রূপনারায়ণপুরের অমরনাথ মনোনয়ন জমা দিলেন আসানসোল লোকসভায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ এপ্রিল:: সারাদেশে ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে ১৫১ টি লোকসভায় এবার প্রার্থী দিচ্ছে সোসালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) বা এসইউসিআই। তাদেরই অন্যতম প্রার্থী হিসেবে আসানসোল লোকসভায় আজ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অমরনাথ চৌধুরী (৬৮)। তিনি রূপনারায়ণপুর বাজার অঞ্চলের বাসিন্দা। ‌ তার হয়ে যতন বনিক, হেমন্ত মালিক, আনন্দরূপ রায় সহ ১০ জন ব্যক্তি প্রস্তাবক হয়েছেন। ‌ মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে অমরনাথ চৌধুরী বলেন দেশের বেহাল অবস্থার জন্য পুঁজিবাদী অর্থনীতিই দায়ী, যে অর্থনীতিকে লালন-পালন করে চলেছে কংগ্রেস বিজেপি। এদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করা এবং পার্লামেন্টে জনগণের হয়ে কথা বলার জন্য তিনি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ‌ অন্যদিকে আজকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে রানীগঞ্জ জেমারি ডাঙ্গাপাড়ার বাসিন্দা দীপিকা বাউরি (৩২) তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ‌ তফশিলি জাতিভুক্ত দীপিকাদেবী আসানসোল লোকসভা আসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করবেন বলে মনস্থির করেছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

প্রাণঘাতী গরমকে হার মানিয়ে অভূতপূর্ব রক্তদান শিবির নিউমার্কেট হাটে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: একদিকে গরমের পারদ চড়ছে ৩৯- ৪০ -৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর তাকে পাল্লা দিয়েই বেড়ে চলেছে রক্তদাতার সংখ্যাও। আজ পারদ যেখানে ৪৩ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে তখন বাজারের মধ্যে রক্তদান শিবির আয়োজন করাটাই অতি দুঃসাহসিক কাজ। ‌কিন্তু এই কাজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এলেন বাজারের ব্যবসায়ী, সবজি কিনতে আসা ক্রেতা, বাইরে থেকে আসা বিক্রেতা এবং স্থানীয় মানুষজন। ‌ আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংকের কর্মীদের মতই অন্যান্য সকলে ভেবেছিলেন এই প্রচন্ড গ্রীষ্মে যখন প্রকৃতই লু বইছে, মানুষজন বাইরে বের হচ্ছেন না - তখন রক্তদাতার সংখ্যা কতই বা হবে। ‌ দুর্ভাবনা ছিল উদ্যোক্তাদের মনেও। ‌ কিন্তু সে সবকিছুকে ছাপিয়ে একে একে রক্ত দিলেন তেইশ জন ব্যক্তি। এদের মধ্যে সদ্য ১৮ পেরিয়ে ১৯ বছরের প্রথম দিনটিতে পড়েছেন এক তরুণ। তিনিই প্রথম এগিয়ে এলেন রক্ত দিতে। আশ্চর্যের কথা হল সেই তরুণ সিউড়ির বাসিন্দা কিন্তু এই নিউমার্কেট অঞ্চলে একটি ফোরহুইলার সংস্থার মেকানিক। ‌ আবার নিউমার্কেট এলাকারই ভাই বোন স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসেছেন রক্ত দিতে। ‌ প্রচার শুনে রূপনারায়ণপুর থেকে রক্ত দিতে ছুটে এসেছিলেন এক তরুণী। আজ রক্তদান করে আগামীকালই সে চলে যাবে রাজ্যের বাইরে তার শিক্ষাক্ষেত্রে। ‌ তরুণীর সঙ্গে এসেছিলেন তার মা-বাবা। তারা সকাল 11 টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত এই শিবিরে সহযোগিতা করে গেলেন অক্লান্তভাবে। ‌ রক্ত দিলেন ঝাড়খণ্ডের কুশবেদিয়া থেকে আসা এক সবজি বিক্রেতা। ‌ এদের এই স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ উদ্যোক্তাদের চোখে জল এনে দেয়। ‌ কারণ কাউকে জোর করে ধরে আনতে হয়নি, কাউকে দু'বার বলতে হয়নি, প্রত্যেকেই এগিয়ে এসেছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। ‌ এইসব রক্তদাতাদের অকুণ্ঠ সেলাম জানালেন সমাজকর্মী বাসুদেব মন্ডল, নীতিশ চৌধুরী, কল্লোল সরকার প্রমুখ। শিবিরকে সফল করতে বাজারের সকল ব্যবসায়ী - বিশেষ করে নীলকমল মৌলিক, বাপি পাল মজুমদার, অরুণ সরকার, দেবাশিস বল, উত্তম দাস, রতন রায় প্রমুখ গরমকে উপেক্ষা করেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন। ‌ আর সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে টিম উজ্জীবনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। সবকিছু মিলিয়ে প্রাণঘাতী এই তাপ প্রবাহকে ছাপিয়ে অভূতপূর্ব সাফল্য পেল নিউমার্কেটের রক্তদান শিবির। ‌ শিবিরের আয়োজক হিন্দুস্তান কেবলস নিউমার্কেট কমিটি এবং সহায়ক উজ্জীবন সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রান্তভূমি পত্রিকার সম্পাদক অভয় মন্ডল। এদিন রক্ত দান করলেন সুমিতা সরকার, প্রশান্ত সরকার, সুমন দাস, মনোজিত দে, দেবাশিস বল, কালাচাঁদ গরাই, বিপিন ঠাকুর, পিন্টু ভারতী, সুরেশ গিরি, নিকিতা নন্দী, নন্দলাল সাউ, মহম্মদ নওশাদ, উত্তম বর্মন, মহম্মদ পারভেজ, বুবাই ভান্ডারী, উত্তম দাস, রিংকিদেবী, বাবলু সাউ, দুলাল বাউরি, অরুণ সরকার, অমৃত গরাই, চন্দন সাউ, অমিত পাল।@প্রান্তভূমি
Share on

বিশ্ব হেরিটেজ দিবসে সিএলডব্লুর ঐতিহ্য চাক্ষুষ করলো পড়ুয়ারা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে আজ বিশ্ব হেরিটেজ দিবস উদযাপন করল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। হেরিটেজ সংক্রান্ত অত্যন্ত আকর্ষণীয় এক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় চিত্তরঞ্জনের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। ‌ এছাড়াও শহরের অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান দেশবন্ধু লোকো পার্কে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হেরিটেজ রেল ইঞ্জিন ফেয়ারি কুইন-এর টেনে নিয়ে যাওয়া বগিতে সওয়ার হয় ছাত্রছাত্রীরা। এরই সঙ্গে তারা হেরিটেজ অমৃত ডিজিটাল গ্যালারি ঘুরে দেখে। স্বাধীন‌ ভারতবর্ষের ইতিহাসে রেল ইঞ্জিন উৎপাদনে অন্যতম অগ্রগণ্য সংস্থা হিসেবে স্বীকৃত সিএলডব্লু শুরুর দিকে যেসব রেল ইঞ্জিন উৎপাদন করেছে সেগুলির বেশ কিছু অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। এই অনন্য ঐতিহ্য ঘুরে দেখে ছাত্রছাত্রীরা। এ থেকে পুরনোকে সংরক্ষণ এবং মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা পায় তারা।@প্রান্তভূমি ‌
Share on

প্রয়াত ডাঃ বি এন গাঙ্গুলী, রূপনারায়ণপুরে শূন্যতা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: ভোর বেলায় ফোন এলো - একটা এ সি শববাহী গাড়ি এবং মর্গের ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়াও ব্যবস্থা করতে হবে ডেথ সার্টিফিকেটের। এমনটা অহরহ ঘটে চলেছে রূপনারায়ণপুরের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত পিন্টু দাসের সঙ্গে। ‌ এক্ষেত্রেও তিনি নিশ্চিন্তে জানালেন সব ব্যবস্থা হয়ে যাবে, কিন্তু কে মারা গেলেন? কোথায় থাকেন? তখন তাকে জানানো হলো রূপনারায়ণপুর গুরুদোয়ারার রাস্তায় এক ব্যক্তি মারা গেছেন। ‌ শুনেই পিন্টুবাবু বললেন, ঠিক আছে কোন চিন্তা নেই, ওইখানেই থাকেন ডাক্তার বি এন গাঙ্গুলী, তার কাছ থেকেই ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে নেবো। ‌ এরপরই পিন্টু বাবুকে জানানো হয় ডাক্তার গাঙ্গুলীইতো মারা গেছেন। ‌ এই কথা শুনে হতবাক পিন্টুবাবু। এরপর আর কথা না বাড়িয়ে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারবাবুর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেন। ‌ রূপনারায়ণপুর ও সংলগ্ন অঞ্চলে গত ১৫ বছর ধরে মানুষের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন ডাক্তার বি এন গাঙ্গুলী। বিশেষ করে অসুস্থ হয়ে বাড়িতে কারো মৃত্যু ঘটলে ডাক্তার গাঙ্গুলীর ডাক পড়তো অবধারিতভাবেই। কারণ ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে তার সহযোগিতা ছিল নজিরবিহীন। এছাড়াও বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা করার বিষয়েও তার কোনই অনীহা ছিল না। ‌ ৮৫ বছর বয়সেও তিনি ছিলেন অক্লান্ত। ‌ কর্মজীবনের প্রথম দিকে চিকিৎসক হিসেবে তিনি কাজ করেছেন ঝরিয়া কোলফিল্ড অঞ্চলে। ‌ সেখান থেকে অবসর নিয়ে গত দেড় দশক রূপনারায়ণপুরে বাস করছিলেন। ‌ তিনি রেখে গেলেন স্ত্রী ও দুই কন্যাকে। পিন্টুবাবু বলেন ডাক্তার গাঙ্গুলীর প্রয়াণ এই অঞ্চলের মানুষজনের কাছে যথেষ্টই অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ালো।@প্রান্তভূমি
Share on

নাকা তল্লাশিতে হাজির মহকুমা শাসক, ভোটের আগে জোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মজবুত করতে রাস্তায় নামলেন আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তিনি জেলার গুরুত্বপূর্ণ নাকা চেকিং পয়েন্টগুলি নিজে খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন। ‌ ১৭ এপ্রিল আসানসোল জুবিলি মোড়, কাল্লা মোড় ইত্যাদি এলাকায় উপস্থিত থেকে তিনি দীর্ঘক্ষণ যানবাহনের গতিবিধি, কাগজপত্র ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করেন। ‌ তার সঙ্গে ছিলেন আসানসোল উত্তর থানার আধিকারিক অমিত হালদার এবং ট্রাফিক ওসি। ‌ নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিতে ভিন রাজ্য থেকে আসা গাড়িসহ অন্যান্য গাড়িগুলির ডিকি পরীক্ষা করে দেখা সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট দিকগুলি মহাকুমা শাসক খতিয়ে দেখেন। ভোটের আগে পর্যন্ত নিয়মিত এই প্রক্রিয়া তিনি চালাবেন বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

বোমা বিস্ফোরণের ঝলকানি দিয়েই শুরু হল মনোনয়ন জমার সকাল, উত্তপ্ত আসানসোল লোকসভা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ এপ্রিল:: আজ থেকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হলো, আর এদিন সকাল থেকেই জেলা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল বাড়ির মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায়। ‌ গতকাল 17 এপ্রিল সন্ধে-রাত আটটা সাড়ে আটটা নাগাদ তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে জামুড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের সিদ্ধপুর বাগডিহা গ্রামের তাঁতিপাড়া দুর্গামন্দির এলাকায়। এখানেই বিজেপি কর্মী কাজল গরাইয়ের নির্মীয়মান বাড়ি। সেই বাড়িতে কেউ থাকতেন না। অভিযোগ উঠেছে ওই বাড়িতেই মজুত করে রাখা বোমা বিস্ফোরণ হয় এবং তার ফলে ওই বাড়িসহ পাশের তপন শীলের বাড়ির বাথরুমের ছাদ উড়ে যায়। ঘটনার পর থেকেই কাজল গরাইয়ের খোঁজ নেই। তবে তপন শীলের দাবি, গত বছর দুর্গাপুজোর সময় থেকে গরাইদের সঙ্গে তাদের একটা ঝামেলা চলছিল, সেই ঝামেলার ফলে গরাইরা তপন বাবুদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, সেটাই ঘটানো হলো বলে তার অভিযোগ। ‌ যদিও রামনবমীর দিন তীব্র এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তীব্রতর হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সরাসরি অভিযোগ নির্বাচনে সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য বিজেপি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অবিলম্বে ঘটনায় যুক্ত সকলকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যদিকে বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের দাবি তৃণমূল চক্রান্ত করে তাদের নামে বদনামের চেষ্টা করছে। ‌ কাজল গরাইয়ের বাড়িতে বোম রেখে দিয়ে তাতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি চেষ্টা করছে তৃণমূল। ‌ আবার আসানসোল লোকসভায় সিপিআইএম জোট প্রার্থী জাহানারা খান বলেছেন বিজেপি তৃণমূল দুটো দলেরই ওই এক কাজ - সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট লুট করা। ‌ তবে রাজনৈতিক চাপান উতোর যাই হোক না কেন, গতকালের এই প্রচন্ড বিস্ফোরণে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ‌ তপন শীল বলেন তার মেয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসার পরেই তীব্র বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া যায়। তারা সে সময় পারিবারিক ব্যবসা মুরগির দোকানে ছিলেন। সংবাদ পেয়েই বাড়ি ফিরে দেখেন সবকিছু বোম বিস্ফোরণে তছনছ হয়ে গেছে। ‌ তার অভিযোগ তারা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী না হলেও কাজল গরাই বিজেপির কর্মী এবং তিনি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তপন শীলের বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দিয়েছেন। ‌ এই ঘটনায় কাজলের দাদা প্রসেনজিত এবং বাবা লক্ষীকান্ত গরাইয়ের দাবি, তাদের ফাঁসানো হয়েছে। কাজলের নির্মীয়মান পরিত্যক্ত বাড়িটিতে বোমা রাখা ছিল নাকি বাইরে থেকে বোমা এনে এই কান্ড ঘটানো হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। ‌এই ঘটনায় কোন হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও বাড়ি দুটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জামুড়িয়া থানা এবং কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ কর্তারা ভোটের মুখে এই বিস্ফোরণের ঘটনায় যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলার চেষ্টা করছেন। ‌ খুব শীঘ্রই সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িতরা ধরা পড়বে বলে পুলিশ প্রশাসন মন্তব্য করেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

ঝোড়ো ব্যাটিং রূপনারায়ণপুর বইমেলার, এক সপ্তাহেই ভেঙে গেল আগের রেকর্ড

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ এপ্রিল:: প্রচন্ড তাপ প্রবাহ, লোকসভা নির্বাচনের দামামা - সবকিছুকে ছাপিয়ে রূপনারায়ণপুর বইমেলা জমে উঠেছে। ‌ ১০ এপ্রিল শুরুর দিন থেকেই পুস্তকপ্রেমী মানুষজনের বইমেলায় আসা এবং বই কেনা দুই দিক দিয়েই অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য দিক ফুটে উঠছে বইমেলাকে কেন্দ্র করে। ইতিমধ্যেই এক সপ্তাহে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার বই বিক্রি হয়ে গেছে। ‌ বইমেলায় এক সপ্তাহে প্রায় ৬০০০ মানুষজন প্রবেশ করেছেন। ‌ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভিড় হয়েছিল পয়লা বৈশাখ ১৪ এপ্রিল। ‌ উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন এদিন পুস্তকপ্রেমী মানুষের ঢল এতটাই নেমেছিল যে একসময় প্রবেশদ্বার সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ‌ ঐদিন প্রায় দুই হাজার মানুষ বইমেলায় প্রবেশ করেছিলেন। ‌ বিক্রির নিরিখেও প্রথম দিন থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করে যাচ্ছে বইমেলা। ১০ এপ্রিল প্রথম দিন বিক্রি হয়েছে ৫২ হাজার ৯৪৯ টাকা, ১১ এপ্রিল ৭৬ হাজার ১২৬ টাকা, ১২ এপ্রিল ৬৯ হাজার ৫৭০ টাকা, ১৩ এপ্রিল ৮০ হাজার ২২৩ টাকা, ১৪ এপ্রিল ১ লক্ষ ২১ হাজার ৩৪৮ টাকা, ১৫ এপ্রিল ৫৬ হাজার ৯২৯ টাকা এবং ১৬ এপ্রিল ৫৩ হাজার ৩৪২ টাকা। আজ ছাড়াও এখনো বইমেলার বাকি দু' দিন। ‌‌ ১৯ এপ্রিল শেষ হচ্ছে রূপনারায়ণপুর পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়া ইয়ুথ ক্লাব আয়োজিত সুভাষ গ্রামীণ বইমেলার ‌। প্রতিবছরই শেষের দিনগুলিতে পুস্তক প্রেমীদের ভিড় অত্যধিক হয়, সে দিক দিয়ে এবার আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার আশায় উদ্যোক্তারা।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে রেলের স্কুলেও এবার কড়ি ফেলেই নিতে হবে শিক্ষা, বিজ্ঞপ্তি জারি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ এপ্রিল:: অর্থের বিনিময়ে শিক্ষাকেই এবার আঁকড়ে ধরল ভারত সরকারের রেল মন্ত্রকের অধীন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতদিন এখানকার স্কুলে লেখাপড়া ছিল সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কিন্তু চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জমা করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষের একাউন্টে। প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে। এবং উল্লেখযোগ্য হল রেল কর্মীদের ছেলেমেয়ে ও রেল বহির্ভূত ছেলেমেয়ে সকলের জন্যই একই ফি ধার্য করা হয়েছে। গত শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত যেখানে পড়ুয়াদের কাছ থেকে বার্ষিক চার টাকা ভর্তি ফি নেওয়া হয়েছে এবার সেখানে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত 1400 টাকা, নবম দশমের জন্য ১৬৫০ টাকা এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ১৯৫০ টাকা ফি ধার্য করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল এই সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করেছেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার সংশ্লিষ্ট আধিকারিক। ‌ বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন শ্রমিক নেতারা। লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলছেন টাকা নিয়ে যদি পরিষেবা ভালো দেয়, পড়াশোনা উচ্চমানের হয় তাহলে অভিভাবকদের আপত্তি থাকবে না। ‌ অন্যদিকে ইনটাক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলছেন রেল কর্তৃপক্ষ তাদের বলেছেন এই অর্থে পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন যদি কর্তৃপক্ষ সেই লক্ষ্যে ঠিক থাকেন তাহলে উপকারই হবে। রেল কর্তৃপক্ষ তাদের সার্কুলারে জানিয়েছেন সেশন ফি, ডেভেলপমেন্ট ফি এবং কম্পিউটার ফি হিসেবে এই টাকা নেওয়া হবে। এরমধ্যে খেলাধুলা, ডায়রি, স্কুল রক্ষণাবেক্ষণ, ম্যাগাজিন, লাইব্রেরী, পরীক্ষা ফি ধরা হয়েছে। যদিও কিছু অভিভাবক বলছেন বুনিয়াদি শিক্ষাকেও রেল কর্তৃপক্ষ পণ্য করে তুললেন। ‌ রেলের কাছে ফ্রি বলে আর কিছু রইল না। এক শ্রেণীর রেল কর্মীর আশঙ্কা - শিক্ষার পর এবার কি তাহলে স্বাস্থ্যেও অর্থ নেওয়া চালু হবে? রেলকর্মীরা এখন বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পান, সেটাও কি তুলে দেওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে রেল? এদিকে বছর দুই আগেই চিত্তরঞ্জনে রেল পরিচালিত স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের কাছ থেকে ফি নেওয়ার বিষয়টি উঠেছিল। কিন্তু তখনকার জেনারেল ম্যানেজার এ বিষয়ে রাজি হননি এবং তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছিলেন হয় বিনা খরচে পড়াতে হবে, নয়তো স্কুল বন্ধ করে দিতে হবে। ‌ এর ফলে সেই সময়ের মতো টাকা নেওয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এবার রেলের অন্যান্য জায়গার স্কুলগুলির মতোই এখানেও পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের নোটিশ জারি হয়ে গেল।@প্রান্তভূমি
Share on

প্রচারে চষছেন এলাকা তবু 'নিখোঁজ' শত্রুঘ্ন সিনহা, ভোটের মুখে পোষ্টার ঘিরে চাঞ্চল্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ এপ্রিল:: আর একদিন পরেই ১৮ এপ্রিল থেকে মনোনয়ন দাখিল করার দিন শুরু হচ্ছে, তার বহু আগে থেকেই আসানসোলের বিভিন্ন অঞ্চল চষে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। কিন্তু এবার তাকেই নিখোঁজ দাবি করে পোস্টার পড়লো অন্ডাল গ্রাম অঞ্চলে। পোস্টারে লেখা হয়েছে মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহার দীর্ঘদিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, যদি কেউ তার খোঁজ পান তাহলে যেন জানানো হয়। ‌ বিষয়টি যে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়। তিনি বলেছেন ২০২২ সালে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয় এবং তাতে শত্রুঘ্ন সিনহা তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। এরপর একবারই তাকে অন্ডাল গ্রামে দেখা গিয়েছিল, পরবর্তী সময়ে তার আর দেখা পাননি ঐ এলাকার মানুষ। এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন । যদি মানুষজন তাকে ভোট দিয়ে জেতান তাহলে পরবর্তী পাঁচ বছরেও তার দেখা পাওয়া যাবে না - এই বিষয়টিকে জানিয়ে মানুষজনের মধ্যে সচেতনতা আনার জন্যই পোস্টার সাঁটানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ‌ যদিও অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীর পান্ডে বিষয়টিকে মেনে না নিয়ে জানিয়েছেন এলাকার সমস্ত কর্মকাণ্ডে সাংসদ হিসেবে শত্রুঘ্ন সিনহা জড়িয়ে ছিলেন, পরবর্তী সময়েও তাকে মানুষজন কাছে পাবেন। ‌@প্রান্তভূমি
Share on

তাপ প্রবাহ থেকে পড়ুয়াদের বাঁচাতে ডিএভি স্কুলে বাজছে ওয়াটার বেল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ এপ্রিল:: দিনে তিনবার অভিনব বেল বাজছে স্কুলে। ‌ দ্বিতীয় তৃতীয় এবং পঞ্চম পিরিয়ডে এই বেল বেজে উঠছে স্কুলের সব কটি শ্রেণীতেই। ‌ আর বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গেই ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের সঙ্গে আনা বোতল থেকে জল খাচ্ছে। যাদের বোতলের জল ইতি মধ্যেই ফুরিয়ে গেছে তারা স্কুলের ওয়াটার কুলার থেকে জল ভরে নিচ্ছে নিজেদের বোতলে এবং পান করছে। ‌ এখানেও কোন কর্তৃপক্ষ সতর্ক আছেন যাতে পড়ুয়ারা তাদের বোতলের অর্ধেক অংশে ঠান্ডা জল এবং অর্ধেক অংশে সাধারন তাপমাত্রার জল ভরে নেয়। কারণ প্রচন্ড গরমে বেশি ঠান্ডা জল খেলে অন্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের জল খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দিতে এই ওয়াটার বেল প্রকৃতপক্ষেই এক নতুন উদ্ভাবন হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলে। ‌ সমগ্র পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেই এমন উদ্যোগ এই প্রথম বলে জানা গেছে। ‌ বৈশাখের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গ প্রবল তাপ প্রবাহের কবলে পড়েছে। ‌ এ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য বারে বারে জল পানের নির্দেশ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ‌ কিন্তু স্কুলের ছোট বাচ্চারা অধিকাংশ সময় জল না খেয়েই কাটিয়ে দেয়। এতে তীব্র এই গ্রীষ্মে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা। ‌ সেজন্যই ডিএভি স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার নিজে উদ্যোগ নিয়ে স্কুল চলাকালীন তিনবার এই ওয়াটার বেল বাজাচ্ছেন। ‌ ওই সময়ে স্কুলের সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীরা খেয়াল রাখছেন যাতে পড়ুয়ারা জল পান করে। ‌ বিষয়টিকে প্রকৃতপক্ষেই সময়োপযোগী এবং অনুকরণীয় বলে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। ‌ স্কুলের এই পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অভিভাবকেরা। ‌ বিষয়টির অভিনবত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে নিয়ে অন্যান্য স্কুল কর্তৃপক্ষও তাদের স্কুলে গ্রীষ্মের সময় এই ব্যবস্থা চালু করার চিন্তাভাবনা করছেন বলে জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোট বয়কটের ডাক সালানপুর ব্লকে, স্মারকলিপি জেলাশাসককে, পকেট গেট বন্ধ করা থেকে আপাতত পিছু হটছে রেল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ এপ্রিল:: সালানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ আসন্ন লোকসভা নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে আজ পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এবং সালানপুর বিডিওকে স্মারকলিপি দিলেন। তারা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যদি চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে চালু থাকা পকেট গেটগুলি জোর করে বন্ধ করে দেন তাহলে তারা ভোট বয়কট করবেন। ব্লকের নামোকেশিয়া কালীমন্দির এবং লোয়ারকেশিয়া সংলগ্ন রামকৃষ্ণ পাঠচক্র পকেট গেট বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ। ‌ এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রান্তভূমি ওয়েব পোর্টালে একাধিকবার প্রকাশিত হয়েছে। ‌ আগামীকাল ১৭ এপ্রিল এবং ১৯ এপ্রিল পর্যায়ক্রমে এই দুটি পকেট গেট বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই সংবাদ প্রকাশিত হতেই ব্যাপক ক্ষোভ এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ‌ গতকালই বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি, রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা একযোগে নামোকেশিয়া কালীমন্দির এলাকায় যান এবং সরেজমিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। ‌ সেখান থেকেই তারা চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পকেট গেট বন্ধ না করার বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের আর্জি জানান। ‌ এদিকে নামোকেশিয়ার বাসিন্দারা গতকাল নিজেদের মধ্যে বৈঠকও করেন। ‌ আজ ১৬ এপ্রিল তারা জেলাশাসক এবং বিডিওর কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। ‌ তাতে বাসিন্দারা উল্লেখ করেছেন নামোকেশিয়া, কালীমন্দির, উত্তররামপুর, জিতপুর, নেতাজিকলোনি, কল্যাণগ্রাম সহ বিস্তীর্ণ এলাকার অন্তত ১০ হাজার বাসিন্দা এই পকেট গেটগুলি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ‌ হঠাৎ করে এগুলি বন্ধ করে দিলে ব্যবসায়ী, ছাত্র-ছাত্রী, রেলকর্মী সহ সাধারণ মানুষকে ব্যাপক হয়রান হতে হবে। ‌ চিত্তরঞ্জন শহরে প্রবেশের জন্য তাদের প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরপথে তিন নম্বর গেটে পৌঁছাতে হবে। ‌ এই পথের মধ্যে অধিকাংশ অঞ্চল অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং ফাঁকা এলাকা হওয়ায় দুষ্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। এই অবস্থায় কোনোভাবেই পকেট গেটগুলি বন্ধ না করার আবেদন জানিয়েছেন তারা। এই আবেদনে রেল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করলে তারা লোকসভা ভোট বয়কট করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। উল্লেখ্য, নামোকেশিয়া ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে দুটি বুথ আছে। ১০৭ এবং ১০৮ নম্বর এই দুটি বুথের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৬৭৫ জন। ‌ এরা সমস্যার সমাধান না হলে ভোট দেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ‌ তবে সার্বিক তৎপরতার ফলে এবং আগামীকাল রামনবমীর উৎসব পড়ে যাওয়ায় আপাতত চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ এই পকেট গেট বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেছেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। যদিও চিত্তরঞ্জনের অন্যান্য এলাকায় থাকা পকেট গেটগুলি ক্রমান্বয়ে বন্ধ করছে রেল। গতকালই কুর্মিপাড়ার দিকের পকেট গেটটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই দুটি পকেট গেটও যেকোনো সময় বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোট-প্রচারে বইমেলায় হাজির বিডিও, আই সি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ এপ্রিল:: বাড়াতে হবে ভোটদানের হার, তাই হাটে বাজারে পাড়ার মোড়ে ঘুরছেন সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী আধিকারিকেরা। থাকছেন পুলিশ অফিসারেরাও। আজ বিডিও শ্রী বিশ্বাস এবং চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি অন্যান্যদের নিয়ে সটান হাজির হলেন রূপনারায়ণপুর বইমেলায়। সেখানে ভোটদানের গুরুত্ব উপস্থিত সকলের সামনে তারা তুলে ধরেন। বলেন প্রত্যেকেই যেন নির্ভয়ে তাদের ভোট দেওয়ার জন্য বুথে পৌঁছে যান। মজবুত দেশ গড়তে হলে ভোট দান অন্যতম হাতিয়ার। সাংবিধানিক এই অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করা যায় - তাই কোনভাবেই ভোট দেওয়াকে অবহেলা করা চলবে না। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও পরিবেশিত হয়। ‌ দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবার লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার দিনেই জানিয়েছিল ২০১৯-এর চেয়ে ভোটদানের হার এবার অবশ্যই বাড়াতে হবে, সেজন্যই দেশের সর্বত্র প্রশাসনিক উদ্যোগে ভোটারদের সচেতন করতে, উদ্বুদ্ধ করতে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

আরও একটি রাস্তা বন্ধ করে দিল চিত্তরঞ্জন রেল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ এপ্রিল:: চিত্তরঞ্জনে প্রবেশের আরও একটি প্রয়োজনীয় পথ আজ বন্ধ করে দিলেন রেল কর্তৃপক্ষ। মিহিজামের দিক থেকে কুর্মিপাড়া হয়ে সহজে চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে পৌঁছানোর যে কাঁচা রাস্তাটি ছিল সেটিকে পাকাপাকিভাবে আজকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কোন প্রকার সাইকেল বাইক অটো টোটো কিছুই যাতায়াত করতে পারবেনা। ‌ গোল ঘেরা দেওয়া একটি লোহার গেট এমনভাবে বসানো হয়েছে যাতে একজন মানুষ কোনক্রমে একবারে তা পার হতে পারেন। ফলে একমাত্র হেঁটে যাতায়াত করা ছাড়া কোন উপায় ওই পথে থাকছে না। ‌ চিত্তরঞ্জন শহর শুরু হওয়ার প্রথম থেকেই এই রাস্তাটি ছিল দাবি করে স্থানীয় মানুষজন এদিন রেল প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান। ‌ তবে আরপিএফ এবং প্রশাসনের উচ্চ আধিকারিকদের উপস্থিতির ফলে এই রাস্তাটি বন্ধ করতে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ পেতে হয়নি। একে একে এইভাবে শহরে যাতায়াতের সমস্ত ছোট রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে রেল। এদিকে হিন্দুস্তান কেবলস লোয়ার কেশিয়ার পকেট গেট এবং নামোকেশিয়া কালী মন্দিরের পকেট গেটও একতরফাভাবে বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছে রেল এই অভিযোগ জানিয়ে স্থানীয় মানুষজন এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসনও এ বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

এথোড়া থেকে ধাঙ্গুড়ি জাহানারা ঘুরলেন নিজেকে পরিচিত করতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ১৫ এপ্রিল:: কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্ট মনোনীত আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী জাহানারা খান আজ সারাদিনব্যাপী সালানপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে পরিচিত হবার জন্য বামফ্রন্টের প্রচার বাহিনীর সাথে প্রচারে আসেন। জেমারি দলীয় অফিস থেকে শুরু করে জেমারিগ্রাম, বনবিড্ডি, বাসুদেবপুর, ধুন্দাবাদ, মহিষামুড়া, এথোড়া, মেলাকোলা, খুদিকা, সালানপুর, দেন্দুয়া মোড়, রামডি, বরাভুঁই, শিরিহবেড়িয়া, আল্লাডি গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাডাবর বাথানবাড়ি বাঁশকেটিয়া রামচন্দ্রপুর কালীপাথর মাঝলাডি বৃন্দাবনী ধাঙ্গুড়ি, চিতলডাঙ্গা পিঠাকিয়ারি সহ আল্লাডিমোড়ে পথসভা করেন। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ,পানীয় জলের সংকট ,বন্ধ কল কারখানা খোলা , নির্বাচনে ভোট লুট , হিন্দুস্তান কেবলসসহ বন্ধ শিল্পের জমিতে নতুন শিল্প গড়ে তোলা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা , রাজ্য জুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ,ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজনের বিষয়গুলি আজ প্রায় সর্বত্রই চর্চার মধ্যে উঠে আসে। এই কর্মসূচিতে প্রার্থী জাহানারা খানের সাথে বাম বহু নেতা নেত্রী ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

বাবাসাহেব আম্বেদকরের ১৩৩-তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। দীনবন্ধু মণ্ডল।। ১৫ এপ্রিল:: বাবা সাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের ১৩৩-তম জন্মজয়ন্তী পালিত হল হিন্দুস্তান কেবলস দেশবন্ধু পার্ক মোড়ে। অখিল ভারত অনুসূচিত জাতি জনজাতি কর্মচারী পরিষদ হিন্দুস্তান কেবলস এবং রূপনারায়ণপুর হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, তার সঙ্গে ছিলেন মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং এবং অন্যান্যরা। এই উপলক্ষে অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। আয়োজকদের পক্ষে কল্যান বাল্মিকী, স্নেহময় মাজি, সিপি সিং, বিজয় রজক, রামনারায়ণ অসওয়াল, সুভাষ মহাজন বলেন বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের জীবন এবং কর্মপদ্ধতি ভারতবর্ষকে এক নতুন দিশা দেখিয়েছে, তাকে আমাদের অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে পালন করে যেতে হবে। প্রতিবছরই তারা এই দিনটিকে বিশেষভাবে উদযাপন করেন, তবে এবার আয়োজনের আড়ম্বর ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। ‌ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মৌসুমী ঝা।@প্রান্তভূমি
Share on

অফিসে ঢুকে পরপর গুলি, মৃত্যু মালিকের, ভোটের মুখে ব্যাপক আতঙ্ক শিল্পাঞ্চলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ এপ্রিল:: বেলা পৌনে বারোটার কয়েক মিনিট আগে একজনের নাম করে খোঁজ করতে আসে এক ব্যক্তি। কিন্তু ওই নামের কেউ সেখানে থাকেন না জানানোর কিছুক্ষণ পরেই সেই অফিসে মুখে কাপড় বেঁধে ঢুকে পড়ে এক সশস্ত্র দুষ্কৃতি এবং বেপরোয়া গুলি চালাতে শুরু করে। ‌ গুলির আঘাতে চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই সংস্থার মালিক উমাশঙ্কর চৌহান (৩৫)। তিনি সেখানে একটি মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানি চালাতেন এবং হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন। ‌ প্রকাশ্য দিবালোকে বাজারের মধ্যে এমন রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে কুলটি থানার অন্তর্গত চিনাকুড়ি বাজারে। ‌ সেখানেই উমাশংকরের কার্যালয়। ‌ সেখানকার এক কর্মী জানিয়েছেন আজ বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ হঠাৎই গাড়ি থেকে নেমে এক দুষ্কৃতি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাদের অফিসে ঢুকে পড়ে এবং বেশ কয়েক গ্রাউন্ড গুলি উমাশঙ্করের শরীর লক্ষ্য করে চালিয়ে দেয়। এরপরই তারা গাড়িতে চড়ে চম্পট দেয়। রক্তাপ্লুত উমাশঙ্করকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ‌ ভোটের আগে এইরকম ভয়ানক ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে, এলাকার মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
Share on

রূপনারায়ণপুরে শুরু হল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপরিষেবার নতুন ব্যবস্থা 'মেডিলিঙ্ক'

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ এপ্রিল:: চিকিৎসা পরিষেবায় আরো গতি আনার লক্ষ্যে রূপনারায়ণপুরে শুরু হল মেডিলিঙ্ক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অনুসন্ধান কেন্দ্র। ‌ এরই সঙ্গে আপাতত চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়মিত চিকিৎসা পরিষেবা দেবেন এই কেন্দ্র থেকে। ১৪ এপ্রিল এই মেডিলিঙ্ক স্বাস্থ্যপরিষেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। মেডিলিঙ্কের কর্ণধার কেয়া সরকার এই উপলক্ষে জানান ২০০৭ সাল থেকেই তারা বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে চলেছেন। ‌ সেই পরিষেবারই নতুন রূপ শুরু হলো এদিন থেকে। ‌ এখানে ডাক্তারের চেম্বার ছাড়াও ফিজিওথেরাপি, রক্ত, আয়া (মহিলা পুরুষ), নার্স, বৃদ্ধ- বৃদ্ধাদের দেখাশোনার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি, ইসিজি, ড্রেসার ইত্যাদির প্রয়োজন মেটানোর জন্য তারা সম্পূর্ণরূপে সহযোগিতা করবেন। ‌ দীর্ঘদিন ধরেই তারা আয়া নার্স-এর ব্যবস্থা করছেন জানিয়ে শ্রীমতি সরকার বলেন বাইরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর প্রয়োজন হলে তারা সহযোগিতা করবেন, কোথায় কোন রোগের সঠিক চিকিৎসক পাওয়া যাবে তারও হাল হকিকত জানাবেন, প্রয়োজনে সেই চিকিৎসকের সঙ্গে এ্যপয়েন্টমেন্ট করিয়ে দেবেন। এছাড়াও মেডিক্লেম সংক্রান্ত বিষয়েও তারা উদ্যোগ নিয়ে রোগীর পরিবারকে সহায়তা করবেন বলে জানান। ‌ রূপনারায়ণপুর পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়ায় উৎসব লজের পাশে এই কেন্দ্র নববর্ষের দিন থেকেই শুরু হল।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে আজাদ হিন্দের বাসন্তী পুজো

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ এপ্রিল:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরে আজাদ হিন্দ ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় বাসন্তী পুজো এবার ৭১ বছরে পড়ল। শহরের ২৪ ও ২৬ নম্বর রাস্তার মাঝে ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব প্রতিবছরই অত্যন্ত আড়ম্বর এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করে। এবার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে এবং প্যান্ডেলের ফিতে কেটে এই আয়োজনের সূচনা করেন ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য 97 বছর বয়সী সুরেন চক্রবর্তী এবং ৮১ বছর বয়সী সুকুমার দে। আজ বাসন্তী পুজোর ষষ্ঠী। ‌ এদিন উপাসনা সংস্থার শিল্পীবৃন্দ সংগীত পরিবেশন করেন। ক্লাবের পৃষ্ঠপোষক তমাল রায়, সভাপতি তাপস চক্রবর্তী জানান সারা বছরই তারা বিভিন্ন কর্মকান্ড করে থাকেন। সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব চক্রবর্তী উল্লেখ করেন আজাদ হিন্দ ক্লাব বাংলার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজ, রক্তদান, বসে আঁকো প্রতযোগিতা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ইত্যাদির নিয়মিত আয়োজন করে। ‌ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুব্রত ভট্টাচার্য।@প্রান্তভূমি
Share on

প্রথম বাংলা দিবস উদযাপন আসানসোলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ এপ্রিল:: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশ মতো প্রথম "বাংলা দিবস" উদযাপিত হল পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে। ‌ আজ এই উপলক্ষে নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ‌ অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন জেলাশাসক এস পোন্নামবলম এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক অরণ্য ব্যানার্জি, সঞ্জয় পাল, আসানসোল মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ‌ কেন এই দিবস পালন করা হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে "বাংলার মাটি বাংলার জল" সংগীত পরিবেশিত হয়। প্রথম বাংলা দিবস উদযাপন প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে বাংলা দিবস হিসেবে পালন করার উদ্যোগ রাজ্য সরকার নিয়েছেন। ‌ বাংলার মনীষীদের অবদানকে স্মরণ করার পাশাপাশি সকল মানুষের মধ্যে ঐক্যভাব বজায় রাখা এবং বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে চলার ভাবনায় পয়লা বৈশাখ দিনটি বাংলা দিবস হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে ‌। পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি বহু শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, শিল্পী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

গ্রীষ্মে তিনটি বিশেষ ট্রেন আসানসোল চিত্তরঞ্জন এলাকার যাত্রীদের জন্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: গ্রীষ্মে আরও আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বেশ কিছু রুটে সামার স্পেশাল ট্রেন চালু করছে রেল। ‌ এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জায়গার সঙ্গেই বিশেষভাবে উপকৃত হবেন আসানসোল চিত্তরঞ্জন জামতাড়া মধুপুর ইত্যাদি অঞ্চলের যাত্রীরা। সামার স্পেশাল এই ট্রেনগুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো আসানসোল-জয়পুর-আসানসোল ০৩৫০৯ এবং ০৩৫১০ ট্রেনটি। এটির যাত্রা শুরু হচ্ছে 16 এপ্রিল মঙ্গলবার থেকে। ‌ প্রতি মঙ্গলবার এই ট্রেন আসানসোল থেকে ছাড়বে বেলা একটা কুড়ি মিনিটে এবং বুধবার পৌঁছাবে জয়পুরে। ‌ জয়পুর থেকে প্রতি বুধবার বেলা দুটোয় ট্রেনটি আসানসোলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। ‌ পথে চিত্তরঞ্জন জামতাড়া জশিডি ঝাঁঝা কানপুর তুন্দলা আগ্রা ফোর্ট স্টেশন গুলিতে দাঁড়াবে। বুধবার জয়পুর থেকে ছেড়ে আসানসোলে পৌঁছাবে বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা চল্লিশ মিনিটে। এই ট্রেনে দুটি স্লিপার ক্লাস, দুটি জেনারেল বগি এবং ১৫ টি এসি কামরা থাকবে। ‌# আরো একটি ট্রেন ০৩৫৭৫ আসানসোল-আনন্দবিহার সমার স্পেশাল। এটি শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে। আসানসোল থেকে বেলা দশটা পনেরই ট্রেনটি ছেড়ে শনিবার সকাল আটটা পাঁচে আনন্দবিহার পৌঁছাবে। এর রুট ধানবাদ কোডারমা গয়া হয়ে প্রয়াগরাজ । ‌ ট্রেনটি প্রতি শনিবার আনন্দবিহার থেকে সকাল ১০ঃ১৫য় ছেড়ে পরের দিন রবিবার সকাল ১০:২০ মিনিটে আসানসোলে পৌঁছাবে। এই ট্রেনে আটটি স্লিপার ক্লাস, সাতটি এসি কোচ এবং তিনটি জেনারেল কামরা থাকছে। # আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন এই অঞ্চলের মানুষকে গ্রীষ্মকালীন সফরে সুবিধা দিতে চলেছে। ‌ সেটি হল ০৩১০৭ শিয়ালদা-লক্ষ্ণৌ সামার স্পেশাল। এই ট্রেনটি প্রতি শনিবার শিয়ালদা থেকে ছাড়বে রাত ১২:১০ মিনিটে। ট্রেনটি চালু হচ্ছে ২০ এপ্রিল থেকে। ‌ যাত্রা পথে বর্ধমান দুর্গাপুর আসানসোল চিত্তরঞ্জন মধুপুর জশিডি ইত্যাদি স্টেশনে এটি থামবে। ‌ উল্লেখযোগ্য হল এই ট্রেনের সব কটি কামরা এসি ব্যবস্থাযুক্ত।@প্রান্তভূমি
Share on

নববর্ষ ১৪৩১-কে স্বাগত জানিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আসানসোল বাংলা আকাদেমির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-কে স্বাগত জানিয়ে একদিন আগেই আসানসোলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজিত হয়। ‌ আসানসোল বাংলা আকাদেমি এই শোভাযাত্রার আয়োজন করে, সৌজন্যে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। ‌ রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রা ভগৎ সিং মোড়, কোর্ট মোড় এবং আদালত চত্বর পরিক্রমা করে রবীন্দ্রভবনে এসে সমাপ্ত হয়। সেখানে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ‌ বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে ঠিক আগের দিন বিকেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়, আকাদেমির সম্পাদক আলপনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সভাপতি ডাক্তার পি কে দে সরকার, ডাক্তার অরুনাভ সেনগুপ্ত, অমিতাভ মুখোপাধ্যায় সহ বহু গন্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত হয়েছিলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

পকেট গেট বন্ধ করতে এলে তিন নম্বর গেট অবরোধের ডাক, চাপা উত্তেজনা চিত্তরঞ্জন অঞ্চলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল, ২০২৪।। চিত্তরঞ্জন রেল শহরে যাতায়াতের জন্য দুইটি পকেট গেট পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য সি এল ডব্লু প্রশাসন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ জোটবদ্ধ প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। কেবলস লোয়ার কেশিয়ার পকেট গেট এবং কেশিয়া কালীমন্দির এলাকায় এই দুটি পকেট গেট আছে। লোয়ার কেশিয়ার এই পকেট গেট দিয়ে কল্যাণগ্রামসহ কুড়ি/পঁচিশটি গ্রামের মানুষজন চিত্তরঞ্জনে আসা যাওয়া করেন। আবার কেশিয়া কালীমন্দির এলাকার পকেট গেট দিয়ে নামোকেশিয়াসহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষজন চিত্তরঞ্জনে আসা যাওয়া করেন। অনেক প্রাক্তন রেল কর্মী ও বর্তমান কর্মী এই সব এলাকায় থাকেন। ফলে কারখানার ডিউটি ছাড়াও স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, ব্যাঙ্ক, বাজারঘাট করতে এই গেট দুইটি ব্যবহার করেন হাজার হাজার মানুষ। সি এল ডব্লু প্রশাসন এই গেটগুলির পাশে বালি, পাথর আর সিমেন্টের বিম জমা করেছে। এতে গেটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ১৭ ও ১৯ এপ্রিল রেল প্রশাসন এই কাজ করতে পারেন বলে রটেছে। গেট দুইটি যাতে বন্ধ করা থেকে রেল প্রশাসন বিরত থাকে তার জন্য এবার সাধারণ মানুষ আন্দোলনে নামতে চলছে। ইতিমধ্যে কল্যাণগ্রাম নাগরিক কমিটি, বাজার সমিতির মানুষজন বৈঠক করেন। ঠিক হয়েছে রেল প্রশাসন গেট বন্ধের কাজ করতে এলে বাধা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে তিন নম্বর গেট অবরোধ করে রাখা হবে। পকেট গেট বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সি এল ডব্লুর লেবার ইউনিয়নের রাজীব গুপ্ত এবং আই এন টি ইউ সি-র ইন্দ্রজিৎ সিং। রাজীব বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে সি এল ডব্লুর সিপিও'কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের কাছেও যাওয়া হবে। এছাড়াও রেল বোর্ডসহ বিভিন্ন উচ্চস্তরে চিঠি দেওয়া হবে। ইন্দ্রজিৎ বলেন, মানুষের কথা ভেবে রেল প্রশাসনের উচিত এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত বাতিল করা।@প্রান্তভূমি
Share on

শত্রুঘ্ন সিনহার রোড-শো সালানপুর ব্লকে, বাম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ এথোড়ায়-মানছে না সিপিআইএম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে আজ সালানপুর ব্লকে প্রথম রোড শো আয়োজিত হয়। এথোড়া মোড় থেকে আঙ্গারিয়া হয়ে এই শোভাযাত্রা ফুলবেড়িয়ায় পৌছায়। প্রায় ১০ কিলোমিটার ব্যাপী এই রোড শো তৃণমূল সমর্থকদের শত শত বাইক এবং শত্রুঘ্ন সিনহার হুড খোলা গাড়িতে জমজমাট হয়ে উঠেছিল। ‌ বহু সংখ্যক মানুষ এই রোড শোতে অংশ নেন। ‌ যাত্রা শুরুর আগে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বলেন উপনির্বাচনে "পুরো গ্রাম ঝেড়ে" যেমন আশীর্বাদ পেয়েছিলেন এবারও শত্রুঘ্ন সিনহা সেই আশীর্বাদ পাবেন। অন্যদিকে প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন এখানে তার হার-বা জিত কোনটাই তার নিজের নয়, সবটাই মমতা ব্যানার্জির, আসানসোলবাসীর। ‌ তিনি বলেন মাসে দু-তিন বার তিনি আসানসোলে আসেন এবং এখানকার যাবতীয় উৎসব আয়োজনেও তিনি উপস্থিত থাকেন। উপস্থিত জনতাকে বলেন আপনারা আমার "ফ্যামিলি মেম্বার"। ‌# এদিকে এদিন শত্রুঘ্ন সিনহার রোড শো শুরু হওয়ার আগে এথোড়ার ৫-৬ জন সিপিআইএম কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেন। ‌ তাদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধান উপাধ্যায়। তৃণমূলে যোগ দিয়ে দিলীপ ভট্টাচার্য ক্যামেরার সামনে বলেন, তিনি এথোড়া গ্রামের বাম সংগঠনের শাখা কর্মী। ‌ তার সঙ্গেই কৈলাশ ধীবর সহ জনা ছয়েক কর্মী এ দিন তৃণমূলে যোগ দিলেন জানিয়ে তিনি বলেন - এতদিন বামফ্রন্ট করেও যে সুবিধা তারা পাননি, যে সরকারি পরিষেবার কোন সুযোগ তাদের কাছে পৌঁছায়নি তা বিধান উপাধ্যায়ের হাত ধরে মমতা ব্যানার্জির প্রকল্পের মাধ্যমে তারা পেয়েছেন, তাই আজ বিধান উপাধ্যায়ের হাত ধরেই সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিলেন। যদিও এদের সিপিআইএম কর্মী হিসেবে মান্যতা দিতে রাজি নন বাম নেতৃত্ব। বাম নেতা রঞ্জিত সরকার বলেন দিলীপ ভট্টাচার্য কোনদিনই বাম আন্দোলনে ছিলেন না, তারা নিজেরাই নিজেদের প্রচারে আনার জন্য এমন কাজ করছেন। ৫-৬ জন বাম কর্মী তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে যে উল্লেখ দিলীপ ভট্টাচার্য করেছেন তারও বিরোধিতা করে রঞ্জিতবাবু বলেন বামেদের ছেড়ে তৃণমূলে কেউ যাননি।@প্রান্তভূমি
Share on

দাউ দাউ করে জ্বলছে অনামিকা পল্লী সংলগ্ন এলাকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: গতকাল আগুনের গ্রাস থেকে কোনক্রমে রেহাই পেয়েছিল বেশ কয়েকটি বাড়ি, কিন্তু তা থেকে শিক্ষা না নিয়ে বেপরোয়া মানুষজন আজ আবার আগুন লাগিয়ে দিলেন নোংরা আবর্জনা বর্জ্য পদার্থে ভর্তি একটি জায়গায়। ‌ আজ সন্ধ্যায় হঠাৎই দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রূপনারায়ণপুর অনামিকা পল্লীর বাসিন্দারা। ‌ বইমেলার মাঠের খুব কাছেই হিন্দুস্তান কেবলস রোড থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার রাস্তার চৌমাথার পাশে এই আগুন লেলিহান হয়ে ওঠে কিছুক্ষণের মধ্যেই। ‌ রূপনারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দারা এখানে যাবতীয় নোংরা আবর্জনা প্রতিদিন ফেলে যান। সেখানেই আজ আগুন লাগানো হয়। ‌ এর ফলে সমগ্র এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়, ছড়িয়ে পড়ে কটূ গন্ধ। এই ঘটনায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় মানুষজন বলেন, তীব্র এই গরমে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রকাশ্যে এইভাবে আগুন জ্বলায় পরিবেশের ভয়ংকর দূষণ ঘটছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। আগুনের গ্রাসে বেশ কিছু গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যত্রতত্র এইভাবে আগুন না লাগানোর আবেদন করেছে বন দপ্তর। হাওয়ার দাপটে এই আগুন আশেপাশের ঘরে ছড়িয়ে পড়লে তা নেভানোর জন্য এক বালতি জলও পাওয়া যাবে না হাতের কাছে, কারণ পুকুর বলতে আশেপাশে কিছুই অবশিষ্ট নেই। গ্রীষ্মের দাপটে কুয়ো শুকিয়ে কাঠ। আসানসোল থেকে দমকল আসতে ঘন্টা পেরিয়ে যাবে। ফলে এই ধরনের আগুন যেকোনো মুহূর্তে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হওয়ার পাশাপাশি জীবন হানিরও আশঙ্কা থেকে যায়। সেজন্য এই জাতীয় কাজ থেকে সকলে যাতে বিরত থাকেন তার আবেদন জানিয়েছে বন দপ্তর।@প্রান্তভূমি
Share on

ফুল তুলতে বেরিয়ে জলের বোতল বোঝাই গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: জলের বোতল বোঝাই একটি বেপরোয়া গতির পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় ভয়ানক জখম হলেন বৃদ্ধ অজয় মণ্ডল (৬৬)। তিনি ভোরের দিকে ফুল তোলার জন্য বাড়ির বাইরে বের হয়েছিলেন। যে মুহূর্তে তিনি পাঁচিল ঘেরা বাগানে ফুল তুলতে শুরু করেন ঠিক তখনই আসানসোল থেকে জামতাড়াগামী ওই পিকআপ ভ্যান (ডব্লু বি ৩৭ডি ৪৪৯৬) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা পাঁচিলে ধাক্কা মেরে আটকে যায়। এবং তাতেই গুরুতর জখম হন অজয় বাবু। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গাড়িচালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং গাড়ির গতিও ছিল প্রচন্ড। ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৩ এপ্রিল ভোরের দিকে মিহিজাম থানা এলাকার বেওয়া গ্রামে। ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে জলের বোতল ভর্তি গাড়িটি ছুটছিল। এদিকে ঘটনার পরেই জখম অজয় বাবুকে জামতাড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাকে ধানবাদে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দশ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। প্রাথমিকভাবে এক লক্ষ টাকা জোগাড় করে অজয় বাবুর চিকিৎসার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গাড়ির মালিক ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকার করেননি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।@প্রান্তভূমি
Share on

