করোনা সংকট কাটিয়ে চক্ষু চিকিৎসা শিবির লায়ন্স ক্লাবের
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। করোনা আবহে লকডাউনের পর প্রথম চক্ষু চিকিৎসা শিবির করল উত্তররামপুর জিতপুর লায়ন্স ক্লাব। ৮ অক্টোবর কেশিয়া মোড়ে ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ক্লাবের সহযোগিতায় লায়ন্স ক্লাবের এই চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্রে ডাক্তার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধানবাদের ডাঃ নিসার। লায়ন্স ক্লাব -এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি লায়ন সুজিত কর্মকার, সম্পাদক বরুণ সরকার, কোষাধ্যক্ষ অধীর দে, জোন চেয়ারপার্সন হিরণ্ময় ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি কস্তুরী মজুমদার, বোর্ড অফ ডিরেক্টর কৃষ্ণা ভট্টাচার্য এবং প্রবীণ নাগরিক সমিতির সম্পাদক প্রশান্ত মন্ডল। এদিন ৭৫ জন মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা গ্রহণ করেন । সুজিত বাবু জানান ২০১৯ সালে এই লায়ন্স ক্লাব তিনটি শিবির পরিচালনা করে। দু'শো জন এই চিকিৎসার সুযোগ গ্রহণ করেছিলেন।@প্রান্তভূমি(৮/১০/২০২০);
করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন সুলেখা দাস
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। করনাকে জয় করে বাড়ি ফিরলেন রূপনারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রিয় সদস্য সুলেখা দাস ।আজ সকালে তিনি দুর্গাপুরের সনোকা কোভিড হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন । তিনি জানিয়েছেন সেখানে অত্যন্ত ভালো পরিবেশে সহৃদয়তার সঙ্গে তার চিকিৎসা হয়েছে, ফলে সঠিক সময়ে তিনি সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করেছেন । এজন্য তিনি হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক কর্মী এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় যেসব শুভানুধ্যায়ী তার আরোগ্য কামনা করেছিলেন তাদের প্রত্যেককেই তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন । তিনি প্রান্তভূমিকে বলেন, এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ, কিছুদিনের মধ্যেই জনগণের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন।;
করোনা-মুক্ত বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় বাড়ি ফিরে এলেন
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। করোনা মুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় আজ ৬ অক্টোবর বাড়ি ফিরে এলেন বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তিনি দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর প্রায় পক্ষকাল তাকে ওই হাসপাতলে চিকিৎসাধীন থাকতে হয়েছিল। তবে শুরু থেকেই তার শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো ছিল । শুধুমাত্র জ্বরের উপসর্গ ছাড়া অন্য বিশেষ কোন অসুবিধা ছিল না। হাসপাতাল থেকেই তিনি তার বিধানসভা এলাকা বারাবনিতে পুনরায় মানুষের মাঝে ফিরে আসার জন্য বারবার আগ্রহ প্রকাশ করছিলেন। আজ আসানসোলের বাড়িতে ফিরে তিনি বলেন খুব শীঘ্রই তিনি সমগ্র বিধানসভা এলাকা পরিক্রমা করবেন। তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসার জন্য বহু তৃণমূল নেতা কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন। বিধায়ক শ্রী উপাধ্যায় তার সুস্থতা কামনায় যারা প্রার্থনা করেছেন এবং তাকে যারা সাহস যুগিয়েছেন তাদের প্রত্যেককে হৃদয় থেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে শুরু করে সমস্ত স্তরের কর্মীদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।@প্রান্তভূমি(৬/১০/২০২০);
আজ করোনা আক্রান্ত তৃণমূল ব্লক সভাপতি মহঃ আরমান
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। করোনা আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের আর এক উচ্চস্তরীয় নেতা। বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়- এর পর আজ করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশন হয়ে গেলেন সালানপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের অন্যতম কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান। তবে সামান্য জ্বর সর্দি থাকলেও তার বড় কোন উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন শ্রী আরমান। তিনি তার বাড়িতে একান্তে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানা গেছে গত পরশু সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ফাল্গুনী কর্মকার ঘাসির হঠাৎ শরীর খারাপ হলে তাকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বিডিও সহ অন্যান্যদের সঙ্গে শ্রী আরমান সক্রিয়ভাবে সেখানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথেই তার শরীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এরপরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিনি দুর্গাপুর থেকে ফিরে সন্ধ্যায় বাড়িতে স্নান করেন। এরপরই জ্বর এবং সামান্য সর্দির ভাব দেখা দেয়। স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্দিষ্ট ওষুধ তিনি খাচ্ছিলেন, কিন্তু সন্দেহ নিরসনের জন্য আজ তিনি করোনা পরীক্ষা করান। তাতেই জানা যায় তিনি করোনা পজিটিভ।
শ্রী আরমান বলেন তার শরীরে কোন কষ্ট নেই। তাকে অন্য কোন অসুবিধার জন্য নিয়মিত ওষ;
চিত্তরঞ্জন ও ব্লক অঞ্চলে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন ।। চিত্তরঞ্জন শহর এবং সালানপুর ব্লকের অন্যান্য অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ হুহু করে বেড়ে চলেছে। আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত নিরীহ মনে হলেও এই করোনাভাইরাস মানুষের শরীরকে আক্রান্ত করে দুর্বল করে দিচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা অসচেতনতার ভাব এসে যাওয়ার কারণেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলি নেওয়ার প্রতি অনীহা এসেছে। এবং এই কারণেই সংক্রমণের হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে গেছে। গত কয়েকদিনে এই এলাকায় বহু মানুষ সংক্রমিত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সাধারণ প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছে যে এখন যতগুলি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে তার প্রায় অর্ধেকের মধ্যেই করোনা পজিটিভ লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এই পরিসংখ্যানকে মাথায় রেখে প্রশাসন চাইছেন মানুষজন যেন নিজস্ব সচেতনতা বজায় রেখে চলাফেরা করেন। অযথা বাইরে যেন বের না হন। দেখা যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ উপসর্গ হয় দেখা দিলেও অনেকেই তা চেপে যাওয়ার চেষ্টা করছেন । সে ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের শারীরিক অসুবিধা দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করা হচ্ছে। এরই সঙ্গে যাদের শরীরে অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব আছে তারা যেন বাড়তি সচেতনতা ;