলছে। আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী এই বৃষ্টি আজ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত যথেষ্ট ভারি মাত্রায় হওয়ার পর দাপট কিছুটা কমতে পারে। হিন্দুস্তান কেবলস আপার কেশিয়া ড্যাম থেকে নির্গত জোড় নালা দুকূল ছাপিয়ে বয়ে চলেছে। রূপনারায়ণপুর ও হিন্দুস্তান কেবলস অঞ্চল থেকে নির্গত হয়ে অজয় এবং গাড়ুই নদ মুখি জোড় নালাগুলি জলে পরিপূর্ণ হয়ে বয়ে চলেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোন ঘটনা সামনে আসেনি। যদিও বৃষ্টির দাপটে রাস্তাঘাটে মানুষজন একেবারেই বের হতে পারেননি। যানবাহন চলাচল প্রায় স্তব্ধ। রূপনারায়ণপুর সহ সর্বত্রই রাস্তার উপর দিয়ে কলকল করে জল বয়ে যাচ্ছে। রূপনারায়ণপুর বাজার সহ বহু জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন। এর ফলে সবজি বাজার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। তবে এই মরশুমের প্রথম ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জল কষ্টে ভোগা হাজার হাজার বাসিন্দার মুখে কিছুটা হলেও স্বস্তির আভাস দেখা যাচ্ছে।@প্রান্তভূমি
বরাকরের ধর্মশালায় লুকিয়ে থাকা বিহারের তিন দুষ্কৃতি গ্রেফতার
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ আগস্ট:: বরাকরের এক ধর্মশালায় আশ্রয় নেওয়া তিন দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই তিনজন বিহারের আদালতে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বলে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পেরেছিল। এদের গ্রেফতার করার পরেই বিষয়টি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বিহার পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধৃত তিনজনই বিহারের বক্সারের বাসিন্দা। তারা হলো সারিমপুর শিল্প থানা এলাকার সিরাজ সিদ্দিকী, শিকরাউলের মেহেদী হাসান এবং সারিমপুরেরই ইদানী খান ওরফে তকির খান। উল্লেখ্য, ২৪ জুলাই আরএলজেপি নেতা আনোয়ার আলী খান হত্যার প্রধান অভিযুক্ত ফতু খানকে নিয়ে এক কনস্টেবল শেরঘাঁটি আদালত থেকে বের হচ্ছিলেন। সে সময় তাদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে পুলিশ শনাক্ত করে, তাদের মধ্যে দুজন স্থানীয় যুবক ছিল - যাদের আদালত চত্বরে গুলি চালানোর পরেই ধাওয়া করে পুলিশ ধরে ফেলে। কিন্তু তিনজন পালিয়ে যেতে সমর্থ্য হয়। গুলি চালানোর ফলে ফতু খান এবং এক কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হন। বিহার পুলিশ অধরা তিনজনকে আয়ত্তে পেতে পুরস্কার সহ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। ৩১ আগস্ট বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে বরাকরের এক ধর্মশালায় কয়েকজন বহিরাগত দুষ্কৃতি লুকিয়ে আছে। এরপরই ওই রাতে পুলিশ ধর্মশালায় অভিযান চালিয়ে এই তিনজনকে ধরে ফেলে। আজ আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।@প্রান্তভূমি
ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে গিয়ে রূপনারায়ণপুরে মৃত্যু যুবকের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ আগস্ট:: ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিদ্যুতের খুঁটিতে কেবল বাঁধতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে আজ সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারি অঞ্চলে। মৃতের নাম কিশোর কুমার (৩৫)। তার বাড়ি ঝাড়খন্ড মিহিজামের মালপাড়া এলাকায়। জানা গেছে "মিনি সফট" নামের একটি বেসরকারি সংস্থার হয়ে কাজ করতেন কিশোর বাবু। পিঠাকিয়ারি হাসপাতালের ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ায় তা মেরামতির কাজ করার জন্য কিশোর এবং অন্যান্য কর্মীরা সেখানে পৌঁছান। এই সংস্থার মালিক বিকাশবাবু বলেন কেবল বাঁধার সময় কোনো কারণে মাথার উপরে ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে কিশোর চলে আসেন বলে আশঙ্কা। এরপরই সিঁড়ি বেয়ে সে উপর থেকে দুই ধাপ নিচে নামার পর মাটিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পিঠাকিয়ারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সংবাদ পেয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছায়। এদিকে খবর পেয়ে মিহিজাম থেকে মৃতের বাবা বচ্চন রাম এবং পরিবারের অন্যান্যরা হাসপাতালে ছুটে আসেন। হৃদরোগী বচ্চন বাবু তার একমাত্র পুত্রের আকস্মিক প্রয়াণে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মিনি সফটের মালিক বিকাশবাবু বলেন কিশোর তাদের অত্যন্ত দক্ষ কর্মী ছিলেন। এর আগে আরো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎবাহী তারের নিচে সে কাজ করেছে, কিন্তু এখানে এমন অঘটন ঘটে যাবে তা কল্পনাও করতে পারেননি । তিনি পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন । এদিকে সন্ধ্যাতেই কিশোরকে তার পরিজনেরা আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানা গেছে। তবে আজ বিকেল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি এবং সময়ের আগেই অন্ধকার নেমে আসায় ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজ আরও সুরক্ষার সঙ্গে করা প্রয়োজন ছিল বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ফ্যানস ক্লাবের রক্তদান শিবির চিত্তরঞ্জনে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১ আগস্ট:: ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের ১০৫-তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ চিত্তরঞ্জন চারের পল্লী কমিউনিটি হলে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই শিবিরে ২৫ জন স্বেচ্ছায় রক্ত দান করেন। শিবির শুরুর আগে পতাকা উত্তোলন করেন সিএলডব্লুর দুই প্রাক্তন ফুটবলার নৃপেন দে ও সুবোধ দত্ত। শিবিরে সহযোগিতা করেন উজ্জীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতির সদস্যরা । রক্ত সংগ্রহ করে আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংক। উল্লেখ্য, এদিনের রক্তদাতাদের ভারতের প্রখ্যাত ফুটবলার ভাস্কর গাঙ্গুলির স্বাক্ষর করা শংসাপত্র দিয়ে সম্মানিত করা হয়। এদিন রক্ত দান করেন - দেবাঙ্কন সরকার, কৌশিক মাইতি, ভোলানাথ গরাই, রূপম দাস, কৌশিক আশ, অভিজিৎ কুমার ঘোষ, দিপ্তেন্দু বিশ্বাস, প্রভাকর কয়াল, সঞ্জয় ঘোষ, সুখেন চট্টরাজ, গৌতম পাল, প্রিয়াংশু দাস, নিরঞ্জন ব্যানার্জি, সৃজা রায়, প্রিয়াংশু দত্ত, অজিত সাউ, অরূপ তালুকদার, সুরেন্দ্র রাম, সুজিত দেব, সৃজন সেনগুপ্ত, সুমিত সরকার, সৌম্যদীপ মন্ডল, সায়ন সূত্রধর, মৈনাক নাথ, গৌর হরি পাল।@প্রান্তভূমি