রামনবমীর শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ অস্ত্র নিয়ে বের হলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ এপ্রিল:: রামনবমীর শোভাযাত্রাকে ঘিরে কোনরকম অশান্তি যাতে না ছড়ায় সেজন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে একগুচ্ছ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ‌ ১২ এপ্রিল এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জানানো হয় রামনবমীর সময় কোনো রকম অস্ত্রের ব্যবহার করা যাবে না। শিশুদের এসব থেকে অতি অবশ্যই দূরে রাখতে হবে । কোনরকম নিষিদ্ধ অস্ত্র সঙ্গে নিয়ে রামনবমীর শোভাযাত্রায় বের হলে আইনত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শোভাযাত্রায় সর্বপ্রকার ডিজে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। রামনবমীতে শোভাযাত্রা বা উৎসব উদযাপনের সময় নিষিদ্ধ গান বাজানো চলবে না এবং এ সংক্রান্ত দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কমিটির কাউকে অতি অবশ্যই পালন করতে হবে। পুজো এবং শোভাযাত্রায় কোন প্রকার নেশা জাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার করা চলবে না। ‌ মাদক সেবন কিংবা হস্তান্তর সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকছে। এরই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনরকম আপত্তিকর ভিডিও শেয়ার না করা, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানো প্রতিটি নাগরিকের অবশ্য কর্তব্য। ‌ সকলের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রেখে রামনবমী উদযাপনের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে রাত দশটা পর্যন্ত আসানসোলের জি টি রোড এবং অন্যান্য প্রধান রাস্তা খালি করতেই হবে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে অত্যাবশ্যকীয় এই বৈঠক ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় কর্পোরেশন হলে। ‌ আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডু আবশ্যকীয় বিষয়গুলি সম্বন্ধে আলোকপাত করেন। উপস্থিত ছিলেন এডিসিপি সেন্ট্রাল ধ্রুব সাহা, ট্রাফিক প্রদীপ মন্ডল, এসিপি বিশ্বজিৎ নস্কর, আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের পক্ষে নরেশ আগারওয়াল এবং বিভিন্ন আখড়া ও শোভাযাত্রার আয়োজক কমিটিগুলি।@প্রান্তভূমি
Share on

পাঁচিল ঘেরা জায়গার আবর্জনায় ব্যাপক আগুন, হুলুস্থুল রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ এপ্রিল:: আজ বিকেলে রূপনারায়ণপুর রূপনগরে অগ্নি সংযোগের ঘটনায় ব্যাপক আতংক ছড়ালো পাশাপাশি এলাকায়। ‌ রুপনগর 4 নম্বর রাস্তার মুখে পাঁচিলঘেরা একটি বড় জায়গা ফাঁকা পড়ে আছে। ‌ ওই জায়গাটির মালিক বিকাশ ভট্টাচার্য। ‌ সেখানেই ব্যাপক হারে নোংরা আবর্জনা ফেলা হয়। সেই আবর্জনাতেই আজ বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আগুন লাগে। ‌ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মাঝে এই আগুন আতঙ্কের আবহ সৃষ্টি করে। ‌ যে কোন মুহূর্তে আগুন পাশাপাশি বাড়িগুলিতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বাসিন্দারা পুলিশ প্রশাসন এবং দমকলে ফোন করেন। ‌ কিছুক্ষণের মধ্যেই আসানসোল থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ‌ এরপরই দমকল কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন এইভাবে ফাঁকা জায়গায় নোংরা আবর্জনা ফেলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ সেখানে প্লাস্টিক কাগজ জলের বোতল পানীয়ের ক্যান থেকে শুরু করে নানান বর্জ্য দ্রব্য পড়ে থাকে। ‌ তাতে আগুন লাগলে যে কোন মুহূর্তে বড়সড়ো বিস্ফোরণের আশঙ্কা থাকে। তা থেকে মুহূর্তের মধ্যে আগুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে। তাই দিনের পর দিন ফাঁকা জায়গা ফেলে রাখা যেমন অনুচিত, তেমনই প্রশাসনের নজর রাখা দরকার স্থানীয় মানুষজন যাতে সেই ফাঁকা জায়গাটিকে এলাকার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার না করেন। ‌ রূপনারায়ণপুরে এই ধরনের বেশ কিছু জায়গা আছে যা উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। সেই ঘেরা জায়গায় স্থানীয় মানুষজন যথেচ্ছ নোংরা জমা করেন। ‌ এর ফলে দুর্গন্ধে আশেপাশের মানুষজন যেমন অতিষ্ঠ হন তেমনই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলে তারাও যে বিপদে পড়বেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‌ কিছুদিন আগেই রূপনগর চার মাথার মোড়ের পাশে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় এই ধরনের আগুন লেগেছিল। ‌ তাতে চোরেদের জমিয়ে রাখা কেবলে আগুন লেগে এলাকায় তীব্র কটূ গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই কটূ গন্ধ এবং ধোঁয়ার জেরে বেশ কয়েকজন শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ‌ তাছাড়াও ফাঁকা জায়গাগুলিকে চোরেরা তাদের চোরাই মাল জমা রাখার জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করছে।‌ এইসব বিষয়গুলি নিয়ে স্থানীয় মানুষজন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

নলকূপকটিকে বাঁচাতে ছুটে গেলেন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ এপ্রিল:: সরকারি নলকূপকে ব্যক্তি স্বার্থে চাপা দিয়ে শেষ করে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই সেটিকে পুণর্জীবিত করতে ছুটে গেলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তথা রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রানু রায়। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নলকূপের ওপর থেকে টিন এসবেস্টস বালি ইঁট ইত্যাদি তুলে ফেলার ব্যবস্থা করেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যবসায়ী রাম সাউকে শ্রীমতি রায় জানিয়ে দেন অবিলম্বে এই নলকূপ চত্বর সম্পূর্ণরূপে পরিষ্কার করে দিতে হবে। রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ নলকূপটিকে সংস্কার করে জল তোলার উপযোগী করবেন বলেও তিনি আশ্বাস দেন। ‌ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে রানুদেবী জানান এ সংক্রান্ত অসুবিধা হলে কোনরকম দ্বিধা না করে তাকে জানাতে। ‌ উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই হিন্দুস্তান কেবলস রোডের পাশে সরকারি এই নলকূপটিকে নির্মাণসামগ্রী দিয়ে সম্পূর্ণ ঢেকে দিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। এ সংক্রান্ত সংবাদ আজ সকালে প্রান্তভূমি অনলাইনে প্রকাশিত হতেই টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট সব মহলের। ‌ বিষয়টি জানতে পেরেই অকুস্থলে ছুটে যান স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ এপ্রিল:: অংক কষে কেউ বলতে পারেন না কত লোক হবে, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা মানেই তো জনপ্লাবন, আসানসোলে তার সভায় জনসংখ্যা ২৫'ও হতে পারে আবার পঞ্চাশও হতে পারে - এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ‌ ২৭ এপ্রিল আসানসোলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করতে আসার কথা। সেজন্য ঊষাগ্রাম বয়েজ স্কুলের ময়দান পরিদর্শনকালে এই কথা বলেন শ্রী চক্রবর্তী। তিনি বলেন আসানসোলের মানুষের সঙ্গে দেখা করার জন্য, তাদের সাথে কথা বলার জন্য শত্রুঘ্ন সিনহার প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৭ এপ্রিল আসানসোলে আসছেন। সেজন্যই তার সভার সম্ভাব্য জায়গায় হিসেবে এই ময়দান পরিদর্শন করা হলো আজ। ‌ তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক সহ অভিজিৎ ঘটক ও অন্যান্য তৃণমূল নেতা এবং পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকেরা।@প্রান্তভূমি
Share on

জলহীন রূপনারায়ণপুরে সরকারি নলকূপ নির্মাণসামগ্রী ফেলে ঢেকে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।।‌ ১১ মার্চ, ২০২৪।। প্রতিবছরের মতো গরম পড়তেই জলের জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গেছে রূপনারায়ণপুরে। এরমধ্যেই একটি সরকারি নলকূপ নির্মাণ সামগ্রী সহ বিভিন্ন আবর্জনা দিয়ে ঢেকে ফেলার অভিযোগ উঠল সিমেন্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। মূল বাস রাস্তার পাশে এভাবে একটি জলের উৎস নলকূপকে প্রকাশ্যে অকেজো করা নিয়ে প্রশাসনিক নিস্ক্রিয়তার দিকেও আঙ্গুল তুলছেন কেউ কেউ।‌ রূপনারায়ণপুরে কেবলস রোডের পাশে সিমেন্ট রড ইত্যাদি ইমারতি ব্যবসায়ী রাম সাউ-এর দোকান এবং বাড়ি। তার সামনে পঞ্চায়েত নির্মিত এই নলকূপ। আশেপাশের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা যাতে প্রয়োজনে জল নিতে পারেন তার জন্য মূল রাস্তার পাশে এই নলকূপটি করা হয়েছিল। সেই নলকূপ এখন টিন, এসবেস্টস ও অন্যান্য আবর্জনা দিয়ে কেনো ঢেকে রেখেছেন জানতে চাইলে ঐ ব্যবসায়ী রাম সাউ বলেন, নলকূপটি খারাপ তাই ঐসব মালপত্র ওখানে রেখেছি। কিন্তু সবার জন্য যে নলকূপ সেটিকে সম্পূর্ণরূপে এই ভাবে ঢেকে রেখে "দখল" করার চেষ্টা কেন তা নিয়ে রাম সাউ বলেন , নলকূপটি সারানোর জন্য স্থানীয় ঠিকাদারকে বলেছি। আমি জায়গাটা পরিষ্কার করে দেবো। তবে, একটি নলকূপকে এইভাবে ঢেকে দিয়ে 'মেরে ফেলার চেষ্টা' সকলের চোখের সামনে ঘটলেও কেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অথবা ব্লক প্রশাসন নজর দিলেন না তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মানুষজন। বিশেষ করে কিছুদিন আগে এই চাপা কলটির উপর টিনের শেড দিয়ে ঘিরে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঐ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। সে দফায় রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের সক্রিয়তায় ঐ শেড খুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ব্যবসায়ী। কিন্তু এবার চাপা কলের পুরোটাই নিজের বাড়ির নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ঢেকে দেওয়ার মতো চূড়ান্ত উদ্যোগ নেওয়ায় ক্ষুব্ধ সমস্ত মহল।@প্রান্তভূমি
Share on

আসানসোলে চালু হয়ে গেল ৫৫০ বেডের অত্যাধুনিক হাসপাতাল, হেল্থ ওয়ার্ল্ড গড়ে তুলছে ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থাও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ এপ্রিল:: হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালের হাত ধরে আসানসোল পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম চিকিৎসা কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে উল্লেখ করলেন এই সংস্থার অন্যতম প্রাণপুরুষ ডাক্তার অরুণাংশু গাঙ্গুলি। ‌ তার সঙ্গেই ছিলেন আরও এক প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার অশোক পরিদা। ‌ ১০ এপ্রিল আসানসোল সৃষ্টি নগরে ৫৫০ বেডের অত্যাধুনিক হাসপাতাল সূচনার মুহূর্তে এই কথা বলেন তারা। ‌ ডাক্তার গাঙ্গুলি বলেন ২০২২ সালের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে তারা কথা দিয়েছিলেন 400 কোটি টাকা ব্যয় করে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের উন্নয়নে তারা ঝাঁপাবেন। সেই অনুযায়ী মাত্র দু'বছর সময়ের মধ্যেই আসানসোলে এই অত্যাধুনিক হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতাল গড়ে তুললেন। কথা দিয়ে কথা রাখার ক্ষেত্রে তাদের এই অবদান উল্লেখযোগ্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। ‌ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার গাঙ্গুলি বলেন এখানে ১৭৫টি বেড আইসিইউ সুবিধাযুক্ত। এছাড়াও ৮০টি বেড নির্দিষ্ট করা থাকছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে চিকিৎসার সুবিধা দিতে। ‌ থাকছে ১৪ টি আধুনিকতম অপারেশন থিয়েটার। এ ছাড়াও আগামী দু'বছরের মধ্যে আসানসোলেই ক্যান্সারের চিকিৎসার সর্বাধুনিক ব্যবস্থা হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতাল গড়ে তুলবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এদিন আরও বলা হয়, এখানে রোবটিক সার্জারির জন্য বিশেষ অপারেশন থিয়েটার, ডিজিটাল এমআরআই, ট্রান্সপ্লান্ট আইসিইউ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় ৪০০ চিকিৎসক দিনরাত পরিষেবা দেওয়ার জন্য নিযুক্ত হয়েছেন। ‌ এক প্রশ্নের উত্তরে ডাক্তার গাঙ্গুলি বলেন সমগ্র পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে সর্বমোট ২২০০ বেড আছে, সেক্ষেত্রে কিছু মানুষকে হয়তো চিকিৎসা করাতে এসে বেড না পাওয়ার অসুবিধায় পড়তে হতে পারে। কিন্তু তারা চেষ্টা করবেন বিনা চিকিৎসায় কেউ যেন হেল্থ ওয়ার্ল্ড থেকে ঘুরে না যান। আসানসোল হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালে অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি থাকছে এবং বাড়ি থেকে রক্ত মল মূত্র ইত্যাদি সংগ্রহ করারও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। পুরোটাই অত্যন্ত কম ব্যয়ে তারা করতে পারবেন বলে কথা দেন। ‌ ডাক্তার গাঙ্গুলি বলেন, দুর্গাপুরের হাসপাতালের চেয়েও আসানসোলের হাসপাতালটি আকারে বৃহৎ হয়েছে। ‌ ১০ এপ্রিল এই হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও দিন কয়েকের মধ্যেই সম্পূর্ণ পরিষেবা দেওয়া শুরু হবে বলে জানানো হয়। ‌ এখানে সিজার, এনজিওপ্লাস্টি, বাইপাস সার্জারি সহ চিকিৎসার সমস্ত রকম সুবিধা পাওয়া যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সব ক্ষেত্রেই খরচ তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই কম নেওয়া হবে বলেও ডাক্তার গাঙ্গুলী ঘোষণা করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমলেন্দু মিশ্র।@প্রান্তভূমি
Share on

এলাকার ম্যাপ নিয়েই ঢুকেছিল সশস্ত্র গ্যাং, ধাওয়া করে ধরলো রূপনারায়ণপুর পুলিশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ এপ্রিল:: রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধেই এসেছিল দুষ্কৃতির দল। সশস্ত্র এই দুষ্কৃতিদের কাছে ভয়ানক উপকরণ সহ এলাকার হাতে আঁকা ম্যাপ এবং গাড়িও ছিল। উদ্দেশ্য ছিল রূপনারায়ণপুর ঝাড়খন্ড রোডে এস আর পেট্রোল পাম্পে ডাকাতি। কোন কারনে তা সম্ভব না হলে পাশেই এলআইসি অফিস কিংবা বড় কোন সংস্থায় লুটপাটের পরিকল্পনা ছিল তাদের। ‌ গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরেই রূপনারায়ণপুর পুলিশ পাঁচ কুখ্যাত অপরাধীকে রাতের অন্ধকারে গ্রেফতার করেছে। তাদের রূপনারায়ণপুর থেকে চিতলডাঙ্গা-ধাঙ্গুড়ি যাওয়ার রাস্তার পাশে আটক করার পরেই পুলিশ ভয়ানক এই ষড়যন্ত্রের হদিশ পায়। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে রানীগঞ্জ হুসেননগর কারবালা ছোটগেট এলাকার সরফরাজ মল্লিক ওরফে গোপু (১৮), আসানসোল জেলা হাসপাতালের নিকটবর্তী সরস্বতী পল্লীর বাসিন্দা প্রেম হরিজন ওরফে বিক্রম (২৫), আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত কসাই মহল্লা রেলপারের বাসিন্দা মহঃ একবাল ওরফে ইকবাল (২৩) এবং আসলাম খান (২৪), আসানসোল রেলপার পানি ট্যাংকির নিকটবর্তী চাঁদমারি এলাকার বাসিন্দা চন্দন ঠাকুর (২৩)। এদের কাছ থেকে পুলিশ একটি দেশি পাইপগান, দুই রাউন্ড তাজা গুলি, একটি মহিন্দ্রা বোলেরো পিকআপ ভ্যান (ডাবলু বি ৩৯ সি ৪১৩৭), একটি ভেজালি, লোহার রড এবং প্রায় কুড়ি ফুট মোটা দড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো ধৃতদের একজনের পকেট থেকে এই অঞ্চলের হাতে আঁকা একটি মানচিত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। কোন পথে কোথায় দুষ্কর্ম করে কিভাবে তারা পালিয়ে যাবে তার ছক আগাম কষে রেখেছিল বলে এ থেকেই পুলিশের কাছে ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে। তবে পিকআপ ভ্যান এবং মোটা প্রায় কুড়ি ফুট দড়ি সঙ্গে থাকায় তারা বাংলা ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকা থেকে গরু চুরিতেও যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান। যদিও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে পেট্রোল পাম্পে ডাকাতির বড়সড়ো ছক কষেছিল দুষ্কৃতিরা। অন্যদিকে এই দুষ্কৃতিরা আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত জামুড়িয়া থানা এলাকায় একটি বড়সড় অপরাধে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে, যদিও পুলিশের হাত এড়িয়ে এতদিন তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। উল্লেখ্য, ১০ এপ্রিল রাত প্রায় ৯:০৫ নাগাদ রূপনারায়ণপুর পুলিশ এদের গতিবিধির হদিশ পায়। এরপরই রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানার পরিকল্পনা মত সাব-ইন্সপেক্টর নিবিড় ব্যানার্জি অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চিতলডাঙ্গা-ধাঙ্গুড়ি রোডের শুনশান এলাকা থেকে অভিযুক্তদের ধরতে সক্ষম হন। ‌ যদিও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই পিকআপ ভ্যানে চড়ে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের পিছু ধাওয়া করে পুলিশ তাদের আটক করে। ভোটের মুখে সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর পুলিশ দুষ্কৃতি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল। আজ ১১ এপ্রিল তাদের আসানসোল আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
Share on

রূপনারায়ণপুর বইমেলার বর্ণাঢ্য সূচনা ইউথ ক্লাব ময়দানে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ এপ্রিল:: দুই দশকের রূপনারায়ণপুর সুভাষ গ্রামীণ বইমেলার সূচনা হলো আজ ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায়। ‌ বইমেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় এবং রাস্তার মাস্টার হিসেবে বিশ্বখ্যাত, ইউনেস্কো সম্মানিত শিক্ষক দীপনারায়ণ নায়েক। এদের সঙ্গেই উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু, মহঃ আরমান, কৈলাশপতি মন্ডল, বিদ্যুৎ মিশ্র, ভোলা সিং, দেবদাস চ্যাটার্জি, অপর্ণা দাস, সুব্যেন্দু নাথ, রবিশঙ্কর কুণ্ডু প্রমুখের। নানান বিপত্তি কাটিয়ে পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়া ইয়ুথ ক্লাব কর্তৃপক্ষ যেভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে এই বইমেলার আয়োজন করে চলেছেন তাকে বিশেষভাবে সাধুবাদ জানান অতিথিবর্গ। উদ্বোধনী ভাষণে বিধানবাবু বলেন যে কোন মূল্যে এই বইমেলাকে টিকিয়ে রাখতে হবে, এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তার জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতা তিনি করবেন। ‌ অন্যদিকে দীপনারায়ণবাবু বলেন শিক্ষার মাধ্যমেই আগামী দিনের অধিনায়ক গড়ে উঠবে - যারা সমাজকে আলোর দিকে টেনে নিয়ে যাবে। ‌ উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন একটি তেরো বছরের কিশোর নিজের দক্ষতায় কয়েক হাজার পড়ুয়ার অধিনায়ক হয়ে উঠেছেন। ওই কিশোর ১৭ জন শিক্ষককে মুন্সিয়ানার সঙ্গে পরিচালনা করছেন ওই সব পড়ুয়াদের শিক্ষাদানের জন্য। এইরকম বাংলার বিভিন্ন জেলায় কম বয়সী ছেলেরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছেন অধিনায়কত্বের আসনে। ‌ এটা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র সঠিক শিক্ষার দ্বারাই, আর সেই শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে এই ধরনের বইমেলা। ‌ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু বলেন বই কোনদিনই অবলুপ্ত হবে না। এখন প্রযুক্তির যুগ কিন্তু বই থেকে যাবে ই-বুক, মোবাইল বা ছাপা অক্ষরে এবং অন্যান্য ফর্মে। ‌ প্রযুক্তিকে স্বীকার করে নিয়েই আধুনিক ব্যবস্থাকে মেনে নিতে হবে এবং সেখানে মানুষের সঙ্গী অবশ্যই বই। প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আরো বক্তব্য রাখেন মহঃ আরমান, দেবদাস চ্যাটার্জী এবং ক্লাব সভাপতি সুব্যেন্দু নাথ। এদিন বই মেলা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন করেন অতিথিবর্গ। ‌ এছাড়াও দীপনারায়ণ নায়েককে নিয়ে লেখা একটি বইয়েরও আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটে বইমেলার মঞ্চে। যদিও এই বইটি আপাতত আমেরিকায় পাওয়া যাচ্ছে, এখনো ভারতবর্ষে এসে পৌঁছায়নি - তবে অনলাইনে তা পড়া যাচ্ছে। ‌ উল্লেখ্য, আজ থেকে 19 এপ্রিল পর্যন্ত রূপনারায়ণপুর ইউথ ক্লাব ময়দানে এই বইমেলা চলবে। ‌ এবারও প্রতিদিনই নানান আলোচনা, অনুষ্ঠান থাকছে। কলকাতা সহ বাংলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পুস্তক বিক্রেতারা এখানে উপস্থিত হয়েছেন। উদ্বোধনী পর্ব সঞ্চালনা করেন পীযূষ গাঙ্গুলী ও সুব্রত দাস।@প্রান্তভূমি
Share on

আম্বেদকর জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রক্তদান শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ মার্চ।। বাবসাহেব ভীমরাও আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অল ইন্ডিয়া এস সি এস টি এসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জন শাখার উদ্যোগে ৯ এপ্রিল রক্তদান শিবির হয়। এসোসিয়েশন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই শিবিরে সি এল ডব্লুর আধিকারিক মহেশ কুমার ও আয়োজক এসোসিয়েশনের শাখা সভাপতি এস সি ব্রহ্ম সহ মোট ৩০ জন রক্তদান করেন। শিবিরে রত্না টোপ্পো, আল্পনা মণ্ডল এবং রমেন মারাণ্ডি প্রথম রক্তদান করে আপ্লুত। পরবর্তীতে নিয়মিত তাঁরা রক্ত দান করবেন বলে জানিয়েছেন। রক্ত সংগ্রহ করে আসানসোল জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংক। সহযোগিতায় চিত্তরঞ্জন সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটি। উপস্থিত ছিলেন সি এল ডব্লুর আধিকারিক অমিতাভ চৌধুরী, ডি কে মাইতি, চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শেখ ইসমাইল আলি সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। এ্যাসোশিয়েশনের সহ সম্পাদক প্রভু দাস, কোষাধ্যক্ষ রাজেন্দ্র বাল্মীকি, সদস্য ললিত কুমার মাণ্ডি, হারাধন হেমব্রম সহ বহু সদস্যের আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের ফলে শিবির সফল হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

পুজো দেওয়াই সার জিতেন্দ্রর, আসানসোলে বিজেপির প্রার্থী আহলুওয়ালিয়া

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ এপ্রিল:: অবশেষে মনোনয়ন জমার এক সপ্তাহ আগে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বিজেপি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল। ‌ আজ বিজেপি জানিয়ে দিয়েছে আসানসোল থেকে তাদের হয়ে লড়াই করবেন সুরেন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। এরফলে মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়া, ব্যাপক জনসংযোগ করা আর দেব-দেবীদের কাছে প্রার্থী পদ চেয়ে সংকল্প করা - সবই বৃথা গেল লড়াকু বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র দেওয়ারির। ‌ তার যে সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল একেবারে শেষের দিকে এন আই এ সংযোগ নিয়ে অভিযোগের কাঁচিতে তা একেবারে ধূলিসাৎ হয়ে গেল বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। এদিকে 74 বছর বয়সী এসএস আহলুওয়ালিয়া এর আগে পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু'বার সংসদে গিয়েছেন। ‌ প্রথমবার দার্জিলিং কেন্দ্র থেকে। সেবার তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার ২০১৯ সালে আসানসোলের পাশের কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে তাকে প্রার্থী করা হলে তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মমতাজ সংঘমিতাকে পরাজিত করেছিলেন। যদিও এই দফায় সেখান থেকে তাকে আর প্রার্থী করেনি বিজেপি। ‌ কিন্তু আসানসোলে তার উপরেই ভরসা রাখলো কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় থাকা এই দল। যদিও আসানসোলের প্রার্থী নিয়ে কম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি বিজেপিকে। কারণ প্রথম দফাতেই বিজেপি সারাদেশে যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছিল তাতে আসানসোলের জন্য ভোজপুরি গায়ক নায়ক পবন সিংয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। ‌ অথচ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পবন সিং নির্বাচনে এখান থেকে লড়বেন না বলে ঘোষণা করে দেন। তারপর থেকে আসানসোলের জন্য বিভিন্ন নাম একের পর এক ভেসে উঠতে থাকে। ইতিমধ্যে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক তথা রাজ্যের মহিলা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে বিজেপি মেদিনীপুরে পাঠিয়ে দেয় লোকসভায় লড়ার জন্য। এরফলে জিতেন্দ্র তেওয়ারির আশা অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে মাঝখান থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের নাম ভেসে উঠতে থাকে বিজেপির প্রার্থী পদের জন্য। কিন্তু সেই গুঞ্জন নস্যাৎ করেন মলয়বাবু। ‌ এরপর কখনো অক্ষয় কুমার, মিঠুন চক্রবর্তী, কখনো স্বয়ং অমিত শাহের নাম সোশ্যাল মিডিয়ায় উড়তে থাকে। এদিকে 13 মে এই কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে, তার জন্য ১৮ এপ্রিল থেকেই বিজ্ঞপ্তি জারি এবং মনোনয়ন জমা শুরু হয়ে যাচ্ছে - কিন্তু বিজেপি প্রার্থী ঘোষণা করতে পারছিল না। তাই নিয়ে বিস্ময় এবং উদ্বেগ দুইই দেখা দিচ্ছিল বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে। ‌ শেষমেষ আজ বিজেপি শ্রী আহলুওয়ালিয়াকে তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করল। তার লড়াই এবার তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা এবং ইন্ডিয়া জোট তথা সিপিআইএমের দুঁদে মুখ জাহানারা খানের সঙ্গে।@প্রান্তভূমি
Share on

বৈদিক নববর্ষ উদযাপন ডিএভি স্কুলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ এপ্রিল:: চলতি ধারা অনুযায়ী বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটিতে নববর্ষের সূচনা হলেও বৈদিক নববর্ষের শুরু হয় চৈত্র শুক্লা প্রতিপদ বা শুক্লপক্ষের প্রতিপদের দিন থেকে। সেই অনুযায়ী এবার ৯ এপ্রিল বা ২৬ চৈত্র বৈদিক নববর্ষের সূচনা হয়েছে। ‌ ভারতবর্ষের প্রাচীনতম এই ঐতিহ্যকে স্মরণ করে হিন্দুস্তান কেবলস ডিএভি পাবলিক স্কুলে ৯ এপ্রিল বিশেষ অনুষ্ঠান হয়। স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার ভারতবর্ষের ঐতিহ্যবাহী এই দিনের কথা ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরেন। হয় বিশেষ হোম যজ্ঞ। উল্লেখ্য, যাযাবর শক জাতির হাত থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করেছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য। ‌ সেই থেকে বিক্রমসম্বৎ বর্ষ গণনা শুরু হয়েছিল চৈত্র থেকে। যা এখন ২০৮১ বিক্রম সম্বৎ হিসাবে উল্লেখিত হচ্ছে। কলিযুগাব্দ ৫১২৬। অন্যদিকে বৈদিক বর্ষের প্রথম মাস চৈত্র। এই মাস থেকেই বসন্ত ঋতু ও নতুন বছরের শুরু হতো। ভারতবর্ষের পারম্পরিক এই সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে বিশেষভাবে স্মরণ করলো ডিএভি স্কুল। অধ্যক্ষ শ্রী মজুমদার বলেন, আধুনিকতার পাশাপাশি দেশের সুপ্রাচীন সংস্কৃতির সঙ্গেও ছাত্র-ছাত্রীদের সংযোগ গড়ে তুলতে হবে, তবেই তারা জ্ঞানে গরিমায় আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। সেই চেষ্টা ডিএভি স্কুল বরাবর করে আসছে।@প্রান্তভূমি
Share on

পড়েছে ইঁট বালি, পকেট গেট বন্ধের আতঙ্কে হাজার হাজার মানুষ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ এপ্রিল:: চিত্তরঞ্জন শহরে যাতায়াতের জন্য এবার সবচেয়ে ব্যস্ত পকেট গেটটিও সম্ভবতঃ পাকাপাকিভাবে বন্ধ হতে চলেছে। এজন্য পকেট গেটের পাশে ইঁট বালি সিমেন্ট মজুত করা হয়েছে আজকেই। ‌ স্থানীয় সূত্র বলছে আগামীকাল ১১ এপ্রিল রামকৃষ্ণ পাঠচক্র সংলগ্ন এই পকেট গেটটিকে "সীল" করে দেওয়া হবে। লোয়ারকেশিয়া কল্যাণগ্রাম প্রান্তপল্লী কুসুমকানালি ঘিয়াডোবা নেতাজিকলোনি উত্তররামপুর জিতপুর অরবিন্দনগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকার কয়েক হাজার মানুষ এই পকেট গেট দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন। ‌ চিত্তরঞ্জন শহরের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা এবং রেল কারখানার কর্মীরা সহজে এই পকেট গেট দিয়েই দশকের পর দশক যাতায়াত করছেন। যদিও একাধিকবার এই পকেট গেটটিকে বন্ধ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ। শেষবার করোনার সময় ইঁটের পাচিল তুলে পকেট গেটটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ‌ যদিও করোনাকাল পার হয়ে যাওয়ার পর রাতের বেলায় স্থানীয় মানুষজন সেই পাঁচিল ভেঙে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করে নিয়েছিলেন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে এই পকেট গেট চিত্তরঞ্জন শহরকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার শুরু থেকেই আছে, এটি রেলের অনুমোদিত পকেট গেট। কিন্তু সম্প্রতি রেল শহরকে ঘিরে থাকা পাঁচিলের বিভিন্ন জায়গায় উন্মুক্ত থাকা পকেট গেটগুলি একে একে রেল কর্তৃপক্ষ বন্ধ করছেন। মিহিজামের দিকে থাকা একাধিক গেট স্থানীয় মানুষের বাধাকে উপেক্ষা করেই ইতিমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে রেল। এবার হাত পড়তে চলেছে রামকৃষ্ণ পাঠচক্রের পাশে অবস্থিত পকেট গেটটিতে বলে আশঙ্কা স্থানীয় মানুষের। যদিও কয়েকদিন আগে প্রাক্তন সাংসদ তথা এবারও আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার নির্বাচনী সভায় পকেট গেটগুলি বন্ধ না করার বিষয়টিতে হস্তক্ষেপের প্রসঙ্গ ওঠে। সভায় একাধিক বক্তা এ বিষয়ে শত্রুঘ্ন সিনহার হস্তক্ষেপ দাবি করেন। ‌ বিষয়টি নিয়ে তারা তৎপর আছেন বলেও জানান বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এবং অন্যান্যরা। ‌ কিন্তু শহরের নিরাপত্তা এবং গরু-মোষ ইত্যাদির অবাধ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রেল পকেট গেটগুলিকে বন্ধ করতে চাইছে এই অভিযোগ ওঠে। এখন দেখার স্থানীয় মানুষজন এই বিষয়টিকে কিভাবে গ্রহণ করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

একই গোডাউন থেকে বেরচ্ছে বিজেপি তৃণমূলের নেতারা-চিত্তরঞ্জনে নির্বাচনী সভায় প্রচার ইন্ডিয়া জোটের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: বাম ও কংগ্রেস একসাথে সভা করল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জাহানারা খানের সমর্থনে। আজ চিত্তরঞ্জনের আমলাদহি বাজার আরআইসি মোড়ে এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সিআইটিইউ-এর সর্বভারতীয় সম্পাদক তপন সেন। ‌ তিনি সকলকে আহ্বান জানিয়ে বলেন এই অঞ্চলের শ্রমিক কৃষক ব্যবসায়ী যদি দেশের সংবিধান বাঁচাতে, মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে, বেকারি নির্মূল করতে এবং শিল্প কারখানা রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন তাহলে জাহানারা খান জিতবেন। 'জুমলা গ্যারান্টি সরকারকে' উৎখাত করতে আপনারাই হবেন সৈনিক। ওরা বলছে ৪০০ পার, আর যদি সেটাই হয় তাহলে আগে ওরা সংবিধান ধ্বংস করবে। ইতিমধ্যেই শ্রম আইন পাশ হয়েছে, আইন করে এবার শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নামিয়ে আনবে। অন্যদিকে বংশগোপাল চৌধুরী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন বিজেপি এবং তৃণমূল কোন ভিন্ন দল নয়। ‌ বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন - মুঝে বাবুল দিজিয়ে। বাবুল দিলেন, তিনি মন্ত্রীও হলেন। এখন বাবুল কোথায়? শত্রুঘ্ন সিনহা ছিলেন বিজেপি মন্ত্রী, বর্তমানে তৃণমূলের সাংসদ। অতএব গোডাউন একটাই। এই গোডাউন থেকেই সাপ্লাই হচ্ছে দুইদলের নেতা, আর গোডাউনের চাবি আদানি আম্বানির হাতে। ‌ এইসব রুখতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন মুখের মত জবাব আপনারাই দিতে পারবেন। ‌ ওদের উৎখাত করতেই হবে। এই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষে শ্রীনিবাস সিং । তিনি বলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী জাহানারা খানকে জয়ী করে দেশ বিক্রির অপচেষ্টাকে রুখে দিন।@প্রান্তভূমি
Share on

আসানসোল জেলা আদালতের সমস্ত আইনজীবী এবার অবস্থান আন্দোলনে বসলেন পথে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: পারিবারিক আদালত চালু করার প্রতিবাদে আসানসোল আদালতের সমস্ত আইনজীবী গতকাল থেকে পথে নেমেছেন। ‌ তারা ১৩ মার্চ থেকে আদালতে সম্পূর্ণরূপে কর্ম বিরতি পালন করার পাশাপাশি গতকাল ৮ এপ্রিল থেকে আদালতের সামনে ঘড়ি মোড়ে অবস্থান আন্দোলনে বসেছেন। ‌ উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আসানসোল জেলা আদালতে 10 ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্যামিলি কোর্ট চালু হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়টির প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছেন এখানকার সমস্ত আইনজীবী। ‌ তারা বলছেন এই আদালতের শত শত আইনজীবী যেসব মামলায় নিজেদের জড়িয়ে রেখেছেন সেই সব মামলা অর্থাৎ বিবাহ সংক্রান্ত বিবাদ, ভরণ পোষণ বা খোরপোষের মামলা কিংবা উত্তরাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় মামলা ফ্যামিলি কোর্টের অন্তর্ভুক্ত হবে, কিন্তু সেখানে কোন আইনজীবী মামলা লড়তে পারবেন না। ‌ এই নির্দেশের ফলে বহু আইনজীবী সমস্যায় পড়বেন। তাছাড়া ফ্যামিলি কোর্টে প্রায় ৩০০০০ মামলা পাঠানো হয়েছে কিন্তু এর বিচার করবেন একজন মাত্র বিচারক। এর ফলে কোন একটি মামলা শুরু হলে তার পরবর্তী ডেট পেতে বছর ঘুরে যাবে। ‌ হয়রান হবেন বিচার প্রার্থীরা। এই অবস্থায় বার এ্যসোসিয়েশন দাবি করেছে ফ্যামিলি কোর্টের প্রাথমিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে, কম করেও তিনজন বিচারক নিয়োগ করতে হবে ফ্যামিলি কোর্টের জন্য। ফ্যামিলি কোর্টস এ্যক্ট ১৯৮৪'র ১৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী ফ্যামিলি কোর্টে কোন আইনজীবী যেমন মামলা লড়তে পারবেন না তেমনি ওই কোর্টে কোন আইনজীবী প্রবেশ পর্যন্ত করতে পারবেন না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ‌ এবার আসানসোল জেলা আদালতের সব স্তরের আইনজীবী অবস্থান আন্দোলনে বসে জানিয়ে দিয়েছেন অবিলম্বে এই বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে তারা অনির্দিষ্টকাল কর্মবিরতির সাথে সাথে আন্দোলনও চালিয়ে যাবেন। এদিকে মাসাধিক কাল এই কর্ম বিরতি চলার ফলে বিচার প্রার্থীরা ভয়ানক অসুবিধায় পড়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

অনন্য দক্ষতা:: চিত্তরঞ্জনে মার্চের সেরা কর্মী হলেন একসাথে ৫ জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: দেশের বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন উৎপাদনকারী সংস্থা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় মার্চ মাসের সেরা কর্মীর শিরোপা পেলেন পাঁচজন। তাদের অনন্য দক্ষতা বেশ কয়েক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে অত্যাধুনিক রেল ইঞ্জিন উৎপাদনকারী এই সংস্থাকে। মার্চ মাসের ম্যান অফ দ্য মান্থ হয়েছেন - ট্রাকশন মোটর ২৩ নম্বর শপের টেকনিশিয়ান-১ শ্রীকান্ত কর্মকার, ম্যানুফ্যাকচারিং জিরো নাইন শপের টেকনিশিয়ান-১ পবিত্র মন্ডল, ইএলএফ ১২ শপের টেকনিশিয়ান-৩ নবীন সিং, ই এল বি-১৮'র এস এস ই দীননাথ প্রসাদ এবং স্টোর অফিসের ওএস অনিন্দ্য ঘোষ। কারখানার জনসংযোগ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে শ্রীকান্তবাবু মার্চ মাসে ১৫০ টিরও বেশি কয়েল ইন্সুলেশন করেছেন কোনরকম ত্রুটি ছাড়াই। পবিত্রবাবু ডাবলু এ জি -৯ এবং ডাবলু এজি -৫ ইঞ্জিন তৈরিতে তার অংশের কাজ করেছেন জিরো রিজেকশনে। নবীন বাবু অমৃত ভারত ট্রেনের ইঞ্জিন উৎপাদনে সর্বোচ্চ দক্ষতার নজির রেখেছেন। মাসিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ক্ষেত্রে দীননাথ বাবু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যাবতীয় বকেয়া অডিট সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন ই-অফিস তৈরি এবং ফাইল রক্ষণাবেক্ষণে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন অনিন্দ্যবাবু। ডানকুনি অফিসে এই কাজের পাশাপাশি স্টোর বিভাগের আরটিআই আবেদন দেখাশোনাতেও তার অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। সিএলডব্লুর জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা এদের প্রত্যেকের হাতে ম্যান অফ দ্যা মান্থ-এর পুরস্কার তুলে দেন আজ।@প্রান্তভূমি
Share on

আসানসোল আইটি পার্কে ভুয়ো কল সেন্টার, তিন শিফটে চলতো প্রতারণার কাজ, সাইবার সেলের অভিযানে ধৃত ৬

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল :: আসানসোলের বুকে রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো কল সেন্টার। তাও আবার যে সে জায়গায় নয়, একেবারে আইটি পার্কে। ‌ আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত কল্যাণপুর স্যাটেলাইট টাউনশিপে অবস্থিত ওয়েবল আইটি পার্ক। এখানেই ভুয়ো কল সেন্টার খুলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতারণার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল দুষ্কৃতিরা। ‌ বিশেষ সূত্রে বিষয়টি জানতে পেরেই আজ সেখানে অতর্কিতে তল্লাশি অভিযান চালায় আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের সাইবার সেল। এখানে হাতেনাতে ৬ জনকে পাকড়াও করে তারা। সাইবার সেল সূত্রে জানা গেছে অন্তত ছ'বছর ধরে তারা এই কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। ‌ ধরা পড়া সকলেই আসানসোল সংলগ্ন স্থানীয় অঞ্চলের ব্যক্তি বলে জানা গেছে। ‌ কল সেন্টারটি যে সম্পূর্ণ ভুয়ো সেই বিষয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত সাইবার সেল বলে তারা উল্লেখ করেছেন। ‌ আইটি পার্কের প্রথম তোলার ১৬ নম্বর ব্যবসা কেন্দ্রে চলছিল আদিরাজ টেকনোলজি প্রাইভেট লিমিটেড নামের এই কল সেন্টারটি ‌। যদিও এই কল সেন্টারের রেসিডেন্সিয়াল এড্রেস নথিভুক্ত আছে বার্নপুরে হিরাপুর থানার অন্তর্গত এইচবি-৪, বার্নপুর হসপিটাল এর কাছে। এখানে সমস্ত আবাসন ইস্কো সেল-এর। এখানেই আদিরাজ কোম্পানির ডিরেক্টর রত্নেশ পান্ডে ওরফে নীলেশ ওরফে সুধীর পান্ডে এবং আফজলের খোঁজে নেমেছে পুলিশ। সাইবার সেল সূত্রে জানা গেছে এখানে ৩ শিফটে কাজ করা হতো। প্রতি শিফটে ২০-২৫ জন করে মেয়ে কাজে যোগ দিত। তাদের মাসে ৮-১০ হাজার টাকা করে বেতন দেওয়া হতো। এ বিষয়ে আরো তল্লাশি এবং তদন্ত জারি আছে।@প্রান্তভূমি
Share on

কল্যানেশ্বরীতে নতুন শিল্পের প্রসঙ্গ উঠে এলো জাহানারার নির্বাচনী পথসভায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী জাহানারা খান আজ দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত দশটি বুথ এলাকায় প্রচার করলেন । কল্যাণেশ্বরী দলীয় অফিস থেকে শুরু করে লেফট ব্যাংক কলোনি ,মাইথন ড্যাম, জামিরকুড়ি, অজিতেশ নগর, নাকড়াজোড়িয়া, মহেশপুর, শ্রীরামপুর হয়ে দেন্দুয়াতে এক পথসভা করেন জাহানারা । সাথে ছিলেন সিপিআইএম নেতা বংশগোপাল চৌধুরী, শিপ্রা মুখার্জি, অসীম ব্যানার্জি, রণজিত সরকার, অশোক ব্যানার্জি, মেঘনাথ ব্যানার্জি, বহ্নি ঘোষ সহ আরো অনেকে। কল্যানেশ্বরী অঞ্চলে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা শিল্পগুলিকে অবিলম্বে খোলা এবং নতুন শিল্প গড়ে তোলা, ১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করা, সালানপুর ব্লকে পানীয় জলের সংকট মেটাতে সুষ্ঠু সমাধান করার মতো বিষয়গুলি আজকের এই নির্বাচনী প্রচারে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।@প্রান্তভূমি
Share on

সংহিতা সুপ্রিয়ার মানবিক অবদান হাসি ফোটালো দুই যক্ষ্মা আক্রান্তের মুখে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ এপ্রিল:: যক্ষ্মা রোগীদের পুষ্টিকর আহার যোগানোর জন্য সরকারি ভাবে "নিক্ষয় মিত্র" পরিকল্পনা কার্যকরী হওয়ার অনেক আগে থেকেই সালানপুর ব্লকের বিশিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মী সংহিতা বোস এবং তার সহযোগীরা এই কাজ ধারাবাহিকভাবে করে আসছেন। ‌তবে, আজ সংহিতা বোস (সিএইচএ) এবং সুপ্রিয়া দত্ত (সিএইচও) আক্ষরিক অর্থে নিক্ষয় মিত্র হয়ে উঠলেন। ‌ তারা দুই যক্ষ্মা আক্রান্তের হাতে পুষ্টিকর আহার সামগ্রী তুলে দিলেন আছড়া সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সংহিতা দায়িত্ব নিলেন বাসুদেবপুর-জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের এক ব্যক্তির, অন্যদিকে সুপ্রিয়া দায়িত্ব নিলেন আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক ব্যক্তির। এরা নিয়মিত ওষুধপত্র খাওয়ার পাশাপাশি যাতে পুষ্টিকর আহার পায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রোগ মুক্ত হয়ে ওঠে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন বলে দুজনেই এদিন উল্লেখ করেন। সংহিতা ও সুপ্রিয়ার এই মানবিক উদ্যোগকে শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন ব্লকের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যতম কর্মী লোপামুদ্রা সিনহা, মালতি পাল, রক্তিম দে, অরিন্দম চ্যাটার্জী। উল্লেখ্য, অন্তত বছর দশেক ধরে সংহিতা, অরিন্দম প্রমুখ ব্লকের মালবহাল জোড়বাড়ি টাবাডি কুসুমকানালি কুণ্ডলপাড়া মহেশপুর ইত্যাদি এলাকায় যক্ষ্মা রোগীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হাতে বিভিন্ন রকম খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য মানবিক সহায়তা করে আসছেন ‌। যক্ষ্মা ছাড়াও কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও তারা অকাতরে সহযোগিতা করছেন। ‌ বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি উদ্যোগে যক্ষ্মা রোগীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি, কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন রাখা হচ্ছে। যারা এই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাদের সরকারিভাবে নিক্ষয় মিত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। ‌ ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর ইউনুস, হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুল, আছড়ার নিউ হোলি এঞ্জেল পাবলিক স্কুল ঘোষিতভাবে বহু যক্ষ্মা রোগীর সহায় হয়েছেন। ‌ তাদের হাতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্যের ব্যাগ তুলে দিচ্ছেন এরা। ‌এবার এই কাজের সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে থাকা সংহিতা এবং সুপ্রিয়া তাদের পেশাগত সমস্ত ঝক্কি সয়েও নিক্ষয় মিত্র হিসেবে নিজেদের তুলে ধরে সমাজের উদাহরণ হয়ে রইলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

সাদা পাথরের কারখানা প্রাণ নিল জেমারির যুবকের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ এপ্রিল:: সাদা পাথর গুঁড়ো করার কারখানা বা ক্র্যাশারে কাজ করতে গিয়ে অকালে আরও এক জনের মৃত্যু ঘটলো। ‌ পাথরের গুঁড়ো নাক মুখের মাধ্যমে ফুসফুসে ঢুকে সিলিকোসিস নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েই এই মৃত্যু ঘটেছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। ৬ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্যতম শিল্পাঞ্চল সালানপুর ব্লক এলাকায়। ব্লকের বাসুদেবপুর-জেমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জেমারির বাসিন্দা সাহেব বাউরির (৩৩) অকাল প্রয়াণ ঘটে গতকাল। ‌ এদিন তার দেহ বাড়িতে আসার পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার ছেলে-মেয়ে স্ত্রী মা-বাবা সহ অন্যান্য পরিজন ও প্রতিবেশীরা। জানা গেছে জেমারি ও ধামিনবেড়িয়া মৌজায় অন্তত চারটি পাথর গুঁড়োর কারখানা চলছে। তাদেরই একটিতে সাহেব বছর দুই কাজ করেছিলেন। কিন্তু কাজে ঢোকার মাস ছয়েক পর থেকেই তার কাশি শুরু হয় এবং পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানতে পারেন তিনি সিলিকোসিসে আক্রান্ত। ‌ এতে ফুসফুস সাদা ধুলো, পাথরের গুঁড়োয় ভরে যায়। ‌ অনেক ক্ষেত্রে অবস্থা এমন হয় যে কাশির সঙ্গে পাথরের গুঁড়ো বেরিয়ে আসে। প্রতিবেশীরা জানান অসুস্থ হওয়ার পর তার চিকিৎসা শুরু হয়, কলকাতাতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৬ এপ্রিল তার অকাল প্রয়াণ ঘটে। এই ঘটনায় জেমারির বাসিন্দারা এইসব কারখানাগুলি নিয়ে সরব হয়েছেন। তারা বলছেন খাদান থেকে বড় পাথর কেটে নিয়ে এসে এই কারখানাগুলিতে নানান ছোট আকারের পাথর তৈরি হয়। এজন্য যে মেশিন চলে তাতে ব্যাপক হারে সাদা ধুলোয় এলাকা ছেয়ে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর এইসব এলাকা দূষণের শিকার হয় বেশি। মানুষের পাশাপাশি গাছপালা এবং চাষেরও ক্ষতি হয়। নিয়ম মেনে কারখানা চালানো এবং জনস্বাস্থ্যের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনে বসতিপূর্ণ এলাকা থেকে দূরে কারখানা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তারা। যদিও প্রশাসন এই অভিযোগ পাওয়ার পর দায়সারা তদন্ত করে দায়িত্ব সেরেছে বলে তাদের অভিযোগ। বরং উল্টে এখানে আরো একটি কারখানা গড়ে উঠেছে এই তথ্য দিয়ে তারা বলেন এইসব কারখানায় কাজ করে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু ঘটেছে কিন্তু টনক নড়েনি কোন মহলেরই। এই মৃত্যু মিছিলের শেষতম সংযোজনটি হল সাহেব বাউরির অকাল প্রয়াণের মধ্য দিয়ে।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনের ৫০২ জন কর্মীকে ঝাড়খন্ডে পাঠানো হচ্ছে ভোটের ডিউটিতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ এপ্রিল:: ভিন রাজ্যে ভোটের ডিউটি পড়ল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ৫০২ জন কর্মীর। এই বিপুলসংখ্যক কর্মীর ভোটের ডিউটি দেওয়া হয়েছে দুমকা লোকসভা এলাকায়। ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামতাড়া জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন। ‌ আজ এই কর্মীদের প্রথম দফার প্রশিক্ষণ হয়ে গেল চিত্তরঞ্জনের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে। তবে পরবর্তী প্রশিক্ষণগুলি এই বিপুল সংখ্যক কর্মীকে ঝাড়খন্ডে গিয়েই নিতে হবে বলে জানা গেছে। ‌ আজ ট্রেনিং সেন্টারের ভাদোয়ার হলে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। যদিও প্রত্যেকের সেখানে ঠিকমতো বসার ব্যবস্থা ছিল না, ফলে সকাল দশটার প্রশিক্ষণ শুরু হতে হতেই বেজে যায় প্রায় এগারোটা। ‌ শেষও হয় নির্ধারিত সময়ের অনেকটাই পরে প্রায় পৌনে দুটো নাগাদ। ‌এদিকে প্রচন্ড গরমে ভিন রাজ্যে গিয়ে ভোটের ডিউটি করতে হবে ভেবেই অনেক কর্মী ভিরমি খাচ্ছেন। চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার এইসব কর্মীদের প্রথম পোলিং অফিসার হিসেবে ভোটের ডিউটি নির্ধারিত করা হয়েছে। ‌সিএলডব্লু থেকে এবার প্রায় দু'হাজার কর্মীকে ভোটের ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গেছে। এত সংখ্যক কর্মীর একাধিকবার প্রশিক্ষণ এবং ভোটের সময় ভিন রাজ্যে যাওয়ায় এখানে উৎপাদনের কাজ ব্যাহত হবে কিনা প্রশ্ন করলে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশের দোহাই দিয়ে কোন পক্ষই এ বিষয়ে কোন রকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন। ‌ সকলেই বলছেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে চলা সাংবিধানিক বিধিবদ্ধতা। সেখানে কারখানার কাজ ব্যাহত হলেও সকলেই "স্পিকটি নট"।@প্রান্তভূমি
Share on

দেন্দুয়া শিল্পতালুকে কারখানার গেট বন্ধ করে শ্রমিক-বিক্ষোভ:: উত্তেজনা চরমে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ এপ্রিল:: সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া শিল্পাঞ্চলে এযাবতকালের সবচেয়ে বড় এবং সচল কারখানায় আজ সকাল থেকেই ব্যাপক শ্রমিক বিক্ষোভ দেখা দেয়। মাইথন স্টিল এন্ড পাওয়ার লিমিটেড বা এম এস পি এল কারখানায় এই বিক্ষোভে শামিল হন মূলত ঠিকা শ্রমিকেরা। আজ কারখানার মূল গেট বন্ধ করে তারা অভিযোগ করেন ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে তাদের ১২ ঘণ্টা কাজ করানো হচ্ছে কিন্তু উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হচ্ছে না । ব্রিটিশ আমলের মত শ্রমিকদের শোষণ করা হচ্ছে। বহু শ্রমিকের পিএফ গ্রাচুইটির সুবিধা নেই। ভুল করেও কোন শ্রমিক যদি মোবাইল ফোন সঙ্গে নিয়ে কাজে চলে আসেন তাহলে তার বেতন থেকে ১০০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। আবার কোন শ্রমিক যদি পরপর দুদিন কাজে আসতে না পারেন তাহলে তাকে কাজ থেকে একেবারে বসিয়ে দেওয়া হয়। ‌ এই কারখানায় মাত্র ১৫% স্থানীয় কর্মী আছেন, বাকিরা সবাই বহিরাগত। এলাকার বেকার মানুষদের এখানে কাজ দিতে হবে। ‌ এইসব দাবি জানিয়ে চরম বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভের সংবাদ পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান সালানপুর ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির সভাপতি মনোজ তেওয়ারি এবং সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং। ‌ তারা শ্রমিকদের দাবি-দাওয়াগুলি শোনার পর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। ‌ এরপরই শ্রমিক নেতা মনোজ তেওয়ারি জানিয়ে দেন শ্রমিকদের ১৪ দফা দাবি নিয়ে তারা কথা বলেছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে সেই সব দাবিগুলি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কারখানা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গড়িমসি করলে বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নির্দেশে এখানে বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। যদিও কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেছেন উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ও এক আধিকারিককে মারধর করেছেন। ‌ বিষয়টি জানিয়ে তারা সালানপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও প্রশাসনের কোন সুবিধা তারা পাননি বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও কর্তৃপক্ষ বলেছেন এই কারখানায় অধিকাংশ কর্মী স্থানীয়। ‌ ১২ ঘণ্টার কাজের বিষয়টি শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সঙ্গে বসেই চূড়ান্ত করা হয়েছিল বলেও তারা জানান। ‌ এদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষের আরও অভিযোগ, বরাবরের মতোই স্থানীয় সালানপুর এবং সবনপুরের মানুষজন আজ বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। ‌ তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়েও শান্ত করা যায়নি। এমন চলতে থাকলে কারখানা চালাতে যথেষ্ট অসুবিধা হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

