আসানসোলের বনাঞ্চলে নেকড়ে সংরক্ষণে বিশেষ প্রকল্প, উইংসকে অর্থ দিচ্ছে ডব্লু ডব্লু এফ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ৬ সেপ্টেম্বর:: ভারতীয় ধূসর নেকড়ে বা ইন্ডিয়ান গ্রে উলভসের সংখ্যা অত্যন্ত দ্রুত হারে কমে যাচ্ছে। এমনকি ভারতে বাঘের সংখ্যার চেয়েও কম সংখ্যায় আছে এই নেকড়ে। কিন্তু অত্যন্ত আশার কথা হল এই ভারতীয় ধূসর নেকড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও তার আশেপাশের বনাঞ্চলে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বন বিভাগ এবং উইংসের যৌথ সমীক্ষায় এই অঞ্চলে ভারতীয় ধূসর নেকড়ের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে আসানসোল তার কয়লা এবং শিল্পের জন্য পরিচিত হলেও এই বিশেষ ধরনের বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছে। এবার এদেরই সংরক্ষণ এবং জীবনধারা চর্চা করার জন্য ওয়াইল্ডলাইফ ইনফরমেশন এন্ড নেচার গাইড সোসাইটি বা উইংস একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু করতে চলেছে। অবলুপ্তির পথে এগিয়ে যাওয়া ভারতীয় ধূসর নেকড়ের প্রজাতিকে রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তা করছে বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল বা ডব্লু ডব্লু এফ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নেকড়ে এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী আসানসোল অঞ্চলের আশেপাশে জঙ্গল এবং মাঠে ঘাটে কোথায় থাকে তা খতিয়ে দেখা হবে। তাদের রক্ষা করার জন্য পরিকল্পনা সুনিশ্চিত করা হবে। এজন্য বিভিন্ন বনাঞ্চলে তাদের গতিবিধি নজরে রাখতে ট্রেইল ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। বন বিভাগের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে উইংস। এই প্রকল্প নেকড়েদের বিষয়ে অজানা রহস্যের উন্মোচন করার পাশাপাশি তাদের সংরক্ষণের জন্য কার্যকরী কৌশল প্রণয়নে গুরুত্ব দেবে বলে মনে করেন আসানসোল টেরিটোরিয়াল রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার তমালিকা চন্দ। অন্যদিকে দুর্গাপুর বন বিভাগের ডি এফ ও ডঃ অনুপম খান এই প্রকল্পের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বলেন ভারতীয় ধূসর নেকড়ে এই অঞ্চলের পরিবেশগত ভারসাম্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীব বৈচিত্র বজায় রাখার জন্য এবং একটি ভারসাম্যযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এদের সংরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর ফলে এদের দেখা পাবে। তবে নেকড়েদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও সংরক্ষণ পরিকল্পনার সঙ্গে জনগণকেও এই প্রচেষ্টায় জড়িয়ে নেওয়া এবং উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান। উইংস-এর সদস্য অরিন্দম রায় ভারতীয় ধূসর নেকড়েদের এই পরিবেশে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন জীব-বৈচিত্রের অন্যতম এই অংশকে অবশ্যই অনতিবিলম্বে রক্ষা করার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক এই প্রকল্প শুধু নেকড়েদের রক্ষার জন্য নয়, আসানসোলের সমগ্র বাস্তুতন্ত্রকে সঠিক রাখার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত এক ফলপ্রসূ পদক্ষেপ বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।@প্রান্তভূমি;
চিত্তরঞ্জন রেল কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার দেশবন্ধু পার্কের বাড়ি থেকে