কেজি হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে এবার বেসরকারি সিকিউরিটি
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জুলাই:: চিত্তরঞ্জনের একের পর এক বিভাগ বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কেজি হাসপাতালে চিকিৎসা বিভাগের বেশিরভাগ ডাক্তার নার্স সবই যুক্তিভিত্তিক নিযুক্তি হচ্ছে। এখন হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বও তুলে দেওয়া হল কলকাতার সংস্থা এনএসএস সিকিউরিটি'র হাতে। তাদের 12 জন নিরাপত্তা কর্মী এখন ৪ শিফটে হাসপাতালে ডিউটি করছেন। সবাই স্থানীয় এলাকার যুবক। এদিকে হাসপাতালে কোন বেগতিক দেখলে কিংবা কোন অঘটনের জেরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাদের আরপিএফ টাউন পোস্টে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত: আগে রেল সুরক্ষা বলের হাতেই হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া ছিল। এবার একে একে সবই চলে যাচ্ছে বেসরকারি হাতে।@প্রান্তভূমি
নারকীয় তান্ডব নিয়ামতপুরে, গণপিটুনির হাত থেকে ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মার খেয়ে মরলেন বাবা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জুলাই:: গণপিটুনির হাত থেকে নিজের ছোট ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেলেন বাবা। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চলের কুলটি থানা এলাকার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত লছিপুর চবকা এলাকায়। মৃতের নাম কৃষ্ণা গোস্বামী (৪৮)। এখানেই স্ত্রী পুত্রদের নিয়ে বসবাস কৃষ্ণা বাবুর। অভিযোগ ওঠে আজ সকালে এলাকার একটি দোকানে ২২০ টাকা চুরি হয়। এই চুরিতে কৃষ্ণার ছোট ছেলের নাম জড়িয়ে তাকে খুঁজতে থাকে এলাকার রায়না, বুলু, সুভাষ, উত্তম, বৃন্দা নামের কয়েকজন ব্যক্তি। সকালে এক দফা খোঁজাখুঁজির পর বিকেলে আবার তারা যখন একই কান্ড ঘটাচ্ছিল সে সময় কৃষ্ণা তার ছোট ছেলেকে নিয়ে তাদের সামনে হাজির হন এবং জানতে চান তার ছেলে কার কাছে কি চুরি করেছে? এই সময় কৃষ্ণার ছোট ছেলেটিকে ওই ব্যক্তিরা ছিনিয়ে নিয়ে মারতে মারতে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কৃষ্ণা বাধা দেন। এরপরই ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে কৃষ্ণাকে শাবল বাঁশ ইঁট ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রক্তাপ্লুত কৃষ্ণা অচৈতন্য হয়ে পড়ে গেলে আক্রমণকারীরা পালিয়ে যায়। এরপরই কৃষ্ণার অন্যান্য ছেলেরা স্থানীয় মানুষের সহযোগিতায় তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল পাঁচটা নাগাদ চিকিৎসকেরা জানান কৃষ্ণার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে কৃষ্ণার স্ত্রী মুন্নি দেবী ছুটে যান নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে এবং সেখানে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তার স্বামীকে হত্যার অভিযোগ জানান। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় পৌঁছায় এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সন্ধ্যা বাউরি জানিয়েছেন কৃষ্ণার ছোট ছেলে কোনভাবেই ওই চুরিতে জড়িত নয়, আদৌ সেই চুরি হয়েছে কিনা তাই নিয়েও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তবুও একদল উন্মত্ত মানুষ যেভাবে ছোট ছেলেটিকে মারধর করছিল, পরবর্তী সময়ে তার বাবাকে পিটিয়ে মারল তা অমার্জনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে এদিনই আসানসোলের অন্য প্রান্তে ডিজেল চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বারবার সকলকে সতর্ক করছে যাতে গণপিটুনির মতো ঘটনা কেউ না ঘটায় - তবুও বারবার এ জাতীয় ঘটনা ঘটে চলায় তারা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। অত্যন্ত কড়া হাতে এই বিশৃঙ্খলা রোধ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।@প্রান্তভূমি
নতুন উদ্যোগের প্রবল সম্ভাবনা জাগিয়ে কেবলসের জমি পরিদর্শনে ডিএম
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জুলাই:: কয়েকদিন আগেই রাজ্য শিল্প দপ্তরের উচ্চ পদাধিকারী সহ এক প্রতিনিধি দল ঘুরে যাওয়ার পর আজ হিন্দুস্তান কেবলসের জমি পরিদর্শন করে গেলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা শাসক এস পোন্নামবলম। জেলাশাসকের সঙ্গে ভূমি দপ্তরের অতিরিক্ত জেলা শাসক, সালানপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, সালানপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে আদালতের কাজে অন্যত্র থাকায় হিন্দুস্তান কেবলসের আধিকারিক আর এন ওঝা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকতে পারেননি। জানা গেছে আজ সকালের দিকে হঠাৎই জেলাশাসক হিন্দুস্তান কেবলসের প্রশাসনিক ভবনে এসে উপস্থিত হন। তবে খণ্ডহর এই অফিসে তিনি প্রবেশ করেননি, বাইরে দাঁড়িয়েই ভূমি দপ্তরের আধিকারিকের কাছে থাকা হিন্দুস্তান কেবলসের মানচিত্র খুঁটিয়ে দেখেন। তারপরেই কনভয় নিয়ে চলে যান লোয়ার কেশিয়ার পিছনের দিকে অজয় নদ সংলগ্ন ছাতিম বাগান, জিতপুর মৌজায়। জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলির একাধিক ছবি নিজের মোবাইলে বন্দী করেন বলে জানা গেছে। প্রায় ঘন্টাখানেক পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দল এলাকা ছাড়ে। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে জিতপুর মৌজায় একেবারে খালি পড়ে থাকা প্রায় সাড়ে চারশ একর জমি কাজে লাগানোর ব্যাপারে সরকারি স্তরে চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সরকার নিজে কিংবা সরকার মনোনীত কোন বড় সংস্থার হাতে এই জমি তুলে দেওয়ার বিষয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ওই সূত্র মনে করছে। অতি দ্রুত এখানকার জমি বড় কোন উদ্যোগে কাজে লাগানোর সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে বলেই তারা উল্লেখ করছেন। হিন্দুস্তান কেবলসের প্রায় সাড়ে ৯০০ একর জমির মধ্যে এই অঞ্চলে কোনরকম দখলদারি ছাড়াই বিশাল পরিমাণ ফাঁকা জমি আগে কাজে লাগানোর ব্যাপারে সরকার মনস্থ করেছে বলেও জানা যাচ্ছে। জেলাশাসক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একেবারে অজয়ের কাছ বরাবর পরিদর্শন করেন। ২০১৭ সালে পাকাপাকিভাবে হিন্দুস্তান কেবলস গুটিয়ে যাওয়ার পর এখনো পর্যন্ত এটি বড়সড়ো উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শিল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা কেবলসের এই জমি নতুন কোন শিল্প স্থাপনেই কাজে লাগানো হবে, নাকি কয়লা খনি অঞ্চলের ধস কবলিত পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়ার জন্য এখানে প্রায় ২৮ হাজার আবাসন তৈরি করা হবে সেই নিয়ে চর্চা চলছে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে। যদিও স্থানীয় স্তরে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস কিংবা সদ্য যোগ দেওয়া সালানপুর বিএলএলআরও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকার কথা জানালেও পরিদর্শনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য তারা করেননি। অন্যদিকে জেলাশাসক কিংবা ভূমি দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসকের মন্তব্য সরকারিভাবে পাওয়া যায়নি।@প্রান্তভূমি
ঘর ভাঙতে দেখে কেঁদে উঠলো শিশু, চিত্তরঞ্জনে আবারও উচ্ছেদ অভিযানে রেল
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ জুলাই:: চোখের সামনে নিজেদের ঘর ভেঙে দেওয়া হচ্ছে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছোট্ট শিশু। অসহায় মায়ের গলা জড়িয়ে দৈত্যাকার বুলডোজারের দিকে তাকিয়ে থাকলো সে। তবে তাতে কোনরকম ভ্রুক্ষেপ না করেই আজ সকাল থেকে একের পর এক বসতবাড়ি ভেঙে দিলেন চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ। অনুমতিহীন এইসব বাড়ি ঘরদোরে ফুচকা বিক্রেতা, সবজি বিক্রেতা, বাড়ি বাড়ি কাজ করা দিনমজুর, পরিচারিকা এবং তাদের পরিবারের লোকজনেরা দীর্ঘকাল ধরেই বসবাস করছিলেন। একাধিকবার তাদের উঠে যাওয়ার আদেশও দিয়েছিল রেল। শেষ পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন ৩১ নম্বর রাস্তার কাছে পাঠচক্র সংলগ্ন এলাকার ৩৯ টি বাড়ি ভেঙে মাটিতে মিশিয়ে দিল বুলডোজার। এরপর আরপিএফ সহ সিএলডব্লুর সংশ্লিষ্ট বিশাল বাহিনী ৪১ নম্বর রাস্তার খাটাল বস্তি উচ্ছেদ করার কাজে লাগে। সেখানেও বহু ঘরদোর ভেঙ্গে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়। চিত্তরঞ্জন রেল শহরের ভেতর কোন অবৈধ বস্তি বা খাটাল কিংবা দোকান রাখা হবে না বলে কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারই ফলশ্রুতিতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে উজাড় হয়ে যাচ্ছে একের পর এক নির্মাণ। অসহায় এইসব মানুষগুলি চিত্তরঞ্জন সংলগ্ন হিন্দুস্তান কেবলস এবং অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছেন। তবে তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এর ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। রুটি রুজির সমস্যায় পড়ছেন বেঘর হয়ে পড়া মানুষগুলিও।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন থেকে ভিন রাজ্যে নিয়ে চলে যাওয়া দুই নাবালিকাকে উদ্ধার করলো পুলিশ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ জুলাই:: চিত্তরঞ্জন থেকে ভিন রাজ্যে নিয়ে চলে যাওয়া দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে এলো চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। এই অভিযানে সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর পুলিশও যথেষ্ট কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে স্থানীয় এক ব্যক্তি তামিলনাড়ু সহ দক্ষিণ ভারতে চিত্তরঞ্জন মিহিজাম রূপনারায়ণপুর ইত্যাদি অঞ্চল থেকে শ্রমিক যোগান দেওয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন। তিনি রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারী হাসপাতাল রোডের একটি বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। ওই এজেন্টের মাধ্যমে অভিনব (নাম পরিবর্তিত) নামের এক যুবক তামিলনাড়ুতে কাজে যোগ দেয়। এ বছরের মে মাসে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার এক কর্মীর মেয়ে (১৭) নিখোঁজ বলে অভিযোগ পায়। মেয়েটি চিত্তরঞ্জনের একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ পাওয়ার পরেই চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলী মেয়েটিকে খোঁজার জন্য তৎপর হন। তদন্তে নেমে তিনি জানতে পারেন যে এজেন্টের মাধ্যমে ওই যুবক তামিলনাড়ুতে কাজে গেছে সে রূপনারায়ণপুরে বসবাস করে। এরপরই রূপনারায়ণপুর পুলিশের সহযোগিতায় ওই এজেন্টকে নিজেদের আয়ত্তে নেয় চিত্তরঞ্জন পুলিশ। ওই এজেন্টের মাধ্যমেই তামিলনাড়ু থেকে অভিনব এবং মেয়েটিকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরই ৩০ জুলাই ছেলে এবং মেয়েটিকে চিত্তরঞ্জন পুলিশ তাদের আয়ত্তে নেয়। আগামীকাল ৩১ জুলাই তাদের আসানসোল আদালতে তোলা হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেয়েটিকে তার বাবা মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে পুলিশ বলে জানা গেছে। অন্যদিকে দিন দশেক আগে চিত্তরঞ্জন থেকেই বছর ১৬-র একটি মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়।উত্তরপ্রদেশের একটি ছেলের সাথে সে চলে যায় বলে চিত্তরঞ্জন পুলিশ তদন্তে জানতে পারে। ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলী জানতে পারেন ওই মেয়েটির দিদি উত্তরপ্রদেশে থেকে পড়াশোনা করছে। সেখানেই একটি ছেলের সাথে তার জানাশোনা হয়। ইতিমধ্যে বছর ষোলোর মেয়েটি উত্তরপ্রদেশে গিয়েও ছিল। কিন্তু চিত্তরঞ্জনে ফিরে আসার পর ছেলেটির সাথে ফোনে যোগাযোগ করে এবং তাকে চিত্তরঞ্জনে আসতে বলে। ছেলেটি চিত্তরঞ্জনে আসার পরই তার সাথে উত্তর প্রদেশে চলে যায় মেয়েটি। উত্তরপ্রদেশের ছেলেটি গুজরাটে কর্মরত বলে পুলিশ জানতে পারে। শেষ পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন থেকে পুলিশের একটি দল উত্তরপ্রদেশে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশ পুলিশ চিত্তরঞ্জন পুলিশকে বিশেষ সহযোগিতা করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ মনে করছে কম বয়সী ছেলে মেয়েদের হাতে মোবাইলের যথেচ্ছ ব্যবহার এবং না জেনে বন্ধুত্ব পাতানৈর মত ঘটনার ফলে এইসব অঘটন ঘটছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের আরও সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছেন চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শ্রী আলী।
