উৎশব। বানানে ভুল হলেও মরনে ঠিক .....
সম্পাদকীয়
মফঃস্বলের নিশ্চিন্ত আশ্রয় 16 ঘরের একটা আবাসন। কিন্তু পুজোর মুখে সেই আবাসন যেন হাঁ করে গিলতে আসছে কিছু পীড়িত মানুষকে। কারণ উদ্যোক্তাদের সেই এক রা, মাইক বাজাবেন তো অবশ্যই ঐ আবাসনের ছাদে। তবে আপত্তি করলে ছাদ থেকে খুলে নেবেন ঠিকই। তারপর মাইকের চোঙ টাঙাবেন ঐ আবাসনের দিকে তাক করে সামনের ইলেকট্রিক পোস্টে। অথচ তাদের অবশ্যই জানা আছে ওই আবাসনে হাতে কয়েকটা দিন জোর করে আটকে রেখে বেঁচে আছেন এক ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যক্তি। আবার ওই আবাসনেই দিন কাটাচ্ছেন একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকোন্মাদ এক মা ।তাছাড়াও ঐ আবাসনের প্রায় প্রতিটি পরিবার পেনশনভোগী, বয়স তাদের ষাটোর্ধ, কারো বা 80 পেরিয়ে গেছে। পুলিশ প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছে মাইকের শব্দ যেন কোনোভাবেই "সাউন্ড মিটারের লিমিটকে ক্রস না করে"। কিন্তু সেটা দেখবে কে ? অভিযোগ না পেলে পুলিশ নড়ে না । আর সমাজবদ্ধ মানুষ অভিযোগ জানাতে ভয় পায়। তবে হাঁ, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ কিন্তু "এ্যকশন" নিয়েছে। তাহলে উৎসব যেখানে শবের উৎসবে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে সেখানে উদ্যোক্তারা কেন একটুকু নমনীয় হবেন না? মাইকে গান শোনানোর প্রতিযোগিতা অন্যের সঙ্গে কেন করবেন!
এই কাহিনী শুধু একটি আবাসন বা কোন একটি পাড়ার নয়। প্রায় সর্বত্রই এই যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভুক্তভোগী মানুষকে। তবে ব্যক্তিগত সুখ দুঃখের মধ্যেও করোনা অতিমারির যে মানসিক কষ্ট মানুষকে দগ্ধ করছে সেদিকে তাকিয়েও বেশ কিছুটা সংযত হওয়া প্রয়োজন হুজুগে বাঙালির।;