খুনের ঘটনায় মূল মাথা গুলাবকে গ্রেফতারের দাবিতে অবরুদ্ধ জাতীয় সড়ক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ এপ্রিল:: যুবক প্রেম কুমার পান্ডেকে (২২) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করলো মিহিজাম থানার পুলিশ। তারা হলো জটাশঙ্কর সিং, বিনোদ যাদব এবং ছোটু ওরফে বেলুন। তবে নৃশংস এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গুলাব দাস ফেরার বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে গুলাব সহ এই খুনে জড়িত সকলকে গ্রেফতার এবং চরম শাস্তির দাবিতে গতকাল থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে সমগ্র মিহিজাম। সেই দাবি নিয়ে আজ সকাল থেকে মিহিজামে ৪১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কয়েকশো স্থানীয় মানুষ। তারা পুলিশের কাছে বারবার বলতে থাকেন মূল অভিযুক্ত গুলাব দাসকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। উপস্থিত পুলিশ অধিকারিকেরা আবেদন জানান অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু ক্ষিপ্ত জনতা সেই আবেদনে কান না দিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন "জাস্টিস ফর প্রেম, অ্যারেস্ট দ্য কালপ্রিট"। তারা দাবি জানান - কখন গ্রেফতার করতে পারবে তা লিখিতভাবে জনগণকে জানাক পুলিশ। ‌ পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় তারাও এই ঘটনায় অত্যন্ত মর্মাহত, দিনরাত এক করে তারা অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে , যে কোন মুহূর্তে তারা ধরা পড়বে। জামতাড়ার এসডিপিও বিকাশ কুমার লঙ্গুরি আশ্বাস দেন তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল বা এসআইটি গঠন করা হয়েছে। মৃত প্রেম কুমারের মোবাইলের কল ডিটেইলস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। অবিলম্বে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়বে। তার এই আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘন্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা অবরুদ্ধ থাকার পর অবরোধ ওঠে। উল্লেখ্য, গতকাল ভোর প্রায় তিনটে নাগাদ চিত্তরঞ্জন মিহিজাম সংলগ্ন কুর্মী পাড়ার রামু খাটাল এলাকায় প্রেম কুমার পান্ডেকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়। সে সময় প্রেম এবং আরো কয়েকজন এক ব্যক্তিকে চিত্তরঞ্জন শ্মশানে দাহ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এই ঘটনায় শোকে মুহ্যমান সমগ্র এলাকা। ‌ গত বছরই প্রেমের বিবাহ হয়েছে। সে রাজস্থানে একটি ঠিকা সংস্থায় কাজ করতো। এই মৃত্যু সংবাদ শোনা মাত্রই তার স্ত্রী কিরণ কুমারী বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। চরম বিলাপ করছেন প্রেমের দাদু সত্যনারায়ণ পান্ডে। আজ মিহিজামের সব স্তরের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে রাস্তা অবরোধে শামিল হয়েছিলেন, তারা বলেন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা পুলিশকে করতেই হবে।@প্রান্তভূমি
Share on

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিকে অক্সিজেন সিলিন্ডার দান করলো লায়ন্স ক্লাব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। দীনবন্ধু মণ্ডল:: ৬ এপ্রিল:: এলাকার সমাজসেবী সংস্থাগুলির হাতে অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দিল রূপনারায়ণপুর শতাব্দী লায়নস ক্লাব। ৫ এপ্রিল ক্লাবের এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সিলভার প্যালেসে আয়োজিত এই উদ্যোগে উজ্জীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতি, পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়া ইয়ুথ ক্লাব, সালানপুর রেড ভলেন্টিয়ার্স, প্রয়াস এবং চিত্তরঞ্জনের সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটির হাতে একাধিক সিলিন্ডার প্রদান করা হয়। ‌ এর আগে লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে ডিস্ট্রিক্ট ৩২২সি৩-এর ডিজি লায়ন ডক্টর এস কে বসু, এন গুহঠাকুরতা, এস কে মহিনুদ্দিন এবং বাণী চ্যাটার্জিকে বিশেষ সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়। ‌ সংবর্ধনার উত্তরে তারা তাদের সফলতার কাহিনী ব্যাখ্যা করেন উপস্থিত শ্রোতাদের সামনে। এরই সঙ্গে তারা বলেন সামাজিক কাজে এখন যুবদের খুব বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও এদিন ক্যান্সার সচেতনতায় বিশেষ এক পর্ব অনুষ্ঠিত হয় - যাতে চেন্নাই অ্যাপোলো হসপিটালের বিশিষ্ট ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কানন এস অংশ নেন। ‌তিনি বলেন, ক্যানসার মুখ্যত মুখে হয়। বিড়ি সিগারেট গুটকা মদ না খাওয়ার উপর বিশেষ জোর দেন তিনি। এই পর্বে সহযোগী ছিল রূপনারায়ণপুরের এ্যপোলো হসপিটালস ইনফরমেশন সেন্টার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লায়ন রুমা চৌধুরী।@প্রান্তভূমি
Share on

বদলি শোকজ ঘিরে চরম ডামাডোল চিত্তরঞ্জনে::প্রতিবাদে এক হল ইউনিয়নগুলি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ এপ্রিল:: ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪০, যদিও তার চেয়েও ৪০টি বেশি উৎপাদন করে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে 580 তে। আর বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে এই বর্ধিত উৎপাদনে আদৌ খুশি নয় 'রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির চক্রান্তের অংশীদার একশ্রেণীর রেল কর্তা' বলে ভয়ংকর অভিযোগ আনা হলো। রেকর্ড সংখ্যক ইঞ্জিন উৎপাদন ওই রেল কর্তাদের গাত্রদাহের কারণ বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। এর ফলে কর্মীদের দক্ষতা এবং উৎসাহে আঘাত আসছে। ‌ এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে ইউনিয়নগুলি বলছে প্রতিদিনই শ্রমিকদের কৌশলে হেনস্থা করা হচ্ছে। ‌ চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় উৎপাদনের সর্বপ্রধান কেন্দ্র 19 এবং 16 নম্বর শপকে যেনতেন প্রকারে ডামাডোল সৃষ্টির মাধ্যমে অকেজো করে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। শ্রমিকরা এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হলেই তাদের হঠাৎ করে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। এমনই ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি ১০ জনকে অন্য জায়গায় বদলির আদেশের মাধ্যমে। আবার কয়েকজনকে জবাবদিহি চেয়ে চিঠি ধরানো হয়েছে। ‌ ভয়ংকর এই চাপের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ হয়ে দুই কর্মী ইতিমধ্যেই কেজি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট এক রেল কর্তার তুঘলকি কান্ডের শিকার হয়েছেন তারা বলে অভিযোগ উঠেছে। অসুস্থ এক কর্মীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কেজি হাসপাতালের আই সি ইউ-তে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ‌ এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদী হয়েছেন। তারা কালো ব্যাজ করে কারখানার কাজে যোগ দিয়েছেন। বিষয়টি চিত্তরঞ্জনের চিফ পার্সোনেল অফিসারকে জানানো হবে বলে ইন্ডিয়ানগুলি উল্লেখ করেছে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে জেনারেল ম্যানেজারকে দেওয়া হবে বলেও ইউনিয়নগুলি জানিয়েছে। ‌ আইএনটিইউসি ইতিমধ্যেই ১০ জন কর্মীর বদলির নির্দেশ বাতিল করার দাবি জানিয়ে লিখিত চিঠি দিয়েছে এবং বিষয়টি তাদের সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তারা বলছেন এসবের উদ্দেশ্য একটাই - ডামাডোল পাকিয়ে রেল কর্মীদের দূরে সরিয়ে রেখে সমস্ত কাজ প্রাইভেট কোম্পানিকে দিয়ে করিয়ে নেওয়া এবং তার মাধ্যমে মোটা অংকের কাটমানির টাকা পকেটে পোরা। তবে ঘটনা যাই হোক না কেন - ইউনিয়ন নেতৃত্বকে জবাবদিহির চিঠি ধরানো বা কর্মীদের হঠাৎ বদলি সবকিছু সহ্য করেই কর্মীরা আরও ব্যাপক আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে ইউনিয়নগুলি জানিয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

লক্ষ ভোটের লিড দেওয়ার লক্ষ্য বারাবনি থেকেই - শত্রুঘ্ন সিনহার ভিড়ে ভরা কর্মীসভায় ঘোষণা বিধান উপাধ্যায়ের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ এপ্রিল:: শ্রমিক মঞ্চের অডিটোরিয়াম ভর্তি হয়ে বাইরেও বহু সমর্থক চোখ রেখেছিলেন বড় পর্দায়। মঞ্চে ভাষণ দাতাদের পুরোটাই বাইরে থেকেই তারা দেখছিলেন। ‌ আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার সমর্থনে কর্মীসভা উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় এমনই উপচে পড়া ভিড় দেখা গেল হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চ এলাকায়। মূলত তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই সভা পুরোপুরি সফল বলে উল্লেখ করেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আরমান। সভায় প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার চেয়েও আবেগময় বক্তব্য রাখেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। ‌ তিনি বলেন এই লোকসভার অন্তর্গত বারাবনি বিধানসভা এলাকা থেকে আসন্ন ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে সবচেয়ে বেশি লিড দেওয়ার লক্ষ্য তিনি স্থির করেছেন। ‌ গত নির্বাচনে পান্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকা লিড দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে ছিল, দ্বিতীয় স্থানে ছিল বারাবনি। এবার বারাবনি যেন লক্ষাধিক ভোটের লিড দেয় সেই লক্ষ্যমাত্রা তিনি বেঁধে দেন। ‌ এই লক্ষ্য পূরণে তিনি কর্মীদের বলেন প্রত্যেকটি বাড়িতে একাধিকবার যেতে হবে এবং ভোট চাইতে হবে। তিনি বলেন যারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না বলে স্থির করে রেখেছেন তাদের কাছেও বারবার আবেদন নিয়ে যেতে হবে। আবেদনের ঠেলায় তারা বিরক্ত হলেও ভোটটা যেন তৃণমূলকেই দেন সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। ‌ অন্যদিকে শত্রুঘ্ন সিনহা ভাষণের শুরুতেই বলেন "হিরো অফ বারাবনি বিধান উপাধ্যায় এবং তার ভাই মুকুল উপাধ্যায়" যেভাবে এখানকার মানুষের সুখে-দুখে সব সময় পাশে আছেন সেই ভাবেই সমগ্র আসানসোল লোকসভায় তিনি মানুষের স্বার্থে সবসময় কাজ করে চলেছেন। ‌ তিনি বলেন বিজেপি শুধু মন্দির নিয়েই ব্যস্ত। মানুষের আয় কিভাবে বাড়বে, আন্তর্জাতিক বাজারে টাকার মূল্য কিভাবে রক্ষা পাবে সেসব নিয়ে কোন চিন্তা নেই। ‌ সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি বলেন কেউ দোষী হলে আদালত তাকে সাজা দেবে, কিন্তু তাই বলে মুখ্যমন্ত্রী কেন পদত্যাগ করতে যাবেন? যারা এই ধরনের দাবি তোলেন তারা আসলে এই রাজ্যের ভালো চান না। ‌ তিনি বলেন নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে এবং এই দুর্নীতিতে যারা যুক্ত তাদের পদত্যাগ চাওয়া বরং বেশি প্রাসঙ্গিক। ‌ তিনি আরও বলেন যারা ভেবেছিলেন নির্বাচনে জিতে তিনি আর এই এলাকায় থাকবেন না তারা ভুল প্রমাণিত হয়েছেন। তিনি আসানসোলেই আছেন এবং আসানসোলেই থাকবেন। ভাষণের শুরুতেই শ্রী সিনহা বিশেষভাবে তৃণমূল নেতা ভোলা সিংয়ের নাম উল্লেখ করেন। বলেন তার আগ্রহেই এই কর্মী সভাতে তিনি আসতে পেরেছেন। এদিনের সভায় বিদ্যুৎ মিশ্র , তাপস ব্যানার্জি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন সুভাষ মহাজন।@প্রান্তভূমি ‌( সহ-প্রতিবেদন:: চিত্তরঞ্জন প্রসাদ)
Share on

গণধর্ষণের শিকার ১৫'র কিশোরী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ এপ্রিল:: গণধর্ষণের শিকার হতে হল নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে। ‌ নির্যাতনকারীদের দলে অন্তত ৭ জন ছিল বলে জানা গেছে । তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে, দুজন এখনও পলাতক। পাশবিক এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন। পুলিশও উঠে পড়ে লেগেছে এই ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। বারাবনি ব্লকের নুনি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চিঁচুড়িয়া গ্রাম অঞ্চলে রক্ষা কালীর পুজো উপলক্ষে সাত দিনের মেলা চলছে। সেই মেলাতেই বিভিন্ন জায়গা থেকে জিনিসপত্রের পশরা নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। ‌ গতকাল ছিল মেলার ষষ্ঠ দিন। ‌ এদিন রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ চিঁচুড়িয়া গ্রামের ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য বাড়ির পাশেই শৌচাগারে যায়। এসময় মেলায় দোকান দেওয়া ৭ জন হকার সেখান থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে চলে যায়। ‌এদিকে কিছুক্ষণ পরেও সে ঘরে না আসায় বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন কিন্তু কোন খোঁজ পাননি। তারা পাশেই মেলা কমিটির লোকজনকেও বিষয়টি জানান, যদিও তাতে কোন সুরাহা হয়নি। এরও বেশ কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবারের লোকজন বারাবনি থানায় বিষয়টি জানান। পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে তল্লাশি শুরু করে এবং আজ ৫ এপ্রিল সকালে অভিযুক্ত পাঁচ ব্যবসায়ীকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করে। ‌ পলাতক আরো দুজনের খোঁজে পুলিশ অভিযান জারি রেখেছে। ‌ নির্যাতিতার বাবা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে পকসো সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা কিশোরী এখন আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। ‌ ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি হীরাপুর ইপ্সিতা দত্ত জানিয়েছেন শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ওই কিশোরী, পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে বাউরী সমাজ। সমাজের রাজ্য সভাপতি সুমন্ত বাউরী জঘন্য এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং দোষীদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ধৃত ব্যবসায়ীরা বীরভূম জেলার বাসিন্দা এবং তারা মেলায় দোকান দিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোররাতে অস্ত্রের কোপে খুন যুবক, চিত্তরঞ্জন-মিহিজাম সীমানায় আতঙ্ক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ এপ্রিল:: ভোররাতে ধারালো অস্ত্রের কোপে এক যুবকের খুনের ঘটনায় আতঙ্কের চোরা স্রোত বইছে চিত্তরঞ্জন-মিহিজাম সীমানায়। আজ চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতাল থেকে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিত্তরঞ্জন থানা। বিশেষ সূত্রে জানা গেছে পাড়ার এক পরিচিত ব্যক্তির মৃত্যু হলে চিত্তরঞ্জন শ্মশানে তার দাহকার্য সারার পর পাঁচ ব্যক্তি রাত আড়াইটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন স্টেশন সংলগ্ন চায়ের দোকানে পৌঁছান। সেখানে চা খেয়ে তারা মিহিজাম কুর্মিপাড়া এলাকার রামু খাটাল অঞ্চলে নিজেদের বাড়ির কাছে পৌঁছে পারস্পরিক কথাবার্তা বলছিলেন। ‌ তখন রাত প্রায় তিনটে। ‌ এ সময় হঠাৎই বাইকে চেপে দুই যুবক সেখানে পৌঁছান এবং পুরনো একটি অশান্তির বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তর্কাতর্কির মধ্যেই সামান্য হাতাহাতিও হয়। এর মধ্যেই বাইক আরোহী এক ব্যক্তি অতর্কিতে একটি ধারালো অস্ত্র চালিয়ে দেয় প্রেমকুমার পান্ডের শরীরে। অস্ত্র চালকের নাম উল্লেখ করে মিহিজাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ‌অস্ত্রচালকের সঙ্গেই তার আর এক সঙ্গীও ছিল বলে প্রেম কুমারের বাড়ির লোকজন অভিযোগে জানিয়েছেন। ‌ এদিকে অতর্কিত এই আক্রমণের পরেই আক্রমণকারীরা এলাকা ছাড়ে। প্রেম কুমারের সঙ্গীরা তাকে রক্তাপ্লুত অবস্থায় প্রথমে মিহিজামের একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যান, কিন্তু নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি নেননি। এর পরেই প্রেম কুমারকে নিয়ে তারা চিত্তরঞ্জন কেজি হাসপাতালে পৌঁছান। আজ সকাল থেকেই কেজি হাসপাতালে দফায় দফায় পৌঁছায় আরপিএফ ও মিহিজাম এবং চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। প্রেম কুমারের বুকের বাঁ দিকে পাঁজরের নিচে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে। মিহিজাম ও চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে গভীর তল্লাশি শুরু করেছে। ‌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এর আগে চিত্তরঞ্জনে গুলি করে এক যুবককে খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল এদিনের ঘটনায় অভিযুক্ত গ্যাংয়ের। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে জেলেও যেতে হয়েছিল গ্যাংয়ের মাথাকে। পশ্চিমবঙ্গের কুলটি, মালদা, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় এদের জাল ছড়িয়ে আছে বলে পুলিশ বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছে। তবে প্রেমকুমার পান্ডেকে ঠিক কি কারণে মৃত্যুবরণ করতে হলো সেই সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তাদের পরিবারের লোকজন কিংবা পুলিশ।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোটশক্তির প্রচারে রোদ মাথায় নিয়েই এলাকায় ঘুরছেন বিডিও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ এপ্রিল:: দেশ গড়ার শক্তি হল ভোট। ‌ তাই ভোট দেওয়া থেকে কেউ যেন নিজেকে দূরে সরিয়ে না রাখেন। ‌ নির্ভয়ে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা দেখা দিলে প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের অনুরোধ নিয়ে রোদের মধ্যেই এলাকায় ঘুরছেন সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস। ‌ আজ প্রথমেই তিনি পৌঁছে যান শিল্পাঞ্চলের বৃহত্তম রেল নগরী চিত্তরঞ্জনে। এখানকার আমলাদহি বাজার অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তিনি ভোট দানের বিষয়ে সকলকে সচেতন করেন। ‌ বিডিও শ্রী বিশ্বাসের সঙ্গে ছিলেন চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ ইসমাইল আলি। এখানে প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে পেয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা তাদের বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। ‌ চিত্তরঞ্জনে প্রবেশের ক্ষেত্রে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেক্ষেত্রে অনুমোদিত পকেট গেটগুলি বন্ধ হবে না বলে বিডিও তাদের আশ্বাস দেন। এরপর হিন্দুস্তান কেবল নিউমার্কেটের হাটে পৌঁছে যান বিডিও। ‌ সেখানকার ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে তিনি ভোট দানের বিষয়ে কথা বলেন। সকলেই যেন ভোট দিতে যান সে বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

কর্মমুখী শিক্ষায় সর্বভারতীয় স্বীকৃতি পেল দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: কর্মমুখী শিক্ষায় সর্বভারতীয় স্বীকৃতি পেল পশ্চিম বর্ধমান জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত কলেজ চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়। এই কলেজের বিবিএ বিসিএ কোর্সকে অ্যাপ্রোভাল দিল অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন বা এ আই সি টি ই। এই স্বীকৃতি এই অঞ্চলের কলেজগুলির মধ্যে প্রথম অর্জন করল দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়। এরফলে এই কলেজ থেকে বিবিএ বিসিএ কোর্স সম্পন্ন করা ছাত্রছাত্রীরা এআইসিটিই'র সার্টিফিকেট পাবে। ‌ আগে তারা সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটির দেওয়া সার্টিফিকেট পেতো। ‌ সর্বভারতীয় এই স্বীকৃতি পাওয়ার ফলে এখানকার পড়ুয়ারা চাকরি ক্ষেত্রে অন্যান্য উচ্চস্তরীয় কলেজগুলির মতোই সমান মর্যাদা লাভ করবে। ‌ চাকরি পাওয়ার পথ তাদের কাছে অনেকটাই মসৃণ হবে। উল্লেখ্য, দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে অন্যান্য অনেক প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক কম খরচে উচ্চ গুণমানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ পাওয়ার সুযোগ বহুদিন থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। এখান থেকে বিবিএ বিসিএ কোর্স সম্পন্ন করে বহু ছাত্র-ছাত্রী জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বহু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছে। ‌ এবার এআইসিটিই অ্যাপ্রোভাল সেই শিক্ষাকে বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছে দিল। ‌ কলেজের অধ্যক্ষ ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু এই উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য কলেজের সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অধ্যক্ষ এরই সঙ্গে এলাকার ছেলেমেয়েদের কাছে আবেদন করেছেন তারা যেন কলেজের এই উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে। ‌ তিনি বলেন, হাতের কাছে তুলনামূলক ভাবে অনেকটা কম খরচে ভালো শিক্ষা দেওয়ার সুযোগ অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ তৈরি করেছেন। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি এলাকার ছেলেমেয়েরা নিজেদের কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে তবেই এই প্রচেষ্টা আরো সুসংবদ্ধ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

চলাফেরায় অক্ষমকেও ভোটের ডিউটি:: আবেদনে সাড়া দিয়ে অব্যাহতি কমিশনের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: তিন চাকার সাইকেলে বাড়ি থেকে কোনক্রমে তিনি কর্মক্ষেত্রে পৌঁছান। সেখানেও রাম্পের মাধ্যমে তাকে ঢুকতে হয়। সিঁড়ি ভাঙা তো দূর, সমান্তরাল মেঝেতেই হেঁটে যাওয়া তার পক্ষে যথেষ্ট কষ্টকর। ‌ এমনই এক বিশেষ শারীরিকভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে ভোটের ডিউটির চিঠি ধরানো হয়েছিল। ‌ ওই একই জায়গার আরও এক মহিলা কর্মীকে ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার নির্দেশ পাঠিয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা নির্বাচনী আধিকারিক। ‌ তিনিও ডান হাত চালনা করতে পারেন না, কনুইয়ের নিচের অংশ অবশ। ‌ এদের প্রথমজন হলেন প্রশান্ত কুমার প্রসাদ, অন্যজন মনিকা শর্মা। দুজনেই স্টেট ব্যাংক চিত্তরঞ্জন শাখার কর্মী। ‌ দুজনেরই সরকারি শংসাপত্র অনুযায়ী অক্ষমতার মাত্রা ৫০ শতাংশ। ‌ প্রশান্ত বাবু পোলিও আক্রান্ত হওয়ায় তার বাঁ পা সম্পূর্ণ প্যারালাইসিসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ‌ট্রাইসাইকেল এবং বিশেষ ধরনের লাঠির উপর নির্ভর করে তাকে চলাফেরা করতে হয়। অথচ এদের দুজনকেই দ্বিতীয় পোলিং অফিসার হিসেবে নিযুক্তির নির্দেশ দিয়ে ৬ এপ্রিল আসানসোল ডিএভি স্কুলের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রশান্তবাবুর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই স্কুলের দোতলায় নির্ধারিত হয়। ‌ কিন্তু যিনি ট্রাইসাইকেল থেকে নামলে অন্যের সহযোগিতা ছাড়া নিজের চেয়ারে পৌঁছাতে পারেন না সেখানে তিনি কিভাবে দোতলায় উঠবেন তা ভেবেই অস্থির হয়ে ওঠেন। তাছাড়া চিত্তরঞ্জন থেকে আসানসোল যাওয়াও তার পক্ষে অসম্ভব। এই অবস্থায় প্রশান্ত বাবু এবং মনিকা দেবী সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসের কাছে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে তাদের ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানান। বিডিও শ্রী বিশ্বাস অত্যন্ত সহানুভূতির সঙ্গে বিষয়টি বিবেচনা করে জেলা স্তরে তাদের আবেদন দ্রুততার সঙ্গে পাঠিয়ে দেন। ‌ এবং শ্রী বিশ্বাস বিস্ময় প্রকাশ করেন শারীরিকভাবে এইরকম বিশেষ সক্ষম দুই ব্যক্তিকে কিভাবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ভোটের ডিউটির জন্য নির্ধারিত করে নির্বাচন কমিশনের কাছে তাদের নাম পাঠালেন! তবে শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের উচ্চ স্তর থেকে এই দুজনের নাম ভোটের ডিউটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে ৪ এপ্রিল বিশেষ সূত্রে জানা গেছে। ‌ বিষয়টি জানার পরেই প্রশান্ত বাবু এবং মনিকা দেবী স্বস্তির শ্বাস ফেলেছেন। ‌ তারা সালানপুর বিডিও এবং জেলা নির্বাচনী কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

জাইলো গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র, নাকা তল্লাশিতে ধরলো পুলিশ, গ্রেফতার দুস্কৃতি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ এপ্রিল:: বীরভূম থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ঢুকে বড়সড় অপরাধের মতলব রুখে দিল আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। কমিশনারেটের অন্তর্গত জামুড়িয়া থানার পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক দুষ্কৃতির ধরা পড়ার পর এই তথ্য জানা গেছে। ৩ এপ্রিল বিকেলে বীরভূম-পশ্চিমবর্ধমান সীমানায় দরবারডাঙ্গা ঘাটে জাইলো গাড়িসহ এই দুষ্কৃতি ধরা পড়ে। লোকসভা ভোটের আগে সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে জোরদার নাকা চেকিং চলছে পুলিশের। ‌ ঐদিন বীরভূমের দিক থেকে জাইলো গাড়িটিকে আসতে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তারা গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করলে সেটি গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ‌ এ সময় পুলিশ পিছু ধাওয়া করে কিছুটা দূরে গাড়িটিকে আটকাতে সমর্থ হয়। ‌ যদিও পুলিশের তাড়া খেয়ে জাইলো গাড়ি থেকে চার যাত্রীর মধ্যে তিনজন পালিয়ে যায়, ধরা পড়ে যায় মহম্মদ শাহবাজ আনসারি। ‌ তার বাড়ি কুলটি থানার নিয়ামতপুর মসজিদ মহল্লায়। পুলিশ তার কাছ থেকে একটি পিস্তল এবং দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে। গাড়িসহ শাহবাজকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ভোটের সময় এই জেলায় অপরাধমূলক কাজকর্ম করার মতলবেই অস্ত্রসহ তারা প্রবেশ করছিল বলে পুলিশের অনুমান।@প্রান্তভূমি
Share on

যক্ষ্মা রোগীদের পাশে দাঁড়ালো আরও একটি বেসরকারি স্কুল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ এপ্রিল:: যক্ষ্মা প্রতিরোধে সালানপুর ব্লকে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশে দাঁড়ালো আরও একটি বেসরকারি স্কুল। আগেই এই উদ্যোগে শামিল হয়েছে হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুল। এবার এই পরিষেবায় যুক্ত হল আছড়ার নিউ হলি এঞ্জেল পাবলিক স্কুলও। আজ তারা ব্লকের পাঁচ জন যক্ষ্মা আক্রান্তকে পুষ্টিকর আহার যোগানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল। এই উপলক্ষে পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত শিট, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার অমরেশ মাজি, সমাজকর্মী বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, স্বাস্থ্যকর্মী আন্দোলনের অন্যতম কর্মকর্তা অরিন্দম চ্যাটার্জি, স্বাস্থ্যকর্মী রক্তিম দে সহ স্কুলের প্রাণপুরুষ সঞ্জয় সুকুল ও অন্যান্যরা। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে আরো যক্ষ্মা আক্রান্তের পাশে এই স্কুল দাঁড়াবে বলে শ্রী সুকুল প্রতিশ্রুতি দেন। ‌ উল্লেখ্য, যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা চলাকালীন প্রায় ৬ মাস উন্নত মানের পুষ্টিকর আহারের বিশেষ প্রয়োজন হয়, কিন্তু সকালের ক্ষেত্রে সেই আহার যোগানোর সামর্থ থাকে না - তাদেরই পাশে "নিক্ষয় মিত্র" হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি। ‌ কিছুদিন আগেই ডিএভি স্কুল কর্তৃপক্ষ ২৫ জন যক্ষ্মা রোগীর দায়িত্ব নিয়েছেন। ‌ সেখানে উপস্থিত পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার ইউনুস অনুপ্রাণিত হয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আসানসোলের ৫ যক্ষ্মা রোগীকে পুষ্টিকর আহার যোগানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। এইভাবে যক্ষ্মা রোগীদের পাশে সকলে এগিয়ে আসায় তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অরিন্দম বাবু।@প্রান্তভূমি
Share on

মোষের দখলে জিএম অফিস রোড

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩ এপ্রিল:: যে অফিসের দাপটে চিত্তরঞ্জনের তামাম নেতা কর্মী এক ঘাটে জল খেতে বাধ্য হন সেই অফিসের সামনে দিয়েই চলে যাওয়া রাস্তায় দুলকি চালে সফর করছে মোষের দল। এই দৃশ্য দেখে চিত্তরঞ্জনবাসীর আবারও বিস্ময়ের উদ্রেক হল। কারণ একের পর এক চিত্তরঞ্জনকে ঘিরে থাকা সীমানা পাঁচিলের পকেট গেটগুলি বন্ধ করা, শহর থেকে অনুমতিহীন সমস্ত খাটাল উচ্ছেদ করা, অবৈধভাবে শহরে অস্থায়ী বাসস্থান বানিয়ে থাকা লোকজনকে বে-ঘর করার ধারাবাহিক তোড়জোড় রেল শহরের পরিচিত দৃশ্য হয়ে উঠেছে। তবুও এত মোষ গরু ছাগল কুকুরের বিচরণ কি করে শহর জুড়ে চলছে তা নিয়েই দেখা দিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। বিশেষ করে এইসব বেলাগাম পশুদের কারণে হামেশাই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বাইক, গাড়ির আরোহীরা। ‌ দ্রুত গতিতে চলতে গিয়ে অবরুদ্ধ হচ্ছে পুলিশের গাড়িও। ‌ এবার খোদ জিএম অফিসের সামনের প্রধান রাস্তায় এক দল মোষের পার হওয়া সেই কারণেই যথেষ্ট চিন্তার বলে উল্লেখ করেছেন প্রাক্তন রেল কর্মী দর্শনলাল প্রভাকর। তিনি বলেন শহরের ফতেপুর এলাকায় আশির দশক পর্যন্ত এইসব গরু-মোষকে ধরে রাখার জন্য খোঁয়াড় চালু ছিল। ‌ স্যানিটারি বিভাগের লোকজন এ বিষয়ে সক্রিয় থাকতেন। কিন্তু এখন সেই ব্যবস্থা উধাও হয়ে গেছে। ‌ পুণরায় খোঁয়াড় ফিরিয়ে আনতে না পারলে শহর গরু-মোষ ছাগল কুকুরের দখলে চলে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

এশিয়ার গভীরতম কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় মৃত ২

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ এপ্রিল:: এশিয়ার গভীরতম কয়লা খনিতে ঘটলো দুর্ঘটনা। তার ফলে দুই শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। ‌ ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার অন্তর্গত চিনাকুড়ি এক, দুই নম্বর কোলিয়ারিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে আজ বিকেলে। ২০১৩ সালে এই খনির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেও জরুরি মেরামতির কাজকর্ম এখানে চালু আছে। ‌ আজ বেসরকারি সংস্থার ৫ জন কর্মী এই খনিতে ডুলি মেরামতির কাজ করছিলেন। ‌ সে সময় আচমকা গাডার ছিঁড়ে ডুলিটি আছড়ে পড়ে, তার ফলে ডুলিতে থাকা এক কর্মীর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যু ঘটে, ডুলি আছড়ে পড়ার কারণে খনি গহ্বরের কাছে থাকা আর এক কর্মী তার অভিঘাতে একেবারে প্রায় ২২০০ ফুট গভীর খনির নিচে পড়ে যান। ‌ এর ফলে তারও মৃত্যু ঘটে। ‌ সঙ্গে সঙ্গেই খনি কর্তৃপক্ষ তাদের উদ্ধার করে সাঁকতোড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু তার আগেই তাদের মৃত্যু ঘটে। ‌ এই ঘটনায় খনি কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও বড়সড় প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে। ‌ এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন কুলটির বিধায়ক ডাক্তার অজয় পোদ্দার। ‌ অন্যদিকে স্থানীয় মানুষজন মৃতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ‌ ইসিএল কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিষয় মানবিকতার সঙ্গে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

খরচ সামলাতে কেজি হাসপাতালে রোগীর পাত থেকে উধাও মাছ ডিম দুধ মাখন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ এপ্রিল:: সকালের টিফিনে দুধ পাউরুটি মাখন উধাও, তার পরিবর্তে শুধুমাত্র দেওয়া হচ্ছে ডালিয়া। অন্যদিকে দুপুরের খাবার বলতে ভাত ডাল এবং একটি চালু তরকারি ‌‌। দেওয়া হচ্ছে না মাছ মাংস কিংবা ডিম। এমনই বিতিকিচ্ছিরি পরিস্থিতি চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বৃহত্তম চিকিৎসাকেন্দ্র কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালের। তাও আবার এক আধ দিন নয়, দিনের পর দিন এটাই এখন দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে সপ্তাহখানেক ধরে রোগীদের খাদ্য হিসেবে এই সবই পরিবেশন করতে হচ্ছে কারণ টেন্ডার ডেকে ঠিকেদার নিয়োগে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ‌ আগের ঠিকাদারের মেয়াদ ৩১ মার্চ শেষ হয়ে গেছে। ‌ যদিও এর আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নতুন টেন্ডার আহ্বান করেছিলেন। তাতে সর্বনিম্ন দর যে ঠিকেদার দিয়েছিলেন সেই দর চলতি দামের চেয়েও প্রায় ৩৫ % কম। এদিকে জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, সেজন্য কোনো কোনো ঠিকেদার চলতি দামের চেয়েও পঞ্চাশ শতাংশ বেশি দর দিয়েছিলেন। ‌ কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী যিনি সবচেয়ে কম দর দিয়েছেন তাকেই বরাত দেওয়ার কথা, আর এখানেই বাধে গোলমাল। ‌ কারণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারেন চলতি দামের চেয়েও ৩৫ শতাংশ কমে কোনোভাবেই সঠিক মানের খাবার পরিবেশন করা সম্ভব নয়। ‌ ফলে সেই ঠিকেদারকে দায়িত্ব দিতে চাননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে নতুন করে আবার টেন্ডার ডেকে নতুন ঠিকেদারও নিয়োগ করা হয়নি। ‌ ‌ এই অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে এই খাতে যৎ সামান্য যেটুকু টাকা আছে তাই দিয়েই কোনক্রমে জোড়া তালি দিয়ে রোগীদের খাবার পরিবেশন করানো হচ্ছে। তবে এই অবস্থা ১০-১৫ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনে করছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিআরএমসি/ আইএনটিইউসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। তিনি এই অবস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন রোগীদের সঙ্গে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন খেলা করছে। পুষ্টিকর আহার না পেলে শুধুমাত্র ওষুধ ইনজেকশনে রোগীরা সুস্থ হবেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। ‌ অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন সর্বত্রই বেসরকারিকরণের ছায়া গভীর হচ্ছে, তারই শিকার কেজি হাসপাতালের রোগীরা। এই হাসপাতালের নিজস্ব ক্যান্টিন ব্যবস্থাকে অকেজো করে প্রাইভেট সংস্থার মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করার ফলেই রোগীদের ভুগতে হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে, এই অবস্থার শীঘ্র পরিবর্তন না হলে তারা তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হবেন বলে জানান। অন্যদিকে রোগীর পরিবারের লোকজনেরা বলছেন ইঞ্জিন উৎপাদনে তাদের ঘরের লোকেরা প্রচন্ড পরিশ্রম করছেন আর তারাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে সামান্য পুষ্টিকর খাবারটুকুও পাচ্ছেন না - এই অবস্থা যথেষ্টই হতাশাজনক। ‌ জানা গেছে এই মুহূর্তে হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ জন রোগীর খাবার সরবরাহ করা হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

ভয়ঙ্কর সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চাপা পড়ে একাধিক মৃত্যু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২ এপ্রিল:: ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকলো জাতীয় সড়ক। ‌ আজ সকাল আটটা নাগাদ এই দুর্ঘটনায় ট্রাক চাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু এবং এক ব্যক্তির জীবন সংকট হয়েছে। জানা গেছে কয়লার গুঁড়ো বোঝাই একটি ১৬ চাকার ট্রাক অত্যন্ত দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। ‌ এরপরই প্রচন্ড ভারবাহী ঐ ট্রাক জাতীয় সড়কের ওপরেই উল্টে পড়ে। তার ফলে ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে যান ২ বাইক আরোহী এবং ঐ সাইকেল আরোহী। এই ঘটনা ঘটে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে কাঁকসা বিরুডিহা ওভার ব্রিজের পরেই। মৃতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন কাঁকসা ভরতপুরের বাসিন্দা উত্তম দাস বৈরাগী। ‌ দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষজন ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। ‌ সংবাদ পেয়ে এলাকায় ছুটে যান কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ, এসিপি কাঁকসা সুমন জয়সোয়াল, ট্রাফিক গার্ড ওসি সহ পুলিশের বিশাল বাহিনী। উত্তেজিত জনতাকে তারা শান্ত করার চেষ্টা করেন। এদিকে তিনটি ক্রেন প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় উল্টে যাওয়া ট্রাকটিকে সোজা করে এবং জাতীয় সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। আহত একজনকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের আই সি ইউতে ভর্তি করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় মানুষজন অভিযোগ জানিয়েছেন বেসরকারি ফিনান্স কোম্পানির বাউন্সার জাতীয় সড়কে গাড়ি ধরার জন্য বড় রকমের অত্যাচার শুরু করেছে। ‌ আবার ট্রাফিক পুলিশও তোলাবাজির জন্য জাতীয় সড়কে ছোট বড় সব গাড়িকেই টার্গেট করছে। এইসব কারণে তাদের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ট্রাকসহ অন্যান্য গাড়ি তীব্র গতিবেগে ছোটাছুটি করছে। ‌ এই ঘটনা সেইসবেরই প্রতিফলন বলে তারা অভিযোগ করেন। ‌যদিও কি কারনে এই দুর্ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই ট্রাকটির চালক ও খালসী পলাতক বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

আর্থিক বছর শেষে বোনাসের টোপ দিয়ে ফোন, মাথা গরম হয়ে গেল প্রতারকেরই

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।‌। ২ এপ্রিল:: সদ্যই গতকাল ব্যাংক সহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির বার্ষিক হিসাব সম্পন্ন হয়েছে। ‌ এই বিষয়টিকেই কাজে লাগিয়ে আজ সকাল থেকে সাইবার প্রতারকেরা মাঠে নেমে পড়েছে। আজ সকালেই কল্যাণগ্রাম-২ নম্বর অঞ্চলের এক ব্যক্তির কাছে ৭৬৫৪৭৬৯৬২৯ নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। তাতে বলা হয় পুরনো আর্থিক বছরের হিসাব অনুযায়ী ফোন-পে কোম্পানি ওই ব্যক্তির বোনাসের অর্থ নির্দিষ্ট করেছে এবং সেটি প্রায় ১৩০০০ টাকা। এই টাকা কোন একাউন্টে পাঠাতে হবে সেটি জানার জন্যই তারা ফোন করেছে বলে জানায়। ‌ সকাল সওয়া সাতটায় এই ফোন পেয়ে কল্যাণগ্রামের ওই ব্যক্তি কিছুটা হতবাক হন এবং এর পরই জানতে চান গতকাল যদি হিসাব হয়েই থাকে তবে তো সরাসরি অ্যাকাউন্টেই চলে আসার কথা, আজ আবার ফোন করা কেন। এই উত্তরে প্রতারক কোনরকম ঘাবড়ে না গিয়ে বলে আপনার অনুমতি ছাড়া একটি পয়সাও বোনাস হিসেবে আপনাকে কোম্পানি দিতে পারবে না, তাই আপনি এখনই বলুন, আমি লাইনে আছি। ‌ বিষয়টি যে পুরোপুরি ভুয়ো তা বুঝতে ওই ব্যক্তির সময় লাগেনি। ‌ তাই তিনি নানাভাবে প্রতারকের সময় নষ্ট করতে থাকেন আর এতেই খেপে গিয়ে প্রতারক তাকে একটি চার অক্ষরের গালাগাল দিয়ে বলেন সকাল সকাল মুরগিটা ফসকে গেল। ‌ তবে কল্যানগ্রামের ওই ব্যক্তিও কম যান না, তিনি বলেন মুরগি ধরতে গেলে কলিজার দম লাগে। আর এখন এসব মানুষ খাবে না, অন্য কিছু ভাবুন। ‌ এই ভাবেই প্রতারকের খেল খতম করে দেন ওই ব্যক্তি। ‌ এ বিষয়ে সাবধান করে দিয়ে পুলিশ প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে কোনভাবেই ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ কল কিংবা ইমেইলে এই ধরনের অযথা টাকা পাওয়ার লোভ থেকে মানুষ যেন নিজেদের সংবরণ করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

বাঁকুড়া মৈত্রী সংঘের রক্তদান শিবির রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৩১ মার্চ:: গ্রীষ্মে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ককে আরো একটু পুষ্ট করতে আজ রূপনারায়ণপুরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে বাঁকুড়া মৈত্রী সংঘ। ‌ সার্বিক সহযোগিতায় হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে এই শিবির সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। শিবিরে বিশেষভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, মনোজ তেওয়ারি, রক্তদান আন্দোলনের কর্মী বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, রবি শংকর কুন্ডু, তপন মাহাতা, গৌতম মুখার্জী প্রমুখ। শিবির সংগঠনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন হিন্দুস্তান কেবল পুনর্বাসন সমিতির কর্মকর্তা সুভাষ মহাজন। এছাড়াও বিশ্বরূপ দে তার বাবা ভাস্কর দে ও মা স্বপ্না দে এবং তপন বাগ তার বাবা ধীরেন্দ্রনাথ বাগ ও মা মীনারাণী বাগের স্মৃতিতে শিবিরকে বিশেষভাবে সহযোগিতা করেন বলে জানান মৈত্রী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত মন্ডল। সংঘের সকল সদস্য এবং স্থানীয় সমাজকর্মীদের এই শিবির আয়োজনে সক্রিয় সহযোগিতার জন্য তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ‌ বিধায়ক শ্রীউপাধ্যায় মৈত্রী সংঘের সামাজিক এই কার্যকলাপের বিশেষ প্রশংসা করে বলেন জীবনের শ্রেষ্ঠ দান রক্তদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে রক্তদাতা সংগঠনগুলির যে ভূমিকা, তারই ইতিবাচক প্রতিফলন মৈত্রী সংঘের এই রক্তদান শিবির। শিবিরের সকল রক্ত দাতাকে তিনি ধন্যবাদ জানান।@প্রান্তভূমি
Share on

স্কুলেই হচ্ছে মাশরুম চাষ, সপ্তাহে দু'দিন চেটেপুটে খাচ্ছে পড়ুয়ারা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: স্কুল ঘরে মাশরুম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিল চিত্তরঞ্জনের পূর্ব আমলাদহি ছয়ের পল্লী নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। স্কুলের প্রায় ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর মুখে পুষ্টিকর খাবার তুলে দিতেই এই পরিকল্পনা বলে জানালেন প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা মন্ডল। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এই প্রক্রিয়া চলছে। ‌ মাশরুম প্রশিক্ষক নির্মল মন্ডল হাতে-কলমে চাষের পদ্ধতিগত দিকগুলি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বুঝিয়ে দিয়ে যান। সাত দিনের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া তারা রপ্ত করে ফেলেন। এরপর নিজেরাই মাশরুম উৎপাদন করছেন বলে তারা জানান। এখন সপ্তাহে দু'দিন আলু দিয়ে মাশরুমের তরকারি শিশু শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর প্রত্যেক পড়ুয়ার পাতে দেওয়া হয়। তারা সকলেই আনন্দের সঙ্গে এই তরকারি চেটেপুটে খায়। কি করে চাষ করা হয় জানতে চাইলে স্কুলের শিক্ষক শুভেন্দু পাল বললেন, প্রথমে প্লাস্টিক ব্যাগে খড় কেটে সেগুলি চুন জলে ধুয়ে হালকা গরম জলে ফুটিয়ে নেওয়া হয়। এরপর খড়গুলি ব্যাগে সাজিয়ে মাশরুম বীজ দিয়ে ওপর থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে ওষুধ দিতে হয়। এইভাবে ৩-৪ টি স্তরে সাজানোর পর অন্ধকার ঘরে সেগুলি কিছুদিন রাখলেই মাশরুম তৈরি হয়ে যায়। তবে নিয়মিত জল দিতে হয়। ঘরটিতে ঢুকতে হয় খালি পায়ে। ‌ স্কুলের শিক্ষিকা কাকলি তালুকদার এবং শাশ্বতী নন্দী ঘোষ বললেন - আমরা নিজেরাই কুমড়ো বেগুন চাষ করি। সেই জৈব সবজি শিশুদের মিড ডে মিলের পাতে রান্না করে দেওয়া হয়। শুভেন্দু পাল জানালেন আটটি ব্যাগে মাশরুম তৈরি করতে খরচ প্রায় আড়াই হাজার টাকা, এই অর্থ শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলে মিলে ব্যয় করেন বলে জানান।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে দুর্ঘটনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরে আমলাদহি বাজার সংলগ্ন ২৪ নম্বর রাস্তার চৌমাথা ক্রমশ আরো দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছে। নিয়ম মেনে না চলার দরুন হামেশাই এখানে দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা স্কুটি বাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করার ঘটনা নজরে পড়ছে। আজ বেলা বারোটা নাগাদ দুজন অল্পবয়সী মেয়ে একটি স্কুটিতে চড়ে বাজারের দিকে ঘোরার পথে অপরদিক থেকে আসা একটি মারুতি গাড়িতে সজরে ধাক্কা মারে। মারুতি- চালকের উপস্থিত বুদ্ধির জোরে দুর্ঘটনা মারাত্মক আকার না নিলেও তার গাড়ির সামনের অংশ ফেটে যায় এবং গাড়ির যন্ত্রাংশ থেকে তরল পদার্থ বেরিয়ে রাস্তায় পড়ে। তবে , স্কুটি আরোহী মেয়ে দুটি অক্ষত থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন মেয়ে দুটি নিয়ম না মেনেই ইচ্ছেমতো বেপথে চৌমাথা অতিক্রম করছিলেন, তাতেই এই ঘটনা ঘটে। ‌ তবে গাড়ির চালক বিষয়টি বুঝতে পেরে আগেই সতর্ক না হলে প্রাণহানি পর্যন্ত হতে পারত বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। শহরের ব্যস্ত এই চৌমাথায় নিয়মিত পুলিশি নজরদারির দাবি করেন স্থানীয়রা।@প্রান্তভূমি
Share on

লগইন-কর্তা সৌরভ নিজেকে শেষ করে দিলেন, শোকে মুহ্যমান রূপনারায়ণপুর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৯ মার্চ:: বাড়িতে তারই অপেক্ষায় হতবাক বৃদ্ধ বাবা মা, সর্বস্ব হারানো স্ত্রী শিশুকন্যা, ভাই এবং পরিজনেরা, কিন্তু তিনি চলে গেছেন বহুদূরে না-ফেরার দেশে। রূপনারায়ণপুর স্টেশন রোডে নান্দনিক হলের সামনে অত্যন্ত জনপ্রিয় কম্পিউটার সেন্টার লগইন- এর কর্ণধার সৌরভ বিশ্বাস হঠাৎই নিজেকে শেষ করে দিলেন গতকাল 28 মার্চ বিকেলে। তারপর থেকেই অসংখ্য গুণমুগ্ধ মানুষ তার বাবার মতই একেবারে হতবাক হয়ে গেছেন। এমন অমায়িক মৃদু ব্যবহারের সৌরভ কেন যে নিজেকে শেষ করলেন কেউই ভেবে পাচ্ছেন না। কম্পিউটার সংক্রান্ত যে কোনো কাজ, জেরক্স, ফরম ফিলাপ, টাকা পাঠানো থেকে শুরু করে সিসিটিভি লাগানো সহ যাবতীয় কাজ তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই করছিলেন। নির্লোভ এই যুবকের কাজে মোহিত হননি এমন মানুষ পাওয়া ভার। ‌ পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে বিডিও, ব্যাংকের আধিকারিক সকলেই তার কাজের গুণে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ‌ জানা গেছে গতকাল দুপুরের পরে তিনি কোন এক সময় বাড়ির মধ্যেই নিজেকে শেষ করে দেন। ভাত খাওয়ার জন্য তাকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে বাড়ির লোকজন দোতলায় পৌঁছালে দেখেন দরজা বন্ধ। এরপর সেই দরজা ভেঙে দেখেন সৌরভ নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন। এই দৃশ্য দেখে বাড়ির সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিছুদিন আগেই তার ভাই বড়রকম শরীর খারাপ থেকে সেরে উঠেছেন। লগইন কম্পিউটার কেন্দ্র পরিচালনা করার পাশাপাশি সংসারের দেখভাল অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গেই সৌরভ করে আসছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তার বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। কেন যে সৌরভ এমন চরম পরিণতি ডেকে আনলেন সে বিষয়ে পরিবারের লোকেরা কোন ধারনাই করতে পারছেন না বলে জানান। সৌরভের অকাল প্রয়াণে রূপনারায়ণপুর গোলাপ বাগান লেনের সঙ্গেই হাহাকার উঠেছে সমগ্র অঞ্চলে। @প্রান্তভূমি
Share on

অনাগ্রহীদের ভোটমুখী করতে ব্যতিক্রমি উদ্যোগ আসানসোলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: গত লোকসভা নির্বাচনে দেশে ৬৪% গড়ে ভোট পড়েছিল। এবার সেই শতাংশকে আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ‌ যেসব জায়গায় আগের নির্বাচনগুলিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে কম ভোট পড়েছে সেই সব জায়গায় এবার পৌঁছে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনের পদাধিকারীরা। ‌ আজ আসানসোল মহাকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য নিজে তার নির্বাচনী টিমকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গেলেন আসানসোলের সিএমপিডিআই কলোনিতে। তথ্য বিশ্লেষণ করে জেলা প্রশাসন দেখেছে গত দুটি নির্বাচনে এখানকার ভোটারেরা অত্যন্ত কম সংখ্যায় ভোট দিতে বুথে পৌঁছেছিলেন। ‌ কেন তারা ভোট দিতে অনাগ্রহী সেই বিষয়টি পরিষ্কার করে জানতে চান মহকুমা শাসক। ‌ এরই সঙ্গে তিনি ভোটদানের গুরুত্ব বুঝিয়ে বাসিন্দাদের বলেন ভোটের দিন যেন সকলেই ভোট দিতে বুথে যান। ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবার নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সচেষ্ট হয়েছে। ‌ তারই ফলশ্রুতিতে পর্যায়ক্রমে যেসব জায়গায় কম ভোট পড়ার ইতিহাস আছে সেই সব জায়গাগুলিতে বিশেষভাবে পৌঁছাচ্ছেন প্রশাসনের পদাধিকারীরা, সঙ্গে থাকছেন বিএলও সহ অন্যান্য নির্বাচনী কর্মীরা। তাদের লক্ষ্য মানুষকে আরও বেশি করে ভোটমুখী করা।@প্রান্তভূমি
Share on

নতুন ডাকঘর জিৎপুর পঞ্চায়েতে, পরিষেবা পাবে ৩৫০০ পরিবার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: সালানপুর ব্লকের ডাক পরিষেবাকে আরো কার্যকরী করার লক্ষ্যে জিতপুর-উত্তররামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আজ নতুন একটি শাখা ডাকঘরের সূচনা হলো। ‌ প্রান্তপল্লী শাখা ডাকঘর নামের এই পোস্ট অফিসের কেন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পরিকাঠামোর মধ্যেই শুরু হলো। ‌ আজ আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক সূচনা হলেও এই ডাকঘর লোকসভা নির্বাচনের পরেই পুরোপুরি কার্যকরী হবে বলে জানা গেছে। কারণ এখন নির্বাচনী বিধির মধ্যে এই কাজ সম্ভব নয়। গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে এই এলাকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার পরিবারের জন্য একটি ডাকঘরের বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। এই বিষয়ে ১০ মার্চ জিতপুর উত্তররামপুর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ আসানসোল ডিভিশনাল অফিসে আবেদন পাঠান। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিস সুব্রত সামন্ত জানান সেই আবেদন খতিয়ে দেখে তারা সেটি কলকাতায় পাঠান। সেখান থেকেই ২৬ মার্চ অনুমোদন মেলে। ‌ অনুমোদনের বিষয়টি পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে গতকাল 27 মার্চ জানানো হয়। ‌ এরপরই তড়িঘড়ি করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হলো আজ। কারণ আজই চলতি আর্থিক বছরের শেষ কর্ম দিবস। ‌ পঞ্চায়েত প্রধান তাপস মন্ডল বলেন এখানকার মানুষের সুবিধার্থে তারা ডাক বিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন গ্রাহ্য হওয়ায় তারা অত্যন্ত খুশি। ‌ এখন পঞ্চায়েত কার্যালয়ের মধ্যেই একটি ঘরে এই শাখা ডাকঘর চলবে, কাজ কর্মের জন্য ডাক বিভাগ নির্দিষ্ট কর্মীর ব্যবস্থা করছে। তবে রূপনারায়ণপুর, হিন্দুস্তান কেবলস সহ অন্যান্য ডাকঘরগুলি যখন কর্মী সংকটে ভুগছে, সেখানে নতুন ডাক ঘরের জন্য কর্মী কোথা থেকে আসবে সেই প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। রূপনারায়ণপুর ডাকঘরে স্থায়ী কর্মী বলতে একমাত্র আছেন পোস্টমাস্টার। ‌ তিনিও বেশ অসুস্থ। ‌ ফলে কাজকর্মে যথেষ্টই অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। ‌ তবুও প্রান্তপল্লী, কল্যাণগ্রাম, ঘিয়াডোবা ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষজনের সুবিধার্থে নতুন একটি শাখা ডাকঘরের সূচনা হওয়ায় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আনন্দিত। ‌ এই শাখা ডাকঘরটিকে ঠিকমতো সচল রাখার জন্য আসানসোল ডিভিশনাল অফিস সব সময় উদ্যোগী থাকবে বলে জানান ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট শ্রী সামন্ত।@প্রান্তভূমি
Share on