সাইলেন্সার কাটা বাইকের ফটর-ফটর খতম করলো পুলিশ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩০ জুলাই:: রূপনারায়ণপুর সহ শিল্পাঞ্চলের বহু এলাকাতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কাটা সাইলেন্সার লাগানো বাইক। কায়দা করে বাইকের সাইলেন্সার পাইপ কেটে ছোট করে দিয়ে তীব্র গতিতে বিকট শব্দ করে বাইক চালাচ্ছে কিছু বেপরোয়া যুবক। ওই বাইক আরোহীদের কানে হেডফোন গোঁজা থাকলেও পথচারীরা বিকট সেই আওয়াজে চমকে যান, এমনকি বয়স্ক মানুষ কানে শুনতে না পাওয়ার মত অসুবিধাতেও ভুগতে শুরু করেন। এবার এমনই দুই বাইক আরোহীকে ধরল ট্রাফিক পুলিশ এবং তাদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি বড় অঙ্কের টাকাও জরিমানা করল। সাইলেন্সার কাটা বাইক বাজেয়াপ্ত করে ট্রাফিক আইন না মানার ধারা যুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করছে পুলিশ। ওই যুবকেরা রাণীগঞ্জ- মোরগ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পান্ডবেশ্বর থেকে দুবরাজপুর পাওয়ার হাউসের দিকে যাচ্ছিল । তাদের বাইকের মারাত্মক ফটফট আওয়াজে পথ চলতি মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে খবর দেন। এরপরই পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে। এর সঙ্গে সঙ্গেই ট্রাফিক নিয়ম না মানায় অন্যান্য আরোহীদেরও সতর্ক করা হয় এবং বহুজনের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। জানা গেছে ২৯ জুলাই একদিনেই সেখানে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের কাছ থেকে। দুবরাজপুর পুলিশের এই উদ্যোগ শিল্পাঞ্চলের সর্বত্রই প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা উল্লেখ করেন। রূপনারায়ণপুরেও একাধিক বাইক এলাকায় ত্রাস ছড়িয়ে সাইলেন্সার কাটা বাইক নিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে যায়। তাদের অবিলম্বে সিসি ক্যামেরার সাহায্যে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।@প্রান্তভূমি
ঝাড়খন্ড জয় করে ফিরলো বাসন্তীর ৫ সাঁতারু
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জুলাই:: ঝাড়খন্ড রাজ্য স্তরের সাঁতার প্রতিযোগিতায় চিত্তরঞ্জন বাসন্তী ইনস্টিটিউটের পাঁচ সাঁতারু চমকপ্রদ ফলাফল করে একাধিক পদক জয় করল। ২৬ থেকে ২৮ জুলাই রাঁচির হাতোয়ার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ১৪-তম ঝাড়খন্ড সাব জুনিয়র ও জুনিয়র স্টেট মিটে ১৯৩ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ছিল দেওঘর, জামতাড়া, গিরিডি, বোকারো, ধানবাদ, রাঁচি, হাজারীবাগ, জামশেদপুর, সিংভূম সহ বাসন্তী ইনস্টিটিউটের প্রতিযোগীরা। বাসন্তীর অর্ণব আনন্দ ব্যক্তিগত পাঁচটি ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয় করে চ্যাম্পিয়নের বিশেষ ট্রফি লাভ করেছে। অর্ণব প্রথম হয়েছে ২০০ মিটার এবং 50 মিটার ফ্রি স্টাইল, ১০০ ও ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোক ও ৫০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোক ইভেন্টে। এছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৪ বালিকা বিভাগে রিচা ভার্মা ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে তৃতীয়, বালক বিভাগে বিজয় আনন্দ সিং ২০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে তৃতীয় হয়েছে। এরই সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১১ বালক বিভাগে কুন্দন কুমার হাঁসদা ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইলে তৃতীয় ও ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। তাছাড়াও অনূর্ধ্ব-৯ বালিকা বিভাগে অবন্তিকা সিং 50 মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে প্রথম ও ব্যাক স্ট্রোকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। বাসন্তী ইনস্টিটিউট সুইমিংপুলের এই শিক্ষার্থীদের দুরন্ত সাফল্যে তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের সাধারণ সম্পাদক অভিরূপ চৌধুরী এবং জিমনাসিয়াম সম্পাদক নিরঞ্জন শিকদার। এই সাঁতারুদের যোগ্য করে তুলতে প্রশিক্ষক স্বরূপ বিশ্বাস এবং অন্যান্যরা সুইমিংপুলে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন, তাদের সকলকে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
ডিএভি'র পড়ুয়া মনুর অলিম্পিক পদক জয়, অভিনন্দন রূপনারায়ণপুর থেকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জুলাই:: খুশির জোয়ার দেশের ডিএভি পাবলিক স্কুলে। এই স্কুলেরই প্রাক্তন পড়ুয়া মনু ভাকের প্যারিস অলিম্পিক গেমসে জয় করেছেন ব্রোঞ্জ পদক। ১০ মিটার এয়ার পিস্তল বিভাগে মনুর কৃতিত্ব ডিএভি'র সঙ্গেই গর্বিত করেছে সারা দেশকে। উল্লেখ্য, এই প্রথম কোনো ভারতীয় মহিলা শুটার অলিম্পিক গেমসে পদক জয় করলেন। আরও উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো তার হাত ধরেই প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম পদক জয়ের স্বাদ পেল ভারতবর্ষ। এছাড়াও, এক দশকের খরা কাটিয়ে মনুর হাত ধরেই ২০১২'র লন্ডন অলিম্পিকের পর শুটিংয়ে পদক জয় করল ভারত। তবে, প্রথম মহিলা শুটার হিসেবে মনু ভাকের অলিম্পিক গেমস থেকে পদক জয় করলেও ভারতীয় হিসেবে তিনি পঞ্চম। এর আগে ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, ২০০৮ বেজিং অলিম্পিকে অভিনব বিন্দ্রা, ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে বিজয় কুমার ও গগন নারাং শুটিংয়ে পদক জয় করেছিলেন। এদিকে, মনু ভাকের-এর এই অবিস্মরণীয় কৃতিত্বের জন্য তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডিএভি পাবলিক স্কুল রূপনারায়ণপুরের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার। তিনি বলেন, আজ সারা দেশের সঙ্গেই সমগ্র ডিএভি পরিবার অত্যন্দ আনন্দিত। মনুর এই কৃতিত্ব সমস্ত পড়ুয়াকে খেলাধুলা চর্চায় আরও উৎসাহিত করবে বলে শ্রী মজুমদার মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
