অগ্নিবীর
হৃষিতা সিংহ।। অগ্নিপথ পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে নিযুক্ত প্রার্থী চার বছরের জন্য কাজ করতে পারবে। চার বছর কাজ করার পর এই অগ্নিবীর যে দক্ষতা অর্জন করবেন বাইরে গিয়ে সেই দক্ষতা অনুযায়ী কর্মজীবন বেছে নিতে পারবেন। এদের মধ্যে থেকে ২৫% অগ্নিবীরদের ইন্ডিয়ান আর্মড ফোর্সে নিয়মিত ক্যাডার হিসাবে নিয়ে নেওয়া হবে । এই পরিকল্পনার জন্য, ১৭.৫ থেকে ২১ বছর বয়স হতে হবে, আর শিক্ষাগত, শারিরীক এবং স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হবে। অগ্নিপথ পরিকল্পনায় লাভের মধ্যে আছে এটি সশস্ত্র বাহিনীর একটা রূপান্তরমূলক নীতি। বাহিনীর যুবকদের জন্য গতিশীলতার পরিলেখ। অগ্নিবীরদের জন্য একটা ভালো সুযোগ দেশের সেবা করার আর দেশকে গর্বিত করার। বহু পরিমাণে চাকরির সুযোগ। আকর্ষনীয় বাৎসরিক বেতন এবং ভবিষ্যতে পুনরায় চাকরির সুযোগ ।
কিন্তু অগ্নিপথ পরিকল্পনার বিরোধ পুরো দেশে দেখা যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে চাকরির সুরক্ষা এবং পেনশনের সমস্যা। বিগত পরিকল্পনায় ১৭ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরি করলে, অনেক ক্ষেত্রে এই সময়সীমা বেড়েও যায়, আর শেষে বাকি জীবনের জন্য পেনশন পাওয়া যেতো। এই নতুন পরিকল্পনা অগ্নিবীরদের শুধু চার বছরের জন্য চাকরি আর কোনো পেনশন দিচ্ছে না। বিরোধীরা অগ্নিবীরদের চার বছর আর্মড ফোর্সে থাকার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।@প্রান্তভূমি,২৪/৬/২০২২,বেলা ১২.৩৫;
আলো দিলেই দোষ?
বিস্তীর্ন হিন্দুস্তান কেবলসে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা আপনার পত্রিকা থেকে পড়ি জানতে পারি। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ করে রাস্তা এবং কিছু পরিত্যক্ত কেবলসের কোয়ারটারে বাসিন্দাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এর জন্য প্রশাসনের কাছে অস্থায়ী বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ চেয়েছে তা কোনো মতেই প্রশাসন সম্ভব করতে পারেনি। তবুও বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের মানবিকতায় কিছুটা অন্ধকার দূর হয়েছে। মানুষ স্বার্থপর হয়েছে এটা তার প্রমান। ছিনতাই হলে প্রশাসনের দায়, বিদ্যুৎ সংযোগ করে অন্ধকার দূর করলে বিশ্ববরেণ্য সাউ বাবুর জন- প্রতিরোধ গড়ার কথা আসে! কিন্তু সেই মান্ধাতা আমলের ট্রান্সফরমার যখন লাগানো হয় সেই সময় কতগুলি বাড়ি ছিল আর আজ কতগুলি বাড়ি হয়েছে তার হিসেব আছে? কতগুলি বাড়িতে অবৈধ এসি সংযোগ আছে? ম্যারেজহল গুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ কত কেভির ? তার জন্য কোন আলাদা ট্রান্সফরমার দেওয়া হয়েছে? এগুলো সাউ বাবুর অপদার্থতা প্রমানে যথেষ্ট। আর যে সমস্ত মানুষ আসল কারন লুকিয়ে সাউ বাবুর রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছেন তাদেরকে বলুন মাননীয় সাংসদ -এর দায়িত্বের মধ্যে অন্ধকার হিন্দুস্তান কেবলস সংলগ্ন এলাকা আলোকিত করা তার দায়িত্ব কি না? তার অপদার্থতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলেছে না কেন? রাজনৈতিক খেলাটা আমরা ভালো বুঝি।
- পি দাস, হিন্দুস্তান কেবলস;