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২১ ডিসেম্বর:: অস্বাভাবিক মৃত্যু হল চিত্তরঞ্জন রেল কর্মী (২৬ নম্বর শপ) করণ যাদবের (৫৪)। আজ সন্ধ্যায় তার দেশবন্ধু পার্কের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ায় সংশ্লিষ্ট মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। জানা গেছে ১৫ ডিসেম্বর স্ত্রী পরিবারসহ করণ বাবু দিল্লি অঞ্চলে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাদের সকলেরই ফেরার কথা ছিল ২২ ডিসেম্বর। কিন্তু আচমকা করণ বাবু একাই আজ ২১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লি থেকে ফিরে নিজের বাড়িতে ঢোকেন। দিল্লিতে রয়ে যান পরিবারের অন্যান্যরা। এরপরই আকস্মিকভাবে তাকে বাড়ির মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে করণ বাবুর এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রসঙ্গটি কোনভাবে আশঙ্কা করেছিলেন তার স্ত্রী । অঘটনের বিষয় আঁচ করে তিনি তাদের বন্ধু চিত্তরঞ্জন সিমজুড়ি অঞ্চলের মুন্না বাবুকে জানান। মুন্না সঙ্গে সঙ্গে আপার কেশিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ইউনাইটেড ফ্রেন্ডস ক্লাবের বন্ধুদের বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দেশবন্ধু পার্কে পৌঁছান। তবে তার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। আকস্মিক এই মৃত্যুর ঘটনায় সকলেই বিহ্বল হয়ে পড়েছেন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলের মানুষজন তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন।@প্রান্তভূমি
১০০ ব্যক্তির হাতে কম্বল তুলে দিল কল্যাণেশ্বরী পুলিশ
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ডিসেম্বর:: শীতের মুখে কল্যানেশ্বরী মাইথন এলাকার আদিবাসী প্রধান গ্রামগুলির মানুষজনের হাতে কম্বল তুলে দিল কল্যানেশ্বরী ফাঁড়ির পুলিশ। আজ ২০ ডিসেম্বর ফাড়ি প্রাঙ্গণে এই উপলক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন সালানপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিত কুমার হাটি, রূপনারায়ণপুর ওসি অরুণাভ ভট্টাচার্য, সমাজসেবী মনোজ তেওয়ারি প্রমুখ । কল্যাণেশ্বরী ফাঁড়ির ওসি লাল্টু পাখিরার সুচারু ব্যবস্থাপনায় এদিন ১০০ জন ব্যক্তির হাতে কম্বল তুলে দেন বিশিষ্টজনেরা। এই উপলক্ষে শ্রী হাটি বলেন, পুলিশ সবসময়ই মানুষের সাথে থেকে তাদের সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখে। এই ধরণের উদ্যোগ সেই কাজেরই অঙ্গ।@প্রান্তভূমি
জনপ্রতিনিধির বাড়ি সীল করল ব্যাংক
প্রান্তভূমি প্রতিবেদন।। ২০ ডিসেম্বর:: ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করার অভিযোগে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ি সিল করল ব্যাংক। আজ সকালে আসানসোল কর্পোরেশনের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম আখতার আনসারীর বাড়ি সিল করে দেন গৃহঋণ প্রদানকারী বেসরকারি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বাড়িটি কুলটির পাতিয়ানা মহল্লা এলাকায়। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সেলিমবাবু ও শামিম আখতার আনসারী তাদের ব্যাংক থেকে ২০১৮ সালের ১৯ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা পরিশোধ না করায় এখন অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা। এদিন কুলটি থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এই বাড়ি সীল করেন। যদিও সেলিম বাবুর ভাই শামিম বলেন এই ঋণের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, ঋণ নিয়েছেন তার দাদা। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যেহেতু বাড়িটি সিল করে দিচ্ছেন, তাই তিনি বাড়ি ছেড়ে দিচ্ছেন। পরে তারা ঋণ প্রদানকারী সংস্থার কার্যালয়ে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে তিনি জানান। এরই সঙ্গে শামিম বলেন তার দাদার সাথে মাসাধিক কাল তাদের কোন যোগাযোগ নেই, কোথায় তিনি গেছেন সে বিষয়েও তাদের কিছু জানা নেই।@প্রান্তভূমি