হরিষাডি গ্রামে এই প্রথম রক্তদান শিবির
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ জুলাই:: বহু প্রাচীন জনপদ হলেও এই প্রথম সালানপুর ব্লকের হরিষাডি গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির। ২৮ জুলাই গ্রামবাসীদের ব্যবস্থাপনায় এবং উজ্জীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতির সহযোগিতায় গ্রামের কমিউনিটি হলে আয়োজিত এই শিবিরে একজন মহিলা সহ ১২ জন রক্ত দান করেন। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের সাহায্যকল্পে আয়োজিত এই শিবির থেকে রক্ত সংগ্রহ করে আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংক। শিবির উপলক্ষে গ্রামবাসীদের উৎসাহ ছিল নজর কাড়া। শিবিরে আছড়া পঞ্চায়েত প্রধান শিবানী পাল সহ বিশিষ্ট গ্রামবাসীরা উপস্থিত হয়েছিলেন।@প্রান্তভূমি
স্নান করতে নেমে ডুবে মৃত্যু ইসিএল কর্মীর
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ জুলাই:: বাড়ির পাশেই পুকুরে ডুবে মৃত্যু হল এক ইসিএল কর্মীর। জানা গেছে আজ দুপুরে সালানপুর ব্লকের সামডি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সামডি ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা নির্মল রুইদাস(৪৫) তার বাড়ির পাশেই থাকা পুকুরে স্নান করতে যান। পুকুরটি সামডি থেকে মাধাইচক যাওয়ার রাস্তার পাশে। কিন্তু স্নানে নামার পর বহুক্ষণ কেটে গেলেও তিনি বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর নির্মল বাবুর শরীর পুকুরের জলে ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশ পৌঁছে যায় এবং তারা তাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠান। যদিও চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় বাকরুদ্ধ হয়ে যান নির্মল বাবুর মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। ঘটনা প্রসঙ্গে সামডি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জনার্দন মন্ডল বলেন বর্ষায় পুকুরটি জলে ভরে উঠেছিল, পাড়ও পিছল হয়েছিল। নির্মল বাবু সাঁতার জানতেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। স্নান করতে নেমে কোন ভাবে গভীর জলে তিনি চলে যান এবং তার ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জনার্দন বাবু জানান।@প্রান্তভূমি
.
.
পড়ুয়াদের জন্য কম্পিউটার দিল পুলিশ, সালানপুর থানার মানবিক মুখ তথাগত ট্রাস্টে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জুলাই:: সালানপুর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম আদিবাসী অধ্যুষিত বাঁশকেটিয়ায় প্রায় প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়াদের হাতে কম্পিউটার সেট তুলে দিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি ও কল্যানেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ির বিদায়ী ওসি উজ্জ্বল সাহা। এখানেই বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক সংস্থা তথাগত ট্রাস্ট শিক্ষা বিস্তারে নিবিড়ভাবে উদ্যোগী হয়েছে। ২৬ জুলাই ট্রাস্টের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দুই পুলিশ আধিকারিক উপস্থিত হয়ে সেখানকার কাজকর্ম দেখে অভিভূত হন। সাঁওতালি গানে তাদের অভ্যর্থনা জানায় ট্রাস্টের পড়ুয়ারা। স্থানীয় অঞ্চলের ফুল পাতা দিয়ে তৈরি অভিনব স্তবক দিয়ে তাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন মন ছুঁয়ে যায় দুঁদে পুলিশ আধিকারিকদের। এরপর সম্মিলিতভাবে তারা পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে তথাগত ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের হাতে কম্পিউটার সেট তুলে দিয়ে বলেন প্রত্যেককেই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে কম্পিউটার সহ সমস্ত বিষয়েই সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে পুলিশ আধিকারিকেরা বলেন - পড়াশোনা সহ যে কোন বিষয়ে যেন নির্দ্বিধায় তারা যোগাযোগ রাখেন। এজন্য সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শ্রী হাটি পড়ুয়াদের মধ্যে তার মোবাইল নম্বর বিলিয়ে দেন। ব্লকের প্রত্যন্ত জায়গা মাইথন জলাধার ও জঙ্গল ঘেঁষা বাঁশকেটিয়ায় তথাগত ট্রাস্টের শিক্ষা বিস্তারের এই ভূমিকার বিস্তর প্রশংসা করেন তারা। ট্রাস্টের পক্ষ থেকেও এই দুই মানবিক পুলিশ আধিকারিককে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। উল্লেখ্য, কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির ওসি উজ্জ্বল সাহার বদলির আদেশ এসেছে দুর্গাপুর ওয়ারিয়ায়। সেখানে বদলি হওয়ার আগে তিনি তথাগত ট্রাস্টের পড়ুয়াদের সঙ্গে মিলিত হলেন, সঙ্গে ছিলেন সালানপুর থানার আইসি। এখানকার সামগ্রিক পরিবেশ এই দুই পুলিশ আধিকারিকের মন ছুঁয়ে যায় বলে তারা উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
আসানসোল কি পরবর্তী যোশিমঠ! পরিবেশ সাংবাদিকতা নিয়ে কর্মশালায় আশঙ্কা আইআইটি কানপুর, এনজিও'র