প্রার্থীপদ নিশ্চিত করতে রূপনারায়ণপুর কালী মন্দিরে পুজো দিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: মুখে তিনি যতই বলুন যে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিজেপি কর্মীই এখানকার প্রার্থী, কিন্তু তিনি যে প্রার্থী হওয়ার জন্যই মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছেন সে কথা প্রকাশ্যেই এসে গেল রূপনারায়ণপুরে। ‌ আজ রূপনারায়ণপুর কালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার সময় পুরোহিত পরিষ্কার উচ্চারণ করলেন প্রার্থী পদ কামনায় জিতেন্দ্র তেওয়ারির নামে সংকল্প করা হচ্ছে। যদিও পুরোহিতের মুখ থেকে সেই কথা শুনে শ্রী তেওয়ারি বাঁ হাত বাড়িয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন কিন্তু তার আগেই ফুল বেলপাতা দিয়ে কালী মূর্তির সামনে তার প্রার্থী পদ নিশ্চিত করার জন্য সংকল্প করে ফেলেছেন পুরোহিত। আজ সকালে সপার্ষদ জিতেন্দ্র তেওয়ারি প্রথমে সামডি লহাট ফুলবেড়িয়া অঞ্চলের মা মুক্তাইচন্ডী মন্দিরে পুজো দেন, তারপর আসেন রূপনারায়ণপুর কালী মন্দিরে। ‌ গতকাল শ্রী তেওয়ারি রাণীগঞ্জ শ্যাম মন্দির, আসানসোল ইসকন মন্দির, ধাদকা হনুমান মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। ‌ স্বভাবতই মানুষজন মনে করছেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি এখন দেব দেবীদের শরণাপন্ন হচ্ছেন। ‌ তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শ্রীতেওয়ারি বলেন, বিজেপি দল সনাতন সংস্কৃতির ধারক। সেক্ষেত্রে মন্দিরে পুজো দেওয়ার অন্য কোন অর্থ খোঁজা ঠিক নয়। কেন আসানসোল কেন্দ্রে এখনো বিজেপি তাদের প্রার্থীর নাম জানাতে পারলো না জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভেবেচিন্তেই এখানে প্রার্থী দেবেন। তবে প্রার্থী যেই হোক না কেন আসানসোলের মানুষ তাকে জয়ী করবেন। ‌ অন্যদিকে মলয় ঘটকের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার দলেরই কোন কোন বিধায়ক মন্ত্রীকে অবিশ্বাস করছেন, বিজেপিতে এমনটা হয় না। ‌ তাহলে আসানসোলে প্রার্থী কি তিনিই হচ্ছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়াটাই তার ধর্ম। তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন তৃণমূল তো তাদের প্রার্থী অনেক আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে কিন্তু রংয়ের উৎসব হোলিতে তাকে কি এখানকার মানুষ কাছে পেয়েছেন? তবে, কথার মারপ্যাঁচ যাই থাক না কেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি যে আসানসোল কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন তা তার মন্দিরে মন্দিরে পুজো দেওয়াতেই পরিষ্কার হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
Share on

রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজের নিচে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ:: আজ সকালে রূপনারায়ণপুর রেল ব্রিজের নিচে রেল লাইনের উপর থেকে বৃদ্ধ মহম্মদ হাসান ইমামের (৭৫) দেহ উদ্ধার হল। তার বাড়ি পিঠাকিয়ারি এনটিপিসি ফুটবল মাঠ এলাকায়। মৃত ব্যক্তি সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমানের নিকট আত্মীয়। তিনি জানান জেমারি গেট অঞ্চলে একটি গ্যারেজ পরিচালনা করতেন শ্রী ইমাম। আজ সকালে সেখানে যাওয়ার জন্য তিনি বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। আল্লাডি মোড়ে পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথাও হয়েছিল তার। ‌ এরপর তিনি গ্যারেজে না গিয়ে রেললাইনের দিকে চলে যান বলে মনে করা হচ্ছে। ‌ সকাল ১১ টা নাগাদ পথ চলতি মানুষজন দেহটি দেখতে পান। সংবাদ পেয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ, আসানসোল আরপিএফ এবং সীতারামপুর জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ‌ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। শ্রী আরমান বলেন শারীরিক অসুবিধায় তার আত্মীয় ভুগছিলেন। ‌ তবে কেন এমনটা ঘটলো সে বিষয়ে তারা কিছু বুঝতে পারছেন না।@প্রান্তভূমি
Share on

বিশ্ব নাট্য দিবসে শুরু নাট্যরূপার তিনদিনের নাট্যোৎসব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৮ মার্চ :: বিশ্ব নাট্য দিবসের দিন ২৭ মার্চ শুরু হল নাট্যরূপা, চিত্তরঞ্জন আয়োজিত নাট্যোৎসব। ২৭, ২৮, ২৯ মার্চ মোট বারোটি নাটক নিয়ে কেবলস শ্রমিক মঞ্চে এই নাট্যোৎসব চলছে। নাট্যরূপার সদস্য শুভব্রত ঘোষ স্মরণে এবারের নাট্যোৎসব। ২৭ মার্চ নাটক শুরুর আগে কিছু অনুষ্ঠান ছিল। উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশনের পর প্রয়াত নাট্য ব্যক্তিত্ব শুভব্রত এবং মনোজ গোস্বামীর প্রতিকৃতিতে মালা পরানো হয়। তাঁদের স্মরণ করে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন বিভিন্ন জন। বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব সুমন সিংহ রায় ও শান্তনু মল্লিককে নাট্যরূপার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর ছিল নৃত্য। ২৭ মার্চ চারটে নাটক দেখার সুযোগ পান দর্শকরা। এদিন ছিল বিকল্প, রূপনারায়ণপুর পরিবেশিত নাটক "প্রলাপ কথন।" দ্বিতীয় নাটক ছিল নান্দীরঙ্গ, কলকাতার নাটক "আকাশচুম্বন"। তৃতীয় পরিবেশন ছিল শ্যামনগর নাট্যবিতানের "বহ্নিমান।" শেষ পরিবেশন ছিল সুভাষ সমিতি, আসানসোল-এর "সোঁদা মাটির আগুন।" আজ ২৮ মার্চ আছে চিত্তরঞ্জনের চারটি দলের নাটক। এদিন পরিবেশিত হবে পরবাস নাট্যদলের নাটক "প্রত্যাঘাত", অযান্ত্রিক নাট্যগোষ্ঠীর ছায়ামানুষের গল্প, নাট্যরূপার "শুদ্ধ বাবুর যুদ্ধ" এবং আন্তরিক পরিবেশন করবে "ব এ বলতে হবে।" আগামীকাল ২৯ মার্চ-এর নাটকগুলি হল স্বপ্ন অঙ্গন, বর্ধমান-এর ২১শের গল্প; আর্জব নাট্যগোষ্ঠী, কালীঘাট , কলকাতার নাটক "উত্তরণ"; প্রত্যয়ী, আসানসোল-এর "সোনার কুড়ুল"; সৈদাবাদ নবীন, বহরমপুর পরিবেশন করবে "অত দিতে পারব না।" এদিন সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হবে গ্রুপ থিয়েটার পত্রিকার সম্পাদক দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।@প্রান্তভূমি
Share on

চরম অঘটন থেকে দশম শ্রেণীর ছাত্রকে রক্ষা করলো রূপনারায়ণপুর পুলিশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের দশম শ্রেণীর ছাত্র যে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে কেউ বিশ্বাসই করতে পারছেন না। রূপনারায়ণপুরের এই ছেলেটি রাগের বশে যে কান্ড ঘটিয়েছে তাকে খুব সহজভাবে নিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসনও। ঘটনা ২৬ মার্চ সকালের। ‌ ছেলেটিকে ঘুম থেকে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তার মায়ের সকাল সাড়ে ছ'টা নাগাদ। ‌ কিন্তু তার আধঘন্টা আগেই তিনি ছেলেকে ঘুম থেকে ডেকে দেন। এরফলে ছেলে কিছুটা বিরক্ত হয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু, এবার তার ঘুম ভাঙ্গে প্রায় সকাল সাড়ে আটটায়। ‌ আর এতেই মায়ের প্রতি আক্রোশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। ‌ পরের দিনই তার ভূগোল পরীক্ষা, প্রস্তুতিতে ঘাটতি থেকে যাবে এই আশঙ্কায় মায়ের প্রতি রাগ চরমে ওঠে। তার ফলে মাকে একটি ঘরে বন্ধ করে অন্য ঘরে সে নিজের গায়ে আগুন লাগানোর চেষ্টা করতে থাকে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে মা রূপনারায়ণপুর পুলিশে ফোন করেন। পুলিশ সামান্যতম সময় নষ্ট না করে সেখানে ছুটে যায় এবং অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শাবল ইত্যাদি দিয়ে ছেলের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ‌ ততক্ষণে ছেলে দেশলাই জ্বালিয়ে নিজেকে শেষ করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। ‌ ইতিমধ্যে পুলিশই ফোন করে দমকলে খবর দিয়েছিল, তারাও এসে উপস্থিত হয়। ‌ যদিও সময় মত পুলিশের হস্তক্ষেপে অঘটন তেমন বড় আকার ধারণ করেনি। এরপর ছেলেটির সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি ও রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা। তারা তরুণ মনের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করেন এবং বুঝতে পারেন কোন কারনে শিশু বয়স থেকেই মা-বাবার প্রতি তার রাগ জমে আছে। সুযোগ পেয়ে সেই রাগেরই বড়সড় প্রতিফলন ঘটে গেছে। তবে রামকৃষ্ণ মিশনে পড়া ছাত্র এতটা রাগ কেন করছে এই প্রশ্ন ছেলেটিকে করেন তারা এবং বলেন বিশ্ব বিখ্যাত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে আছে, মহারাজেরা তাকে সুশিক্ষা দিচ্ছেন, সেখানে তাকেও সংযত হয়ে সবকিছু পালন করতে হবে। ‌ এইসব কথায় অনেকটা কাজ হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। ‌ তবে ছেলেমেয়েদের মানুষ করার ক্ষেত্রে বাবা মায়েদের আরো সংবেদনশীল হওয়ার প্রয়োজন আছে বলে পুলিশ মনে করছে।@প্রান্তভূমি
Share on

বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, পলাতক স্বামী:: পুলিশের হাতে আটক শ্বশুর শাশুড়ি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে কিছুদিন আগে চলে গিয়েছিলেন বাপের বাড়ি। তারপর স্বামীর কথা শুনে দিন কুড়ি আগে ফিরে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না, সেই বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলো আজ বিকেলে। ‌ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল শ্বশুরবাড়িতে । ঘটনা রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির অন্তর্গত আল্লাডি ডাঙ্গালপাড়ার। ‌ জেমারি বাসস্ট্যান্ড থেকে কলাডাবরের দিকে যাওয়ার রাস্তায় পড়ে এই জনপদ। জানা গেছে বছর চারেক আগে এখানেই বিয়ে হয়েছিল পুরুলিয়ার শালতোড় থানা এলাকার পারবেলিয়া বাঘারডাঙ্গা গ্রামের মমতা পালের। আজ দুপুর তিনটের পরে শ্বশুরবাড়িতেই মমতার(২৫) ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার পরেই বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান মমতার স্বামী প্রশান্ত পাল ওরফে ছোটকা। মমতার শ্বশুর সুভাষ পালেরও খোঁজ পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন মৃত মমতার কাকা বুধন কুম্ভকার। বুধন বাবুর অভিযোগ প্রশান্ত তার স্ত্রীকে প্রায়ই অত্যাচার করত। সে ঠিকমতো রোজগারও করত না, কিন্তু মাঝেমধ্যেই নেশা করে বাড়িতে অশান্তি বাধাতো। ‌ এই ঘটনায় তাদের আড়াই বছরের কন্যা সন্তান একেবারে অসহায় হয়ে পড়ল জানিয়ে মৃত মমতার বাবা বিমল কুম্ভকার জানান তারা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত চাইছেন এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন। ‌ তিনি বলেন অঘটনের খবর গ্রামবাসীরা ফোনে তাদের জানান, কিন্তু মমতার শ্বশুরবাড়ি থেকে কেউ তাদের সাথে যোগাযোগ করেননি। ‌ তিনি বলেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ তারা করবেন বলে ইতিমধ্যেই পুরুলিয়া থেকে সলানপুর থানায় যোগাযোগ করেছেন বলে জানান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মৃত মমতার শ্বশুর সুভাষ পাল রাজমিস্ত্রির কাজ, ইট তৈরির কাজে পারদর্শী। তবে মমতার স্বামী প্রশান্ত বিশেষ কিছু একটা করতেন না বলে তারা জানান। ‌ স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যে অশান্তি ঝামেলার কথা জানতে পারলেও একেবারে মৃত্যুর মতো চরম ঘটনা তারা ভাবতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন। এদিকে প্রশান্তবাবুর পরিজনেরা এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করেন। ‌ রূপনারায়ণপুর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সরেজমিন তদন্তে নেমেছে। মৃত মমতার শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করে সালানপুর থানায় পুলিশ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। তবে এখনও খোঁজ নেই স্বামী প্রশান্তর।@প্রান্তভূমি
Share on

নতুন রক্তদাতা সংগঠনের সূচনা রূপনারায়ণপুরে, প্রথম শিবিরেই সংগ্রহ ২৪ ইউনিট

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। দীনবন্ধু মণ্ডল।। ২৭ মার্চ:: স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির আয়োজনের মধ্য দিয়ে আরও একটি রক্তদাতা সংগঠনের পথচলা শুরু হলো রূপনারায়ণপুরে। নতুন এই সংগঠন - স্পন্দন সালানপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি আজ রূপনারায়ণপুর বাউরি পাড়ায় এই শিবিরের আয়োজন করে। শিবিরে মোট ২৪ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। ‌ আসানসোল জেলা হাসপাতালের ভ্রাম্যমান বাসে রক্ত সংগৃহীত হয়। উদ্যোক্তারা জানান, সমাজসেবী জ্যোৎস্না সরকারের ৩২-তম প্রয়াণ দিবস স্মরণে এবং ব্লাড ব্যাংকে গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট দূর করতে এই শিবির আয়োজিত হয়। গ্রামেগঞ্জে রক্ত দান আন্দোলনকে আরো বিস্তৃত করা এবং রক্ত সংগ্রহে মানুষকে সচেতন করার জন্য তারা নিয়মিত উদ্যোগী হবেন বলে জানান। এদিনের শিবির আয়োজনে বাউরী পাড়ার তারা মা ক্লাব কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে তারা উল্লেখ করেন। স্থানীয় বহু ব্যক্তির সঙ্গেই শিবিরে উপস্থিত হয়েছিলেন রক্তদান আন্দোলনের অতি পরিচিত মুখ কবি ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, মধুসূদন ঘটক, দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অরুণাভ দাশগুপ্ত প্রমুখ।@প্রান্তভূমি
Share on

কালো পতাকা, গো ব্যাক স্লোগানের মধ্য দিয়েই আসানসোলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপাল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৭ মার্চ:: আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যপালকে কালো পতাকা এবং গো ব্যাক স্লোগানের মুখোমুখি হতে হলো। আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠান হচ্ছে। ‌ তাতেই প্রধান অতিথি হিসেবে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ডক্টর সি ভি আনন্দ বোস যোগ দিতে এসেছেন। আজ সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে নেমে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজ্যে ভোটের মরশুমে বাড়তে থাকা হিংসার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর জাতীয় সড়ক থেকে কাল্লা মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার মুখে তাকে তৃণমূল সমর্থকেরা কালো পতাকা দেখান এবং "রাজ্যপাল গো ব্যাক" স্লোগান দেন। তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দপ্তর এই সমাবর্তনের সম্মতি না দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এই সমাবর্তন করাচ্ছে। আচার্য কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এদিকে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় ব্যাপক পুলিশী ব্যবস্থা দেখা যায়। গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকেরা রাজ্যপালের ভূমিকার নিন্দা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন, ব্যানার সহ মিছিলও করেছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের আগাম ঘোষিত সূচি অনুযায়ী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উদ্যোগী হয়েছেন। @প্রান্তভূমি
Share on

মদ্যপান ধূমপানের কারণে ভুগলে ডিভিসি কর্মী ভুগতান পাবেন না

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৬ মার্চ:: ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী সমস্ত কর্মীর জন্য বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। ‌ কর্মীদের শারীরিক, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিবছর এই পরীক্ষা করা হবে এবং তাদের যাবতীয় রেকর্ড কলকাতার অফিসে সংরক্ষিত থাকবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যেসব ক্ষেত্রে ডিভিসির কর্মীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ডিভিসির সঙ্গে সংযুক্ত থাকা প্রাইভেট হাসপাতালে করাতে হবে সেক্ষেত্রে ডিভিসির কর্মীদের ২৩০০ টাকা (পুরুষ) এবং ২৪০০ টাকা (মহিলাদের) রি-ইমবার্স বা ভুগতান করবেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এক্ষেত্রে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে বলা হয়েছে, যদি অতিরিক্ত মদ্যপান কিংবা ধূমপানের কারণে কোন কর্মীর স্বাস্থ্য খারাপ হয় এবং তা মেডিক্যাল রিপোর্টে ধরা পড়ে তাহলে ডিভিসি তাদের কোনরকম রি-ইমবার্স দেবে না। এই বিষয়টি উল্লেখ করে যে হেলথ চেকআপ স্কিম তৈরি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ডিভিসি কর্মীরা যেন বিশেষ করে কাজের জায়গায় ধূমপান, পানমশলা গ্রহণ কিংবা তামাক জাতীয় মাদকদ্রব্য ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে চলেন। ‌ বার্ষিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার এই প্রকল্প ডিভিসি কর্মীদের কাজের মাত্রাকে উচ্চ পর্যায়ে ধরে রাখার জন্যই বলে উল্লেখ করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

বসন্ত উৎসবের আমেজে বিশ্ব নারী দিবস, মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলায় রক্তদান শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৫ মার্চ:: শ্রীশ্রী মা মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলা সমিতির উদ্যোগে ২৫ মার্চ পালিত হল বসন্ত উৎসব ও আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সঙ্গীত ও নৃত্যের মাধ্যমে মুক্তাইচণ্ডী তোরণ থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত খোল দ্বার খোল সঙ্গীতের মাধ্যমে আবীর খেলা হয়। তারপর মেলা প্রাঙ্গণের সমুদায় ভবনে নৃত্য গীতের মাধ্যমে একটি অনবদ্য বসন্তের উপর নৃত্য গীতি - আবৃত্তি আলেখ্য পরিবেশিত হয়। মুক্তাইচন্ডী আনন্দ মেলা রক্ত দান সমিতির উদ্যোগে রক্ত দানের উপর উদ্বুদ্ধকরণের সংশাপত্র কোর্সে রাজ্যের মধ্যে বিশেষ স্থান করে নেওয়ার জন্য রিমঝিম গরাই, বনশ্রী বিশ্বাস, ইন্দিরা ঘোষকে আজ বিশেষভাবে সম্মান জানানো হয়। সম্পূর্ণ ভাবে মহিলাদের পরিচালনায় এদিনের শিবিরে ১০ জন মহিলা রক্ত দান করেন। রক্ত সংগ্রহ করেন আসানসোল জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী পুলক চক্রবর্তী ও গৌতম নায়েক। রক্ত দান করেন শুস্মিতা মাজি, ললিতা মণ্ডল, শিল্পা বাউরি,রুমা বাউরি,বুনী গরাই, নমিতা গরাই, রীণা গরাই, নিয়তি চন্দ্র, পূর্ণিমা গরাই, রিমঝিম গরাই। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মণ্ডল, কুলটি টাউন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দেবাশীষ চক্রবর্তী, ইন্দ্রানী চক্রবর্তী, উজ্জ্বীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতির গৌতম মুখার্জি ও সস্ত্রীক অভিজিৎ মণ্ডল, শুভাশীষ খাওয়াস, আছড়া রায় বলরাম উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রিরা ঘোষ, পিস ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কর্ণধার শুভদীপ সেন প্রমুখ। মেলা কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত ভাণ্ডারী, সভাপতি দীপক মাহাতা সহ সকল সদস্য ও কর্মকর্তাদের আন্তরিক আপ্যায়নে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণ ছিল মুখরিত।@প্রান্তভূমি
Share on

পল্লীমঙ্গল সমিতির রক্তদান শিবিরকে ঘিরে উৎসাহের ঢল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ মার্চ:: মহান বিপ্লবী বীর শহীদ ভগৎ সিং রাজগুরু ও সুখদেবের আত্ম বলিদান দিবসে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে রূপনারায়ণপুরের পল্লীমঙ্গল সমিতি। ‌ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে এই শিবিরে এলাকাবাসী অংশ নেন। পল্লীমঙ্গলের সকল সদস্য ও শুভানুধ্যায়ী শিবিরকে সফল করতে এগিয়ে আসেন। ‌ ২৩ মার্চের সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত এই শিবিরে শিল্পাঞ্চলের রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলির বিভিন্ন ব্যক্তি সমিতির সদস্যদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেন। শিবিরকে কেন্দ্র করে পল্লীমঙ্গল প্রাঙ্গণ উৎসবের আকার ধারণ করেছিল। ‌ এদিন বহু শিল্পী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। শিবিরে ২৫ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন তারা বছরভর নানান সামাজিক কাজে নিয়মিত নিজেদের নিয়োজিত করবেন । খুব শীঘ্রই চাকরির প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হবে পল্লীমঙ্গল সমিতির উদ্যোগে। উপস্থিত সকলেই সমিতির এই কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

সপ্তাহান্তে পাঠচক্রের ৪৬-তম বর্ষপূর্তি উৎসব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২৫ মার্চ :: শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ পাঠচক্রের ( চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর)ছেচল্লিশতম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণদেব, শ্রীশ্রী মা সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের জন্মোৎসব যথোচিত মর্যাদা ও আড়ম্বরপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে ২৯,৩০ ও ৩১ মার্চ পাঠচক্রের নিজস্ব প্রাঙ্গণে। ২৯ মার্চ সকাল ৯টায় উদ্বোধন। ৯.৩০ টায় ভক্ত সম্মেলন, সন্ধ্যা ৭ টায় নাটক নটী বিনোদিনী। ৩০ মার্চ সকাল ১১ টায় যুব সম্মেলন, সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় ধর্মসভা। ৩১ মার্চ ভোর ৫ টায় মঙ্গলারতি ও স্তবগান, ৮.০০টায় বিশেষ পূজা ও হোম, ১১ টায় পুরস্কার বিতরণ, দুপুর ১২.৩০ টা থেকে ২.৩০ টা পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ। সন্ধ্যা ৬.৩০ টায় ধর্মসভা, স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ। উপস্থিত থাকবেন রামকৃষ্ণ মঠ মিশনের বিশিষ্ট মাতাজী ও মহারাজগণ। পাঠচক্রের কর্মকর্তাগণ এই মহতি অনুষ্ঠানে সকলের ঐকান্তিক অংশগ্রহণ কামনা করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

রূপনারায়ণপুরে গাড়ি দুর্ঘটনা, আহতদের হাসপাতালে পৌঁছায় পুলিশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৫ মার্চ:: দোলযাত্রা- হোলি নির্বিঘ্নে উদযাপন করার জন্য পুলিশ প্রশাসন থেকে বারবার সর্তকতা জারি করা হলেও হুঁশ নেই সাধারণ মানুষের। ‌ গতরাত প্রায় 11:30 টা নাগাদ রূপনারায়ণপুর সামডি রোডে আলুগুদাম রাস্তার মুখে ঘটে গেল দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী সামডির দিক থেকে একটি বোলেরো গাড়ি রূপনারায়ণপুরের দিকে আসছিল, বিপরীত মুখে যাচ্ছিল একটি স্কুটি। তারা জানান ওই স্কুটিতে চার ব্যক্তি চড়েছিলেন। তাদের মধ্যে চালক পুরুষ, বাকি দুজন মহিলা এবং একটি শিশু। স্কুটির সঙ্গে বোলেরোর সংঘর্ষ হয়, তাতে স্কুটি গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বলেরোর পিছনের দিকের অংশ ভেঙে যায়। ‌ দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি থাকা মানুষজন দ্রুত সেখানে পৌঁছে তাদের প্রাথমিক শুশ্রূষা করেন এবং রূপনারায়ণপুর পুলিশে সংবাদ দেন। রূপনারায়ণপুর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুটির আহত যাত্রীদের গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠায়। বোলেরোর চালক অক্ষত আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আহতদের বাড়ি পিঠাকিয়ারি অঞ্চলে বলে জানা গেছে। এদিকে বেপরোয়া গাড়ি না চালানো, স্কুটির মত ছোট বাইকে একাধিক ব্যক্তিকে না বসানো, হেলমেট পরা, গাড়িতে চোখ ধাঁধানো আলোর ব্যবহার না করা, অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় গাড়ি না চালানো ইত্যাদি বিষয়ে পুলিশ বারবার সতর্ক করলেও কিছু মানুষ তা অবহেলা করছেন জানিয়ে পুলিশ বলছে এবার রাস্তায় নেমে অত্যন্ত কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।@প্রান্তভূমি
Share on

লোকসভায় প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা, দোলাচল অব্যাহত আসানসোলের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: রাজ্যের তুখোড় বিজেপি নেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালকে মেদিনীপুরে লোকসভার প্রার্থী করল বিজেপি, আর দিলীপ ঘোষকে প্রার্থী করে টেনে নিয়ে এলো বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে। কিন্তু আসানসোল নিয়ে বিজেপির দোলাচল এখনও কাটলো না। তবে স্থানীয় প্রার্থী জিতেন্দ্র তেওয়ারি নাকি বাইরের কোন নামজাদা ব্যক্তিকে এখানে আনা হবে তাই নিয়েই দ্বন্দ্ব চলছে বলে জানা গেছে। ‌ অনেকেই আশা করেছিলেন আজ বিজেপি আসানসোল কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করবে। তাহলে তৃণমূলের শত্রুঘ্ন সিনহা, সিপিআইএমের জাহানারা খান এবং বিজেপির কে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হচ্ছেন তা জানা যাবে। ‌ কিন্তু তা না হওয়ায় সর্বস্তরেই বিস্ময় দেখা দিয়েছে। ‌ অন্যদিকে বিজেপির জারি করা তালিকায় স্বাভাবিকভাবেই তমলুকে প্রাক্তন বিচারক অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, আবার ব্যারাকপুরে অর্জুন সিং-এর নাম নির্দিষ্ট হয়েছে। কিন্তু দুবারের জেতা সিট আসানসোলের জন্য এবার একেবারে প্রথমেই ভোজপুরি গায়ক পবন সিং-এর নাম ঘোষণা করে দেবার পর তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই তার নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের কাছে। যদিও পরবর্তী সময়ে পবন সিং টুইট করে ভোটে লড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এমনকি আসানসোলে দিনভর প্রচারও করে গিয়েছেন আর এক ভোজপুরি নায়ক নিরহুয়া। ‌ এত সবের পরেও আসানসোলের প্রার্থী বিজেপি ঘোষণা করতে না পারায় স্বাভাবিকভাবেই বিস্মিত রাজনৈতিক মহল। তবে ডায়মন্ড হারবারেও এই দফায় বিজেপি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি।@প্রান্তভূমি
Share on

হোলির মুখে হাসি ফুটলো কেবলসে, বকেয়া পিএফ মেটাতে প্রক্রিয়া শুরু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: হোলির মুখেই হিন্দুস্তান কেবলসে এলো সুখবর। এই কারখানার সমস্ত ঠিকা কর্মীদের প্রাপ্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হল। ‌ 22 মার্চ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন হিন্দুস্তান কেবলস কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন দুর্গাপুরের এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন ১১ মার্চ কেবলস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে বলেছেন যাতে এখানকার ঠিকা কর্মীদের চূড়ান্ত কেওয়াইসি তাদের কাছে সম্পূর্ণভাবে পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী ঠিকা কর্মীরা এবং তাদের নিয়োগকারী সংস্থা যাতে অবিলম্বে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তার জন্য হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর প্রশাসনিক ভবন গেটের দেওয়ালে একটি বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ‌ এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই কেওয়াইসি জমা করা যাবে কাজের দিন বেলা এগারোটা থেকে দুটোর মধ্যে। এইসব জমা হওয়া কেওয়াইসি পরীক্ষা করে অনলাইন অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হবে। ‌ এরই সঙ্গে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন দুর্গাপুর অফিস জানিয়ে দিয়েছে কর্মীরা একইসঙ্গে যেন '১৩-আর' ক্লেম ফর্ম অথবা ফর্ম-19 জমা করেন অনলাইন মাধ্যমে। ‌বিশেষ সূত্রে জানা গেছে প্রায় ৮০ জন ঠিকা কর্মী এই তালিকায় আছেন। ‌ এদের প্রাপ্য পিএফ-এর অর্থ হিন্দুস্তান কেবলস কর্তৃপক্ষ 2017 সালের 31 জানুয়ারি এই কারখানা পাকাপাকিভাবে বন্ধ হওয়ার আগেই পিএফ অফিসে জমা করে দিয়েছিলেন। ‌ কিন্তু প্রক্রিয়াগত কিছু কারণে সেই অর্থ কর্মীরা পাচ্ছিলেন না। এবার পিএফ অফিস তাদের কেওয়াইসি আপডেট করে তাদের প্রাপ্য অর্থ ব্যাংকের একাউন্টে পাঠিয়ে দেবেন বলে জানা গেছে। ‌কেবলস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন এই সংক্রান্ত নোটিশ কারখানার অফিস গেটের বাইরে টাঙ্গানো আছে। ২৬ মার্চ থেকে তা দেখে যেন কর্মীরা যথাযথ পদক্ষেপ করেন। ‌ ঠিকে কর্মীদের পিএফ-এর অর্থ পাওয়ার বিষয়ে সুরাহা হওয়াই এখানকার শত শত প্রাক্তন কর্মীদেরও বিভিন্ন বকেয়া পাওয়ার বিষয়ে আশা জাগছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
Share on

হোলির মুখে হাসিপাহাড়ির মাঠে বাজেয়াপ্ত বিদেশি মদ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খন্ডে পাচারের পথে বাজেয়াপ্ত হল বিদেশি মদ। হোলির মুখে পুলিশের নজরদারি যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর তাতেই বাংলা ঝাড়খন্ড সীমানার মাঠে ইম্পিরিয়াল ব্লু ব্লেন্ডার সহ বিভিন্ন বিদেশি মদ বাজেয়াপ্ত হল। ‌ ২৩ মার্চ রাতে টহলদার পুলিশের গতিবিধি আঁচ করে পাচারকারীরা মদ ভর্তি ঐ ব্যাগ ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। ‌হাসিপাহাড়ি মাঠের পাশে ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকা মালিকহীন ঐ ব্যাগ ঝাড়খন্ডের মিহিজাম পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খন্ডে চোরাই পথে এই মদ চালান হচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পারে। এ বিষয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।@প্রান্তভূমি
Share on

বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৪ মার্চ:: বিপজ্জনকভাবে হেলে আছে বিদ্যুতের তারবাহী খুঁটি। রূপনারায়ণপুরের প্রাণকেন্দ্র ডাবর মোড় থেকে দুর্গা মন্দির যাওয়ার রাস্তার মুখেই এই অবস্থা হয়ে আছে বেশ কিছুদিন ধরে। ‌ রাস্তার পাশে একদিকে জনবহুল হোটেল সহ অন্যান্য দোকানদানি, অন্যদিকে মুদি সামগ্রীর বড় বড় দোকান। তাছাড়াও দুর্গা মন্দির রোড সব সময় গাড়ি-ঘোড়া সহ মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে। এরমধ্যে কোনক্রমে হেলে পড়া বিদ্যুতের খুঁটি টাল সামলাতে না পারলে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‌বিপজ্জনক ওই বিদ্যুতের খুঁটি হেলে রাস্তার অপর দিকের বিল্ডিংয়ের কাছাকাছি চলে গেছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন স্থানীয় মানুষজন।@প্রান্তভূমি
Share on

নতুন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিনব অভ্যর্থনা ডিএভি স্কুলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ মার্চ:: স্কুলে প্রবেশের পথেই হাতে আবিরের থালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পড়ুয়ারা। ‌ সেখানে দিয়ে আজ যখন এখানে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকেরা প্রবেশ করছেন তখন তাদের কপালে আবিরের টিপ দিয়ে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে ওই সব পড়ুয়ারা। যে স্কুলে নতুন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়েছে সেখানকার পরিবেশ, সহপাঠী বন্ধু এবং স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মীরা কেমন তা নিজের চোখে দেখে নেওয়ার অভূতপূর্ব এক সুযোগের সৃষ্টি করল হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুল। নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের আন্তরিকভাবে এই স্বাগত জানানোর উদ্যোগ ডি এ ভি স্কুলে এ বারই প্রথম আয়োজিত হলো। এরই পাশাপাশি সকলের মঙ্গল কামনায় অনুষ্ঠিত হলো পূত যজ্ঞ। অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সামনে খোলা মনে কথা বললেন অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার এবং তিনি এখানে পড়ুয়াদের বুদ্ধির বিকাশ নিশ্চিন্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন। বললেন, স্কুল সার্বিকভাবে সর্বোচ্চ স্তরের শিক্ষাদানের পাশাপাশি জীবন গঠনের যাবতীয় প্রক্রিয়ায় পড়ুয়াদের সামিল করবেন। ‌ পড়ুয়াদের সামনে এদিনই পরিষ্কার করে দিলেন এখানকার নিয়মাবলী এবং মূল্যায়নের পদ্ধতিগুলি। যা দেখে অভিভূত অভিভাবকেরা। তারা বলেন এইভাবে স্কুলের সঙ্গে নতুন পড়ুয়া এবং তাদের অভিভাবকদের একাত্ম করে নেওয়ার যে প্রচেষ্টা স্কুল দেখালো তা সত্যিই অভিনব। ‌ হোলি উপলক্ষে এদিন প্রত্যেকের কপালে আবিরের ছোঁয়া দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলে উচ্চমানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ‌ নতুন সেশন শুরু হওয়ার আগেই নতুন শিক্ষার্থীদের এইভাবে স্কুলের সঙ্গে পরিচিত করে দেওয়ার উদ্যোগকে সকলেই সাধুবাদ জানান।@প্রান্তভূমি
Share on

বসন্ত উৎসবকে ঘিরে চিত্তরঞ্জনে 'শান্তনিকেতনী সোনাঝুরি', মাতোয়ারা মানুষজন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২৩ মার্চ:: আজ সন্ধ্যা থেকেই বসন্ত উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে চিত্তরঞ্জন থেকে রূপনারায়ণপুর। চিত্তরঞ্জন ছয়ের পল্লী এরিয়া কমিটির উদ্যোগে কমিউনিটি হল সংলগ্ন মাঠে চলছে অভূতপূর্ব বসন্ত মিলন মেলা। একদিকে মঞ্চে চলছে মন মাতানো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যদিকে উন্মুক্ত মাঠে উৎফুল্ল মানুষজন ঘুরে ঘুরে স্বাদ নিচ্ছেন নানান খাদ্যদ্রব্যের। খাদ্য দ্রব্যের স্টলের পাশাপাশি পশরা সাজিয়েছে একাধিক বস্ত্র এবং প্রসাধানী সামগ্রীর সম্ভার। ‌ এ যেন এক নতুন শান্তিনিকেতনী সোনাঝুরি। বসন্ত উৎসবকে ঘিরে এই আয়োজন আজ ২৩ এবং আগামীকাল ২৪ মার্চ চলবে। ‌ এদিন মঙ্গলদ্বীপ জ্বেলে এই আয়োজনের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ডেপুটি ওয়ার্ডেন রঞ্জন পরামানিক, ডাক্তার অশোক চক্রবর্তী, ডাক্তার টুলু চক্রবর্তী এবং আয়োজক এরিয়া কমিটির প্রাণপুরুষ বাপ্পা কুন্ডু। এদিন শিবাঙ্গী মল্লার, এরিয়া ৬ যোগাসন চর্চা কেন্দ্র, এ্যরোবিক্স ফিটনেস একাডেমি, সুদেষ্ণা ড্যান্স গ্রুপ অত্যন্ত উচ্চমানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। বসন্ত উৎসবকে ঘিরে চিত্তরঞ্জনে এই ধরনের নান্দনিক আয়োজনের মানুষজন প্রাণভরে আস্বাদ নিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গটি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন বাপ্পা কুন্ডু। তিনি বলেন মানুষে মানুষে মিলনের এই ক্ষেত্র সকলকে আরো কাছাকাছি আনবে, একে অপরের পাশে দাঁড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করছেন দক্ষ সঞ্চালক সুব্রত দাস।@প্রান্তভূমি
Share on

নির্বাচনী পথসভায় জাহানারা তুললেন হিন্দুস্তান কেবলসের প্রসঙ্গ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: কর্মীসভার পর এবার প্রকাশ্য নির্বাচনী পথসভায় রূপনারায়ণপুর কল্যাণগ্রামে এলেন আসানসোল লোকসভায় বাম প্রার্থী জাহানারা খান। আজ কল্যাণগ্রাম-১ নম্বর অঞ্চলের পুজো মন্ডপের মাঠ এবং রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ে তিনি ভাষণ দেন। ‌ জাহানারা বলেন, স্লোগানটা ছিল - না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। কিন্তু আজ নির্বাচনী বন্ড প্রমাণ করল খাউঙ্গা, কিসিকো পেট মে খানা নেহি দুঙ্গা। তার বক্তব্যে উঠে আসে হিন্দুস্তান কেবলস কারখানার কথা, বিগত দিনের সংসদেরা কি বলেছিলেন সেই কথা। কারখানা বাঁচাতে না পারলেও বড় বড় কথা তাদের মুখ থেকে বেরিয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। ‌ তিনি জিজ্ঞাসা করেন, বর্তমান সাংসদকে কখন দেখেছেন আপনারা? এই ভোট দেশ বাঁচানোর ভোট। দেশ বাঁচলে কৃষক যুবক শ্রমিক গরিব মানুষ বাঁচবে। কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রের সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দিচ্ছে; অন্যদিকে ধর্মকে উসকে দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে। ‌ নারীদের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন ডবল ইঞ্জিন সরকার মহিলাদের উপর ডবল নির্যাতন নামিয়ে আনছে। ‌ অন্যদিকে রাজ্যে খাদ্য দপ্তর, শিক্ষা দপ্তর জেলে। ৩৪ বছরের বাম সরকারের আমলে এমনটা কি মানুষ দেখেছিল? বিগত নির্বাচনগুলিতে যে ভুল মানুষ করেছে সেই ভুল না করে এবার বাম প্রার্থীদের জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি। ‌ সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য। ‌সভায় বাম নেতা গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জী, মনোজ দত্ত, অসীম ব্যানার্জি, তৃপ্তি ভট্টাচার্য, আবীর ঘোষ, মেঘনাথ ব্যানার্জি, অশোক ব্যানার্জি, শিপ্রা মুখার্জি, গনেশ পন্ডিত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোটের কাজ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত সালানপুর ব্লকের একশ্রেণির কর্মীদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: লোকসভা নির্বাচনের মুখে সালানপুর ব্লকের এক শ্রেণির কর্মীরা ভোটের কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন নির্বাচন কমিশনকে। আজ সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসের মাধ্যমে তারা তাদের লিখিত এই সিদ্ধান্ত আসানসোল লোকসভার রিটার্নিং অফিসার তথা জেলাশাসক এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন। ‌ ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প রূপায়ণের সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা এই আবেদন জানিয়েছেন। ‌ তারা বলেছেন লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মত প্রাপ্য অর্থ তাদের দেওয়া হয় না। ‌ তারা কোনরকম সরকারি স্থায়ী কর্মীর স্বীকৃতি পাননি। এই রাজ্যে অন্যান্য ক্ষেত্রের চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ষাট বছর পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা এবং নির্দিষ্ট পে স্কেলে বেতন পেলেও তাদের ক্ষেত্রে চুক্তি প্রথা বন্ধ করা হয়নি, নির্দিষ্ট স্কেলে স্থায়ীকরণও হয়নি। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন লিখিত নির্দেশে জানিয়েছে কোনভাবেই কোন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত করা যাবে না। কিন্তু সেই নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য সালালানপুর ব্লকে যে বিভিন্ন বিভাগ তৈরি হয়েছে তাতে নির্দিষ্ট ডিউটি দিয়ে তাদের রাখা হয়েছে। ‌ চুক্তিভিত্তিক এইসব কর্মীরা জানিয়েছেন ভোট প্রক্রিয়ার সময় কোন কারনে দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত সরকারি স্থায়ী কর্মীরা নানা রকম সামাজিক সুরক্ষা পান কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে সেই সুরক্ষা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। ‌ ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা, রিপোর্ট রিটার্ন, ডিসিআরসি, এমসিসি, ডাটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনী কাজে তাদের যুক্ত করা হয়েছিল কিন্তু সেই বাবদ কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী তাদের কোনরকম সাম্মানিক বা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়নি। ‌ তাই তাদের সিদ্ধান্ত, সরকারি কর্মীর স্বীকৃতি না পেলে তারা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনভাবেই কাজ করতে পারবেন না।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোটে সুবিধা অ্যাপ, আসানসোল এসডিও অফিসে সর্বদলীয় বৈঠক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ হবে ১৩ মে। ‌ তার আগে ১৮ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি, সেদিন থেকেই ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২৬ এপ্রিল মনোনয়ন পরীক্ষা, ২৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন নির্দিষ্ট করেছে নির্বাচন কমিশন। ‌ ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন সর্বস্তরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ‌ ২১ মার্চ আসানসোল এসডিও অফিসে মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সেল, রেল, ই সি এল, এ ডি ডি এ, এ এম সি প্রভৃতি সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ‌ বৈঠকে আদর্শ আচরণবিধি অনুসরণ করা নিয়ে জোর দেওয়া হয়। ‌ এছাড়াও "সুবিধা" অ্যাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলি লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন কমিউনিটি হল, মাঠ ইত্যাদি ব্যবহারের অনুমোদন সহজে নিতে পারবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়। নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনিক স্তরে যাবতীয় পদক্ষেপের বিষয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদে আলোচনা হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

শেষ হলো ১৮-তম মাইথন উৎসব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: বিভিন্ন সংস্কৃতিক কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হল 18-তম মাইথন উৎসব। এই উৎসবে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিল ষাটোর্ধদের দৌড় প্রতিযোগিতা। দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রতিযোগিতা গোগনা চেয়ারম্যানস ক্যাম্প থেকে পোস্ট অফিস মোড় পর্যন্ত হয়। এতে প্রথম হন অজয় সেন, দ্বিতীয় ডিভিসি মাইথনের প্রাক্তন সুরক্ষা আধিকারিক গোরাচাঁদ মন্ডল, তৃতীয় অসীম দাস, চতুর্থ বাবলা মজুমদার, পঞ্চম প্রবীর সরকার, ষষ্ঠ দ্বারিকা মন্ডল, সপ্তম চিত্তরঞ্জন সাহা এবং অষ্টম হন মিহির নাথ। ৯ মার্চ থেকে পক্ষ কালব্যাপী এই উৎসবে বসে আঁকো, পুরুলিয়ার বিখ্যাত ছৌ নাচ, আদিবাসী নৃত্য, সংগীত প্রতিযোগিতা, মহিলাদের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, রক্তদান শিবির, বিভিন্ন বয়সী ছেলেমেয়েদের দৌড় প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিখ্যাত লোকগীতি গায়িকা সায়ন্তিকা সোমের সংগীতানুষ্ঠান সহ অন্যান্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। উৎসব কমিটির সকল সদস্যের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় মাইথন উৎসব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়। ‌ নিরসার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চ্যাটার্জী, অনিন্দিতা চ্যাটার্জী সহ বহু গন্যমান্য ব্যক্তি উৎসবের বিভিন্ন দিনে উপস্থিত হয়েছিলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

দুঃস্থ মেধাবীদের বই-খাতা দিল অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: দিদিমা টিউশনি পড়িয়ে কোনক্রমে সংসার নির্বাহ করছেন। আর অভাবের সেই সংসারে থেকেই মাথা উঁচু করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে তার দুই নাতি নাতনী। তাদের বাবা নেই, মা-ও অন্যত্র চলে গেছেন। তাই দিদিমা'র এই লড়াইকে সম্মান জানাতে তারা প্রাণপাত করে যাচ্ছে। কিন্তু বাধা একটাই, তা হলো অভাব। এবার সেই অভাবকে পরাস্ত করতে তাদের সঙ্গী হলো অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটস। জোড়বাড়ির বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়া কনিষ্ক সাহা এবং অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ঊষসী সাহার পড়ার যাবতীয় বই খাতা ২০ মার্চ তাদের হাতে তুলে দিলেন সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ ঘোষ, সালানপুর ব্লক সম্পাদক চিত্তরঞ্জন প্রসাদ, মিহির দাস। তবে, এবারই প্রথম নয় - ভবিষ্যতেও এই সহযোগিতার হাত তারা বাড়িয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।@প্রান্তভূমি
Share on

আরও একটি নাট্যোৎসব হতে চলেছে শ্রমিক মঞ্চে:: নাট্যরূপার ৬২ পূর্তি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২২ মার্চ:: একটি নাট্যোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি নাট্যোৎসব এসে হাজির হচ্ছে হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে। ‌ ২৭ থেকে ২৯ মার্চ এই তিন দিন নাট্যরূপার 62 বছর পূর্তি এবং বিশ্বনাট্য দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ১২ টি নাটক মঞ্চস্থ হতে চলেছে। এরমধ্যে পাঁচটি স্থানীয় এবং সাতটি কলকাতা সহ বিভিন্ন অঞ্চলের নাট্যদল থাকছে। ‌ এই বিষয়গুলি জানানোর জন্য নাট্যরূপার মহলাকক্ষে ২০ মার্চ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নাট্যরূপার পক্ষে বিশ্বজিৎ মুখার্জী, জয়ন্ত চ্যাটার্জী, কালীকৃষ্ণ মুখার্জী, ময়ূখরঞ্জন দত্ত, অখিল মজুমদার, আবীর ঘোষ, মৃণ্ময় ঘোষাল প্রমুখ জানান এই নাট্যোৎসবে প্রয়াত মনোজ গোস্বামীকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হবে এবং নাট্যমঞ্চের নামকরণ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত শুভব্রত ঘোষের নামে। ‌ তারা জানান এই উৎসবে খ্যাতনামা নাট্যকার পরিচালক দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন সিংহরায়, শান্তনু মল্লিক উপস্থিত থাকবেন। নাট্য উৎসবে প্রবেশের জন্য আমন্ত্রণপত্র আছে, তবে কোন নাট্যপ্রেমি দর্শক নাটক দেখতে গেলে তাকে ফিরে আসতে হবে না বলে আশ্বাস দেন নাট্যরূপার পরিচালকেরা। ‌ নাটক শুরু হবে প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা থেকে।@প্রান্তভূমি
Share on

বিজেপি কর্মীর অনশন ভাঙাতে ছুটে গেলেন তৃণমূল নেতা মেয়র বিধান উপাধ্যায়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২১ মার্চ:: ২৩ মার্চের মধ্যে তাদের সমস্যার সমাধান না হলে অনশন মঞ্চেই পরিবারের সকলে মিলে আত্মহত্যা করবেন - এই কথা শোনার পরেই বিজেপি কর্মীর পরিবারের অনশন মঞ্চে গিয়ে হাজির হলেন তৃণমূল নেতা বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তবে বিধান বাবুর হাত থেকে তারা ফলের রস গ্রহণ করলেও পুরোপুরি অনশন থেকে সরে আসছেন না বলে জানিয়েছেন। অনশনকারীদের দাবি বিজেপির রাজ্য স্তরের কোন ব্যক্তি তাদের সাথে দেখা করে সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত তারা শক্ত খাবার কিছু খাবেন না এবং 23 মার্চের মধ্যে তা না হলে সপরিবার অনশন মঞ্চেই প্রাণ ত্যাগ করবেন। ঘটনা আসানসোল কর্পোরেশন এলাকার সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলের ১০৪ নম্বর ওয়ার্ড। ‌ এখানেই বিজেপির যুব নেতা পবন সিং একটি বাড়ি তৈরি করছিলেন। তার অভিযোগ ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই নির্মীয়মান বাড়ি বিজেপিরই অন্য নেতা অভিজিৎ আচার্য লোক লাগিয়ে ভেঙে দেন। ‌ অভিজিৎবাবু তাদের কাছে দু লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন কিন্তু দাদাগিরির সেই দু লক্ষ টাকা তারা দিতে না চাওয়ায় পবনকে দলীয় অফিসে রাতে ডেকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ‌ যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন অভিজিৎ বাবু। তিনি পরবর্তী সময়ে হাইকোর্ট থেকে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জামিন পান। ‌ কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পবন সিং, তার স্ত্রী সুনীতা দেবী ১৮ মার্চ থেকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অনশন শুরু করেন । তাদের দাবি অভিজিৎ বাবু রাতের বেলায় লোক পাঠিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। অনশন মঞ্চ থেকে তারা দাবি করেন তারা সমস্ত কিছু নিয়ম মেনে বাড়ি তৈরি করছেন কিন্তু সেটা হতে দিচ্ছেন না অভিজিৎ বাবুরা। তাই এবার বিষয়টি হেস্ত নেস্ত চেয়ে তারা অনশন মঞ্চ থেকেই প্রাণ ত্যাগ করবেন বলে জানিয়ে দেন। এই বিষয়টি জানতে পেরেই "মানবিকতার খাতিরে" তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান বিধান বাবু এবং বলেন আন্দোলন চলুক কিন্তু অনশন নয়। এরপরই তিনি তাদের হাতে ফলের রস তুলে দেন এবং তারা সেটি পানও করেন। যদিও বিজেপির এটি নিজস্ব বিষয় এবং তাদের কোন নেতা পবন ও সুনীতা দেবীকে আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত তারা অনশন তুলবেন না বলে বিধান বাবু মন্তব্য করেন। এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি প্রথমেই অভিযোগ পাওয়া মাত্র ১০ জনের একটি কমিটি গড়ে দু পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। তাদের সেই রিপোর্ট বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মতোই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে বাপ্পা বাবু জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

দলীয় কর্মীরাই আমাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী-কর্মীসভায় বললেন জাহানারা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ২০ মার্চ :: আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে বামফ্রন্ট মনোনীত সিপিআইএম প্রার্থী জাহানারা খানের সমর্থনে কর্মীসভা হল রূপনারায়ণপুরে। সিপিআইএমের দলীয় অফিসে আয়োজিত আজকের এই সভায় প্রথমেই বক্তব্য রাখেন দলের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য পার্থ মুখার্জী। পার্থবাবু বলেন, নির্বাচন হচ্ছে আমাদের কাছে একটা রাজনৈতিক সংগ্রাম। এই রাজনৈতিক সংগ্রামে সংগঠকদের ভূমিকা কি হবে তার বিস্তৃত ব্যাখ্যা করেন। এবারে নির্বাচন কতখানি গুরুত্বপূর্ণ সে বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন বিজেপিকে দেশ থেকে না সরাতে পারলে তৃণমূলকে রাজ্য থেকে সরাতে পারা যাবে না। এই দুই রাজনৈতিক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত কর্মীকে ময়দানে থাকতে হবে। আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী জাহানারা খান বলেন বামপন্থীরা বিধানসভাতে নেই বলেই এত দুর্নীতি, এত চুরি করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভাতে বামপন্থীদের সংখ্যা কমে গেছে বলেই একের পর এক জনস্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত কেন্দ্র সরকার নিতে পারছে। লোকসভায় আরো বেশি বেশি করে বামপন্থীদের পাঠাতে হবে দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে। দেশের সম্পদ লুট হচ্ছে। ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের দুর্নীতি হচ্ছে। কোন নিয়োগেই কোন স্বচ্ছতা থাকছে না। বিজেপি এবং তৃণমূল একই কারখানার দুই প্রোডাক্ট। আমরা নির্বাচনী বন্ডের নামে কোনরকম টাকা সংগ্রহ করি না। আমাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দশ টাকা কুড়ি টাকা পঞ্চাশ টাকার কুপনের বিনিময়ে অর্থ সংগ্রহ করে তা নির্বাচনে কাজে লাগায়। বেকার বাড়ছে কলকারখানা কমছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। আমাদের দলীয় কর্মীরাই আমাদের কেন্দ্রীয় বাহিনী। কর্মীদের কাছে তিনি আবেদন করেন যেন সকলেই ভোট দিতে পারেন তা আমাদেরই দেখতে হবে।আজকের সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। সভায় সভাপতিত্ব করেন অসীম ব্যানার্জি।@প্রান্তভূমি
Share on

ব্যবসায়ীর ২০ লক্ষ টাকা চুরি জানালা কেটে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: ব্যবসার বিশেষ প্রয়োজনে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দোকানের ক্যাশ বাক্সেই রেখেছিলেন ভোজ্য তেলের ব্যবসায়ী উমেশ কাজোরিয়া। ‌ পুরো সেই টাকাটাই দুষ্কৃতিরা চুরি করে নিল অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গে। রানীগঞ্জের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে তার বাড়ি ও ব্যবসা কেন্দ্র। ‌ উমেশ বাবু জানিয়েছেন সম্ভবত বাড়ির ছাদ বেয়ে দুষ্কৃতি নিচে নামে এবং জানালার একটি অংশের গ্রিল ও কাঁচ ভেঙে অফিসের ভেতরে ঢুকে এই দুষ্কর্ম ঘটিয়েছে। তবে জানালার উপরের যে অংশ ভাঙ্গা হয়েছে তা অত্যন্ত ছোট আকারে, ফলে কোন ছোট ছেলে বা অত্যন্ত ক্ষীণ চেহারার কেউ সেখান দিয়ে ঢুকেছে বলে আন্দাজ। ঘটনার খবর পেয়ে রানীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিকাশ দত্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। ‌ এদিকে রানীগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অবিলম্বে এই ঘটনার কিনারা করে টাকা উদ্ধার এবং দুষ্কৃতিকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে। সমগ্র ওই এলাকা সিসিটিভিতে মোড়া থাকলেও ব্যবসায়ী উমেশ কাজোরিয়ার বাড়ির সিসিটিভি কয়েকদিন ধরে অচল ছিল বলে জানা গেছে। ‌ তিনি বলেন কয়েকদিনের মধ্যেই সেগুলিকে সারিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে তা হচ্ছিল না, তার মধ্যেই এই অঘটন ঘটলো।@প্রান্তভূমি
Share on

আসানসোলে পাচারের পথে গাঁজা আটক পুলিশের, সাফল্য নাকা তল্লাশিতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: উড়িষ্যা থেকে আসানসোলে পাচারের পথে সাড়ে 25 কেজি উন্নত মানের গাঁজা ধরা পড়ল পুলিশের নাকা তল্লাশিতে। আজ ভোরের দিকে কুলটি থানার অন্তর্গত সাঁকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ ডিসেরগড় ব্রিজের কাছে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সে সময় বরাকরের দিকে আসতে থাকা একটি অটো পুলিশের নজরে পড়ে। সেটিকে আটকে তল্লাশি চালাতেই তিনটি বড় ব্যাগ উদ্ধার হয়, ব্যাগগুলির প্রত্যেকটিতেই গাঁজা ঠাসা ছিল। এরপরই অটোর চালকসহ চারজনকে পুলিশ আটক করে। ‌ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে এই গাঁজা উড়িষ্যা থেকে আসানসোলে নিয়ে আসা হচ্ছিল। লোকসভা ভোটের মুখে বিভিন্ন জায়গায় নাকা তল্লাশি বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। বিশেষ করে রাজ্যের সীমানাবর্তী যাতায়াতের পথগুলিতে দিনরাত এই অভিযান চলছে। তাতেই বড়সড়ো সাফল্য পেল কমিশনারেটের পুলিশ।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে ক্ষোভের আগুন:: আউটসোর্সিংয়ের সম্মতি আদায়ে সার্কুলার সুপারভাইজারদের কাছে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: কর্তৃপক্ষ অনড় থাকলে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় বনধের মতো ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ইউনিয়নগুলি চিন্তাভাবনা করছে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও প্রকাশ্যে তারা এ নিয়ে মুখ খোলেননি। গতকাল উনিশ মার্চ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা কর্তৃপক্ষ একটি সার্কুলার জারি করেছেন। ‌ তাতে ১৬ এবং ১৯ নম্বর শপের সুপারভাইজারদের কাছে ১২ টি নির্দিষ্ট ধরনের যন্ত্রাংশ বাইরে থেকে কেনার বিষয়ে তাদের সম্মতি দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই কারখানার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রেল বোর্ড ধার্য করেছে ৬০০টি ইঞ্জিন। ‌ এত বিশাল পরিমাণ ইঞ্জিন উৎপাদনের জন্য আউটসোর্সিং অবশ্যম্ভাবী। ‌ কিন্তু এতদিন আউটসোর্সিং-এর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভেতরে ভেতরে কাজ করলেও এবার একেবারে সার্কুলার জারি করে সুপারভাইজারদের কাছ থেকে আগাম সম্মতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণ একতরফা আখ্যা দিয়ে সিআরএমসি/আইএনটিইউসি এবং লেবার ইউনিয়ন বলেছে তাদের সাথে কোন রকম আলোচনা না করে এত বড় একটি সিদ্ধান্ত রেল কর্তৃপক্ষ চাপিয়ে দিতে চাইছেন। এর ফলে স্টিল ফাউন্ড্রির মতোই এই কারখানার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি বৃহৎ বিভাগের কর্মীরা কাজ হারাতে চলেছেন। ‌ রেলের এই সিদ্ধান্ত তারা কোনমতেই মেনে নেবেন না বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন ২০২২ সালে তিনি রেল বোর্ডকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন এই কারখানার ৬০০ কর্মী কারখানার বহির্বিভাগে আছেন, তাদের ভেতরে এনে সরাসরি ইঞ্জিন উৎপাদনের কাজে লাগানো হোক। তাহলে এখন ৬০০ ইঞ্জিনের উৎপাদন রেলের কর্মীরাই করতে পারবেন। ‌ কিন্তু সে কথায় কান না দিয়ে রেল এখন বাইরে থেকে যন্ত্রাংশ কিনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে চাইছে। ‌ তিনি বলেন - কর্মী দিন, তিন শিফটে ডিউটি করান, আমরাই ৬০০ ইঞ্জিন তৈরি করে দেব। কিন্তু আউটসোর্সিং নিয়ে জোর করলে তারা অভূতপূর্ব আন্দোলনে শামিল হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন আজ, ২০ মার্চ তারা এ বিষয়ে সিইই/লোকোর কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তার সাথে আলোচনায় তারা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই চিত্তরঞ্জনে ৫৪০ টি ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তারা ৫৮০ টি ইঞ্জিন উৎপাদন করেছেন। ‌ ৬০০ ইঞ্জিনও তারাই তৈরি করে দেবেন যদি এখানে কিছু কর্মী নিয়োগ করা হয়। ‌ রেলবোর্ড যেমন একতরফা আউটসোর্সিং-এর নির্দেশ দিচ্ছে তেমনই চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষও তাদের কাছে আবেদন পাঠান যাতে এখানে কর্মী নিয়োগ করা হয়। এই দাবি লেবার ইউনিয়ন জানিয়েছে। কিন্তু আউটসোর্সিং-এর ব্যাপকতা থেকে রেল সরে না এলে বড়সড় আন্দোলন গড়ে উঠবে এবং সেক্ষেত্রে সব কর্মী ইউনিয়নগুলির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হওয়ারও ইঙ্গিত দেন রাজীব বাবু। তিনি বলেন উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই এখানে কর্মী নিয়োগ করতেই হবে। তা না হলে চিত্তরঞ্জনের কোন লাভই হবে না, শুধুমাত্র সংখ্যায় উৎপাদন বৃদ্ধি হবে আর রেকর্ড বইয়ে নাম উঠবে। কিন্তু কারখানার নিজস্ব কর্মী ধীরে ধীরে কমে কারখানার ভবিষ্যৎটাই অন্ধকারে চলে যাবে - এটা তারা কোন মতেই হতে দেবেন না।@প্রান্তভূমি
Share on

ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, রাতেই হলো মৃত্যু:: খুনের অভিযোগে উত্তাল এলাকা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ:: ফোন পেয়ে বের হয়েছিলেন বাড়ি থেকে, তারপর রাতে তারই মৃত্যু ঘটলো ঐ এলাকায়। এই ঘটনায় সম্পর্কের টানাপড়েন থাকতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। গতরাতে এই ঘটনা ঘটেছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকসা থানার গোপালপুর উত্তর পাড়ায়। এখানকার বাসিন্দা পবিত্র বিশ্বাস (২৭) ১৯ মার্চ রাতে বাড়ি থেকে বের হন ‌। এরপর রাত দেড়টা নাগাদ তিনি বন্ধুদের ফোন করে শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে তাদের যেতে বলেন, কারণ তাকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছিলেন। ফো‌ন পেয়ে পবিত্র বাবুর বাড়ির লোকজন কিছু পরেই সেখানে গিয়ে যদিও তার খোঁজ পাননি। এরপর থেকেই পবিত্রবাবুর মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে রাত প্রায় তিনটে নাগাদ শম্ভু দাসের বাড়ি থেকে পবিত্র বাবুর বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় তাদের বাড়ির সামনে অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় পবিত্র পড়ে আছেন। ‌ এই কথা শোনার পরেই পবিত্র বাবুর বাড়ির লোকজন সেখানে ছুটে যান। এবং দেখেন শম্ভু দাসের বাড়ির পাশে পবিত্রবাবু পড়ে আছেন। তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন, গলায় ফাঁসের দাগ দেখতে পান তারা। ‌ সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পবিত্রবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ‌ এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন এবং পবিত্র বাবুর পরিজনেরা ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। বিক্ষুব্ধ মানুষজন শম্ভু দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালান, তার মূল্যবান গাড়ি আগুনে ভষ্মীভূত করে দেওয়া হয়। কাঁকসা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শম্ভু দাসের জামাই গৌরব বালা ও ভাগ্নে বিক্রম বালাকে আটক করে। ‌ এলাকায় শম্ভু দাস সুদের কারবারি বলে পরিচিত, ঘটনার পরেই তিনি পলাতক হয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

নাটক চলছে শ্রমিক মঞ্চে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ মার্চ :: নাটক দেখুক মানুষ। নাটক করুক মানুষ। দর্শক আর নাটক পরিপূরক একে অপরের। নাট্য-স্রোতের প্রবহমানতা বজায় রাখতে তিন দিনের নাট্যমেলা বা মিলন উৎসব হচ্ছে হিন্দুস্তান কেবলস শ্রমিক মঞ্চে। থিয়েটার পয়েন্ট-এর আয়োজনে এবং রূপনারায়ণপুর বিকল্প-র সহযোগিতায় ১৯ মার্চ থেকে ২১ মার্চ নাটকগুলি অভিনীত হচ্ছে। শ্রমিক মঞ্চে সন্ধ্যা ছ'টা থেকে প্রতিদিন তিনটি করে নাটক হচ্ছে। গতকাল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, সংবর্ধনা ও কিছু কথার পর কলকাতার চেতনা আনন্দম, থিয়েটার শাইন এবং বার্ণপুরের দিশারীর নাটক মঞ্চস্থ হয়। আজ ২০ মার্চ সন্ধ্যা ছ'টা থেকে অভিনীত হবে উত্তর দক্ষিণ-এর চরণদাস চোর, বিকল্প-র মনের কথা ও বাঘে শেয়ালে, নাট্যিক কলকাতা রবীন্দ্র-র শাস্তি কার... । আগামীকাল ২১ মার্চ অভিনীত হবে পিকনিক গার্ডেন সুনীল নগর ড্রামা সেন্টার-এর জটা মহাকাল, টালিগঞ্জ রঙ্গব্যাঙ্গ অদ্বিতীয়ার আমি তো আছি, দোমোহানি বাজার নাট্যসেনা-র মহাভারতের যুদ্ধ।@প্রান্তভূমি
Share on

১৫ দিনে ১৪৫ টি বুথের প্রতিটি বাড়িতে যেতে হবে কর্মীদের-নির্দেশ বিধায়কের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৯ মার্চ:: লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ থেকেই সালানপুর ব্লকের প্রতিটি পঞ্চায়েত ধরে ধরে কর্মীসভা শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আজ জিতপুর উত্তররামপুর পঞ্চায়েতের নীললোহিত কমিউনিটি হলে এবং রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের আশীর্বাদ লজে এই কর্মীসভা আয়োজিত হয়। সভায় বিধান বাবু দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন আগামীকাল ২০ মার্চ থেকেই ভোটার তালিকা সঙ্গে নিয়ে বুথ কমিটির সদস্যরা এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছাবেন। তারা প্রত্যেকের সাথে কথা বলে জানতে চাইবেন তাদের সুবিধা অসুবিধার বিষয়গুলি। ‌ কন্যাশ্রী রূপশ্রী স্বাস্থ্যসাথী পেনশন ইত্যাদি সরকারি পরিষেবাগুলি তারা পাচ্ছেন কিনা তার খোঁজ নেবেন। এছাড়াও রাজ্য সরকার ৫০ দিনের কাজের যে নিশ্চয়তা প্রকল্প ঘোষণা করেছেন তার বিষয়ে প্রত্যেককে জানানোর নির্দেশ দেন। ‌ কোন অসুবিধা থাকলে তা লিপিবদ্ধ করা হবে এবং ভোট মিটলেই সেই সব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে বিধান বাবু জানান। বুথ কমিটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ব্লকের এগারোটি পঞ্চায়েতের প্রতিটি ঘরে পৌঁছাবেন, তারপর দলীয় নেতৃত্ব তাদের কাছ থেকে সরেজমিন রিপোর্ট খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে কর্মীসভায় জানানো হয়। সালানপুর ব্লকের ১৪৫টি বুথের আওতায় থাকা কোনো বাড়ি যাতে তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবকরা এড়িয়ে না যান সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। বিধান বাবু বলেন প্রত্যেক পরিবার ও তার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা, খোঁজ নেওয়া তাদের কর্তব্য। সেই কর্তব্য অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে পালন করতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দেন। এদিকে জানা গেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা শীঘ্রই সকাল থেকে সারাদিন এই ব্লকে কাটাবেন। ‌ঐদিন সকালে কল্যানেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চল তিনি ঘুরবেন, মানুষের সাথে কথা বলবেন, দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন তারপর বিকেলে হবে পথসভা। কর্মী সভায় বিধান বাবুর সঙ্গে ছিলেন মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, কৈলাশপতি মন্ডল, বিদ্যুৎ মিশ্র সহ অন্যান্যরা।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে আবার অবস্থান:: আরপিএফ পুলিশের সক্রিয়তা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ মার্চ:: এবার আর খুব একটা সুযোগ তাকে দিল না আরপিএফ ও চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ। গত বছরের জুলাই মাসে সত্যম সোসাইটির সম্পাদক সতীশ সিং চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তায় দিনভর অবস্থান করে বিভিন্ন দাবি জানিয়েছিলেন। সেবারও তাকে আরপিএফ নিরস্ত করেছিল। ‌ আজ কিছুক্ষণ তিনি অবস্থানে বসার পরেই বেলা আড়াইটা নাগাদ আরপিএফ এবং চিত্তরঞ্জন পুলিশ তাকে অবস্থানস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে চলে যায়। আরপিএফ অফিসে তাকে বুঝিয়ে সুুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত অবস্থান থেকে বিরত করার পর সন্ধ্যা ছটা নাগাদ তিনি আরপিএফ অফিস ছাড়েন। ‌ সতীশবাবু আজ তার আইনজীবীর মাধ্যমে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজারকে বেশ কয়েক দফার একটি অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। তাতে দাবী করা হয়েছে এক পদস্থ আধিকারিকের এসটি সার্টিফিকেট সঠিক নয়, সেটি ওবিসি শ্রেণীর হবে ‌। এরই সঙ্গে তার দাবি চিত্তরঞ্জন শহরে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত 8821 টি আবাসন আছে অথচ কর্মী আছেন ৮৬০৮ জন। ১৬৮৫ টি আবাসন ফাঁকা পড়ে আছে। তবুও নতুন করে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ২৫০ টি আবাসন তৈরি করা হয়েছে। ‌ এছাড়াও রেল শহরের প্রায় দুই হাজার দোকানদারের বৈধ অনুমতি পত্র থাকা সত্ত্বেও তাদের যথাযথ লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‌ তার দাবি রেল আবাসনগুলি প্রাক্তন কর্মী ও নির্দিষ্ট আবেদনকারীদের লিজে দেওয়া হোক তাহলে শহর প্রাণবন্ত থাকবে। ‌ ব্যবসায়ীদের হয়রান না করে চালু দোকানগুলিকে সঠিক নথিপত্র দেওয়া হোক। ‌ এছাড়াও সিমজুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকার দোকান ঘর ভেঙে দেওয়া বন্ধ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। ‌ চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ দোকান ভাঙা বন্ধ না করলে তিনি এরপর আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

বিশ্বের দুই প্রান্তের দুই বাঙালি সম্মানিত আসানসোলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ মার্চ:: বিশ্বের দুই প্রান্তের দুই বাঙালি ব্যক্তিত্বকে অভূতপূর্ব সম্মান প্রদর্শনের সাক্ষী থাকলো আসানসোল। এদের মধ্যে একজন দীর্ঘ ৫৭ বছর ধরে লন্ডনে চিকিৎসক হিসেবে অবিসংবাদী হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন ইংল্যান্ডে এফআরসিএস ইত্যাদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরীক্ষার মূল পরীক্ষক। দুনিয়া খ্যাত সেই ডাক্তার দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও লন্ডনেই চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের প্রতিভাবান এই পড়ুয়া চিকিৎসক এখন লন্ডনে বাঙালির মুখ। ‌ অন্যদিকে সাংবাদিকতায় পঞ্চাশ বছর অতিক্রমকারী বিশ্বদেব ভট্টাচার্য। আজ থেকে প্রায় আড়াই দশক আগে তিনি দামোদরের দূষণ নিয়ে বহু কিস্তিতে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলেন। ‌ দামোদরের হাজারীবাগ থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত দীর্ঘ এই এলাকায় কিভাবে দূষণ ঘটছে, তার ফলে পার্শ্ববর্তী এলাকার জনজীবন কিভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে, বিশেষত চর্মরোগ তাদের জীবনে যে বিভীষিকা নিয়ে আসছে সেই সব উল্লেখ করেছিলেন রিপোর্টে। দূষণ রোধে কার্যকরী পদক্ষেপেরও হদিস দিয়েছিলেন বিশ্বদেববাবু। ‌ সেই রিপোর্ট আজও মনে রেখেছে আসানসোলের চিকিৎসক মহল। এই দুই বিশেষ ব্যক্তিত্বকে ১৭ মার্চ আসানসোল ক্লাবে সংবর্ধনা জানালো ডার্মোলজিস্ট সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া। এই আয়োজনে বহু গন্যমান্যের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন আই এম এ-র রাজ্য স্তরের নেতা ডাক্তার অজয় সেন, আসানসোল ক্লাবের সভাপতি সোমনাথ বিসোয়াল, নিরসার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চ্যাটার্জি, উদ্যোক্তা সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি ডাক্তার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু সদস্য। এদিন কথা প্রসঙ্গে লন্ডনবাসী চিকিৎসক দিলীপ বাবু বলেন ৪৫ বছর পর তিনি আবার আসানসোলে পা রাখলেন। তিনি বলেন, ইউরোপ জুড়ে নদী বাঁচানোর বিশেষ পরিকল্পনা সব সময় কার্যকরী করা হয়। ‌ এদেশেও জনজীবনকে সুস্থ রাখার জন্য নদীগুলিকে দূষণমুক্তভাবে অবশ্যই বাঁচিয়ে রাখার উপরে তিনি জোর দেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কল্যাণবাবু বলেন তামলা, সিঙ্গারনি, নুনি ক্রমশ অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে। এইসব নদীগুলিকে বাঁচানোর জন্য সর্বস্তরে উদ্যোগ প্রয়োজন। (ছবিতে একেবারে বাঁদিকে দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, একেবারে ডানদিকে বিশ্বদেব ভট্টাচার্য )@প্রান্তভূমি
Share on

সুবিধা-বঞ্চিত পড়ুয়াদের নিখরচায় কম্পিউটার ইংরেজি শেখাবে ডিএভি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ মার্চ:: সাধারণত বৃহৎ শিল্প সংস্থা এমনটা করে থাকে। তারা তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তার কারখানা এলাকার সাধারণ মানুষের উন্নতিতে ব্যয় করেন। যাকে আমরা সিএসআর বা কর্পোরেট সোশ্যাল রেস্পন্সিবিলিটি হিসেবে উল্লেখ করি। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি স্কুল তার পাশাপাশি অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিখরচায় আধুনিক শিক্ষা দিতে সম্পূর্ণভাবে এগিয়ে আসছে এমনটা কদাচিৎ দেখা যায়। রূপনারায়ণপুর হিন্দুস্তান কেবলস সালানপুর ইত্যাদি অঞ্চলে তো কখনোই এটা আগে পরিলক্ষিত হয় নি। যেটা ঘটলো আজ হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলের হাত ধরে। স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার এবং এখানকার সমস্ত স্তরের কর্মী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের একান্ত উদ্যোগে আজ থেকেই শুরু হলো প্রায় পঞ্চাশ জন সুবিধা বঞ্চিত ছেলে-মেয়েকে কম্পিউটার ও ইংরেজি শিক্ষাদানের নিয়মিত ব্যবস্থা। এজন্য ঝাঁ চকচকে এই স্কুলের সমস্ত পরিকাঠামো যেমন তাদের জন্য ব্যবহৃত হবে সে রকমই শিক্ষাদানে এগিয়ে এসেছেন প্রথিতযশা এই স্কুলের দক্ষ শিক্ষক শিক্ষিকারা। পুরোটাই একেবারে বিনা খরচে করবে স্কুল। স্মরণীয় এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, শিক্ষাবিদ ডক্টর অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায়, সমাজকর্মী বাসুদেব মন্ডল, শুভদীপ সেন, সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, অভয় মন্ডল সহ স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং কর্মীবৃন্দ। ‌ প্রতি সপ্তাহের ৫ দিন এইসব ছেলে মেয়েরা ডিএভি স্কুলে এসে নিয়মিত শিক্ষা নেবে। ‌ অধ্যক্ষ বলেন ডিএভি স্কুল মানেই অর্থ খরচ করে পড়া বা উচ্চ শ্রেণীর মানুষের জন্যই এর দরজা খোলা এমনটা কোনভাবেই ভাবার জায়গা নেই। পড়াশোনা শেখায় আগ্রহী যে কেউ এখানে নির্দ্বিধায় আসতে পারেন। কম্পিউটার এবং ইংরেজির পাশাপাশি প্রয়োজনে ওইসব ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের উন্নত মানের ল্যাবরেটরিগুলি ব্যবহারেরও সুযোগ পাবে বলে অধ্যক্ষ কথা দেন। উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা ডিএভি স্কুলের দৃষ্টান্ত সৃষ্টিকারী এই উদ্যোগকে অকুণ্ঠ সাধুবাদ জানান। ‌ বিশেষ করে এই ব্লকের পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের এইভাবে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে সকলেই ধন্যবাদ জানান। এদিন স্কুলে গিয়ে দেখা গেল সারি সারি কম্পিউটার আর পরিচ্ছন্ন টেবিল চেয়ার তাদের জন্যই রাখা - যারা স্বপ্নেও ভাবেনি এমন একটা সুযোগ তাদের জীবনে আসতে চলেছে। অধ্যক্ষ শ্রী মজুমদার তাদের বলেন জীবনে সুযোগ বার বার ফিরে আসে না, তাই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার এই সুযোগ যেন তারা না হারায়। তারা যেন মন দিয়ে কম্পিউটার সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করে, ইংরেজিতে দড় হয় এটাই চাইছে টিম ডিএভি। @প্রান্তভূমি
Share on

চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে সিএলডব্লু'র অংশ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৮ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হতে চলেছে। ১৬ মার্চ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। এর ফলে এই কারখানার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ স্টিল ফাউন্ড্রি বিভাগ চিরতরে স্তব্ধ হতে চলেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উল্লিখিত অর্থ বর্ষ থেকে এখানে আর কোনরকম উৎপাদন হবে না। এই বিভাগে ইঞ্জিন উৎপাদনে সহযোগী যে সামগ্রী তৈরি হতো তা বাইরে থেকে কেনা হবে। ফলতঃ এই বিষয়টিতে ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে শ্রমিক সংগঠনগুলি। সিআরএমসি/আইনটিইউসি এই সিদ্ধান্তকে একতরফা আদেশ উল্লেখ করে বলেছে তারা কোন মতেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না। উল্টে তারা এখানে আরো কর্মী নিয়োগ করে স্টিল ফাউন্ড্রির উৎপাদন বৃদ্ধি করার দাবি জানিয়েছেন। ‌ আজ এই ইউনিয়নের উদ্যোগে স্টিল ফাউন্ড্রি গেটে বিক্ষোভ প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়। ‌ ইউনিয়ন নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং বলেন কোন মতেই কারখানা বন্ধ করা যাবে না। ‌ বক্তারা বলেন সুপরিকল্পিতভাবে স্টিল ফাউন্ড্রির পরিকাঠামো আগেই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, অথচ এখন বলা হচ্ছে ৩০০ কাস্টিং চাকা তৈরি করতে হবে 2024-25 অর্থবর্ষে। ‌ এই অর্থবর্ষে এখানে ৩০০ ব্যালাস্ট এবং ১০০ কাস্টিং উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপর সবকিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন। চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার বিশাল এই বিভাগে এখনো প্রায় 200 কর্মী নিযুক্ত আছেন। ‌ তারা সকলেই অত্যন্ত দক্ষ। ‌ অথচ এবার তাদের এই কাজ থেকে তুলে কারখানার অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে - যা উৎপাদনের চরিত্রকে ব্যহত করবে। তাই এই বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্তকে কর্মীরা রুখবেনই বলে হুংকার ছাড়েন সিআরএমসি/আইএনটিইউসি নেতাকর্মীরা। ************************* এদিকে স্টিল ফাউন্ড্রি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন। ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন উৎপাদন খরচ বেশি হচ্ছে এই অজুহাতে বাইরে থেকে জিনিসপত্র কেনার পরিকল্পনা করেছে সিএলডব্লু। আগেও এই চেষ্টা তারা করেছিল। সেবার ব্যাপক আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ পিছু হটেছিলেন। এবারও নোটিশ জারি করে দিয়েছে। কিন্তু তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন স্টিল ফাউন্ড্রি বিভাগ বন্ধ করা চলবে না, এর বেসরকারিকরণও কোন মতেই তারা করতে দেবেন না।@প্রান্তভূমি
Share on

মহারানা প্রতাপের মূর্তি স্থাপনের আবেদন মেয়রের কাছে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৭ মার্চ:: আসানসোলে মহারানা প্রতাপের মূর্তি স্থাপনের আবেদন জানালো অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় সমাজ। আজ রূপনারায়ণপুর নান্দনিক হলে সমাজের উদ্যোগে হোলি মহোৎসবে যোগ দিতে এসে এই আবেদন জানান জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। অনুষ্ঠানে উপস্থিত আসানসোলের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় এইচএলজি হাসপাতালের কাছে এই মূর্তি স্থাপনের বিষয়ে সম্মতির কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। ‌ আজ সকাল থেকেই এই হোলি মহোৎসবের সূচনা হয়েছে রূপনারায়ণপুরে। ‌ ক্ষত্রিয় সমাজের এই আয়োজনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ যোগ দিয়েছেন। ‌ সংগীত, আলোচনা ইত্যাদির সঙ্গেই গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল উল্লেখযোগ্য। সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত হয়েছিলেন মহঃ আরমান, ভোলা সিং, শশীনাথ পান্ডে প্রমুখ। এ প্রসঙ্গে বিধান উপাধ্যায় বলেন, রঙের উৎসব হোলি সকলে আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করুন, একে অপরের সুখ-দুঃখে মিলেমিশে থাকুন। অখিল ভারতীয় ক্ষত্রিয় সমাজের পক্ষ থেকে সকলকে হোলির শুভেচ্ছা জানানো হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

ক্যারাটে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। গৌরাঙ্গ ঘোষ ও চিত্তরঞ্জন প্রসাদ।। ১৭ মার্চ:: জেলা ক্যারাটে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিযোগী বাছাই হয়ে গেল পশ্চিম বর্ধমান জেলা চ্যাম্পিয়নশিপ শিবিরে। ১৭ মার্চ রূপনারায়ণপুর শ্রমিক মঞ্চে ১৪-ঊর্ধ প্রতিযোগীদের এই শিবির উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান এবং সমাজসেবী বিজয় সিং যৌথভাবে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর, আসানসোল, রানীগঞ্জ, বার্নপুর, চিত্তরঞ্জন, রূপনারায়ণপুর, মাইথন এলাকা থেকে ১০০ জন প্রতিযোগী এতে যোগ দেয়। ক্যাডেট, জুনিয়র, আন্ডার ২১ এবং সিনিয়র বিভাগে কাতা ও কুমিতে বিষয়ে বাছাই হয়েছে ১৫৬ জন। ‌ এক একজন প্রতিযোগী বিভিন্ন বিষয়ে অংশগ্রহণ করে। বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাচক সুনীল কুমার রাম, অমিত পাসোয়ান, শাহবাজ হুসেন, চঞ্চল মাজি, বাবলু বাল্মিকী, রাম নিবাস সিং এবং মহম্মদ রাভেদ ইকবাল ও সিএলডব্লু স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের ভূতপূর্ব অর্গানাইজার দেবজ্যোতি ঘোষ। সুনীল কুমার রাম জানান জেলা ক্যারাটে এসোসিয়েশন - ক্যারাটে এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল এবং ক্যারাটে ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশন- এর মান্যতা প্রাপ্ত। এই শিবির থেকে সফল প্রতিযোগিরা ১৩-১৪ এপ্রিল সাঁতরাগাছিতে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করবে। সেখানকার সফল প্রতিযোগিরা জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করবে।@প্রান্তভূমি
Share on

বালি বোঝাই ডাম্পার কেবলস রোডে, বিপাকে পথচারীরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ মার্চ:: তখন বেলা বারোটা। এমনিতেই ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে আসা হিন্দুস্তান কেবলস রোড গাড়ি ঘোড়ায় পূর্ণ থাকে, তাই আবার বেলা বারোটা। এই সময়েই একটি বিশাল ডাম্পার চুড় করে বালি বোঝাই হয়ে এই রাস্তা ধরে পার হতে দেখা গেল। সেটি চিত্তরঞ্জনের দিক থেকে রূপনারায়ণপুরের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তায় যথেচ্ছ বালি ছড়াতে ছড়াতে যায়। কারণ ডাম্পারের ডালা ছাড়িয়ে আরো উঁচু করে তাতে বালি ভরা ছিল। ‌ এরফলে রাস্তা আটকে চলতে থাকা ওই ডাম্পারের পিছনে যারা যেতে বাধ্য হচ্ছিলেন তারা রীতিমতো বালির আঘাতে অসুবিধায় পড়ছিলেন। নিয়ম বাঁচানোর জন্য ডাম্পারের উপরে একটি ত্রিপল ঢাকা ছিল বটে কিন্তু তাতে বালি ছিটকানো আটকায়নি। ‌ এতদিন রাতবিরেতে এমন কি দিনের বেলাতেও দেদার গতিতে ট্রাক্টরে বালি পরিবহন দেখতে অভ্যস্ত ছিলেন রূপনারায়ণপুরের মানুষ, কিন্তু এবার বিশাল ভারবাহী ডাম্পারে করেও বালির যাতায়াত শুরু হওয়ায় মানুষজন বিস্মিত হয়েছেন। বিশেষ করে দিনের ব্যস্ত সময়ে চিত্তরঞ্জন- আসানসোল রোড ধরে এইভাবে বালি পরিবহন কতটা যুক্তিযুক্ত সেই প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ।@প্রান্তভূমি
Share on

আসানসোলে ১৩ মে, রাজ্যে ৭ দফায় লোকসভার ভোট

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ মার্চ:: আসানসোল লোকসভায় ভোট গ্রহণ করা হবে ১৩ মে। সারা পশ্চিমবঙ্গে ২০১৯-এর মতো এবারও মোট ৭ দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। ‌ তার মধ্যে চতুর্থ দফায় আসানসোল কেন্দ্রের ভোট। দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাত দফায় ভোট হবে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে। ‌ পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন। আজ দিল্লির বিজ্ঞানভবন থেকে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়ে দিলেন ১৯ এপ্রিল দেশে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ এবং শেষ দফার ভোট ১ জুন। ‌ ভোট গণনা ৪ জুন। লোকসভা ভোটের সঙ্গেই সিকিম, উড়িষ্যা, অরুণাচল প্রদেশ এবং অন্ধপ্রদেশে বিধানসভার ভোট গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৬ টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও সম্পন্ন হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন চলতি লোকসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৬ জুন। এবার দেশে ৯৬ কোটি ৮০ লক্ষ নথিভুক্ত ভোটার আছেন। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র আছে সাড়ে দশ লক্ষ। ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন দেড় কোটি ব্যক্তি। এবার দেশে পুরুষ ভোটার ৪৯ কোটি ৭০ লক্ষ, মহিলা ভোটার ৪৭ কোটি ১০ লক্ষ। এদের মধ্যে প্রথমবার ভোট দেবেন ১ কোটি ৮২ লক্ষ ভোটার। দেশের ৫৪৩ টি লোকসভা কেন্দ্রে ৮৫ বছরের উর্ধ্বে ভোটার আছেন বিরাশি লক্ষ। ভোটে নজরদারির জন্য দেশজুড়ে ২১০০ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হচ্ছেন। গত লোকসভায় মোট ভোটারের ৬৭% ভোট দিয়েছিলেন এবার সেই হার আরো বাড়ানোই মূল লক্ষ্য বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন ।@প্রান্তভূমি
Share on

গভীর রাতে আগুন রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ মার্চ:: গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটলো রূপনারায়ণপুর পশ্চিম রাঙ্গামাটিয়ায়। ‌ উৎসব লজের পাশে মেডিলিঙ্ক স্বাস্থ্যপরিষেবা দানকারী কেয়া সরকারের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে ১৫ মার্চ রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ। ‌ সম্ভবত শর্ট-সার্কিট থেকেই এই অঘটন ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ড, তার পাশে থাকা আলনা এবং জামাকাপড় ইত্যাদিতে আগুন ধরে যায়। ‌ হঠাৎই গোটা ঘর ঘন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। ‌ তারপরেই শ্রীমতি সরকার বিষয়টি বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ও তার কন্যা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন, আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং সকলে মিলে কোনক্রমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ‌ সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে যায় রূপনারায়ণপুর পুলিশ। পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ বিভাগে বিষয়টি জানায়। এরপর ওই বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শ্রীমতি সরকার বলেন যদি এই আগুন আরও কিছু পরে লাগতো তাহলে ভয়ংকর অঘটনের আশঙ্কা থেকে যেত, কারণ তারা ঘুমিয়ে পড়লে বিষয়টি সহজে টের পেতেন না। তবে প্রতিবেশীরা এবং পুলিশ যেভাবে এগিয়ে এসেছিলেন সেই তৎপরতাকে তিনি ধন্যবাদ জানান। কি করে আগুন লাগলো সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গিয়ে শ্রীমতি সরকার বলেন জল গরমের জন্য একটি ইমারসন স্টিক তারা ব্যবহার করেন। কোন কারনে সেটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়ে যায় এবং সেখান থেকেই হয়তো আগুন লেগেছে এমনই ধারণা করছেন তিনি। ‌ এদিকে আগুন লাগার ফলে ঘরের মধ্যে ধোঁয়ার ব্যাপ্তি এতটাই তীব্র হয়ে ওঠে যে রাতে তারা আর ওই বাড়িতে থাকতে পারেননি বলে জানা গেছে। আগুন লাগার বিষয়টি রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ বিভাগ খতিয়ে দেখছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

অপেক্ষার অবসান শনির বিকেলে:: ঘোষিত হচ্ছে ১৮-তম লোকসভার দিনক্ষণ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ মার্চ:: অবশেষে দেশের সাধারণ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে চলেছে। আগামীকাল ১৬ মার্চ শনিবার বিকেল তিনটে থেকে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই দিনক্ষণ ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সম্ভবত এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে মে মাসের প্রায় শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন দফায় দেশজুড়ে লোকসভার ভোট গ্রহণ চলবে। ‌ এরই সঙ্গে একাধিক রাজ্যে বিধানসভার ভোট এবং বেশ কিছু উপনির্বাচনও সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। ‌ মে মাসের শেষের দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষিত হতে পারে। ‌ তবে যে বিষয়টি নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে তা হল পশ্চিমবঙ্গের ৪২ টি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে বহু দফায়। ‌ এই বিষয়টিকে এক পক্ষ যখন রাজ্যের মানুষের জন্য অবমাননাকর বলছেন তখন অন্যপক্ষ বলছেন সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের জন্য কমিশন যে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তা এই রাজ্যের মানুষের মঙ্গলের জন্যই। উল্লেখ্য, ২০১৯-এ দেশের ১৭-তম সাধারণ নির্বাচনে এ রাজ্যে ভোট গ্রহণ করা হয়েছিল সাত দফায়। সেবার সারা দেশে ভোট গ্রহণ সাঙ্গ হয়েছিল মোট ৭ দফায়। এরমধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সর্বোচ্চ এই সাত দফায় ভোটগ্রহণ হয়। ‌ এবার রাজ্যে দফা আরো বাড়তে চলেছে বলেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। ‌ ২০১৯ সালে এ রাজ্যে ভোটগ্রহণ হয়েছিল এপ্রিল মাসের ১১, ১৮, ২৩, ২৯ এবং মে মাসের ৬, ১২ এবং ১৯ তারিখে। @প্রান্তভূমি
Share on

জেলার ৫ যক্ষ্মা আক্রান্তের দায়িত্ব নিয়ে সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস হলেন নিক্ষয় মিত্র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ মার্চ:: কয়েকদিন আগে রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুল থেকে সালানপুর ব্লকের ১৫ জন যক্ষ্মা আক্রান্তের পুষ্টিকর আহার যোগানোর দায়িত্ব নেওয়া হয়েছিল। সেই আয়োজনে পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে এসেছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার ইউনুস। সেদিনই তিনি ঘোষণা করেছিলেন ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজে জেলার পাঁচ জন যক্ষ্মা আক্রান্তের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ‌ আজ সেই দায়িত্বভার গ্রহণ করে ডাক্তার ইউনুস হয়ে উঠলেন একজন "নিক্ষয় মিত্র"। ‌ আজ আসানসোল রেলপার ও সংলগ্ন এলাকার পাঁচ জন যক্ষ্মা আক্রান্তের হাতে তিনি ডাল সয়াবিন তেল হরলিক্স সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবারের ব্যাগ তুলে দেন। ‌ এইসব আক্রান্তেরা যতদিন পর্যন্ত না সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন ততদিন পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ‌ আজকের অনুষ্ঠানে সিএমওএইচ ডাক্তার ইউনুসের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন এ সি এম ও এইচ ডাক্তার বিশ্বজ্যোতি জানা, এমওডিটিসি ডাক্তার স্বাতী ব্যানার্জি, ডিটিও ডাক্তার অভিষেক রায়, ডিপিসি সুশোভন কর প্রমুখ । উপস্থিত সকলেই সিএমওএইচ ডাক্তার ইউনুসের মানবিক এই উদ্যোগের ভূয়ষী প্রশংসা করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

দুষ্কৃতির আগুনে পুড়ে ছাই পালসার:: মধ্যরাতে পাঁচিল টপকে ঢুকেছিল ঘরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ মার্চ:: রাত বারোটায় টায়ার ফাটার বিভৎস আওয়াজে ঘুম ভাঙতেই দরজা খুলে উঠোনে বেরিয়ে দেখেন তার সাধের বাজাজ পালসার বাইক দাউদাউ করে জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীদের চিৎকার করে জড়ো করে কোনক্রমে আগুন যখন নিয়ন্ত্রণে আনেন তার মধ্যেই বাইকটি ভস্মীভূত হয়। এই ঘটনা ঘটেছে সালানপুর থানার অন্তর্গত জেমারি নতুন পল্লীর দেবরঞ্জন পালের বাড়িতে। রীতিমতো আগাম পরিকল্পনা করেই দুষ্কৃতিরা এই আগুন লাগিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ওই বাইকটির পেট্রোলবাহী নল কেটে পেট্রোল বার করে তাতে আগুন ধরানো হয়েছিল। ‌ বাইক থেকে পেট্রোল বের করে পাশে থাকা পাপোশ এবং জুতোতে আগুন ধরানো হয়। সেগুলিও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সালানপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ‌ জানা গেছে গতকাল ১৪ মার্চ রাত সাড়ে দশটা নাগাদ দেবরঞ্জন বাবু বাড়িতে ফেরেন। তার দুটি বাইক, তার মধ্যে নতুন বাইকটি তিনি ঘরের মধ্যে রেখেছিলেন আর পালসার বাইকটি পাঁচিলের ভেতরেই বারান্দায় রাখা ছিল। দুষ্কৃতিরা পাঁচিল টপকে ভেতরে ঢুকে এই কান্ড ঘটায়। দীর্ঘদিন দেবরঞ্জন বাবু তার দিদিমাকে বাইকে করে ডিভিসিতে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসা করতেন। ডিভিসি থেকে তার দিদিমা অবসর নেওয়ার পর সেখানকার অফিসেই অস্থায়ী কাজ জুটিয়ে নেন দেবরঞ্জন বাবু। আপাত শান্ত তার সঙ্গে এমন কাণ্ড কারা ঘটালেন সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। ‌ তবে ওই রাতে কোন এক ব্যক্তিকে হন্তদন্ত হয়ে তার বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যেতে তিনি দেখেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু ওই এলাকায় কোন সিসিটিভি না থাকায় এ বিষয়ে স্পষ্ট কোন সূত্র পাওয়া যাচ্ছে না। তাৎক্ষণিক কোন আক্রোশ থেকে এই দুষ্কর্ম ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে কেউ কেউ মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে নতুন ২০৬৭ কর্মী নিয়োগের দাবি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ মার্চ:: সামনের আর্থিক বছরে ৬০০টি ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জন্য ধার্য করেছে রেল বোর্ড। কিন্তু এই পরিমাণ ইঞ্জিন উৎপাদন করতে হলে অবিলম্বে কমপক্ষে ২০৬৭ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করতে হবে বলে দাবি জানালেন লেবার ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। রেল বোর্ডের দেওয়া একটি ইঞ্জিন উৎপাদনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এই পরিমাণ কর্মী অবশ্যই প্রয়োজন বলে জানিয়ে তারা বলেছেন এই মুহূর্তে সিএলডব্লুতে সরাসরি ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত আছেন 3327 জন কর্মী। ‌ তাদের সঙ্গেই নতুন আরও ২০৬৭ জন কর্মীকে অবিলম্বে নিযুক্তি দিতে হবে। তবেই উৎপাদন সঠিক সময়ে করা সম্ভব হবে। ‌ আজ ১০ দফা দাবি নিয়ে সিএলডব্লু লেবার ইউনিয়ন জিএম অফিসের সামনে একটি সভা করে। সভা শেষে রেল বোর্ডের চিফ এজিকিউটিভ অফিসারের উদ্দেশ্যে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় চিত্তরঞ্জনের জেনারেল ম্যানেজারের মাধ্যমে। তবে, জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা জরুরী বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় পিসিপিও অমিতাভ চৌধুরী এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে চিন্ময় গুহ, স্নেহাশীষ চক্রবর্তী, রাজীব গুপ্ত, আর এস চৌহান বলেন এই কারখানার সকল স্তরের কর্মী সরাসরি বা অপরোক্ষভাবে ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত - তাই সকলকেই ইনসেন্টিভ প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। এরই সঙ্গে তারা বলেন, রেল বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অনুপাতে ১৫ শতাংশ গ্রুপ ডি কর্মী সংস্থায় থাকতে হবে অথচ চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় এখন কোন গ্রুপ ডি কর্মী নেই। ‌ তাই অবিলম্বে এই পদে নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। ‌ এছাড়াও কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে দীর্ঘদিন শূন্য পড়ে থাকা অর্থোপেডিক সার্জন পদে চিকিৎসক নিয়োগ, পদোন্নতি, এইচআরএ ইত্যাদি বিষয়গুলির দ্রুত সন্তোষজনক সমাধান করার দাবি জানানো হয়। দিল্লির সংসদে চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার সমস্যা, চিত্তরঞ্জনকে ভালো রাখার কথা সাংসদরা তুলে ধরেন ধরেন না, সিএলডব্লু নিয়ে কোন প্রশ্ন করেন না উল্লেখ করে এ দিন বক্তারা আক্ষেপ করেন। ‌ সকাল প্রায় 11:30 থেকে সাড়ে বারোটা পর্যন্ত লেবার ইউনিয়নের এই কর্মসূচি চলে।@প্রান্তভূমি
Share on

লড়াকু জাহানারা আসানসোল লোকসভায় বাম প্রার্থী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: আসানসোল লোকসভা থেকে বামফ্রন্ট আজ তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিল। উল্লেখযোগ্যভাবে এই কেন্দ্রে এবার বামেদের হয়ে লড়াইয়ে নামছেন অত্যন্ত লড়াকু নেত্রী জাহানারা খান। জামুড়িয়া বিধানসভায় ২০১৬ সালে তিনি তৃণমূলের ওজনদার নেতা ভি শিবদাসন দাশুকে সাত হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করে বিধায়ক হয়েছিলেন। তার আগে ২০১১-তেও তিনি জামুড়িয়া থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ‌ জামুড়িয়া অঞ্চলে তার গ্রহণযোগ্যতা সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যন্ত বেশি। ‌ তবে সমগ্র লোকসভায় এবার তাকে লড়াই করতে হবে তৃণমূলের জয়ী সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা এবং বিজেপির প্রার্থীর সঙ্গে। ‌ তবে এই নাম ঘোষিত হওয়ার পর বাম সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তার কারণ স্থানীয় প্রার্থীকে নিয়ে সাধারণ মানুষের আবেগ তারা আগেই উপলব্ধি করেছেন, এবার সেই আবেগকে ভোট বাক্সে নিয়ে আসার উদ্যম তারা পাবেন বলে মনে করেন। ‌ জাহানারা খান সিপিআইএমের সর্বক্ষণের কর্মী। ১৯৬৫ সালে জন্ম নেওয়া জাহানারা খান রানীগঞ্জ গার্লস কলেজের স্নাতক। বর্তমানে তিনি সিপিআইএম দলের রাজ্য কমিটির সদস্য এবং সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্যের সভানেত্রী। তবে যেভাবে আসানসোল লোকসভায় বামেদের হয়ে লড়াইয়ের জন্য পার্থ মুখার্জী, বংশগোপাল চৌধুরী, গৌরাঙ্গ চ্যাটার্জির নাম ভেসে উঠেছিল সেখান থেকে সরে এসে বাম নেতৃত্ব লড়াকু মহিলা জাহানারা খানকে প্রার্থী করল তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট এবং বামেদের দোদুল্যমান ভোট একত্রিত হওয়ায় তৃণমূল কিছুটা ধাক্কা খাবে বলে তারা মনে করছে। সেক্ষেত্রে বিজেপির অবস্থান কিছুটা হলেও সুবিধা জনক হওয়ার সম্ভাবনা। ‌ তবে আসানসোল কেন্দ্র যে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখতে চলেছে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এদিকে আজ বিকেলে তার নাম ঘোষিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সালানপুর ব্লক জুড়ে জাহানারা খানের নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গেছে। রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে বাম কর্মী সমর্থকেরা মিছিলও শুরু করে দিয়েছেন। @প্রান্তভূমি
Share on

ট্রাক্টর চালকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: নিজের গ্রাম থেকে অনেকটা দূরে অন্য গ্রামে নিমগাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল এক ট্রাক্টর চালকের। ‌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত যুবকের নাম সুরজ বাউরি (২০)। তার বাড়ি সালানপুর ব্লকের কল্যা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মনহরা গ্রামে। গতকাল রাতে ব্লকের পশ্চিমতম প্রান্তের গ্রাম ডোমদহ কাশিডাঙায় তাকে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। রূপনারায়ণপুর পুলিশ তার দেহের ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে, তারপর আজ ১৪ মার্চ পরিজনদের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় মানুষজন বলছেন সম্পর্কের টানাপড়েনেই এই অঘটন ঘটেছে। ‌ এদিকে আজ সকালে মৃত সুরজের ঠাকুমা ৭৫ বছরের অলকা বাউরি বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একই পরিবারে দুটি মৃত্যুর ঘটনায় মনহরা গ্রামে শোকের ছায়া নেমেছে। ‌ জানা গেছে দুই ভাইয়ের বড় সুরজ বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাক্টর চালিয়ে সংসারে আয় করতেন। ‌ তার এক ছোট বোন আছে। তাদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে ১৩ মার্চ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সে আলকুশায় ট্রাক্টার চালায় কিন্তু রাতে বাড়ি ফেরেনি। পরে এই অঘটনের সংবাদ তারা জানতে পারেন।@প্রান্তভূমি ‌
Share on

কল্যানেশ্বরী শিল্প তালুকের বিশিষ্ট উদ্যোগপতির বাড়িতে আয়কর তল্লাশি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ মার্চ:: শিল্পাঞ্চলে আবার জোরদার তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে আয়কর দপ্তর। আজ সকাল থেকেই কল্যানেশ্বরী শিল্প তালুকের এক বিশিষ্ট উদ্যোগপতির বাড়িতে এই অভিযান শুরু হয়েছে। ঐ উদ্যোগপতির বাড়ি বরাকরের হনুমানচড়াই এলাকায়। সেখানেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ভারত সরকারের অর্থ মন্ত্রকের অধীন আয়কর বিভাগ এই অভিযান করছে বলে জানা গেছে। ‌ ঐ শিল্পপতির ব্যবসায়িক যোগাযোগ থাকা বিভিন্ন এলাকায় একইসঙ্গে অভিযান জারি আছে বলেও জানা গেছে। ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যের জামশেদপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় চলতে থাকা এই অভিযান কখন শেষ হবে তা কেউই বলতে পারছেন না। তবে চলতি আর্থিক বর্ষ শেষের মুখে এই ধরনের অভিযান কি উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। @প্রান্তভূমি
Share on

ফুটপাত দখলমুক্ত করতে রাস্তায় মেয়র

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ মার্চ:: আসানসোল রবীন্দ্র ভবন সংলগ্ন এলাকার রাস্তার ফুটপাত পরিচ্ছন্ন রাখতে পথে নামলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জি টি রোড এবং আসানসোল কোর্টমুখি রোডের দুই ধারের দোকানগুলি তাদের ব্যবসায়িক সরঞ্জাম ক্রমশঃ ছড়িয়ে রাখতে রাখতে রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে পথচারী জনগণের হাঁটা চলায় যেমন অসুবিধা হচ্ছে তেমনই রবীন্দ্র ভবনের মতো ঐতিহ্যশালী কেন্দ্রের আশপাশও অপরিচ্ছন্ন হয়ে উঠছে। এবার ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উদ্যোগী হলেন পুরনিগমের মেয়র। তিনি প্রতিটি দোকানদারকে বলে দেন, ব্যবসা করতে হলে নির্দিষ্ট দোকানের জায়গায় সমস্ত জিনিসপত্র রাখতে হবে। দোকানের বাইরে যেনো কোন ভাবেই দখল করা না হয়। মেয়র আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আগামীকাল থেকে যদি দোকানের বাইরে একটুকু জায়গাতেও শেড নামিয়ে, প্লাস্টিক খাঁচিয়ে বা টেবিল পেতে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সব ভেঙে ফেলা হবে। এই উদ্যোগ সর্বত্রই নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

জিএম অফিসের সামনে বাইক রাখলে জেল জরিমানার হুঁশিয়ারি, ক্ষোভে ফুঁসছে চিত্তরঞ্জন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ মার্চ:: গাড়ি রাখা নিয়ে এবার চরম পর্যায়ের কড়াকড়ি এবং হুঁশিয়ারি জারি করল চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন। ১৫ মার্চ থেকে সিএলডব্লুর জি এম অফিস বা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মোটরসাইকেল ইত্যাদি রাখলে এক মাস পর্যন্ত জেল, ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা কিম্বা একসঙ্গে এই দুই শাস্তিরই সম্মুখীন হতে পারে বলে নির্দিষ্ট ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়েছে আজ ১৩ মার্চ। সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের জারি করা এই নির্দেশে বলা হয়েছে প্রশাসনিক ভবনের সামনে কোনোভাবেই টু হুইলার পার্কিং করা চলবে না। ‌ এজন্য ভবন সংলগ্ন ইডিপি বিল্ডিংয়ের সামনে বা পাশে অথবা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কাছে নির্দিষ্ট পার্কিং শেড ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই সঙ্গে বলা হয়েছে জিএম অফিসের পিছনে পার্কিং করলে এবার থেকে আর পয়সা নেওয়া হবে না। ‌ কিন্তু এই নির্দেশ অমান্য করলে অর্থাৎ জিএম অফিসের সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে রাখলে রেলওয়ে এ্যক্ট 1989 এর ১৫৯ ধারা অনুযায়ী কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ইউনিয়ন নেতারা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। ‌ সিআরএমসি/আইএনটিইউসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং এই বিজ্ঞপ্তির চরম বিরোধিতা করে বলেছেন তারা কোনভাবেই এই নির্দেশ মানবেন না। কারণ প্রশাসনিক ভবনে কাজের সূত্রে আসা রেল কর্মী ও অন্যান্য ব্যক্তিদের গাড়ি রাখার জন্য পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ‌ তিনি বিষয়টি তাদের ইউনিয়নের সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন এবং অতি দ্রুত লিখিতভাবে এই নির্দেশ তুলে নেওয়ার জন্য বলবেন বলে উল্লেখ করেন। তার দাবি রেলের অফিসারেরা ইচ্ছামত গাড়ি রাখতে পারবেন অথচ কর্মীদের বেলায় এই শাস্তির ভয় দেখানো অত্যন্ত অন্যায়। ‌ অন্যদিকে লেবার ইউনিয়ন নেতা রাজীব গুপ্ত বলেন ১৯৪৮ -এর নিয়ম অনুসরণ করছে রেল, কিন্তু এখন সময় অনেক এগিয়েছে। মানুষজন সাইকেল ছেড়ে বাইক গাড়ি চড়ছেন। সেদিকে খেয়াল রেখে উপযুক্ত পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আগে করে তবে এইসব নিয়ম চালু করা উচিত। ‌ তিনি বলেন রেলের এই বিজ্ঞপ্তি একতরফা এবং খামখেয়ালী। কর্মীরা এই নির্দেশ মানবেন না বলেই তিনি মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

রক্ত দিলেন চিকিৎসক থেকে এ্যম্বুলেন্স চালক, পিঠাকিয়ারি হাসপাতালেই হল রক্তদান শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। দীনবন্ধু মণ্ডল।। ১৩ মার্চ:: ভোটের দামামা বেজেছে, গরমও পড়ে গেছে - এই অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে রক্তের ভান্ডার পূর্ণ করতে এগিয়ে এলেন সালানপুর ব্লক পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের কর্মীরা। আজ এই হাসপাতালে অনুষ্ঠিত শিবিরে নিজে রক্ত দিলেন সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত শিট। তার সঙ্গেই এগিয়ে এলেন হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও কর্মী। ‌ উল্লেখযোগ্যভাবে এই শিবিরকে সফল করতে রক্তদানে আগুয়ান হলেন নজরুল সেন্টিনারি পলিটেকনিকের একাধিক ছাত্র, পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের ৮ জন কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, অ্যাম্বুলেন্স চালকেরা। এইভাবে সার্বিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঠাশ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হলো। এই উদ্যোগকে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়ে ব্লাড ব্যাংকের আধিকারিক ডাক্তার সঞ্জিত চ্যাটার্জী বলেন ভোট এসেছে, গরমও পড়েছে তাই বলে ব্লাড ব্যাংকে রক্তের চাহিদা থেমে নেই। প্রতিদিন গড়ে ৭০ ইউনিট করে রক্তের ব্যবস্থা তাদের করতে হয়। সেজন্য তারা নিয়মিত পরিকল্পনা করেন কোথা থেকে কিভাবে রক্ত সংগ্রহ করা যায়। ‌ বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত ব্লাড ব্যাংকে মজুত রাখতেই হয়। ‌ এই বিষয়টি পিঠাকিয়ারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলতেই তারা এক বাক্যে হাসপাতালে রক্তদান শিবির করার উদ্যোগ নেন। অত্যন্ত কম সময়ের প্রস্তুতিতে ২৮ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ বিশেষ উল্লেখযোগ্য বলে তিনি জানান। ‌ এ বিষয়ে আরো তিনি বলেন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সংগঠনগুলির বাইরেও বহু ক্লাব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংগঠন, ব্যক্তি উদ্যোগে রক্তদান শিবির হয় । এই জেলার রক্ত সংগ্রহের ষাট শতাংশই এইসব সংস্থাগুলির মাধ্যমে হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ প্রসঙ্গে বি এম ও এইচ ডাক্তার সুব্রত শিট বলেন জেলা হাসপাতাল ব্লাড ব্যাংকে রক্তের চাহিদার কথা জানামাত্রই তারা এই শিবির করার উদ্যোগ নেন। এ দিনের শিবিরে সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, রূপনারায়ণপুর প্রধান অপর্ণা দাস, উপপ্রধান সন্তোষ চৌধুরী, সমাজকর্মী সুব্যেন্দু নাথ, রুমেলি দাস মুখার্জি, রক্তিম দে, পিন্টু দাস, পাওয়ার গ্রিডের আধিকারিক সুশান্ত শেখর শীল প্রমুখ বিশেষভাবে উপস্থিত হয়েছিলেন।@প্রান্তভূমি
Share on