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জুলাই:: গত ৩০ বছরে আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ 9 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু জুন মাসের বৃষ্টি পিছোতে পিছোতে গিয়ে পৌঁচেছে অক্টোবরে। আবার গত ১০ বছরে বিশেষ করে আসানসোল ও সন্নিহিত এলাকার রাতের তাপমাত্রা সারা বছরই প্রায় একই রকম ঊর্ধ্বমুখী থাকছে, যা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি। খামখেয়ালী এই আবহাওয়া গড়ে উঠছে মারাত্মক দূষণের জন্য। এই দূষণকে এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আসানসোল অঞ্চলের গড় তাপমাত্রা আর কয়েক বছরের মধ্যেই ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে, যেখানে মানুষের বেঁচে থাকাটাই দুর্দায় হয়ে দাঁড়াবে। এইরকমই নানান বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা আসানসোল খুব দ্রুত যোশীমঠ হয়ে উঠবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। এর কারণ মাত্রাহীন ধস। এমনই নানান প্রসঙ্গ একেবারে নতুন করে উত্থাপিত হলো আসানসোলে ২৫ জুলাই পরিবেশ সাংবাদিকতা নিয়ে অত্যন্ত বলিষ্ঠ এক কর্মশালায়। পরিবেশ সাংবাদিকতা বিষয়টিকে সারা পৃথিবীতেই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তার কারণ শুধুমাত্র পরিবেশকে ধ্বংস করে দেওয়ার কারণেই এই পৃথিবী আজ অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। সেই সংকট সমগ্র পৃথিবীর মতোই একেবারে আমাদের ঘরের দরজা আসানসোল দুর্গাপুর অঞ্চলেও উপস্থিত। এই বিষয়টিকেই বুঝে নেওয়া এবং তার থেকে উত্তরণ ঘটাতে সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে এই কর্মশালা দিনভর চর্চা করেছে। এই আলোচনায় অংশ নেন আইআইটি কানপুরের জাস্ট ট্রান্সমিশন রিসার্চ সেন্টার (জেটিআরসি)- এর অধ্যাপক প্রফেসর প্রদীপ স্বর্ণকার, কলকাতা প্রেস ক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ সুর, আন্তর্জাতিক স্তরের পরিবেশ সাংবাদিক তথা এনজিও সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জয়ন্ত বসু, সাংবাদিকতা পাঠক্রমের অন্যতম শিক্ষক মিডিয়া এডভাইজার (এস এন ইউ) বুড়োশিব দাশগুপ্ত এবং খ্যাতিমান পরিবেশ সাংবাদিক জয়জিত দাস। এই আলোচনাকে আরো সমৃদ্ধ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ডঃ প্রদীপ সুমন, বিশ্বদেব ভট্টাচার্য এবং কাঞ্চন সিদ্দিকী। বক্তারা বলেন, আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সমস্ত দিক দিয়েই চরম দূষিত হয়ে উঠেছে। যে তিন নদী - অজয়, দামোদর, বরাকর এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে একসময় সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে দিয়েছিল তাই এখন দূষণের ফলে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । অন্যদিকে কয়লা এবং ইস্পাত ও বিদ্যুৎ এই অঞ্চলকে পশ্চিম জার্মানির রূঢ় অঞ্চলের সঙ্গে এক আসনে বসিয়েছিল। অথচ সারা পৃথিবী আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাটির নিচে থেকে কয়লা তোলা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে পৃথিবীরই বেঁচে থাকার স্বার্থে। যদিও পৃথিবীর অন্যান্য দেশ ২০৩০ থেকে ২০৫০-এর মধ্যে এই কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেও ভারত 20৭০ সাল পর্যন্ত সময় নিয়েছে । ফলে আসানসোল শিল্পাঞ্চল তার অস্তিত্ব কিভাবে টিকিয়ে রাখবে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় বনাঞ্চলের শতাংশ মাত্রই ৪। এরফলে দৈনন্দিন তাপমাত্রা কোনভাবেই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে না। কিছুদিনের মধ্যেই এখানকার মানুষকে চলমান এসি গায়ে জড়িয়ে বাইরে বেরোতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এমন অবস্থায় সাংবাদিকরা শুধু রাজনৈতিক তরজা, খেলার মাঠের উত্তেজনা আর উদ্বোধনের ফিতে কাটার সংবাদ করে এই সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না। পরিবেশকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রাখতে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। এই কাজে আইআইটি কানপুর সম্পূর্ণ একটি পৃথক বিভাগ চালু করেছে। এগিয়ে এসেছে এনজিওর মত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। তাদের হাত ধরে আসানসোলে আইআইটি কানপুরের এই বিভাগ একটি বর্ধিত ক্যাম্পাস শুরু করারও চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা গেল। কিন্তু আসানসোল দুর্গাপুর ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে দূষণমুক্ত করার জন্য বছর বছর যে ব্যাপক পরিমাণ অর্থ সরকারি স্তরে মঞ্জুর হয় তার প্রায় কিছুই দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যয় হয় না। পরিসংখ্যান বলছে আসানসোল অঞ্চলের জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সাম্প্রতিক সময়ে আসানসোলের জন্য ৬৭ কোটি টাকা এবং দুর্গাপুরের জন্য ৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করলেও তাতে হাত পড়েনি স্থানীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণকারী সরকারি সংস্থার। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ নব দত্ত এবং রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সভাপতি কল্যাণ রুদ্র। অন্যদিকে কারখানার ধোঁয়া, আগুনের মতই আসানসোলকে বিপজ্জনক করে তুলেছে কয়লা খনির ভেতরে জ্বলতে থাকা ভয়ংকর আগুন। গত আড়াই বছরে এখানকার খনি গুলিতে অন্ততপক্ষে আড়াই হাজার আগুন লাগার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে। এই অবস্থায় পৃথিবীকে বাঁচাতে কলম ধরতে হবে বলিষ্ঠ সাংবাদিকদের। তারা পরিবেশ রক্ষায় আন্দোলনকারীদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন। সাংবাদিকদের লেখার জেরেই বিপর্যস্ত সুন্দরবন আজ সারা পৃথিবীর গোচরে এসেছে। আসানসোলও নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় সারা পৃথিবীর নজর কাড়ুক - সেই আশা ব্যক্ত করা হয় এদিনের কথাবার্তায়। আসানসোল দুর্গাপুর অঞ্চলের নির্বাচিত সাংবাদিকেরা এদিন পারস্পরিক আলোচনায় এই অঞ্চলকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসার অঙ্গীকার করেন। পৃথিবী এখন যে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পৌঁচেছে তার থেকে যেন আরও খারাপ স্তরে চলে না যায় তা নিশ্চিত করাই পরিবেশ সাংবাদিকদের লক্ষ্য হবে বলে এদিন স্থির হয়। আলোচনায় সকলেই বলেন রাজনৈতিক ঝগড়া করে এই পৃথিবীকে আর বাঁচানো যাবে না, তার জন্য প্রয়োজন যে সব আন্তর্জাতিক চুক্তি পৃথিবীর দুশোরও বেশি দেশ করেছে তাকে একেবারে প্রতিটি স্তরে মেনে চলা। তা হচ্ছে কিনা দেখতে হবে পরিবেশ সাংবাদিকদের। সমস্ত দেশকে ক্ষতিকর পন্থাগুলি থেকে ধীরে ধীরে সরে এসে পরিবেশের উপযোগী পন্থায় মসৃণভাবে পৌঁছতে হবে বলে এদিন উল্লেখ করা হয়। সম্পূর্ণ নতুন এক সাংবাদিকতার পথ এদিন শিল্পাঞ্চলের সাংবাদিকদের সামনে খুলে গেল বলে সকলেই মত প্রকাশ করেন। যদিও সারা পৃথিবীতে পরিবেশ সাংবাদিকেরাই সঙ্গবদ্ধভাবে মাফিয়াদের আক্রোশের শিকার হচ্ছেন, তবুও এই পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখা এবং আরও কোটি কোটি বছর টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সাংবাদিকদের পালন করে যেতে হবে বলে এদিন সকলেই উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