নির্বাচনী বন্ড প্রকাশের দাবিতে স্টেট ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ বামেদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ মার্চ:: ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী সালানপুর এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে রূপনারায়ণপুর স্টেট ব্যাংকের সামনে আজ বিক্ষোভ সভা সংগঠিত হয়। বিক্ষোভ সভায় বলা হয়, "কর্পোরেট বন্ধুদের" কাছ থেকে দলের তহবিলের জন্য টাকা নিতে মোদি সরকার যে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল সেই বন্ড ইতিমধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে যে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অস্বচ্ছ ও গোপনভাবে কর্পোরেট চাঁদা তোলা অসাংবিধানিক। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে বলেছে যে এখনো পর্যন্ত এই বন্ডের অর্থ মূল্য কত, কে বা কারা সেই বন্ডগুলি কিনেছে এবং কোন কোন রাজনৈতিক দলকে কোন কর্পোরেট কত টাকা দিয়েছে তার সম্পূর্ণ হিসেব ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দেবে স্টেট ব্যাঙ্ক। কিন্তু স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নানারকম অজুহাতে তা এখনো পর্যন্ত জমা দেয়নি। শুধুই তাই না, আরো দীর্ঘ সময় চেয়েছে। এর বিরুদ্ধে সারা রাজ্যব্যাপী সমস্ত স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে এই ধরনের বিক্ষোভ সভা হচ্ছে এবং রূপনারায়ণপুরেও এই বিক্ষোভ সভা সংঘটিত করা হয়েছে। আজকের এই সভাতে সভাপতিত্ব করেন গণেশ পন্ডিত। বক্তব্য রাখেন যুবনেতা আবীর ঘোষ এবং এরিয়া সম্পাদক রঞ্জিত সরকার।@প্রান্তভূমি
Share on

পিঠাকিয়ারি হাসপাতালে ২০ শয্যার নতুন কোভিড ওয়ার্ডের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ মার্চ:: সালানপুর ব্লকের পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে একটি ২০ শয্যার নতুন কোভিড ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ভার্চুয়াল মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী এই পরিকাঠামো এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য তুলে দিলেন। পিঠাকিয়ারি হাসপাতাল চত্বরের মধ্যেই ৯৬ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। ‌ এখন করোনার বাড়বাড়ন্ত না থাকলেও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নতুন এই পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রায় ১২ হাজার মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে পারবেন। ‌ মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল এই উদ্বোধনের পাশাপাশি নতুন কোভিড ওয়ার্ডের ফিতে কেটে দ্বারোৎঘাটন করেন বারাবনির যুব তৃণমূল নেতা মুকুল উপাধ্যায়। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ রঞ্জন দত্ত, সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ভোলা সিং, সমাজকর্মী দেবদাস চ্যাটার্জী, বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, অভয় মন্ডল, স্বাস্থ্যকর্মী সন্তোষ চৌধুরী, স্বপন দাস, রক্তিম দে, রুমেলি দাস মুখার্জি, সাংবাদিক দীনবন্ধু মণ্ডল সহ বিভিন্ন ব্যক্তি। এদিন ব্লকের আশা কর্মীদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত এই শুভেচ্ছাপত্রে তিনি বলেছেন - বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে সুস্বাস্থ্যের আলোকবর্তিকা হিসেবে জনকল্যাণমূলক সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেন আশা কর্মীরা। তাদের এপ্রিল মাস থেকে ৭৫০ টাকা করে ভাতা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আশা কর্মীদের পাশে সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন বলে উল্লেখ করেছেন। এরই সঙ্গে বলেছেন যে কোন রকম অসুবিধায় যেন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ৯১৩৭০৯১৩৭০ নম্বরে ফোন করেন তারা।@প্রান্তভূমি
Share on

গিরিডি কোডার্মা এবার চিত্তরঞ্জন আসানসোল থেকে এক ট্রেনেই, যাত্রা শুরু কাল থেকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: রেল যাত্রীদের জন্য আবার সুখবর। ‌ এবার মধুপুর-হাতিয়া ট্রেনটির যাত্রাপথ বর্ধিত করা হলো আসানসোল পর্যন্ত। ‌ এর ফলে আসানসোল, চিত্তরঞ্জন, মধুপুর ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষ সহজে এক ট্রেনেই পৌঁছে যাবেন কোডার্মা, হাজারীবাগ, গিরিডি ইত্যাদি অঞ্চলে। এবং আরো উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই ট্রেনে একটি বিশেষ ভিস্টাডোম কোচ সংযুক্ত থাকছে। যেটি কাঁচ দিয়ে ঘেরা। এর ফলে ওই কোচের যাত্রীরা ঝাড়খণ্ডের অপূর্ব শোভামন্ডিত জঙ্গল পাহাড় জলাশয় সহ বিস্তীর্ণ অপরূপ ভূমির প্রাকৃতিক সভা উপভোগ করতে করতে সফর করতে পারবেন। ‌ আগামীকাল, ১২ মার্চ সকাল ৯ঃ০০ টায় আসানসোল থেকে এই ট্রেনটির যাত্রা পথের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ‌ অনলাইনে এই সূচনা পর্বের পর ট্রেনটি চিত্তরঞ্জনের উপর দিয়ে মধুপুর হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পৌঁছে যাবে রাঁচি পার করে হাতিয়া। ‌ পরের দিন থেকে নিয়মিত এই ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচ দিন চলাচল করবে। ‌ রেল সূত্রে জানা গেছে সপ্তাহের প্রতি সোম বুধ বৃহস্পতি শনি এবং রবিবার ট্রেনটি চলাচল করবে। ‌ ট্রেনটির নিয়মিত চলাচলের সময় হলো হাতিয়া থেকে বিকেল ৩ টেয় ছেড়ে রাঁচি পৌঁছাবে তিনটে পনেরোয়, মধুপুর রাত ১০ঃ১১, চিত্তরঞ্জন ১০:৫৮ এবং আসানসোলে পৌঁছে যাবে রাত এগারোটা চল্লিশে। অপরদিকে আসানসোল থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ভোর চারটে দশে। ‌ এরপর ৪: ৩৩ মিনিটে চিত্তরঞ্জন, সকাল ৫: ৩৩ মিনিটে মধুপুর এবং সেখান থেকে নিউ গিরিডি, জেমুয়া, মহেশপুর হয়ে কোডার্মা হাজারীবাগ ছাড়িয়ে রাঁচি হাতিয়া পৌঁছে যাবে। ‌ ১৩৫১৩/ ১৩৫১৪ নম্বরের ট্রেনটি আসানসোল সহ রূপনারায়ণপুর চিত্তরঞ্জন মিহিজাম ইত্যাদি এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী হয়ে উঠল বলে মনে করা হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
Share on

পুণর্জন্মভবনে রক্তদান শিবির আয়োজনে মহিলাদের উদ্যোগের প্রশংসা স্বামীজীর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে রক্তদান শিবির সাধারণত দেখা যায় না - এই মন্তব্য করলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক শ্রীমৎ স্বামী সোমাত্মানন্দজী মহারাজ। ১০ মার্চ তিনি চিত্তরঞ্জন সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটির ২১তম রক্তদান শিবিরে মুখ্য অতিথির আসন অলংকৃত করেন। ‌ সেখানেই কথা বলতে গিয়ে তিনি উদ্যোক্তাদের এই ধরনের সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান। ‌ চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত এলাকায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে পুণর্জন্মভবনে আয়োজিত এই রক্তদান শিবির বিশেষ উৎসাহের সৃষ্টি করে আসছে বহুদিন ধরেই। ‌ এ দিনও সেই আমেজ ধরে রেখেছিলেন উদ্যোক্তারা আন্তরিকতার সঙ্গেই। এদিন শিবিরে ৮১ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

মহিলাদের আয়োজনে উজ্জীবনে রক্তদান শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: উজ্জীবনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে তৃতীয় বার্ষিক মহিলা রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো সংস্থার হিন্দুস্তান কেবলস চেমারি কলোনির কার্যালয়ে। ১০ মার্চ এই অনুষ্ঠানে রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা, বেলভিউ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৌরভ কোলে, সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য সহ বহু গুণীজন উপস্থিত হয়েছিলেন। উৎসবের আকারে আয়োজিত এই রক্তদান শিবিরে রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, ঋতুকালীন সময়ে পরিচ্ছন্নতা, প্রতি চার মাস অন্তর নিয়মিত রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয়ে সু-চিন্তিত বক্তব্য পরিবেশিত হয়। গ্রামের বহু মহিলা দু'বেলা ঠিকমত খাবার পান না তবুও মহিলারা রক্তদানে এগিয়ে আসছেন - এজন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানানো হয়। এদিন মোট ৭৩ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

ফ্রেন্ডশিপ কাপ চ্যম্পিয়ন চিত্তরঞ্জনের আদিবাসী ইউনাইটেড:: ফুটবল মাঠে মানবিক মুখ ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ :: চিত্তরঞ্জনের লাল-হলুদ ভক্তবৃন্দের "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" চ্যাম্পিয়ন হলো চিত্তরঞ্জনের আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব। গতকাল ১০ মার্চ চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাব আয়োজিত প্রথম বর্ষ "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত তথা ফাইনাল ম্যাচে নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই গোল করতে না পারায়, খেলার ফলাফল সিদ্ধান্তে "পেনাল্টি শুট্-আউট" পদ্ধতিতে বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে চিত্তরঞ্জনের আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব ৪ - ৩ ব্যবধানে জয়ী হয়। ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টারের খেলোয়াড়েরা বল নিজেদের দখলে রেখে আক্রমণাত্মক খেলে , প্রথমার্ধের ৩০ মিনিটে ও দ্বিতীয়ার্ধের ১৭ মিনিটে সালাউদ্দিন মন্ডলের অনবদ্য পাশে শুভঙ্কর সর্দার লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে দু-দুটি গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। দ্বিতীয়ার্ধে আদিবাসী ইউনাইটেড এফ সি'র খেলোয়াড়েরা বিপক্ষ শিবিরে হানা দিলেও আসল কাজটি করতে ব্যর্থ হন। চিত্তরঞ্জনের আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব, অশোক কুমার মিত্র স্মৃতি উইনার্স কাপ সহ নগদ ত্রিশ হাজার টাকা, বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার, তন্ময় ঘোষ স্মৃতি রানার্স আপ কাপ সহ নগদ কুড়ি হাজার টাকা ও চিত্তরঞ্জনের শিবাজী সংঘ দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য স্মৃতি ফেয়ার প্লে ট্রফি সহ নগদ দুই হাজার টাকা পুরস্কার পায়। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বামনপুকুর ফুটবল সি সি'র দেবাশিস সর্দার। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডার আদিবাসী ইউনাইটেড এফ সি'র সনাতন সর্দার ও মহাবীর হেমব্রম, সেরা মিড্-ফিল্ডার বামনপুকুর ফুটবল সি সির দীপক সর্দার। সেরা স্ট্রাইকার ও টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের সন্মান পান বামনপুকুর ফুটবল সি সি'র সালাউদ্দিন মন্ডল। টুর্নামেন্টের সেরা গোল, ৪ মার্চ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে চিত্তরঞ্জনের অরবিন্দ ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে শিবাজী সংঘের তুহিন বাউরির অসাধারণ গোল নির্বাচিত হয় ও তুহিন বাউরি পুরস্কৃত হন। ফাইনাল ম্যাচ পরিচালনা করেছেন জোনাল রেফারিজ্ এন্ড আম্পায়ারস্ অ্যাসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জনের মানব মন্ডল, কৃশানু দত্ত, বিনোদ টুডু ও জয়দেব সোরেন। এই প্রতিযোগিতায় প্রতি ম্যাচের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় ও বিশেষ অবস্থানের সেরা খেলোয়াড়ের নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞ তথা চিত্তরঞ্জনের ডি ভি বয়েজ হিন্দি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক ডঃ সঞ্জয় ঘোষ এবং চিত্তরঞ্জন স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন ফুটবলার ও প্রাক্তন প্রশিক্ষক তথা গত চার বছর থেকে বর্তমানে ভারতীয় রেল ফুটবল দলের অন্যতম নির্বাচক পুষ্পেন্দু রায়চৌধুরী। টেকনিক্যাল কমিটিতে ছিলেন নরেশ মিস্ত্রি ও শ্যামল চৌধুরী। বিশেষ অতিথি আসানসোলের রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী সোমাত্মানন্দজী মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের সাথে পরিচিত হন ও খেলার শেষে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। খেলার হাফ্-টাইমে, দুঃস্থ প্রতিবন্ধী একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে হুইল চেয়ার এবং চিত্তরঞ্জনের অরবিন্দ ফুটবল অ্যাকাডেমি, শিবাজী সংঘ ও রূপনারায়ণপুরের দেশবন্ধু ফুটবল অ্যাকাডেমির আর্থিকভাবে অক্ষম উদীয়মান মোট ছয়জন ফুটবলারকে খেলার বুট ও সরঞ্জাম প্রদান, চিত্তরঞ্জনের ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাবের সদস্যরা এই টুর্নামেন্ট উদ্যোগের সাথে সামাজিক কার্যকলাপের এক বিশেষ উদাহরণ দিলেন। দুই প্রবীণ খেলোয়াড় মানস ভট্টাচার্য ও অনন্ত চক্রবর্তীকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সন্মান জানান। ক্লাব সম্পাদক অঙ্কুর চ্যাটার্জী তার বক্তব্যে বলেন প্রতি বছর রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় ও প্রতি বছর টুর্নামেন্টের সাথে আরো কিছু সামাজিক কর্মসূচির উদ্যোগ নেবেন। ক্লাব সভাপতি চিত্তরঞ্জনের ডি ভি বয়েজ, সি বি এস ই মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক দীপঙ্কর মিত্র বক্তৃতায় এই টুর্নামেন্টের আয়োজনে যে সমস্ত সরকারী ও বেসরকারী সংস্থার সাহায্যে, ব্যক্তি ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাহায্যে এবং ক্লাবের সব সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে টুর্নামেন্টের সফলতা হয়েছে, তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। টুর্নামেন্টের প্রতিটি খেলায় ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন সুব্রত দাস। রেড এফ এম ৯৩.৫ -এর সোনিয়া মাঠে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের ও দর্শকদের উৎসাহিত করেন। গতকাল দুপুরে শ্রীলতা স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শকের সমাগম ও উল্লাস স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে, লাল-হলুদ ভক্তবৃন্দের এই উদ্যোগের অসামান্য সাফল্য।@প্রান্তভূমি
Share on

দায়িত্ব নিয়েই চিত্তরঞ্জনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে উদ্যোগী ইন্সপেক্টর আলি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন থানার দায়িত্ব নিয়েই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো করার উদ্যোগ নিলেন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ শেখ ইসমাইল আলি। তিনি শহরের সীমানা এলাকায় থাকা সব কটি পকেট গেট ঘুরে দেখেন। শহরে যাওয়া আসার তিনটি মূল গেটের পাশাপাশি যে ১০-১২ টি পকেট গেট আছে সেগুলিতে কিভাবে নজর রাখা যায় সেই চিন্তাভাবনা তিনি করছেন বলে জানা গেছে। বিশেষ করে এক নম্বর এবং তিন নম্বর গেটে কড়া আরপিএফ প্রহরা থাকলেও অরক্ষিত থেকে গেছে পকেট গেটগুলি। সেগুলিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান। ‌ এরই সঙ্গে ঝাড়খন্ড রাজ্যের সঙ্গে লাগোয়া অজয় নদ এবং মিহিজাম কানগোই অঞ্চল দিয়ে চিত্তরঞ্জনে যাতে অবৈধ কার্যকলাপ চালানোর জন্য দুষ্কৃতিদের আনাগোনা না থাকে সে দিকটিতেও বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এজন্য আরো কিছু এলাকায় শক্তিশালী সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর চিন্তা ভাবনা করছে পুলিশ। বাজার এলাকাগুলি থেকে সন্ধ্যা রাতে মানুষজন ফেরার পথে ছিনতাইকারীদের কবলে যাতে না পড়েন সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এ মাসেই চিত্তরঞ্জন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জের দায়িত্ব নিয়েছেন রাজ্য পুলিশের দক্ষ আধিকারিক শেখ ইসমাইল আলি। এর আগে তিনি পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন থানায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারপর পদোন্নতি নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগে দায়িত্ব সামলেছেন। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমতম থানা এলাকা চিত্তরঞ্জনের দায়িত্ব তার হাতে পড়েছে। শ্রী আলি জানান শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই চিত্তরঞ্জন শহরে প্রতিদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রুট মার্চ করা হচ্ছে, ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।@প্রান্তভূমি
Share on

প্রতারকের খপ্পরে পড়ে হাড় হিম করা অভিজ্ঞতা রূপনারায়ণপুরের ব্যক্তির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ মার্চ:: হাড় হিম করা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হল রূপনারায়ণপুরের এক বিশিষ্ট ব্যক্তিকে। তবে সচেতনতার কারণে তিনি ভয়ঙ্কর এই অবস্থা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির মোবাইল হোয়াটসঅ্যাপে হঠাৎই সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ আজ একটি কল আসে। ‌ হোয়াটসঅ্যাপে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকের পোশাক পরিহিত ব্যক্তির ছবি তাতে ভেসে ওঠে। স্বভাবতই তা দেখে কিছুটা গুরুত্ব দিয়ে কলটি রিসিভ করেন তিনি। এরপরই অপর দিক থেকে পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি জানতে চান তার স্ত্রী পুত্র কোথায় আছেন, তিনিই বা কোথায় আছেন। ওই ব্যক্তি বলেন স্ত্রী পুত্র বাড়িতে কিন্তু তিনি রবিবারের সকালে রূপনারায়ণপুর বাজারে এসেছেন। এরপরই প্রতারক তাকে বলেন তার ছেলে একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে। ‌ এই কথা শুনে রূপনারায়ণপুরের ওই ব্যক্তির মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। কারণ প্রতারক তাকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে তার ছেলের গলা শোনান এবং তাতে ছেলেটি পরিষ্কার জানায় - বাবা, আমাকে বাঁচাও। ওই ছেলের গলা হুবহু তার ছেলের গলার সঙ্গে সাজুজ্যপূর্ণ ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে ঘাবড়ে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাড়িতে তার স্ত্রীকে ফোন করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন ছেলে কথায় আছে। ‌ তার স্ত্রী বলেন, ছেলে তো বাড়িতেই। ‌ এরপরই তিনি বুঝে যান এটা কোনো সাইবার চক্রের প্রতারণার ছক। তবে তার ঘাবড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো তার ছেলে পাটনায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য বেশ কিছুদিন ধরে আছে। ‌ কয়েকদিন আগেই সে রূপনারায়ণপুরের বাড়িতে ফিরেছে। তিনি বলেন, যদি এই সময় ছেলেটি পাটনায় থাকতো তাহলে তিনি চিন্তায় অস্থির হয়ে প্রতারকদের পাল্লায় পড়ে যেতেন। ‌ বিষয়টি নিয়ে তিনি পাঠক মহলকে সচেতনতার বার্তা দিয়ে বলেন অযথা কেউ যেন ঘাবড়ে গিয়ে ভুল পদক্ষেপ না নেন, উদ্ভট বিষয়ে সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে - তার কারণ প্রতারকেরা নিত্য নতুন জাল বুনে চলেছে। এদিকে তড়িঘড়ি তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরে ওই নম্বরে এরপর যতবারই ফোন করেছেন সেটি সুইচ অফ বলেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

ভস্মীভূত দোকান:: অসহায় যুবকের পাশে বিধায়ক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মার্চ:: রাস্তার পাশে থাকা চায়ের দোকানের আয় থেকেই পাতাল গ্রামের যুবক কাজল বাউরির সংসার চলত। ‌ কিন্তু গভীর রাতে সেই দোকানেই আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। দোকানের সঙ্গে সঙ্গেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় যাবতীয় আসবাবপত্র এবং ব্যবসার সামগ্রী। ফলে মাথায় হাত ওই যুবকের। ‌ সামডি থেকে এথোড়ার দিকে যাওয়ার বাইপাস রাস্তার পাশে কাজলের দোকান। খানিকটা জনশূন্য এলাকায় ওই দোকান থাকায় পথ চলতি মানুষের যথেষ্ট সুবিধা হত বলে জানান মাধাইচকের বাসিন্দারা। ‌৭ মার্চের সেই ঘটনায় এবার কাজলের পাশে দাঁড়ালেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। ‌আজ তিনি সালানপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে কাজলের দোকানে পৌঁছান। সেখানে সমস্ত কিছু দেখে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে বা যারা এই জঘন্য কাজ করেছে তাদের অবিলম্বে পুলিশ ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক। ‌ এরই সঙ্গে তিনি কাজলকে আশ্বাস দেন তিনি যেন দোকানটি পুনরায় নিজের মতো করে গড়ে তোলেন এবং সেজন্য যা খরচ হবে তা বিধায়ক বহন করবেন। ‌ সেখানে থাকা তৃণমূল নেতা ভোলা সিং এবং অন্যান্যদের তিনি বিষয়টি দেখভালের নির্দেশ দেন। ‌ এই আশ্বাস পেয়ে খানিকটা ধাতস্থ হন কাজল। ‌ তিনি বলেন এই দোকান থেকেই তার সংসার চলছিল, আবার দোকান চালু করতে পারবেন সেটা ভেবে ভালো লাগছে।@প্রান্তভূমি
Share on

জলে নজর-ব্লকে ৮টি নতুন সাবমারসিবল পাম্প সহ ১৮টি কাজের সূচনা বিধায়কের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ মার্চ:: আজ আবার একই দিনে সালানপুর ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৮টি প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। উল্লেখযোগ্যভাবে এই ১৮ টির মধ্যে আটটিই হলো সাবমারসিবল পাম্প। যেগুলি চালিত হবে সৌর শক্তির সাহায্যে। মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রীষ্মের দাপট শুরু হয়েছে আর সঙ্গে নানান জায়গায় দেখা দিয়েছে জলাভাব। চলতি গ্রীষ্মে পানীয় জলের সংকট যাতে না হয় সেজন্য বিভিন্ন এলাকায় এখন থেকেই সাবমারসিবল পাম্প বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। ‌ আজ ব্লকের হদলা, প্রতাপপুর, হরিষাডি, মহাবীর কলোনি, শ্রমিক মঞ্চের কাছে, উত্তর রামপুর, মল্লাডি এবং পাহাড়গোড়ায় সাবমারসিবল পাম্প বসানোর উদ্যোগ শুরু হয়। এছাড়াও আজ বোলকুন্ডা গ্রামে ছোটদের খেলাধুলার জন্য একটি নতুন পার্ক এবং রাস্তারও সূচনা করেন শ্রী উপাধ্যায়। এরই সঙ্গে মহেশপুরে একটি কমিউনিটি হল; জেমারি পঞ্চায়েতের ভাগরান, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের মহাবীর কলোনীতে এবং মিন্টু ম্যারেজ হল- এর সামনের রাস্তার সংস্কার কাজের সূচনা করা হয়। তাছাড়াও সৌরশক্তির সাহায্যে উচ্চ বাতিস্তম্ভের সূচনা হয় এথোড়া শ্মশান, রাধাবল্লভপুর, বাসুদেবপুর এবং কল্যানেশ্বরী পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায়। বিধায়কের সঙ্গে সর্বত্র ছিলেন মহম্মদ আরমান, ভোলা সিং, কৈলাশপতি মন্ডল, বিদ্যুৎ মিশ্র, রানু রায় সহ সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত গুলির প্রধান উপপ্রধান ও সদস্যরা এবং বহু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ও অন্যান্যরা।@প্রান্তভূমি
Share on

লাল-হলুদ ভক্তদের টুর্নামেন্টে বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার ফাইনালে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ মার্চ:: আজ চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাবের আয়োজনে প্রথম বর্ষ "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল ম্যাচে কল্যাণীর ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার ২ - ০ ব্যবধানে জয়ী হয়। প্রথমার্ধে উভয় পক্ষই একে অপরের শিবিরে কয়েকবার আক্রমণ করে সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়। আজ খেলার শুরু থেকেই কল্যাণীর খেলোয়াড়েরা বসিরহাটের খেলোয়াড়দের দ্রুত গতি রুখতে অবৈধ ফাউল করতে থাকেন। ম্যাচ রেফারি কড়া নজরে দুই দলকে আয়ত্তে আনতে অসদাচরণের জন্য কল্যাণীর চার জন ও বসিরহাটের একজন খেলোয়াড়কে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সাবধান করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১৭ মিনিটে বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টারের দিব্যেন্দু পাত্রের অনবদ্য পাশে সালাউদ্দিন মোল্লা হেড দিয়ে বল জালে জড়ান। ২১ মিনিটে কল্যাণীর আক্রমণ প্রতিহত হয়ে পাল্টা আক্রমণে বসিরহাটের সালাউদ্দিন মোল্লা নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করে ফাইনাল খেলার সুযোগ করে নেন। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান পান বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টারের সালাউদ্দিন মোল্লা ও তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশিষ্ট সমাজসেবক কৃষ্ণেন্দু মুখার্জী। খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জোনাল রেফারিজ্ এন্ড আম্পায়ারস্ অ্যাসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জনের কৃশানু দত্ত, শুভময় দাস, বিনোদ টুডু ও আন্না হেমব্রম। "লাল-হলুদের দল, নাম ইস্টবেঙ্গল " চিত্তরঞ্জনের ভক্তবৃন্দের আয়োজনে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণ করবে চিত্তরঞ্জনের আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব ও বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার।@প্রান্তভূমি
Share on

নারীর উপর আস্থা রাখলেই সমাজের মঙ্গল - এই ভাবনারই উদযাপন স্টেট ব্যাংক রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ মার্চ:: প্রতি বছর মার্চ মাসের আট তারিখে মা বোনেদের সংগ্রাম, তাদের অধিকারকে সম্মান জানিয়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস। "তাদের উপর আস্থা রাখলেই সমাজের মঙ্গল" -এই ভাবনা নিয়ে এবছর নারী দিবস পালন করবে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছিল। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া রূপনারায়ণপুর শাখার প্রবান্ধক ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জী এবং শাখার কর্মচারী প্রবীর মজুমদার ব্যস্ততার ফাঁকে সময় বার করে রূপনারায়ণপুর ওসি নারসিন সুলতানার হাতে পুষ্পার্ঘ্য তুলে দিয়ে সন্মান জানিয়ে আসেন । এছাড়া দিনের শেষে শাখার মহিলা কর্মচারীদের সন্মান জানিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় উপহার। অনুষ্ঠানের আলোচনায় উঠে আসে মহিলাদের সন্মান কেবল নারী দিবসে নয়, প্রতি দিবসেই করতে হবে। এবং সেটা শুরু করতে হবে নিজের ঘর-পরিবার থেকে। সর্বশেষে হয় শুভেচ্ছা বিনিময়।@প্রান্তভূমি
Share on

'

'
Share on

চাকরি, আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি ডিভিসির:: মৃতদেহ নিয়ে টানা আন্দোলনে সাফল্য কল্যানেশ্বরীতে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ মার্চ:: দম ধরে থাকা আন্দোলনের ফল ফললো। দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকের পরিবারকে চাকরি এবং প্রভূত অর্থ দেওয়ার দাবি মেনে নিলেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। এই আন্দোলনকে শ্রমিকের অধিকারের জয় বলে বর্ণনা করেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সালানপুর ব্লক সভাপতি মনোজ তেওয়ারি এবং ব্লক তৃণমূল সহ-সভাপতি ভোলা সিং। ‌ উল্লেখ্য, ১৫ ফেব্রুয়ারি কর্মরত অবস্থায় ডিভিসি সাব স্টেশনের কল্যানেশ্বরী বিদ্যুৎ বিভাগের অস্থায়ী কর্মী সাহেব লাল মুর্মু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে উঁচু খুঁটি থেকে নিচে পড়ে যান। ‌ সঙ্গে সঙ্গে তাকে আসানসোলের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরবর্তী সময়ে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দুর্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ৭ মার্চ তার মৃত্যু ঘটে। এরপর ওইদিনই বিকেল থেকে কল্যাণেশ্বরী সাব স্টেশনের সামনে মৃতদেহ রেখে যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং মৃতের পরিবারের একজনকে ডিভিসিতে স্থায়ী চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। ‌আটকে পড়ে দেন্দুয়া কল্যানেশ্বরী মেন রোড। এই আন্দোলনে মনোজ তেওয়ারি, ভোলা সিং সহ স্থানীয় গ্রামবাসীরা এবং মৃতের পরিবার পরিজন সামিল হন। ‌ ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেন ক্যাজুয়াল ইউনিয়ন, ডিভিসি কামগার ইউনিয়ন সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই। ‌ শেষ পর্যন্ত প্রায় 26 ঘন্টা পর মীমাংসা সূত্র বের হয়। ‌ তাতে মৃত শ্রমিক সাহেবলাল মুর্মুর স্ত্রী সুনীতা মুর্মুকে ১১ মার্চ স্কিল গ্রেডে অস্থায়ী চাকরি, ডিভিসির আধিকারিকদের মিলিত উদ্যোগে 5 লক্ষ টাকা সহায়তা, পিএফ গ্র্যাচুইটি ইত্যাদি খাত থেকে পাওনা প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা, দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা পাওয়ার ব্যবস্থা, ই এস আই থেকে প্রায় ২৪০০ টাকা মাসে পেনশন এবং সাহেবলালের বাকি কর্মজীবনের বেতনের ৯০% সুনীতা দেবীকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ‌ এরপরই আজ সন্ধ্যা নাগাদ বিক্ষোভ আন্দোলন প্রশমিত হয়। জানা গেছে পুরাণডি গ্রামের বাসিন্দা সুনীতাদেবীর দুই পুত্র। তাদের মধ্যে একজন প্রথম শ্রেণী এবং অন্যজন চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া। ‌ তারা যাতে পড়াশোনা করে সঠিকভাবে মানুষ হতে পারে সেদিকে নজর রাখা হবে বলে জানান শ্রমিক নেতা মনোজ তেওয়ারি। ভোলা সিং বলেন একটি পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারালেও তাদের সঙ্ঘবদ্ধ আন্দোলনের ফলে ঐ পরিবারটি পরবর্তী দিনগুলির আর্থিক কষ্ট থেকে মুক্তি পেল।@প্রান্তভূমি
Share on

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলা কর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি জানালো চিত্তরঞ্জন রেল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ মার্চ:: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মহিলা কর্মীদের সম্মানিত করলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের কর্ম ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক দক্ষতা এবং কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বলিষ্ঠ যোগদানের জন্য মহিলা কর্মীদের অবদানকে এদিন স্বীকৃতি জানিয়ে সংস্থার মহাপ্রবন্ধক হিতেন্দ্র মালহোত্রা বলেন সিএলডব্লুর প্রগতিতে মহিলা কর্মীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‌ আজ শহরের বাসন্তী ইনস্টিটিউট হলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ এই সম্মান জানান। ‌ এদিন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা মহিলা কল্যাণ সমিতির সভানেত্রী নমিতা মালহোত্রা । প্রধান অতিথি ছিলেন মহাপ্রবন্ধক হিতেন্দ্র মালহোত্রা। অনুষ্ঠানে প্রিন্সিপাল চিফ পার্সোনেল অফিসার অমিতাভ চৌধুরী সহ বিভিন্ন বিভাগের বলিষ্ঠ আধিকারিক ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার মহিলা কর্মীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় ব্যাখ্যা করেন শ্রীমতি মালহোত্রা। সমগ্র বিশ্বে মহিলাদের অগ্রগতি এবং তাদের লড়াইকে সম্মান জানিয়ে এবার নারী দিবসের থিম হল "ইন্সপায়ার ইনক্লুশন"। অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রে মহিলাদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং অন্তর্ভুক্তি। এই থিমকে সামনে রেখেই সিএলডব্লু আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন করলো।@প্রান্তভূমি
Share on

সেরা পরিবেশের জন্য পুরস্কৃত দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। ৮ মার্চ:: পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমস্ত কলেজের বিচারে চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় সেরা সার্বিক পরিবেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করল। চলতি বছরে "সবার শিক্ষা সবার সরস্বতী" এই স্লোগানকে সামনে রেখে পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে বাগদেবী সম্মান চালু করেছে জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। এক্ষেত্রে প্রথমবারেই ( ২০২৪ সালের জন্য ) এই পুরস্কার অর্জন করল দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়। ‌ পশ্চিম বর্ধমান জেলার ২৪ টি কলেজের নিরিখে এই সম্মান অত্যন্ত গর্বের বলে উল্লেখ করেছেন ছাত্রনেতা অমিতাভ বিশ্বাস। জেলা জুড়ে এবার যেসব কলেজ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছে সেগুলি হল - ১.সেরা প্রতিমা- দুর্গাপুর আইটিআই কলেজ , বিবি কলেজ ও চুরুলিয়া কলেজ । ২. সেরা সার্বিক পরিবেশ- দুর্গাপুর গভর্মেন্ট কলেজ ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মহাবিদ্যালয়। ৩. সেরা আলপনা- আসানসোল বি সি কলেজ ও দুর্গাপুর ওমেন্স কলেজ । ৪. সেরা উপস্থাপনা - খান্দড়া কলেজ ও আসানসোল গার্লস কলেজ। ৫. সেরা সজ্জা- কুলটি কলেজ ও পাণ্ডবেশ্বর কলেজ । ৬. সেরা ভাবনা- ত্রিবেণী দেবী ভালোটিয়া কলেজ । ৭. সেরা আলোকসজ্জা- আসানসোল বেঙ্গল হোমিওপ্যাথি কলেজ। ৮. সেরার সেরা পুজো- আসানসোল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ । ৯. সেরা অভিনব পুজো- মাইকেল মধুসূদন মেমোরিয়াল কলেজ । উল্লেখ্য, ৭ মার্চ এইসব পুরস্কার কলেজগুলির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এই উপলক্ষে দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ‌ চিত্তরঞ্জন দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংসদের এজিএস রিতিকা কর্মকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পুরুষোত্তম ঠাকুর সহ অন্যান্যরা।@প্রান্তভূমি
Share on

'

'
Share on

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মহিলাদের অধিকার আদায়ের কথা স্মরণ করলো মহিলা সমিতি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ মার্চ:: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে আজ সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি রূপনারায়ণপুরে রামধন বাউরি স্মৃতি ভবনে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অনুষ্ঠান করে। গান আবৃত্তি এবং আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রেক্ষাপট গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হয়। ৮ মার্চ নিউ ইয়র্কের মহিলা দর্জিরা প্রথম ভোটাধিকার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ১৮৫৭ সালে। মহিলা শ্রমিকের অধিকার আদায় এবং তাদের প্রাপ্য সম্মানের জন্য যে আন্দোলন সংগঠিত হয়েছিল এবং মহিলাদের ভোটাধিকারের দাবিতে ও মহিলাদের রাজনৈতিক অধিকার এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার অধিকার আদায়ের দীর্ঘ লড়াইয়ের কথা এবং অবশেষে সেই সাফল্যের কথা স্মরণ করতেই আজকের এই দিনটিকে নারী দিবস হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বহ্নি ঘোষ, শিপ্রা মুখার্জি প্রমুখ আজকের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

দুষ্কৃতির আগুনে পুড়ে ছাই দোকান, ঝলসে মৃত্যু বহু গাছের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ মার্চ:: আগে একবার চুরির ঘটনা ঘটেছিল, এবার সেই দোকানকেই রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিল দুষ্কৃতিরা। আরও মর্মান্তিক ঘটনা হলো দোকান ভস্মীভূত হওয়ার পাশাপাশি দোকান সংলগ্ন বেশ কয়েক হাজার গাছও পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। এই ঘটনা ঘটেছে সালানপুর থানার অন্তর্গত মাধাইচকে। এখানেই রাস্তার পাশে চায়ের দোকান কাজল বাউরির। তিনি বলেন গতকাল রাত প্রায় বারোটা নাগাদ দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ি গিয়েছিলেন। আজ সকালে এসে দেখেন দোকান একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুষ্কৃতিরা এই আগুন লাগিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন দোকানে থাকা সমস্ত সামগ্রী এবং গাছগুলি পুড়ে শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি যারফরনাই আঘাত পেয়েছেন। কাজলবাবু এলাকায় বৃক্ষপ্রেমী হিসেবে পরিচিত । ঘটনার সংবাদ পেয়ে সালানপুর থানার পুলিশ সেখানে যায়। তারা তদন্ত শুরু করেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

বসিরহাট বামনপুকুরের কাছে পরাজিত মতুয়া মিলন বীথি:: ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাব ফুটবলে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মার্চ:: আজ চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাব আয়োজিত প্রথম বর্ষ "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" ফুটবল প্রতিযোগিতায় চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার, কলকাতার মতুয়া মিলন বীথি ফুটবল টীমকে ৩ - ১ ব্যবধানে পরাজিত করে। খেলার শুরু থেকেই বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টারের খেলোয়াড়রা বিপক্ষ শিবিরে মুহুর্মুহু আক্রমণে কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করে, প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে শুভঙ্কর সর্দারের দেওয়া গোলে বসিরহাটের দল এক গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটে দীপঙ্কর প্রামাণিক দলের দ্বিতীয় গোল ও ২১ মিনিটে শুভঙ্কর সর্দার 'ডি' বক্সের দশ গজ বাইরে থেকে দুরন্ত শটে বল জালে জড়িয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ২৩ মিনিটে অভিজিৎ দাস একটি গোল শোধ করার পর কলকাতার মতুয়া মিলন বীথির খেলোয়াড়েরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও আর কোনো গোল করতে পারেন নি। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে ফুটবলপ্রেমী ও ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাব, চিত্তরঞ্জনের শুভাকাঙ্খী রীনা দাসকে সম্বর্ধনা দেন ক্লাবের সভাপতি দীপঙ্কর মিত্র ও রীনা দাস আজকের খেলায় নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়, বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার, বসিরহাটের শুভঙ্কর সর্দারের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। আজ খেলা পরিচালনা করেছেন জোনাল রেফারিজ্ এন্ড আম্পায়ারস্ অ্যাসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জনের মানব মন্ডল, কৃশানু দত্ত, বিনোদ টুডু ও জয়দেব সোরেন। চিত্তরঞ্জনের প্রতি টুর্নামেন্টের ন্যায় এই টুর্নামেন্টেও সেন্ট জন্ অ্যাম্বুল্যান্স ব্রিগেড-এর স্বেচ্ছাসেবকেরা মাঠে খেলোয়াড়দের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসার দায়িত্ব পালন করছেন। আগামীকাল দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল কল্যাণীর ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমি ও বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার।@প্রান্তভূমি
Share on

অনুসরণীয় নারীদের সম্মানিত করলো ডিএভি স্কুল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মার্চ:: আগামীকাল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কিন্তু ঐদিন শিবরাত্রি, স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটি। তাই আজ হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলের পক্ষ থেকে এলাকার অনুসরণীয় নারীদের সম্মানিত করা হলো। প্রথমে স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের সংবর্ধিত করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ‌ তারপর পৌঁছে যান একে একে রূপনারায়নপুর ওসি নাসরিন সুলতানা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা সমাজ কর্মী মৈত্রেয়ী মজুমদার, শিক্ষিকা রত্না সোমের কাছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে তাদের বিশেষভাবে সম্মানিত করেন ডিএভি'র শিক্ষক-শিক্ষিকারা সম্মিলিতভাবে। এছাড়াও চিত্তরঞ্জন চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পাপিয়া মুখার্জি, সালানপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অনুরাধা ভট্টাচার্য, ব্লকের যুগ্ম বিডিও শ্রেয়া নাগকে স্কুল কর্তৃপক্ষ সংবর্ধনা জানানোর উদ্যোগ নেন, তবে আজ তাদের অনুপস্থিতির কারণে পরে তাদের কাছে স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার এবং অন্যরা পৌঁছে যাবেন বলে জানান। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে সালানপুর ব্লকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে নারীরা স্বমহিমায় দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। একটি বিশেষ দিনে তাদের সেই অবদানকে স্মরণ করে সকলের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিল ডিএভি স্কুল বলে জানান অধ্যক্ষ শ্রী মজুমদার। ‌ তিনি বলেন নারী পুরুষ সকলের একত্রিত উদ্যোগে এই সমাজ সব সময় সকলের বাসযোগ্য হয়ে থাকবে।@প্রান্তভূমি
Share on

কেউ অস্বস্তিতে ফেললে তার প্রতি রুঢ় হও- নারী দিবস উপলক্ষ্যে দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে বললেন এ্যডভোকেট হরিশংকর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ মার্চ:: প্রতিবন্ধকতা দূর করে এসো আমরা হাতে হাত মিলিয়ে সেতু রচনা করি - আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে লিঙ্গ বৈষম্য ত্যাগ করে নারী পুরুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার এই আহ্বান জানালেন রূপনারায়ণপুর লায়ন্স ক্লাব এবং চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয় যৌথভাবে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে উপলক্ষ্য করে ৬ মার্চ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল মহাবিদ্যালয়ে। প্রধান বক্তা ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আইএএস আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হরিশংকর চট্টোপাধ্যায়, মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডু, লায়ন্স ক্লাবের ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর লায়ন নবারুণ গুহঠাকুরতা, পাস্ট ডিজি লায়ন রমেশ কুমার পান্ডে প্রমুখ। ‌ মহিলাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই এগিয়ে আসতে হয়, কিন্তু সমাজ উন্নয়নের যজ্ঞে নারীদের সামিল করতে না পারলে তা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে বলে মন্তব্য করেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। আকাঙ্ক্ষা ভাস্কর বলেন আন্তর্জাতিক শ্রম দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ১৯৬০ সালে আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে নারীদের যোগদান ছিল ৪৫ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা কমে হয়েছে মাত্র ১৯ শতাংশ‌ - যা বাংলাদেশ শ্রীলংকার থেকেও কম। এর কারণ আমরা ধনী হয়েছি, তাই সংসারে আর চাকরির প্রয়োজন নেই। মহিলাদের শিক্ষার হার বাড়ছে কিন্তু চাকরি হচ্ছে না বা চাকরিতে অনীহা জন্মাচ্ছে। লায়ন্স ক্লাবের বিভিন্ন কার্যকলাপ ব্যাখ্যা করেন রমেশ কুমার পান্ডে। স্লাইড শো-এর মাধ্যমে মহিলাদের অধিকার সম্পর্কিত আইনগুলি ব্যাখ্যা করেন হরিশংকর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন সংবিধান আমাদের দেশের মহিলাদের স্বতন্ত্র ক্ষমতা দিয়েছে। সেগুলি হল অবস্থা ও মর্যাদার ক্ষেত্রে সমান অধিকার। কোন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় তলব করা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন বিভিন্ন বিষয়ে মহিলাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিশেষ অধিকার স্বীকৃত আছে সংবিধানে। তার উপদেশ, কেউ অস্বস্তিতে ফেললে তার প্রতি রুঢ় হও। বিশেষ পরিস্থিতিতে যে কেউ নেতৃত্ব দিতে পারবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যখন একজন নারী নিজের অধিকারের কথা সোচ্চারে বলতে পারে তখন সে সবার জন্যই বলতে পারবে। যে আইন জানে তার কোন অস্ত্রই প্রয়োজন হয় না, তাই নারীর স্বপক্ষে যাবতীয় আইন সমস্ত নারীর জানা আবশ্যক।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে ফুটবল::সোদপুরকে হারালো কল্যাণী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ :: চিত্তরঞ্জনের ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাব আয়োজিত প্রথম বর্ষ "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" ফুটবল টুর্নামেন্টে আজ শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল খেলায় সোদপুরের নেতাজী সংঘ ক্লাবের বিরুদ্ধে কল্যাণীর ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমি জয়ী হয়। প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে সোদপুরের নেতাজী সংঘ ক্লাবের শেখ ইয়াসউদ্দিন গোল করে দলকে এক গোলে এগিয়ে নিয়ে যান। দ্বিতীয়ার্ধে কল্যাণীর ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়রা গোল শোধ করতে তেড়েফুঁড়ে খেলা শুরু করেন ও কয়েকবার বিপক্ষ শিবিরে হানা দিয়ে, অবশেষে ৬২ মিনিটে রাজদীপ মন্ডল বল জালে জড়িয়ে খেলার সমতা ফিরিয়ে আনেন। নির্দিষ্ট সময়ে খেলা অমীমাংসিত থাকায় "কিক্ ফ্রম দ্য পেনাল্টি মার্ক" পদ্ধতিতে কল্যাণীর ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমির গোলরক্ষক রিতম ভট্টাচার্য, তার দক্ষতায় বিপক্ষ দলের দুই খেলোয়াড়ের শট্ দাপটে গোল রক্ষা করে ৪ - ২ ব্যবধানে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ম্যাচের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমি, কল্যাণীর গোলরক্ষক রিতম ভট্টাচার্য ও তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন চিত্তরঞ্জনের প্রবীণ ফুটবলার নির্মল দাস। আজ খেলা পরিচালনা করেছেন জোনাল রেফারিজ্ এন্ড আম্পায়ারস্ অ্যাসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জনের কৃশানু দত্ত, শুভময় দাস, মানব মন্ডল ও জয়দেব সোরেন। আগামীকাল ৭ মার্চ চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি লড়াই করবে কলকাতার মতুয়া মিলন বীথি ও বসিরহাটের বামনপুকুর ফুটবল কোচিং সেন্টার।@প্রান্তভূমি
Share on

কেবলস রোড থেকে সরানো হলো ঝুলন্ত বিদ্যুতের খুঁটি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: প্রান্তভূমি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরেই সরে গেল মৃত্যু-খাঁড়া। চিত্তরঞ্জন- আসানসোল মেন রোডের উপর হিন্দুস্তান কেবলস অফিস গেটের কাছে একেবারে রাস্তার উপর ঝুঁকে আটকে ছিল একটি কংক্রিটের বিদ্যুতের খুঁটি। যেকোনো মুহূর্তে যথেষ্ট ভারবাহী ঐ খুঁটি আছড়ে পড়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ‌ কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ঐ খুঁটিটি রাস্তার পাশে থাকা দিয়ে বিদ্যুতের তার, টিভি কেবল ইত্যাদিতে আটকে থাকলেও সেটিকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ চোখে না পড়ায় পথ চলতি মানুষজন ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ‌ বিশেষ করে কয়েক হাত দূরে ডিএভি স্কুলের অবস্থান এবং হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী এই বিপদ মাথায় নিয়েই ঐ এলাকা দিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছিল। ‌ বিষয়টি ছবিসহ প্রান্তভূমি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার একদিন পরেই ঐ বিদ্যুতের খুঁটিটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্লেখ্য, রাতের অন্ধকারে একটি পিকআপ ভ্যান উন্মত্ত গতিতে ঐ বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা মারার ফলে সেটি গোড়া থেকে ভেঙে গিয়ে কোনক্রমে আটকে ছিল এবং তার মাথায় ফ্লাড লাইট সহ সেটি একেবারে রাস্তার মাঝ বরাবর ঝুঁকে ছিল। শেষ পর্যন্ত বিপদ মাথার উপর থেকে সরে যাওয়ায় সকলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন।@প্রান্তভূমি ‌
Share on

টাচ-এর মানবিক স্পর্শ::লছিপুরে স্বাস্থ্য শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: আসানসোলের সমাজ কল্যাণ সমিতি "টাচ"- এর উদ্যোগে লছিপুরের শুক্লা ভট্ট রোডে সংস্থার মূল কার্যালয়ে নিঃশুল্ক স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবির হলো ৩ মার্চ। শিবিরের উদ্বোধন করেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি জানান টাচ দীর্ঘদিন ধরেই সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তাদের কার্যকলাপ বিস্তৃত করেছে। দুঃস্থ মানুষদের জন্য খুব ভালো কাজ করছে। আমরাও এই সংস্থার টাচে আছি। এই শিবিরে চক্ষু বিভাগে পরিষেবা দেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিলেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার অনুরঞ্জিতা, দুর্গাপুর প্যারামেডিকেল কলেজের সহ অধ্যাপক ডাক্তার সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, অপথালমোলজিস্ট সৌমব্রত চক্রবর্তী। সাধারণ স্বাস্থ্য বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করেন ডাক্তার দিলীপ চক্রবর্তী, ডাক্তার এস কে সাউ এবং ডাক্তার কানাইলাল মন্ডল। এদিন শিবিরে বিনামূল্যে ওষুধপত্রও দেওয়া হয়। শিবির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন ডাক্তার সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, টাচ এর পক্ষে সহ-সভাপতি অশোক ইভান দাস, সম্পাদক সপ্তম পাঁজা, যুগ্ম সম্পাদক নাহার খাতুন, কোষাধ্যক্ষ পলাশ পাল, প্রোজেক্ট ম্যানেজার কুহেলি পাল পাঁজা এবং আইটি বিভাগের প্রীতম পাঁজা। সংস্থার পক্ষ থেকে সপ্তম বাবু জানান মাসে অন্ততপক্ষে দুই থেকে তিনটি করে চিকিৎসা শিবির তারা সুন্দরবন হলদিয়া রানীগঞ্জ দুর্গাপুর বর্ধমান কলকাতা আসানসোলের প্রত্যন্ত এলাকাসহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে করে থাকেন। ‌ সাথে ওষুধপত্র চশমা নিঃশুল্ক দেওয়া হয়। ২০১০ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ২৭০০ চশমা দেওয়া হয়েছে। 6 মাস অন্তর ৫ জন যক্ষা রোগীকে ৬ মাস খাবার ও ঔষধপত্র দেওয়া হয় সংস্থার তরফে। দুর্গাপুরের একটি আদিবাসী গ্রাম 'জঙ্গলমহল'-এর বাসিন্দাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত করার প্রচেষ্টা তারা চালাচ্ছেন বলে সপ্তম বাবু জানান। এদিনের শিবিরে পরিষেবা নিয়েছেন চক্ষু বিভাগে ১০০ জন এবং সাধারণ স্বাস্থ্য বিভাগে ৭৫ জন বলে সংস্থা সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

এবার লক্ষ্য ১০১ ইউনিট, প্রত্যয়ী উজ্জীবনের নারী বাহিনী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ১০ মার্চ উজ্জীবনের আয়োজনে স্বেচ্ছা রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এই শিবিরের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন সংস্থার মহিলা সদস্যরা। ‌ ৩ মার্চ উজ্জীবন কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমুখ ছিলেন তাঁরাই। সাংবাদিকদের সামনাসামনি হন উপদেষ্টা তৃপ্তি রায়, বৈশালী ভট্টাচার্য, কুমকুম বোস, এমিলি মন্ডল, মুক্তা ঘোষ ও চন্দনা ঘোষ। তাঁরা জানান ১৯৯২ সাল থেকে উজ্জীবন স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে আসছে। তবে, বিশ্ব নারী দিবসে মহিলাদের রক্তদান শিবির এবার তৃতীয় বর্ষে পড়ল। হিমোগ্লোবিন কম বলে মহিলাদের রক্তের চাহিদা বেশি থাকে, তাই তারা এগিয়ে এসেছেন। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এবছর শিবরাত্রি। তাই শিবিরের তারিখ পরিবর্তন করে ১০ মার্চ করা হয়েছে। শিবিরের জন্য কল্যাণগ্রাম অরবিন্দনগর দেশবন্ধুপার্ক জোড়বাড়ি রূপনারায়ণপুর জেমারি বাসুদেবপুর এবং আশপাশের সব জায়গাতেই সচেতনতা সম্পর্কিত প্রচার চালানো হচ্ছে দীর্ঘ দেড় মাস যাবৎ। মহিলারা দলে দলে ভাগ হয়ে প্রতিটি বাড়িতে প্রচারে যাচ্ছেন, সাথে আহ্বান জানাচ্ছেন সহযোগিতারও। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তাঁরা জানান, উজ্জীবনের বর্তমান মহিলা সদস্য সংখ্যা 45 জন। প্রথম বছর রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্য ছিল ৫১, পরের বছর ৭১, এবার লক্ষ্য ১০১ ইউনিট। তবে, শহরের শিক্ষিত পরিবারের থেকে গ্রাম্য এলাকায় এ বিষয়ে বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তাঁরা জানান। উজ্জীবনের সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস খাওয়াস জানান অনুষ্ঠানের খরচ ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, ফলে তারা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। সুস্থভাবে সেদিন যাতে মহিলারা রক্তদান করতে পারেন তার জন্য সকলের কাছে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।@প্রান্তভূমি
Share on

হেঁটে কিংবা সাইকেলে ঢুকতে হবে কারখানায়-চিত্তরঞ্জনে নয়া ফরমানে ক্ষোভ কর্মীমহলে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানায় যেন ইংরেজ শাসন চলছে এমনই অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন আই এন টি ইউ সি/ সিআরএমসি নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। তিনি বলেন কারখানার ভেতরে একজন অফিসার পাঁচ ছ'টি গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করতে পারবেন অথচ কর্মীদের পায়ে হেঁটে কিংবা সাইকেলে কারখানার ভেতরে যাওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন সমস্ত ধরনের দুই চাকার বাহন অর্থাৎ মোটরসাইকেল স্কুটি ইত্যাদি কারখানার প্রবেশদ্বারের বাইরে রেখে ভেতরে যেতে বলা হয়েছে কর্মীদের। ‌ কিন্তু কারখানার বিভিন্ন গেট থেকে ভেতরে কোন কোন ক্ষেত্রে কর্মস্থলের দূরত্ব আধ কিলোমিটার বা তারও বেশি। ‌ এতটা পথ পায়ে হেঁটে কোনভাবেই যাতায়াত করা সম্ভব নয় কর্মীদের। অন্যদিকে চিত্তরঞ্জন রেল কর্তৃপক্ষ কারখানার ভেতরে বিভিন্ন বিভাগে কর্মীদের যাওয়ার জন্য সাইকেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে সাইকেল চালালে কর্মীদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, আবার পরিবেশও দূষণমুক্ত হবে। কিন্তু এখন যে সাইকেল প্রায় উঠেই গেছে সেদিকে কর্তৃপক্ষের খেয়াল নেই - এই অভিযোগ তুলে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কর্তৃপক্ষের এই খামখেয়ালি নির্দেশের বিরুদ্ধে তারা ৫ মার্চ প্রতিবাদ জানান। প্রথমদিকে এই নির্দেশের পক্ষে রেল আধিকারিকেরা অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত কর্মীদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে জিএম অফিসের সামনে ফাঁকা জায়গায় এতদিন বাইক রাখা হলেও এখন সেখানে তা রাখতে দেওয়া হচ্ছে না অভিযোগ তুলে ইন্দ্রজিৎ বাবু বলেন অন্যত্র যথেষ্ট পরিমাণে বাইক রাখার উপযুক্ত ব্যবস্থা গড়ে না তুলেই কর্তৃপক্ষ একতরফা নির্দেশ জারি করছেন যাতে কর্মীদের অসন্তোষ বাড়ছে।@প্রান্তভূমি
Share on

'নিক্ষয় মিত্র' ডিএভি স্কুল দায়িত্ব নিল ১৫ জন যক্ষা আক্রান্তের:: মানবিকতার অনন্য উদাহরণে আপ্লুত সিএমওএইচ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: সারা বিশ্বে যত যক্ষা আক্রান্ত ব্যক্তি আছেন তার মধ্যে এক চতুর্থাংশের বাসই ভারতে। সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষা মুক্ত ভারত গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। ‌ কিন্তু এই সংকল্পের প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে দুস্থ যক্ষা আক্রান্ত ব্যক্তিরা। কারণ সম্পূর্ণ বিনা ব্যয়ে সরকারের কাছ থেকে ওষুধ, অন্যান্য পরিষেবা এবং কিছু অর্থ পাওয়া গেলেও কমপক্ষে ৬ মাস অতি পুষ্টিকর আহার তারা জোগাড় করতে পারেন না, ফলে যক্ষা মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা দেখা দেয়। ‌ এই অসুবিধা দূর করার জন্য সরকারিভাবে "নিক্ষয় মিত্র" পরিকল্পনা চালু করা হয়েছে। ‌ এক্ষেত্রে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা বা যে কোন প্রতিষ্ঠান ওইসব যক্ষা আক্রান্ত ব্যক্তিদের এক বা একাধিক জনের পুষ্টিকর আহার নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যোগানোর দায়িত্ব নিতে পারেন। এই দায়িত্বই অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে গ্রহণ করল হিন্দুস্তান কেবলস রূপনারায়ণপুর ডিএভি পাবলিক স্কুল। ‌ তারা সালানপুর ব্লকের ১৫ জন যক্ষা আক্রান্তের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন আজ ৬ মার্চ থেকে। এই উপলক্ষে পিঠাকিয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই ১৫ জনের হাতে বিভিন্ন সামগ্রী ভর্তি পুষ্টিকর আহারের ব্যাগ তুলে দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমি এই উদ্যোগে সামিল হয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার মহম্মদ শেখ ইউনুস, ডেপুটি সিএমওএইচ (ওয়ান) ডাক্তার সৈকত প্রধান, ডাক্তার স্বাতী ব্যানার্জি, ডিপিসি সুশোভন কর, জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, ডিস্ট্রিক্ট টিউবারকুলোসিস অফিসার ডাক্তার অভিষেক রায়, সালানপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত শিট, ডিএভি স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার সহ অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মীরা, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সন্তোষ চৌধুরী এবং ছিলেন সামাজিক সংগঠন ভাবনার একাধিক সদস্য। সকলেই ডিএভি স্কুলের সামাজিক এই অবদানকে অকুন্ঠ সাধুবাদ জানান। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এদিনের অনুষ্ঠানস্থল থেকেই সিএমওএইচ ডাক্তার ইউনুস নিজে জেলার পাঁচ জন যক্ষা রোগীর দায়িত্বভার গ্রহণ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন একটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে যে দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এলেন তা অন্যদেরও বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করবে। এ প্রসঙ্গে ডিএভি স্কুলের অধ্যক্ষ শ্রী মজুমদার বলেন এই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অন্যান্য কর্মীরা নীরবে স্কুলের একটি বাক্সে তাদের সহযোগিতার অর্থ রেখে দেন । সেই অর্থ থেকেই এমন একটি উদ্যোগ তারা রূপায়িত করছেন। ‌ পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি স্কুল যে আজ সমাজের অসহায় মানুষদের বন্ধু হতে পারছে সেজন্য তিনি জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর এবং যক্ষা বিভাগ ও এই সংক্রান্ত সকলকে ধন্যবাদ জানান। ‌বিশেষ করে রাজা চ্যাটার্জী এবং রক্তিম দে'র নিরলস প্রয়াসের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।@প্রান্তভূমি
Share on

বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হবে আজ ও কাল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ মার্চ:: আজ এবং কাল রূপনারায়ণপুর সহ সমগ্র সালানপুর ব্লকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এ বিষয়ে রূপনারায়ণপুর বিদ্যুৎ কার্যালয় থেকে জানা গেছে বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকায় হঠাৎ হঠাৎ কম সময়ের জন্য লোডশেডিং হয়ে যাচ্ছিল। এর কারণ নির্দিষ্টভাবে জানার পরেই সেই অসুবিধা দূর করতে ডাবর এবং দেন্দুয়া সাব স্টেশনের ৩৩ কেভি বিদ্যুতের লাইন মেরামতিতে নামছে বিদ্যুৎ দপ্তর। এজন্য ৩০ থেকে ৪০ মিনিট করে এক একটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তবে, একটানা কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হবে না বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

সবজি নামিয়ে ফেরার পথে করা হতো টায়ার চুরি, রূপনারায়ণপুর পুলিশ বামাল ধরলো দুস্কৃতিদের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মার্চ:: সবজির গাড়ি বিহারে খালি করে পশ্চিমবঙ্গে ফেরার পথে রূপনারায়ণপুর থেকে একাধিকবার টায়ার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বড় চক্রকে ধরল রূপনারায়ণপুর পুলিশ। চক্রের এক পান্ডা আগেই পুলিশের হাতে এসে গিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আজ দেন্দুয়া থেকে ১৬ টি চোরাই টায়ার সহ আরও এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তার নাম দিলীপ কুমার (28)। এখন সে দেন্দুয়ার গণেশ কাঁটা কাছাকাছি থাকলেও তার আদি বাড়ি বিহার মজফরপুরের সরাইয়া শিসবেনিয়া গ্রামে। ‌ আগেই ধরা পড়েছিল হুগলি পান্ডুয়ার বৈঁচি ডিভিসি অঞ্চলের আবিদ আলি (২৮)। পুলিশকে আবিদ জানিয়েছে দিলীপ তাকে দু'বারে হাজার টাকা দিয়ে ১৬ টি টায়ার তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলেছিল। রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট সংলগ্ন এসার পেট্রোল পাম্পের কাছাকাছি একটি টায়ার মেরামতির সংস্থা থেকে সে ওই টায়ারগুলি পিকআপ ভ্যানে তুলে দিলীপের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল বলে জানায়। তবে এগুলি যে চুরি করা হচ্ছে সে সম্বন্ধে তার ধারণা ছিল না বলে সে বলে। ‌ রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা চুরি সংক্রান্ত অভিযোগ পাওয়ার পরেই সিসিটিভি ফুটেজ এবং পুলিশের নিজস্ব সোর্সকে কাজে লাগিয়ে দু'দিনের মধ্যেই চোরাই টায়ার উদ্ধার সহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলো । এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রূপনারায়ণপুর পুলিশ।@প্রান্তভূমি
Share on

আজ সাডেন ডেথে বিদায় শিবাজীর, ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস ক্লাবের ফুটবলে আগামীকাল জমজমাট ম্যাচ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মার্চ :: আজ চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাবের আয়োজনে "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রথম সেমি ফাইনাল ম্যাচে চিত্তরঞ্জনের আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব, শিবাজী সংঘকে "সাডেন্ ডেথ্" -এ হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। আজ খেলা মাঝ মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল। খেলার নির্দিষ্ট সময় গোলশূন্য থাকায় টাই-ব্রেকার পদ্ধতিতে ৬ - ৫ ব্যবধানে আদিবাসী ইউনাইটেড এফ সি জয়ী হয়। প্রথমার্ধের ২০ মিনিটের মাথায় শিবাজী সংঘের শচীন্ত গোপের শট্ পোস্টে লেগে প্রতিহত বল গোল লক্ষ্যের খুবই কম দূরত্ব থেকে রাজা দাস সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন। এই সুবর্ণ সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারায়, তার মাসুল হিসাবে শিবাজী সংঘকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হলো। আজ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের সম্মান পান আদিবাসী ইউনাইটেড এফ সির সঞ্জয় কিস্কু ও তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সি এ বি স্বীকৃত আম্পায়ার ভবানী প্রসাদ মুখার্জী। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জোনাল রেফারিজ্ এন্ড আম্পায়ারস্ অ্যাসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জনের শুভময় দাস, রঞ্জিত দে, মানব মন্ডল ও কৃশানু দত্ত। আগামীকাল ৬ মার্চ তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল কল্যাণীর ইউনাইটেড ফুটবল অ্যাকাডেমি ও সোদপুরের নেতাজী সংঘ ক্লাব।@প্রান্তভূমি
Share on

তৃণমূলের জনগর্জন রূপনারায়ণপুরে, এলেন ক্রিকেট আইকন মন্ত্রী মনোজ তেওয়ারি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মার্চ:: প্রখ্যাত ক্রিকেটার তথা পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী মনোজ তেওয়ারি আজ রূপনারায়ণপুরে তৃণমূল কংগ্রেসের সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। ১০ মার্চ কলকাতায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনগর্জন সভায় যাতে সালানপুর ব্লক থেকে বেশি বেশি করে মানুষ উপস্থিত হন সেই উদ্দেশ্যে এই সভার আয়োজন করেছিল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। ডাবরমোড় বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এই সভায় অত্যন্ত সাবলীলভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন প্রকল্পের ব্যাখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি তীব্র ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন শ্রীতেওয়ারি।। তিনি স্মৃতি ইরানীর নাম করে বলেন বাংলার মায়েরা যদি গ্যাসে রান্না করতে গিয়ে সিলিন্ডারে স্মৃতি ইরানীর ছবি ভেসে উঠতে দেখেন তাহলে সেদিনের রান্না খারাপ হতে বাধ্য, কারণ মায়েদের মনে তখন ৪০০ টাকা সিলিন্ডারের দাম কেন বারোশো টাকা হল সেই চিন্তা বাসা বাঁধে। ‌ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সেইসব প্রতিশ্রুতিকে ভুলে যাওয়া একমাত্র বিজেপির পক্ষেই সম্ভব। তিনি বলেন ক্রিকেট খেলতে খেলতেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন তার কারণ বাংলাকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ভালো মানুষের সংযোগ ঘটা প্রয়োজন। এই ব্লকের খেলাধুলার উন্নতিতে তিনি বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের মাধ্যমে উদ্যোগ নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ‌ অন্যদিকে বিধান উপাধ্যায় এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন সিপিএম বিজেপি কংগ্রেস সব দলের মানুষের জন্যই তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছে। তিনি বলেন আগামী দিনে সরকারি প্রকল্পগুলির পরিষেবা পাওয়া নিশ্চিত রাখতে তৃণমূল কংগ্রেসকে জেতাতেই হবে। ‌ বিধান বাবু বলেন আসন্ন লোকসভায় বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্র যেন তাদের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহাকে সবচেয়ে বেশি ভোটের লিড দেন। ‌ আগের নির্বাচনে প্রায় ৭৮ হাজার ভোটের লিড এই বিধানসভা এলাকা দিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন এবার এই লিড যেন এক লাখ হয়। অন্যদিকে সভার শুরুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ আরমান বলেন বিজেপির নেতারা ভোট চাইতে বাড়িতে এলে ঝাঁটা কুলো দিয়ে তাদের বিদায় দিন। তার কারণ তারা বছরের অন্য সময় আসেন না, শুধু ভোটের সময় মিথ্যা কথা বলতে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যান। এদিন নান্দনিক হল থেকে ডাবরমোড় পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল সমর্থকরা আসেন। পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাপনায় যানজট মুক্ত ছিল এলাকা। ‌ মন্ত্রী মনোজবাবু এ বিষয়টি উল্লেখ করে পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। সভা পরিচালনা করেন সুভাষ মহাজন।@প্রান্তভূমি
Share on

আজ থেকেই ব্লকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ মার্চ:: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও মানুষজন যাতে নির্ভয়ে ভোট দিতে যান সেই ভরসা যোগানোর জন্য আজ থেকেই সালানপুর ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ শুরু হয়ে গেল। ‌ আজ বিকেলে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি এবং রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক প্লাটুন জওয়ান ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরেন। তারা সামডি, জোড়বাড়ি, রূপনারায়ণপুর বাজার, শ্রীগুরুপল্লী, স্টেশন রোড, দেশবন্ধু পার্ক ইত্যাদি এলাকায় রুট মার্চ করার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন। প্রত্যেক জায়গাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা পথ চলতি মানুষের সাথে কথা বলে আসন্ন লোকসভায় তারা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে যান সেই ভরসা যোগান। জানা গেছে আপাতত কুলটি থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা সালানপুর ব্লক এলাকায় নিয়মিত রুট মার্চ করবেন। পরবর্তী সময়ে এই ব্লকের আছড়া স্কুল, আইটিআই এবং অন্যত্র তাদের রাখার বন্দোবস্ত হবে।@প্রান্তভূমি
Share on

হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিস স্থানান্তরের জন্য পিএমজি'কে চিঠি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ:: জরাজীর্ণ অবস্থা হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিসের। অপরিসর ঘর দুটি ভেঙে গেছে চারিদিকে ।ছাদ থেকে প্লাস্টার খসে পড়ছে, বৃষ্টি হলে গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ এবং কম্পিউটারের উপর ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। নেই শৌচালয়। প্রকৃতির ডাকে কর্মীদের অন্ততপক্ষে ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে হয়।। ২০১৭ সালে কেবলস কারখানা পাকাপাকি বন্ধ হওয়ার পর থেকে বিদ্যুৎ জল কিছুই নেই। সারাদিন ভরসা জেনারেটর। ‌ খাবার জল কিনে আনতে হয় দূর থেকে। এই পরিস্থিতিতে মূল্যবান দলিল দস্তাবেজ অর্থ তহবিল সমস্তই বিপন্ন এবং সময়মতো অপরিহার্য পরিষেবা দানে বাধা সৃষ্টি করে। বিষয়গুলি জানিয়ে চিফ পোস্টমাস্টার জেনারেল পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলকে চিঠি দিলেন অল ইন্ডিয়া হিউম্যান রাইটসের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ ঘোষ। চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে পোস্টমাস্টার জেনারেল সাউথ বেঙ্গল রিজিয়ন এবং ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিসেস আসানসোল ডিভিশনকে। ১ মার্চ ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট সুব্রত সামন্তর হাতে চিঠি তুলে দেন গৌরাঙ্গবাবু, সাথে ছিলেন সালানপুর ব্লক সম্পাদক চিত্তরঞ্জন প্রসাদ। চিঠিতে বলা হয়েছে হিন্দুস্তান কেবলস পোস্ট অফিস বাসুদেবপুর জেমারি, আছড়া, শিয়াকুলবেড়িয়া, কল্যাণগ্রাম, অরবিন্দনগর, দেশবন্ধুপার্ক, জোরবাড়ি, মালবহাল, হলুদকানালি, হিন্দুস্তান কেবলস সহ বিস্তীর্ণ এলাকার পরিষেবা প্রদানকারী এবং জীবন রেখা। তাই এই পোস্ট অফিসটিকে কোনো উপযুক্ত স্থানে স্থানান্তর করা হোক, যা পরিষেবাকে আরো উন্নত এবং সুরক্ষিত করবে।@প্রান্তভূমি
Share on

আট গোলের রুদ্ধশ্বাস ফুটবলে শেষ হাসি শিবাজীর

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ:: আজ চিত্তরঞ্জনের শ্রীলতা ফুটবল ময়দানে এক রোমাঞ্চকর ফুটবলের সাক্ষী হলেন চিত্তরঞ্জন ও সংলগ্ন এলাকার ফুটবলপ্রেমী জনগণ। চিত্তরঞ্জনেের ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাব আয়োজিত প্রথম বর্ষ "ফ্রেন্ডশিপ কাপ" ফুটবল প্রতিযোগিতায় আজ ৪ মার্চ দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে চিত্তরঞ্জনের অরবিন্দ ফুটবল অ্যাকাডেমির বিরুদ্ধে শিবাজী সংঘ ৫ - ৩ ব্যবধানে জয়ী হয়। প্রথমার্ধে অরবিন্দ এফ এ-র খেলোয়াড়রা শিবাজী সংঘের শিবিরে কয়েকবার হানা দিয়ে পরপর ৬ মিনিটে অভিজিৎ টুডু ও ১৫ মিনিটে উমেশ মারান্ডির গোল দলকে দুই গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৮ মিনিটে শিবাজী সংঘের রাজা দাস সুযোগের সদ্ব্যবহার করে বল জালে জড়ান। ২৭ মিনিটে অরবিন্দ এফ এ-র উমেশ মারান্ডি বিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের হতবাক করে হেড দিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন। প্রথমার্ধের খেলার শেষ মুহূর্তে শিবাজী সংঘের সুযোগ সন্ধানী রাজা দাস নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন। দ্বিতীয়ার্ধের ১৬ মিনিটে শিবাজী সংঘের অধিনায়ক শচীন্ত গোপের দুরন্ত শটে অনবদ্য গোল খেলার সমতা ফিরিয়ে আনে। শিবাজী সংঘের খেলোয়াড়রা খেলা নিজেদের আয়ত্তে এনে অরবিন্দ এফ এ-র শিবিরে মুহুর্মুহু আক্রমণের ফলস্বরুপ ৩৪ মিনিটে রাহুল সোরেন পেনাল্টি শটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন। খেলার শেষ লগ্নে অরবিন্দ ফুটবল অ্যাকাডেমির আক্রমণ ব্যর্থ হলে, পাল্টা আক্রমণে শিবাজী সংঘের তুহিন বাউরি মাঝমাঠ থেকে একা বল নিয়ে গিয়ে বিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ও গোলরক্ষককে হতাশ করে দলের পঞ্চম গোলটি করেন। ম্যাচের শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় শিবাজী সংঘের শচীন্ত গোপকে পুরস্কার তুলে দেন চিত্তরঞ্জনের প্রবীণ ফুটবলার ও রেফারি নৃপেণ দে। খেলা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জোনাল রেফারিজ্ এন্ড আম্পায়ারস্ অ্যাসোসিয়েশন, চিত্তরঞ্জনের কৃশানু দত্ত, শুভময় দাস, বিনোদ টুডু ও জয়দেব সোরেন। আগামীকাল ৫ মার্চ প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি লড়াই করবে চিত্তরঞ্জনের দুই দল আদিবাসী ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব ও শিবাজী সংঘ।@প্রান্তভূমি
Share on

৫৫ বছরে প্রথম রি-ইউনিয়ন ক্রিসেন্টের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ।। পঞ্চান্ন বছর আগে ১৯৬৯ সালে চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছিল ক্রিসেন্ট ক্লাব। আজও এই ক্লাব নিয়মিত নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। ক্লাবের সঙ্গে সময়ে সময়ে কত জন যুক্ত হয়েছেন। সেই পঞ্চান্ন বছরের ক্লাব এবার প্রথম আয়োজন করল রি-ইউনিয়নের। চিত্তরঞ্জনের সিমজুড়ি কমিউনিটি হলে ৩ মার্চ ক্লাবের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন মানুষজনের পুনর্মিলন অনুষ্ঠান হল। বর্তমানের সঙ্গে অতীতের এই মেলবন্ধনে মূল আয়োজক শ্যামল মণ্ডল, সোমনাথ রায়, অরিন্দম হালদার, তাপস মন্ডল প্রমুখ। আশি জনের উপস্থিতি ছিল এদিন। স্মৃতিচারণায় অংশ নেন সুজিত কর্মকার সহ বহু সদস্য। গান, কবিতা, কথায় সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন প্রত্যেকেই। সবার হাতেই এদিন স্মারক তুলে দেন আয়োজকেরা। ক্রিসেন্ট ক্লাবের সঙ্গে জড়িত সবাই যাতে একত্রিত হয়ে থাকেন তার জন্য এই রি-ইউনিয়নের উদ্যোগ বলে জানান আয়োজকেরা। উল্লেখ্য, বিভিন্ন কর্মসূচির সঙ্গেই ক্রিসেন্ট ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় এসএসসি, আরআরবি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি শিবির চলছে।@প্রান্তভূমি
Share on

কমবয়সী বিয়ে আটকাতে ব্যতিক্রমি মিছিল

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।‌। দীনবন্ধু মণ্ডল।। ৪ মার্চ:: কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া একটি ভুল কাজ এবং ভুল করলে তার আইনত শাস্তি পেতেই হবে। তাই কোনোভাবেই 18 বছরের কমবয়সী কোন মেয়ের বিয়ে যেন দেওয়া না হয় সেই সচেতনতা গড়ে তুলতে রূপনারায়ণপুরে ব্যাতিক্রমী এক মিছিল অনুষ্ঠিত হলো। সালানপুর বিডিও অফিস থেকে এই সচেতনতা মিছিল গিয়ে পৌঁছায় রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ায়। সেখানে বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, সমাজকর্মী বাসুদেব মন্ডল, স্বাস্থ্যকর্মী রুমেলি দাস মুখার্জি সহ অন্যান্যরা উপস্থিত মানুষজনদের বুঝিয়ে বলেন কম বয়সে বিয়ের কুফল সম্বন্ধে। বিডিও বলেন কন্যাশ্রী ক্লাবকে সচেতন থাকতে হবে যাতে কোন ছাত্রী টানা এক সপ্তাহ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে যেন সঙ্গে সঙ্গে তা জানানো হয়। উপস্থিত বাবা মায়েদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, সরকার পড়াশোনার জন্য বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে । সেই সব সহযোগিতা নিয়ে পড়াশোনা করে মেয়েরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অযথা কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া চলবে না। তারা বলেন, কোনভাবে এইসব বিয়ের বিষয়ে জানতে পারলে প্রশাসন জোরপূর্বক তা আটকে দেবে, কোনোভাবেই অনৈতিক কাজ হতে দেবে না। তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বাবা মায়েদের সচেতনতা গড়ে তুলতে বিশেষ জোর দেওয়া হয় এদিন। মিছিলে বহু সংস্থা, ব্যক্তি যোগ দিয়েছিলেন। ‌ ছিলেন শিক্ষকেরাও। পিঠাকিয়ারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ, প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেই বহু সাধারণ মানুষ এই মিছিলে অংশ নেন। মিছিলে সকলের সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান, পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুব্রত শিট, সমাজকর্মী ভোলা সিং, অরিন্দম চ্যাটার্জী, রূপনারায়ণপুর প্রধান অপর্না দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, শিক্ষক বিপ্লব মন্ডল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের বহু বিশিষ্টজন। এই জাতীয় সচেতনতা অভিযান নিয়মিত করা হবে বলে জানানো হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

রূপনারায়ণপুরে সৎসঙ্গের নয়নাভিরাম মন্দির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। গৌরাঙ্গ ঘোষ।। ৪ মার্চ:: শ্রদ্ধা ও ভক্তির সংমিশ্রণে অত্যন্ত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হলো শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬-তম জন্মোৎসবকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার রূপনারায়ণপুরে সৎসঙ্গ মন্দিরের নব-প্রতিষ্ঠা। আগের মন্দিরটি একই স্থানে 36 বছর আগে হয়েছিল। এবার তার পূর্ণ সংস্কার ও দ্বিতল ভবন সহ অন্যান্য পরিকাঠামো যুক্ত হল। নয়নাভিরাম এই মন্দির গড়ে উঠেছে রূপনারায়ণপুর ঝাড়খন্ড রোডের পাশে। ৩ মার্চ হাজার হাজার ভক্ত সমাগমে এই অনুষ্ঠানে শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের প্রতিকৃতির আবরণ উন্মোচন করেন দেওঘর আশ্রমের বর্তমান আচার্যদেব পূজ্যপাদ অর্কদ্যুতি চক্রবর্তীর মধ্যম ভ্রাতা পূজনীয় অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী। এদিন সকাল আটটা আট মিনিটে সম্পূর্ণ শাস্ত্রীয় বিধি মতে উদ্বোধনের পর শুরু হয় উৎসব। উৎসব প্রাঙ্গণে পরিবেশিত হয় কীর্তন, বীরভূম রাজনগর থেকে আগত মূর্চ্ছনা ব্যান্ডের ভক্তিগীতি, আদিবাসী নৃত্য এবং ঢাকের বোলে উদ্বোধনের আনন্দ উদযাপন। উৎসব কমিটির ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ সুশৃংখলভাবে ভান্ডারায় প্রসাদ গ্রহণ করেন। উৎসবকে কেন্দ্র করে হুগলী, হাওড়া, বর্ধমান, কলকাতা, বাঁকুড়া, চব্বিশ পরগনা সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই ভক্তরা জমায়েত হয়েছিলেন ২ মার্চ সন্ধ্যা থেকেই। ৩ মার্চ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিল নানান আয়োজন। উৎসব সম্পাদক বরেন কর্মকার জানান 2017 সাল থেকে এই সংস্কার কাজ শুরু হয়। সাত বছর লাগলো তা শেষ হতে। ২ কোটি টাকার উপরে খরচ হয়েছে মন্দিরটি সম্পূর্ণ করতে। সমস্তই ভক্তদের দানে। চিত্তরঞ্জন রূপনারায়ণপুর মিহিজাম সন্নিহিত এলাকা এবং ডিসেরগড় থেকে মাইথন পর্যন্ত অঞ্চল এই সৎসঙ্গের অন্তর্ভুক্ত।@প্রান্তভূমি
Share on

রূপনারায়ণপুর থেকে টায়ার চুরির দায়ে গ্রেপ্তার হুগলির যুবক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ:: বিহার ঝাড়খন্ড থেকে পিকআপ ভ্যানে সবজি বোঝাই করে নিয়ে যাওয়ার পথে রূপনারায়ণপুর থেকে টায়ার চুরির একটি চক্রকে ধরলো রূপনারায়ণপুর পুলিশ। ধৃত আবিদ আলির (28) বাড়ি হুগলি জেলার পান্ডুয়া থানার অন্তর্গত বৈঁচি ডিভিসি অঞ্চলে। জানা গেছে রূপনারায়ণপুর ঝাড়খন্ড রোডে একটি পুরনো টায়ার মেরামতের সংস্থা থেকে টায়ার চুরি হয়ে যাচ্ছিল বলে অভিযোগ পাওয়ার পরেই তৎপর হয় পুলিশ। রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা নিজে উদ্যোগী হন এই চক্রকে ধরার জন্য। তিনি পুলিশের নিজস্ব সোর্সকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি ঝাড়খন্ড-বাংলা সীমান্তে রূপনারায়ণপুর চেকপোস্ট অঞ্চলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন। সেখান থেকে পিকআপ ভ্যানের নম্বর জোগাড় করেন। ‌ এদিকে গতকাল রাতে আবার ওই গাড়িটি চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় স্থানীয় মানুষজন পুলিশকে সংবাদ দেন। ‌ সঙ্গে সঙ্গে ওৎ পেতে থাকা পুলিশ সেখান থেকে পিকআপ ভ্যান সহ চালককে আটক করে। তার বিরুদ্ধে সালানপুর থানায় (কেস নম্বর 46/24) নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ‌ আজ ধৃতকে আসানসোল আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ টায়ার চুরি চক্রে জড়িত সকলকেই ধরতে উদ্যোগী হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখায় বিপর্যস্ত জনজীবন, ব্যাপক ক্ষোভ রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৪ মার্চ:: ভয়ংকর বললেও কম বলা হয়। আজ প্রায় ১৫ দিন ধরে রূপনারায়ণপুর পিঠাকিয়ারি অঞ্চলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গভীর গর্ত খুঁড়ে রেখে দিয়েছে জল সরবরাহকারী প্রকল্পের লোকেরা। এরফলে পিঠাকিয়ারি হাসপাতাল যেতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন রোগী ও তার পরিবারের লোকজন। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম বিদ্যুৎ গ্রিড এনটিপিসি সহ সালানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলে যাওয়ার রাস্তায় এবং তার পাশে বিশাল গর্ত খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে চলাচল মসৃণ করার বিষয়ে পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন, পি এইচ ই কিংবা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব কেউই গুরুত্ব দিচ্ছেন না এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় মানুষজন ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছেন। তারা বলছেন মৃত্যু না ঘটলে এখানে কারো টনক নড়ে না, তার জন্যই বোধহয় অপেক্ষা করে আছে প্রশাসন। জলের পাইপলাইন বসানোর জন্য কাজ করতে গিয়ে এইভাবে দিনের পর দিন মানুষকে হয়রান করার প্রতিবাদে তারা যেকোনো সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়বেন বলে জানিয়েছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

খুদিকায় জুতা আবিষ্কার মাতালো উৎসব

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ ফেব্রুয়ারি:: শেষ হলো খুদিকা উৎসব। উৎসব কমিটির আয়োজনে ১৫ ফেব্রুয়ারি ছিল সারা দিন ব্যাপী নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শতাধিক ছাত্র ছাত্রীকে নিয়ে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা,লিপ রিডিং,বল থ্রো, নৃত্য, সংগীতের আসর ও সবশেষে ছিল ছোটদের নাটক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "জুতা আবিষ্কার"। তিন থেকে তেরো বছরের শিশুরা নাটকের কলাকুশলী। নাটকের কলাকুশলীরা হলো মহারাজ - শান্তনু দে, মহামন্ত্রী - সম্রাট দাস, সেনাপতি -অঙ্কিত নন্দী, মহামন্ত্রীর বৌ-অঞ্জলী মুখার্জি, সেনাপতির বৌ-ঐশিণী দাস, সাংবাদিক -শুভ্রনীল দাস, ঠিকাদার -সম্রাট সুত্রধর, পুরোহিত -সোমনাথ দত্ত, পন্ডিত ১-রাজদীপ দাস, পন্ডিত ২-সুজয় ঝরাইত, পন্ডিত ৩-হেমন্ত মাজি, ঘোষক -ঈশাণ নন্দী, মুচি- অর্ঘদীপ দে, প্রহরী ১-রুদ্রনীল গরাই, প্রহরী ২-ঋষভ মাজি, সহযোগী শিল্পী -অঙ্কিতা দে,সুজন মুখার্জি বিশেষ শিশু শিল্পী (তিন বছরের) লিলিপুটের ভূমিকায়-সৌরজিৎ দাস, পরিচালক -মন্টু দাস ও সহপরিচালক -সন্দীপ দে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অমল গরাই। সহযোগিতা করেন দুই আনন্দ পাল,অনুজিৎ দে। সমস্ত অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কিশোর মাজি। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে উদ্দীপ্ত করেছেন -সালানপুর থানার আই সি আমিতকুমার হাটি এবং সালানপুর ও বাসুদেবপুর জেমারী গ্ৰাম পঞ্চায়েতের প্রধানদ্বয়। শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন উৎসব কমিটির সদস্য ও গ্ৰামীণ বয়োজ্যেষ্ঠরা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন পর্বে বক্তব্য রাখেন সন্দীপ নন্দী।@প্রান্তভূমি
Share on

কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে বরাকর- কল্যানেশ্বরী রাস্তা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ ফেব্রুয়ারি:: বরাকর থেকে কল্যানেশ্বরী যোগাযোগকারী একটি বহু প্রতীক্ষিত রাস্তা তৈরীর সূচনা হলো আজ, ১৬ ফেব্রুয়ারি। এজন্য ১ কোটি ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। দেশের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের তৎপরতায় আসানসোল ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের উদ্যোগে এই রাস্তা তৈরীর অর্থ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন রাস্তার উদ্বোধক কুলটির বিজেপি বিধায়ক ডাক্তার অজয় পোদ্দার। এদিন তিনি বলেন, এই রাস্তা আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবে। এর ফলে বরাকর থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত যাতায়াতের ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ হয়ে উঠবে। এর ফলে শিল্পাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বরাকর আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন স্থানীয় মানুষজন এই রাস্তা তৈরীর জন্য তার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই আবেদন তিনি রেখেছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে। সবদিক খতিয়ে দেখে শ্রী বৈষ্ণব আসানসোল ডিআরএমকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানান। তাতেই কাজ হয়েছে বলে শ্রী পোদ্দার উল্লেখ করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

কেবলসের ফাঁকা কোয়ার্টার্সগুলিতে পুলিশের অভিযান

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ ফেব্রুয়ারি:: হিন্দুস্তান কেবলসের ফাঁকা কোয়ার্টার্সগুলিতে কারা বাস করছেন, বাইরে থেকে সেখানে কেউ এসে ঘাঁটি গাড়ছে কিনা, বিস্তীর্ণ এই কলোনি অঞ্চলে অসামাজিক কার্যকলাপ ঘটছে কিনা সেইসব বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে প্রতিটি কোয়ার্টার্সে পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশ। ‌‌ আজ সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি এবং রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ওসি নাসরিন সুলতানা অন্যান্য পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এই অভিযানে নামেন। তারা দেখতে পান কেবলসের ফাঁকা কোয়ার্টার্স নিজেদের মত সাজিয়ে নিয়ে কোথাও চলছে আলমারি তৈরির কারখানা, কোথাও ট্যাংকির স্লাব তৈরীর কারখানা, কোথাও স্মল ফাইন্যান্স - লোন দেওয়ার অফিস, কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তো কোথাও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয়, বিভিন্ন রকমের দোকানদানি। ‌‌ এসবের সঙ্গেই পুলিশ দেখে গরীব দিনমজুর অটো টোটো চালক বাড়িতে রান্না , পরিচারিকার কাজ করা মানুষজন যেমন এইসব কোয়ার্টার্সগুলিতে বসবাস করছেন তেমনই বহু সামর্থ্য ওয়ালা মানুষও এইসব কোয়ার্টার্সগুলিতে নিজেদের বাসস্থান গুছিয়ে নিয়েছেন। ‌‌ পুলিশ প্রত্যেককে তাদের আধার কার্ড, ফটো, মোবাইল নাম্বার এবং অন্যান্য পরিচিতিপত্র নিয়ে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে পুলিশের কাছে অবিলম্বে জমা দিতে বলেছে। হিন্দুস্তান কেবলস বন্ধ হওয়ার সময় লোয়ারকেশিয়া থেকে শুরু করে অফিসার্স কলোনি পর্যন্ত এলাকায় প্রায় ২০০০ কোয়ার্টার্স ছিল। তার মধ্যে এখন প্রায় অর্ধেকই ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে গেছে। বাকিগুলিতে কেউ না কেউ ঠাঁই নিয়েছেন। ‌‌ তাদেরই সুনির্দিষ্ট পরিচয়পঞ্জি পুলিশ প্রশাসনের কাছে যাতে থাকে সেই বিষয়টিতেই এবার জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে এখানে যারা ঠাঁই নিয়েছেন তাদের আত্মীয়রা হামেশাই যাতায়াত করেন কেউ ঝাড়খণ্ডের গ্রামাঞ্চল ধানবাদ নিরসা মিহিজাম ইত্যাদি অঞ্চল থেকে, আবার অন্য দেশ থেকেও কেউ কেউ এখানে এসে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা। এখান থেকে যাতে কোনরকম দুষ্কর্ম না ঘটে, কোন দুষ্কৃতি যাতে এখানে ঘাঁটি গাড়তে না পারে সেই সব বিষয়গুলি নিয়ে একাধিকবার কথা উঠেছে। মদ গাঁজার আড্ডা যাতে কেবলসের ফাঁকা এলাকা না হয়ে পড়ে তা দেখার জন্য পুলিশকে বলেছিলেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তাছাড়া হিন্দুস্তান কেবলস পুনর্বাসন সমিতির পক্ষে সুভাষ মহাজন বারংবার পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে অনুরোধ জানিয়েছেন। ‌ সেই সমস্ত দিকগুলি অবশ্যই মাথায় ছিল পুলিশের। আজকের এই অভিযান প্রসঙ্গে সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি বলেন, প্রাথমিকভাবে এখানে কারা বাস করছেন সেই সব খতিয়ে দেখা শুরু হলো। ধারাবাহিকভাবে এই উদ্যোগ পুলিশ প্রশাসন নেবে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে হিন্দুস্তান কেবল পুনর্বাসন সমিতির অন্যতম পরিচালক সুভাষ মহাজন বলেন আগামীকাল ১৭ ফেব্রুয়ারি তারা এখানকার সমস্ত বাসিন্দাকে নিয়ে বৈঠক করছেন এবং সকলকে তারা অনুরোধ করবেন যাতে প্রত্যেকেই তাদের পরিচিতি পুলিশের কাছে দ্রুত জমা দেন।@প্রান্তভূমি
Share on

ব্লকে নির্বিঘ্নে উচ্চমাধ্যমিক শুরু, প্রথম দিন অনুপস্থিত ১০ পরীক্ষার্থী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ ফেব্রুয়ারি:: ঘুরতে যাওয়ার সময় ট্রেনে চেপে যেমন অনেকের খেয়াল হয় যে ট্রেনের টিকিটটাই সঙ্গে আনা হয়নি, সেইরকমই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিন আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়ামে সেন্টার পড়া দুই পরীক্ষার্থীর অবস্থাও হল। তবে, অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই তাদের পরীক্ষায় বসতে দিয়েছিলেন পরীক্ষকেরা - কারণ কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির লোকজন তাদের এ্যডমিট কার্ড পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। ‌‌ এছাড়া তেমন আর কোন অঘটন ঘটেনি সালানপুর ব্লকে। এবার এই ব্লকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল ৭৯৯ জনের, কিন্তু প্রথম দিন পরীক্ষা দিলেন ৭৮৯ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৩৫২ জন, মেয়ে ৪৩৭ জন। পরীক্ষা চলছে চিত্তরঞ্জন ইংলিশ মিডিয়াম হাইস্কুল, কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুল, আছড়া যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশন এবং আছড়া রায় বলরাম গার্লস হাইস্কুলে। চিত্তরঞ্জন সেন্টারের প্রধান কেন্দ্র হয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এবার পরীক্ষায় বসেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ২৩১ জন ছেলে এবং ৫ জন মেয়ে, কস্তুরবা গান্ধী গান্ধি হাইস্কুলে ২১৯ জন মেয়ে, যজ্ঞেশ্বর ইনস্টিটিউশনে ১২১ জন ছেলে এবং ৯৫ জন মেয়ে, রায় বলরামে ১০৮ জন মেয়ে। প্রথম দিন সমস্ত পরীক্ষার্থীর কাছে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা সহ পানীয় জলের বোতল, গোলাপ ফুল এবং কলম তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা ভোলা সিং, শিক্ষক নেতা অর্ধেন্দু রায়, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, আছড়া পঞ্চায়েতের প্রধান শিবানী পাল, উপপ্রধান জয়দেব মাহাতো, জেলা পরিষদের সদস্য বেবী মন্ডল প্রমুখ।@প্রান্তভূমি
Share on

.

.
Share on

রূপনারায়ণপুরে বহু উদ্যোগের জনক স্বপন খাঁড়া প্রয়াত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৬ ফেব্রুয়ারি:: প্রয়াত হলেন রূপনারায়ণপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্বপন খাঁড়া (62)। ‌ ১৯৮০'র দশক থেকে এ পর্যন্ত তিনি রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মা কল্যানেশ্বরী মিষ্টান্ন ভান্ডার, কল্যাণেশ্বরী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, কল্যাণেশ্বরী মেডিজোন, কল্যানেশ্বরী ব্যাঙ্কোয়েট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান তিনি তাদের পরিবারের অন্যান্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রূপনারায়ণপুর সীমান্তপল্লীর বাসিন্দা স্বপনবাবু বেশ কিছুদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় কাবু হয়ে পড়েছিলেন। নিয়মিত তার ডায়ালিসিস চলছিল। তার ভাই মানিক খাঁড়া জানান ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্বপনবাবু রাণীগঞ্জের আনন্দলোক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি রেখে গেলেন পুত্র রণদীপ খাঁড়া এবং কন্যা লাবনী ও বৃহত্তর পরিবারবর্গকে। মানিকবাবু বলেন হাওড়ার বড়গাছিয়ায় তাদের আদি বাড়ি। ‌‌ তবে তার দাদার কাজের সূত্রে তারা একে একে কুলটি নিয়ামতপুর অঞ্চলে চলে এসেছিলেন। ‌ ১৯৮৪ সালে রূপনারায়ণপুরে আসেন স্বপন বাবু। তারপর এখানে ব্যবসার কাজে মন দেন। ‌‌ ধীরে ধীরে তার ব্যবসার নানান শাখা গড়ে তোলেন অন্যান্য ভাইদের নিয়ে। তারা চার ভাই এই শিল্পাঞ্চলে থাকলেও এক ভাই হাওড়ার বাড়িতেই রয়েছেন। স্বপন বাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রূপনারায়ণপুরের বহু ব্যবসায়ী এবং সংগঠন।@প্রান্তভূমি
Share on

ঝাড়খন্ড আর মাইথন জলাধারের হাওয়া মাখা ডোমদহ গ্রামে ইতিহাস গড়ে হলো রক্তদান শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ ফেব্রুয়ারি:: দু'হাত দূরেই ঝাড়খন্ড, আর হাত বাড়ালেই মাইথন জলাধারের বিশাল জলরাশি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম প্রান্তের শেষতম জনপদ ডোমদহ গ্রাম। এবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষে এই গ্রামেই ইতিহাস রচিত হলো। প্রাচীন এই গ্রামে এবারই প্রথম রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হলো। ডোমদহ দ্য ফ্রেন্ড জোন, উজ্জীবন স্বেচ্ছা রক্তদাতা সমিতির নিরন্তর চেষ্টা এবং গ্রামবাসীদের ঐকান্তিক ইচ্ছের ওপর ভর করে সফল হল এই শিবির। তবে এই শিবিরের পিছনেও আছে এক ছোট্ট কাহিনী। ‌ এই গ্রামেরই সু-সন্তান অদ্বৈত গরাই। থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত সমস্যার জন্য তার স্ত্রীকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়েছিল মাস ছয়েক আগে। ‌‌ সে সময় চিত্তরঞ্জন কস্তুরাবা গান্ধি হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন উজ্জীবনের স্বেচ্ছাসেবকেরা। ‌‌ তারা রক্তের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অদ্বৈত বাবুর কাছে আবেদন রেখেছিলেন তার গ্রামে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার জন্য। অদ্বৈত বাবু সানন্দে রাজি হলেও রক্তদানের ভীতি গ্রামবাসীদের খানিকটা দোনোমনায় রেখেছিল। ‌‌ তবে শেষ পর্যন্ত সকলে মিলেই এই শিবিরের আয়োজন করলেন আজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি। ‌‌ প্রথমদিকে জড়তার কারণে রক্তদাতাদের বিশেষ দেখা পাওয়া না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একে একে লাইন দেন গ্রামবাসীরা। ‌‌ ১২ জনের রক্ত সংগ্রহের পর আসানসোল জেলা ব্লাড ব্যাংকের কর্মীরা যখন জিনিসপত্র গোছাতে ব্যস্ত সেসময় আরো ৫-৬ জন গ্রামবাসী এগিয়ে আসেন স্বেচ্ছায় রক্ত দান করতে। তবে তাদের রক্ত আর এদিন নেওয়া যায়নি।পরবর্তী সময়ে এই গ্রামেই পূর্ণাঙ্গ শিবিরের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান উজ্জীবন কর্তৃপক্ষ। ‌‌‌‌ শিবিরে রক্তদান করেন গোপাল মুর্মু, বিকাশ মুর্মু, প্রবীর ভান্ডারী, অদ্বৈত গরাই, সাধন ভান্ডারী, সৌমেন গরাই, বিকাশ গরাই, দিলীপ গরাই, লখু লোহার, জীবন গরাই, সুকুমার গরাই, সুনীল গরাই। এদিন বর্ষীয়ান গ্রামবাসী নির্মল মন্ডল, পঞ্চায়েত সদস্য বিকাশ গরাই সহ সমস্ত বাসিন্দা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থেকে শিবিরকে ইতিহাসে পরিণত করলেন। প্রত্যন্ত এই গ্রামে রক্তদান শিবিরের আয়োজন যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য বলে মনে করে "টিম উজ্জীবন" এবং ডোমদেহ গ্রামের সংশ্লিষ্ট সকলেই।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনের সোনালী ভবিষ্যতকে মজবুত করতে আরও ১০০টি উচ্চ ক্ষমতার টুইন ইঞ্জিন উৎপাদনের বরাত দিল রেল বোর্ড

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার অত্যুচ্চ দক্ষতা রেল বোর্ডকে প্রভাবিত করেছে। তার প্রতিফলন দেখা গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি জারি করা রেল বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে। ‌‌ যেখানে নির্ধারিত ইঞ্জিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বাইরে গিয়ে সি এল ডব্লুতে আরও ১০০ টি উচ্চ ক্ষমতার টুইন ইঞ্জিন তৈরীর বরাত দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আরও ২০০ টি এই বিশেষ ধরনের উচ্চ ক্ষমতার ইঞ্জিন তৈরি করতে চলেছে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা। ‌‌ আগেই সিএলডব্লু ৪ টি ডাবলুএজি-৯ এইচ টুইন ইঞ্জিন উৎপাদন করে তাদের দক্ষতার নজির স্থাপন করেছে। রেলমন্ত্রক বলছে এই ইঞ্জিনগুলি ডব্লুএজি-১২ শ্রেণীর, যেগুলি অতি ভারবাহী ট্রেনকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেছে। ‌ এই সাফল্যের পরিপ্রেক্ষিতে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাতে আরও ছটি ডবলুএজি- ৯ এইচ টুইন ইঞ্জিন উৎপাদন প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। এবার এই সাফল্যকে ধরে রাখতে রেলবোর্ড আরও ১০০ টি ডব্লুএজি-৯ এইচ টুইন ইঞ্জিন তৈরির বরাত দিল চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাকে। ‌ এই সাফল্য চিত্তরঞ্জনের ইতিহাসকে গর্বিত করার পাশাপাশি কারখানার ভবিষ্যতকেও আরও মজবুত করলো বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে দাঁড়াবে কুম্ভ এক্সপ্রেস

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৫ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জনে স্টপেজ পাচ্ছে কুম্ভ এক্সপ্রেস। পূর্ব রেলের প্রস্তাবে সায় দিয়ে রেল মন্ত্রক ১৩ ফেব্রুয়ারি এই স্টপেজ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। হাওড়া-দেরাদুন কুম্ভ এক্সপ্রেস ১২৩৬৯/১২৩৭০ চিত্তরঞ্জন দিয়ে চলাচল করে প্রতি রবি, সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার। ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়ে দুপুর ১ টায়‌। আসানসোলে পৌঁছায় বিকেল ৩.২৯। মধুপুরে পৌঁছানোর সময় বিকেল সাড়ে চারটেয়। ফলে চিত্তরঞ্জনে কুম্ভ এক্সপ্রেসের দাঁড়ানোর সময় বিকেল প্রায় চারটে। এই স্টপেজ আপাতত পরীক্ষামূলক বলে রেল জানিয়েছে। চিত্তরঞ্জন স্টেশন থেকে টিকিট বিক্রির উপর বিশেষ নজর রাখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে, যাই হোক না কেন কুম্ভ এক্সপ্রেসের স্টপেজ দেওয়ার বিষয়টিকে রেল গুরুত্ব দেওয়ায় খুশি চিত্তরঞ্জন ও সন্নিহিত অঞ্চলের মানুষজন।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জন থানায় আসছেন বিকাশ দত্ত

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন থানার নতুন ইন্সপেক্টর ইনচার্জ হিসেবে যোগ দিচ্ছেন বিকাশ দত্ত। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এখানে আসছেন। ‌‌ তবে এই কমিশনারেট অঞ্চল তার পূর্ব পরিচিত। কারণ জামুড়িয়া থানা সহ একাধিক থানায় তিনি এর আগে দায়িত্বভার সামলেছেন। দীর্ঘদেহি, সুদক্ষ বিকাশ দত্ত ১৯৯৬ সালের সাব ইন্সপেক্টর ব্যাচ। উল্লেখ্য, আজ ৩০ জন ইন্সপেক্টরের বদলির আদেশ জারি হয়েছে। তার মধ্যে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে যোগ দিচ্ছেন ২ আধিকারিক। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী দত্ত। চিত্তরঞ্জন থেকে বদলি হয়ে রাজু স্বর্ণকার জানুয়ারির শেষ দিনে চলে গেছেন মগরাহাট সার্কেল ইন্সপেক্টর হয়ে। তারপর থেকে এতদিন চিত্তরঞ্জন থানার আইসি পদটি খালি পড়ে ছিল।@প্রান্তভূমি
Share on

পুষ্পাঞ্জলি দিলেন ওসি নাসরিন সুলতানা, রূপনারায়ণপুর পুলিশের সরস্বতী বন্দনা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: আজ তিনি হলুদ শাড়ি, নিরম্বু উপবাসী। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আগে ছোঁন নি প্রিয় চা-ও। তিনি রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা। পুলিশ ফাঁড়িতে রীতিমতো সরস্বতীর প্রতিমা এনে যাবতীয় উপাচার অনুসরণ করে বাগদেবীর আরাধনা হয়েছে। আর এই যজ্ঞের প্রধান উৎসাহী ওসি শ্রীমতি সুলতানা। তার সহযোগীদের নিয়ে সাজিয়েছেন প্যান্ডেল, ব্যবস্থা করেছেন ফাঁড়ির সকল পুলিশ আধিকারিক কর্মী সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে শুরু করে পরিচিত জনেদের জন্য বাসন্তী পোলাও আলুর দম আর মিষ্টির। পুলিশের খটমটে ওসিগিরি ছেড়ে আজ সকালটায় তিনি যেন বাংলার লাখো কন্যার মতই আর একজন। যারা দুরু দুরু বক্ষে পরীক্ষায় আরো ভালো নম্বরের আশায় সরস্বতী পুজোয় সামান্যতম ত্রুটি রাখতে চান না - তিনিও যেন তাদেরই দলে। তা বলে পুলিশের ডিউটিতে কোন ত্রুটি নেই তার। সকালেই ওসির পরিকল্পনায় এলাকা চষেছে বাইক আরোহী পুলিশের একটি দল। সার্বিক শান্তি-শৃঙ্খলা দেখভালের পাশাপাশি সকলেই যাতে নিয়ম মেনে উৎসব উদযাপনে শামিল হন সেই বার্তা দিয়েছে পুলিশ। এদিকে অন্যান্য দিনে ডিউটির চাপে নিজের চেম্বারে পৌঁছাতে খানিকটা এদিক-ওদিক হলেও আজ সরস্বতী পুজোর সকালবেলায় ফাঁড়িতে হাজির ওসি শ্রীমতি সুলতানা। তাকে দেখে খানিকটা বিস্ময় জাগে অন্যান্যদের। কারণ, "রাফ-টাফ" ওসি আজ অন্য সাজে, অন্য মেজাজে। ফলে সকলের সাথে মিলেমিশে রূপনারায়ণপুর পুলিশের সরস্বতী পুজো আজ এক অন্য মাত্রা পেল।@প্রান্তভূমি
Share on

অনন্য নজির, ২৪৫টি শাখার মধ্যে শীর্ষে উঠে এলো রূপনারায়ণপুর স্টেট ব্যাংক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: রূপনারায়ণপুরকে আবারও গর্বিত করলো স্টেট ব্যাংকের কর্মদক্ষতা। এসবিআই রূপনারায়ণপুর শাখা চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দুর্গাপুর মডিউল অর্থাৎ বর্ধমান পূর্ব-পশ্চিম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও বীরভূমের মোট ২৪৫ টি শাখার মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে প্রথম দশে থাকা এই শাখা এবার উঠে এলো শীর্ষে। স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া দুর্গাপুর মডিউলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার সিংহ এবং রিজিওনাল ম্যানেজার দীপঙ্কর বসু একযোগে রূপনারায়ণপুর শাখায় এসে শাখা প্রবন্ধক ইন্দ্রজিৎ ব্যানার্জী সহ সকল কর্মীর হাতে এই সেরার পুরস্কার তুলে দিয়ে গেলেন। 'ওয়াল অফ ফেম'-এর উদ্ভোধন করে নিজের হাতে সুদৃশ্য এই ট্রফি সাজিয়ে দিয়ে যান ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার। এরপর শ্রী সিংহ বলেন শাখার সকল কর্মচারীর মধ্যে সমন্বয়ের প্রমাণ এই পুরস্কার। শাখার প্রতি হাজার হাজার গ্রাহকের আস্থায় উনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এরই সঙ্গে সকল এলাকাবাসীকে স্টেট ব্যাংকের ব্যাংকিং পরিষেবা গ্রহণের জন্যও আবেদন রাখেন তিনি। কথায় কথায় শাখা প্রবন্ধক শ্রী ব্যানার্জী ও প্রবীর মজুমদার জানান প্রথম স্থান অর্জন করার চেয়েও ধরে রাখা কঠিন ব্যাপার, কিন্তু টিম-রূপনারায়ণপুর অবিরাম তার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবে।@প্রান্তভূমি
Share on

সরস্বতী পুজোয় বাইক মিছিল পুলিশের

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: নির্বিঘ্নে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রেখে সরস্বতী পুজো উদযাপনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে অভিনব পদক্ষেপ করল রূপনারায়ণপুর পুলিশ। সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে, একদিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা - তার মধ্যেই সরস্বতী পুজো। বাংলার ঘরে ঘরে উদযাপিত এই অনুষ্ঠান রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকায় যাতে সঠিকভাবে পালিত হয় সেই বার্তা দিতে আজ সকালে রূপনারায়ণপুর পুলিশ প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের উদ্যোগে সমগ্র এলাকায় বাইক মিছিল করা হয়। মানুষজন যাতে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি না চালান, হেলমেট পরেন, ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলেন সেই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে অযথা বাজি না ফাটানো, তীব্র স্বরে মাইক বক্স ব্যবহার না করা, নির্দিষ্ট সময়ের পরে মাইক না বাজানো সহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলিতে সজাগ থাকার অনুরোধ জানানো হয়। ‌‌ পুলিশের এই ব্যতিক্রমি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এলাকাবাসী।@প্রান্তভূমি
Share on

বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় গুঁড়িয়ে গেল চিলড্রেনস পার্ক ডিভাইডার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৪ ফেব্রুয়ারি:: বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গেল চিত্তরঞ্জনের চিলড্রেনস পার্ক ক্রসিংয়ের ডিভাইডার। সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই ছিল যে সম্পূর্ণ ডিভাইডারটি ভেঙে রাস্তার উপর ছড়িয়ে পড়ে। জানা গেছে, গতকাল ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় সাড়ে আটটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন ফতেপুরের দিক থেকে একটি হন্ডাই চার চাকার গাড়ি (নম্বর জে এইচ ১০ সি টি ১২৮১) উন্মত্ত গতিতে এসে চিলড্রেনস পার্ক ক্রসিং ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। শুনশান রাতে এই সংঘর্ষের আওয়াজ আশেপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ‌‌ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় চিত্তরঞ্জনের আরপিএফ টাউন পোস্ট, সিআইবি এবং চিত্তরঞ্জন পুলিশ। ‌‌ তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ‌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গাড়ির চালক বছর ত্রিশের বিজয় সিং, তার বাড়ি বিহারের সিওয়ান স্বর্গরেওয়ায়। গাড়িটি ধানবাদের বলে জানা গেছে। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে গাড়ির চালক উধাও হয়ে গেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে চিত্তরঞ্জন পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িটিকে থানায় নিয়ে গেছে। ‌‌ গাড়ির চালক কেন কি উদ্দেশ্যে ওই সময় ফতেপুর রোড ধরে বেপরোয়া গতিতে ছুটছিল, তার গন্তব্য কোথায় ছিল এই সবকিছু জানার জন্য পুলিশ তদন্ত নেমেছে। জানা গেছে গাড়ির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও চালক সম্ভবত অক্ষতই আছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

অপহরণকান্ডের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই বিহার থেকে দুই সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার, আটক স্করপিও গাড়িটিও

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ ফেব্রুয়ারি:: আসানসোল সেন্ট ভিনসেন্ট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র রেহানকে অপহরণের চেষ্টার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ বিহার থেকে দুই সন্দেহভাজন দুষ্কৃতির সঙ্গেই অপহরণ কাণ্ডে ব্যবহৃত স্করপিও গাড়িটিকেও ধরতে সক্ষম হল। পুলিশের নিজস্ব সোর্স এবং উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এই সাফল্য এসেছে। বিহারের ঔরঙ্গাবাদ জেলা থেকে এই অপহরণ কাণ্ডে জড়িত দুই সন্দেহভাজনকে আজ গ্রেফতার করার পর স্থানীয় আদালতে তুলে তাদের আসানসোলে নিয়ে আসার জন্য ট্রানজিট রিমান্ড নিয়েছে এডিপিসির পুলিশ। দ্রুত তাদের আসানসোলে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই অপহরণ কাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ‌‌ উল্লেখ্য, গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭.১০ নাগাদ রানীগঞ্জ স্কুল মোড় থেকে নিজেদের গাড়িতে আসানসোলে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে শ্রীপুর ফাঁড়ির বোগড়া মোড়ের কাছে অপহরণকারীদের কবলে পড়ে রেহান। ‌‌ কিন্তু শিল্পপতি শিবকুমার সারদার নাতিকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা তাদের পারিবারিক গাড়িচালক নরেশ রায়ের তাৎক্ষণিক বুদ্ধি ও তৎপরতার জোরে রেহান অপহরণকারীদের কবল থেকে রেহাই পায়, সাধারণ মানুষও অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে অবরোধ গড়ে তোলেন। বিপদ আঁচ করে পালায় অপহরণকারীরা।@প্রান্তভূমি
Share on

পারিবারিক উদ্যোগে চিত্তরঞ্জনে রক্তদান শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন চারের পল্লী কমিউনিটি হলে ১২ ফেব্রুয়ারি রক্তদান শিবিরের ব্যবস্থা করেন রক্তদান আন্দোলনের একনিষ্ঠ কর্মী দীপ কুমার সরকার (মুকুট) ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণ। তাঁদের পিতা নগেন্দ্রলাল সরকার ও মাতা গৌরী সরকারের স্মৃতির উদ্যেশে বিগত পাঁচ বছর ধরে এই রক্ত দান শিবিরের আয়োজন করছেন সরকার পরিবার। গৌরীদেবী প্রয়াত হন ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। ২০২০ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি "শ্রদ্ধায় স্মরণে" এই রক্ত দান শিবির শুরু করেন তারা। প্রথম দুবছর নিজেদের বাসভবনে করলেও তার পর মানুষের আবেগ ও ভালোবাসায় উপস্থিতির সংখ্যা বেশি হওয়ায় কমিউনিটি হলেই এই আয়োজন করে আসছেন। এবার পঞ্চম বর্ষে ৫০ ইউনিটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে অনেকেই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আসতে না পারায় তেত্রিশ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়। একই পরিবারের সদস্য বিপ্লব ঘোষ, তাঁর সন্তান বিশালদীপ ঘোষ ও কাকা বিদ্যুৎকান্তি ঘোষ একই সাথে এই শিবিরে রক্ত দান করেন। উল্লেখ্য, এর আগে ১৬ আগস্ট ফুটবলপ্রেমী দিবসে এই চারের পল্লী কমিউনিটি হলে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে তিন জনেই রক্ত দান করেন। শিবিরের থেকে চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গান্ধী হাসপাতালে ১০ ইউনিট ও আসানসোল জেলা হাসপাতালে ২৩ ইউনিট রক্ত সংগৃহীত হয়। রক্ত সংগ্রহে সহযোগিতা করে আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক। সম্পূর্ণ সহযোগিতায় চিত্তরঞ্জন সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটির সম্পাদক সহ সকল স্বেচ্ছাসেবকগণ। উল্লেখ্য, মুকুটবাবু নিজে সেলফলেস সার্ভিস সোসাইটির একনিষ্ঠ কর্মী। রক্ত দান, চক্ষু দানের বিষয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত মানুষের পাশেও তিনি সব সময় থাকেন। তিনি নিজেও ৫৫ বার রক্ত দান করেছেন। এখন তাঁর বয়স ৬৬ হওয়ার জন্য আর রক্ত দান করতে পারেন না। তবে পারিবারিক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মুকুটবাবু সমাজের নানান কাজের মধ্যে থাকতে ভালোবাসেন। এই শিবিরে তাঁর স্ত্রী জয়শ্রী সরকার,ভাই অতীন সরকার, ভাতৃবধূ প্রতিমা সরকার, জ্যাঠতুতো দাদা সুব্রত সরকার বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তপতি বেজ, শুভ্রা দাঁ।@প্রান্তভূমি
Share on

'ম্যান অফ দ্যা মান্থ' শিরোপা সিএলডব্লুর সুদক্ষ কর্মীকে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১৩ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার তৈরি নতুন প্রযুক্তির পুশ-পুল ডবলুএপি-৫ ইঞ্জিন তৈরিতে ব্যতিক্রমী অবদান রাখার জন্য জানুয়ারি মাসে কারখানার সেরা কর্মীর পুরস্কার পেলেন জ্যোতির্ময় বিশ্বাস। ইএলএস-১৯ শপের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল) শ্রী বিশ্বাস জানুয়ারি মাসের "ম্যান অফ দ্যা মান্থ" শিরোপা পেয়েছেন। উল্লেখ্য, সিএলডব্লুতে ম্যান অফ দা মান্থ পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়েছে কর্মীদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। আজ শ্রীবিশ্বাসের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়ে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হিতেন্দ্র মালহোত্রা বলেন জ্যোতির্ময় বাবুর কাজের প্রতি সততা এবং দক্ষতা অন্যদের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। শ্রী বিশ্বাস রেল ইঞ্জিনের টেস্টিং এবং কমিশনিং ব্যবস্থা সহ অন্যান্য বিষয়ে অত্যন্ত দক্ষ বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থার জনসংযোগ বিভাগের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।@প্রান্তভূমি
Share on

অপহরণের কালো ছায়া শিল্পাঞ্চলে, স্কুল যাওয়ার পথে শিল্পপতির নাতিকে টার্গেট

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ ফেব্রুয়ারি:: আবার অপহরণের কালো ছায়া আশঙ্কায় ফেললো আসানসোল শিল্পাঞ্চলকে। ‌‌ রানীগঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পপতি শিবকুমার সারদা এবং রানীগঞ্জ বোরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান সঙ্গীতা সরদার নাতি রেহানকে অপহরণের নিশ্চিত পরিকল্পনা করেছিল দুষ্কৃতিরা। সারদা পরিবার থাকেন রানীগঞ্জ স্কুল মোড়ে। সেখান থেকে প্রতিদিন নিজেদের গাড়িতেই পারিবারিক ড্রাইভার রেহানকে পৌঁছে দেন আসানসোল সেন্ট ভিন্সেন্ট স্কুলে। ‌‌ আজও সাড়ে সাত বছরের রেহানকে নিয়ে ড্রাইভার সকাল সাতটা দশ নাগাদ স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ‌‌ কিন্তু তাদের গাড়ি জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকার বোগড়া মোড়ের কাছে আসতেই একটি স্করপিও গাড়ি তাদের পথ আটকায় এবং জনা সাতেক দুষ্কৃতি স্করপিও থেকে নেমে রেহানের গাড়ির চালককে মারধর করে রেহানকে অপহরণের চেষ্টা করতে থাকে। ‌তখন সকাল প্রায় ৭.২৫। চালক প্রাণপণে তাদের বাধা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করতে থাকেন। এই সময় স্থানীয় লোকজন বিপদ বুঝে সেখানে উপস্থিত হন এবং দুষ্কৃতিদের উপরে চড়াও হন। অতর্কিত এমন কাণ্ড ঘটে যাওয়ায় দুষ্কৃতিরা হতচকিত হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ‌‌ গাড়ির চালক এবং স্থানীয় মানুষের তৎপরতায় কোনক্রমে রক্ষা পায় ছোট্ট রেহান। ‌‌ সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে কমিশনারেটের বিভিন্ন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং দ্রুত তদন্ত শুরু করে। ‌‌ পরে শ্রী সারদা জানান তার নাতি অপহরণকারীদের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে এবং সে পরে নিরাপদে স্কুলে পৌঁছে যায়। পুলিশ মুখোশধারী জনা সাতেক দুষ্কৃতি এবং স্করপিও গাড়ির খোঁজে ভিন রাজ্যেও খোঁজখবর নিচ্ছে। এদিকে অপহরণের কারণ নিয়ে কেউ কিছুই জানাতে পারছেন না।@প্রান্তভূমি
Share on

সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বামেরা, পুলিশকে স্মারকলিপি

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ ফেব্রুয়ারি:: সন্দেশখালির প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে বিনা শর্তে অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাজ্য জুড়ে সিপিআই(এম)- এর তরফে থানায় থানায় স্মারকলিপি প্রদান ও বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সালানপুর এরিয়া কমিটির তরফে সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির সামনে বিকেলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি এদিন ফাঁড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া আসানসোল-চিত্তরঞ্জন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখনো হয়। প্রায় ১৫ মিনিট এই অবরোধ চলে। এরপর রূপনারায়ণপুর পুলিশ কর্তৃপক্ষের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থকরা। এদিন এরিয়া কমিটির সম্পাদক রঞ্জিত সরকার জানান অন্যায়ভাবে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাই তাকে অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে রাজ্য জুড়ে আজ সিপিআই(এম)-তরফে থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও স্মারকলিপি প্রদানের ডাক দেওয়া হয়েছে।সারা রাজ্য জুড়ে যেটা চলছে তার জবাব মানুষ সঠিক সময়ে দেবে। সন্দেশখালির ঘটনা রাজ্যের মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।@প্রান্তভূমি
Share on

চলাচল শুরু হলো চিত্তরঞ্জন-বাঁকুড়া এসবিএসটিসির, দেখুন সময় সারণী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১২ ফেব্রুয়ারি:: ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যজুড়ে নতুন 15 টি সিএনজি সরকারি বাসের সূচনা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‌‌ তার মধ্যে একটি বাস ছিল চিত্তরঞ্জন বাঁকুড়ার মধ্যে চলাচলকারী। ‌‌ আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সেই বাসের চলাচল শুরু হলো। প্রথম দিনের যাত্রী ছিলেন রূপনারায়ণপুরের আশিস ঘোষ। তিনি বলেন যথেষ্ট আরামদায়ক এবং নির্দিষ্ট সময় মেনে এসবিএসটিসির এই বাস চলাচল করছে - যা দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের সঙ্গেই বহু এলাকা ছুঁয়ে যাচ্ছে। ভাড়াও তুলনামূলক কম। বাসটি সকাল ৬.২০ মিনিটে বাঁকুড়া থেকে ছেড়ে ৭:৫০-এ দুর্গাপুর এবং ৯:৩০ -এ আসানসোল পৌছাচ্ছে। ঠিক সকাল সাড়ে দশটায় পৌঁছে যাচ্ছে চিত্তরঞ্জনে। ফিরতি পথে চিত্তরঞ্জন এক নম্বর গেট বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছাড়ছে দুপুর ১২.২০ মিনিটে। পৌনে একটায় পৌঁছাচ্ছে রূপনারায়ণপুর ডাবর মোড়ে । আসানসোল বেলা ১.৩০, দুর্গাপুর স্টেশন বিকেল ৩.০০ টে এবং বাঁকুড়া পৌঁছে যাচ্ছে বিকেল সাড়ে চারটেয়। প্রতিদিনই এই বাসটি চলাচল করছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

পাঁচিল টপকে ফাঁকা বাড়িতে আরও একটি দুঃসাহসিক চুরি রূপনারায়ণপুরে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ ফেব্রুয়ারি:: রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে বিডিও অফিস সংলগ্ন ঘোষ পাড়ায় ফাঁকা বাড়িতে আরও একটি দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে গেল। ফলে রূপনারায়ণপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ফাঁকা বাড়ি এখন বাসিন্দাদের কাছে চরম আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছে। জানা গেছে জনবহুল ঘোষপাড়ায় দীর্ঘদিনের বাস সুবীর মন্ডলের। ‌‌ তিনি স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি কারখানার কর্মী। তিন দিন আগে তারা সপরিবার আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলেন। ‌ উঁচু পাঁচিল ঘেরা বাড়ি নিরাপদ বলেই তার মনে হয়েছিল। ‌‌ কিন্তু চোরেরা সেই পাঁচিল ডিঙিয়ে ভেতরে ঢোকে এবং ঘরের তালা ভেঙে সোনা রুপোর গয়না, নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। ‌ স্থানীয় মানুষের ধারণা, রাতের বেলায় অনেকক্ষণ সময় নিয়ে ধীরে সুস্থে এই চুরির কান্ড ঘটানো হয়েছে। ‌ জানা যাচ্ছে ড্রেসিং টেবিলের সামনেই রাখা ছিল আলমারির চাবি, তা দিয়েই আলমারি খুলে সবকিছু নিয়ে গেছে চোরের দল। তবে, একদিকে বিডিও অফিস, অন্যদিকে ব্যস্ত সামডি রোড - মাঝখানে ঘোষপাড়ার এই বাড়ি থেকে চুরির ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন আতঙ্কিত। ‌ তারা বলছেন প্রয়োজনে আত্মীয় বাড়ি যাওয়াও কি বন্ধ হয়ে যাবে চোরেদের উৎপাতে! এদিকে সংবাদ পাওয়া মাত্রই রূপনারায়ণপুর ওসি নাসরিন সুলতানা ফাঁড়ি থেকে দক্ষ অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ‌‌ সিসিটিভি ফুটেজ এবং পুলিশের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত দুষ্কৃতিদের ধরা যাবে বলে পুলিশ মনে করছে। ‌‌ তবে পুলিশের আবেদন, বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে গেলে যেন পুলিশের কাছে সেই সংবাদ সুনির্দিষ্ট ভাবে জানিয়ে যান বাড়ির মালিকেরা, তাহলে নজরদারিতে পুলিশের সুবিধা হবে।@প্রান্তভূমি
Share on

দুঃসাহসিক চুরি রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির ধাংগুড়ি গ্রামে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১১ ফেব্রুয়ারি:: সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ির অধীন ধাংগুড়ি গ্রামে বড়োসড় চুরির ঘটনা ঘটে গেল। ‌‌ গ্রামের মধ্যে এই ধরনের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা বলছেন বহুদিন এমন দুষ্কর্মের সম্মুখীন তাদের হতে হয়নি। জানা গেছে গ্রামের এক প্রান্তে হনুমান মন্দিরের কাছে রাস্তার ওপরেই বাড়ি নয়ন মাজির। তিনি গ্রামেই মুদি সামগ্রীর দোকান চালান। গতকাল 10 ফেব্রুয়ারি রাতে সপরিবার তারা আত্মীয়র বাড়ি গিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে দেখেন বাইরের দরজার দুটি তালা ভাঙ্গা এবং বারান্দার ভেতরে ঘরের একটি তালাও ভাঙ্গা। এই অবস্থায় তারা ঘরের ভেতর ঢুকে দেখেন আলমারি, খাট সমস্ত কিছু দুষ্কৃতিরা লন্ডভন্ড করেছে। আলমারির ভেতরে থাকা সোনার গয়না , নগদ অর্থ সমস্ত কিছু চুরি হয়ে গেছে বলে জানান নয়ন বাবু। তার এক আত্মীয় বলেন কম করেও পাঁচ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়ে গেল ভয়ংকর এই চুরির ফলে। ‌‌ তবে গ্রামের মধ্যে এই ধরনের চুরিতে হতবাক স্থানীয় মানুষজন। ‌ নয়ন বাবুর বাড়ি ঝাড়খন্ডের কানগোইয়ের দিক থেকে গ্রামে ঢুকতে মাঠের পাশে। ‌‌ আশেপাশে বাড়ি ঘরদোর আছে। ঘটনার সংবাদ পেয়েই রূপনারায়ণপুর পুলিশ সরেজমিন তদন্তে নেমেছে। শীঘ্রই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে বলে পুলিশ আশাবাদী।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জনে পার্মানেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ ফেব্রুয়ারি :: চিত্তরঞ্জন ছয়ের পল্লী কমিউনিটি হলের কাছে একটি জনসভা আয়োজিত হয় সি এল ডব্লু রেলওয়ে পার্মানেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সমীর মল্লিক এবং ইউনিয়নের সদস্যদের উদ্যোগে। বেঙ্গল কনট্রাক্টর এবং সিকিউরিটি গার্ড, মেনটেইনেন্স লেবার ইউনিয়নের ডাকে ৪ ফেব্রুয়ারি এই জনসভা হয় । মুখ্য বক্তা ছিলেন বি জে পি বিধায়ক এবং বি জে পি ট্রেড ইউনিয়ন রিলেশনস সেল ওয়েস্ট বেঙ্গলের কনভেনার অশোক কীর্ত্তনীয়া। বিধায়ক ঠিকাদার শ্রমিকদের নানা ধরনের সমস্যা ও বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। এই সব বঞ্চনার নিরসনের জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এবং যে কোন আন্দোলনে শ্রমিকদের সাথে থাকার আশ্বাস দেন। ইউনিয়নের সভাপতি ইন্দ্রনীল মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মৃন্ময় ধর, ইউনিয়নের রাজ্য কমিটির সদস্য সমীর মল্লিক শ্রমিকদের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং তা নিরসনের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করবেন বলে জানান। সন্তোষ কুমার সাহু এবং সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই জনসভা সফল হয়।@প্রান্তভূমি
Share on

ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন আচরণের মিথ্যা মামলায় তছনছ প্রধান শিক্ষকের জীবন, ভুয়ো সার্টিফিকেটে চাকরি ধরতেই ঘৃণ্য চক্রান্তের শিকার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ ফেব্রুয়ারি:: একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে স্কুলে যৌন আচরণের মিথ্যা অভিযোগে জীবনটাই তছনছ হয়ে গেছে প্রধান শিক্ষকের। সাড়ে সাত বছর মামলা চলার পর আদালত যখন সমস্ত দিক বিবেচনা করে তাকে সম্পূর্ণ নির্দোষ ঘোষণা ক'রে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছেন ততদিনে তিনি চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন, ছাঁটাই হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছেন । স্ত্রী তাকে ছেড়ে দুই সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বাবা তার সঙ্গ ত্যাগ করেছেন। ফলে সম্পূর্ণ একা প্রধান শিক্ষক লড়াই চালিয়ে গেছেন সত্যের জয় হবে এই আশায়। ‌ সেই জয় এলো আসানসোল আদালত থেকে ২৫ জানুয়ারি ২০২৪। আসলে মৌচাকে ঢিল ছুঁড়েছিলেন চিত্তরঞ্জনে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চ মাধ্যমিক হিন্দি স্কুল কস্তুরবা গান্ধী হাই স্কুলে। ‌ প্রধান শিক্ষক লড্ডন খান তথ্য পেয়েছিলেন এখানে প্যারাটিচার সহ একাধিক স্থায়ী শিক্ষক ভুয়ো সার্টিফিকেটের দৌলতে শিক্ষকতা করে চলেছেন। ‌ তার তৎপরতায় এক প্যারাটিচারের চাকরিও যায়। ‌‌ এরপরই অন্যরা তাদের চাকরি হারানোর চরম আশঙ্কায় প্রধান শিক্ষককেই মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেন। ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর চিত্তরঞ্জন থানায় অভিযোগ জানানো হয় যে অষ্টম ও নবম শ্রেণীর পাঁচ ছাত্রীর সাথে প্রধান শিক্ষক অশালীন আচরণ করেছেন। ‌ এই এফআইআর-এর ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করলেও আদালত তাকে জামিন দিয়ে দেন সঙ্গে সঙ্গেই । এরপর 2017 সালের 31 জানুয়ারি পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করে। ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা চালু হয়ে যায় । ২০২১ সালের ৩০ মার্চ আদালতে তথ্যাদি পেশ এবং শুনানি শুরু হয়। এ বছরের 25 জানুয়ারি আদালত প্রধান শিক্ষক লড্ডন খানকে অশালীন আচরণের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেন। যে ৫ ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা করা হয়েছিল সেই পাঁচ ছাত্রী বিচারকের কাছে জানিয়ে দিয়েছিল স্কুলের "বীনা ম্যাডাম" নামের এক শিক্ষিকার কথা মতোই তারা এই অভিযোগ এনেছিল। ‌‌ আদালতের আদেশনামায় বীনা ম্যাডামের নাম বহুবার উল্লেখিত হয়েছে। ‌ ছাত্রীরা জানিয়েছে বীনা ম্যাডাম ইংরাজিতে লেখা অভিযোগপত্রে তাদের সই করতে বলেছিলেন, তারা কোন কিছু না বুঝেই তা করেছিল। আদালত জানিয়ে দিয়েছে, কোনরকম যৌন আচরণের ঘটনা স্কুলে ঘটেনি। এই বিষয়টি নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি রূপনারায়ণপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন লড্ডন খান। সেখানে তিনি জানান পশ্চিম বর্ধমান জেলায় অন্ততপক্ষে 19 জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন যারা ভুয়ো সার্টিফিকেটের দৌলতে চাকরি করছেন। কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলেও একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন, কিন্তু স্কুল পরিচালন সমিতি থেকে শুরু করে জেলা স্কুল পরিদর্শক, জেলাশাসক এমনকি পর্ষদকেও জানিয়ে খুব একটা ফল কিছু হয়নি। উল্টে তাকেই মিথ্যা অভিযোগে মামলার সম্মুখীন করা হয়েছিল। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীনই তার বহু প্রাক্তন ছাত্র লড্ডন খানকে ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন এরকম উচ্চশিক্ষিত ভদ্র শিক্ষক তাদের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছিলেন। ‌‌ জানা গেছে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় চারবার শ্রীখান নিজের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে সফল হন। ‌‌ তিনি অন্ডালের স্কুল থেকে নিজের বাড়ির কাছাকাছি আসার জন্য এই পরীক্ষায় বসতেন এবং প্রতিবারই সফল হতেন। ‌‌ তিনি বলেন কন্যাসম ছাত্রীদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব তার কিন্তু যারা অন্যায়ভাবে চাকরি করছেন তারাও যাতে আইনের মাধ্যমে শাস্তি পান সেটাও দেখা সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে তার দায়িত্ব। ‌‌ কিন্তু কস্তুরবা গান্ধী হাইস্কুলের স্কুল পরিচালন সমিতি এ বিষয়ে তাকে সহযোগিতা না করে বিভিন্নভাবে হয়রান করেছে। তবে আপাতত সে সব সরিয়ে রেখে তিনি নতুন করে শিক্ষকতার জীবনে ফিরে গিয়ে ছেলেমেয়েদের পড়ানোয় মন দিতে চান বলে জানান।@প্রান্তভূমি
Share on

একশো দিনের কর্মীদের একাউন্ট খতিয়ে দেখতে শিবিরে জেলাশাসক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ ফেব্রুয়ারি:: রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে যে পশ্চিমবঙ্গের ১৭ লক্ষ মানুষকে ১০০ দিনের কাজের টাকা একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে দেওয়া শুরু করবে। এবার সেই ১০০ দিনের কাজের প্রাপকদের একাউন্ট সরাসরি খতিয়ে দেখতে শুরু করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসক জেলা শাসক এস পোন্নাবলম সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা নিয়মিত সমস্যা সমাধান জনসংযোগ শিবির গুলিতে পরিদর্শনে যাচ্ছেন। আজ সেই রকমই রানীগঞ্জ ব্লকের টিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন মুরগাথোল প্রাইমারি স্কুলে আয়োজিত শিবিরে গিয়ে উপস্থিত মানুষজনের সঙ্গে প্রশাসনের কর্তারা কথাবার্তা বলেন। জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) সঞ্জয় পাল, আসানসোল মহকুমা শাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। ‌‌ তাঁরা একশো দিনের কর্মীদের অ্যাকাউন্টগুলি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাদের সমস্যার কথা শোনেন এবং সেই সব বিষয়ে অতি দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপেরও আশ্বাস দেন।@প্রান্তভূমি
Share on

আছড়া পঞ্চায়েত অঞ্চলে পশুদের ওষুধ দিতে শিবির

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ১০ ফেব্রুয়ারি:: আছড়া পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোড়বাড়ি এলাকার গৃহপালিত পশুদের জন্য বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, প্রতিষেধক দিল সালানপুর ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর। আজ সংকটমোচন মন্দির প্রাঙ্গণে এই উপলক্ষে আয়োজিত শিবিরে এলাকার প্রায় ৫০ জন মানুষ উপস্থিত হয়ে তাদের গৃহপালিত পশুদের জন্য এই ওষুধ সংগ্রহ করেন। কিভাবে ওষুধ খাওয়াতে হবে, ওষুধ খাওয়ালে তার গুনাগুন কি সেই সব বিষয়গুলি উপস্থিত ব্যক্তিদের বুঝিয়ে বলা হয়। রোগ প্রতিরোধের সাথে সাথে উন্নত ধরনের প্রজাতি আনতে গেলে এই ধরনের ওষুধ প্রয়োজন বলে জানানো হয়। এদিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কিংসন মাজি , সৌরভ মন্ডল, আছড়া পঞ্চায়েতের প্রাণী মিত্র ময়না দাস, সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণী ও মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ সুরেন্দ্র মূর্মু, আছড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব মাহাতো, নিমাই টউডউ, উত্তম মাহাতো, কাঞ্চন দেবনাথ প্রমুখ।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জন-আসানসোল রোডে আবার দুর্ঘটনার সম্মুখীন বাইক আরোহী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৯ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন-আসানসোল মেন রোডের উপর আবার বড়সড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলেন এক বাইক আরোহী। দেন্দুয়া এবং সালানপুর কালীতলার মাঝে দেন্দুয়া রেলগেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে আজ সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ। জেমারি ডাঙ্গালপাড়ার বাসিন্দা ভৃঘুরাম পাল বাইক চালিয়ে সালানপুরের দিকে কাজের জায়গায় যাচ্ছিলেন । রাস্তার মধ্যে তার বাইক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয় এবং একটি চলন্ত গাড়ির নিচে তার শরীর ঢুকে যায় বলে জানা গেছে। ‌‌ এরফলে তার মাথায় গুরুতর চোট লাগে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সালানপুর থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে ভৃগুরামকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভৃগুরামের ভাই দুর্বাসা জানান তার দাদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল, তবে শরীরের চোট গুরুতর। ‌‌ উল্লেখ্য, দেন্দুয়া রেলগেট এখন পথচারীদের কাছে বিভীষিকার অন্য নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেভাবে স্লিপারগুলি লম্বালম্বি ভাবে সাজিয়ে এই রেলগেট সংস্কার করা হয়েছে তা দুই চাকার বাইক স্কুটি, তিন চাকার অটো টোটোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। বেপরোয়া গতির যান চলাচল রুখতে এই রাস্তার উপর পুলিশি নজরদারি অত্যন্ত জরুরি বলে স্থানীয় মানুষজন মনে করছেন।@প্রান্তভূমি
Share on

রাত্রিকালীন রক্ত পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য, জেলার দুটি অঞ্চলে গণ ঔষধ সেবন

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ ফেব্রুয়ারি:: পশ্চিম বর্ধমান জেলার মধ্যে ফাইলেরিয়া বা গোদের বাড় বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি ধরা পড়েছে কুলটি মিউনিসিপালিটি এলাকা এবং বারাবনি ব্লক অঞ্চলে। ‌‌ জেলা জুড়ে রাত্রিকালীন রক্ত পরীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে। ‌‌ এবার এই দুটি এলাকায় ফাইলেরিয়া দূরীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। ‌‌ এজন্য সমস্ত বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রত্যেককে নির্দিষ্ট ঔষধ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে "মাস ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন" বা গণ ঔষধ সেবন। নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেককে এই ওষুধ খাওয়াবেন। শুধুমাত্র গর্ভবতী মহিলা, দুই বছরের নিচে শিশু এবং গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া প্রত্যেকেই এই ওষুধ খেতে পারবেন। বছরে একবার স্বাস্থ্যকর্মীর সামনে নির্দিষ্ট মাত্রায় এই ওষুধ খেলে আর গোদ, একশিরা ইত্যাদি পরজীবী বাহিত উপসর্গ দেখা দেবে না। ‌‌ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই দুটি অঞ্চলে এই গণ ঔষধ সেবন কর্মসূচি শুরু করা হবে। ‌‌ এজন্য নিয়ামতপুরের জলধিদেবী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশেষ এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে বলে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

ভোটে বুথ নিয়ে মহকুমা শাসকের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ ফেব্রুয়ারি:: কোনো বুথে ১৫০০'র বেশি ভোটার থাকলে সেখানে অতিরিক্ত বুথ তৈরির বিষয় নিয়ে আজ আসানসোল মহাকুমা শাসকের কার্যালয়ে বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। মহকুমা শাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সবকটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। জানা গেছে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল মহকুমায় ৪ টি অতিরিক্ত বুথ গঠন করতে হবে। এদিকে সালানপুর ব্লকের প্রায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার ভোটারের জন্য ১৪৫ টি বুথ থাকলেও এই ব্লকে কোনো অতিরিক্ত বুথ থাকছে না বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।@প্রান্তভূমি
Share on

দ্বিগুণ করে দেওয়া হল লক্ষ্মীর ভান্ডারের অর্থ, রাজ্য বাজেটে বড়ো ঘোষণা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ ফেব্রুয়ারি:: আজ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় রাজ্য বাজেটে এ রাজ্যের মহিলাদের জন্য বড় সুখবরের ঘোষণা হলো। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে দেওয়া টাকার পরিমান একেবারে দ্বিগুণ করে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হল। অনুসচিত জাতি জনজাতিদের জন্য এই টাকা বেড়ে হল ১২০০। ‌‌ সামনেই লোকসভা ভোট, এক বছর পর 2026-এ বিধানসভা নির্বাচন। ‌ এই সমীকরণ মাথায় রেখে রাজ্য সরকার এ রাজ্যের মহিলাদের তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য ভোট আরও নিশ্চিত করতে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুদান দ্বিগুণ করে দিল বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডার সহ বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করে হাতে হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়ার সুফল পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই অংক মাথায় রেখেই এক ধাক্কায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের অর্থ দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

মুম্বাইয়ে সোনা চুরির দায়ে গ্রেপ্তার শিল্পাঞ্চলের যুবক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৮ ফেব্রুয়ারি:: শ্বশুরবাড়িতে গা ঢাকা দিয়েও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে পারল না মুম্বাই থেকে সোনা চুরিতে অভিযুক্ত এই রাজ্যের এক ব্যক্তি। তাকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কাঁকসা থানার পুলিশ এবং মুম্বাই পুলিশ যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করলো কাঁকসা থানা এলাকার গোপালপুর থেকে। ধৃতের নাম অমিত রিন্টু চৌধুরী। তার বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে হলেও মুম্বাই থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে অমিত কাঁকসা গোপালপুরের শ্বশুরবাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল। আজ তাকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে মুম্বাই নিয়ে যাচ্ছে সেখানকার লোকমান্য তিলক থানা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বেশ কয়েক বছর ধরে অমিত মুম্বাইয়ে একটি সোনার দোকানে কাজ করছিল। সেখান থেকে ১৭ জানুয়ারি সে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। ১৮ জানুয়ারি ঐ দোকানের মালিক লোকমান্য তিলক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্ত করতে গিয়ে মুম্বাই পুলিশ জানতে পারে প্রায় ১৫০ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছে এবং অভিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে এসেছে। শেষ পর্যন্ত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে কাঁকসা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তারা গোপালপুরে অভিযান চালিয়ে অমিতকে গ্রেফতার করে। চুরি যাওয়া সোনার দাম প্রায় ৯ লক্ষ টাকা বলে জানা যাচ্ছে।@প্রান্তভূমি
Share on

সিআইএসএফ পুলিশ রক্ষীদের‌‌‌ই তাড়া করে ঘায়েল করলো কয়লা 'কুড়োনিরা'

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ ফেব্রুয়ারি :: খোলামুখ খনি থেকে কয়লা চুরি নিয়ে দশকের পর দশক ধরে চাপানউতোর চলছেই। কয়লা চুরির অভিযোগ মানা হোক বা না হোক কলিয়ারিতে কয়লা "কুড়োতে" নিয়মিত অসংখ্য মানুষ আসে। ৭ ফেব্রুয়ারি বারাবনি থানা এলাকায় কাপিষ্টার বেগুনিয়া কলিয়ারিতে কয়লা চুরি করতে আসা মানুষের সাথে ই সি এলের নিরাপত্তা রক্ষী, সি আই এস এফ এবং বারাবনি থানার পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। কয়লা চোরদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে গাড়ির কাঁচ যেমন ভাঙ্গে তেমনই কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হন। ঘটনার সূত্রপাত, এদিন সকালে। খনির সামনে কয়লা চুরি করতে একদল মানুষ আসে। ই সি এলের নিরাপত্তা রক্ষী ও সি আই এস এফ তাদের তাড়াতে এলে উল্টে চোরেরাই ঢিল, ইঁট ছুঁড়তে থাকে। হকচকিয়ে যায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। সংবাদ পেয়ে বারাবনি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। চোরের দল পুলিশকে লক্ষ্য করেও ঢিল, ইঁট ছুঁড়তে থাকে। ইঁটের আঘাতে দুটি গাড়ির কাঁচ ভাঙ্গে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ৭ জন হামলাকারিকে গ্রেপ্তার করে। সালানপুর এরিয়ার সিকিউরিটি ইনচার্জ দিলীপ প্রসাদ জানান ছয় টন কয়লা আটক করা হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

হাত দিয়ে ঘষলেই উঠে আসছে পিচ, নতুন রাস্তার মান খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নামলেন সরকারি আধিকারিকেরা

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ ফেব্রুয়ারি:: হাত দিয়ে ঘষলেই নতুন তৈরি রাস্তার পিচ চড়চড় করে উঠে আসছে হাতে। এমনই অস্বস্তিকর ঘটনার পর সালানপুর ব্লকের বোলকুন্ডা থেকে মাধাইচক হয়ে পাতাল গ্রাম পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার কাজ খতিয়ে দেখতে আজ এলাকায় পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ সড়ক উন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে সালানপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান প্রমুখ। তারা রাস্তা তৈরির জন্য ব্যবহৃত মাল মশলার নমুনা সংগ্রহ করেন উপযুক্ত জয়গায় পরীক্ষা করার জন্য। ‌এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে রাস্তা তৈরীর বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেন । তবে গ্রামবাসীরা তাদের জানিয়ে দিয়েছেন রাস্তা তৈরীর কাজ আদৌ মান অনুযায়ী হচ্ছে না। এর পরও যদি তা না হয় তাহলে আরো বড় ধরনের আন্দোলনের নামবেন তারা।। ‌‌ উল্লেখ্য, ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে নিম্নমানের রাস্তা তৈরির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামেন এবং তার ফলে রাস্তা তৈরীর সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদারের লোকজন কাজ ছেড়ে পালিয়ে যান। সেই প্রসঙ্গ নিয়ে সমস্ত বিভাগ কথা দিয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখার, আজ সেটিই হল বলে জানালেন মহম্মদ আরমান।@প্রান্তভূমি
Share on

চিত্তরঞ্জন-বাঁকুড়া সরকারি বাস চলাচলের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ ফেব্রুয়ারি:: আজ রাজ্যের বিভিন্ন রুটে ১৫ টি নতুন সিএনজি সরকারি বাস পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‌‌ দক্ষিণ বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার অধীন এই বাসগুলি পরিবেশবান্ধব এবং সময় সাশ্রয়কারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আজ বিকেল তিনটেয় ভার্চুয়াল মাধ্যমে দুর্গাপুর সিটি সেন্টার বাস টার্মিনাস থেকে এই ১৫ টি বাসের আনুষ্ঠানিক যাত্রার সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদের মধ্যে একটি বাস বাঁকুড়া থেকে চিত্তরঞ্জনের মধ্যে চলাচল করবে দুর্গাপুর আসানসোল হয়ে। ‌‌ এছাড়া কলকাতা-পাণ্ডবেশ্বর, পুরুলিয়া-কাটোয়া, বর্ধমান-দুর্গাপুর ভায়া খাতড়া ঝিলিমিলি, বহরমপুর-দুর্গাপুর ভায়া সিউড়ি, মানবাজার- দুর্গাপুর ভায়া বাঁকুড়া, বর্ধমান- দুর্গাপুর ভায়া আসানসোল, কালনা থেকে আসানসোল ভায়া দুর্গাপুর ইত্যাদি রুটের বাস দেওয়া হয়েছে।@প্রান্তভূমি
Share on

কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দাদের সঙ্গে জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিল আয়ুষ

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ ফেব্রুয়ারি:: একমাত্র পুত্রের জন্মদিন একটু অন্যরকমভাবে পালন করলেন গীতিকা দাস ও অরুণ দাস। তাদের পুত্র আয়ুষকে নিয়ে পরিজনেরা পৌঁছে গিয়েছিলেন কানগোই পাহাড়ের নিচে হাসিপাহাড়ি সংলগ্ন স্নেহপুর কুষ্ঠ কলোনিতে। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলাপ পরিচয় করার পাশাপাশি তাদের জন্য নিয়ে যাওয়া শাড়ি নাইটি চকলেট লাড্ডু কেক পাউরুটি বিস্কুট ইত্যাদি তুলে দিলেন। কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দাদের পাশে এইভাবে দাঁড়াতে পেরে গীতিকা দেবীরা অত্যন্ত খুশি। আনন্দিত সেখানকার বাসিন্দারাও।@প্রান্তভূমি
Share on

মধ্যরাতে বিধ্বংসী আগুন চিত্তরঞ্জন রেল কোয়ার্টার্সে

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৭ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জন রেল শহরে নতুন আমদানি দোতলা কোয়ার্টার্স। আর সেই দোতলা কোয়ার্টার্সেই গভীর রাতে আগুন লেগে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটে গেল ৬ ফেব্রুয়ারি। একটি আবাসনে চারটি কোয়ার্টার্স। তার সিঁড়ির নিচে রাখা এ্যকটিভা স্কুটি গাড়ি এবং দুটি সাইকেল এই অগ্নিসংযোগের ফলে পুড়ে একেবারে ছাই হয়ে গেছে। ‌ রেলকর্মী বাসিন্দারা কোনভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন। ‌‌ ঘটনা ৬ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার পরে কোন এক সময় ঘটে। রেল শহরের সিমজুড়ির একেবারে শেষে অজয় ঘেঁষা অঞ্চলে রাস্তা নম্বর 70/এ, ব্লক নং ৪, কোয়ার্টার্স 4/সি এই অগ্নিসংযোগের ফলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার হুইল শপের কর্মী সন্তোষ উপাধ্যায় থাকেন এই ব্লকের ওপর তলায়। ‌‌ তিনি বলেন ঘুমের মধ্যেই গতরাতে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তন্দ্রার মধ্যেই নিচে থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান। তারপর দেখেন কোয়ার্টার্স একেবারে ধোঁয়ায় ধোঁয়াক্কার। ‌‌ দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে দেখেন সিঁড়ির পাশে রাখা তার বছর দেড়েকের পুরনো এ্যকটিভা স্কুটি গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশে রাখা ছিল দুটি সাইকেল, সেগুলির কোন চিহ্ন নেই। এই ঘটনায় স্থানীয় মানুষজন চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। ‌ তাদের অভিযোগ এই কোয়ার্টার্সগুলি চার পাঁচ বছর আগে তৈরি করা হয়েছে কিন্তু জিনিসপত্র অত্যন্ত নিম্নমানের দেওয়ার ফলে বিদ্যুতের লাইন মজবুত নয়। এখনই কোয়ার্টার্সের দেওয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ‌ তাদের অভিযোগ বিদ্যুতের তার থেকে স্পার্কিং হওয়ার ফলেই সিঁড়ির নিচে আগুন লাগে এবং গভীর রাতে এই ঘটনার ফলে আগুন নেভানোর মত কেউ ছিলেন না। ‌ বিষয়টি জানতে পেরেই রেলের অফিসারেরা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা সেখানে ছুটে যান। যদিও তারা বিদ্যুতের তার থেকে আগুন লেগেছে মানতে রাজি নন, বরং তাদের দাবি কোন কারনে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে গাড়িতে। এই কথা শুনে বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এদিকে ভয়ংকর এই ঘটনার কথা শুনে সকালেই সেখানে পৌঁছে যান শ্রমিক নেতা ইন্দ্রজিৎ সিং। তিনিও বলেন বিদ্যুতের কমজোরি তার থেকেই আগুন লেগেছে। তবে তার দাবি মত চিত্তরঞ্জন রেল প্রশাসন আগুন লাগার কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু জানান। ‌‌ তিনি বলেন এই ব্লকের চারটি কোয়ার্টার্সের বাসিন্দারা ঘুমের ঘোরেই পুড়ে মারা যেতে পারতেন, কিন্তু রেল প্রশাসন এ বিষয়ে উপযুক্ত গুরুত্ব না দিয়ে বিষয়টিকে ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। ইলেকট্রিক ওয়ারিং যথাযথ না হওয়ার বিষয়টিতে তিনি ইঙ্গিত করে বলেন যথেচ্ছ কাটমানি এবং অদক্ষ লোকেদের দিয়ে কাজ করানোর ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ রেল কর্মীদের।@প্রান্তভূমি
Share on

জেলা পরিষদের অর্থে ঝাড়খন্ড রোড সংস্কার

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ ফেব্রুয়ারি:: খানাখন্দে ভরে ওঠা ঝাড়খন্ড রোড সংস্কার কাজের সূচনা হলো আজ। রূপনারায়ণপুর রেল গেট সংলগ্ন টোল ট্যাক্সের এই রাস্তা সংস্কারে সহযোগিতা করছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদ। ‌ প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে এক মাসের মধ্যে এই সংস্কার কাজ শেষ হবে বলে জানান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা সংস্কার কাজের সূচনাকারী মহম্মদ আরমান। ‌‌ তিনি বলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের কাছে এই রাস্তাটি সংস্কারের আবেদন জানালে তিনি উদ্যোগ নিয়ে যাবতীয় ব্যবস্থা করেছেন। আজ শ্রী আরমান সহ উপস্থিত ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাশপতি মন্ডল, সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রানু রায়, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত প্রধান অপর্না দাস, উপপ্রধান সন্তোষ চৌধুরী, সালানপুর ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি ভোলা সিং প্রমুখ।
Share on

তালা ভেঙে চিত্তরঞ্জনে দুঃসাহসিক চুরি:: ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের কন্যার হাই প্রোফাইল বিয়ের মধ্যেই চুরিকে ঘিরে চাঞ্চল্য

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জনের প্রতিষ্ঠিত ট্রেড ইউনিয়ন নেতা ইন্দ্রজিৎ সিংয়ের কন্যার হাই প্রোফাইল বিয়ের অনুষ্ঠানের মধ্যেই রেল কোয়ার্টার্সে তালা ভেঙে চুরির গুরুতর অভিযোগ উঠল। ‌ বিয়ের অনুষ্ঠানের কাছাকাছি ঐ কোয়ার্টার্সে ইন্দ্রজিৎ বাবুর আত্মীয়ারা সাময়িকভাবে থাকছিলেন। এই ঘটনার পর ইন্দ্রজিৎবাবু ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন চিত্তরঞ্জন শহরকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাজ্য পুলিশ, রেলের আরপিএফ, গোয়েন্দা সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও এই চুরি অত্যন্ত অস্বস্তিকর। চিত্তরঞ্জন শহরের এরিয়া ফাইভ এলাকার ৩১ নম্বর রাস্তার ২/ এ আবাসনে বিয়ের আসর বসেছে। এর কিছুটা দূরেই একই রাস্তার ৬/বি আবাসনে ইন্দ্রজিৎ বাবুর কন্যার বিয়েতে আসা ৮ জন মহিলা আত্মীয়ার থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় "হলদি" অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য তারা ওই কোয়ার্টার্সে তালা লাগিয়ে বিয়ের আসরে গিয়েছিলেন। এরপর হলদি অনুষ্ঠান সেরে খাওয়া-দাওয়ার পর রাত ১০ টা নাগাদ কোয়ার্টার্সে ফিরে দেখেন দরজার তালা ভাঙ্গা এবং ভেতরের সমস্ত জিনিসপত্র তছনছ হয়ে পড়ে আছে। ‌‌ খতিয়ে দেখে তারা বুঝতে পারেন গয়না ভর্তি একটি ব্যাগ এবং আরেকটি টাকার ব্যাগ চুরি হয়ে গেছে। ‌‌ খাট আলমারি বিছানাপত্র সব লন্ডভন্ড করে গেছে চোরেরা। ঘটনার পরই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রচুর মানুষ সেখানে জড়ো হন, সংবাদ পেয়ে চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ, আরপিএফ সেখানে পৌঁছায়। ‌ এই ঘটনা সন্ধে সাড়ে সাতটা থেকে রাত দশটার মধ্যে কোনো এক সময় হয়েছে বলে ইন্দ্রজিৎ বাবু জানান। ‌‌ এদিকে তার কন্যার বিয়ে উপলক্ষে প্রচুর মানুষের সমাগম, আত্মীয়-স্বজনের ভিড় - তার মধ্যেই সন্ধের পরই কোন সাহসে দুষ্কৃতিরা এত বড় কান্ড ঘটালো সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‌‌ জানা গেছে বিয়ে উপলক্ষে আসা মহিলারা গয়নাগাটি পরে ঘোরাঘুরি করছিলেন। সম্ভবত সেই দৃশ্য চোরেদের নজর এড়ায়নি। ‌‌ তবে ৫ তারিখ সন্ধ্যায় তারা আসল গয়নাগুলি পরে বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, অন্যদিকে নকল বেশ কিছু গয়না ঘরের মধ্যে ব্যাগের ভেতর রেখে যান। সেগুলিই চোরেরা নিয়ে গেছে, তবে টাকার ব্যাগে বেশ কিছু অর্থ ছিল বলে ইন্দ্রজিৎবাবু জানান। ‌ তিনি বলেন চোরেদের দুঃসাহস রেল শহরের বাসিন্দাদের আবার আতঙ্কিত করল। ‌ বেশ কিছুদিন শহরে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বন্ধ থাকলেও চোরেদের দল যে আবার সক্রিয় হয়েছে তা যথেষ্টই আতঙ্কের বলে তিনি উল্লেখ করেন@প্রান্তভূমি
Share on

আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনা চক্রে দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষক অধ্যাপক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ ফেব্রুয়ারি:: চিত্তরঞ্জনের দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ে প্রস্তাবিত দুদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক স্তরের আলোচনা চক্রের প্রথম দিন ৫ ফেব্রুয়ারি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উদ্বোধন করলেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবাশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আফ্রিকার ইতিহাসের অধ্যাপিকা ও আমেরিকার ক্লিভল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রিত গবেষিকা ডঃ পুনম বালা। ঔপনিবেশিক ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসের স্বনামধন্য গবেষিকা তথা লেখিকা ডঃ বালা ছিলেন এদিনের প্রধান বক্তা। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার চুড়ালাম কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ সরকার এবং দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের ইন্টার্নাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের প্রধান ডক্টর অপূর্ব কুমার রায়। ‌ শ্রোতা হিসেবে ছিলেন বিভিন্ন রিসার্চ স্কলার এবং বহু অধ্যাপক অধ্যাপিকা ও সমাজের চিন্তাশীল ব্যক্তিগণ। ‌ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর ত্রিদিব সন্তপা কুন্ডুর পৌরহিত্যে এদিনের অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে ঔপনিবেশিক বাংলায় বিজ্ঞান চিকিৎসা ও সমাজ বিষয়টি ছুঁয়ে যান উপাচার্য শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান ইউরোপের তুলনায় বাংলা বা ভারতে সম্পূর্ণ বিপরীত জলবায়ুর কারণে ম্যালেরিয়া কলেরা কালাজ্বর সহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচার জন্য ইউরোপীয়রা তুলনায় অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা শৈলাবাসগুলি বেছে নিয়েছিল এবং নিজেদের তাগিদেই এ্যলোপ্যাথিক চিকিৎসার চল বা আবিষ্কার করেছিল। প্রধান বক্তা ডক্টর বালা ব্রিটিশরা আসার আগে এদেশে আয়ুর্বেদ ইউনানি চর্চার ধারা নিয়ে আলোচনা করলেন । এ্যলোপ্যাথিক চিকিৎসা আসার আগে এই ধরনের চিকিৎসাতেই মানুষের নিরাময় হত। পরে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে যখন ব্রিটিশরা এ্যলোপ্যাথিক চিকিৎসার আবিষ্কার করল তখন তারা চিকিৎসার এই ধারাগুলিকে অবজ্ঞা বা অস্বীকার করল - আলোচনাচক্রের মূল বিষয় ছিল এটিই। এদিনের শেষ আয়োজন ছিল দেশবন্ধু মহাবিদ্যালয়ের ডিজিটাল সংরক্ষণাগারের প্রদর্শন যা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার অয়ন কুন্ডু। এদিন উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপিকা মেঘনা সামন্ত ও পুষ্পিতা মন্ডল। আলোচনাচক্র সঞ্চালনা করেন ইংরেজি বিভাগের সহ অধ্যাপক প্রীতম দাস। @প্রান্তভূমি
Share on

সিএলডব্লুর অর্থ বিভাগের হাল ধরলেন ভারতীয় রেলের সুদক্ষ আধিকারিক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ ফেব্রুয়ারি:: যে আইপিএএস ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা দেশে ভারতীয় রেলের অ্যাকাউন্টিং এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এখন পরিচালিত হচ্ছে তার উদ্গাতা অংশুমান সরকার। ‌ ইন্ডিয়ান রেলওয়ে একাউন্টস সার্ভিস ১৯৯১ সিভিল সার্ভিস ব্যাচের এই আধিকারিক এবার চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টার দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন। ‌‌ দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ এবং দিল্লি স্কুল অফ ইকনোমিক্সের এই প্রাক্তনী ভারতবর্ষে রেলের আর্থিক বিভাগের সঙ্গেই অন্যান্য বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বভার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন। ‌‌ সিএলডব্লুতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের ডাইরেক্টর ফিনান্স ছিলেন। এ পর্যন্ত ৩১ বছরের চাকরি জীবনে হাওড়া শিয়ালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন নজির সৃষ্টিকারী কাজের সঙ্গে তিনি জড়িয়ে ছিলেন। ‌ ফিনান্স অফিসার হিসেবে তিনি ভারতীয় রেলের কয়েকশো কোটি টাকা সাশ্রয় করে নজির সৃষ্টি করেছেন। এ হেন সুদক্ষ আধিকারিককে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা রূপে পাওয়ার ফলে চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা উপকৃত হলো বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি
Share on

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বেপরোয়া বাইকের তান্ডবে রূপনারায়ণপুরে আতঙ্ক, গুরুতর জখম ১, চুরমার বাইক

প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৫ ফেব্রুয়ারি:: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রূপনারায়ণপুর সামডি রোডে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটালো দুই পরীক্ষার্থী। তবে তাদের জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কথা মাথায় রেখে একই বাইকে থাকা ওই দুই পরীক্ষার্থীকে আইনি ঝামেলায় জড়াতে চাননি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলি। ঘটনা আজ দুপুর সওয়া একটা নাগাদ। সামডি রোডে সেন সুইটস এবং জয়া ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাছাকাছি এলাকায় রাস্তার পাশে বাইক রেখে এক ব্যক্তি আলু কিনছিলেন। হঠাৎই দুরন্ত বেগে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাইক তার দাঁড় করানো বাইকে ধাক্কা মেরে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং তার ফলে আর এক বাইক আরোহী মারাত্মক চোট পান। জানা গেছে তার নাম সঞ্জীব দাস (৫৮), বাড়ি রূপনারায়ণপুর সীমান্ত পল্লীতে। ‌‌ সঞ্জীব বাবু বাইক চালিয়ে ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তার ডান হাঁটুতে বড় ধরনের চোট লেগেছে, ডান হাতের কব্জি ও চেটোর মধ্যে চিড় ধরেছে, নাক দিয়ে রক্তপাত হয়েছে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে তিনি রাস্তার মধ্যে পড়ে প্রায় জ্ঞানশূন্য হয়ে গিয়েছিলেন। ‌‌ সংবাদ পেয়ে দ্রুত সেখানে ছুটে যান তার নিকটাত্মীয় সুব্রত মিত্র। ‌‌‌‌ সঙ্গে সঙ্গে তাকে পিঠাকিয়ারী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে অন্য চিকিৎসকের কাছে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। ‌‌‌‌ এদিকে দাঁড়িয়ে থাকা প্রথম যে বাইকটির সঙ্গে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বাইকের সংঘর্ষ হয়েছিল সেই বাইকটির সামনের অংশ ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে বাইক আরোহীদের দাপট কম করা এবং নিয়ম না মেনে চলাচলকারীদের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানান স্থানীয় মানুষজন। এছাড়াও রাস্তার পাশের ফুটপাত দখলমুক্ত করারও দাবী জানান তারা। এদিকে দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যাদের বয়স এখনো ১৮ হয়নি তারা কিভাবে বাইক নিয়ে বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করছে সেই বিষয়টি তুলে ধরেও অভিভাবকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ‌ রূপনারায়ণপুর অঞ্চলে হিন্দুস্তান কেবলস রোড, সামডি রোড, দুর্গা মন্দির রোড এবং আসানসোল রোডে যান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি গাড়ির গতি ঘন্টায় কুড়ি কিলোমিটারে কড়াকড়িভাবে বেঁধে দেওয়ার জন্য পুলিশকে উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানান তারা।@প্রান্তভূমি
Share on