পুজোর আগে প্রয়াত হলেন চিত্তরঞ্জনের অন্যতম মৃৎশিল্পী
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ জুলাই:: চিত্তরঞ্জন শিল্পাঞ্চলের মৃৎশিল্পীদের মধ্যে অন্যতম দীপক পাল মাত্র ৫৮ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন। আসন্ন দুর্গোৎসবের আগে তার প্রয়াণ এলাকার পুজো উদ্যোক্তাদের কাছে বড় আঘাত। এরই পাশাপাশি মাটির মূর্তি তৈরীর শিল্পেও নেমে এলো শূন্যতা । চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বো মার্কেটে তাদের মূর্তি তৈরির প্রতিষ্ঠান চলে আসছে সেই 1957 সাল থেকে। একসময় চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত এলাকায় দীপক বাবুর বাবা গৌরাঙ্গ পালের কাছ থেকেই সমস্ত মূর্তি নিয়ে যেতেন পুজো কমিটির কর্তারা। ১৯৫৭ থেকে মাটির মূর্তি তৈরির শিল্প একাদিক্রমে গৌরাঙ্গবাবু চালিয়েছেন ১৯৯৭ পর্যন্ত। ওই বছরের ৭ মে গৌরাঙ্গ বাবুর প্রয়াণের পর তার পুত্র দীপক পাল হাল ধরেন। দুর্গা কালী সরস্বতী লক্ষ্মী বিশ্বকর্মা সহ সমস্ত মূর্তি তৈরিতে তার খ্যাতি বজায় ছিল শেষ দিন পর্যন্ত। মূর্তি তৈরিকেই একমাত্র পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন দীপক বাবু। তার আয় থেকেই চলছিল সংসার। দীপক বাবুর দুই মেয়ে - বড় মৌমিতা পাল স্নাতক, ছোট সংযুক্তা চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। দীপক বাবু ২৫ জুলাই শ্বাসকষ্ট জনিত অসুবিধা নিয়ে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে ভর্তি হন। যদিও পরের দিন ২৬ জুলাই তাকে আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই ওই রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এখন খ্যাতিমান এই মৃৎশিল্পীর অর্ধ সমাপ্ত মূর্তি তার বো মার্কেটের স্টুডিওতে দাঁড়িয়ে আছে তারই স্মৃতি আঁকড়ে।@প্রান্তভূমি
গো সাপের বহু যৌনাঙ্গ উদ্ধার, পাচারের সময় গ্রেপ্তার দশকর্মা ব্যবসায়ীর ছেলে, বন দপ্তরের নজরে জেলার দশকর্মা-ব্যবসায়ীরা
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ জুলাই:: বন্যপ্রাণী পাচার, বন্যপ্রাণীর শরীরের দেহাংশ পাচার, সাপের বিষ , কাঠ পাচার , টিয়া পাখি বিক্রি এইসবের আঁতুড় ঘর হয়ে উঠেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল। আবারও এক মর্মান্তিক ঘটনা সামনে এলো - যা সাধারণ মানুষ হয়তো বুঝতে পারবেন না, কিন্তু যারা তন্ত্রসাধনার সাথে যুক্ত তারা এই জিনিসটির নাম বললেই বুঝে যাবেন। যাকে বাংলায় বলা হয়
' হাতা জোড়া '।
নিরীহ প্রাণীর গোপনাঙ্গের স্পর্শে ধনসম্পত্তি লাভ হবে - এই বুজরুকি দিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ ও জ্যোতিষীর পেট চালাবার জন্য প্রাণ দিতে হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী গোসাপ বা মনিটর লিজার্ডকে।
দুর্গাপুর বন বিভাগের অন্তর্গত আসানসোল বনাঞ্চলের কর্মীরা ২৪ জুলাই দুপুরে আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ৩৫টি পুরুষ গো সাপের যৌনাঙ্গ বাজেয়াপ্ত করেছেন । এই ৩৫ টি সাপকে বিভিন্ন জায়গায় হত্যা করে গোপনাঙ্গ বের করা হয়েছিল। সেইসব অঙ্গই দশকর্মার সামগ্রী হিসেবে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন নামিদামি দশকর্মার দোকানে, কিছু অসাধু কারবারির হাত ঘুরে তন্ত্রসাধকদের কাছে চলে যাচ্ছিলো বলে বন দপ্তর জানতে পেরেছিল। এই অভিযানের ফলে পাচারের সময় দুজন হাতেনাতে ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে একজন আসানসোলের প্রতিষ্ঠিত দশকর্মা ব্যবসায়ীর ছেলে, অন্যজন তার দোকানের কর্মচারী। ঝাড়খন্ডগামী একটি বাসে এই সামগ্রি পাচার করার সময় হাতেনাতে তাদের ধরা হয় । ২৫ জুলাই অভিযুক্তদের আসানসোল আদালতে তোলা হলে 2 আগস্ট পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ডিএফও দুর্গাপুর অনুপম খান বলেন অত্যন্ত উদ্বেগ জনক বিষয় সামনে আসছে। এই প্রাণীটি এমনিতেই হারিয়ে যাচ্ছে, এর অঙ্গে কোন অলৌকিক ক্ষমতা নেই। তবুও মানুষকে বিভ্রান্ত করে টাকা লুট করা হচ্ছে, প্রাণ হারাচ্ছে প্রাণীটি। দুজনকে গ্রেফতারের পর এই চক্রের মাথা পর্যন্ত পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা আরো তদন্ত চালাচ্ছেন। উল্লেখ্য, বনবিভাগের একটি টিম ঐদিন সকাল থেকে আসানসোল বাসস্ট্যান্ডে সাদা পোশাকে নজর রাখা শুরু করে। দুপুর নাগাদ আসানসোলের ব্যবসায়ীর ছেলে আকাশ কুমার বার্ণোয়াল দোকানের এক কর্মী নরেশ যাদবকে নিয়ে সেখানে পৌঁছায়। দশকর্মার নানা সামগ্রী বোঝাই একটি বস্তা ঝাড়খন্ডগামী বাসে চাপানোর সময় বনদপ্তরের লোকজন তাদের ঘিরে বস্তায় তল্লাশি চালান এবং বস্তা থেকে গো সাপের অঙ্গগুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি স্কুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গোসাপের যৌনাঙ্গগুলির সাথে সংশ্লিষ্ট দোকানের একটি রশিদ পাওয়া গেছে । রশিদ অনুযায়ী এই যৌনাঙ্গগুলি রাঁচিতে পাচার করা হচ্ছিল বলে বন দপ্তর জানতে পেরেছে। এদিকে, যেভাবে শহরের একটি বড় দশকর্মার দোকানের নাম এই তদন্তে উঠে আসছে, তার ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যান্য দশকর্মা ব্যবসায়ীদের উপরও বনদপ্তর নজর রাখছে বলে জানা গেছে। কেউ কোনো দোকানে এই সমস্ত জিনিস বিক্রি হতে দেখলে নিকটবর্তী বন দপ্তরে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। উদ্বেগের বিষয় হলো, ২০২৩ সালেও রাণীগঞ্জে এই প্রাণীর চারটি গোপনাঙ্গ উদ্ধার করেছিল বনদপ্তর এবং একজন মহিলা জ্যোতিষীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।@প্রান্তভূমি
চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় ঝলসে গেলেন এক কর্মী, নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ জুলাই:: রেল ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা বসাতে গিয়ে বিদ্যুতের ছোবলে ঝলসে গেলেন এক কর্মী। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় এই দুর্ঘটনার ফলে আবারও কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। জানা গেছে সিএলডব্লুর উৎপাদিত রেল ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ করছেন একটি বেসরকারি সংস্থার তিন কর্মী। ওখলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট নিউ দিল্লির 'এ পাল সফটওয়্যার সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেডের' ওই কর্মীরা হরিয়ানা থেকে চিত্তরঞ্জনে এসেছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যেই এক কর্মী লোকেশ শর্মা কারখানার 19 নম্বর শপে চার্জিং অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি ইঞ্জিনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য ইঞ্জিনের ছাদে ওঠেন। সে সময়ই মাথার উপর উচ্চ ক্ষমতার বিদ্যুৎবাহী তারের সংস্পর্শে চলে আসেন লোকেশ এবং মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে যান। অত্যন্ত গুরুতর অবস্থায় তাকে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। ইন্দ্রজিৎ সিং ওই কর্মীর সহযোগিতার জন্য তার ইউনিয়নের কর্মীদের হাসপাতালে পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রী সিং প্রশ্ন তোলেন - এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ কোনরকম উচ্চ আধিকারিকের দেখভাল ছাড়াই কি অনভিজ্ঞ প্রাইভেট এজেন্সির কর্মীরা করছিলেন? তিনি বলেন বিষয়টি সমস্ত কর্মীর ক্ষেত্রেই যথেষ্ট গুরুতর এবং চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার সমস্ত কর্মীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে সম্পূর্ণ পোক্ত থাকে তা দেখার আবেদন জানান।@প্রান্তভূমি
লোক ঠকানোর বয়ানে ঠাসা রেজিস্টার, স্বামী স্ত্রী বান্ধবী গ্রেফতার কল সেন্টার থেকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ জুলাই:: রীতিমতো রেকি করে দুষ্কৃতিদের গতিবিধি সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল হওয়ার পরেই উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে তিন প্রতারককে গ্রেফতার করে নিয়ে এলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার পুলিশ। প্রায় তিন বছর আগে বারাবনি থানা এলাকার পানুড়িয়া অঞ্চলের বাসিন্দা চিন্তামণি চারকে ১২ লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছিল এই দুষ্কৃতিরা বলে অভিযোগ। ২৫ জুলাই সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশনারেটের ডি সি (ওয়েস্ট) সন্দীপ কাররা জানিয়েছেন ধৃতরা হল কলকাতা বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার শুভঙ্কর ব্রহ্মচারী, তার স্ত্রী মধ্যমগ্রাম নিবাসী মানসী পাল এবং মানসীর বান্ধবী মৌসুমী নন্দী। তাদের কাছ থেকে ৪৪ টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, চারটি রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ওই রেজিস্টারে হাজার হাজার নাম মোবাইল নম্বর লেখা আছে। অভিযোগে প্রকাশ, ২০২২ সালের ৩ জুন পানুড়িয়ার চিন্তামণি চারের কাছে একটি ফোন আসে। তাতে চিন্তামণির জমিতে হিতাচি কোম্পানির টাওয়ার বসানোর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিষয়টি যথেষ্ট লাভ দায়ক মনে হয় চিন্তামণির। কিন্তু এরপর নানান অছিলায় তার কাছ থেকে দফায় দফায় প্রায় ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকেরা। তিনি দুষ্কৃতিদের কবলে পড়েছেন বুঝতে পারার পরেই ২০২৩ সালের ২২ জুলাই বারাবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে সাগর সরকার, সৈকত রায়, রিতেশ শর্মার নাম উল্লেখ করা হয়। মোবাইলে এইসব নামেই তারা কথা বলেছিল। বারাবনি থানার পুলিশ অভিযোগ পেয়েই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪২০, ৪০৬, ১২০ বি, ৩৪ ধারায় এফ আই আর রুজু করে তদন্তে নামে। চিন্তামণি যেসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছিলেন সেই অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখতে গিয়ে পুলিশ শুভঙ্কর ব্রহ্মচারীর নাম পায়। এরপর তার মোবাইল নম্বর জোগাড় করে পুলিশ। এবং সেই মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে জানতে পারে সে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় থাকে। এরপরই রীতিমতো গোপনে রেকি করে পুলিশ এবং ২৪ জুলাই শুভঙ্করকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে নেয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যমগ্রামে তার কল সেন্টারে গিয়ে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে তার স্ত্রী মানসী ও বান্ধবী মৌসুমীকে গ্রেফতার করে। অন্যান্য অভিযুক্তরা এই সংবাদ পেয়ে মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে গা ঢাকা দেয়। পুলিশ জানতে পেরেছে প্রতারণা চক্রের মাষ্টার মাইন্ড শুভঙ্কর মধ্যমগ্রামে কল সেন্টার চালাতো, থাকতো বাঁশদ্রোণীতে। ওই কল সেন্টারে ৪০ জন স্নাতক যুবক-যুবতীকে কাজ দিয়েছিল মাসিক ১০/১২ হাজার টাকা বেতনের চুক্তিতে। কল সেন্টারে রাখা রেজিষ্টারে হাজার হাজার নাম মোবাইল নম্বরের সঙ্গেই একেবারে বয়ান তৈরি করে লিখে রাখা হয়েছিল কিভাবে অন্য প্রান্তের মানুষকে ঠকানোর জন্য কথা বলতে হবে। সেই অনুযায়ী প্রতিদিন 40 জন ছেলে-মেয়ে ব্যাংক ম্যানেজার সেজে কিংবা টাওয়ার কোম্পানির আধিকারিক পরিচয় দিয়ে অথবা এটিএম মেশিন বসানোর কোম্পানির পরিচয় দিয়ে মানুষকে একের পর এক ঠকানোর কাজে লেগে পড়তো। ডেপুটি কমিশনার শ্রী কাররার অনুমান এইভাবে বহু কোটি টাকা তারা প্রতারণা করেছে। ধৃতদের 25 জুলাই আসানসোল আদালতের মাধ্যমে ১১ দিনের পুলিশি হেফাজত নিয়েছে বারাবনি থানা। জানা গেছে এদের বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল এবং তাতে গ্রেফতার হয়েছিল, এরপর জামানতে ছাড়া পেয়ে আবার প্রতারণার কাজে নিযুক্ত হয়েছিল। এই তিনজনের গ্রেফতার এডিপিসি'র বড় সাফল্য বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি